Tag: খালেদা জিয়া

  • বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার: খসরু

    বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার: খসরু

    দেশনেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে জেলখানায় রেখে সরকার তিলে তিলে মারার ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘খুনের আসামি জামিন পাচ্ছে, ধর্ষক-শিশুধর্ষক জামিন পাচ্ছে, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। দেশের মানুষের কাছে এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, সবাই জামিন পেলেও নির্দোষ বেগম জিয়া জামিন পাবে না।’

    বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে “প্রতিহিংসার রাজনীতি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে কোনও বিচার ব্যবস্থা নেই। সরকারের মন্ত্রীরা বলে দেয় মামলার রায় কবে হবে। দশ দিনে বিচার হবে নাকি ১৫ দিনে। এটা কি তারা বলতে পারেন? এর শাস্তি হয়ে যাবে ওর শাস্তি হয়ে যাবে এটাও সরকারের মন্ত্রীরা বলে দেন। দেশের বিচার ব্যবস্থার একটি ধারা আছে ‘ডিউ প্রসেস অফ ল’- এই প্রসেসে কার কী হবে সেটা বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু আজ বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার।’

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘যে দেশে প্রধান বিচারপতিকে বিচারালয় থেকে জোর করে অপসারণ করা হয় এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, যে দেশে তারেক রহমানের পক্ষে রায় দেয়ার কারণে বিচারপতিকে চাকরিচ্যুত হতে হয়, যে দেশে মন্ত্রীরা কার কী বিচার হবে আগেভাগে বলে দেযন- সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচার আশা করবেন।’

    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বিচার পাবেন না। আপনাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে, দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মালিকানা নিজেদের হাতে তুলে নিতে হবে। আপনারা যখন দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে তুলে নিতে পারবেন তখনই ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘কোরবানির পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দেখতে দেখতে ৭০ টাকা, ৮০ টাকা, ১০০ টাকা হয়ে এখন ১৪০ টাকা। কোথাও কোথাও তারচেয়েও বেশি দাম হাঁকানো হচ্ছে। আপেলের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি হয়ে গেছে- এটা তো মশকরা করারই কথা, মশকরা তো হবেই। মশকরা করে অনেকেই বলছে যে, এত দাম দিয়ে খাওয়ার কি দরকার? তাহলে কাল ডিমের দাম বেড়ে গেলে ডিম খাবেন না, তেলের দাম বেড়ে গেলে তেল খাবেন না, চালের দাম বেড়ে গেলে চাল খাবেন না। এর চেয়ে সহজ পন্থা পৃথিবীতে আর কিছু আছে?’

    আমির খসরু আরও বলেন, ‘দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে কোনও তোয়াক্কা না করেই এসব কাজ করা হচ্ছে। সরকারের মনোভাব হচ্ছে এরকম- ‘আমি কিংবা আমরা (সরকার) জনগণের তোয়াক্কা করি না, তোমাদের ভোটের দরকার নেই, একরাত ভোট ডাকাতি করলেই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা যায়’। যাদের জনগণের কাছে কোনও জবাবদিহিতা নেই যারা জনগণের মালিকানা নিয়ে তামাশা করছে তাদের কাছে কে পেঁয়াজ খেতে পারলো আর কে পারল না- এটা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’

    জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, সাবিরা নাজমুল মুন্নি, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামিম ভূইয়া প্রমুখ।

  • পাহাড়তলিতে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মিলাদ

    পাহাড়তলিতে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মিলাদ

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাহাড়তলী থানা যুবদলের উদ্যোগে আজ বাদ আছর ডি.টি রোডস্থ ভেলুয়ার দীঘি জামে মসজিদে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র কারামুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মুক্তার আহমেদ আল কাদেরী।

    এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল আলম কমিশনার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সহ-সভাপতি নুর আহমেদ, ফজলুল হক সুমন, সহ- সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল পলাশ, মোহাম্মদ ইয়াছিন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সাগির, সদস্য আজিজ চৌধুরী।

    পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন মিলন, শফিকুর রহমান, মোমেন চৌধুরী, আবু ঈসা বাবুল, আনোয়ার হোসেন, ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ ইউনুছ, ১১ং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ মুজাহিদ, যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ বেলাল, শাহ আলম সালেক, কাউছার হোসেন লেদু, রহমত উল্লাহ ডন, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ সুমন,এস এম অভি, নুরুজ্জামান চৌধুরী নুরু, মোহাম্মদ আজি, নুর আলমসহ নেতাকর্মীরা শরিক হন।

  • খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক।

    সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক।

    দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে দেড় বছর ধরে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    গত শুক্রবার খালেদাকে দেখে আসেন কয়েকজন স্বজন। সেখান থেকে ফিরে তার বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, খালেদার শারীরিক অবস্থা ‘খুবই খারাপ’। তিনি পঙ্গু হওয়ার উপক্রম। জামিন হলে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার আগ্রহের কথাও বলেছিলেন সেলিমা।

    এছাড়া খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ বলে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন সময় বক্তব্য দেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিএনপি প্রধানের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএসএমএমইউ পরিচালক।

    ডা. মাহবুবুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, কোনোভাবেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়নি।

    বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, গত সাত মাস আগে খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বাতজ্বরজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময়ের চিকিৎসায় বেশিরভাগ অসুখের উন্নতি হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

    মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বাতজ্বরের আধুনিক চিকিৎসার শুরু করার জন্য এক ধরনের ভ্যাকসিন নেয়া প্রয়োজন কিন্তু তিনি ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না। চিকিৎসকরা কাউন্সেলিং করে যাচ্ছেন।

    এ সময় খালেদার চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান ও বিএসএমএমইউ মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ,তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না :মোশাররফ

    খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ,তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না :মোশাররফ

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার কিছু হলে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকার দায় এড়াতে পারবে না।

    সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

    খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং তার বয়সের তুলনায় উচ্চ আদালত যেকোনো সময় তাকে মুক্তি দিতে পারে; কিন্তু কেন, কার কারণে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না?

    ৭২ এ বাকশাল চালু করায় আওয়ামীলীগকে ২১ বছর রাজনী‌তি‌তে এতিম হ‌য়ে থাকতে হয়েছিলো উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ‌ যে নির্যাতন ও অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে এর জন্য আওয়ামী লীগকে আবারো ‘তিন ২১ বছর’ রাজনী‌তি‌তে এতিম হ‌য়ে ঘুর‌তে হ‌বে।

    ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি , নাজিম উদ্দিন আলম, এবিএম মোশারফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আসাদুর রহমান খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন, কিশোর দলের নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’:ফখরুল

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’:ফখরুল

    কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া ফিরে আসা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর চন্দ্রিমা উদ্যানে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর জীবনের হুমকি দেখা দিয়েছে এখন। সুস্থ অবস্থায় ফিরে না আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন যখন কারাগারে যান তখন সবাই দেখেছেন তিনি সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছেন। আজকে তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, নিজ হাতে খাবার খেতে পারেন না, এক পা অচল, হাঁটতে পারেন না। তিনি যে হাসপাতালে রয়েছেন সেখান তাঁর প্রপার চিকিৎসা সম্ভব নয়।’

    ফখরুল বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, খালেদা জিয়ার জামিন তাঁর অধিকার। তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জামিন আটকে রেখেছে এবং জামিন যেন না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।’

    যুবদল প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এমন এক সময় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হচ্ছে যখন বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। বর্তমানে অবৈধ সরকার জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্রকে হরণ করে, যিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন তাঁকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা বৈধ নয়। এজন্য আমরা বারবার বলেছি, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা একটি গণতান্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্য বর্তমান অবৈধ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।’

    এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সরকার চাচ্ছে খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক

    সরকার চাচ্ছে খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক

    সরকার চাচ্ছে কারাবন্দি অসুস্থ বিএনপির চেয়ারসপারসন বেগম খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক— এমনটাই দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেলেও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে অসুস্থ হলেও তাকে জামিনে দেয়া হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে তুলে খেতে পারছেন না, টয়লেটে যেতে পারছেন না। তাকে কাউকে না কাউকে সাহায্য করতে হচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) যে অসুখ যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যাবে। ওখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না। এই কথাটা আমরা বহুবার বলেছি। সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছি। যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে বলেছি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁর (খালেদা জিয়া) যাতে চিকিৎসা না হয়, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান এটাই সরকারের কাম্য! আমার কাছে বারবার এটাই মনে হয়েছে। কারণ যে মামলাতে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য সে মামলাগুলোতে তিনি জামিন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারসাজি করে তাঁর জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যটাই হচ্ছে উনি যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) খালেদা জিয়ার পরিবার সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারাও তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। এটা পরিবারের বক্তব্য, এটা থাকবেই।’

    খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার যেটা বলে আসছি, তিনি জামিন পেলে তাঁর পছন্দ মতো তিনি যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা করাবেন। এটা তাঁর অধিকার। পাকিস্তানের নওয়ার শরিফের সাজা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। কতগুলো বিষয় আছে, যা মানবিক। এটা না পাওয়ার কোনও কারণ নাই্। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারই বাধা সৃষ্টি করছে।’

  • অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে:রিজভী

    অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে:রিজভী

    খুনিরা সরকারের আশ্রয়ে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    সমাবেশের পর আবরার হত্যার প্রতিবাদে ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবারও বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

    রিজভী বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সরকারের সোনার ছেলেরা অপরাধ করলে সেই অপরাধকে প্রটেকশন দেন এ সরকার বা সরকার প্রধান। নাটোরের নুর হোসেন বাবুর হত্যাকারীদের বিচার হয়নি, নাটারের রানার হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছিলো সেটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন। খবরের কাগজে বেরিয়েছে এই আওয়ামী লীগের আমলে দুইজন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং আবদুল হামিদ সাহেবের আমলে ৩৪ থেকে ৩৫ জন হত্যাকারীরা যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন।’

    তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে। সেই সরকারের হঠাৎ করে সোনারকাঠি-রুপাকাঠি পরিবর্তন করে আজকে রাক্ষস থেকে মানবতার মূর্ত প্রতীক হলেন কি করে? ঘটনা কি? বিশ্বজিৎকে যারা হত্যা করেছে তাদেরও কিন্তু কিছু হয়নি। একের পর এক খুন, একের পর এক হত্যা, এই হত্যার সঙ্গে এই সরকার দলীয় যারা জড়িত তারা কোনো না কোনোভাবে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।’

    রিজভী বলেন, ‘আজকে হঠাৎ করে টাকার খনি, ডলারের খনি, ক্যাসিনোর খনি। গত ১০ বছর কিছুই হলো না তাহলে হচ্ছে কেনো? এ নিয়ে জনমনে বড় বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলেন গৃহ বিবাদ, কেউ বলেন অন্য কোনো বিষয় আছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই, দুর্নীতি করা নিশ্চয় অপরাধ। সবচাইতে বড় দুর্নীতি হচ্ছে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করে দিনের ভোটকে রাতে করা। এটা হলো মহাদুর্নীতি। এই দুর্নীতির জন্য সবার আগে এই সরকারের বিচার হওয়া উচিত ছিলো।’

    তিনি বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার জনগণের সরকার নয়, এটি একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তা না হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না কেনো? এরকম মামলায় অসংখ্য জামিন হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, তারেক যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তার মা মুক্ত হবে না। ওই জামিনের চাবিটা শেখ হাসিনার হাতে আছে, ওই চাবিটা শেখ হাসিনা যতক্ষন পর্যন্ত না তালা খুলবেন ততক্ষন পর্যন্ত দেশনেত্রী মুক্ত হবেন না।’

    রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রীর কাছে তার আত্বীয়-স্বজনরা যাচ্ছেন, খবর নিয়ে আসছেন। তিনি ডান হাত বাম হাত নাড়াতে পারছেন না, প্রতিদিন সেটা ফিক্সড হয়ে যাচ্ছে। যে ভদ্র মহিলা, যে জাতীয় নেত্রী তিনি আজকে ‘হুইল চেয়ারবাউন্ড’ হয়ে গেছেন। তাকে দুইজন লোক ধরে তুলতে হয়। কিন্তু আমরা দেখলাম তিনি হেঁটে কারাগারের মধ্যে গেছেন। কেনো তার এই অবস্থা? তার এই চরম শারীরিক অবস্থার জন্য দায়ী আজকের প্রধানমন্ত্রী, তার ক্ষোভ, তার প্রতিহিংসা, তার জিজ্ঞাসা, তার রাষ্ট্রক্ষমতায় ভোগ দখলের জন্য আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধুঁকে ধুঁকে জেলখানায় আছেন।’

    তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী হাসপাতালে আছেন তার চিকিৎসা নাই। তার আত্বীয়-স্বজনরা বলছেন, দেশনেত্রী মুক্ত হলে তিনি সিদ্ধান্ত নেবে। তারা দেশের বাইরে নিয়ে যাবে, দেশের মধ্যে বা বাইরে যেখানে উন্নতমানে চিকিৎসা হয় তারা করাবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের এই আকুতি আজকে সরকারের কানে ঢুকে না। আজকে কোথায় যাবো? মানুষের শেষ আশ্রয় আদালত সেখানে কোনো বিচার নেই, কোনো বিচার পাওয়া যায় না। আমরা মনে করি, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

    মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার। যে প্রদীপ জ্বলে উঠার আগেই এই স্বৈরাচারী সরকার তাকে নিভিয়ে দিলো তার সোনার ছাত্রলীগ বাহিনী দিয়ে। এই আবরারকে যেভাবে তিল তিল করে হত্যা করা হয়েছে শারীরিক ও মানসিক অবর্ণনীয় বর্বর হামলা করে এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সে আমার মতোই কোনো মায়ের সন্তান।

    তিনি বলেন, যারা হত্যা করেছে এই হত্যাকারী শুধু ধরলেই হবে না, তাদের প্রত্যেককে দৃশ্যমান ফাঁসি দিতে হবে। হত্যাকারীর পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যদের আমি বিচার চাই। কারণ যারা এই সন্তানদের জন্ম দিয়েছে, লালন-পালন করেছে অবশ্যই তারা দায়-দায়িত্ব রাখে। আমি সবার বিচার চাই।

    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্রের অপর নাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের অপর নাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে তিনি কারাগারে মানে বাংলাদেশ কারাগারে, গণতন্ত্র কারাগারে। তাকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করে আনতে হবে।

    সংগঠনের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। সমাবেশে মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান ও পেয়ারা মোস্তফা বক্তব্য দেন।

  • খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে

    খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে।

    শনিবার ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, দেশের সকল দুর্নীতিবাজ সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রনায়ক, যিনি শুদ্ধি অভিযান করতে গিয়ে নিজের দলের লোকজনকে দিয়েই অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতি-মাদক-টেন্ডারবাজিসহ যেকোন সেক্টরে যারা অপরাধ করছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

    দুর্নীতি মামলায় এক সংসদ সদস্যের সাজা ও একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চলমান মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না।নুসরাত হত্যার রায়ের মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাকেও অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোন ছাড় নেই।’

    খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে।

    তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলের নেতা ও স্বজনরা যে চিত্র তুলে ধরেন, চিকিৎসকদের অবজারভেশনের সাথে তার মিল নেই। তারা খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অসুস্থতা নিয়ে আন্দোলনের ইস্যু করতে চায়।’

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী প্রমুখ।

  • খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে স্বজনদের আকুতি

    খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে স্বজনদের আকুতি

    দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে গত দেড় বছর ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্যবিদেশে নিতে চাইছেন তার স্বজনরা। আজ হাসপাতালে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর এমনটা জানিয়েছেন তার মেঝোবোন সেলিমা ইসলাম।

    শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তার বোন সেলিমাসহ পরিবারের ছয় সদস্য।

    খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সেলিমা ইসলাম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উনি উঠতে পারছেন না, বসতে পারছেন না, নিজ হাতে কিছু খেতে পারছেন না। চলতে পারছেন না। শুয়ে থাকতেও উনার কষ্ট হচ্ছে। উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার। আমরা উনাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।

    হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকরা উনাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে আসেননি।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পেলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিতে চাই। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

    সেলিমা ইসলাম ছাড়াও অন্য স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, অতনু ইস্কান্দারসহ ছয়জন।

    সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।

    প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

    গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

  • নীলফামারীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

    নীলফামারীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

    নীলফামারীতে পুলিশের বাধায় পন্ড হয়েছে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। এ সময় খালেদা জিয়া মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি নেতাকর্মীরা। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে তারা।

    ২৩ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়কে উঠার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধার মুখে পড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

    সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল বলেন, সারাদেশে হত্যা, খুন, নির্যাতনের প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। বাধার মুখে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হয়।

    এ ব্যাপারে, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, অনুমতি না নিয়ে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

    সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর সরকার, সদস্য সচিব জহুরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব উর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা রঞ্জু, জেলা যুবদলের সভাপতি এ.এইচ.এম. সাইফুল্লা রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আজম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রিন্স প্রমুখ।

  • সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

    সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

    বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার(১৩ অক্টোবর) বিকেলে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোডস্থ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আকতার শাহিন, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, সৈয়দপুর পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক শেখ বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এ পারভেজ লিটন প্রমুখ।এছাড়াও সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

    এসময় বক্তারা বলেন, বিনা ভোটের সরকার বলেই বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ ও সরকারের কাছে মানবতা বা গণতন্ত্রের কোন মূল্য নেই। তাই তারা বিনা দোষে মানবতার মা বিএনপি চেয়ারপার্সন তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খাদেলা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছে। আর দূর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থ নানাভাবে বিদেশে পাচার করছে।এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই নিরাপরাধ জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করছে। যার প্রমান বিশ^জিৎ হত্যা থেকে শুরু করে সর্বশেষ আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড।

    তারা অনতি বিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন এবং আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত বিচার দাবি করেন।

  • জরুরি ভিত্তিতে খালেদার উন্নত চিকিৎসা দরকার : বোন সেলিমা

    জরুরি ভিত্তিতে খালেদার উন্নত চিকিৎসা দরকার : বোন সেলিমা

    কারাবন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মেঝ বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তার বোন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসা দরকার।’

    শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর বাইরে এসে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

    সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখে এলাম, খালেদা জিয়ার শারিরীক অব্স্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ। তিনি কারও সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারেন না। নিজের খাবার নিজে খেতে পারেন না। হাত-পা শক্ত হয়ে গেছে। তার জরুরিভাবে উন্নতমানের চিকিৎসা দরকার।’

    ‘চিকিৎসকরা বলেছেন তিনি সুস্থ আছেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘সব মিথ্যা কথা। আমরাতো এখনই দেখে এলাম তিনি কি অবস্থায় আছেন। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসা দরকার।’

    তাকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায় তাহলেই তো তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে কিছু বলেননি।’

    শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরিবারের ৬ সদস্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

    দিদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মেঝ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীম ইস্কান্দারে স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, শামীম ইস্কান্দারের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, অরিক ইস্কান্দারসহ পরিবারের ৬ জন সদস্য বিকাল সোয়া তিনটার দিকে বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কক্ষে গিয়ে দেখা করেন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করেন।

    গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি হতে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য গত ০১ এপ্রিল বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৬১২ নম্বর কেবিনে তাকে রাখা হয়েছে।