Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার রোল মডেল: সুজন

    বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার রোল মডেল: সুজন

    বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার রোল মডেল বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে পাথরঘাটা গির্জায় উপস্থিত হয়ে ফাদার পংকজ প্যারালাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় সুজন বলেন, পৃথিবীর বুকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সম্ভাবনাময় এক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে সব ধমের্র মানুষ এক চেতনার অধীনে থেকে বাস করে। সে চেতনা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা। যখন গোধূলি নামে তখন একইসঙ্গে মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি এবং শাঁখের ধ্বনি জানান দেয় যে আমরা মহান বাঙালি জাতি, আমাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই।

    তিনি বলেন,সেই জন্মলগ্ন থেকেই আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ নামেই পরিচিত বিশ্বের কাছে। এখানে উল্লেখ্য যে যখন বিভিন্ন সংবাদপত্র কিংবা মিডিয়ায় আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন উৎসব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোনো উদাহরণ নেই। বতর্মান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এর সংজ্ঞা যেন পূণর্তা পেয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশে কাউকে ধমীর্য় উৎসব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার কথা ভাবতে হয় না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একে অপরের প্রতি সহমমির্তার সম্পর্ক বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেরা এগিয়ে যাচ্ছে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, এস এম আবু তাহের, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, সোলায়মান সুমন, শহীদুল আলম লিটন, আবুল কালাম আবু, মনিরুল হক মুন্না, আব্দুল মালেক, রিয়েল দত্ত প্রমূখ।

  • বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে:সুজন

    বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে:সুজন

    যারা একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করতো তারাই আজ বলছে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে এক আশ্চর্য বিষয় বলে অভিমত প্রকাশ করেন দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় দেশের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

    এ সময় সুজন বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিলে তিলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেন চ‚ড়ান্ত আন্দোলনের জন্য। ১৯৪৭ সালেই রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণা দিয়ে বাঙালির ওপর প্রথম আঘাত হানে পাকিস্তানি শাসকরা। এরপর ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে বাংলার বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।

    পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়েই স্বাধিকারের চেতনার যে স্ফূরণ ঘটেছিল তা ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সামনে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালির ওপর। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল তারা।

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে সেই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। তবে তার আগেই তিনি বাঙালির ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর বার্তা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণায় তিনি বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।

    বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলে। দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের। আর বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা।

    ইতিমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। অর্থনীতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের একটি অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে তাই সকলকে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান সুজন।

    মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে এবং আরবি প্রভাষক মাওলানা মাহবুবুর রহমান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসাইন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা গর্ভনিং কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবউদ্দিন আহমদ।

    বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা হারুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিবাবকসহ সর্বস্তরের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।

    আলোচনা সভা শেষে মাদ্রাসার বার্ষিক ম্যাগাজিন আয-যিকরা-২০১৮-১৯ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুনিরুল মন্নান আল মাদানী।

  • মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধা

    মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধা

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরই দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার(১৫ ডিসেম্বর) সকালে ষোলশহরস্থ চশমা হিল মসজিদ কবরস্থানে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোঃ আবু তাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, রশীদ আহমদ চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, শেখ মামুনুর রশীদ, মোঃ সাহেদ বশর, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ওয়াসিম, আবুল কালাম আবু, শেখ মহিউদ্দিন বাবু, মোঃ ইদ্রিস, মনিরুল হক মুন্না, মোঃ হাসনাত প্রমূখ।

    দোয়া মোনাজাত শেষে জনাব সুজন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনের সাথে তার বাসভবনে দেখা করেন এবং সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।

     

  • অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী-সুজন

    অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী-সুজন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা এ তিনটা জিনিসের জন্য চট্টগ্রাম বাসী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কোনদিনও ভুলবে না।

    মহিউদ্দিন ভাই আমাদের শিখিয়ে গেছেন, চুরি বাটপারের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে মাথা উচু করে রুখে দাড়ানোর জন্য। অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কিভাবে মাথা তুলে দাড়াতে হয় সেই শিক্ষাই দিয়ে গিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

    নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য সুজন আরো বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর জনগণের রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন। তিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে রাজনীতির সিংহাসনে বসেন নাই।দূর্নীতির বিরুদ্ধে খোরশেদ আলম সুজন

    সুজন বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিটি মুহুত্ব ছিলো মৃত্যু ঝুঁকি,প্রতিটি মুহুত্ব ছিলো তার কাছে এক একটা চ্যালেঞ্জ। সে মৃত্যুর ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার নীতি আর আদর্শের রাজনীতি করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর তার আরো একটি রুপ আমরা দেখেছি। একটি অচল পিছিয়ে পড়া শহরকে তিনি নিজ বাজেট দিয়ে করপোরেশনের অর্থ উপার্জন দিয়ে আলোকউজ্জল শহরে পরিণত করেছেন।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

    নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় মঞ্চে উপস্তিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অ্যডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

  • কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে কৃষি শুমারি করার আহ্বান সুজনের

    কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে কৃষি শুমারি করার আহ্বান সুজনের

    কৃষিজমিতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং অকৃষি খাতে জমির ব্যবহার রোধ করে কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষি শুমারি করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের নিকট আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালকের দফতরে এক মতবিনিময় সভায় উক্ত আহ্বান জানান।

    এ সময় সুজন বলেন প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমিতে স্থাপনা নির্মাণ, অকৃষি খাতে জমির ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বর্তমানে কৃষিজমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কৃষিই হচ্ছে আমাদের প্রাণ। জলবায়ু পরিবর্তন, বিরূপ আবহাওয়া, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক সব বাঁধা পেরিয়ে কৃষিই বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে কৃষিজমিকে বাচিঁয়ে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কৃষি জমিকে কোন অবস্থাতেই আবাসিক কিংবা বানিজ্যিক খাতে রূপান্তরিত করা যাবে না। তাই কৃষিজমিকে রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেই গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন বর্তমানে নগরীর প্রাকৃতিক শস্য ভান্ডার খ্যাত পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী এবং বাকলিয়ার বিশাল কৃষি জমি ক্রমান্বয়ে নগরায়নের নামে গ্রাস করে ফেলা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নগরীতে আর কোন কৃষিজমিই অবশিষ্ট থাকবে না। কিন্তু এসব এলাকার উৎপাদিত রাসায়নিক সারবিহীন শাক সবজী নগরীর চাহিদা মিটিয়ে নগরীর বাহিরে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহও করা হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন ব্যাক্তি, সরকারী কিংবা বেসরকারী স্থাপনার নামে এসব কৃষি জমি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষার্থে কৃষিজমিতে স্থাপনা করার পূর্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যেন অনাপত্তি সংগ্রহ করা হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আহবান জানান তিনি। এছাড়া কৃষি জমিতে স্থাপনা করার পূর্বে অনাপত্তি ছাড়া কেউ যেন শিল্প স্থাপন করতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতি তিনি বিনীত আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন বর্তমানে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্দি করেছে তাই পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে এ রকম দুর্যোগ হতেই থাকবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন চট্টগ্রামের অধিকাংশ কৃষক পেঁয়াজ চাষ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। সেজন্য প্রয়োজন উন্নতমানের বীজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যদি উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করতে পারে আগামী মৌসুমে পেঁয়াজ চট্টগ্রামের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করতে পারবে। বিশেষ করে রাঙ্গুনীয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে যদি কৃষিজমিতে গবেষণা করে বিভিন্ন মৌসুমী ফলমূল উৎপাদন করা যায় তাহলে আর সংকটের কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। এছাড়া হালিশহরসহ যেসব জায়গায় রাসায়নিক বিষমুক্ত সবজী, ফলমূল উৎপাদন হয় সেসব কৃষকদেরও সহযোগীতা এবং প্রনোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান সুজন।

    এসব রাসায়নিক বিষমুক্ত সবজী যাতে নগরীতে বিপণন করতে পারে সেজন্য তিনি একটি স্থান নির্ধারন করার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিভিন্ন মৌসুমী ফলও যদি কৃষি সম্প্রসারণের উদ্যোগে নগরীতে বিপণন করা যায় তাহলে নগরবাসী রাসায়নিক বিষমুক্ত ফল গ্রহণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বর্তমানে ছাদ বাগানও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাই ছাদ বাগানে কি কি সবজী বা ফলমূল রোপন করা যায় বছরব্যাপী তার প্রচারণা চালানোর জন্য উপ-পরিচালকের প্রতি আহবান জানান।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শ্রবণ করেন। তিনি নাগরিক উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন কৃষি এবং কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করার জন্য অত্র দফতরে আসা আমার জন্য এক প্রকার নতুন অভিজ্ঞতা। তিনি সংবাদপত্র এবং স্যোশাল মিডিয়া মারফত প্রাপ্ত নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি কর্মকান্ড জনহিতকর উল্লেখ করে বলেন নাগরিক সমাজ যদি এভাবে সচেতনতার সাথে এগিয়ে আসে তাহলে সমাজের অনেক অসঙ্গতি দূর হয়ে যাবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কৃষিজমিতে কোন প্রকার আবাসিক কিংবা বানিজ্যিক স্থাপনা করা যাবে না। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও ব্যাক্তি বিশেষ, সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থা অনেকটা জোর করে কৃষিজমিতে আবাসিক এবং বানিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে আর এক সময় জনগন বস্তা ভরে টাকা নিয়ে গিয়ে থলে ভরেও বাজার করতে পারবে না বলে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, কৃষককে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি রাসায়নিক সার, জ্বালানী, হাইব্রিড বীজ এবং আমদানি যোগ্য কীটনাশক সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভুর্তকি দিয়ে আমদানি করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের বাস্তবমুখী কৃষিনীতি এবং সে অনুযায়ী বাজেট সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ দেশকে কৃষি উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। কৃষিতে ভর্তুকি, সকল সার, বীজ ও সেচ ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কৃষি পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন প্রভৃতি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নকে ত্বরানিত করেছে। তিনি নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, পংকজ চৌধুরী কংকন, শাহেদ বশর, সিরাজদৌল্ল্যা নিপু, হাসান মোঃ মুরাদ, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ইদ্রিস, কামরুল হাসান রানা, হাসান মুরাদ, সালাউদ্দিন জিকু প্রমূখ।

  • গণপরিবহনে শৃংখলা এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান সুজনের

    গণপরিবহনে শৃংখলা এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান সুজনের

    গণপরিবহনে শৃংখলা এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএ উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসে উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এর দফতরে এক মতবিনিময় সভায় উক্ত আহবান জানান সুজন।

    এ সময় সুজন বলেন নাগরিক উদ্যোগ সরকারের উন্নয়নের সুফলসমূহ জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে মেলবন্ধনের কাজ করছে নাগরিক উদ্যোগ। তাই বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর নিয়ে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের বিভিন্ন অসুবিধা এবং দুর্ভোগ নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা বিআরটিএ উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এর নিকট পেশ করেন।

    প্রস্তাবনাসমূহ নিম্নরূপঃ

    ১। বিআরটিএ অফিস হয়রানি এবং দালালমুক্ত করা।

    ২। সকল প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি আরো সহজীকরণ করা।

    ৩। দ্রুততার সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর করা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের কারণে ড্রাইভাররা রাস্তায় গাড়ী চালাতে পারছে না। ফলে রাস্তায় গাড়ীর ব্যাপক সংকট। অন্যদিকে সাধারন যাত্রী সাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

    ৪। গণপরিবহন চলে এ রকম রুটের মধ্যে যে সকল রুটে সিলিং খালি আছে সে সকল রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ীর অনুমোদন প্রদান করা। এতে করে গণপরিবহন বৃদ্ধি পাবে এবং যাত্রী সাধারণ গণপরিবহন সংকট থেকে মুক্তি পাবে।

    ৫। যে সকল পারমিট ইস্যু হয়েছে সে সকল পারমিটগুলো সত্বর স্ব-স্ব মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা।

    ৬। সীতাকুন্ড সড়কে চলাচলকারী ৪নং এবং ৭নং সার্ভিসটি টাইগারপাস এবং কদমতলীর পরিবর্তে নিউমার্কেট হয়ে লালদিঘী পর্যন্ত বিস্তৃত করা।

    ৭। ফিটনেস বিহীন, ভাঙ্গা সিট, বডি ও রং বিহীন চলাচলের অযোগ্য গাড়ী রাস্তা থেকে অপসারণ করা।

    ৮। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত চালক তৈরী করা। এতে করে সড়কে দূর্ঘটনার হার অনেকাংশে কমে আসবে।

    ৯। অনলাইনে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ সহজীকরণ করা এবং লার্নার লাইসেন্স থেকে মূল লাইসেন্স প্রাপ্তির সময়কাল কমিয়ে আনা।

    ১০। মোটর সাইকেল বর্তমান সময়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কম পয়সায় দ্রুত যাতায়াতের কারণে অ্যাপভিত্তিক মোটর সাইকেল রাইড পরিসেবা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই মোটর সাইকেলের লাইসেন্স প্রাপ্তিটাও সহজীকরণ করলে সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ করা যাবে।

    ১১। বর্তমান সময়ের আতংকিত বিষয় গণপরিবহনে যৌন হয়রানি। গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের হয়রানি রোধে বাসের ভিতর গাড়ীর নাম্বার, চালক এবং হেলপারের পরিচয় পত্র দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

    ১২। প্রতিটি গাড়ীর সামনে ড্যাশ ক্যামেরা এবং ব্যাক ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা যা গাড়ীর ফিটনেস এর সাথে অর্ন্তভুক্ত থাকবে। এতে করে দূর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।

    ১৩। পুরাতন রেলষ্টেশন থেকে সীতাকুন্ড এবং বড় দারোগার হাঁট পর্যন্ত ৪০ সিটের বাসের একটি নতুন রুট চালু করা। কারণ মহাসড়কে ছোট গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ঐ এলাকায় যাতায়াতকারী সকল যাত্রীদের প্রচন্ড ভোগান্তি হচ্ছে। অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে এ অবস্থা আরো মারাত্নক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যেতে না পারার কারণে সামাজিক ব্যবস্থাও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

    ১৪। সড়ক পরিবহন আইন বলবৎ এবং সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিআরটিএর ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা।

    বিআরটিএ উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগের প্রস্তাবিত প্রতিটি প্রস্তাবনার সাথে সহমত পোষন করেন এবং এগুলো যাতে সহসাই বাস্তবায়ন করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি নাগরিক উদ্যোগকে বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ সংগঠনে আখ্যায়িত করেন এবং এ সংগঠনের সাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

    তিনি বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সাথে জড়িত পরিবহন মালিক, শ্রমিক, সুশীল সমাজ, প্রশাসন, বিআরটিএ সহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে সড়ক পরিবহন আইনটি কার্যকর করতে চলেছে। বিআরটিএ এখানে শুধু একটি পক্ষ হিসেবে কাজ করছে। সড়কে শৃংখলা আনার দায়িত্ব কিন্তু সকল পর্যায়ের জনসাধারনের। সরকার এবং সরকারের দায়িত্বশীল বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিয়ত জনগনকে সচেতন করার কাজ করছে। আমাদের সকলকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে এবং আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে নচেৎ এ আইনটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যাবে। তিনি সড়ক পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিকতার সাথে সড়ক পরিবহন আইনটি কার্যকরে ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, সিরাজদৌল্ল্যা নিপু, সাইফুল্লাহ আনছারী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ বাবলু, মোঃ ওয়াসিম, মোঃ নাছির উদ্দিন প্রমূখ।

  • তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরীর মৃত্যু রাজনীতির জন্য বিরাট শুন্যতা:সুজন

    তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরীর মৃত্যু রাজনীতির জন্য বিরাট শুন্যতা:সুজন

    বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরীর মৃত্যু রাজনীতির জন্য বিরাট শুন্যতা বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর সদরঘাটস্থ ক্লাব ৭১ এ মরহুম তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ম্মরণসন্ধ্যা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    এ সময় সুজন বলেন মরহুম তৌহিদ আলম মাহবুব ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হলেও সাধারন জীবন যাপন করতেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। নগরীর প্রতিটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনে সবসময় সামনের সারিতে থাকতেন তিনি। অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা যখন ক্ষমতার ডামাডোলে রাজনীতি কেড়ে নিয়েছেন ঠিক সে মূহুর্তে তৌহিদ আল মাহবুবের মৃত্যু রাজনীতিবিদদের জন্য এক শুন্যতা বয়ে এনেছে।

    তিনি বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শোষণমুক্ত সম্পদশালী বাংলাদেশ। নেতা-কর্মীদের লোভ লালসাকে ত্যাগ করে আদর্শিক রাজনীতি করার আহ্বান জানান সুজন। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায় তাদের কাছ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

    স্মৃতি সংসদের সভাপতি এসএম ফারুকের সভাপতিত্বে এবং এহেতাশাম রিস্তা’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, ৩০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক কমিশনার জহির আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নীলু নাগ, সাবেক যুবনেতা সাইদুর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা বেগম, আবু সাঈদ জন, কামরুল আলম শামীম, মোঃ আনোয়ার আনু, মোঃ বাবুল, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট চিশতি, মোঃ জাবেদ, তৈয়বুল আলম তাপু, মোঃ সোলেমান, মোঃ আনু, জাহিদুল ইসলাম টগর, সুমন কান্তি, রাজীব হাসান রাজন, ফয়সাল সাব্বির, আকবর হোসেন রাজন প্রমূখ।

  • অগ্নি দূর্যোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করুন : সুজন

    অগ্নি দূর্যোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করুন : সুজন

    অগ্নি দূর্যোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর কোতোয়ালী চত্বর থেকে নাগরিক পদযাত্রার উদ্বোধন শেষে সর্বস্তরের জনসাধারনের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন।

    এ সময় সর্বস্তরের জনসাধারনের উদ্দেশ্যে সুজন বলেন আগুন সভ্যতার একটি অনস্বীকার্য আবিস্কার। আগুনের আবিষ্কার মানুষকে নতুন দিগন্তের সূচনা এনে দিয়েছিল প্রাচীন সমাজে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আগুন একটি অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু এর একটু ভুল ব্যবহার এবং অসচেতনতার কারণে ঘটে যেতে পারে চরম দুর্ঘটনা, যার ফলাফল বয়ে বেড়াতে হয় আজীবন। সামনে আসছে শুস্ক মৌসুম। প্রতিবছরই এ মৌসুমে আগুন লেগে জনসাধারনের জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা একটু সচেতন হলেই কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা থেকে নিজেকে এবং প্রতিবেশীকে বাঁচাতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে আগুন শুধু ধ্বংসই করে না, মানুষের মৃূত্যুও ডেকে আনে।

    আমরা যদি সবাই নিম্নোক্ত সচেতনতা অবলম্বন করি তাহলে আগুনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পারি যেমনঃ

    ১। আগুন দূর্ঘটনা থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচার সুযোগ করে দিন।
    ২। আপনার ঘরের বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং সার্কিট অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। কোন ত্রুটি পাওয়া গেলে দ্রুততার সাথে মেরামত করুন।
    ৩। রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্যাসের চুলা বন্ধ আছে কি-না পরীক্ষা করুন।
    ৪। রান্না ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন এবং সকালে রান্না করার আগে ঘরের দরজা জানালা খুলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
    ৫। ঘরের ভিতর দিয়াশলাই এবং লাইটার শিশুদের নিকট থেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখুন।
    ৬। শীতকালে কোন অবস্থাতেই গ্যাসের চুলার উপর ভিজা কাপড়, ন্যাকড়া শুকাতে দিবেন না।
    ৭। যে সব দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রয়ের অনুমতি নেই সে সব দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন।
    ৮। অগ্নিকান্ড থেকে প্রাথমিকভাবে রক্ষা পেতে বাসা বাড়ীতে পর্যাপ্ত পানি, বালি এবং অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখুন।
    ৯। কোন অবস্থাতেই বাড়িতে দাহ্য পদার্থ রাখবেন না।
    ১০। নতুন ভবন নির্মাণের সময় যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
    ১১। গ্যাস সিলিন্ডার বাসা বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার আগে সিলিন্ডারের মেয়াদ আছে কি-না যাচাই করে দেখুন।
    ১২। অগ্নিদগ্ধ ব্যাক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করুন।

    তিনি নগরীর সেবা দানকারী বিভিন্ন সংস্থা যেমন বিদ্যুৎ, ওয়াসা ও গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সহ অন্যান্য সেবা দানকারী প্রতিষ্টানকে নিয়মিত তাদের সঞ্চালন লাইনসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার অনুরোধ জানান। এছাড়া নগরীর যে সব এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী প্রবেশ করতে পারে না সে সব এলাকায় ওয়াসাকে ওয়াটার হাইড্র্যান্ট পাম্প বসানোর অনুরোধ জানান।

    ব্যাতিক্রমী নাগরিক পদযাত্রাটি কোতোয়ালী মোড় থেকে শুরু হয়ে পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোড চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রায় বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য কেন্দ্র এবং জনসাধারনের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন খোরশেদ আলম সুজন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, নগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন শাহ, মাঈনুল হক লিমন, আব্দুস সালাম মাসুম, সাজ্জাদ হোসেন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, শওকত ওসমান মুন্না, বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ, রফিকুল মান্নান জুয়েল, সাইফুল্লাহ আনছারী, অনির্বান দাশ বাবু, নাছির উদ্দিন, মোঃ শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, আবুল কালাম আবু, সোলেমান সুমন, আশিকুন্নবী চৌধুরী, শাহনেওয়াজ রাজীব, পাভেল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, সুজন বর্মন, নাছির উদ্দিন, মোঃ ওয়াসিম, বিকাশ দাশ, আব্দুল জাহেদ মনি, রাকিবুল হাসান, ফয়সাল সাব্বির, ইবনে জামান ডায়মন্ড, মীর মোঃ ফয়সাল, মনিরুল হক মুন্না, আকবর হোসেন রাজন, মিজানুর রহমান প্রমূখ।

  • নগরবাসীর অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে সবুজ চত্বর করার আহবান

    নগরবাসীর অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে সবুজ চত্বর করার আহবান

    নগরবাসীর অনুভুতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে সবুজ চত্বর করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক সভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    সভার শুরুতে সুজন গতকাল চট্টগ্রামের সকল দৈনিক পত্রিকায় সার্কিট হাউস সংলগ্ন সবুজ চত্বর নিয়ে অভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকল সম্পাদক এবং কলাকুশলীগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, পুরানো সার্কিট হাউসটি বাংলাদেশের একটি অনন্য ঐতিহ্য। আর সাকির্ট হাউস সংলগ্ন বর্তমান শিশু পার্কটি চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসের স্থাপত্যের অংশ বিশেষ। তৎকালীন মেয়র বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চের স্মৃতিচারন বন্ধ করার হীন অপপ্রয়াসে সবুজ চত্বরটিকে পার্ক নামক জঙ্গলে রূপান্তর করে। তাই সেই পার্কটি সরিয়ে সবুজ চত্বর করা এখন সময়ের দাবী।

    তিনি বলেন নগরীর বিভিন্ন স্থানে এভাবে উন্মুক্ত জায়গাকে পার্ক করার নামে বিভিন্নজনের নিকট ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা নেওয়ার পূর্বে ইজারা গ্রহীতা চটকদার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকে কিন্তু দেখা যায় যে পরবর্তীতে সে সব পার্কসমূহ অসামাজিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়।

    তিনি আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্কের শিশুপার্কটিও সবুজায়ন করে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চসিক মেয়রের নিকট অনুরোধ জানান। এছাড়া ফয়েসলেকসহ বিভিন্ন জায়গায় বিনোদন কেন্দ্রের নামে স্থাপিত পার্কসমূহে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট বিনীত আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের নগরীর তিন ভাগের দুই ভাগ জায়গা অধিগ্রহণের নামে রেলওয়ে এবং বন্দর দখল করে রেখেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব জায়গা অধিগ্রহণ করে নিলেও বছরের পর বছর এসব জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে এসব জায়গা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্টান তাদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে। এসব অব্যবহৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করেও পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের নিকট আবেদন জানাতে চাই আপনি উদ্যোগী হয়ে চট্টগ্রামে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন। বিভিন্ন সড়কে সৌন্দর্য বর্ধন করে নগরীকে সবুজে রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তেমনি ভাবে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সম্বলিত সবুজ চত্বর নির্মাণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। চট্টগ্রামবাসী আপনার পাশে থাকবে। আমাদের শিশুদের প্রাণভরে নিঃশ্বাস গ্রহণ করার সুযোগ করে দিন। পার্কের নামে আমাদের শিশুদের খাঁচায় বন্দি করে রাখবেন না। তাছাড়া নগরীর যে সকল এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে সে সকল এলাকায় নিয়মিতভাবে দুই বেলা পানি ছিটানোর জন্যও সুজন আহবান জানান।

    মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেও নগরীর বিমানবন্দর সড়ক থেকে অবৈধ কন্টেইনার ইয়ার্ডসমূহ সরানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সভা থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

    নাগরিক উদ্যোগের সিনিয়র সদস্য সাইদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না, সালাউদ্দিন জিকু, গিয়াস উদ্দিন রিয়াজ, আজম আলী জুয়েল প্রমূখ।

  • দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত

    দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত

    দেশের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে।

    শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চন্দনপুরাস্থ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে দোয়া, খতমে কোরান, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    ঈদে মিলাদুন্নবীর আলোচনায় সুজন বলেন আল্লাহপাক নবীজিকে শুধু মুসলিম নয় সকল মানবজাতি এবং সকল সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। তিনি ছাত্র ছাত্রীকে নবীজির প্রকৃত আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের সুন্দর জীবন গড়ার আহবান জানান।

    মাদ্রাসার মুফাচ্ছির মাওলানা আনোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিবাবকবৃন্দসহ সর্বস্তরের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।

    আলোচনা শেষে দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা হারুনুর রশীদ।

  • দল, রাষ্ট্র, সমাজ সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান দরকার-সুজন

    দল, রাষ্ট্র, সমাজ সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান দরকার-সুজন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতা।

    আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে বিশাল এ সমাবেশ ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আরো বেগবান করার মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশের জনগনের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সমাবেশে সমবেত শত শত ছাত্র যুব জনতার উদ্দেশ্যে সুজন বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির এক অমূল্য আমানত।

    হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনকের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া এক টুকরো বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে সারা বিশ্বে এক প্রচন্ড বিস্ময়। বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা দারিদ্রের দেশ নয়। এক সময় যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্র খরার দেশ বলে উপহাস করা হতো শুধুমাত্র একজন শেখ হাসিনা’র যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

    তিনি বলেন, শত্রুদের শত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমাদের উন্নয়নের যাদুর কাঠি শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরাধনা আজ প্রতিটি বাঙালির। সে লক্ষ্যে দল, রাষ্ট্র, সমাজ সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান দরকার। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল যারা এতোদিন বিভিন্ন অপকর্ম করেছে তাদের মুখোশ উম্মোচন করে দেওয়াই শুদ্ধি অভিযানের মূল লক্ষ্য।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ছাত্র যুব জনতা প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে শতভাগ সফলতার অভিপ্রায় নিয়ে জানাতে চাই যারা একসময় মধ্যবিত্ত পরিবারের ছিল তারা কোন আশ্চর্য প্রদীপের ছোয়ায় আজ দেশে বিদেশে বিপুল পরিমান সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাদের আয়ের উৎস কি জনগন জানতে চায়। আজ সময় এসেছে তাদের অবৈধ সম্পদ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার। এ সকল সম্পদ দেশে ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করে উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যবহার করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে। এ শুদ্ধি অভিযানকে আরো বিকশিত করে দুর্নীতি, মাদক, ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে হবে। যারা দলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে দলের নাম ভাঙিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করছে তাদেরও চিহ্নিত করার সময় চলে এসেছে। এছাড়াও কথায় কথায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিকারী ও খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধেও কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে মাদক ধরা পড়ে, ইয়াবা ধরা পড়ে, স্বর্ণ ধরা পড়ে এরা কারা। এদের পিছনে কারা জনগন আজ তা জানতে চায়। নিশ্চয়ই কোন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী কেউ এ ধরনের অপকর্ম করে সরকারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এদের মুখোশও খুলে দিতে হবে।

    পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ৪০ টাকার পেঁয়াজ কেন ১৫০ টাকার বেশী বিক্রয় হচ্ছে? শষ্যের ভিতরের ভুুুত আগে তাড়াতে হবে। শুধু রাজনৈতিক দল নয় প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আসীন হয়ে আছেন তাদের দুর্নীতির চিত্রও জনগনের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

    আধারের রজনীশদের আর আলোতে আসতে দেওয়া হবে না বলেও হুশয়ারি উচ্চারন করেন সুজন। তিনি বলেন সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছে। এসব প্রকল্পের জন্য কতো টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে এবং কোন খাতে কতো টাকা ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এগিয়ে যান চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আপনার সাথে আছে। এ

    র আগে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল সহকারে সমবেত হয়ে পুরাতন রেল ষ্টেশন চত্বর লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।

    জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার আহবায়ক এ. এস. এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রকিবুল আলম সাজ্জির সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান, নগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, হাসানুর রহমান লিটন, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ-সম্পাদক শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মোঃ সালাউদ্দিন, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, নগর সৈনিক লীগের আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, খলিলুর রহমান নাহিদ, আব্দুস সালাম মাসুম, মোরশেদ আলম, এনামুল হক মিলন, সাজ্জাদ হোসাইন, মোর্শেদ আলী, আবুল হাসনাত বেলাল, আনিসুর রহমান ইমন, কামরুল হক, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, আবুল হাসান সৈকত, আসাদুজ্জামান মনি, সমীর মহাজন লিটন, ওয়াসিম আকরাম, সাজ্জাদ হোসেন, রাজিব হাসান রাজন, তোফায়েল আহমেদ রয়েল, আশিকুন্নবী চৌধুরী, শাহনেওয়াজ রাজিব, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, তালেব আলী, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মন, ইরফানুল আলম জিকু, খোরশেদ আলম প্রমূখ।

    সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ফেস্টুন, বাদ্য বাজনা, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি সম্বলিত বিশাল শোভাযাত্রা নগরীর পুরাতন রেল ষ্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউমাকের্ট কোতোয়ালী হয়ে ঐতিহাসিক লালদিঘীর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উৎসুক জনতা হাত নেড়ে শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানান এবং পথচারীরাও স্বতস্ফুর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন।

    শোভাযাত্রা শেষে লালদিঘীর মাঠে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার উদ্যোগে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

  • প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি : সুজন

    প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি : সুজন

    বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী প্রবাসীদের বিশেষ নাগরিক মর্যাদা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনীত আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে জামালখানস্থ একটি বেসরকারী সংস্থার কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় বসবাসরত প্রবাসীদের সাথে বিমান বন্দরে যাত্রী হয়রানি, বিভিন্ন ধরনের দুর্ভোগ এবং ভোগান্তি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

    এ সময় সুজন বলেন, প্রবাসীরা হচ্ছে দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। তারা আনুষ্টানিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে এমনকি অনানুষ্টানিকভাবেও তাদের অবদান প্রচুর। বিদেশের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী চাকুরী এবং ব্যবসা বানিজ্য করে বিপুল পরিমান টাকা পয়সা উপার্জন করছে। তাদের কষ্টার্জিত টাকাগুলো বৈধ পথে দেশে পাঠাতে গেলে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাই হুন্ডি কিংবা অনানুষ্টানিক মাধ্যমে টাকাগুলো দেশে পাঠাতে হয়। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়েই দেশের অর্থনীতির চাকা চলমান রয়েছে।

    বিদেশ বিভুঁইয়ে পরিবার পরিজন থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে থেকে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। অথচ সেই প্রবাসীরা নিজ দেশে সবচেয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত এবং নিগৃহীত। যখন তারা জীবিকার তাগিদে দেশের বাইরে যান তখন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকতাগণ তাদের সাথে নির্মম অমানবিক নির্যাতন করে থাকে। এমনকি আইনসিদ্ধভাবে বিদেশ গমণকারীদেরও আর্থিক উৎকোচ দিয়ে বিমান বন্দর অতিক্রম করতে হয়।

    এছাড়াও প্রবাসীরা যখন সাময়িক বিনোদনের জন্য দেশে ফিরে আসে তখন বিমান বন্দরে তাদেরকে পদে পদে হয়রানি এবং সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রায়শই বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রবাসীদের সাথে চোর ডাকাতের মতো আচরন করে।

    বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে বোর্ডিং লাউঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ধাপে প্রবাসী যাত্রীরা হয়রানির শিকার হন। তাছাড়া বিদেশ ফেরত যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মালামাল সংগ্রহের পর্যাপ্ত সময়সূচীও পান না ফলতঃ একজন যাত্রীকে মালামাল সংগ্রহের জন্য দুই থেকে তিনবার বিমান বন্দরে আসা যাওয়া করতে হয়। অনেক সময় প্রবাসীরা ব্যাগেজের তালা ভাঙ্গা পান যাতে পন্যও খোয়া যায়। কথাবার্তা ছাড়াই পরীক্ষার নামে প্রবাসীদের ব্যাগেজ খুলে নষ্ট করে ফেলা হয় এবং প্রায়শই অসৌজন্যমূলক আচরন করা হয়। এ সব অযাচিত হয়রানি থেকে বাঁচতে নগদ টাকা দিয়ে মুক্ত হন প্রবাসীরা। তাছাড়া প্রবেশ এবং বাহিরের সময় আনসার বাহিনীর সদস্যরাও বিভিন্নভাবে প্রবাসীদের হয়রানি করে। প্রবাসীদের ব্যাগ লাগেজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় থানা পুলিশ পূণরায় চেকিং এর নামে অযথা প্রবাসীদের হেনস্থা করে যেন একেকজন প্রবাসী একেকটি সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস।

    তিনি প্রবাসীদের জন্য ভিআইপি এবং সিআইপিরা যেভাবে সেবা পেয়ে থাকে ঠিক একইভাবে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আলাদা কাউন্টার স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।

    দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ ঘোষিত পন্য ছাড়া নানাবিধ পন্য যাতে প্রবাসীরা সহজেই আনার অনুমতি পান সে ব্যবস্থা করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। এছাড়া বিদেশী দূতাবাসগুলোও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে কিনা তা মনিটরিং করারও আহবান জানান।

    তিনি বিদেশে যে সকল চাকুরীর চাহিদা রয়েছে সে সকল চাকুরীতে প্রবাসীদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি নিশ্চিত করার জন্য ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট স্থাপনের দাবী জানান।

    তাছাড়া প্রবাসীদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোটা বরাদ্ধেরও আবেদন জানান। জনাব সুজন অনতিবিলম্বে দেশের সকল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবাসী যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করার জন্য জোর দাবী জানান।

    তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়ভাবে বিভিন্ন অবদানের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছেন ঠিক তেমনিভাবে প্রবাসীদেরও বিশেষ মর্যাদা প্রদানের জন্য আকুল আবেদন জানান। এছাড়া প্রবাসীদের প্রবাসী কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে ৬০ বৎসরের বয়সসীমা সিথিল করার অনুরোধ জানান জনাব সুজন।

    সভা শেষে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য একটি প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়। সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি উক্ত পরিষদের সমন্বয় করবেন। সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রবাসীদের সাথে আরো ব্যাপক যোগাযোগের মাধ্যমে আগামী মাসে একটি বৃহৎ আকারে কনভেনশন করার ঘোষনা দেন।

    পরবর্তীতে প্রবাসীদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে অবহিত করেন।

    এ সময় বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ.জে.এম জাহাঙ্গীর, জাকের হোসেন, এস.এম মুছা মিরদাদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবু হেনা, হোসেন সৈয়দুর জামাল চৌধুরী, কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, সহিদ উল্লা চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা, জাকের হোসেন, জামাল উদ্দিন, মোঃ ইসহাক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোরশেদ আলম, সমীর মহাজন লিটন প্রমূখ।