Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • আমেরিকান হাসপাতালকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান সুজন

    আমেরিকান হাসপাতালকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান সুজন

    কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (আমেরিকান হাসপাতাল) কে স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আমেরিকান হাসপাতালের সম্মুখে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে হাসপাতালটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান তিনি।

    এসময় তিনি বলেন, নাবিকদের মাঝে যৌনবাহিত রোগের চিকিৎসার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ১৯৫৬ সালে আগ্রাবাদে আমেরিকান হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাসপাতালটি তখন ছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হাসপাতালটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে চলে আসে। হাসপাতালটিতে দুইজন আমেরিকান নার্স এবং একজন ব্রিটিশ ডাক্তার ছিল, সে সুবাধে হাসপাতালটি আমেরিকান হাসপাতাল হিসেবে নামকরণ হয়। এক সময় চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালটির সুনাম থাকলেও অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনায় ধীরে ধীরে হাসপাতালটির অবস্থা নাজুক হতে শুরু করে। বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন ৭৫০ থেকে ৮০০ জন হলেও চিকিৎসক আছে মাত্র ৫ জন। এতো বিপুল সংখ্যক রোগীর জন্য এখানে পর্যাপ্ত কোন চিকিৎসা সেবা নেই। নামে মাত্র ফ্রি ওষুধ দেওয়া হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর কোন কাজে আসে না। প্রায়শই বাহির থেকে ওষুধ ক্রয় করে চিকিৎসা সেবা চালাতে হয়। এর মধ্যে কোন চিকিৎসক ছুটিতে থাকলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা আরো করুণ হয়ে পড়ে।

    সরজমিনে দেখা যায় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ রোগী টিকেট সংগ্রহ করে। স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসকের পক্ষে এতো বিপুল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। ফলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তাছাড়া করোনা মহামারীর পরে দেশে চর্ম রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময় মানুষের ভরসা পাওয়ার হাসপাতালটির এ দুর্দশার ফলে সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালটির চারিপাশে নোংরা, আবর্জনা ও ঘন জঙ্গলে ভর্তি, নেই পরিস্কার করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল। অথচ চর্ম ও যৌনবাহিত রোগীদের জন্য এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল।

    সুজন বলেন, চট্টগ্রামের আজকের যে বিশাল উন্নয়ন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সাধিত হয়েছে। না চাইতেই চট্টগ্রামের জন্য অনেক কিছুই করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের আগামী দিনের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ট যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত করার কাজ চলছে। টানেল, বে-টার্মিনালসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কাজ পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে চট্টগ্রামে ব্যাপক সংখ্যক দেশী বিদেশী মানুষের আগমন ঘটবে। তাই আগামী দিনের চট্টগ্রামের কথা মাথায় রেখে এখনই এ হাসপাতালকে উপযোগী করে গড়ে তোলা দরকার। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্যই আজকের এই মানববন্ধন।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাসপাতালটির আয়তন প্রায় .৭৯ একর। আর বিশাল এলাকা খালি থাকার ফলে জায়গাগুলোর দখল নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। আর জায়গাটি যেহেতু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তাই সরকার এখানে অনায়াসেই একটি স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করতে পারে। এখানে একটি স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করলে জনগন পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পাবে এবং সরকারেরও প্রচুর আয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

    সুজন আগামী বাজেটে এ হাসপাতালটি নির্মাণের বরাদ্দ রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান। এছাড়া চট্টগ্রামের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদেরও হাসপাতালটিকে স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

    সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক ছাত্র, যুবকসহ বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরাও এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

    নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান মিয়া, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, দেলোয়ার হোসেন তাহের, সিরাজদৌল্লা নিপু, ইউছুফ মিয়া পারভেজ, মিজানুর রহমান মিজান, ইউছুফ আলী, টিসু মল্লিক, খোরশেদ আলম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. ইমরান আহমেদ ইমু, মো. শাহজাহান, মো. নাছির, মো. আলী, এসকান্দর মিয়া, মো.মুজিব, মো. ইকবাল, সাইফুর রহমান সাইফু, মো. আলাউদ্দিন, মো. দেলোয়ার, মো. ইমরান, উৎপল দত্ত, মীর ইমতিয়াজ, মনিরুল হক মুন্না, আব্দুল কাইয়ুম, মো. সায়েম, আব্দুর রহিম জিসান, ফরহাদ বিন শুভ, রিয়াজ কাদের, হান্নান খান ফয়সাল, এহেতেশামুল আলম, আনন্দ আচার্য, অসিত দেব হৃদয়, সাদ্দাম হোসেন শুভ প্রমূখ।

  • রেলপথ মন্ত্রী-কে সুজনের ফোন; প্রভাতী ট্রেনের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ

    রেলপথ মন্ত্রী-কে সুজনের ফোন; প্রভাতী ট্রেনের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ

    ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী (আন্তঃনগর) মহানগর প্রভাতী ট্রেনের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর ২০২২ইং) সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেল ভ্রমনকালে মহানগর প্রভাতীর ৭০৪নং ট্রেনে নানারকম অব্যবস্থাপনা দেখে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন-কে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    এসময় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, রেলপথ ভ্রমণ যাত্রী এবং পর্যটকদের কাছে সবসময়ই আকর্ষণীয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এক শহর থেকে আরেক শহরে ছুটে চলাকে অনেকেই উপভোগ করেন। আর সেই যাত্রাকে রোমাঞ্চকর করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেল ভ্রমণে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। সারাবিশ্বের যাত্রী এবং পর্যটকদের কাছে রেলপথ ভ্রমণ একটি আনন্দদায়ক ভ্রমন হলেও বাংলাদেশে রেলপথ ভ্রমনটি ক্রমেই বিষাদে পরিণত হতে চলেছে।

    সরেজমিন দেখা যায় যে সিটগুলো খুবই ময়লা এবং বিবর্ণ, কোচের ভিতর দুর্গন্ধ, নোংরা আবর্জনা, টয়লেটে আলো নেই, খাবারের কোচসহ কেবিনের করিডোরে দাড়িয়ে রয়েছে অবৈধ যাত্রী। এমনভাবে কোচগুলো অবৈধ যাত্রীতে ভরপুর হয়ে আছে যে, মহিলাদের টয়লেটে যাওয়ার পথও রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যাত্রীসেবার নিদারুন অব্যস্থাপনা নিয়ে চলছে রেলগুলো। অনেকটা অসহায় হয়ে যাত্রীরা রেল ভ্রমণ করছে বলে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ। এতে করে সরকারের ভাবমুর্তিও নষ্ট হচ্ছে। অথচ একটু সদিচ্ছা এবং নজরদারি থাকলে এ খাতটি সরকারের আয়ের অন্যতম খাতে পরিণত হতে পারতো। আয় করতে পারতো বিপুল অংকের দেশীয় মুদ্রা। পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রতি যে নিদারুন অবহেলা আজকের রেল ভ্রমণ তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে। এখানে নেই কোন নতুন কোচ। বছরের পর বছর পুরাতন কোচ দিয়েই চলছে যাত্রীসেবা। তারপরও জাতীয় সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখতে রেল ভ্রমণ করলেও তা কখনোই আনন্দদায়ক হয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রেল খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরও সংকট কাটছে না। রেলের উন্নয়নে নানামূখী স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর অদক্ষতার কারণে রেলের লোকসান ক্রমেই বেড়েই চলছে। তার উপর রয়েছে টিকেট কালোবাজারির মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি। একটি জাতীয় সম্পদকে যে কিভাবে দিনের পর দিন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে রেল। চট্টগ্রামের আগামী দিনের বাণিজ্যিক গুরুত্বকে মাথায় রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিলেও সে তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একসময় লোকসানে থাকা রেলওয়েকে সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে যাত্রীবান্ধব এবং লাভজনক খাত হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমাদের জাতীয় সম্পদ রেল যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের বিশ্বস্থ যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা সকলের।

    মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করার কথা থাকলেও পথে পথে যাত্রাবিরতি শেষে একঘন্টা বিলম্বে স্টেশনে পৌঁছে বলে অভিযোগ করেন খোরশেদ আলম সুজন।

  • মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অভূতপূর্ব উন্নয়নে অবদান রাখায় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    শুধু ফসলের মাঠে নয়, ছাদ কৃষিতেও ব্যাপক আগ্রহ ও সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর এ সফলতা এসেছে কৃষিমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। একজন সফল কৃষিবিদ এবং কৃষি গবেষক হওয়ায় কৃষিমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পেরেছেন বলেই কৃষিখাতে বাংলাদেশের এ উন্নতি। এমনকি করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিশ্বে যখন অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে, খাদ্য সংকটের কবলে যখন সারাবিশ্ব, সেই কঠিন মূহুর্তে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও কৃষি উৎপাদন একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করোনাকালেও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন কৃষিমন্ত্রী।

    কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এ কারণেই করোনা মোকাবেলা শেষে অদ্যাবধি খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।

    সুজন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহবান, দুর্দিনকে রুখে দাড়ান, মুষ্টিচালের সঞ্চয়ে, অভাবে যাবে নির্বাসনে শীর্ষক প্রস্তাবনাটি কৃষিমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন সুজন।

    শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে তাঁর হেয়ার রোডস্থ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজন।

    প্রস্তবনাটি নিম্নরূপ-প্রথমত: বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১৬ কোটি ধরা হয় এবং প্রতি পরিবারে সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্য হলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ পরিবার হবে। প্রতি পরিবার যদি একবেলা আহার থেকে ১ মুষ্টি চাল সঞ্চয় করে তাহলে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মুষ্টি চাল হবে এবং দুইবেলায় তা হবে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টি চাল। যদি ২৫ মুষ্টিতে ১ কেজি চাল ধরা হয় তাহলে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টিতে হবে ২৫ লাখ ৬০ হাজার কেজি চাল প্রতিদিন। আর টন হিসেবে তা হবে দৈনিক ২,৫৬০ মেট্রিক টন চাল। মাসে যার পরিমাণ হবে ৭৬,৮০০ মেট্রিক টন চাল। এভাবে যদি সঞ্চয় অব্যাহত থাকে তাহলে বছরে হবে ৯,২১,৬০০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ মুষ্টি চাল সঞ্চয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।

    দ্বিতীয়ত: আমরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিমাত্রায় খাবারের অপচয় করে থাকি। এ অপচয় রোধে সরকার যদি একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে এবং সাথে আইনের কঠোর প্রয়োগ করে তাহলে সারা দেশে শুধু খাবারের অপচয় রোধ করে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য সঞ্চয় করা সম্ভব হতে পারে।

    তৃতীয়ত: বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, দেশে পতিত জমির মোট পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক বা ৪৩ লাখ ৯৩৩১ হেক্টর। পতিত জমি সাধারনত দুই ধরনের, অস্থায়ী পতিত এবং স্থায়ী পতিত জমি। দেশে স্থায়ী পতিত জমির সংখ্যাই বেশি। আবার দেখা যাচ্ছে যে চাষাবাদ যোগ্য জমিতে বেশি লাভের আশায় চাষাবাদ বহির্ভূত চাষ হচ্ছে। এসব চাষও আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ রেখে শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য এসব অস্থায়ী এবং স্থায়ী পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসলে সেসব জমি থেকে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত উৎপাদন করা অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে যদি আমরা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত সঞ্চয় করতে পারি তাহলে কোন অবস্থাতেই দুর্ভিক্ষ কিংবা খাদ্য সংকট দেশের মানুষকে গ্রাস করতে পারবে না।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গুরুত্বের সাথে সুজনের প্রস্তাবনাসমূহ শ্রবণ করেন এবং প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত বলে উল্লেখ করেন। তিনি সুজনের উপস্থাপিত মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ সম্ভব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ কৃষিমন্ত্রীর।

  • প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে: সুজন

    প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে: সুজন

    আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব মুখর করতে আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসবের প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে ঢাকায় অবস্থান করায় ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে উপরোক্ত মত প্রকাশ করেন সুজন।

    ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন প্রথমেই বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দরদ এবং আবেগমাখা বক্তব্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।

    সুজন বলেন, চট্টগ্রামে এতোসব বিশাল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরেও চট্টগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বাস দেখে আমরা এ কথা অনুমান করতে পারি আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে।

    তিনি আরো বলেন, ঘুড়ি উৎসব চট্টগ্রামের একটি প্রাচীন খেলা যা নগরায়নের কারণে যা হারিয়ে যেতে বসেছিল। আজ সে ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রামের জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং দেশকে যেকোন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করতে চট্টগ্রামের জনগন সর্বদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছেন। দেশের যেকোন আন্দোলন সংগ্রাম চট্টগ্রাম থেকেই সূচিত হয়েছে ঠিক তেমনি সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অবস্থান সে অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে চট্টগ্রামবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে থেকে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেটা জানান দিতেই আজকের ঘুড়ি উৎসব।

    সুজন আরো বলেন, একসময় ফ্লাইওভার দেখার আক্ষেপ থাকলেও সে আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। না চাইতেই চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন হওয়ার পথে। পানির নীচে সুড়ঙ্গ পথে গাড়ি চলাচলের যে স্বপ্ন ছিল তা টানেল নির্মাণের মাধ্যমে বাস্তবে রূপদান করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশাল গৌরবের।

    নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখান না, উনি বাস্তবে রূপ দান করেন। চট্টগ্রামের এতো এতো উন্নয়ন সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবতার ফসল।

    আজ আমরা অবাক তাকিয়ে রয় যে বাংলাদেশকে একসময় ক্ষুধা ও দারিদ্রের দেশ বলে সবাই উপহাস করতো আজ সে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক অপার বিস্ময় এবং তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণেই।

    অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্রীড়া সংগঠক মসিউর রহমান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড তার সুফল ভোগ করবে সমগ্র চট্টগ্রামবাসী। আগামী দিনের চট্টগ্রামকে বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধশালী নগরীতে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সেজন্য সমগ্র চট্টগ্রামবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা চট্টগ্রামবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নিতে চাই।

    সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বাদক দলের মনোমুগ্ধকর দেশাত্নবোধক গানের পরিবেশনার সাথে সাথে পলোগ্রাউন্ডের বুকে শতাধিকেরও বেশি ঘুড়ি উড়িয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে পূণরায় নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেন ঘুড়ি প্রেমিকগণ।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, যুবনেতা মাহবুবুল হক সুমন, শওকত হোসাইন, ফরহান আহমদ, খলিলুর রহমান নাহিদ, রেজাউল করিম কায়সার, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আজম খাঁন, মো. ইলিয়াছ, নুরুল কবির, শফিউল আজম বাহার, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, রেজাউল করিম ইরান, মোরশেদ আলম, শাহিন সরওয়ার, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, শেখ আহমদ জাহেদ, সাহেদ বশর, হাফেজ ওকার উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, আবুল হাসান সৈকত, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, জানে আলম, মো. সেলিম, মো. মনির উদ্দিন, এহসানুল হক চৌধুরী, খন্দকার আসাদুজ্জামান, শেখ মামুনুর রশীদ, মো. বাবলু, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোঃ. শাহজাহান, জমির উদ্দিন মাসুদ, অনির্বাণ দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, শহীদুল আলম লিটন, মো. সাইফুল্লাহ আনছারী, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, শাহনেওয়াজ রাজীব, সরওয়ার্দী এলিন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, আফগানী বাবু, পাভেল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. ইমরান আহমেদ ইমু, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মন, মো. ওয়াসিম, লোকমান হোসেন, সফি আলম বাদশা, মো. ফারুক, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ার মিঠু চৌধুরী, আরাফাত রুবেল, শাহনেওয়াজ আশরাফী, মনিরুল হক মুন্নাসহ বিভিন্ন কলেজ, থানা ও ওয়ার্ড যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

  • মেয়র হজ কাফেলার হজ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    মেয়র হজ কাফেলার হজ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    দেশের ঐতিহ্যবাহী হাজী সেবা প্রতিষ্ঠান মেয়র হজ কাফেলার হাজী সাহেবানদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ শনিবার (১১ জুন) বেলা ৩ টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের নীচ তলায় অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    হজের করনীয়ের উপর গুরুত্বপূর্ন বয়ান করেন গরীবউল্ল্যাহ শাহ মসজিদের খতিব বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মাওলানা আনিসুজ্জামান এবং আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কাসেম।

    সভায় আলেমে দ্বীনগন বলেন, মোহমায়া ত্যাগ করে পরম করুনাময়ের নৈকট্য লাভের আশায় যারা নিজেকে পুরোপুরি সমর্পন করতে পেরেছে তারাই হজ্বের পূর্ণতা নিয়ে ঘরে ফিরতে পেরেছে। মেয়র হজ্ব কাফেলার হজ্ব যাত্রা পবিত্র মদিনা শরীফ দিয়ে শুরু করে হুজুর পাক সাল্লালাহু আলাইহিসালামের দোয়া নিয়ে হজ্বের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ যাত্রার মধ্যে এক মহান আধ্যাত্নিকতা রয়েছে।

    প্রশিক্ষন কর্মশালায় হজ্বের করনীয়ের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হজ্ব ইবাদতের ক্যাম্প লাইফ। হাজীগন কঠোর শৃংখলা, ধৈর্য্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং শারীরিক ও মানসিক একাগ্রতার মাধ্যমে হজ্বের ইবাদত সম্পন্ন করে থাকেন। হাজীগন হজ্বব্রত পালনের মাধ্যমে যেমন আল্লাহপাক নির্ধারিত একটি ফরজ ইবাদত সম্পন্ন করেন অন্যদিকে হজ্বের সফরে আচার আচরনের মধ্য দিয়ে নিজ দেশের সামাজিক উৎকর্ষতাকেও তুলে ধরতে পারেন। কোন অবস্থাতেই ইবাদতের মগ্ন পরিবেশ যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে খুবই সর্তক থাকতে হবে। সফরের মূল শিক্ষা আপনি পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবেন। পরিবেশকে নিজের অনুকুলে আনতে গিয়ে ইবাদতের বিঘ্ন ঘটাবেন না। মনে রাখতে হবে দেশ থেকে ভিন্নতর আবহাওয়া ও সামাজিক পরিবেশে গিয়ে হজ্বের কাজ সমাধা করতে হবে। হজ্বে এমন কোন কাজকে প্রধান্য দেওয়া যাবে না যেটা হজ্বের মূল ইবাদতকে ব্যাহত করে। আরব দেশের আইন কানুন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশকে সম্মান করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, স্বল্পমূল্যে সুশৃঙ্খলভাবে হজ্বের করনীয় পালনে হাজীদের সেবাদানের জন্য চট্টগ্রামের প্রথম নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সম্পূর্ন অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কতিপয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে নিয়ে মেয়র হজ্ব কাফেলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    মক্কা ও মদিনায় এবং জমারায় থেকে নির্বিঘ্নে হজ্ব পালনে সহযোগিতা করাই এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। ৩০ বছর ধরে খেদমত করা এ প্রতিষ্ঠানটি এ বছর ২৪৮ জন হাজী নিয়ে মক্কা-মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন। বর্তমানে ৩১নং মুয়াল্লিম এর তত্ত্বাবধানে মক্কা-মদিনায় যাবতীয় সেবা গ্রহণ করবেন মেয়র হজ্ব কাফেলা। দীর্ঘ পথচলায় তাই সৌদি রাজকীয় সরকার বার বার সংস্থাটিকে সম্মাননা প্রদান করেছেন।

    সংস্থার অন্যতম পরিচালক আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম দেশের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় হাজী সাহেবানদের কাছে দোয়া কামনা করেন।

    প্রশিক্ষন কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্বা হাসিনা মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব মো. হাসান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, আলহাজ্ব বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন, আলহাজ্ব মুসা মিরদাদ এবং সংস্থার সিইও আলহাজ্ব একেএম নুরুল আনোয়ার প্রমূখ।

  • চট্টগ্রামের মানুষের মানবতা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে: সুজন

    চট্টগ্রামের মানুষের মানবতা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে: সুজন

    সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ পরবর্তী চট্টগ্রামের মানুষের মানবতা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে অগ্নিকান্ডে আহতদের চিকিৎসার খবরাখবর নিতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।

    এসময় সুজন বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে যেভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তা সত্যিই অনুকরণীয়। মানুষ মানুষের জন্য এ উক্তিকে স্বার্থক করে যেভাবে দল মত নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেটাই বাঙালি জাতীয়তাবাদ শক্তি। আর এ জাতীয়তাবাদ শক্তিকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা।

    বিষ্ফোরণের সময় হাজীদের কাজে মক্কা শরীফ অবস্থান করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মারফত চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষকে হাসপাতালে ছুটে আসতে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুজন।

    তিনি বলেন, এ যেন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। যেভাবে রক্ত, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার, পানিসহ অন্যান্য উপকরণ নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ হাসপাতালে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা এক কথায় অভাবনীয়। বিশেষ করে চিকিৎসক এবং নার্সরা যেভাবে অনুপ্রাণিত ভূমিকা পালন করেছে সেজন্য সকল চিকিৎসক এবং নার্সদের কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি ফায়ার সার্ভিসের যে সকল সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে জীবন দিয়েছেন তাদেরকে জাতীয় বীর ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান।

    এছাড়া যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার যাতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা পেতে পারে সেজন্য সরকারী দায়িত্বশীল সংস্থা এবং ডিপো কর্তৃপক্ষকে একসাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। যাদের অঙ্গহানি হয়েছে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদেরকেও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার আনার আহবান জানান সুজন।

    নিহত এবং আহতদের পরিবারের উপযুক্ত সদস্য থাকলে তাদেরকেও চাকুরি সহায়তা প্রদান পূর্বক সম্পূর্ণ বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করার জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান সুজনের।

    তিনি আরো বলেন, আগুনে দগ্ধ রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয় বিধায় যারা সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় হিসাবে খোলারও অনুরোধ জানান তিনি।

    সুজন বলেন, আগুনে দগ্ধ রোগীদেরকে সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখা একান্ত জরুরি। বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে আগুনে দগ্ধ পরবর্তী অবস্থা অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে দেখা দেয়। এতে করে ঐ রোগীর প্রাণহানির আশংকা বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসা কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভীড় না করার জন্য সকলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান তিনি।

    তিনি আরো বলেন, পার্কভিউ হাসপাতাল করোনাকালীন সময়েও চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো। সীতাকুন্ড ট্রাজেডিতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবতার হাত প্রসারিত করেছে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখেও সন্তোষ প্রকাশ করেন খোরশেদ আলম সুজন।

    অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম, পরিচালক ডা. সালেউদ্দিন এমএইচ চৌধুরী, ডা. আহমেদ রহিম, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তালুকদার জিয়াউর রহমান, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. শাহজাহান প্রমূখ।

  • খালের মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়াল, উদ্বিগ্ন হালিশহরবাসী: নাগরিক উদ্যোগ

    খালের মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়াল, উদ্বিগ্ন হালিশহরবাসী: নাগরিক উদ্যোগ

    খালের মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়াল, উদ্বিগ্ন হালিশহরবাসী: নাগরিক উদ্যোগ

    চট্টগ্রাম আউটার রিং রোডের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি প্রবাহের বিভিন্ন খালের মুখে অপরিকল্পিতভাবে দেয়াল নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বৃহত্তর হালিশহরবাসী। আজ শনিবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    নেতৃবৃন্দ বলেন চট্টগ্রাম শহরকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তুলে পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত শহরের পর্যায়ে রূপান্তরিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক বৃহৎ বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্ধ প্রদান করছে। ঠিক তেমনি একটি প্রকল্প হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড সড়ক যার নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। এর পাশাপশি বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প এবং বে টার্মিনাল প্রকল্পের কাজও চলমান। এ দুটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হলে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পৃথিবীর অন্যান্য আধুনিক শহরকেও ছাড়িয়ে যাবে। একদিকে টানেল, অন্যদিকে বে টার্মিনাল, অপরদিকে আউটার রিং রোডসহ নয়নাভিরাম বিনোদন কেন্দ্রে চট্টগ্রামবাসী যেন সিঙ্গাপুরের ছোঁয়া পাবে। সরকারের এতগুলো উন্নয়ন প্রকল্প যখন চলমান ঠিক সেই সময়ে আউটার রিং রোডের পূর্বপাশে অবস্থিত পতেঙ্গা, হালিশহর টু কাট্টলীবাসীর বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আউটার রিং রোডের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন অন্ততঃ পাঁচটি খালের স্লুইসগেটের পানি নিষ্কাশনের প্রবেশ মুখে বে টার্মিনালের সীমান দেয়াল নির্মাণ করছে সংস্থাটি। এর ফলে নগরীর বিশাল এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। আর এতে করেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ঐ এলাকায় বসবাসরত লাখো লাখো অধিবাসী। ইতিমধ্যে স্লুইসগেটের মুখ বন্ধ করে বে টার্মিনালের সীমানা দেয়াল নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অপরিকল্পিত এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এর পাশাপশি বিভিন্ন সংবাদপত্রও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা করে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করেছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক ও নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ওমরাহ পালনের জন্য বর্তমানে মদিনা শরীফ অবস্থানকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অবস্থান তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি উল্লেখ করেন ‘‘লালদিয়ার চরের পর পতেঙ্গা থেকে হালিশহর টু কাট্টলীবাসীদের জলে ডুবিয়ে রেখে উৎখাতের চেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের। এলাকাবাসী সোচ্চার হউন, সচেতন হউন”। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই অত্র বিশাল হালিশহরবাসীর জায়গা জমি বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বারে বারে অধিগ্রহণ করেছে। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পরও বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। বছরের নানা সময়ে অধিগ্রহণের খড়গ ঝুলতে থাকে ঐ এলাকার অধিবাসীদের ঘাড়ে। তারপরও বঞ্চিত এলাকাবাসীর মনে অতটুকু স্বস্তি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেনইবা বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে দেয়াল নির্মাণ করে বিশাল এলাকাবাসীকে পানিতে নিমজ্জিত করতে চায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত? তাহলে কি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসকের আশংকাই সত্যি ‘‘লালদিয়ার চরের পর পতেঙ্গা থেকে হালিশহর টু কাট্টলীবাসীদের জলে ডুবিয়ে রেখে উৎখাতের চেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের”। আমরা অতিসত্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের এহেন পরিকল্পনাহীন প্রকল্প বন্ধ করে সিডিএ সহ নগর পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় আবেদন জানাই। নচেৎ যে কোন প্রকার উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট প্রফেসর ফজলুল হক, রাজনীতিবিদ ইন্দু নন্দন দত্ত, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অনির্বাণ দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী প্রমূখ।

  • মুজিববর্ষে লালদিয়া চরবাসীকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করবেন না: সুজন

    মুজিববর্ষে লালদিয়া চরবাসীকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করবেন না: সুজন

    ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে লালদিয়া চরবাসীকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহবান জানান।

    এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার। এ বন্দর থেকেই দেশের শতকরা ৮০ ভাগ রাজস্বের যোগান দেওয়া হয়। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বন্দরকে ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ লাভবান হলেও চট্টগ্রামবাসী বন্দর থেকে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দীর্ঘকাল ধরেই। এ যেন চেরাগের নীচে অন্ধকারের মতো। এক শ্রেণীর লোভী বণিক সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে আজ চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দরের আশেপাশের বিশাল জায়গা জমি এবং স্থাপনা উন্নয়নের নামে লুটেপুটে খাচ্ছে তারা। অথচ যাদের জায়গা জমির উপর চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্টিত তারা আজ অবহেলিত। চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের উত্তরাধিকারদের জন্য না আছে চিকিৎসা সুবিধা, না আছে লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা। আর চাকুরি সে যেন সোনার হরিণ, সে কখনো চট্টগ্রামবাসীর কাছে ধরা দেয় না। চট্টগ্রাম বন্দরের চাকুরি এবং ব্যবসা বাণিজ্য সেই সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি। চট্টগ্রামের আপামর জনগণ বন্দরের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি চায়। সম্প্রতি লালদিয়ার চর এলাকার বিশাল জায়গা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদের পূর্বে তাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির লাইনও বিচ্ছিন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক নিদারুন যন্ত্রণার মরুভূমিতে বসবাস করছে ঐ এলাকার হাজার হাজার অধিবাসী। যা পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতাকেও হার মানিয়েছে। উচ্ছেদ আতংকে লালদিয়া চরবাসীর চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ইতিপূর্বে লালদিয়া চরের একাংশকে উচ্ছেদ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানের নিকট লীজ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানেও সে রকম কিছু করার পায়তারা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যা চট্টগ্রামবাসীর মুখে মুখে। ইতোমধ্যে তাদের মুখোশ চট্টগ্রামবাসীর নিকট উন্মোচিত হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রকারী লোভী বণিক সিন্ডিকেটের তালিকা প্রস্তুত করছে জনগন। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই কোন প্রকার পুনর্বাসন ছাড়া লালদিয়া চরবাসীকে উচ্ছেদ শুধু অমানবিকই নয়, এটা স্বাধীনতার মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

    আমরা চট্টগ্রামবাসী বন্দর কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপণ করছি। আমরা পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই উচ্ছেদ করতে গিয়ে যদি কোন রক্তক্ষয় কিংবা কোন মানুষের জীবনহানি হয় তার পরিপূর্ণ দায়দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুশোচনারও সুযোগ পাবে না। বন্দরের অভ্যন্তরে বসে কারা এসব কাজে উস্কানি দিচ্ছে তার তালিকাও চট্টগ্রামবাসীর কাছে আছে।

    এছাড়া ওয়ান ইলেভেনের সময় দূর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়া কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজের সাথে যুক্ত। চট্টগ্রাম বন্দরে বসে যারা জনগনের জমি কেড়ে নিচ্ছে, আশ্রয় কেড়ে নিচ্ছে তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে গৃহহীনদের মাঝে ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন, আশ্রয় দিচ্ছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মকান্ড যখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিএনপি জামাত চক্র প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মকান্ডকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চায়। তারা চায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য।

    তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী নদী সারা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হলেও ধীরে ধীরে কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামবাসীর জন্য অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কারণ কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে সেটাকে গ্রাস করে কর্ণফুলীর আশেপাশের জীবনধারাকে ধ্বংস করতে চায় ঐ লোপুপ দুষ্টু সিন্ডিকেট চক্রটি। বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানে কোন প্রকার সহযোগিতা না করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকটও অনুরোধ জানান তিনি।

  • রমজানকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: সুজন

    রমজানকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: সুজন

    রমজানকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সদ্য বিদায়ী চসিক প্রশাসকের উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের নীতি নির্ধারণী সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো: ইলিয়াছ’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো: হোসেন’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ ইন্দু নন্দন দত্ত, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক সৈয়দ ছগির আহমদ, দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আবদুচ ছালাম, এস এম আবু তাহের, আবদুর রহমান মিয়া, মো: হারুন, মহিউদ্দিন আহমেদ, সাইদুর রহমান, এজহারুল হক, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, কামরুল হোসেন, মো: শাহজাহান, মো: সেলিম, শিশির কান্তি বল, ডা: অঞ্জন কুমার দাশ, মো; জানে আলম, অর্নিবাণ দাশ বাবু, শেখ মামুনুর রশিদ, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল্লাহ আনছারী, সোলেমান সুমন, শহিদ উল্লাহ লিটন, নাছির উদ্দিন, মো: ওয়াসিম, জমির উদ্দিন মাসুদ, মো: সেলিম, মো: বেলাল, মনিরুল হক মুন্না, তানভীর হাসান, উৎপল দত্ত, মো: জাবেদ, মো: এমরান, সালাউদ্দিন জিকু, হাসান মুরাদ।

    এ সময় সুজন আরো বলেন, প্রতি বছরই রমজানকে কেন্দ্র করে কতিপয় অসাধু সিন্ডিকেট অহেতুক দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে তাদের সে অপতৎপরতা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। প্রতি বছর রমজানকে কেন্দ্র করে সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সে সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দাসংস্থা দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিভিন্ন কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখে। তাই সেই সময় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ঝুঁকি না নিয়ে এখন থেকেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির অসাধু তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে ঐ সিন্ডিকেটটি। যাতে রমজানকে কেন্দ্র করে তাদের অসাধু তৎপরতাগুলো লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। আমরা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে এ ধরনের সমস্ত অসাধু তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট ঐ সব সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রোধ করার জন্য এখন থেকেই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সাথে রমজানের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এখন থেকে সরকারের পর্যাপ্ত মজুদ রাখার জন্য বিনীত আবেদন জানাই।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাদের জায়গাজমি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কলকারখানা সহ নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হুকুম দখল করে নিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, হুকুম দখলকৃত জায়গা যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলে হুকুম দখল করা হয়েছিল সে সকল প্রকল্প অদ্যবদি বাস্তবায়ন করা হয় নাই। বছরের পর বছর হুকুম দখলকৃত জায়গা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। ফলত এ সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল নামে বেনামে লুটেপুটে খাচ্ছে। এ সকল জায়গাগুলি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনেও পাওয়া যায় না। তাই হুকুম দখলকৃত জায়গাগুলো যে কারণে হুকুম দখল করা হয়েছিল সেকারণে ব্যবহার করা না হলে হুকুম দখলকৃত মূল্যে ঐসব জায়গাগুলি স্ব স্ব মালিকের নিকট ফেরত দেওয়ারও সবিনয় আহ্বান জানান সুজন।

    এছাড়া সভায় বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানে আগামী মার্চে একটি কনভেনশন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের মনীলতা ও কালিমা মুছতে পারলে সমাজ, প্রকৃতি, রাষ্ট্র ও সরকার মঙ্গলময় হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার ১৮০ দিনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের যে পরিবর্তন তার প্রধান কারিগর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি সাধুবাদ জানাই তাদের।

    আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায়ী শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন সদ্য সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আরো বলেন, বিদায় বলতে বুঝি শেষ বিদায়, তবে তা নয়। আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এই শহরে আমার জম্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা, এই শহরেই আমার মৃত্যু হবে। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ করেছি-মন্দকে পরিহার করেছি। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা -কর্মচারী আছেন। তাঁদেরকে ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ে হলেও যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন যা দৃশ্যমান। এটাই তার ভাল প্রমান। তাদের স্যালুট জানাই।

    তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভূর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দু:খ জনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরো জানান, আমি প্রশাসকের দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারন করতে চাই। আমাদের উচিত ভাল কাজকে গ্রহণ করা এবং মন্দকে প্রত্যাখান করা।

  • ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঢাকায় লবিং গ্রুপ থাকা চাই’

    ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঢাকায় লবিং গ্রুপ থাকা চাই’

    চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে ঢাকায় বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর একটা লবিং গ্রুপ থাকা উচিত বলে মত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।

    আজ সোমবার সকালে তাঁরা প্রশাসকের সাথে এক জুম কনফারেন্সে মিলিত হন। কনফারেন্সে প্রশাসক সুজন সভাপতিত্ব করেন।

    বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড.আবদুল করিম, জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, শিক্ষাবিদ হসিনা জাকারিয়া বেলা, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির কর্মকর্তা আকরাম খান, প্রকৌশলী প্রবীর সেন, স্থপতি আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য কমোডর জোবায়ের, মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।

    চসিক প্রশাসক বলেন, জুম কনফারেন্সে অংশগ্রহনকারী পরামর্শক কমিটির সকল সদস্য ৬ মাসের দায়িত্বে চট্টগ্রাম নগরীতে যে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছেন, তা সকলের জন্য অনুসরনীয় হয়ে থাকবে। পরামর্শক কমিটির সকল সদস্য প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর এই কর্মযজ্ঞের সাথে তাদের সম্পৃক্ত করায়।

    সভাপতির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন,স্বল্প সময়ের মেয়াদকালে আমি চেষ্টা করেছি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন,পরিবেশবান্ধব, মানবিক ও চিত্তের শহরে পরিণত করতে। আমি সকল কর্মকাণ্ডে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি। সফলতার বিচার ভার নগরবাসীর হাতে। চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সকল গণমাধ্যম কর্মীরা আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তারা পাশে না থাকলে আমার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, আমি সৌভাগ্যবান একঝাঁক যোগ্য মানুষকে আমার পরামর্শক হিসেবে পেয়েছিলাম। প্রশাসক ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচিত মেয়রের হাতে দায়িত্ব ভার অর্পণ করার আশা প্রকাশ করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. আবদুল করিম প্রশাসকের এই পরামর্শক কমিটি রাখা না রাখার বিষয়ে নব নির্বাচিত মেয়রের সাথে ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসককে আলাপ করার বিষয়ে মতামত দেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সার্বিক পরিবর্তনে প্রশাসক যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তার প্রতিফলন নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে বলে উল্লেখ করেন। ড. করিম প্রশাসকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নব নির্বাচিত মেয়রকে তাঁকে সাথে নিয়ে কাজ করার পক্ষে মত দেন।

    শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, জনগণের জন্য কিছু করতে হলে জনগণের সাথে মিশে যেতে হয়। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আপনি সেই কাজ সফলভাবে করতে পেরেছেন। আপনি চসিকের শিক্ষা বিভাগে যে অব্যবস্থাপনা দেখেছেন আশাকরি নব নির্বাচিত মেয়র অপ্রয়োজনীয় কলেজগুলো বন্ধ করে পাশ্ববর্তী কলেজের সাথে একত্রিকরণ করে পরিচালনার ব্যবস্থা নিবেন। এতে কর্পোরেশন আর্থিকভাবে সাশ্রয় হবে।

    দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত নব নির্বাচিত মেয়রের জন্য প্রশাককে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ রেখে যাওয়ার মত দেন। তিনি বলেন, প্রশাসক হিসেবে আপনি প্রমান করেছেন উদ্যোগী ও আন্তরিক হলে অল্প সময়েও ভাল কাজ করা যায়।

    বিজি এমইএ নেতা এম ছালাম চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে প্রশাসককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে আগামীতে আরো উচ্চ পদে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন আপনার দেখানো পথ অনুসরণ করলে নব নির্বাচিত মেয়রও সফল হবেন।

    জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান চট্টগ্রামে প্রশাসকের ৬ মাসের দায়িত্বকালে নগরীতে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বলেন, নতুন নির্বাচিত মেয়রসহ সব মহলের নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ গুলোকে খেলার উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে বলেন। তিনি প্রয়োজনে নগরীর খেলার মাঠের সংস্কারে সরকারি সহয়তাসহ,বাফুফে ও বিসিবি থেকে উন্নয়নে সহযোগিতা করা যায় বলে ঊল্লেখ করেন।

    চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা কমোডর জোবায়ের বলেন, প্রশাসক সুজন দেখিয়েছেন কিভাবে স্বল্প সময়ে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হয়। প্রশাসক সুজনের মধ্যে নেতৃত্বের সবগুণ আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কমোডর জোবায়ের বলেন, পরামর্শক কমিটির সদস্যরা সোচ্চার ছিল বলে নগরীতে প্রশাসকের দায়িত্বকালে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে।

    প্রকৌশলী প্রবীর সেন বলেন, প্রশাসক স্বল্প সময়ে অনেকটাই সফল। তবে নগরীর যানজট, হকার সমস্যা যত্রতত্র ভ্যানগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার সমস্যার সমাধান হলে চট্টগ্রাম নগরী আরো সুন্দর হতো। তবে প্রশাসক এসব সমস্যা চিহ্নিত করে যে কাজ শুরু করেছেন তা, আশাকরি নতুন নির্বাচিত মেয়র সম্পন্ন করবেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসার পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়াসাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ প্রায় ৩০-৪০ কোটি লিটার তরল বর্জ্য প্রতিদিন হালদাতে গিয়ে পড়ে কর্ণফূলীর পানিকে দূষিত করছে। তাই এই দূষণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে ওয়াসাকে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পাশের ও চকবাজার সিরাজদৌল্লা রোডের ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার মতামত দেন। কারণ এই এলাকাগুলো জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকা। তিনি সরকারি সুফল গুলো জনগণ পাচ্ছে না দেখে তা ফিরিয়ে দিতে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে বলেন।

    স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ের জন্য হলেও স্থায়ীভাবে আমাদের মনে আসন করে নিয়েছেন। দেশে তাঁর মত মেধাবী ও ভিশনারী রাজনৈতিক নেতার অভাব রয়েছে। তিনি হাতে কলমে দেখিয়েছিলেন কিভাবে কাজ করতে হয়। আমরা চাই আগামীতেও তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে রক্ষা করার চেষ্টা করতে।

  • বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। এই একুশের চেতনাকে ধারন করে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা। এই মাঘ মাস তীব্র শীতের মাস। এই মাসে বাঙালি ঘরে ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন থাকে, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আজকের এই দিনে পিঠা উৎসবের মত একটি আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের এই দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে নবান্নের ধান, পিঠেপুলির আয়োজন। মাঘের হীম শীতল পরিবেশে কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন যান্ত্রিক জীবনের একটু হলেও প্রাণের আনন্দের সঞ্চার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চসিকের লালদিঘী পার্কে চসিক আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারনে তাদের মনন জগতে গুনগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তাঁর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংস্কৃতি চেতনাকে ধারন করে এগুতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।

    পিঠা উৎসবের কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমনা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রামের কবিতা প্রেমী মানুষ ও কবি- সাহিত্যিকদের জন্য নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন করেন।

    আয়োজনের মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাঠি সাপটা, সঁই ফাকুন,তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতল পিঠা আরো কত কি।

    এসময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথি দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসেন, ইউসুফ মাহমুদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মুনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী।