Tag: খুলনা

  • খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    টস জিতে আগে ব্যাটিং করে রাজশাহীকে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জেমকন খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল। আগের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা আনিসুল এই ম্যাচে বড় স্কোর করতে পারেননি। মাত্র দুই রান করেই আল-আমিনের বলে আউট হন তিনি।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দলের অধিনায়ক শান্তর দারুণ শুরুর পর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন রনি তালুকদারও। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৪৭ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রান করা রনিকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। রনির বিদায়ের পরেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংস আরও লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

    ৩৪ বলে ৫৫ রান করে রিশাদের এল্বিডব্লিউর শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে দলের জয়ের কাজটা সহজ করেন দেন ফজলে মাহমুদ। আশরাফুল ক্রিজে থাকলেও কিছুটা ধীর গতিতে খেলেন তিনি। তবে অন্যপাশে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ফজলে। ফজলে-আশরাফুলের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল।

    ১৬ বলে ২৪ রান করা ফজলেকে বোল্ড আউট করেন শহিদুল। তবে শেষ পর্যন্ত আশরাফুলের অপরাজিত ২২ বলে ২৫ রান এবং নুরুল হাসানের ৭ বলে অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ৬ উইকেট এবং ১৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজশাহী।

    এর আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতেই উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। শুরুতেই ইমরুলকে হারায় খুলনা। অবশ্য এনামুল হক বিজয় এবং সাকিব আল হাসান ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। মুকিদুলের ওভারে দুই চার মেরে ওই ওভারে পুল করতে গিয়ে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

    এই ম্যাচে এনামুলও বড় কিছুর আশা জাগিয়েছিলেন। তবে ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসটি থামে দলীয় ৪৫ রানে। মেহেদির দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ এবং জহুরুল। তবে শেষদিকে শামিম হোসেনের ঝড়ো ৩৫ রানের ইনিংস এবং আরফুলের অপরাজিত ৪১ রানের উপর ভর করে ১৪৬ রান করে খুলনা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    জেমকন খুলনা ১৪৬-৬ (ওভার ২০)

    আরিফুল ৪১*, শামিম ৩৫: মুগ্ধ ২-৪৪

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৪৬-৪ (ওভার ১৭.২)

    শান্ত ৫৫, রনি ২৬, আশরাফুল ২৫*: আল-আমিন ১-১৩

    ফলাফলঃ ৬ উইকেটে জয়ী রাজশাহী।

  • শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনাকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন আরিফুল হক। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ ফরচুন বরিশালের মুঠো থেকে বের করে আনেন তিনি।

    মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তামিমের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান পারভেজ হোসেন ইমন (৪২ বলে ৫১)। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১০ বলে ২১, তামিম ১৫ বলে ১৫ ও তাসকিন আহমেদ ৫ বলে অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলেন।

    খুলনার পক্ষে শহিদুল আলম চারটি উইকেট শিকার করেন তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার গড়ে। দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। ৩ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন ১৩ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান।

    অবশ্য বোলিংয়ের খুলনার সাফল্য মিলিয়ে যায় ব্যাটিংয়ের সময়। তাসকিন-সুমন খানদের বোলিং তোপে রিয়াদ-সাকিবরা প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে ব্যর্থ হন। প্রথম ওভারেই তাসকিন শিকার করেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসকে। সাকিব (১৩ বলে ১৫) ও রিয়াদ (১৬ বলে ১৭) প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

    সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। জহুরুল ২৬ বলে ৩১ ও শামিম ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন। আরিফুল হকের ধীরগতির ইনিংস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল। তবে নিজের শক্তিটুকু বুঝি শেষ ওভারের জন্য জমা রেখেছিলেন হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত এই ব্যাটসম্যান।

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। তামিম বল তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে আরিফুল অবিশ্বাস্যভাবে দলকে জয় এনে দেন ১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই। বরিশালের পক্ষে তাসকিন ও সুমন দুজনই শিকার করেন দুটি করে উইকেট। হারের তেতো স্বাদ পাওয়া মিরাজ ৩.৫ ওভারে বিলি করেছেন ৩৬ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : জেমকন খুলনা

    ফরচুন বরিশাল : ১৫২/৯ (২০ ওভার)
    ইমন ৫১, হৃদয় ২৭, অঙ্কন ২১, তামিম ১৫
    শহিদুল ১৭/৪, শফিউল ২৭/২

    জেমকন খুলনা : ১৫৫/৫ (১৯.৫ ওভার)
    আরিফুল ৪৮*, জহুরুল ৩১ শামিম ২৬
    সুমন ২১/২, তাসকিন ৩৩/২

    ফল :জেমকন খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী।

  • খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

    খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

    দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে খুলনায়। এজন্য ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    আজ সোমবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুমোদনের কথা জানান।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সকল বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।’

    তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে।

    খসড়া আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের ৪ থেকে ৬ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। ৯ ধারা ও ৪৩ ধারায় যথাক্রমে পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ রয়েছে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রোগীর স্বজনদের হামলায় চিকিৎসকের মৃত্যু

    রোগীর স্বজনদের হামলায় চিকিৎসকের মৃত্যু

    খুলনায় রোগীর স্বজনদের হামলায় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৬টায় শেখ আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহানগরীর রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রাকিব (৫৯) মারা যান। রাকিব উদ্দিন বাগেরহাট মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ছিলেন।

    নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যা ৭টায় বাংলানিউজকে বলেন, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।

    তিনি আরও জানান, ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ১৫ জুন রাতেই এ ঘটনায় সম্ভাব্য হামলাকারী রোগীর স্বজন কুদ্দুস, আরিফ, সবুরসহ কয়েকজন মহিলা। তারা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আমার বড় ভাই ডা. রাকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ডা. রাকিবের দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। মেয়ে এবার এসএসসি পাস করেছে। ছেলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে বলেও জানান তিনি।

    তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর খুলনা সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করতে গেলে পুলিশ নানান তালবাহানা করে আমাদের ঘুরিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ নেই।

    এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, ডা. রাকিবের মৃত্যুর খবর শুনে রাইসা ক্লিনিকে গিয়েছি। এখনও চিকিৎসকের মরদেহ আবু নাসের হাসপাতালে রয়েছে।

    আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী জানান, মাথায় আঘাতের কারণে তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ নিহতের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খুলনায় করোনা আক্রান্ত নারীকে যৌন হয়রানি

    খুলনায় করোনা আক্রান্ত নারীকে যৌন হয়রানি

    করোনার ভয়ে তটস্থ সমগ্র পৃথিবী। বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর মিছিল। দেশের হাসপাতালগুলো রোগী সামলাতে হিমশিম। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় রোগীর কাছে ঘেঁষতে পারেন না যে কেউ। তবু এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক নারীকে হাসপাতালে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।

    হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত (আউট সোর্সিং) নজরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

    সোমবার (১৫ জুন) বিষয়টি প্রকাশ পেলে হাসপাতালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং নজরুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    জানা যায়, গত ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই গৃহবধূ করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকেই নজরুল ইসলাম তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। রাতের বেলায় নানা অজুহাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। এছাড়া গভীর রাতে মহিলা ওয়ার্ডে এসে অন্য নারীদের ব্লাড প্রেসার মাপা বা অক্সিজেন দেওয়ার অজুহাতে তাদের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়ার চেষ্টা করতো।

    ভূক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করেন, গত শনিবার (১৩ জুন) রাতে নজরুল মহিলা ওয়ার্ডে এসে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে অপারেশন থিয়েটারে আসতে বলে। না আসলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেয়।

    বিষয়টি তিনি ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের জানিয়ে অপারেশন থিয়েটারে গেলে নজরুল তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। এসময় অন্য রোগীরা তাকে ঘেরাও করে বিষয়টি নার্স ও ডাক্তারদের অবহিত করেন।

    খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, এটি জঘন্যতম অপরাধ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ ধরনের অপরাধে আমরা হতভম্ব। অভিযুক্তকে বাদ দেয়া হয়েছে।

    এদিকে, মহিলা ওয়ার্ডে একজন পুরুষকে দায়িত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পরিচালক ডা: মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, অভিযোগ ওঠার পর নজরুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষরা কেন দায়িত্বে ছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • খুলনায় প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেয়া করোনা রোগীর মৃত্যু

    খুলনায় প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেয়া করোনা রোগীর মৃত্যু

    খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তানভীর আলম বাবু (৩২) নামে এক যুবক মারা গেছেন।

    রোববার (৩১ মে) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

    খুলনায় প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেয়া করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন তানভীর। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তানভীর রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে। গত ২৪ মে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন।

    খুলনার করোনা বিষয়ক মুখপাত্র মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, তানভীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার অ্যাজমাসহ স্থুলতা ছিল। তাকে সুস্থ করার সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছিল। গত ২৮ মে বিকেলে তানভীরের দেহে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। খুলনায় প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেয়া করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন তানভীর। তিনি মা-বাবার একমাত্র ছেলে।

    এদিকে তানভীরের মৃত্যুতে বাবা-মা ও তার স্ত্রী বিপাশা আলমসহ পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। তানভীর ঢাকার একটি মোবাইল সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত, এ নিয়ে খুলনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হলো। এর আগে রূপসায় দুইজন ও দিঘলিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • পানিতে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কয়রাবাসীর ঈদের নামাজ

    পানিতে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কয়রাবাসীর ঈদের নামাজ

    আজ ভয়াল ২৫ মে। ২০০৯ সালের এ দিনেই উপকূলীয় অঞ্চলে আইলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়। আইলায় খুলনার উপকূলীয় কয়রার বাঁধ ভেসে যায়। কিন্তু ১১ বছরেও তা নির্মিত হয়নি। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে তছনছ হয়ে গেছে সব। এখন কয়রার মানুষ নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি করছেন। আইলার আঘাতের সেই দিবসেই এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ওপর পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই কয়রাবাসী ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে তারা আবার বাঁধ মেরামতের কাজে নেমে পড়েন।

    দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়েই নামাজ শেষে সেমাই খেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি উৎসবে নামেন। দুপুরে তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে খিচুড়ির। এভাবেই ঈদের দিন বাঁধ মেরামতের উৎসব পালন করছেন আইলা ও আম্পানে ক্ষতবিক্ষত হওয়া কয়রার মানুষ।

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলার আঘাতে কয়রার পাউবোর বেড়িবাঁধের ২৭টি পয়েন্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। ২০ মে আম্পানের আঘাতে কয়রার বেড়িবাঁধের ২৪ পয়েন্ট ভেঙে আবারও লোনা পানিতে সয়লাব হয়।
    আইলায় আঘাতের পর দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬নং কয়রা, ৪নং কয়রার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মহারাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক এলাকার বেড়িবাঁধ অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত ১১ বছর ধরে কয়রার মানুষ এসব বেড়িবাঁধ সংস্কার করার আন্দোলন করে। আইলার ৩ বছর পর ২০১২ সালে পবনা বাঁধ, হারেজখালি, পদ্মপুকুর, শিকারিবাড়ি, পাথরখালি বাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে কয়রার ৬টি ইউনিয়নের কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত মাটি পড়েনি।

    পাউবো সূত্র অনুযায়ী, আইলার পর ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১’ এর আওতায় খুলনাসহ উপকূলীয় ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণে বৃহৎ প্রকল্প ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার দাকোপে ৩১ নং পোল্ডার এবং বটিয়াঘাটায় ৩০ ও ৩৪/২ পোল্ডারে বাঁধ পুনঃসংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নিয়ে মানুষের আতঙ্ক কমেনি। ২০১৯ সালের ৪ মে ঘূর্ণিঝড় ফনী ও ১১ নভেম্বর বুলবুলের সময় উপকূলীয় কয়রা ও দাকোপে বড় আতঙ্ক ছিল বেড়িবাঁধ। আর গত ২০ মে আম্পানের সময় এ আতঙ্ক প্রবল হয়ে ওঠে। আম্পানের আঘাতে কয়রার বাঁধ ধ্বসে যায়। সমগ্র কয়রা এখন লোনা পানির বদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছে।

    কয়রার বাসিন্দা সিরাজুদ্দৌলা লিঙ্কন বলেন, আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়রায় আসেন এবং এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার। তারপর কয়রা এলাকায় বাঁধ নির্মাণে প্রতি বছরই অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু এ অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হয় তা মনিটরিং করার কেউ ছিল না। ফলে বাঁধ নির্মাণের নামে কথিত ‘জরুরি কাজ’ অজুহাতে বাঁধের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট হয়। এখন যার খেসারত দিচ্ছে কয়রাবাসী।

    কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, কয়রার মানুষ বাঁধ মেরামত না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। কারণ বাঁধ আটকাতে না পারলে লোনা পানির মধ্যে বসবাস করা কঠিন হবে। কয়রার মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, বাঁধ চায়। তাই সবাই মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করলেও তাদের পেটে দানা পানি প্রয়োজন। উপজেলা প্রশাসন সেটুকুর জোগান দিয়ে লোনাপানিতে বিধ্বস্ত মানুষগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
    দক্ষিণ বেদকাশীর বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, আইলায় বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মানুষ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু আম্পানে ঘর বাড়ি, বাঁধ সবই। তাই মানুষের ন্যূনতম আশ্রয় নেওয়ার অবস্থাও নেই। বাধ্য হয়ে এখন মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে আগে বাঁধ নির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাদা জলে নেমে পড়েছেন।

    কয়রা উপজেলার ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ঢালি বলেন, বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনীহার কারণেই আজ কয়রার মানুষকে লোনা পানিতে ডুবতে হল। জোড়াতালির কাজ কোনও কাজেই আসেনি। কিন্তু অর্থের অপচয় হয়েছে।

    উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, আইলার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আন্দোলন ধুলিষ্যাৎ করে দিলো আম্পান। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে এখন কয়রার মানুষকে এত ভোগান্তি পোহাতে হত না।
    কয়রা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, আইলার পর থেকে এ জনপদের মানুষ বেড়িবাঁধ নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছেন। আম্পানের আঘাতে সেই যুদ্ধ আবার নতুনভাবে শুরু করতে হল।

    কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রাবাসীর বেড়িবাঁধ নিয়ে আন্দোলন ২৫ মে থেকে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে। এখন পর্যন্ত টেকসই বাঁধ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব কিছু ঠিকাদার দিয়ে করা কাজের মান ছিল নিম্মমানের। ফলে আম্পানের আঘাতে সেসব স্থানই আগে ভেঙেছে আর এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখানে ভালো ফসল হয়, মাছ চাষ হয়। এখন কয়রার মানুষ বাঁধ চায়। ত্রাণের দরকার হবে না। প্রয়োজন টেকসই বাঁধ।

    কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহ বলেন, আইলা বিধ্বস্ত কয়রা এখন আম্পানে বিধ্বস্ত হয়ে আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে। কয়রার ৪টি ইউনিয়রে সমগ্র এলাকা লোনা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কয়রার মানুষ এখন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা ঈদের দিন বাঁধের ওপরই নামাজ আদায় করে সেমাই খেয়ে মেরামতে নেমে পড়েছেন। দুপুরে তাদের জন্য খিচুড়ির আয়োজন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ২৪ ঘণ্টা সারাদেশ ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার সন্ধ্যার দিকে প্রথম সুন্দরবনে আঘাত হানে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। প্রবল বেগের এই ঝড় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দেয়।

    রাত দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং নৌকাডুবিসহ দেশের বিভিন্ন উপকুলীয় অঞ্চলে নানা দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

    বুধবার বিকেল থেকে আম্পান উঠে আসতে শুরু করে স্থলভাগের দিকে। ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগের এই ঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে উপকূলের ১৯ জেলায় অন্তত ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে।

    আবহাওয়া অফিস সূত্রে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১৩৫ কিলোমিটার বেগে যশোর অতিক্রম করছিল। রাত পৌনে ৩টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঝিনাইদহে অবস্থান করছে। তবে এটি ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।

    জানা যায়, আম্পানের মূল কেন্দ্র দিঘা, উড়িশার পর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অতিক্রম করতে শুরু করে। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পশ্চিম উপকূলে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে জোয়ার শুরু হলে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়। এতে প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা।

    প্রবল ঝড়ে গাছচাপায় সাতক্ষীরা শহরে গৃহবধূ, যশোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-মেয়ে, পটুয়াখালীতে শিশুসহ দু’জন, কলাপাড়ায় নৌকাডুবিতে একজন, পিরোজপুরে দেয়ালচাপায় একজন, ভোলার চরফ্যাসনে গাছচাপায় একজন, বরগুনায় একজন এবং লক্ষ্মীপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    এবারও সুন্দরবন ঢাল হয়ে দাঁড়ানোয় উপকূলীয় জনপদে জীবন ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে, বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অনেক বাঁধ। গাছপালা উপড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার ৫১ লাখের মতো গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর আগেও সিডর-বুলবুলের আঘাত আসে সুন্দরবনে। এই সুন্দরবনই বাঁচিয়ে দেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    এদিকে, আম্পানের সার্বিক পরিস্থিতি গণভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। গতকাল দুপুরের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয় বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • খুলনার মার্কেট ও দোকানপাট ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

    খুলনার মার্কেট ও দোকানপাট ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

    যশোর (খুলনা) প্রতিনিধি :খুলনার সব মার্কেট ও দোকানপাট পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে ফের খুলছে ।

    সোমবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা চেম্বার অব কমার্স, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র,খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পৃথক পৃথক সভায় বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এর আগে গত( ১০ মে) সরকারি সিদ্ধান্তে খুলনার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছিল। ডাকবাংলো কেন্দ্রিক ১১টি মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৫ মে ফের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।

    খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ, সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলার শর্তে মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।

    ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্কেট খোলার সিদ্ধান্তের পর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতারা আবার বৈঠক করেছেন। বৈঠকে নগরীর ক্লে রোড এবং সিমেট্রি রোডের একাংশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি মার্কেটের সড়ক একমুখী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেছেন, ডাকবাংলোকেন্দ্রিক ১১টি মার্কেট ও পার্শ্ববতী এলাকার দোকানপাটে নারী ও শিশুরা প্রবেশ করতে পারবে না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয় (more…)

  • খুলনায় ট্রাক চাপায় শিশু নিহত

    খুলনায় ট্রাক চাপায় শিশু নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।যশোর (খুলনা) প্রতিনিধি:-খুলনার রূপসায় বালু বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মীম (৭) নামের ১টি শিশু নিহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে রূপসা উপজেলার খুলনা-মংলা সড়কের বাগমারা লকপুর ফিসের নামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত মীম উপজেলার নিকলাপুর গ্রামের পরিবহন সুপার ভাইজার (কন্ট্রাক্টর) মো. ইব্রাহিম হোসেন ঝুনার মেয়ে। তারা লকপুর ফিসের সামনে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।

    রূপসা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম জানান, শিশু মীম রাস্তা পার হওয়ার সময় বালু বোঝাই ১টি ট্রাক তাকে চাপা দেয়।

    এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে, ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে চালক ট্রাক ফেলেই পালিয়ে যায়। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • স্বর্ণ চুরি চক্রের হোতা সাবেক মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী আটক

    স্বর্ণ চুরি চক্রের হোতা সাবেক মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী আটক

    খুলনা মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আক্তার মুক্তাকে (৩২) আটক হয়েছেন।

    তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, সাদিয়া আক্তার মুক্তা ওই স্বর্ণ চুরি চক্রের মূল হোতা।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মো. এহসান শাহ এই মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জানা যায়, মুক্তার বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ ভরি ৩ আনা চোরাই স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খিলগাঁ থানাতেও স্বর্ণালঙ্কার চুরির মামলা রয়েছে।

    গত সোমবার মুক্তাকে আটক করা হলেও অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত চোরাই স্বর্ণালঙ্কার চক্রের সহযোগী ফারুক ও আব্দুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

    মুক্তা নগরীর সোনাডাঙ্গা গুহা রেষ্টুরেন্টের মালিক শুকুর আলীর স্ত্রী।

    জাতীয় শ্রমিক লীগের খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ বলেন, মুক্তা মহিলা শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তার কোন পদ নেই। এমনকি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়।

  • খুলনায় পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠিত

    খুলনায় পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠিত

    খুলনায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (১ মার্চ) সকালে খুলনা পুলিশ লাইনে শোক র‌্যালি, শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান, আলোচনা সভা ও নিহতদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

    জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পুলিশ মোমেরিয়াল ডে পালিত হচ্ছে।

    দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সমাজ সেবক, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ কর্মকর্তা ও নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।