বিপিএলের চলমান আসরে একেবারে বিপরীতমুখী অবস্থান খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রেঞ্জার্সের। নিজেদের খেলা ৩ ম্যাচের তিনটাতেই জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। অপরদিকে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারছে না রংপুর। আজ খুলনার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের মধ্য দিয়ে টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল দলটি।
এদিন দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে খুলনার সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি ব্যর্থ টাইগার্স ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিরেছেন মোটে ১ রান করে। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোকে নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কম যাননি রুশোও। দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তোলে খুলনা।
তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে গুরবাজকে সাজঘরের পথ ধরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। গুরবাজ আউট হলেও মাত্র ২৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন রুশো। পরে মুশফিককে সাথে নিয়ে দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
খুলনার ৮ উইকেটে পাওয়া বিশাল জয়ে রুশো অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রান নিয়ে। অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এর ম্যাচ হারের ফলে সিলেট থান্ডারের মত টানা ৪ ম্যাচ হারের স্বাদ পেল রংপুর রেঞ্জার্স।
এর আগে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাইম শেখ। তবে গত ম্যাচে নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও আজ মোহাম্মদ আমিরের বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়েছেন শাহজাদ। টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা নাইম গত ম্যাচে ৮ রান করে রান আউট হলেও আজ আবার ঝড় তুলেছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৯ রান।
মাঝে পেসার শফিউল ইসলাম ক্যামেরুল ডেলপোর্টকে ৪ ও নাদিফ চৌধুরীকে ০ রানে সাজঘরে ফিরালে বড় রানের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। শেষদিকে ফজলে রাব্বির ৪২ রানের সাথে লুইস গ্রেগরির অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের পুঁজি পায় রংপুর রেঞ্জার্স। খুলনার টাইগার্সের হয়ে শফিউল ৩ এবং আমির ও শহিদুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩৭/৯ (২০ ওভার)
নাইম ৪৯, রাব্বি ৪২, গ্রেগরি ২২*, শফিউল ৩/২১, আমির ২/২৪, শহিদুল ২/৩২।
খুলনা টাইগার্স: ১৩৮/২ (১২.৩ ওভার)
রুশো ৬৬*, গুরবার ৩৭, মুশফিক ১৭*; মুস্তাফিজ ১/১৮, মুগ্ধ ১/২৮।
ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।