Tag: খুলশী থানা

  • পুলিশকে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হলেন চট্টগ্রামের সুদীপ্ত হত্যার আসামি

    পুলিশকে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হলেন চট্টগ্রামের সুদীপ্ত হত্যার আসামি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার আসামি মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ। গ্রেফতারের আগে জাহেদেও ছোড়া পাথরের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    শনিবার দিবাগত রাত (১৮ জানুয়ারী) ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড় এলাকায় পুলিশ ধাওয়া করে আসামি জাহেদকে গ্রেফতার করে।

    এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রতন ও কনস্টেবল মো. মনির।

    পাথর নিক্ষেপের ঘটনা এবং জাহেদকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী।

    তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে আমাদের থানা পুলিশের একটি টহল টিম ইস্পাহানী মোড়ে কর্তব্য পালন করছিলেন।
    এসময় সন্ত্রাসী জাহেদ তার সহযোগীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ করে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে ধাওয়া করে জাহেদকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যান।

    ওসি বলেন, গ্রেফতার মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এ হত্যা মামলায় সে আগে গ্রেফতার হলেও পরে সে জামিনে মুক্তি পায়।

    জাহেদ লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুদীপ্ত হত্যা মামলায় কারাবন্দি দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আরো খবর : সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পিবিআই তদন্ত শুরু করার পর দিদারুল আলম মাসুমসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।

  • পাঁচলাইশের ত্রাস ‘ইয়াবা শামসু’ গ্রেফতার : অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

    পাঁচলাইশের ত্রাস ‘ইয়াবা শামসু’ গ্রেফতার : অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থানা এলাকার ত্রাস হিসাবে পরিচিত শামসুল আলমকে (ইয়াবা শামসু)কে গ্রেফতার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশিয় এলজি ও ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

    শনিবার রাতে নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা নিয়ে শামসুকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী।

    তিনি বলেন, গ্রেফতার শামসু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্র ও মাদক আইনে তাকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।

    সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার শামসু জীবন নির্বাহের তাগিদে ৩০ বছর আগে যশোরের কাঁশিপুর ঝিকিরগাছা গ্রাম থেকে নগরীর দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে রিকশা মিস্ত্রি আবেদ আলীর সরকারি পরিত্যক্ত জায়গায় অবস্থান করে নেন। ১৭ বছর আগে ষোলশহর রেলস্টেশনের একটি কলোনিতে সে বসবাস শুরু করেন।

    কয়েক বছর না যেতে না যেতেই সেখানে সে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার অপরাধ কর্মকাণ্ডে তার তিন সন্তান শাহ আলম, শামসু ও সেলিমও যুক্ত হয়।

    গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসাসহ ছিনতাইয়ের মত নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে এলাকার মানুষ তাদের বিতারিড় করে। এরপর ছিন্নমূল বাংলা বাজার এলাকায় সরকারি পরিত্যক্ত জমিতে টায় নিয়ে ধীরে ধীরে মাদক ব্যবসার বিস্তার শুরু করে।

    পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে টোকাই শামসু বনে যায় কোটিপতি। এরপর বিয়ে করে বার্মা কলোনির কুলছুমা বেগমের মেয়ে জেসমিন আক্তার ঝর্ণাকে। ওই পরিবারের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে।

    ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী সামশুকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তার অত্যাচারে মাইজপাড়া, রুবি গেট, সিএন্ডবি, হিলভিউ, রহমান নগর এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো বলে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে।

  • খুলশীর বাসায় মিলছে স্ত্রীর মরদেহ,রয়েছে আঘাতের চিহ্ন : স্বামীর খোঁজে পুলিশ

    খুলশীর বাসায় মিলছে স্ত্রীর মরদেহ,রয়েছে আঘাতের চিহ্ন : স্বামীর খোঁজে পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা ঝাউতলা এলাকার নিজ বাসা থেকে রোজী আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঝাউতলায় ডিজেল কলোনির জনৈক আবুল কাশেমের ভাড়া বাসাটিতে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটির হাত বাঁধা, গলায় তার প্যাঁচানো এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন পুলিশ।

    নিহত রোজী আক্তার (২০) খুলশী ঝাউতলা এলাকায় বেসরকারি পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী রেজাউল করিম (২৮) সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দ্যা গ্রামের বুদরুজ ড্রাইভার বাড়ির আবুল মনসুরের ছেলে।

    এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে নিহত রোজীর স্বামী রেজাউল করিম (২৮)। স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে এমন ধারণা থেকে স্বামীর খোঁজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম।

    পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেজাউল ও রোজীর বিয়ে হয়। ঝাউতলার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সুবাধে যাতায়াতের সুবিধার্থে গত মার্চ মাসে স্বামীকে নিয়ে ওই এলাকার রেলওয়ে ডিজেল কলোনির জনৈক আবুল কাশেমের ভাড়াঘরে উঠেন।

    বাসার খুব কাছাকাছি ছিলো রোজীর বোনের বাসা। সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনে দুপুরে ও রাতের খাবার খেতেন। হত্যাকা-ের আগের দিন রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতেও তারা দুজনে সেখানে খাবার খেয়েছেন।

    সোমবার সকালে রোজীর বোন এসে রোজীর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় রোজীর মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে।

    লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রোজীর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বললেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী।

    তিনি বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও গলায় তার পেছানো দেখে ধারণা করছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনার পর থেকে স্বামী রেজাউল করিমকে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে তিনি ধারণা করছেন স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে।

    ওসি বলেন, স্বামী রেজাউলকে গ্রেফাতারে থানা পুলিশের একটি টিম মাঠে নেমেছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যাকা-ের আসল রহস্য জানা যাবে।

  • চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি আজিজ ডাকাত ওরফে আইজ্জা ডাকাত নিহত হয়েছে। রবিবার গভীররাত আড়াইটার সময় নগরীর খুলশী থানা নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস লিমিটেড নামের আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের পশ্চিমে টিলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গরিবুল্লাহ শাহ আবাসিক এলাকার এক বাসা চুরির অভিযোগের সুত্র ধরে পুলিশ আইজ্জ্যা ডাকাতকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে ডাকাত আইজ্জ্যা ও তার সহযোগীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলি বর্ষন করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আইজ্জ্যা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিব্ধ অবস্থায় আইজ্জ্যাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রনব চৌধুরী। তিনি বলেন, গত (১৫ নভেম্বর) শুক্রবার জুমার নামাযের সময় গরীবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটি এলাকার একটি বাসায় ঢুকে এক মহিলাকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন বাড়ির মালিক।

    মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার দিন ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিসহ চালক শাহজালালকে আটক করে পুলিশ। এর পর তার দেওয়া তথ্য মতে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত জুয়েলার্স ব্যবসায়ি দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিক নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চোরাই গয়নাগুলো। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আইজ্জ্যা ডাকাতের তথ্য দেন। তথ্যমতে রবিবার গভীর রাতে আইজ্জ্যাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালায়।

    এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি এবং একটি হত্যা মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে ওসি প্রনব বলেন, আইজ্জ্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া গত তিন মাস আগে জননিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর সে জামিনে মুক্তি পায় নিহত আজিজ।

  • চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।

    আজ ৪ নভেম্বর সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাজধানী ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আরো খবর : পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সোহেল (২২)। পেশায় অটোরিকশার মিস্ত্রি সোহেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। বর্তমানে সে নগরীর আমবাগান এলাকায় বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, গতকাল রবিবার পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন সোহেল। স্থানীয় কাউন্সিলরও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেভাজন খুনী হিসেবে সোহেলকে শনাক্ত করে।

    ফলে নির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতেই খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকায় চলে যায়। সকালে ঢাকার মালিবাগের রাস্তা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে বললেন ওসি প্রনব চৌধুরী।

    এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহত নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিল ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

    হত্যার ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। এসময় সোহেলের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় সোহেল। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি ফুটেজে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এলাকার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর থেকে সোহেলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নামে।

  • পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    চট্টগ্রাম শহরের খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।

    রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিলে লাগানোর কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

    জাবেদ গ্যারেজের মেকানিক মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তাকে আটকে অভিযান শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ বলেন, ‘আমার অফিসের পাশেই ঘটনা ঘটেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। তার হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। এসময় সে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি।’

    খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় নাহিদকে নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গেছে। ঘটনার পরপরই সোহেল পালিয়ে গেছে। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • ২দিনের রিমান্ডে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী

    ২দিনের রিমান্ডে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী

    চট্টগ্রামে খুলশী থানা এলাকায় ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারীকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীন তাদের প্রত্যেককে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে রিমান্ড শুনানীর নির্ধারিত সময়ে ভারতীয় নাগরিকসহ গ্রেফতার ৫ নারীকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিন করে রিমান্ড আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে দুদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন। আরো খবর : আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

    তথ্যটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতের উত্তরাখ-ের নানকমাথা এলাকার কোমল কর (২৮), ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার রোজিনা বেগম (৫২) ও তার মেয়ে নাইমা বেগম (২৮) এবং মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার শাহনাজ বেগম (৫০) ও তার মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম (২১) এরা আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সদস্য।

    তাদের সাথে সম্পৃক্ত অন্যদের তথ্য অনুসন্ধান ও তাদের কর্মকাণ্ড এবং উদ্দ্যেশ্য জানতে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে অনুমতি দেন।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রবিবার বিকেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। নগরীর খুলশী থানার নাসিরাবাদ এলাকার মহিলা কলেজ মোড়ে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এ ৫ নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে সিএমপির খুলশী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতে নেয়া হলে আদালত আজ ২২ অক্টোবর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।