Tag: খালেদা জিয়া

  • আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া খালেদার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই : তথ্যমন্ত্রী

    আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া খালেদার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একমাত্র বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব।

    তিনি সচিবালয়স্থ তার অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছেন এবং কেবলমাত্র আদালতই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সবসময় হুমকি দেয় যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু তার মুক্তি আদালতের ব্যাপার এবং অন্য কোন পথ নেই।’

    তিনি বলেন, বিএনপি গত সাড়ে ১০ বছরে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করতে চাই- যেহেতু আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া বেগম জিয়াকে মুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। অতএব তাকে মুক্ত করতে নেতারা কোন পথে যাবেন।’

    আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমরা দেখছি তারা (বিএনপি নেতারা) তাকে মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তারা বলেছেন যে, তারা চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাবেন। প্রথমে মুক্তি বিষয়ে সমাধানে পৌঁছতে হবে এবং পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি কোথায় যাবেন।’

    এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়নি এবং তিনি রাজবন্দি নন।

    তিনি বলেন, ‘অতীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। ওইসব নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়ার বিষয়টি তেমন নয়। এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার কারণে দুর্নীতির মামলায় তিনি জেলে রয়েছেন।’

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে সম্প্রতি উইকিলিক্সের প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারেক রহমান এবং এ ব্যাপারে বেগম জিয়া ভালভাবেই অবগত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, আদালতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব হতো না।’

    তিনি বলেন, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।

    তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করতে চাই যে, উইকিলিক্সের তথ্য সম্পর্কে তারা কি বলবেন।’

    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। এটি আসলেই দেশের জন্য একটা আনন্দের খবর।

    তিনি বলেন, বিটিভির ৪টি চ্যানেল কয়েক মাস আগে থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ৪৫টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স প্রদান করলেও দেশে ৩৫টি টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়।

    ড. হাছান বলেন, দেশের সম্প্রচার মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের স্বার্থে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এসব উদ্যোগ গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।

    তিনি আরোব বলেন, সম্প্রচার মাধ্যমকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটালাইজ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

    ব্রিফিংকালে তথ্য সচিব আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।

  • খালেদার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির চার সাংসদ

    খালেদার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির চার সাংসদ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের ৪ জন সংসদ সদস্য।

    বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা ফুলের তোরা নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের খালেদা জিয়ার চিকিৎসাধীন ইউনিটে প্রবেশ করেন। বাইরে অপেক্ষাধীন ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

    আজ দেখা করা ৪ সংসদ সদস্য হলেন— ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ, বগুড়া-৬ আসনের এমপি জিএম সিরাজ, বগুড়া-৮ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

    এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির তিন সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন দলটির সংসদীয় মুখপাত্র হারুন অর রশীদ, উকিল আব্দুস সাত্তার ও আমিনুল ইসলাম।

    পরে হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) যে সমস্ত অসুখ-বিসুখগুলো রয়েছে। ওনার অবিলম্বে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দরকার। ওনার যে উন্নত যে চিকিৎসার দরকার, সেটার জন্য বৈদেশিক চিকিৎসা দরকার। উনি চিকিৎসার সুযোগ পেলে তো অবশ্যই বিদেশ যাবেন। আজকে উনি জামিন পেলে, কালকে উনি বিদেশ যাবেন এবং আজকে যদি উনি জামিন পান ওনার প্রথম প্রায়রিটি হবে চিকিৎসা এবং দেখা যাবে উনি কালকেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন এবং ওবায়দুল কাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন। আজকে সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী তাকে কেন চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

    এদিকে আজকেও খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য ও সংসদীয় মুখপাত্র হারুন অর রশীদ।

    বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে দলের প্রধান জামিন নিয়ে কথা বলেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। পরে সেখানে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হারুন।

    খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।’

  • খালেদার জামিন বিষয়ে কাদেরর সাথে হারুনের সাক্ষাৎ

    খালেদার জামিন বিষয়ে কাদেরর সাথে হারুনের সাক্ষাৎ

    কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর এবার তার জামিনের বিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য ও সংসদীয় মুখপাত্র হারুন অর রশীদ।

    বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে দলের প্রধান জামিন নিয়ে কথা বলেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। পরে সেখানে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হারুন।

    বিদেশে চিকিৎসা করাতে পাঠানোর মাধ্যমে তাকে (খালেদা জিয়া) কি বিএনপির রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এটি ঠিক নয়। তার ৭৬ বছর বয়স। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। সে কারণে আমরা বলেছি তাকে জামিন দেন এবং তার চিকিৎসা করাবো। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।’

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন হারুন। সেসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন- ‘আজকে জামিন পেলে, কালকেই চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যাবেন’— তবে আজকে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে তার মুক্তি হোক। তারপর দেখা যাবে চিকিৎসা দেশে হবে নাকি বিদেশে।’

    সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কথা উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘প্যারোল নিয়ে আগে কোনও আলোচনা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারোলের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনও আবেদন করা হয়নি। এই প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি মিডিয়া থেকে এসেছে। এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।’

    খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।’

    জামিন দেয়া তো আদালতের বিষয়, তারপরও আপনারা কেন সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেন?— জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার কথা আপনারা সবাই জানেন। রাজনীতিকদের নামে অনেক মামলা হয়, সাজাও হয়। আবার তা সরকারের মধ্যস্থতায় ফয়সালাও হয়। অনেক ছোট ছোট নেতা এভাবে জামিন নিয়ে বিদেশে চলেন গেছেন। খালেদা জিয়া তো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, উনি কেন জামিন পাবেন না।’

    আপনারা খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বারবার সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, এটা রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এটি সমঝোতা হতে যাবে কেন? যে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে সেটি তো প্রশ্নবিদ্ধ। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তো কিছুদিন আগে লন্ডনে তার চোখের অপারেশন করিয়েছেন, যা দেশে সম্ভব ছিল। কাজেই সামর্থ্য থাকলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কেন বিদেশে হবে না।’

    সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমি আবারও আপনাদের বলছি একজন সন্তান হিসেবে অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার বিষয়ে যা যা করা দরকার সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি খালেদা জিয়ার জন্য জামিন চাইতে এসেছি। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তার চিকিৎসা করানো হবে।’