Tag: খালেদা জিয়া

  • স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য প্রস্তুত যুবদল:দীপ্তি

    স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য প্রস্তুত যুবদল:দীপ্তি

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের মহানগর, ১৫টি থানা, ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ ইউনিট যুবদল নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য প্রস্তুত।

    আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিকাল ৩ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক, আপোসহীন নেত্রী, বাংলাদেশের ভোটের ইতিহাসে সর্বাধিক ৫টি আসনে অপরাজিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। চট্টগ্রামের যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

    নগর যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি নূর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আবদুল গফুর বাবুল, মিয়া মো. হারুন, হাসান মুরাদ, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান মুজিব, আবু সুফিয়ান, পাঁচলাইশ থানার আহবায়ক মো. আলী সাকি, মো. সেলিম, ইকবাল পারভেজ, আবদুল হামিদ পিুন্ট, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, রাজন খান, ওমর ফারুক, ইদ্রিস আলম, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, ওসমান গণি, মুজিবুর রহমান রাসেল, রাসেল নিজাম, মো. ইয়াছিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. সাগির, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. ইকবাল, ওমর ইমতিয়াজ টিটু, আবদুর জব্বার সুমন।

    সহসম্পাদকবৃন্দ মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়ুয়া,মাহবুবুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুর আলম, গিয়াস উদ্দিন টুনু, হামিদুল হক, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, এস এম ফারুক, ইয়াছিন আজাদ, জাহাঙ্গির আলম বাবু, ফারুক হোসেন স্বপন, আবদুল আউয়াল টিপু, ইব্রাহিম খান, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান দুলাল, মিফতাহ উদ্দিন টিটু, সুলতান খান সুমন, হোসেন জামান, মো. আজম, মো. নাছিম, জাফর সাদেক সোহেল, জাহাঙ্গির আলম মানিক, নগর যুবদলের সদস্য লতিফুন বারী সুমন, করিম উল্ল্যহ, সোহাগ খান, আজিজ চৌধুরী, সাখাওয়াত কবির সুমন, থানা যুবদলের কুতুব উদ্দিন, আশিক মল্লিক আরসি, শওকত খান রাজু, মঞ্জুর আলম, মোর্শেদ কামাল, শাহেদ খান পারভেজ, ১০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ২ নং ওয়ার্ডের এস এম আলী, ৫ নং ওয়ার্ডের আকতার হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ডের আবু বক্কর বাবু, ৪২ নং নাছিরাবাদ সাংগঠনিকওয়ার্ড এর এস এম শাহবাজ, ১২ নং ওয়ার্ডের সাইফুল আলম, ১১ নং ওয়ার্ডের মুজাহিদ, ১৩ নং ওয়ার্ডের বাদশা আলমগীর, ৭ নং ওয়ার্ডের মো. জাবেদ, ৩ নং ওয়ার্ডের হাসান, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউনুস, ৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ডের ফয়সল হোসেন মানিক প্রমুখ।

  • মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় খালেদার জামিন শুনানি পেছাল

    মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় খালেদার জামিন শুনানি পেছাল

    স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে গেছে।

    রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ বিচারকের আপিল বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

    এর আগে শুনানির সময় চেয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ সময় আদালতকক্ষের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন। তাদের থামাতে না পেরে এক পর্যায়ে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারকরা।

    গত ২৮ নভেম্বর তার জামিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ওই মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে আসার কথা ছিল।

    কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের ভিসি আমাকে ইনফর্ম করেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু টেস্ট হয়েছে, কিছু টেস্ট বাকি আছে। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন।’

    এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এর পর গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন আদালত।

    এর পর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

  • খালেদার জামিন শুনানি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলতবি

    খালেদার জামিন শুনানি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলতবি

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজও জামিন হয়নি। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন শুনানি মূলতবি করেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

    খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সংশ্নিষ্ট শাখায় গত ১৪ নভেম্বর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে কার্যতালিকাভুক্ত হয়।

    গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

    এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই মামলায় তার ১০ বছর দণ্ড হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন।

  • বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি

    বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

    আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।

    আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

    পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত বললেন আগামী বৃহস্পতিবার ফুল বেঞ্চে, আরও যে সব বিচারপতি আছেন তাদের নিয়ে শুনবেন। আমরা ন্যায়বিচার আশা করি। এটা সর্বোচ্চ আদালত। আশা করি আল্লাহর রহমতে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন।

    এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এর পর গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।

    এর পর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

  • খালেদার সাথে দেখা করতে চান ঐক্যফ্রন্টের ৫ নেতা

    খালেদার সাথে দেখা করতে চান ঐক্যফ্রন্টের ৫ নেতা

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত পেতে আইজি প্রিজনের কাছে পাঁচ নেতার নামের তালিকা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তালিকায় গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নাম নেই বলে জানা গেছে।

    আজ রোববার দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু সাক্ষরিত একটি চিঠি আইজি প্রিজনকে দেওয়া হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।

    খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বিধায় মানবিক কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির শীর্ষ নেতাদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। তাই আগামী ১৮ অথবা ১৯ নভেম্বর প্রথমপর্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের ৫ নেতা সাক্ষাৎ করতে চান।

    যারা দেখা করবেন তারা হলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ও জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব।

    গত ২১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নামের যে তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছিল সেখানে ড. কামাল হোসেনসহ ৯ জনের নাম ছিল।

  • জোর করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে:ফখরুল

    জোর করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে:ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় বলেই দেশে স্বৈরশাসন চালাচ্ছে। কাউকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন কোনও গণতন্ত্র নেই। জোর করে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’

    রবিবার (১৭ নভেম্বর) মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী’র ৪৩তম ওফাত বার্ষিকীতে তাঁর টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

    এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি জেলা বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের দলীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের জন্য জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

    তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় সরকার ফরমাইশি রায়ে তাকে আটকে রেখেছে, মানবিক কারণ দেখিয়েও তার জামিন মিলছে না। দেশের জনগণ এই অনির্বাচিত সরকারের শাসনের কবল হতে মুক্তি চায়। দেশনেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে সকলকে রাজপথে থাকার আহবান জানান মির্জা ফখরুল

    এ সময় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি সভাপতি কৃষিবিদ ডা. সামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘ভোট ছাড়া সরকার হলে পেঁয়াজ ছাড়াও তরকারি হয়’

    ‘ভোট ছাড়া সরকার হলে পেঁয়াজ ছাড়াও তরকারি হয়’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘ভোট ছাড়া তারা যে সরকারে এসেছে সেটা প্রমাণ করার জন্যই শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’

    তিনি বলেছেন, ‘আজকে দেখেন দেশের অবস্থা। যে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা ছিল, সেটা আজকে ২০০ টাকা। আর প্রধানমন্ত্রী নাকি তার পরিবারে বলেছেন, ‘পেঁয়াজ দিয়ে তরকারি দরকার নেই’। আমাদের কথা হচ্ছে- ভোট ছাড়া যদি সরকার হয়, তাহলে পেঁয়াজ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে তরকারি খাওয়াবে। ভোট ছাড়া তারা সরকারে এসেছে সেটা প্রমাণ করার জন্যই শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

    রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সরকার চুনপুটি ধরছে এমন অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা আছে দুর্নীতিবিরোধী, তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে গবেষণা করে। হালনাগাদ একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৮২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৮। যেখানে ভারত মাত্র ৭৮তম, আর পাকিস্তান আমাদের থেকে অনেক উপরে আছে, তাদের অবস্থান ১৫৩। এটা লজ্জার।’

    ‘রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি কি পরিমাণ আজকে শুধু দেশেই না সারা বিশ্বে প্রমাণিত। সেই রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চুনপুটিদের ধরার একটি অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বুঝে ফেলেছে। আমরা যদি দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, শুধু নামেই ঐক্য নয়, দেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামতে হবে।’

    ইতিহাস বিকৃত করে জিয়াউর রহমানকে বাদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইতিহাস যতই বিকৃত করুক না কেন, যখন ইতিহাস প্রকৃতপক্ষে লেখা হবে, তখন জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লেখা সম্ভব হবে না।’

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ওপর আওয়ামী লীগ নেত্রীর রাগের কারণে তিনি এখন কারাগারে। কোনও মামলার জন্য নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ডাকাতি করার জন্য খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে।’

    ‘দেশে গণতন্ত্র নাই, এমন অবস্থা যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এই পচন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কাজেই আমাদের প্রেস ক্লাবের ভিতরে, রাস্তায় সবক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।’

    আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো আবু তাহের প্রমুখ।

  • জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

    জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে করা হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে।

    খালেদা জিয়ার আপিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

    এর আগে মামলাটিতে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করলেন তার আইনজীবীরা।

    গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

    এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

    এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

  • খালেদা জিয়া জামিন পেলে বিদেশ যাবেন:বোন সেলিমা

    খালেদা জিয়া জামিন পেলে বিদেশ যাবেন:বোন সেলিমা

    চিকিৎসকরা নিয়মিত আসলেও বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তাঁর বোন বেগম সেলিমা ইসলাম। জামিন পেলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বিএসএমএমইউ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেলিমা ইসলাম।

    বেগম সেলিমা ইসলামসহ তাঁর পরিবারের কয়েকজন বেলা সোয়া ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আসেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা সেখানে অবস্থান করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেলিমা ইসলাম।

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘তার শরীর ভালো না, হাতের আঙ্গুলগুলো বেঁকে গেছে। পায়ের আঙ্গুল বেঁকে গেছে প্রায় অসম্ভব ব্যথা অনুভব করছে। উঠে দাঁড়াতে পারছে না, সোজা হয়ে বসতে পারছে না, এই অবস্থা তাঁর। তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার।’

    তিনি বলেন,চিকিৎসকরা নিয়মিত আসছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার কোনো উন্নতি হয়নি। হাত পা বেঁকে যাচ্ছে হাতের আঙ্গুল গুলো দিয়ে সে নিজে তুলে খেতে পারছেন না, চলাফেরা করতে পারছেন না উঠে দাঁড়াতে পারছেন না।সোজা হয়ে তিনি বুঝতে পারেন না এরকম অবস্থা তার।

    এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন,যদি তার জামিন হয় নিশ্চয় তিনি বিদেশে যাবেন। আমরা তো চাচ্ছি তাকে বিদেশে পাঠাতে। কারণ তার যে অবস্থা হয়েছে, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না ,সে নিজে হাতে তুলে খেতে পারেনা ।

    স্বজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার মেঝ বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীম ইস্কান্দারের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

  • খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

    খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

    বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বেগম জিয়া এখন এতটাই অসুস্থ যে তিনি নিজে হাতে ধরে কিছু খেতেও পারেন না। তাঁকে সাহায্য করে খাইয়ে দিতে হয়। তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এমনকি বিছানা থেকেও দু’জন সাহায্য করে তাঁকে উপরে তুলতে হয়।

    সরকারের মদদপুষ্ট হাসপাতালের ডাইরেক্টর বলেন, ‘তিনি (বেগম জিয়া) আগের চাইতেও সুস্থ’। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এই যে মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এর জন্য ওই ডাইরেক্টরের বিচার হওয়া উচিত।’

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট তারা দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা এখান থেকে স্পষ্টভাবে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন সম্পূর্ণ ম্যান্ডেটবিহীন একটা সরকার। এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখার মানে হচ্ছে জনগণের সর্বনাশ করা। আজকে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আজকে মানুষ চাল কিনে খেতে পারছে না। অথচ গ্রামে যান, কৃষকরা বলবে- ‘আমরা ধানের দাম পাচ্ছি না, ধান ৩০০ টাকা ৪০০ টাকা মণ। অথচ চালের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। তাই আজকে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে একত্রিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।’

    ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্যর্থ সরকার কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এর আগেও আমরা বহুবার দেখেছি রেললাইনে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

    সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে যুবসমাজ: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল

    বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে যুবসমাজ: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল

    ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আজ ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহরস্থ ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের হারানো গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সিপাহী ও জনতা মিলে ক্যান্টেমেন্টের বন্দিদশা থেকে স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে মুক্ত করেছিলেন। আজ দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় অণুপ্রাণিত হয়ে ক্ষমতা লিপ্সু চক্রের কারাগার থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানকে স্বদেশে ফিরিয়ে এনে স্বৈরাচারের কবল থেকে অচিরেই রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে জাগ্রত যুব সমাজ।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর যুবদলের সহ-সভাপতি আজমর হুদা রিংকু, এস এম শাহ আলম রব, মো. শাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, আবু সুফিয়ান, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, মো. সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাজন খান, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, ওসমান গণি, শাহজালাল পলাশ, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, মো: সাগির, আজিজুল হক মাসুম, আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক এনাম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, দিদারুল আলম, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ-সম্পাদক কামাল উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন মানিক, জিয়াউল হক মিন্টু, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মো. মনজুর আলম, মো. হাসান, হামিদুল হক, হাফেজ কামাল উদ্দিন, এস এম ফারুক, ইলিয়াছ হাসান মঞ্জু, আশ্রাফ উদ্দিন, সিরাজ সিকদার, দেলোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক স্বপন, আবু আহমেদ মিয়া, গুলজার হোসেন মিন্টু, ইদ্রিস আলম, আরিফ হোসেন, শেখ কামাল আলম, মো. জসিম, আনোয়ার হোসেন, নগর যুবদলের সদস্য লতিফুর বারী সুমন, কলিম উল্লাহ, আবদুল করিম, শওকত খান রাজু, মনজুর আলম মঞ্জু, মোর্শেদ কামাল, শাহেদ হোসেন খান পারভেজ, ইউনুস মুন্না, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আবু বক্কর বাবু, মো. সাদেক, এস এম শাহবাজ, মো. হাসান, মো. ইউনুস, ফয়সল হোসেন মানিক, জহিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

  • নিজেদের দুর্নীতির ভারেই সরকারের পতন হবে : মওদুদ

    নিজেদের দুর্নীতির ভারেই সরকারের পতন হবে : মওদুদ

    আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার নিজেদের দুর্নীতির ভারেই পতন হবে।

    শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মওদুদ বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতই অভিযান পরিচালনা করুক না কেন। এটা হচ্ছে ‘আইওয়াশ’। সত্যিকার অর্থে তারা দুর্নীতির বিনাশ করতে পারবে না, কারণ তাদের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গে, শাখা-প্রশাখায় দুর্নীতি প্রবেশ করছে। এখান থেকে ফিরে আসে তাদের সম্ভব হবেনা। নিজেদের কারণেই তাদের পতন হবে।

    বিএনপির ২৭ লাখের বেশি নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ১ বছর ৮ মাস হল আমাদের নেত্রী কারাগারে বন্দি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছয় হাজার মাইল দূরে আছেন। লক্ষাধিক মামলায় ২৬ লাখের বেশি দলীয় নেতাকর্মী আসামি করা হয়েছে। তারপরও বিএনপি টিকে আছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপিকে নি:শেষ করতে চায়। কিন্তু নি:শেষ করতে পেরেছে? পারেনি। কারণ বিএনপি একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। এ দল দেশের জনগণের জন্য কাজ করে। এ দলকে নিঃশেষ করা সম্ভব হবে না।

    খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, দুর্নীতিপরায়ন এ সরকারের পতন হতে বাধ্য, অবশ্যই পতন হবে। আমাদের নেত্রী মুক্তি পাবেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আইনের শাসন ফিরে আসবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা কারাগারে আছেন তারা মুক্তি পাবেন। বিরোধীদলের সব নেতাকর্মীর মামলা পত্যাহার করা হবে। আমরা দেশে একটি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবো।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় প্রমুখ।