Tag: খালেদা জিয়া

  • খালেদার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ

    খালেদার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করেছে বিএনপি।

    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।

    বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছরপূর্তিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। ‘আমরা আন্দোলন করেছি, নির্বাচন করেছি। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।’

    জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন খালেদা জিয়া। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর থেকে হাসপাতালেই চিকিৎসারত রয়েছেন খালেদা জিয়া।

    শনিবার খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। খালেদা জিয়ার এই কারাবাসের দুই বছরপূর্তি উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে ওই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দুপুর ২টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়।

    মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

    সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন।

    বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

     

  • খালেদার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিশেষ আবেদনের কথা ভাবছি আমরা:সেলিমা

    খালেদার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিশেষ আবেদনের কথা ভাবছি আমরা:সেলিমা

    বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম।

    তিনি বলেন,’খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিশেষ আবেদনের কথা ভাবছি আমরা।’

    শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার সেজো বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

    সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘তার অবস্থা তো খুবই খারাপ। সে শুধু বমি করছে। গায়ে জ্বর আছে। শরীরের ব্যথায় কাতরাচ্ছে। বাম হাতটা সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিতে হবে। এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সম্ভব না।’

    হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কেমন দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘তারা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন এতে কোন কাজ হচ্ছে না।’

    খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আবেদন করিনি। তার যে অবস্থা তাতে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। শরীর তো খুবই খারাপ। সে তো ব্যথায় কাতরাচ্ছে, তার ডায়াবেটিকস আজকেও ১৫তে। এভাবে কতদিন চলবে? এ হাসপাতালে তো ১ বছরের কাছাকাছি সময় রয়েছে, তার শরীরে কোন উন্নতি হচ্ছে না বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এজন্য আমরা চাই তাকে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে।’

    খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকার আইনের কথা বলছেন এই ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি, আমরা আবেদন করবো। তবে এটা এখনো ঠিক করিনি। কারণ তার শরীরে যে অবস্থা, এই অবস্থায় বেশি দিন থাকলে তাকে জীবিত বাসায় নিয়ে যেতে পারবো না।’

    নির্বাচনের বিষয়ে কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে তো কথাই বলতে পারছে না। তবে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে।

    এর আগে বিকাল ৩ টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রবেশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে নিয়ে যান বাসায় রান্না করা খাবার ও কিছু ফলমূল।

    পরিবারের বরাত দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, পরিবারের সদস্যরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়া বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ও ছেলে অভিক ইস্কান্দার, সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার। আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি ফাতেমা রেজা হাসপাতলে আসলেও সাক্ষাৎকারের তালিকায় তার নাম থাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

  • কিছু খেলেই বমি করছেন খালেদা জিয়া

    কিছু খেলেই বমি করছেন খালেদা জিয়া

    বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হয়েছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। কিছু খাচ্ছেন না, খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার স্বজনরা।

    রোববার (৫ জানুয়ারী) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে স্বজনরা গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

    বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, বেগম জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছে না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ডাক্তার আজকে (রোববার) বোধহয় এসেছিল তারা ওষুধ দিয়েছে কিন্তু সে ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার দরকার।

    জামিনের ব্যাপারে বেগম জিয়ার সাথে স্বজনদের কোনো কথা হয়েছে কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিলো না এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

    সেলিমা ইসলাম বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে কেমন করে বাঁচবেন সে?

    তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্যের আগের চাইতে আরো অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। সেদিন তো তার ফাস্টিং (খালি পেটে সুগারের পরিমাণ) বললাম ১৫, আজকে ১৮। তিনি হাত সোজা করতে পারছে না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আংগুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাটু অপারেশন করা হয়েছে। হাটুতেও ব্যথা হাঁটু ফুলে গেছে সে পা ফেলতে পারছে না।

    সাক্ষাৎ করতে যাওয়া স্বজনদের মধ্যে ছিলেন, খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মীলা সিথী, আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতী সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনী আরিফা ইসলকম প্রমুখ।

    সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না আজকে একমাস হলো অনেক বলার পরে আমরা দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে আসলে তাও তো তার একটু ভালো লাগে কিন্তু আমরা যে দেখতে আসবো সেই পারমিশন পাও তারা দিচ্ছে না। এক মাস দেড় মাস হয়ে যায় কোন পারমিশন দেয় না।

    উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বেগম জিয়া কোনো কিছু বলেছেন কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ, তিনি তো উন্নত চিকিৎসা চাইবেনই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরী।

    বেগম জিয়া জনগণের উদ্দেশ্যে কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সেলিমা ইসলাম বলেন, তিনি আপনাদের ও দেশের সকল জনগনের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

  • আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করুন:শাহাদাত

    আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করুন:শাহাদাত

    আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে ধানের শীষের জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সমর্থকদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বুঝে গেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে পাঁচ শতাংশ মানুষের সমর্থনও পাবেন না। সেজন্য বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষীত নেতাদের টার্গেট করে হয়রানির নীলনকশা এঁকেছেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তাক আহমদ খান ও বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুর মত পরিচছন্ন দু’জন নেতার বিরুদ্ধে নৌকা পুড়িয়ে দেবার অভিযোগ হাস্যকর। অথচ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিদিন আচরণ বিধি লঙ্গন করে চলেছেন।

    তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে নেমে হালে পানি পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সস্তা সহানুভূতি পেতে বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে থাকার কৌশল নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের জনগণ তাদের ভাওতাবাজি বুঝে গেছে। তারা জানে, বিএনপি নেতাদের নৌকা পুড়িয়ে দেবার দরকার নেই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ নৌকা নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দেবে।

    তিনি আজ ৫ জানুয়ারী রবিবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে মোহরা ওয়ার্ডের হামিদচর শাহজীর মাজার জেয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করে বিসিক শিল্প এলাকা, চররাঙ্গামাটিয়া, কামালবাজার, মৌলভী বাজার, ওয়াসা রোড, উত্তর মোহরা, পূর্ব মোহরা হয়ে কালনের দোকান এলাকায় এক পথসভায় এ কথা বলেন।

    এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ান আরও বলেন, এই নির্বাচনে বোয়ালখালী-চান্দগাঁওয়ের জনগণ ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে অনেক জবাব খুঁজছে। ১১ বছরে কেন কালুরঘাট সেতু হল না জনগণ জানতে চায়। বোয়ালখালীর রাস্তাঘাট দেখলে মনে হয় যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদ। অথচ এটাই শহরের উপকন্ঠ। এই অবহেলার জবাব দেওয়ার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছে।

    তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি কারও গণতান্ত্রিক অধিকারে কখনও হস্তক্ষেপ করে না। নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ যে সুবিধা পাচ্ছে, সমান সুবিধা চায় বিএনপিও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে বারবার অভিযোগ দিলেও তারা সঠিক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এজন্য বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা হলে জনগণ সমুচিৎ জবাব দেবে।

    পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মানুষের মাঝে এখনও শঙ্কা আছে আদৌ তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি-না। গত নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। মানুষকে তার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই এবার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার প্রতীক্ষায় আছেন ভোটাররা। নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ জিতবে।

    আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ তুলে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা দুইবার হামলা করেছে। এছাড়া ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি এবং পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়ার পরও তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এটি উপ-নির্বাচন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান রেখে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দু’বছর ধরে জেলখানায়। তাকে মুক্তির আন্দোলনের জন্যও এই নির্বাচনে যাওয়া।

    বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই উল্লেখ করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। সমাজে দুর্নীতি সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। এসবের কারণে মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হামিদ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মো. শহীদ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর মো. আজম, মহানগর বিএনপির সহ সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, মোঃ ইদ্রিস আলী, আলমগীর নূর, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন শাহেদা বেগম, আফরোজা বেগম জলি, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম হিরামন, নুরুল আলম লিটন, শহিদুল আলম বাদশা, মো. ইব্রাহিম, অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ম. হামিদ, শহিদুল আলম শহীদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন মানিক, এস এম ফারুক, আকতার হোসেন, মো. জাবেদ, জয়নাল আবেদীন, আবদুল আজিজ, মনসুর আলম, শহিদুল আলম ছোটন, মো. সরওয়ার, ছাবের আহমদ প্রমূখ।

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।রাজীব, চট্টগ্রাম : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা ও কোমরের ব্যাথা নতুন নয়। এ ব্যাথা নিয়েই খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছে।

    কিন্তু বেগম জিয়ার শারিরীক সমস্যা নিয়ে বিএনপি তথ্যসন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভী আহমেদের গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন তা তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।

    বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। আরো খবর : মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করে আমার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সে আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবো। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আরো খবর : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আরো খবর : নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

    এর আগে আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে জড়ো হন। তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনে শিক্ত হন তথ্যমন্ত্রী।

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

    বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

    একইসঙ্গে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

    বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারান্তরীণ ৭৪ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্যে চরম অবনতি হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। কারাগারে অসুস্থ হওয়ার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গত ১২ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যায়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজাসহ মোট ১৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

  • খালেদা জিয়াকে মুক্ত আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে:ফখরুল

    খালেদা জিয়াকে মুক্ত আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে:ফখরুল

    আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেছেন, ‘যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করা হয়েছিল, সেই ভাবে আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এই আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।’

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মহানগর নাট্যমঞ্চে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। অতীতে যেভাবে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, আগামী দিনে একইভাবে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে।’

    কারো নাম উল্লেখ না করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওপরের নির্দেশে আজকে সব স্তব্ধ হয়ে যায়। ওপরের নির্দেশে বিচারক খালেদা জিয়ার রায় দেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। ৪৮ বছর পর আজকে আমাদের এ কথা বলতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মানুষের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র তাদের উন্নয়নে বিশ্বাস করে।’

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত। মেরুদণ্ডহীন সরকার কোনও প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

    তিনি বলেন, ‘ভারত এনআরসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করছে। সরকার কোনও প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

    বিজয় দিবসের আলোচনার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি শপথ নিতে নেতাকর্মীদের আহবানও জানান মোশাররফ।

    ভারতের এনআরসি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা ভারতকে শত্রু মনে করি না। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় মনে হয় তারা আমাদের শত্রু মনে করে। তারা বাংলাদেশে শুধু আওয়ামী লীগের বন্ধু।’

    এনআরসির প্রদক্ষেপ আর মিয়ানমারের পদক্ষেপ একই দাবি করে এনিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, অন্য দেশের জাতীয় স্বার্থে আঘাত লাগলে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চাপা দেয়া যাবে না। আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, কেন আজকে সেই গণতন্ত্র অপসারিত হয়ে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে? এই সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কোনও বিনিয়োগ হয়নি। উচ্চ সুদে বিদেশিদের বিনিয়োগ হয়ে। শুধু ফ্লাইওভার হয়েছে। দেশের মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’

    খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধ সম্পর্কে মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়ছে। বিএনপির সৈনিকেরা বুকে রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।’

    আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামছুল হক প্রমুখ।

    এছাড়া অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীসহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।

  • রাজাকারদের তালিকা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: বিএনপি

    রাজাকারদের তালিকা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: বিএনপি

    রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর পর রাজাকারদের তালিকার প্রয়োজনটা কী? এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বলা হচ্ছে তালিকা নাকি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের তালিকায় তো এদেশের তালিকা হবে না। এই তালিাকায় আসল রাজাকারদের নাম বাদ পড়েছে।’

    আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে একটি প্রোডাক্ট হিসেবে ব্যবহার করে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে প্রকৃত রাজাকারদের বাদ দিয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

    মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবসের র‌্যালি উদ্বোধনের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি— এই সরকার অন্যায় ভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, জোর করে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। আজকে আমরা দেখতে পাই— আমাদের যেই ভাই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে সেই ভাই’ই গুম হয়ে যাচ্ছে। চার-পাঁচ বছর পার হয়ে যায় কিন্তু আমাদের সেই ভাইয়দের সন্তানেরা তাদের পিতার খোঁজ পায় না।’

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে— তারা মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক কিন্তু এরাই দেশের সকল গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এরা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল। ৭৫ আওয়ামী লীগের সময় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল এবং মানুষ না খেয়ে মারা গেছিলো, সেই আওয়ামী লীগ এখন আবার জোর করে ক্ষমতায় চেপে বসেছে। আমাদের লক্ষ লক্ষ দেশ প্রেমিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এই দেশকে কারাগারে পরিণত করেছেন। তারা আমাদের সকল অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় আছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার, যিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী। যিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। কিন্তু আজকের দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে দেশনেত্রীকে ছাড়াই আমাদের এই র‌্যালিতে অংশ নিতে হচ্ছে।’

    এ সময় বিএনপি মহাসচিব দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত করে আনবো ইনশাল্লাহ। আপনারা সকল বিভেদ ভুলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য একটি ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন এবং এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করুন।’

    এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা ছিল, আজকে দুঃখের সহিত বলতে হয় সেই মূল চেতনা ‘গণতন্ত্র’ বাংলাদেশে ভুলণ্ঠিত।’

    তিনি বলেন, ‘একটি মিথ্যা মামলায় সরকারের নির্দেশে মাদার অফ ডেমোক্রেসি গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি জামিনপাপ্য হলেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র একব্যক্তি ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য, এদেশের সকল কিছু ধ্বংস করে বর্তমান সরকার লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে। তাই আজ কেউ শান্তিতে নেই। এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে না পারলে, আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে পারবো না, দেশের গণতন্ত্র মুক্তি হবে না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।’

    বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। আসুন আমরা আজ মরি বাঁচি (ডু অর ডাই) শপথ নেই, রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করি।’

    র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

    এছাড়া অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান টুকু,টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মৎসজীবী দলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম,তাঁতীদলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • হায়েনাদের আস্ফালন দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল

    হায়েনাদের আস্ফালন দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল

    অবৈধ সরকার তার শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে নগ্নভাবে দলীয়করণে ব্যস্ত। তার জ্বলন্ত উদাহরণ গত ১২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করার রায়। সর্বোচ্চ আদালতেও খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত এবং রায় পরবর্তী ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবিশেষের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী পরিবার ও দেশবাসী শতভাগ নিশ্চিত কেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজও কারাগারে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি।

    নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জন প্রিয়নেত্রী, যে নেত্রীর কোন নির্বাচনে হারার নজির নেই সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় তার বড় অপরাধ। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে আদালতকে ব্যবহার করে বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।

    তিনি এ সময় মহানগর, নগরের আওতাধীন ১৫টি থানা, ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ ইউনিট যুবদল নেতৃবৃন্দকে জাতীয়তাবাদী আদর্শের স্বার্থে একতাবদ্ধ হয়ে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নি:শর্ত মুক্তির দাবী করেন।

    আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদ ও নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, মিয়া মো. হারুন, মুজিবুর রহমান মুজিব, জাহেদুল হাসান বাবু, অরুপ বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানার আহবায়ক মো. আলী সাকি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম খান, ইকবাল পারভেজ, আবদুল হামিদ পিুন্ট, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, রাজন খান, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, ওসমান গণি, মুজিবুর রহমান রাসেল, জাফর আহমদ খোকন, রাসেল নিজাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মো. সাগির, জসিম উদ্দিন সাগর, মহিউদ্দিন মুকুল, এনামুল হক এনাম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সহসম্পাদকবৃন্দ মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, শাহেদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মো. হাসান, হামিদুল হক, জাহাঙ্গির আলম বাবু, আশ্রাফ উদ্দিন, সিরাজ সিকদার, আবদুল আউয়াল টিপু, ইব্রাহিম খান, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মিফতাহ উদ্দিন টিটু, মো. আজম, আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গির আলম মানিক, ইমরান ভূঁইয়া, মো. নাসির, নগর যুবদলের সদস্য করিম উল্ল্যহ, প্রফেসর সাইদুল সিকদার, আবদুস সাত্তার, আজিজ চৌধুরী, সাখাওয়াত কবির সুমন, থানা যুবদলের শেখ রাসেল, শওকত খান রাজু, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মোর্শেদ কামাল, ইউনুস মুন্না, ১০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ২ নং ওয়ার্ডের এস এম আলী, ৫ নং ওয়ার্ডের আকতার হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ডের আবু বক্কর বাবু, ১৩ নং ওয়ার্ডের বাদশা আলমগীর, ৭ নং ওয়ার্ডের মো. জাবেদ হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউনুস, ৩ নং ওয়ার্ডের মো. হাসান, ১৪ নং ওয়ার্ডের জহিরুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন:বিএনপি

    খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন:বিএনপি

    কারাবন্দি ও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থাকা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।

    দলটির দাবি, ‘যে রায় হয়েছে সেই রায়ে সারা দেশের মানুষ হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। জাতি পুরোপুরিভাবে স্তম্ভিত শুধু নয়, ক্ষুব্ধও। যে প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে ছিলো যে অন্তত আমাদের শেষ আশা-ভরসারস্থল সর্বোচ্চ বিচারালয় থেকে মানুষ এবং তাদের প্রিয় নেত্রী (খালেদা জিয়া) ন্যায় বিচার পাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি সেই ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণীয় ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে দলের পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেন।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি— জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে, জনগণের সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই যে সরকার যারা আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তাদেরকে বাধ্য করব এই নির্বাচনের (একাদশ সংসদ) ফলাফল বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে।’

    ‘সেই সময়ে জনগণের সামনে আমরা অন্তত এটুকু নিয়ে আসতে পারবো যে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সেই স্বপ্ন যেন জনগণ দেখতে পারেন।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার সুপরিকল্পিত ভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করতে এক এক করে ব্যবস্থা নিয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করা শুরু হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে দখল করেছে, মিডিয়া ইচ্ছামতো মত প্রকাশ করতে পারছে না।’

    মামলা তাদের (সরকার) বড় অস্ত্র। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলজুলুম করে সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

    স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন খালেদা জিয়ার মামলায় আপিল বিভাগের রায় বিস্তারিতভাবে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন।

  • খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ

    খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া সম্মতি দিলে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার বায়োলজিক্যাল চিকিৎসা শুরু করতে বলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে দুপুর এক টায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

    আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

    এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আদালতের প্রতিটি ফটকে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূল ফটকগুলো দিয়ে ঢোকার সময় আগত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রও দেখাতে হয়েছে।

    এই শুনানিকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এর মধ্যে গতকাল পৌনে ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার বাইরে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    জাতীয় ঈদগাহ, হাইকোর্ট মাজার গেট ও বার কাউন্সিল ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। মূল সড়কের পাশেই এসব ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় তখন প্রচুর যানবাহন ও মানুষের ভিড় ছিল। এর মধ্যে কীভাবে এসব ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ঘটনাটিকে নাশকতা বলেই মনে করছেন তারা। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    এর আগে ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চেয়েছিলেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

    এদিকে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি সিলগালা অবস্থায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে পৌঁছে দিয়েছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন জানিয়ে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

    যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কতৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সরকার খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্থ করছে।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর লাভলেইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসএমএমইউ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন যা খুবই দু:খ জনক। বিএসএমএমই পরিচালক বলেছেন যে খালেদা জিয়ার অসহযোগিতার কারনেই তার সাথে চিকিৎসকরা দেখা করতে পারছেন না, যা সম্পুর্ণরুপে মিথ্যা।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন নেত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ তখন ওনাকে ফিজিওথেরাপি দিতো সাবরিনা ইয়াসমিন নামের একজন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক। আমি একজন ফিজিওথেরাপিষ্ট হিসাবে ওনার জন্য উন্নত একটি ফিজিওথেরাপি মেশিন পাঠিয়েছিলাম। সেটা জানার পর ডা. সারিনা ইয়াসমিনকে চিকিৎসা থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই জায়গায় তৃতীয় শ্রেণীর একজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব সরকারের নীল নকশার অংশ।

    ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পকৃত অসত্য সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

    বেগম খালেদা জিয়ার রোগের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর হাতে এবং পায়ে ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে। তাতে তিব্র ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে জয়েন্টগুলি শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে। যা কিনা অচিরেই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। যার কারণে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠা, বসা এমনকি নিজ হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হন। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও এক এগারো পরবর্তী সময় তা ব্যাহত হয়। এক এগারো সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত একটি ভিত্তিহীন মামলায় আদালতের রায়ে বর্তমানে তিনি কারাবন্দী আছেন। একই সময়ে একই রকম মালা যা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেগম খালেদা জিয়া তার স্বাভাবিক আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত।

    খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা মারাত্মক জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে উনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে।

    বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশরায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজ পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন, নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান, এমন কি জেলখানা থেকে এর আগের বার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ী থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীতি হলেন সেটা প্রশ্ন রাখতে চাই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এই অবস্থা হতো না।

    ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালির সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মহানগর সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল কালাম, নগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নগর সহসভাপতি ডা. কাজী মাহবুব আলম, ড্যাব নেতা ডা. ইফতেখার আদনান, ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. খোরশেদ আলম, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মইন উদ্দিন, ডা. ওমর ফারুক পারভেজ, ডা. জাহেদুল আলম, ডা. মীর কাশেম মজুমদার, ডা. ওয়াসিফ কামাল নাদিম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. সাদ্দাম, ডা. জাহেদ, মোহাম্মদুল হক জনি, সাইফুল ইসলাম আজিজ, নয়ন প্রমুখ।