Tag: খুন

  • সিলেটে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন

    সিলেটে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন

    সিলেটে প্রাইভেটকার আটকিয়ে ছুরিকাঘাত করে এক বিএনপি নেতাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে নগরের আম্বরখানা বড়বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আ. ফ. ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেটকার চালিয়ে আ ফ ম কামাল বড়বাজারের গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন। বড়বাজার গোয়াইনপাড়া সড়কের কাছে যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক এসে তার গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • সীতাকুণ্ডে মাদকাসক্ত যুবকের বটির কোপে মুক্তিযুদ্ধার পুত্র খুন

    সীতাকুণ্ডে মাদকাসক্ত যুবকের বটির কোপে মুক্তিযুদ্ধার পুত্র খুন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে কথা-কাটাকাটির জেরে মো.খুরশিদ আলম (৪২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই বাড়ির মোঃ আরাফাত (২৫) নামে আরেক যুবক। খুন হওয়া খুরশেদ আলম সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আলী আহম্মদ বাড়ির মুক্তিযুদ্ধা নুর আহম্মদের ছেলে। খুনি আরাফাত একই বাড়ির মোঃ বাহাদুরের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় খুরশেদ আলম তার সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে কার যোগে বাড়িতে যাওয়ার সময় বাড়ির রাস্তায় কারের সাথে আরাফাতের ধাক্কা লাগে। এসময় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত যুবক আরাফাত ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুরশেদ আলমকে মারাত্মক জখম করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম, ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

  • পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কে খুন

    পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কে খুন

    রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটানে খুন হয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ ফাহিমের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে।

    ফাহিমের মৃত্যুর খবর স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার আত্মীয় আতাউর বাবুল।

    ঘটনাস্থল থেকে ধারালো বৈদ্যুতিক করাত উদ্ধার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। এছাড়া ভবনের লিফটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মুখোশধারী সন্দেহভাজন হত্যাকারীর উপস্থিতি পেয়েছে তারা।

    নিউইয়র্কের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমের শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু খণ্ড-বিখণ্ড ছিল। সেভাবেই তার লাশ উদ্ধার হয়েছে।

    ফাহিমের বোন তার খোঁজ না পেয়ে ৯১১ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

    ফাহিম সালেহ গত বছর ২.২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে এই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন।

    ১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তার বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে।

    তিনি রাইড শেয়ার অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ফাহিম নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ব্যাংক কলোনি এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রোকসানা আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। রোববার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

    পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাতে জানায়, বিগত ১২ বছর আগে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে রোকসানা সংসার জীবনে আবদ্ধ হলেও সম্প্রতি বছরখানেক আগে দেলোয়ার আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে রোকসানা আর দেলোয়ারের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

    এ বিষয়ে স্বামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে রোকসানা। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের পর তারা দুজনে আবার সংসার শুরু করে।

    জানা যায়, রোকসানা ও দেলোয়ার নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার ব্যাংক কলোনীতে একটি ভাড়া বাসায় থেকে সিইপিজেডে পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে তারা দুজনই চাকরি ছেড়ে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে কারখানা থেকে বকেয়া টাকা নেওয়ার উদ্দ্যেশে দুজনই চট্টগ্রামে আসেন এবং ওই এলাকার দেলোয়ারের ভাইয়ার বাসায় উঠেন।

    ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহম্মদ নুরুল হুদা জানান, রবিবার দেলোয়ারের ভাই তার গ্রামের বাড়ি এবং পোশাক শ্রমিক ভাবি কর্মস্থলে গেলে দিনের কোন এক সময়ে রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন।

    সন্ধ্যার পর রোকসানার ভাবি কর্মস্থল থেকে ফিরে তার ননদকে খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও রোকসানার ঘুম না ভাঙ্গলে প্রতিবেশিদের সহযোগীতা নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ইডিজেড থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে রোকসানার লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।

    ওসি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করছি। তার গলায় কালো দাগ দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার স্বামী দেলোয়ার পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর তার দিকেই বর্তায়।

    তাছাড়া এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বোন লাকি আক্তার বাদি হয়ে স্বামী দেলোয়ারকে আসামি করে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। দেলোয়ারকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি নুরুল হুদা।

  • বোয়ালখালীতে ৪ সন্তানের জননীকে খুন করে পালিয়েছে পাতানো ভাই

    বোয়ালখালীতে ৪ সন্তানের জননীকে খুন করে পালিয়েছে পাতানো ভাই

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রমিজা খাতুন (৫২) নামের এক ৪ সন্তানের জননীকে হত্যা করে পালিয়েছে পাতানো ভাই।

    বুধবার ( ১৩ নভেম্বর) বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ার আবদুস সালামের ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।

    নিহত রমিজা খাতুন উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের মৃত হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী। তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বিগত ২৬ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

    নিহতের ছেলে মো. রুবেল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গত ৪মাস আগে বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ায় পাতানো ভাই মো. আলমগীরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন তার মা। মো. আলমগীরকে এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও দিয়েছিলেন।

    ভাইদের মধ্যে বড়ভাই প্রবাসে থাকেন, মেঝ ভাই একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে নগরীতে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বাঁশখালীর শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মো. আলমগীরের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

    মো. আলমগীর বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন দাবি করে মো. রুবেল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘সে আমার মাকে খুন করে পালিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

    জানা যায়, নিহত রমিজার পাতানো ভাই মো. আলমগীর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে বৈদ্যালির করতেন। সে সুবাদে মো. আলমগীরের সাথে রমিজা খাতুনের পরিচয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার সকাল ৮টার সময় মো. আলমগীরকে দোকান থেকে পান কিনতে দেখা গিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    থানার উপ-পরিদর্শক মো. তাজ উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে একটি ভাড়াবাসা থেকে রমিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

    তিনি বলেন, রমিজা খাতুনে মরদেহ ভাড়া বাসার একটি পালঙ্কের উপর পড়ে ছিলো, গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় গোলাকৃতির কালচে দাগ রয়েছে। পাতানো ভাই মো. আলমগীর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছি। সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

  • চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।

    আজ ৪ নভেম্বর সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাজধানী ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আরো খবর : পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সোহেল (২২)। পেশায় অটোরিকশার মিস্ত্রি সোহেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। বর্তমানে সে নগরীর আমবাগান এলাকায় বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, গতকাল রবিবার পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন সোহেল। স্থানীয় কাউন্সিলরও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেভাজন খুনী হিসেবে সোহেলকে শনাক্ত করে।

    ফলে নির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতেই খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকায় চলে যায়। সকালে ঢাকার মালিবাগের রাস্তা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে বললেন ওসি প্রনব চৌধুরী।

    এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহত নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিল ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

    হত্যার ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। এসময় সোহেলের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় সোহেল। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি ফুটেজে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এলাকার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর থেকে সোহেলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নামে।

  • সীতাকুণ্ডে ২০ দিনে ১৭ লাশ, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী

    সীতাকুণ্ডে ২০ দিনে ১৭ লাশ, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় হঠাৎ করে অপমৃত্যু বেড়ে গেছে। উপজেলায় গত ১১ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ২০ দিনে খুন, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, পানিতে ডুবে, ক্রস ফায়ারসহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যায়, ৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায়, বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন, অজ্ঞাত লাশ একটি, শিপইয়ার্ডের দুর্ঘটনায় ২জন, ট্রেনে কাটা পড়ে ১ জন এবং ছাদ থেকে পড়ে নিহত ১ জন নিহত হয়। খুন হয় দুজন।

    বিভিন্ন দূর্ঘটনায় আহতও আছে ৩০ জনের অধিক। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

    এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে লাশের মিছিলে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডে হঠাৎই খুন, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনায় প্রাণহানি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যা এলাকাবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

    এএসপি (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী শাহা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এটা অবশ্যই উদ্ধেকজনক, তবে আমি আমাদের পুলিশের সব ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আইনশৃংখলা বিষয়ে মিটিং করেছি, সামনে পরিস্থিতি আরো উন্নতি হবে।

    এই মূহুর্তে সীতাকুণ্ডের আইনশৃংখলা অবনতি কিনা জানতে চাইলে এএসপি শম্পা রানী শাহা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আইনশৃংখলা অবনতি নয় স্বভাবিক আছে, সামনে আরো ভালো হবে, এজন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার শেখপাড়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মহিউদ্দিন (২৮) নামের এক বাই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। নিহত মহিউদ্দিন পশ্চিম সৈয়দপুর, অন্তর খালী মসজিদ বাড়ির শাহ আলমের পুত্র।

    ১১ অক্টোবর ৯ নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মির্জানগর জেলে পাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে শান্ত জল দাশ (২৫) নামের এক যুবক আত্নহত্যা করে। শান্ত দাশ উক্ত এলাকার সিদাম জল দাশের পুত্র।

    ১২ অক্টোবর কুমিরা ঘাটঘর উপকূলে অবস্থিত “ও ডব্লিউ ডব্লিউ ট্রেডিং এণ্ড শীপ ব্রেকিং” নামে একটি শিপ ইয়ার্ডে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে সাইফুল এবং মাসুদ নামে দুই শ্রমিক নিহত হয়।

    ১৬ অক্টোবর তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে আল আমিন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়। বিকাল তিনটার সময় পৌরসদর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

    ১৮ অক্টোবর কুমিরাস্থ ঘাটঘর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে মোঃ শাহ আলম (৫৮) নামের এক ডাক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, সে ছোট কুমিরা এলাকার মৃত আজিজুল হক মাষ্টারের পুত্র। একইদিন কুমিরা এলাকার পিএইচপি গেইটের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয় বলে জানান বাঁশবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম।

    ১৯ অক্টোবর উপজেলা বারৈয়ারহাটস্থ কলাবাড়িয় নামক স্থানের রেল লাইন থেকে দ্বিখন্ডিত অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। একইদিন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড়আমতল এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় সজিব নামে এক যুবক আহত হয়ে পরদিন চমেক হাসপাতালে সে মারা যায়।

    ২১ অক্টোবর সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের প্রেমতলা এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস খেয়ে মিতা দেবী (২১) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী গৃহবধূ আত্মহত্যা করে। গৃহবধু মিতা সজল দেবনাথের স্ত্রী।

    ২২ অক্টোবর ভাটিয়ারীর কলেজপাড়া এলাকায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে এক নিরিহ যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে রায়হান নামের পুলিশের এক এসআই। তাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত যুবক এজাহার মিয়া ভাটিয়ারী ৪নং ওয়ার্ডের বালুর রাস্তা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে।

    ২৩ অক্টোবর উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) নিহত হয়।

    ২৮ অক্টোবর উপজেলার সলিমপুরস্থ কালুশাহ নগর এলাকায় লরী উল্টে হযরত খাজা কালুশাহ মাজারের দানবাক্সের নাইট গার্ডসহ দুইজন নিহত হয়ে। নিহত নাইট গার্ডের নাম মোঃ আজম, সে কালুশাহ নগর এলাকার আমির হোসেনের পুত্র। নিহত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। একইদিন ফৌজদানহাট আবদুল্লাহ ঘাটা এলাকায় নিটল টাটা গাড়ির ওয়ার্কশপে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের কেভিন থেকে দুলাল (৪০) নামের চালকের সহকারীর লাশ উদ্ধার করে ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ।

    ২৯ অক্টোবর ছোট কুমিরা এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য নিহত হয়। নিহত তিন ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    ৩০ অক্টোবর মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে আবিদ (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে হাসনাবাদ গ্রামের বাবুল সওদাগরের বাড়ির মহিউদ্দিনের পুত্র।

  • বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা খুন, ধর্ষণ: নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ জরুরী

    বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা খুন, ধর্ষণ: নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ জরুরী

    অপরাধ বলতে সমাজ কর্তৃক শস্তিযোগ্য কোনো অন্যায় আচরণকে বুঝায়। সাধারণত অপরাধ আইন বা দন্ডবিধি উদ্দেশ্যমূলকভাবে লঙ্ঘন করাকে আইনগত দৃষ্টিকোণ হতে অপরাধ বলা হয় এবং এর জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তির বিধান রয়েছে। অপরাধের আইনগত সংজ্ঞার একটি বড় সুবিধা হলো এটি অপরাধের সামাজিক সংজ্ঞা হতে অনেক সংক্ষিপ্ত ও দ্ব্যর্থক।

    সুতরাং আইনগত সংজ্ঞানুযায়ী- (ক) অপরাধ হচ্ছে এক ধরনের আচরণ এবং (খ) ওই আচরণটি বিদ্যমান অপরাধ আইনকে অমান্য করে। এ সংজ্ঞার একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে সমাজের জটিল সমস্যাকে আড়াল করা হয়। কেননা কোনো সমাজই চিরস্থির নয়। আসলে প্রতিনিয়ত সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে।

    একইভাবে অপরাধ প্রবণতা ও এর ধরনও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। আবার সমাজভেদে অপরাধ আচরণের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন সিঙ্গাপুরে চুইংগাম বিক্রি করা একটি অবৈধ কাজ কিন্তু আমেরিকানদের কাছে তা অচিন্তনীয়। সুতরাং অপরাধ সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে হলে একটি বিশেষ সমাজ কোনো কাজগুলোকে অপরাধ হিসাবে বিচার করে তা দেখা অপরিহার্য।

    এছাড়াও সামাজিক সংজ্ঞানুসারে সমাজে প্রচলিত আদর্শসমূহের যে কোনো লঙ্ঘণকে অপরাধ বলে। অর্থাৎ অপরাধ সমাজ বিরোধী কাজ। মানুষের মধ্যে কিছু মানবীয় আচরণ আছে যা অপরাধ আইনের পরিপন্থী নয় কিন্তু সামাজিকভাবে নিন্দনীয় বা সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা বা অনুশাসনের পরিপন্থী। ফলে তা সামাজিকভাবে ঘৃণিত ও দন্ডনীয়। এমতাবস্থায় অপরাধ প্রবণতা বা অপরাধ সংঘটিত হওয়া কারো কাম্য নয়। তদুপরি আদিম যুগ থেকেই মানুষের মধ্যে নৃশংসতা ও বর্বরতা ছিল।

    সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়াস চালানো হয়। যদিও মানুষ সভ্যতার মুখোশ পরে আছে। মানুষের অমানবিক আচরণগুলো মূলত তার পাশবিক প্রবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। জন্মগত পাশবিক প্রবৃত্তিগুলো পারিপার্শ্বিকতার কারণে জাগ্রত হয়। কমবেশি পশুত্ব স্বভাব প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে। জাতি-গোষ্ঠী, শ্রেণি-লিঙ্গ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, না পাওয়ার অতৃপ্তি ও ঘৃণা মানুষের স্বাভাবিক সহজাত প্রবৃত্তিকে বাধাগ্রস্ত করে।

    বিশ্লেষণে দেখা যায় মানুষের অপরাধ প্রবণতা ও নিষ্ঠুরতা সমাজে আগেও ছিল। এখন এর ভিন্ন আকারের চরম বহিঃ প্রকাশ ঘটছে। মানুষের পাশবিকতার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তা এক দিনে তৈরি হয়নি। আগে কোনো অপরাধ করলে সমাজে জবাবদিহি করতে হতো। এখন কোথাও তা করতে হয় না। অন্যায়-অপরাধ করে দিনের পর দিন অপরাধীরা অনায়াসে পার পেয়ে যায়। এতে মানুষের মধ্যে ভীষণ হতাশা তৈরি হয়।

    একজন নিরাশ মানুষ নিজের হতাশাকে কাটাতে, নিজের অপ্রাপ্তিবোধের তাড়না থেকে নিজের চেয়ে দুর্বল কাউকে বেছে নিয়ে তার ওপর হিংস্রতা দেখিয়ে একধরনের মানসিক পরিপূর্ণতা লাভ করতে চায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। পক্ষান্তরে মানুষ যখন দেখবে, অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না, তখন অন্যায় পথে পা বাড়াতে সাহস পাবে না।

    তখন সমাজে অপরাধ করার প্রবণতা কমে আসবে। সভ্য সমাজে কোমলমতি শিশু ও অসহায় নারী নির্যাতনসহ তুচ্ছ কারণে খুনখারাবি, নৃশংসতা, বর্বরতা ও নির্মমতার ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে! সমাজ জীবনে মানুষ কেন এমন জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে, কেন পশুর মতো এতটা হিংস্র ও নৃশংস হয়ে উঠছে? কেনই-বা মানুষ নিজের ‘মান’ আর ‘হুঁশ’ হারিয়ে অমানুষ হয়ে যায় তা এখন ভাবিয়ে তুলছে সকলকে।

    মানবাধিকার ও সমাজকর্মী, অপরাধ বিশ্লেষক, মনোবিজ্ঞানী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এসব নৃশংসতার জন্য দোষী ব্যক্তিদের যথাসময়ে বিচারের মুখোমুখি করতে না পারাকে দায়ী করছেন; একই সঙ্গে তাঁরা ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব, সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়কেও দোষারোপ করছেন।

    যদিও সীমা লঙ্ঘনকারী মানুষকে সাবধান করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করেছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল। স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের কাছে তাদের রাসুল এসেছিল, কিন্তু তারা বিশ্বাস করার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি।’ অথচ ধর্ম-কর্ম ভুলে ক্ষুদ্র, তুচ্ছ কারণে সমাজে যত বীভৎস ঘটনা ঘটছে, কয়েক বছর আগে তা ছিল না।

    এ ব্যাপারে বর্তমানে গণমাধ্যম অনেক সোচ্চার বলে ঘটনাগুলো বেশি আলোচিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত আর সামষ্টিক মূল্যবোধের মধ্যে সংঘাত সব সময় রয়েছে। প্রতিটি বীভৎস ঘটনাকে তাই আলাদাভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যাদের মধ্যে ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ কম, তাদের এই বার্তা দিতে হবে। আর অপরাধ করলে সাজা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি ভাবনার বিষয় হল ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধের আজ দারুণ সংকট।

    সমাজের সর্বস্তরে নৈতিক আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও ধার্মিক চিন্তা-চেতনার পরিবর্তে আস্থাহীনতা, অমানবিকতা, অসভ্যতার মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কৃত্রিমতা, চাতুরতা, স্বার্থপরতা, তিক্ততা, হীনমন্যতা, ঈর্ষা, ক্রোধ, অহমিকা, দাম্ভিকতা, অনাচার অবিচার, অকৃতজ্ঞতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, বেলাল্লাপনা, যৌনাচার, অবিচার, অমিতাচার, নৃসংসতা, বারবনিতা, বহুগামিতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, অত্যাচার, ষড়যন্ত্র, খুন, গুম, অপহরণ, পণ আদায়, ঠকবাজী, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, যৌতুক, মাদক, বাল্যবিবাহ, চোরাচালানী, মজুদখোরী, ব্লু-ফিল্ম, পর্ণসাহিত্য, বিজাতীয়, আকাশ সংস্কৃতির অবাধচর্চা, অমিতাচার, পরকীয়া, ঝগড়া, কলহ, বিরোধ, গোপনে অবৈধ মেলামেশা, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু ধর্ষণ, শিশু খাদ্যে বিষক্রিয়া, চাঁদাবাজী, বোমাবাজী, কোচিং ব্যবসা, সাইবার ক্রাইম, সাইবার, মসজিদ, মন্দির, উপাসনালয়ে হামলা, হত্যা, দান বাক্স ও জুতা চুরি ইত্যাদি অনৈতিক কর্মকান্ড সামাজিক নিরাপদ পরিবেশকে মারাত্তকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এর ফলে স্বস্থি, শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

    উদ্ধিঘ্ন হওয়ার বিষয় হল পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তান ও সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতা হত্যার মত ন্যাক্কার ও কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটছে এদেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী থেকে চলন্ত ট্রেন, চলন্ত বাসে আগামি দিনের কর্ণধার শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যার পর লাশের উপর নৃত্য করা হচ্ছে। শিশুদের ও নারীদের উপর চলছে নির্যাতনের মহড়া। সর্বত্র ভীতি, আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি আমরা। হতাশ হয়ে পড়ছে সুশীল সমাজ, সাদা মনের মানুষ, সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, অভিজ্ঞ মহল, মানবতাবাদী, পরিবেশবাদী আর সেই সাথে এদেশের নাগরিকরা। কারণ একটির পর একটি বীভৎস ঘটনা ঘটেই চলেছে। ম্লা করে দিচ্ছে অতীতের বীভৎস রেকর্ড। সব মিলিয়ে গোটা সমাজ ব্যবস্থায় নেমে এসেছে এক চরম হতাশা, অমানিষার অন্ধকার ও ক্রান্তিকাল।

    প্রতিদিন খবরের কাগজে ও সার্বক্ষণিক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে আমরা যা দেখছি তা সমাজ উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিপরীতে সমাজ ব্যবস্থায় চরম অবনতি ও অবক্ষয়ের খবরা খবরের পরিমাণ বেশি। দেশের নানা স্থানে ঘটে যাওয়া পৈশাসিক, আতঙ্কিত, নিষ্ঠুর, লোমহর্ষক, বীভৎস সংবাদগুলো জাতির বিবেককে মারাত্মকভাবে আহত করছে। মানবতা ও মানবাধিকারের হালচিত্র দেখে মনে হয় আমরা এ কোন যুগে আছি।

    এ অবক্ষয় থেকে মুক্তির উপায় বের করার জন্য উচ্চতর গবেষণা জরিপ ও পর্যবেক্ষণ করার এখনি সময়। কারণ কি কি কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, কারা এর জন্য দায়ী, কি উপায়ে এর প্রতিকার সম্ভব, এ বিষয়ে প্রথমে রাষ্ট্রের কর্ণধাদের এগিয়ে আসতে হবে, সেই সাথে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সুশীল সমাজ, সাদা মনের মানুষ, সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মানবতাবাদী, পরিবেশবাদী সংশি¬ষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ মহল, দেশি- বিদেশি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা, মানবাধিকার প্রবক্তা, সাংবাদিক, গবেষক, দার্শনিক, ধর্মীয় নেতাসহ সর্বস্তরের প্রসাশনিক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, আনসার-ভিডিপি এবং সর্বপরি রাষ্ট্রযন্ত্র ও সর্বস্তরের গণমানুষকে।

    তাহলে হয়তো সামাজিক অবক্ষয়ের মাত্রা কমিয়ে এদেশকে মহা দুর্যোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব। তা নাহলে দেশের ভবিষ্যৎ পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। ভূলুণ্ঠিত হবে মানবিক মূল্যবোধ।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সাংবাদিক।

  • ছেলের হাতে বাবা খুন

    ছেলের হাতে বাবা খুন

    পাবনার চাটমোহরে ছেলে ইসমাইল হোসেনের ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে খুন হয়েছেন বাবা খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (৫৭)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ছানোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে এবং তিনি হরিপুর পোস্ট অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ছেলে ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ খবর শুনে ইসমাইল বাড়িতে ফিরে তার মাকে মারতে উদ্যত হলে বাবা ছানোয়ার তাকে বাধা দেন। এ সময় তিনি লাঠি দিয়ে ছেলে ইসমাইলকে মারতে শুরু করলে তিনি দৌড় দেন। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে ইট তুলে তার বাবাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন ইসমাইল। মাথায় ইটের আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা ছানোয়ার। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    প্রথমে তাকে হরিপুর বাজারের পল্লি চিকিৎসক রতন কুমারের কাছে নিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই সাথে অভিযুক্ত ছেলে ইসমাইলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।