Tag: খুলনা

  • খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

    খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

    খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডে ষ্টেশনের মূল ফটকে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা আবার আসবে’ এমন একটি লেখা প্রকাশ করা হয়।

    শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    উপস্থিত ছাত্র-জনতা জানান, খুলনা রেলস্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডের স্ক্রোলিংয়ে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা আবার আসবে’ এমন একটি লেখা প্রকাশের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেখার পরেই স্থানীয় ছাত্র জনতা খুলনা রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়।

    উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতাকর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    এ ঘটনায় ডিজিটাল বোর্ড অপারেটর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আসলা হোসেন সেন্টুকে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

    সদর থানার ইন্সপেক্টর শাহাজাহান আহমেদ জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে আসলাম হোসেন সেন্টুকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সে ডিজিটাল বোর্ড অপারেটর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্রিপল ই সাইন এর কর্মচারী। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

  • খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়।

    রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন।

    মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।

    এদিকে সংঘর্ষের সময় অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেন ও একটি ট্রাক ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের কারণে বিকেল ৪টা থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও রূপসা সেতু বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই পাশে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।

    শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শর্টগানের ছররা) অবস্থায় চারজনসহ ২২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশেরও অন্তত ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। এরপর তারা মিছিলসহকারে মজিদ সরণি হয়ে সোনাডাঙ্গা থানার দিকে যায়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সোনাডাঙ্গা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ সদস্যরা থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে হরিণটানা থানায়ও ইটপাটকেল ও খালি বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় থানার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল।

    শিক্ষার্থীরা বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছানোর পর পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। কিছু পুলিশ জিরো পয়েন্ট এলাকায় এবং কিছু পুলিশ গল্লামারী মোড়ে অবস্থান নেয়। কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পুলিশ কিছুটা পেছনে সরে আসতে বাধ্য হয়। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের দিকে যেতে চাইলে সন্ধ্যা ৬টায় গল্লামারী মোড়ে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ মুর্হুমুর্হু টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর আহত হয়ে নাবিল, মিজান, সৌরভ, আব্দুল্লাহ, আবির, রুবিনা ইয়াসমিন, মিজান, ফাইয়াস, রুহুল আমিন, আল শাহরিয়ার নিরব, সিরাজুল ইসলাম, রাবেয়া সুলতানা রাইবা, রাশিদা পারভীন, তানিয়া আক্তার, আবিদ, মিতু, শেখ তানিক ও হোসাইন রাসেলসহ অন্তত ২২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৪ জনের শরীরে রাবার বুলেট ও শর্টগানের ছররা গুলি লেগেছে। অন্যরা টিয়ারশেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।

    নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা থানার গেটে কিছু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে কেউ আহত হয়নি।

    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অহেতুক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রথমবার সংঘর্ষের পরে ছাত্রদের বুঝিয়ে নিবৃত্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ৬টার দিকে গল্লামারীতে তারা আবারও পুলিশের ওপর হামলা করে।

  • খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক আজ দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। আজ দিনের শুরুতেই খুলনা এবং বরিশালের মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয় এবং এই মনোনয়ন গুলো চূড়ান্ত হয়।

    খুলনা এবং বরিশাল মোট ৫৬ টি আসনের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কারা পাবে তা চূড়ান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। রোববার যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বলে জানা গেছে। ৫৬ টি আসনের মধ্যে অন্তত ৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, যাদের মনোনয়ন এই আসনগুলোতে চূড়ান্ত হয়েছে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের মধ্যে রয়েছেন-

    ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর-১

    মাহবুবুউল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩

    শেখ আফিল উদ্দিন যশোর-১

    সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১

    মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২

    শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১

    শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২

    পঞ্চানন বিশ্বাস খুলনা-১

    শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল খুলনা-২

    নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫

    আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২

    তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১

    নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভোলা-৩

    আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভোলা-৪

    আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১

    আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি-২

    শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১

    এছাড়াও এই আসনে আরও কয়েকজনের নামও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই আসনে বেশ কিছু চমক রয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানিয়েছে।

    বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুটি বিভাগের কয়েকটি আসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে সরাসরি অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন জরিপ এবং অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য, খুলনা-৩ আসনে বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একাধিক জরিপে পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি আদৌ মনোনয়ন পাবেন কি না বা তার বদলে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিনের বার্ধক্য এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ আবার মনোনয়ন পাবেন কিনা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে।

    বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক শামীমের স্থানে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট নেতাকে দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কোন রকম আলোচনাই হয়নি।

  • মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ : প্রধানমন্ত্রী

    মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই।

    সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন এই ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী যাচ্ছে সেই অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করেছে। এদের মধ্যে এতটুকু মনুষত্ববোধ আছে বলে আমি মনে করি না।

    তিনি বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। ২০০৮ সাল ২০১৪, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। ধারাবাহিক গণতান্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

    এর আগে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সাকিট হাউস মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত হন। এরপর সেখানে তিনি ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

    দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

    বিভাগীয় এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

  • খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এরপর তিনি খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা দেবেন।

    এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তৃতা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সার্কিট হাউজ মাঠে জড়ো হন।

    পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এই মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। সমাবেশস্থল ও আশপাশে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

  • পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    খুলনার ছোট মির্জাপুরের একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় অফিসে বিএল কলেজের শিক্ষার্থীকে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকেই ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক রয়েছেন।

    ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী এ ঘটনার পর ৯৯৯ এবং খুলনা সদর থানার ওসির নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

    খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিকটিম একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি প্রচারণা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। সেই সূত্রে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের সঙ্গে ভিকটিমের কয়েক দিন আগে পরিচয় হয়। রোববার দুপুরের দিকে মির্জাপুরের একটি পত্রিকা অফিসে ইন্সপেক্টর মাসুদ ভিকটিমকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, ঘটনার সময় অফিসে একজন স্টাফও ছিল। অফিসের ভিতরের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভিকটিমের। এ ঘটনার পর ভিকটিম নিজেই দুপুর ২টার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল। পাশাপাশি সে ৯৯৯-এ ফোন করেছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর কেএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি টিম প্লেস অব ওকারেন্সে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

    কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ভিকটিমকে মির্জাপুরের একটি অফিসে নিয়ে আসে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে আছে। ঘটনার পর থেকে ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবে ভিকটিমের পরিবার।

    পিবিআইয়ের সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ প্রায় দেড় বছর আগে খুলনায় যোগদান করেছেন। তার স্ত্রীসহ দুটি সন্তানও রয়েছে।

    এদিকে সাংবাদিক আবু হেনা মুক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, এটা আমার আগের অফিস। সেখানে দৈনিক ইনকিলাবের একটি পুরোনো সাইনবোর্ড আছে। অফিসে সাবলেট হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী জাকির থাকত। সেই পুলিশকে নিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খুলনা ব্যুরোপ্রধান ডিএম রেজা সোহাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আবু হেনা মুক্তি এবং মাসুদ রানাকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

  • সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই জেলে নিহত

    সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই জেলে নিহত

    সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে কাঁকড়া আহরণের সময় বাঘের আক্রমণে দুই বাংলাদেশি জেলে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের সীমখালী খালে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনোয়ার মিস্ত্রির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)।

    নিহত দুই জেলের সহযোগী পশ্চিম কৈখালীর আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১) এখনো সুন্দরবন থেকে ফিরে আসেনি। আবু মুসার মাধ্যমে জেলে রতন ও মিজানুর রহমানের পরিবার বাঘের আক্রামণে নিহতের খবরটি নিশ্চিত হয়েছেন।

    জেলে আবু মুসার ভাতিজা আল-আমিন তার চাচার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তারা তিনজন ভারতের সীমখালী খালে কাঁকড়া আহরণের সময় একটি বাঘ রতন ও মিজানুর রহমানকে আক্রমণ করে। এসময় আবু মুসা বনের ভেতরে পালিয়ে রক্ষা পান। তার চাচার (আবু মুসা) শ্বশুরবাড়ি ভারতে। চাচা প্রথমে শ্বশুর বাড়িতে খবর দেন। পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাদের খবর দেওয়া হলে নিহত দুই জেলের পরিবারকে জানানো হয়।

    এদিকে, অপর একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিহত রতন ও মিজানুর রহমানের মরদেহ সুন্দরবনের ভারত অংশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছে। আর মুসা বিএসএফের হাতে আটক হয়ে থাকতে পারেন। তবে রতন ও মিজানুর রহমানের মৃত্যু বাঘের আক্রমণে, না গরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

    সুন্দরবনের কৈখালী ফরেষ্ট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু সাঈদ মোবাইল ফোনে জানান, তারা বৈধ পাশ-পারমিট (অনুমতিপত্র) না নিয়েই সুন্দরবনে ঢুকে ভারতীয় অংশে গিয়ে কাঁকড়া ধরার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।

    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাংলাদেশি দুই জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন এবং সে অনুযায়ী খোঁজখবর নিচ্ছেন। ঘটনা সঠিক হলে নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০ এ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে আসরে শিরোপা জিতল জেমকন খুলনা। আগে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জবাবে ১৫০ এ থামে চট্টগ্রাম। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা।

    শিরোপার জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে চার ও ছক্কা মেরে ভালো শুরু করেন চট্টগ্রামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার; তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শুভাগত হোম রান তোলার গতিতে লাগাম টানার সাথে সাথে উইকেটও শিকার করেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সৌম্যকে বোল্ড করেন তিনি। ওই ওভারেই ইমরুল কায়েস ক্যাচ ফেলাই জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য।

    নিজের প্রথম ওভারে এসে আল আমিন হোসেন দুর্দান্ত পেসে নাকাল করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ফেরেন ৭ রানে (৫ বল)। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা লিটন রান আউট হন ২৩ রানে (২৩ বল)। ৫১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।

    শামসুর রহমান শুভ ও সৈকত আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়ার পথে থাকে চট্টগ্রাম। সেই সময়েই মাত্র ৩ রানের এক দুর্দান্ত ওভার করে আল আমিন চট্টগ্রামকে চাপে ফেলে। ফলশ্রুতিতে পরে ওভারেই হাসান মাহমুদকে মেরে খেলতে গিয়ে লং অনে শুভাগতর তালুবন্দী হন শামসুর। ৩ চারে ২১ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

    বেশ কিছু ক্যাচ হাতছাড়া করে খুলনার ফিল্ডাররা নিজেদের কঠিন ও সেই সাথে ম্যাচ জমিয়ে উঠতে সাহায্য করেন। শামসুর ফেরার পরে মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে জুটি গড়েন সৈকত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।

    জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম দুই বলে ৩ রান দেওয়ার পরে টানা দুই বলে মোসাদ্দেক ও সৈকতের উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান শহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ওভার সম্পন্ন করেন এই পেসার। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জেমকন খুলনা।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে খুলনা। শুরুতেই জহুরুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় দলটি। দুইটি উইকেটই শিকার করেন ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ভালো খেলতে থাকা জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

    চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ বলে ২১ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন আরিফুল। শুভাগত হোম ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে।

    খুলনার পক্ষে একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। সপ্তম ওভারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে নিজের সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। তার ৪৮ বলের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা পেয়েছিল ১৫৫ রানের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের পক্ষে নাহিদুল ও শরিফুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৫৫/৭ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৭০*, জাকির ২৫, আরিফুল ২১, শুভাগত ১৫, ইমরুল ৮, মাশরাফি ৫;
    নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, মোসাদ্দেক ১/২০, মুস্তাফিজ ১/২৪।

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫০/৬ (২০ ওভার)
    সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, লিটন ২৩;
    শহিদুল ২/৩৩, শুভাগত ১/৮, আল আমিন ১/১৮।

    ফলাফল : ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা।

    ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।

  • শ্বশুর অসুস্থ: ফাইনালের আগে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন সাকিব

    শ্বশুর অসুস্থ: ফাইনালের আগে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন সাকিব

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। তবে ফাইনালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না দলটি। শ্বশুরের অসুস্থতার খবর জেনে জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকায় যেতে হচ্ছে এই অলরাউন্ডারকে।

    খুলনার ম্যানেজার ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, সাকিবের শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা ছেড়ে যেতে হচ্ছে তাকে। হোটেল ছেড়ে গতকাল রাতেই তাকে চলে যেতে হয়েছে। ওর শ্বশুর অনেক দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। কালকে সাকিব জানতে পারে যে তিনি বেশ গুরুতর অসুস্থ এখন।

    যেহেতু পরিবার সবসময়ই সবকিছুর আগে এবং জেমকন খুলনা এটাকে সবসময় গুরুত্ব দেয় ও শ্রদ্ধা করে, আমাদের দিক থেকে তাই কোনো সমস্যা ছিল না, বলেন নাফিস।

    ‘জেমকন খুলনার পক্ষ থেকে আমরা সবাই তার পরিবারের জন্য দোয়া করছি। আশা করি সে নিরাপদে পৌঁছবে।

    সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞার বড় একটি অংশ সাকিব কাটিয়েছেন সেখানেই। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন তিনি।

    প্রসঙ্গত গতকাল সোমবারই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে খুলনা। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জহুরুল ইসলামের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ২১০ রান।

    যেখানে সাকিব ব্যাট হাতে ১৫ বলে করেছেন ২৮ রান। এর পর কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানেই অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে বল হাতেও অবদান ছিল সাকিবের। ৩২ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।

  • জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা

    জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়েছে মাশরাফি, সাকিব, রিয়াদের দল। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

    সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পাহাড় দাঁড় করে খুলনা। দলের পক্ষে ৮০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম।

    ৫১ বলের মোকাবেলায় জহুরুল হাঁকান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। রিয়াদ মাত্র ৯ বলেই করেন ৩০ রান, ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো সাকিব ১৫ বলে ২৮ রান করেন। ১৫ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে।

    ১২ ছক্কার ইনিংসে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। চট্টগ্রামের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন ২টি উইকেট।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে এই ওভারে নিজের প্রথম বল মোকাবেলা করতে গিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার শিকারে পরিণত হন গোল্ডেন ডাকের তিক্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া সৌম্য সরকার। লিটনও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ বলে ২৬ রান করে তিনিও মাশরাফির শিকারে পরিণত হন।

    মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে উইকেটে সেট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে ২৭ বলে ৩১ রান করে তিনিও মাশরাফির শিকার হন। এরপর লড়াই একাই চালিয়ে গেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাওয়ার একটু পর অবশ্য আউট হয়ে যান। ৩টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫৩ রান করেন মিঠুন। মাশরাফির বোলিং তোপে শেষদিকে আর কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও সাজঘরে ফেরান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। ১৯.৪ ওভারে চট্টগ্রাম অলআউট হয় ১৬৩ রানে। মাশরাফির পাঁচ উইকেট শিকারের দিনে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফুল হক ও হাসান মাহমুদ। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মাশরাফি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম

    জেমকন খুলনা : ২১০/৭ (২০ ওভার)
    জুহুরুল ৮০, রিয়াদ ৩০, সাকিব ২৮, ইমরুল ২৫
    মুস্তাফিজ ৩১/২, মোসাদ্দেক ২৭/১

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৬৩/১০ (১৯.৪ ওভার)
    মিঠুন ৫৩, জয় ৩১, লিটন ২৪
    মাশরাফি ৩৫/৫, আরিফুল ২৬/২্, হাসান ৩৫/২

    ফল : জেমকন খুলনা ৪৭ রানে জয়ী।

  • রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    জেমকন খুলনার সাথে দ্বিতীয় দেখায় ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈম-আকবরদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত এই নৈপূণ্যে ২০ রানের জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৫টি উইকেট।

    টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলে যোগ দিয়েই একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান আল আমিন জুনিয়র। তিনি ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।

    নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলিও। তার আক্রমণে বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দেখান। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সাব্বির।

    ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা সাব্বির করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৩৬!

    মাশরাফি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় শিকার করেন একটি উইকেট। হাসান ২৩ রানে ১টি ও শহিদুল ৩১ রান খরচে নেন ২টি উইকেট। প্রথম ওভারে কেবল ৩ রান খরচ করার পরেও ৪ ওভার শেষে ৫১ রান খরচ করেন অপু। সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান।

    বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুইটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আল হাসানকে ৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই স্পিনার।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ধীরগতিতে ২৩ রান (২৬ বল) করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ।

    সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পেল ২০ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে রুবেল ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। রবি একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৭৯/৭ (২০ ওভার)
    সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, আকবর ৩১;
    শহিদুল ২/৩১, হাসান ১/২৩, মাশরাফি ১/২৬, অপু ১/৫১;

    জেমকন খুলনা ১৫৯/১০ (১৯.৩ ওভার)
    জহুরুল ৫৩, শামীম ২৪, রিয়াদ ২৬,
    রবি ৫/২৭, রুবেল ২/৩০, মুক্তার ৪/৩৫;

    বেক্সিমকো ঢাকা ২০ রানে জয়ী।

  • বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    দ্বিতীয়বারের দেখায়ও তামিম ইকবালের দলকে হারালেন সাকিব-রিয়াদরা। জাকির হোসেনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ করার পরে বল হাতে ভালো করেছে জেমকন খুলনার বোলাররাও। ফরচুন বরিশালকে তারা ১২৫ রানে অলআউট করে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে।

    ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনকে সাথে নিয়ে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। শুভাগত হোমের এক ওভারেই ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। শুভাগত ও শামীম হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা এগিয়ে যায়। এক ওভারেই শুভাগত শিকার করেন তামিম ও পারভেজকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পারভেজ ও ক্যাচ আউট হন তামিম।

    ১ ছক্কা ও ৪ চারে ২১ বলে ৩২ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। পারভেজের ব্যাট থেকে ১ ছক্কায় ১৯ রান। তারা দুইজনে ফেরার পরের ওভারেই রান আউটের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ম্যাচে ফেরার পরে খুলনার বোলাররাও বেশ ইকোনোমিকাল হয়ে ওঠেন।

    ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়ে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ৩১ রানের জুটি ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। তারপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগোতে থাকেন হৃদয়। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। আল আমিন হোসেনের বলে শামীমের এক অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন অঙ্কন।

    বরিশালের পক্ষে একাই লড়াই করতে থাকা হৃদয়কে ফেরান হাসান মাহমুদ। আরিফুল হকের হাতে এক সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। সেই ওভারে তাসকিনকেও শিকার করেন হাসান।

    শেষ ওভারে শহিদুল ইসলাম পান ২টি উইকেট এবং একটি রান আউট হয়। বরিশাল অলআউট হয়ে ১২৫ রানে। ফলে জেমকন খুলনা পেয়েছে ৪৮ রানের জয়। টুর্নামেন্টে এটি খুলনার তৃতীয় জয়।

    তার আগে বড় পরিবর্তন এনে খুলনা ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় জাকির হাসান ও জহুরুল ইসলাম অমিকে। শুরতেই তাদের চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি ও তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ২ রান।

    দ্বিতীয় উইকেটে হাত খুলে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস ও জাকির। টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পেয়েই অর্ধশতক হাঁকান জাকির। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই দুইজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছিল খুলনা। সেই সময়ে ইমরুলকে শিকার করে ব্রেক থ্রু এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। পরের ওভারে জাকিরকে শিকার করেন তাসকিন।

    ৩৪ বলে ৩৭ রান করে তামিমের তালুবন্দী হন ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছক্কা। দৃষ্টিনন্দন সব শটে জাকির করেন ৪২ বলে ৬৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার দিয়ে।

    সাকিব ভালো শুরু করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তানভীর ইসলামের বলে সীমনার কাছে তৌহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিনি ২ চারে করেন ১০ বলে ১২ রান।

    শেষ দিকে অধিনায়ক রিয়াদের ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে খুলনা সংগ্রহ করেছিল ১৭৩ রান। ১ বলে ৬ রানে আরিফুল হক ও ২ বলে ৫ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত থাকেন।

    আজকেও দুর্দান্ত বোলিং করেন শুরু বরিশালের পেসার তাসকিন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। শেষ ওভারে ২টিসহ মোট ৩টি উইকেট পান রাব্বি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৭৩/৬ (২০ ওভার)
    জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, রিয়াদ ২৪, সাকিব ১২;
    রাব্বি ৩/৩৩, তাসকিন ২/৪৩, তানভীর ১/১৬।

    ফরচুন বরিশাল ১২৫/১০ (১৯.৫ ওভার)
    হৃদয় ৩৩, তামিম ৩২, পারভেজ ১৯, ইরফান ১৬;
    শহিদুল ২/১৭, শুভাগত ২/১৮, হাসান ২/১৮, সাকিব ২২/১।