Tag: খুলনা টাইগার্স

  • বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএল প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়ালস।

    এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী।তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুক্কর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন আন্দ্রে রাসেল।

    বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

    ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৭ রান করেন রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    এর আগেআন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।

    শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।

    তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।

    শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

    ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।

    খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)।

    ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।

  • আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের সপ্তম আসরের শিরোপার লড়াইয়ে নামবে খুলনা টাইগার্স-রাজশাহী রয়্যালস। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল এই ট্রফি সবার সামনে নিয়ে আসেন।

    বক্তিগতভাবে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে যাওয়া মুশফিকের চোখ শিরোপায়। আন্দ্রে রাসেল বীরত্বে ফাইনালে ওঠা রাজশাহীও ছেড়ে কথা বলবে না।

    খুলনা শুরু থেকে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। অফ স্পিনার মিরাজকে অলরাউন্ডার বানিয়ে সফল হয়েছে দলটি। শেষের দিকে এসে ছন্দে ফিরেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও। মিডল অর্ডারও বেশ ভালো করছে। মুশফিক ভরসার নাম। টিম কম্বিনেশনের কারণে এতদিন সুযোগ না পেলেও ফাইনালে খেলতে পারেন হাশিম আমলা। খুলনা বোলিং লাইনআপও যেকোনো দলকে ভড়কে দিতে পারে।

    অন্যদিকে, দারুণভাবে শুরু করা রাজশাহী শেষ দিকে এসে কিছুটা ছন্দ হারালেও আন্দ্রে রাসেল ব্যাটে ফাইনালে উঠেছে। লিটন-আফিফের উদ্বোধনী এবারের আসরের সেরা। শোয়েব মালিক-আন্দ্রে রাসেলদের ব্যাট জ্বলে উঠলে খুলনাকে হারানো কঠিন নয়। টিম ডিরেক্টরহীন রাজশাহী শিরোপা জিতলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।

     

     

  • আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে যেমন আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বোলিংয়েও তেমন দুর্দান্ত ছিলেন মোহাম্মদ আমির। এতেই শোয়েব মালিকের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে ২৭ রানে ম্যাচ জয় খুলনা টাইগার্সের। যার ফলে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা।

    এদিন আগে ব্যাট করে শান্তর ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। ১৫৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রাজশাহী রয়্যালস। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে যার শুরু করেন খুলনার পেসার আমির।

    এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ (১১), রবি বোপারা (১), অলক কাপালি (০), আন্দ্রে রাসেল (০) ও ফরহাদ রেজা (৩)। ফলে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। যেখানে একাই ৪ উইকেট নিজের ঝুলিতে পোরেন আমির। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা দলের পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিক।

    এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়ে যান মালিক। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ফায়দা হয়নি একেবারেই। এতে রাজশাহীর হারের ব্যবধানটা কমলো শুধু। পরে তাইজুলের ১২ রানের সাথে মালিকের ৫০ বলে ৮০ রানের কল্যাণে ১৩১ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। যেখানে বিপিএল ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ৬ উইকেটের স্বাদ পান আমির। ফলে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স।

    তবে এই ম্যাচ হারলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকছে রাজশাহী রয়্যালসের সামনে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ালিফায়ার এক এর পরাজিত দল কোয়ালিফায়ার দুইয়ে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিপক্ষে। সে হিসেবে এই ম্যাচ হারের ফলে ফাইনালে উঠার মিশনে পরবর্তী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস।

    এর আগে টস হেরে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে আউট হয়েছেন ৮ বলে সমান ৮ রান করে। ওই ওভারেই দ্বিতীয় আঘাত হানেন ইরফান। এবার ফেরান রানের খাতা খুলতে না পারা রাইলি রুশোকে। দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদে পড়ে খুলনা।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তবে শামসুর ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট হলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৭৮ রানের পার্টনারশিপ। পরে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে মাত্র ৩৬ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। এর আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন তিনি।

    শেষদিকে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে শান্তর ৫৭ বলে ৭৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/৩ (২০ ওভার)
    শান্ত ৭৮*, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৩, বোপারা ১/২৪।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩১/১০ (২০ ওভার)
    মালিক ৮০, তাইজুল ১২, আফিফ ১১; আমির ৬/১৭, মিরাজ ২/৬, শহিদুল ১/১৫।

    ফল: খুলনা ২৭ রানে জয়ী।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার্সের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা প্লাটুন। যার জবাবটা জুতসই ভাবে বুঝিয়ে দিল খুলনা। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে দলটি। একই সাথে রাজশাহী রয়্যালসের পর নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ারের খেলা।

    এদিন মুমিনুল হকের ৯১ ও মেহেদী হাসানের ৬৮ রনের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে ঢাকা। পাহাড় সম এই টার্গেট টপকাতে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মিরাজ। শান্ত একপ্রান্ত ধরে খেললেও অপর প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মিরাজ। চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে ২৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। যেখানে ৫টি চারের সাথে ছক্কা হাঁকান ২টি।

    সতীর্থ্যকে হারিয়ে খোলস ছেড়ে বের হন শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠেন শান্ত। থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে ৩টি ছয়ের মারে তুল নেন ২০ রান। পরের ওভারেই ফিরতে হয় রাইলি রুশোকে। ১৭ বলে ২৩ রান করে রুশো আউট হলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি।

    এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান এবং তামিম ইকবালের পর পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন শান্ত। দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে এ নজির গড়েন তিনি। যা ডেভিড মালান ও আন্দ্রে ফ্লেচারের পর চলতি বিপিএলে তৃতীয় ব্যক্তিগত শতক।

    শেষদিকে ৫১ বলে শতক হাঁকানো শান্তর ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের সাহায্যে ৫৭ বলে ১১৫ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। যা বিপিএলে রেকর্ড করা চেজ। এদিন মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এ জয়ের ফলে রাজশাহীর সাথে কোয়ালিফায়ার পর্ব নিশ্চিত করলো খুলনা। ম্যাচ হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে হবে ঢাকা প্লাটুনকে।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট কর‍তে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ঢাকার দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তামিম ৫ বলে ১ এবং এবং বিজয় আউট হন ১০ বলে সমান ১০ রান করে। খানিক বাদে জাকের আলীও ৭ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে ঢাকা। এরপরের গল্পটা মুমিনুল হক এবং মেহেদী হাসানের। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাকি সময়টা খুলনার বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন।

    এরই এক ফাকে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। একই পথে হাঁটেন মেহেদীও। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ পেতে তিনি খরচ করেন ৩১ বল। এরপর আরো আগ্রাসী হয় উঠেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে নিজেদের ইনংসের শেষদিকে এসে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুমিনুলকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে অর্থাৎ ৯১ রান করে আউট হন তিনি। এতেই ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ।

    শেষদিকে মেহেদীর ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের কল্যাণে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন। নিজের ইনিংসটিতে ৩টি চারের সাথে ৫টি ছয় হাকান মেহেদী।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/৪ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৯১, মেহেদী ৬৮*, জাকের আলী ১৪; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৫, আমির ১/৩৫, শফিউল ১/৫০।

    খুলনা টাইগার্স: ২০৭/২ (১৮.১ ওভার)
    শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫, রুশো ২৩; শাদাব ১/৩২।

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো কুমিল্লার। তবে ৯২ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও মাত্র ২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো টাইগার্স দলপতি মুশফিকুর রহিমকে।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করত নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করত এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ইরফান হোসেনের বলে আউট হয়েছেন ১ রান করে। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১ বলে ৩টি ছয়ের মারে করেন ২৪ রান।

    এরপরের গল্পটা কেবলি মুশফিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুজন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান এ দুই ক্রিকেটার। শুরুতে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মিরাজ। খানিক পর একই পথে হাঁটেন মুশফিকও। ফিফটি পূরণ করতে মুশফিকের লাগে ৩৮ বল।

    তবে বিপত্তি বাঁধে ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ৭৪ রানে থাকা মিরাজকে ফিরতে হয় পেশিতে টান পেয়ে। মিরাজের সুযোগ না থাকলেও মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিক। তবে আজও সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি তার।

    শেষপর্যন্ত মাত্র ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজি থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ততক্ষণে রান পাহাড়ে চেপে বসেছে খুলনা টাইগার্স। ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২১৮ রান।

    হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শুরুর ওভারে কোন রান না করে ফেরেন সাব্বির রহমান। পরে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার দুইটা শিকার করেন শহিদুল ইসলাম, একটা মোহাম্মদ আমিরের।

    এরপর কুমিল্লার হাল ধরার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা ও সৌম্য সররকার। তবে চতুর্থ উইকেটে ২৮ রানের বেশি যোগ কর‍তে পারেননি দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। খানিক পর আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য ফেরেন ১০ রান করে।

    পরে ইয়াসির আলী ২০ ও ফারদীন ২২ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে মাত্র ১২৬ রানে থামে কুমিল্লার ওয়ারিয়র্সের ইনিংস। ফলে ৯২ রানের জয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচ হারের ফলে ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলো কুমিল্লা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খুলনা টাইগার্স: ২১৮/২ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৭৪, রুশো ২৪; মুজিব ১/১৮, ইরফান ১/৩৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১২৬/৯ (২০ ওভার)
    থারাঙ্গা ৩২, ইয়াসির ২০, ফারদীন ২২; শহিদুল ৩/২৮, বিপ্লব ২/১৯, আমির ২/২৪।

    ফল: খুলনা ৯২ রানে জয়ী।

  • রুশো-ফ্রাইলিঙ্ক নৈপুণ্যে প্লে-অফে খুলনা

    রুশো-ফ্রাইলিঙ্ক নৈপুণ্যে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ভিন্ন কোন পথ ছিল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। সেই মিশনে দলটি আজ মাঠে নামে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। যেখানে সাব্বির রহমানের ঝড়ো ফিফটির পরেও হারতে হয়েছে। খুলনার পক্ষে একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক।

    এদিন টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। ৫৫ বলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৭১ রান। ২৯ বলে ৩৮ রান করা শান্তকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন সৌম্য সরকার।

    এরপর নিজেকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি মিরাজও। দলীয় ৯১ রানে ফিরেছেন ৩৯ বলে সমান ৩৯ রান করে। মিরাজের আউটের পর মুশফিককে নিয়ে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন রুশো। ইমরুল কায়েসের পর চলতি বিপিএলে তুলে নেন নিজের চতুর্থ ফিফটি। মাত্র ২৬ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান সাজান ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে।

    শেষদিকে মুশফিক-রুশোর ৪৬ বলে ৮৫ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ১৭৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। দলের হয়ে মুশফিক ১৭ বলে ২৪ ও রুশো অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৭১ রান নিয়ে।

    পরে খুলনার দেওয়া ১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামেন কুমিল্লার দুই ওপেনার স্ট্যিয়ান ভ্যান জিল ও সাব্বির রহমান। এক ম্যাচ পর আবার দলে ফিরে বেশ সাবলীল ছিলেন সাব্বির। তবে সুবিধা করতে পারেননি ভ্যান জিল। ১৩ বলে ১২ রান করে ফ্রাইলিঙ্কের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি।

    এরপর দলটির ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানকে ১ রানের মাথায় ফেরান শফিউল ইসলাম। মালানের বিদায়ের পর উইকেটে থাকা সাব্বিরের সাথে যোগ দেন সৌম্য। ইনিংসের ১১তম ওভারে জোড়া আঘাতে সৌম্য (২২) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে (০) আউট করেন ফ্রাইলিঙ্ক। ফলে ৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা।

    একপ্রান্তে আগলে রেখে খেলে যান সাব্বির। মিরপুরে আজ চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। এবার তার সাথে যোগ দেন ইয়াসির আলী রাব্বি। রীতিমত ধ্বংসলীলা চালান স্পিনার অ্যালিস ইসলামের উপর। অ্যালিসের ৪ ওভারে ৪৯ রান তুলে নেয় কুমিল্লা।

    পরে রুশোর দুর্দান্ত এক ক্যাচে ৩৯ বলে ৬৩ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। ১৪ ম্যাচ পাওয়া ফিফটি ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মার দিয়ে সাজিয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। শেষদিকে ইয়াসির ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হলে শেষরক্ষা হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ইনিংস থামে ১৪৫ রানে। ফলে ৩৪ রানে ম্যাচ জেতে খুলনা টাইগার্স।

    এই হারের ফলে প্লে-অফের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল কুমিল্লার। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন খুলনার পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৭৯/২ (২০ ওভার)
    রুশো ৭১*, মিরাজ ৩৯, শান্ত ৩৮; সৌম্য ১/৩৯, উইজ ১/৩০।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৪৫/১০ (১৮.২ ওভার)
    সাব্বির ৬৩, ইয়াসির ২৭, সৌম্য ২২; ফ্রাইলিঙ্ক ৫/১৬, শহিদুল ২/৩৪।

    ফল: খুলনা ৩৪ রানে জয়ী।

  • সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল জিতেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২১ রান জড়ো করে খুলনা। মেহেদী হাসান রানা ও রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। রুবেল ও রানা দুজনই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

    খুলনার পক্ষে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রুশো, যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৪ বলে ২০ ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২৩ বলে ১৭ রান করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬৯ রান। সিমন্স ২৮ বলে ৩৬ ও জুনায়েদ ৩৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে আসেনা গুনারত্নেও কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি ৭ রান করে আউট হওয়া চ্যাডউইক ওয়ালটনও।

    তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    খুলনার পক্ষে ২টি উইকেট শিকার করেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। এছাড়া আল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    খুলনা টাইগার্স ১২১ (২০ ওভার)
    রুশো ৪৮, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭
    রুবেল ১৭/৩, রানা ২৯/৩, উইলিয়ামস ২১/২

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১২৪/৪ (১৮.১ ওভার)
    জুনায়েদ ৩৮, সিমন্স ৩৬, ইমরুল ৩০*
    ফ্রাইলিঙ্ক ২০/২, মিরাজ ১০/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

  • হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বে দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম খেলার মাঝখানে ছন্দ হারালেও ঢাকা প্লাটুন ফের ফিরেছে পুরনো দাপটে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৩১তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দলটি। ঢাকার তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট। তার পারফরম্যান্সে ম্লান হয়ে গেছে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংস।

    সিলেটে বৃষ্টির কারণে বিলম্বিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান জড়ো করে ধাক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে আসিফ আলী। ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ বলের মোকাবেলায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে। তার দ্রুতগতির ব্যাটিংয়েই দল পায় বড় পুঁজি।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মুমিনুল হক ৩৬ বলে ৩৮, আরিফুল হক ৩০ বলে অপরাজিত ৩৭ ও ওপেনার তামিম ইকবাল ২৩ বলে ২৫ রান করেন।

    খুলনার পক্ষে মোহাম্মদ আমির ২টি এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শফিউল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৪), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৫), ও শামসুর রহমানের (৩) উইকেট হারায় খুলনা। প্রতিরোধ গড়তে পারেননি রাইলি রুশোও, ১৮ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরানের (৩১) সাবধানী ব্যাটিংয়ে সমর্থন পেয়ে চড়াও হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    শেষদিকে ঢাকাকে বেশ ভয়ও পাইয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। ২৭ রানে আসরের তৃতীয় অর্ধ-শতক পূর্ণ করার পরও দ্রুত রান তুলছিলেন। তবে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৩ বলে ৬৪ রান করে, যে ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা।

    এই ম্যাচে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে ২০০০ রানের মাইলফলক গড়া মুশফিক বিদায় নিলে খুলনা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৮ উইকেট হারানো খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬০ রান, ঢাকা পায় ১২ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে হাসান মাহমুদ ৪টি এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা, থিসারা পেরেরা ও শাদাব খান একটি করে উইকেট শিকার করেন। নিজের চতুর্থ ওভারে ১৪ রান বিলি করলেও বল হাতে হাসানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই ঢাকার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: খুলনা টাইগার্স

    ঢাকা প্লাটুন ১৭২/৪ (২০ ওভার)
    আসিফ ৩৯*, মুমিনুল ৩৮, আরিফুল ৩৭*তামিম ২৫
    আমির ২৭/২, বিপ্লব ১৫/১, শফিউল ৪৪/১

    খুলনা টাইগার্স ১৬০/৮ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৬৪, জাদরান ৩১, রুশো ১৮
    হাসান ৩২/৪, শাদাব ২৫/১, মাশরাফি ২৬/১

    ফল: ঢাকা প্লাটুন ১২ রানে জয়ী।

  • মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    বিপিএলের চলতি আসরের চট্টগ্রাম পর্বে মুখোমুখি দেখায় সিলেট থান্ডারের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকায় ফিরে বদলাটা বেশ ভালোভাবেই নিল খুলনা। টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

    এদিন সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে খুলনার হয়ে ওপেনিং করতে আসেন মিরাজ ও শান্ত। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন মিরাজ, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শান্ত। সিলেটের বোলারদের শাসন করে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলেন দুজন।

    পরে চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির স্বাদ পান মিরাজ। ৩১ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে সাজান তিনি। পরে ১১৫ রানের সময় খুলনা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত। শান্তকে ফেরান ৪১ রানে।

    এরপর রুশোও ১৫ রানে আউট হয়ে গেলে মুশফিককে সাথে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাজ। ১৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে পাওয়া জয়ে ৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

    এর আগে টসে হেরে সিলেটের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও রুবেল মিয়া। ফ্লেচার একপ্রান্ত থেকে ঝড় তুললেও অপর প্রান্তে টেস্টের মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রুবেল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬২ রান। ফ্লেচার ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লেসকে সাথে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার পথে ছুটেন রুবেল।

    কিন্তু চার্লস সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, ১২ বল থেকে ১৭ রান করেন তিনি। দুই রান পরেই অবশ্য ৪৪ বলে ৩৯ রান করে শহিদুলের বলে আউট হন রুবেল। একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন কোন রান না করে ফিরে গেলে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও রাদারফোর্ড। শেষদিকে দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার। রাদারফোর্ড ২০ বলে ২৬ ও মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।

    আজকের এই ম্যাচ হারের ফলে ৭ ম্যাচে মোটে ১ জয়ে প্লে-অফের আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল সিলেট থান্ডারের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)
    রুবেল ৩৯, ফ্লেচার ৩৭, রাদারফোর্ড ২৬*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহিদুল ২/২৬।

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)
    মিরাজ ৮৭*, শান্ত ৪১, রুশো ১৫; রাদারফোর্ড ১/৯, এবাদত ১/২১/

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে তিন জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হার খুলনার। ঢাকা পর্বে ফিরে আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। রংপুর রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে ৫২ রানের ব্যবধান। অন্যদিকে টানা ৪ ম্যাচ হারের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরলেও ধরে রাখতে পারল না রংপুর।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

    ইনিংসের শুরুর দুই বলে টানা দুই চার মেরে ঝড়ো শুরুর আভাস দেন শান্ত। তবে পরের ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসে পরপর দুই বলে মিরাজ (১২) আর রাইলি রুশোকে (০) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর শামসুর রহমানও ১৩ রান করে বিদায় নিলে ৪৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা।

    সেখান থেকে শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৯ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ২২ বলে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। বলা বাহুল্য, চলতি বিপিএলে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথমবারের মত দুই অঙ্ক ছোঁয়া রান। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ইনিংস বড় করার কাজ করেন মুশফিক। এরই এক ফাঁকে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। ৩টা চার ও ২টা ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিক।

    পরে নাজিবউল্লাহর ২৬ বলে ৪১ এবং মুশফিকের ৪৮ বলে ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা। রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

    খুলনার দেওয়া ১৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৫ রান করে আউট হয়ে যান রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড়ের আভাস দেন নাইম শেখ। তবে স্থায়ী করতে পারেননি বেশিক্ষণ, মোহাম্মদ আমিরের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৯ বলে ২০ রান করেন তিনি। খানিক বাদে ডেলপোর্ট ৯ ও ফজলে মাহমুদ ৪ রান করে আউট হলে ৭২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    পরে লুইস গ্রেগরিও ৩৪ রান করে ফিরে গেলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। এরপর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে মাত্র ১৩০ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ফলে ৫২ রানে জয় পায় খুলনা টাইগার্স। খুলনার হয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৮২/৭ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৫৯, নাজিবউল্লাহ ৪১, শান্ত ৩০; মুস্তাফিজ ৩/২৮, গ্রেগরি ২/৩৬।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩০/৯ (২০ ওভার)
    গ্রেগরি ৩৪, মুস্তাফিজ ২১*, নাইম ২০; শহিদুল ৪/২৩ তানভীর ২/২৯, আমির ১/১৫।

    ফল: খুলনা ৫২ রানে জয়ী।

  • বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা দিয়ে খুলনার জয়রথ থামাল সিলেট

    বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা দিয়ে খুলনার জয়রথ থামাল সিলেট

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলার ঘন্টা : আন্দ্রে ফ্লেচারের ৫৭ বলে ১০৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৩৩ রানের পাহাড়সম টার্গেটে চাপা দিয়ে উড়ন্ত খুলনার জয়রথ থামিয়ে দিলো সিলেট থান্ডার্স।

    দাপুটে ম্যাচে টানা ৪ ম্যাচ পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে নিজেরাও পেয়েছে প্রথম জয়ের স্বাদ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে সিলেট।

    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচারের সেঞ্চুরি এবং জনসন চার্লসের ৯০ রানে ভর করে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার রহমতুল্লাহ গুরবাজকে ০ রানে রানে হরিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। রাইলি রুশোর ৫২ এবং রবি ফ্রাইলিঙ্কের ৪৪ রানের ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছি। তারপরেও বড় হার এড়াতে পারেনি খুনলা।

    ইনিংসের ৯বল বাকি থাকতে ১৮ ওভার তিন বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে খুলনা সংগ্রহ করে ১৫২ রান। সিলেটের পক্ষে ক্রিসমার স্যান্টোকি তিনটি এবং মনির হোসাইন ও এবাদত হোসাইন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

    সিলেট থান্ডার্সের হয়ে ১০৩ করে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার এবং ৯০ রান করেন চার্লস। মূলত এ দুজনের ব্যাটেই ওই বড় সংগ্রহ পায় ভাটি অঞ্চলের দলটি। যে ম্যাচে স্বভাবতই সেরা খেলোয়াড়টি হন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার।সিলেট থান্ডার্স

    স্কোর: সিলেট থান্ডার: ২৩২/৫ (২০)। সিলেটের হয়ে আন্দ্রে ফ্লেচার ৫৭ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৩৮ বলে ৯০ রান তুলেন জনসন চার্লস। খুলনার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া শফিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও রবিউল হক একটি করে উইকেট শিকার করে নেন।

    খুলনা টাইগার্স: ১৮২/১০ (১৮.৩)। এ দলের রাইলি রুশো সব্বোচ্চ ৫২ রান তুলেন। এ রান তুলতে তিনি খরচ করেছে ৩২ বল। তাছাড়া রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২০ বল খেলে ৪৪ রান তুলে নেন। সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন ক্রিসমার সান্তকি। এছাড়া এবাদত হোসেন ও মনির হোসেন ২টি করে এবং নাভিদ উল হক নেন ১টি উইকেট।