Tag: খালেদা জিয়া

  • ফিরোজায় খালেদা জিয়া

    ফিরোজায় খালেদা জিয়া

    দীর্ঘ ৫৪ দিন পর রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন তিনি।বাসায় পৌঁছান সাড়ে ৮টার দিকে।

    বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসপাতালে বেশিদিন থাকলে ইনফেকশনের শঙ্কা থাকে। তাই তাকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

    এর আগে গত ৩ জুন বিকালে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করে সেদিন বলেছিলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এখনো করোনা পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে।পুরোপুরি সুস্থ হলেই তাকে বাসায় নেওয়া হবে।

    গত ১১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৩ মে তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ফল নেগেটিভ আসে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশ যাওয়ার অনুমিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

    এদিকে করোনা মুক্ত হলেও পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। কিডনি, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা করানো হয়। মাঝেমধ্যে তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ওঠানামা করে। তবে তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক জানান, বর্তমানে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। কিডনি সমস্যাও কমার দিকে। কিছুদিন আগে জ্বর আসলেও তা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ল

    খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ল

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    আজ সোমবার (৮ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, ‘দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মতামত দিয়ে আমরা ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন বাকি সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই নেবে।’

    আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেগম জিয়ার ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।

  • ৬ মাস বাড়ল খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ

    ৬ মাস বাড়ল খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ

    বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার আরও ৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য আইনগত সুপারিশ করেছিল। করোনাভাইরাসের কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।

    ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত হচ্ছে-খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এই আবেদন অনুমোদন দেয়ায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্ত জীবন যাপন করবেন খালেদা জিয়া।

    দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন।

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার তার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালো।

    ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া এখন গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবারো আবেদন পরিবারের

    খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবারো আবেদন পরিবারের

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবারো আবেদন করেছে তার পরিবার। শারীরিক অসুস্থতায় সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী মুক্তির জন্য গত মঙ্গলবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে আবেদন পত্রে তার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার স্বাক্ষর করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার সহোদর ‘ভাই’ হিসেবে শামীম ইসকান্দার নিজেকে উল্লেখ করেন।

    এ প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনী মতামত জানতে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিলে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

    এর আগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।

    যার মেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এর আগেই সরকারের কাছে স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার। ওই সময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আইনমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেয় বেগম জিয়ার পরিবার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন খালেদা জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন দুর্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি।

    পাশাপাশি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতায় কোনো পরীক্ষাও করা সম্ভব হয়নি।

    আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অফিস-আদালতসহ গণপরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত শারিরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবেদনে তার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করা হল।

    প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খালেদা জিয়ার চার মামলার স্থগিতাদেশ আপিলেও বহাল

    খালেদা জিয়ার চার মামলার স্থগিতাদেশ আপিলেও বহাল

    রাজধানীর দারুস সালামসহ বিভিন্ন থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাশকতার আরও চার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ওই চার মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

    রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

    পাঁচ বছর আগে বিএনপি জোটের হরতালের সময় নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলো দায়ের হয়।

    পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, চার মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিতই থাকবে।

    নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দারুস সালাম থানায় তিনটি এবং ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। দারুস সালাম থানার তিন মামলার মধ্যে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট দুটিতে ও অপরটিতে ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেয় বিচারিক আদালত। আর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় ২০১৬ সালের ২৫ মে অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। আমলে নেয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা চেম্বার আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক : রাশেদ খান

    বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক : রাশেদ খান

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক। যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করে স্বৈরচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন। তিনি জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১/১১ সময় তিনি কারাগার থেকেই সরকারকে বাধ্য করেছিলেন জরুরী অবস্থা তুলে নিতে। আজকে তাদের চেয়েও খারাপ হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা মানুষের সমস্ত অধিকার গুলো দখল করে রেখেছে।

    তিনি আজ ১৫ আগষ্ট (শনিবার) বাদ এ যোহর গণতন্ত্রের মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে হযরত পীর বদর আওলিয়া ( রঃ)’র মাজার প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিপর্যস্ত করতে বর্তমান সরকার তাকো মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নানামুখী নির্যাতন করেছে। তাকে বিপন্ন ও অতিষ্ঠ করতে সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে তার প্রতি নিষ্টুর আচরণ করেছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া আত্ববিশ্বাসের সাথে দৃঢ় মনোবল নিয়ে সরকারের অন্যায় মোকাবিলা করেছেন।

    বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্যপ্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ মৃত্যু বরণকারী নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। মোনাজাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া সহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

    খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

    বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই। আজ শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানী ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সানাউল্লাহ মিয়া কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সিসিউতে সানাউল্লাহ মিয়াকে ভর্তি করা হয়। তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। প্রচণ্ড খিচুনির কারণে তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই আজ রাত পৌনে ৯টায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচণ্ড শরীর খারাপ হলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করানো হয়। তিনি হাসপাতালের সিসিউতে ছিলেন। প্রচণ্ড খিচুনি ওঠায় তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ ডাক্তাররা জানান তিনি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এর আগে গত বছরের ৩ জানুয়ারি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি হন সানাউল্লাহ মিয়া। এরপরে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। সর্বশেষ তাঁর মুখের বাঁ পাশ বেঁকে যায়।

    সানাউল্লাহ মিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করেন। ৩৩ বছর ধরে আইনপেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি।

  • মুক্তি পেয়ে ফিরোজায় ফিরছেন খালেদা

    মুক্তি পেয়ে ফিরোজায় ফিরছেন খালেদা

    দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

    ছয় মাসের জন্য মুক্ত হয়ে ২৫ মাস পর গুলশান-২ এর ভাড়া বাড়ি ‘ফিরোজা’য় ফিরছেন খালেদা জিয়া।

    বিএনপি’র চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার একথা নিশ্চিত করেছেন।

    সাত্তার জানিয়েছেন, বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেয়ার পর পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে এই ছয় মাস গণনা শুরু হবে।

    দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে আইনমন্ত্রী জানান। সেগুলো হলো, এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

    আইনমন্ত্রী বলেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    এদিকে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির ঘোষণা আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এতে দল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি বোধ কাজ করছে।

    তিনি বলেন, ”সরকারের এই সিদ্ধান্তে দল ও নেতাকর্মীরা যেমন স্বস্তি বোধ করছেন, আবেগ কাজ করছে, পাশাপাশি তাদের মধ্যে একটি আতঙ্কও কাজ করছে এটা ভেবে যে এমন একটা সময়ে তাকে মুক্তির এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনাভাইরাস নিয়ে একটি দুর্যোগ চলছে।”

    দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।

    দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

  • খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত

    খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত

    বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ছয় মাসের জন্য দণ্ডিতাদেশ স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে।

    মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) একটি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

    তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয়মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন। সেগুলো হলো, এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

    তিনি বলেন, “ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং এই সময় বিদেশে গমন না করার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।”

    মন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।”

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে, তখন থেকে এই ছয়মাস গণনা শুরু হবে।

  • মানহানির মামলায় খালেদার জামিন প্রত্যাহার

    মানহানির মামলায় খালেদার জামিন প্রত্যাহার

    মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আজ সকালে দেয়া স্থায়ী জামিন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এ মামলায় আবার জামিন শুনানি হবে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এস এম মবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।

    ওই মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন ও রুল দেন। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

    মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।

  • মানহানির মামলায় খালেদার স্থায়ী জামিন

    মানহানির মামলায় খালেদার স্থায়ী জামিন

    মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

    বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

    এদিন আদালতে বেগম জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

    মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির একটি মামলা করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।

    জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্যগত ও মানবিক কারণ দেখিয়ে বেগম জিয়ার পক্ষে দুই দফা জামিন আবেদন করা হলেও উচ্চ আদালতে তা বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে তাঁর কারামুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

    গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধামমন্ত্রী বরাবর এ আবেদনটি পাঠানো হয়। আবেদনের অনুলিপি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

    আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা ১১, ৪৮(৩) ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী মানবিক কারণে দণ্ড মওকুফের পাশাপাশি কারামুক্তির আবেদন করছি।’

  • খালেদা জিয়ার ‘জীবিত অবস্থায়’ মুক্তি নিয়ে শঙ্কায় বোন সেলিমা

    খালেদা জিয়ার ‘জীবিত অবস্থায়’ মুক্তি নিয়ে শঙ্কায় বোন সেলিমা

    কারাবন্দি ও চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাবেন কি-না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁর মেঝ বোন সেলিমা ইসলাম। মানবিক বিবেচনায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ আহ্বান জানান তিনি।

    সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের মতনই আছি। কোন কিছুর পরিবর্তন হয়নি। শ্বাস কষ্টের কারণে উনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। তাঁর বাম হাতটা সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না, খেতে পারছে না, খেলে বমি হয়ে যাচ্ছে।’

    খালেদা জিয়ার মামলার সর্বশেষ যে জামিন আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি সবকিছু জানেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেলিম ইসলাম বলেন, ‘উনি এসব বিষয়ে সব কিছু জানেন। আমরা মনে করি- মানবিক কারণে তাঁকে মুক্তি দেয়া উচিত। তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ।’

    তিনি বলেন, ‘এতকিছুর পরেও আমরা তাকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে পারবো কি-না সেটা নিয়ে সন্দিহান। আমরা তো বলছি সরকার অন্তত মানবিক দিকটা বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিক।’

    এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এসময় তাঁর মেঝ বোন সেলিম ইসলাম ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাতিজা অভিক ইস্কান্দার, ভাগ্নি সামিয়া ইস্কান্দার।

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারও উপস্থিত ছিলেন।