Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে : সুজন

    প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে : সুজন

    দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসাকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে দেশের প্রাচীনতম দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক কাউন্সিলের সাথে মতবিনিময়ে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় সুজন আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সেভাবে দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসাকেও গড়ে তুলতে হবে। মাদরাসার সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষকের শিক্ষা কার্যক্রমকে বছর ওয়ারী মূল্যায়ন করা হবে এবং সেভাবেই তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে।

    তিনি মাদ্রাসার কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য শিক্ষক এবং অভিবাবকদের প্রতি আহবান জানান।

    মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার জন্য তাদের রক্তের গ্রুপ ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করার অনুরোধ জানান তিনি। এতে করে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্ররা মানবিক মূল্যবোধে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবেন।

    তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষার আগে স্পেশাল কোচিং করানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান এবং যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের জন্য প্রয়োজনে বাহির থেকে শিক্ষক এনে কোচিং করানোর প্রস্তাব দেন। এছাড়া মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যারা ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পাবে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ভর্তির টাকাও মাদ্রাসা থেকে দেওয়ার ঘোষনা দেন।

    কোন অবস্থাতেই জঙ্গী তৎপরতার সাথে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম মাদ্রাসায় চলতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন সুজন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকীসহ শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ।

  • পেঁয়াজ বর্জন করুন : সুজন

    পেঁয়াজ বর্জন করুন : সুজন

    পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার আহবান জানিয়ে পেঁয়াজ ন খাইয়্যুম পেঁয়াজ ন কিইন্যুম শীর্ষক ব্যতিক্রমী গণপ্রচারনার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ বাজার থেকে গণপ্রচারনার উদ্বোধন শেষে ব্যবসায়ী এবং জনসাধারনের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ভারতের পেঁয়াজ সরবারহকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ যখনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তখনই কেবল পেঁয়াজের দামটা ক্ষণিকের জন্য কম থাকে। ম্যাজিষ্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করে চলে গেলে পূণরায় সিন্ডিকেট মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়।

    বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীগণ অহেতুক সিন্ডিকেট কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা এক প্রকার অনৈতিক এবং গর্হিত কাজও বটে।

    তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন আমদানীকারক, বিক্রেতা, সরবরাহকারী সবাই এ দেশের মানুষ কিন্তু তারপরও জনগনের নিত্য ব্যবহার্য্য একটি পণ্যকে নিয়ে কেন এভাবে ছিনিমিনি খেলা করা হবে।

    তিনি আরো বলেন শুধু পেঁয়াজই নয় বিভিন্ন মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সরবরাহের অজুহাতে একেক সময় একেক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দেয় আর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার জন্য বাবুর্চিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দ আজ হামিদউল্লাহ বাজার থেকে পেঁয়াজ বর্জন করার কর্মসূচী উদ্বোধন করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

    আর জনসাধারনের নিকট অনুরোধ জানিয়ে সুজন বলেন আপনারা নিত্য ব্যবহার্য উপাদান থেকে এক সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজকে বাদ রাখুন দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।

    তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে না আসলে যে সকল ব্যবসায়ীগণ পেঁয়াজ কারসাজির সাথে জড়িত আছে তাদের নাম গণমাধ্যম এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করার ঘোষনা দেন এবং ঐ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্যও আহবান জানান।

    সুজন এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মতো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, প্রিন্সিপ্যাল সুকুমার দত্ত, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম, নগর সৈনিক লীগ আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুর রহমান লিমন, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, কাজী হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, মোজাম্মেল হক মানিক, রাজীব হাসান রাজন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মোঃ শওকত প্রমূখ।

  • নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী আয়োজন

    নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী আয়োজন

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকার জনদুর্ভোগ, যানজট, দূর্ঘটনা, জলাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১২ই অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সীম্যান্স হোস্টেলস্থ লিলি কমিউনিটি সেন্টারে সেবা সংস্থা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারনের সমন্বয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ মতবিনিময় সভাটির সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ, নিউমুরিং এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা এবং জনদুর্ভোগ সভায় উত্থাপন করেন।

    স্বাগত বক্তব্যে ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়টি অত্র ওয়ার্ডে অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার ময়লা বাহী ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ঐ এলাকায় চলাচল করে ফলতঃ প্রধানতম সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ময়লার ভাগাড়ের ফলে জনগনের স্বাস্থ্য সেবাও হুমকির মুখে। এ সব বিষয় বিবেচনা করে ঐ এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার জন্য সিটি মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

    ইপিজেড থানা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শারমিন সুলতানা ফারুক বন্দর এলাকায় দুই দুইটি রপ্তানী পক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে কর্মরত রয়েছে দুই লক্ষাধিক কর্মজীবি নারী। এদের চিকিৎসা এবং প্রসূতি মা’দের চিকিৎসার সুবিধার্থে ঐ এলাকায় একটি ডে-কেয়ার, মাতৃসদন হাসপাতাল সহ একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আবেদন জানান।

    ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হাসান মুরাদ অভিযোগ করেন শুক্রবারসহ বিভিন্ন সরকারী ছুটির দিন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায় না। এছাড়া গ্যাসের চাপও খুব কম। বেশীর ভাগ সময়ই রাত ১০টার পর গ্যাস পাওয়া যায় তাও অপ্রতুল। তিনি মহেশখালের মুখে সিডিএ কর্র্তৃক নির্মাণাধীন স্লুইসগেটটি নির্মাণে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।

    ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিউল আলম সিমেন্ট ক্রসিং সংলগ্ন রেললাইনটি দখলমুক্ত করে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার আহবান জানান। এছাড়া নিউমুরিং ৫নং খাল এবং মাটিয়া খালটি পুণঃরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসণের উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। এছাড়া এম.এ.আজিজ সড়কটি বিভিন্ন কন্টেইনার ইয়ার্ড কেন্দ্রিক যানজটের কারণে এলাকাবাসী ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    ৪০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ আউটার রিং রোডের কাজটি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার আহবান জানান। এছাড়া ৭নং এবং ৯নং খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

    ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী দ্রুততার সাথে বৃহত্তর হালিশহর-পতেঙ্গা এলাকায় ওয়াসার সঞ্চালন লাইন স্থাপনের অনুরোধ জানান।

    এছাড়া ভুতুড়ে বিল, গড় বিল এবং যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতে দীর্ঘসূত্রিতা রোধ করার আহবান জানান। কন্টেইনার ইয়ার্ডের লরি, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে যার ফলে বিমান বন্দর সড়কটি প্রায়শই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী হারুনুর রশীদ বিভিন্ন সেবা সংস্থা গুলোর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এলাকাবাসী জলজটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। এছাড়া গণপরিবহনে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য রোধ করার জোর দাবী জানান।

    বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ চট্টগ্রাম বন্দর ঘোষিত বন্দর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।

    পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক এ এম এন ইসলাম গুপ্ত খালটি সংস্কার করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া মুসলিমাবাদ থেকে সী-বীচ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার এবং আলোকিত করার জন্য সিটি মেয়রের নিকট আহবান জানান।

    সেবা সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রথমেই ব্যতিক্রমধর্মী একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করায় উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান। এ রকম আয়োজন সেবা সংস্থার সাথে জনগনের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

    তিনি বলেন সরকারের গৃহীত প্রকল্পের ফলে ওয়াসা ক্রমান্বয়ে জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০০ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। শহরের প্রায় ৮৬ ভাগ জনগনকে পানি সরবরাহের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    এছাড়া জাইকার অর্থায়নে বারিকবিল্ডিং থেকে কাস্টম হয়ে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াসার নতুন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এ সকল উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে অত্র অঞ্চলে ওয়াসার পানি সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নিউমুরিং এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্ধকৃত নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের ফলে বর্তমানে বিদ্যুতের সমস্যা নেই বললেই চলে।

    তবে মেরামতজনিত কারণে কিছু কিছু এলাকার গ্রাহক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেনা যেটা সাময়িক। এছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

    গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল এবং গড় বিল শুণ্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জনগন যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে পারে সেজন্য সদা সচেষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। তিনি মতবিনিময় সভার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নাগরিক সমস্যা নিয়ে নেতৃবৃন্দের উপস্থাপিত বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শুনেন এবং প্রতিটি প্রস্তাবের প্রতি সহমত পোষন করেন।

    তিনি বলেন চট্টগ্রাম শহরে উন্নয়নের মহোৎসব চলছে। বিভিন্ন সেবা সংস্থা একযোগে নগরীতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে একথাও ঠিক এসব জলাবদ্ধতার জন্য আমরাও অনেকাংশে দায়ী।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একসময় অনেকগুলো পুকুর ও দিঘী ছিলো। কিন্তু কালের ব্যবধানে চট্টগ্রাম শহর থেকে সেইসব পুকুর ও দিঘী হারিয়ে গিয়েছে। খালগুলো দখল হয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও নগরবাসীর অসচেতনতাও দায়ী জলাবদ্ধতার জন্য। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ডোর টু ডোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালু করেছে। তারপরও নগরবাসী প্রতিনিয়ত নালা নর্দমায় ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নাগরিক সমাজের মনমানসিকতাও উন্নত করার অনুরোধ জানা তিনি।

    তিনি আরো বলেন এ শহর আপনার আমার সকলের। এ শহরকে যদি আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারি তাহলে এ সুনাম সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর। তিনি নাগরিকবৃন্দকে নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশীদার হওয়ার আহবান জানান।

    প্রিধান অতিথি বলেন বিমানবন্দর সড়কের অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলোর কারণে বিমানবন্দর সড়কটি দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে নৌপরিহন মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা হয়েছে।

    অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো সরিয়ে নিলে বিমানবন্দর সড়কটি যানজটমুক্ত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে দলের নেতা-কর্মীদের সাধারণ জনগনের পাশে থাকার আহবান জানান।

    এছাড়া বে-টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম শহরে আর কোন যানজট হবেনা বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি নগরবাসীকে উন্নয়নের প্রসব বেদনা সহ্য করার জন্য অনুরোধ জানান।

    বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন ব্যতিক্রমী মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মাধ্যমে জনগনের বিভিন্ন সমস্যা এবং দুর্ভোগ সরাসরি উপস্থাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়েছেন যার কারণে চট্টগ্রামবাসী রেকর্ডসংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্ধ পেয়েছেন। শুধুমাত্র সিডিএ’র মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদিত হচ্ছে চট্টগ্রামে। ইতিমধ্যে আউটার রিং রোডের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

    লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়ন কর্মকান্ডসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জনগনের সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে।

    তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে আউটার রিং রোডের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বারিক বিল্ডিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও সাময়িক বন্ধ রেখেছেন বলে নেতৃবৃন্দকে জানান।

    এছাড়া আউটার রিং রোডের কাজও দ্রততার সাথে সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি জনগনকে যে কোন সমস্যায় তার সাথে সরাসরি স্বাক্ষাত করার অনুরোধ জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের সংগঠন। জনগনের অধিকার আদায় করতে গিয়েই এ সংগঠনের জন্ম। তাই জনগনের অসুবিধায় আমরা কখনোই চুপ থাকতে পারিনা।

    ব্যতিক্রমী এ মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এ কথা জানাতে এসেছি যে আপনাদের সুখে দুখে সবসময়ই আমরা আছি এবং থাকবো।

    তিনি বলেন শুধু একটি সভার মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করবোনা। আমরা শুরু করেছি মাত্র। এলাকা ভিত্তিক সমস্যাগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সাথে আমরা মতবিনিময় করে সমস্যাগুলো সমাধানের পর্যায়ে নিয়ে আসবো।

    তিনি বন্দর পতেঙ্গা এলাকার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকাকে নিয়ে অবহেলায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশের সিংহভাগ আয় এ এলাকা থেকেই হয় তারপরও এই এলাকার লক্ষ লক্ষ জনগন কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত।

    দীর্ঘস্থায়ী যানজট, জলজট এই এলাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। তাই এ এলাকার মানুষের নাগরিক সমস্যা সমাধানে আমাদের অব্যাহত কর্মযাত্রা চলমান থাকবে। তিনি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিগণকে জনগনের দুঃখ দুর্দশা শুনতে আসায় অভিবাদন জানান।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল আলম, কামরুল হাসান ভূলু, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আবু তাহের, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান মোঃ নাছির উদ্দিন, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ হাসান, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন মুরাদ, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম প্রমূখ।

  • ১২ অক্টোবরের মতবিনিময় সভা সফল করুন : সুজন

    ১২ অক্টোবরের মতবিনিময় সভা সফল করুন : সুজন

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর ও পতেঙ্গা থানা এলাকার জনদুর্ভোগ, যানজট, দূর্ঘটনা, জলাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় সীম্যান্স হোস্টেলস্থ লিলি কমিউনিটি সেন্টারে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারনের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    উক্ত মতবিনিময় সভা সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা আজ ৯ই অক্টোবর বুধবার সকাল ১১টায় স্থানীয় লিলি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে সুজন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সেই সাথে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র তথা ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিভিন্ন সেবা সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারন জনসাধারনকে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই সঠিক সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকা একান্ত প্রয়োজন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের দল। জনগনের ভোটের ম্যান্ডেট নিয়ে এ দল এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তাই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন জনদুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে আহুত মতবিনিময় সভা সফল করার মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীদের জনগনের পাশে গিয়ে দাড়াতে হবে।

    সে লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিতব্য মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম এর প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    তিনি আরো বলেন, সভায় নেতৃবৃন্দ চলমান দূর্নীতি, মাদক এবং জুয়া বিরোধী অভিযানের সাথে একাতœতা প্রকাশ করেন এবং এ সমস্ত অভিযান আরো বেগবান করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।

    সভায় নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনাকে চলমান অভিযানকে বাঁধাগ্রস্ত করার কোন অপপ্রয়াস কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানী, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল আলম, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী হারুনুর রশীদ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিউল আলম, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হাসান মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ হাসান, হাজী এস.এম আবু তাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাহেদ বশর, হাজী মোঃ হোসেন, হাজী মোঃ শাহনেওয়াজ প্রমূখ।

  • জামজমকপূর্ণ শারদীয় দূর্গোৎসবই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার:সুজন

    জামজমকপূর্ণ শারদীয় দূর্গোৎসবই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার:সুজন

    শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জাকজমকপূর্ণ তাদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করতে পেরেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৭ই অক্টোবর সোমবার শারদীয়া দূর্গাপূজার মহানবমীর দিন সকালে এবং সন্ধ্যায় নগরীর রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, লোকনাথ ব্রহ্মচারী পূজা মন্ডপ, হাজারী লেইন এবং কৈবল্যধামসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় জনাব সুজন বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে নানা ধর্মের, বর্ণের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্র্ণভাবে বসবাস করছে এ দেশে। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে মানুষের মাঝে যখন মানবতা, সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ ভ‚লুন্ঠিত ঠিক সেই মূহুর্তে অসাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশ সারা বিশ্বে নজির স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সমাজকে অসহিষ্ণুতা, হিংসা, বিদ্বেষ ও অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত করে মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে। তাই যে কোন মূল্যে আমাদেরকে এ ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এ স্বাধীনতা। আমরা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভ‚মিতে আর কখোনই বিভেদের দৈত্যকে মাথা তুলে দাড়াতে দেবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা করেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরাও আজ আপনাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি। আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে দাড়াতে এসেছি। আপনাদের যে কোন সমস্যা এবং অসুবিধায় অতীতের মতো পাশে থাকবো এই হবে আমাদের প্রত্যয়।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, নূরুল কবির, শিশির কান্তি বল, মোরশেদ আলম, এএসএম জাহিদ হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, আবুল হাসান সৈকত, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জমির উদ্দিন মাসুদ, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিকাশ দাশ, রনি সরকার, সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

  • বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে শারদীয় দূর্গোৎসব : সুজন

    বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে শারদীয় দূর্গোৎসব : সুজন

    শারদীয় দূর্গোৎসব বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৬ই অক্টোবর রবিবার শারদীয়া দূর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন সকালে এবং সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী ও বন্দর থানার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে বস্ত্র বিতরণ এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় সুজন বলেন, বাংলাদেশে শরৎকাল হচ্ছে উৎসবের শ্রেষ্ট সময়কাল। গ্রীষ্মের দাবদাহ ও বর্ষার অঝোর বর্ষণের শেষে আসে শরৎকাল। প্রকৃতিতে পুষ্পরাজির সমারোহ, প্রেম-প্রীতি সৃষ্টি করে এক অনবদ্য আকর্ষণীয় পরিবেশ। আর এ সময় শারদীয় দূর্গাপূজার মাধ্যমে অসত্যকে পরাভূত করে সত্য ও ন্যায়ের বাতাবরণ প্রতিষ্ঠার শুভ সময়। তাই শারদীয় দূর্গোৎসব যুগে যুগে বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করছে। আর সনাতনী সম্প্রদায় সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং সমন্বিতভাবে দূর্গোৎসবের আয়োজন করছে।

    সরকারের উদ্যোগ এবং প্রশাসনের নানাবিধ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজনকে সাবলীল ও উৎসবমুখর করে তুলেছে সনাতনী সমাজ। জনাব সুজন সনাতনী সম্প্রদায়ের সকলকে নিশ্চিন্তে তাদের সকল ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, নিধু পালিত, মোঃ নিজাম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, মোরশেদ আলম, নূরুল কবির, এএসএম জাহিদ হোসেন, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, কাঞ্চন চৌধুরী, বিকাশ দাশ, পংকজ কান্তি দে শিপ্লব দাশগুপ্ত, নয়ন দে প্রমূখ।

  • শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে : সুজন

    শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে : সুজন

    শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি গতকাল ৫ই অক্টোবর শনিবার শারদীয় দূর্গাপূজার সপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় নগরীর আকবরশাহ, কাট্টলী এবং পতেঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন, বস্ত্র বিতরণ এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় সুজন সনাতনী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা এবং প্রশাসনের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়েছে।

    মন্ডপে মন্ডপে সাজসজ্জ্বা, আলোকসজ্জ্বা এবং পূজার্থীদের উপস্থিতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই এ কথা বলা যায় যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারছে।

    অথচ এক সময় আমরা দেখেছি শারদীয়া দূর্গাপূজা সন্নিকটে আসলেই সনাতনী সম্প্রদায়ের মনে এক প্রকার অজানা আশংকা দেখা দিতো। কখন যেন পূজার আয়োজনের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কখন যেন মঠ মন্দিরে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বী থেকে শুরু করে দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যরকম বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ অর্জন আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।

    তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থেকে শারদীয়া দূর্গোৎসবে সর্বাতœক সহযোগীতা করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম, এম.এন ইসলাম, নুরুল আবছার, শাহাদাত হাসান, হাজী মোঃ হোসেন, ফরিদুল আলম, মোঃ সুলতান, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, উত্তম শীল, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, সাজু মহাজন, মোঃ ওয়াসিম, মিজানুর রহমান জনি, মোঃ তানভীর প্রমূখ।

  • মসজিদে নববীর ইমামের ব্যাক্তিগত চিকিৎসকের পাশে সুজন

    মসজিদে নববীর ইমামের ব্যাক্তিগত চিকিৎসকের পাশে সুজন

    মসজিদে নববীর ইমাম শায়খ আলী ইবনে আবদুর রহমান আল হুজাইফি’র ব্যাক্তিগত চিকিৎসক অসুস্থ ডাঃ কাজী হারুনুর রশীদের শারীরিক খোঁজ খবর নিতে গতকাল বুধবার রাতে নাছিরাবাদস্থ তার মেয়ের বাসভবনে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    ডা. হারুন বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাকরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। সুজন কিছু সময় সেখানে অতিবাহিত করেন এবং সর্বশেষ পরিস্থিতির খবরা খবর নেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এ সময় চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

    সুজন তার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন এবং দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।

    উল্লেখ্য ডাঃ কাজী হারুনুর রশীদ চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সনে প্রথম মদিনা শরীফ গমন করেন। তিনি মসজিদে নববীর ইমাম শায়খ আলী ইবনে আবদুর রহমান আল হুজাইফি’র ব্যাক্তিগত চিকিৎসকের পাশাপাশি মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত হাসপাতালেরও চিকিৎসক ছিলেন। পবিত্র হজব্রত পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে গমন করা হাজীদের তিনি সবসময় সেবা শুশ্রুষা করতেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সৌদি সরকার তাকে ঐ দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি সৌদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটিরও সদস্য ছিলেন।

    তিনি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মসজিদে নববীর ইমাম শায়খ আলী ইবনে আবদুর রহমান আল হুজাইফি’র ব্যাক্তিগত চিকিৎসক হিসেবেও বাংলাদেশে সফরে আসেন। বর্তমানে তিনি কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করে পূণরায় সৌদি আরবে ফিরে যাবেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নূরুল কবির, স্বরূপ দত্ত রাজুসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

  • চট্টগ্রামের বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত : সুজন

    চট্টগ্রামের বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত : সুজন

    অনিয়ম দূর্নীতি ও চিকিৎসা বেনিয়াদের হাত থেকে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা রক্ষা করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ (২ অক্টোবর) বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর এর সাথে তাঁর দফতরে এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী। জনসংখ্যার দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। সে কারনেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বসবাস এই চট্টগ্রামে।

    কিন্তু এই বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই ধারন ক্ষমতার অধিক রোগী ভর্তি হন। সিট স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ রোগীকে মেডিকেলের ফ্লোরে কিংবা বারান্দায় চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। সরকার নিয়মিত যন্ত্রপাতি ও ওষুধপথ্যের সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে। আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী। শুধু নেই জনগনের কাংখিত চিকিৎসাসেবা।

    তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবার নামে রোগীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগীদের যাচ্ছেতাই লুটতরাজ করছে। নগরীর বিভিন্ন অলি গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ক্লিনিকগুলোর উপযুক্ততা কিংবা প্রয়োজনীয় সংখ্যক যন্ত্রপাতি আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। ক্লিনিকগুলোর বিভিন্ন প্যাথলজী পরীক্ষার রেইট এবং রুমের ভাড়া প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে। তাছাড়া রোগী ভর্তি হওয়ার পূর্বেই রোগীর আনুসাঙ্গিক খরচ সম্পর্কে একটা পূর্ব ধারনা দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে যে, রোগীর বিলের কোন প্রকার ধারনা ছাড়াই রোগীকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হচ্ছে পরবর্তীতে বিশাল অংকের একটা বিল রোগীকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা নিয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীর এবং রোগীর আত্নীয় স্বজনদের সাথে বাদানুবাদ লেগেই থাকে। হরহামেশাই একই রকম পরীক্ষা একেক ক্লিনিকে একেক রকম রিপোর্ট দিচ্ছে যা রোগীদের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    এছাড়াও শুক্রবার এবং শনিবার মেডিকেলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পাওয়া যায় না ফলতঃ এই দুইদিন রোগীরা আতংকিত অবস্থায় থাকে।

    তিনি ক্লিনিক মালিকদেরকে কমপক্ষে মাসে দুইদিন বহিঃবিভাগে দুঃস্থ ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিও’র একটি অংশ দরিদ্র রোগীদের জন্য বরাদ্ধ রাখার আহবান জানান।

    তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর তুলনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক।

    তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্পের মতো নগরীর প্রতি থানা অথবা দুই থানার কেন্দ্রস্থলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

    তিনি বন্দরের হাসপাতালেও সাধারণ রোগীদের জন্য ২৫ শতাংশ সিট বরাদ্ধ রাখার দাবী জানান।

    সুজন স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর থেকেই বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাঃ লিয়াকত আলীর সাথে ফোনে কথা বলে জনগনের এসব দুরবস্থার কথা অবহিত করেন এবং বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সাথেও উপরোক্ত বিষয়ে মতবিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্লিনিকের সামনে প্রতীকি অনশন পালন করা হবে বলে জানান সুজন।

    এছাড়া প্রতিটি ক্লিনিকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়েছে কিনা সেটিও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যাচাই করা হবে।

    তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্লিনিক্যাল এবং প্যাথলজীক্যাল বর্জ অপসারনের আধুনিক কোন ব্যবস্থা এখানে নেই। যার ফলে ক্লিনিক্যাল এবং প্যাথলজীক্যাল বর্জগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে সারা শহরে রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে।

    তিনি অতিসত্বর সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলাপ আলোচনা করে ইনডোর এবং আউটডোর বর্জ্য অপসারনে একটি সমন্বিত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর প্রতি আহবান জানান।

    চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে তাঁর দফতরে মতবিনিময় করতে আসায় নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করেন এবং এসব দাবী বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করেন।

    তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জনগনকে সুলভে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যে প্রয়াস চলমান রয়েছে সে প্রয়াসে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি সদস্যকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দেশের এতো বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর দ্বারে দ্বারে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন তা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে ধারণ করে আমরাও দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। তবে হ্যাঁ এতো বিপুল পরিমান রোগী সাধারণকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু অব্যস্থাপনা হতে পারে। আমাদেরও লোকবলের সংকট রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের সর্বাত্নক চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগের দাবীগুলো নিয়ে মন্ত্রী, সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক এবং ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল সুকুমার দত্ত, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোঃ শাহজাহান, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মোঃ মুরাদ, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মাহফুজ চৌধুরী, সরওয়ার্দী এলিন, মনিরুল হক মুন্না, আজম আলী জুয়েল প্রমূখ।

     

  • পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক জরুরী সভায় উপরোক্ত মত প্রকাশ করেন।

    তিনি আরো বলেন আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ব্যাক্তিগত পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি যে বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যা এক প্রকার অনৈতিক এবং গর্হিত কাজও বটে। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মতো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি তিনি বিনীত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ঠিক সেই মুহুর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে অহেতুক আতংকিত করছে।

    তিনি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বাজার মনিটরিং শুরু করার আহবান জানান।

    পাশাপাশি র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে অবৈধভাবে পেয়াজ মওজুদ করে রাখা বিভিন্ন গুদামে অভিযান পরিচালনা করার অনুরোধ জানান।

    তিনি আগামী শুক্রবারের মধ্যে পেঁয়াজের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে না আসলে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বর্জন করার জন্য বিভিন্ন বাজারে বাজারে গণপ্রচারনায় নামার ঘোষনা দেন এবং জনসাধারনকে এক কেজির বেশী পেঁয়াজ ক্রয় না করার অনুরোধ জানান।

    তিনি সনাতনী সম্প্রদায়ের আসন্ন শারদীয়া দূর্গাপুজা নির্বিঘ্নে ও সুচারুরূপে সম্পাদনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেবা সংস্থাসমূহের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।

    এছাড়া পূজোয় ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি করে কেউ যেন অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

    তিনি দ্রুততার সাথে নগরীর ভাঙ্গা রাস্তাঘাট সংস্কারের মাধ্যমে জনমনে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চসিক মেয়রকে অনুরোধ জানান। বিশেষ করে বিজয়া দশমীকে কেন্দ্র করে নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে কাটগড় পর্যন্ত ভাঙ্গা সড়কগুলো দ্রুততার সাথে সংস্কার করার আহবান জানান।

    এছাড়া শারদীয়া দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যাতে কোন প্রকার বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতিও বিনীত আহবান জানান তিনি।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন, এজাহারুল হক, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

    আরো:: পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

  • ছেলেকে মাদকমুক্ত রাখতে হলে বাবা মাকেই উদ্যোগী হতে হবে-সুজন

    ছেলেকে মাদকমুক্ত রাখতে হলে বাবা মাকেই উদ্যোগী হতে হবে-সুজন

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বর্তমানে যেভাবে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে বাবা মাকেই প্রথমে উদ্যোগী হতে হবে।

    পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী করা, কাজের ফাঁকে সন্তানদের সময় দেয়া, নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থার মাধ্যমে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

    তিনি গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ সামাজিক সংগঠন কাট্টলী সংসদের ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি আয়োজনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সামাজিক সংগঠন কাট্টলী সংসদের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, যুব সমাজকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে সে খবরও প্রতিনিয়ত মা বাবাকেই রাখতে হবে। তাছাড়া পরিবারে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় অনুশীলনের বিকাশ ঘটানোও একান্ত আবশ্যক।

    মাদকের বিস্তার রোধে বাল্যকাল থেকেই সবার মধ্যে নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিয়ে যেতে পারবো।

    তিনি কাট্টলী সংসদের সকল সদস্যবৃন্দকে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার বিস্তার, খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি ও সুস্থ রাজনীতির চর্চার মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জনে কাজ করার আহবান জানান।

    কাট্টলী সংসদের সভাপতি ইরফান আলম তানিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আনন্দ আচার্যের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব এম এ জাফর, বীর মুক্তিযোদ্বা এড. আনোয়ারুল কবির চৌধুরী, মোঃ নুরুদ্দিন, সেলিম উল্লাহ্ চৌধুরী, মোঃ আবদুস সালাম, ফেরদৌসী নাজিম, আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, চৌধুরী মোহাম্মাদ আলি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, সেলিম উল্লাহ, নুরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফুদ্দিন সাকি, আব্দুস সালাম, এমদাদুল হাসান বাবু, মাহবুবুরু রহমান, সাহাদাত হোসেন, সারওয়ার আলম কায়সার, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, নুরুল কবির, শহিদুল ইসলাম দুলদুল, শোয়েব ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল হারুন, হারুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান মিজু, মোহাম্মদ ইসহাক, টুন্টু দাশ বিজয়, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, হাসান মোস্তফা, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান জনি, ইকবাল জাবেদ, জাহিদুল আলম রুবেল, ফরমান মোস্তফা, সাফায়েত রিদয়, রায়হান সাব্বির, ফরহাদ বিন জামাল শুভ, তুসার আহমেদ, মাইনুল আলম মানিক, জিসান রহমান, প্রিয়ং বসু, মামুনুর রশিদ সানি, অসিত দেব, সামির আকাশ, মেহেদি হাসান অনিক, ফারহান আলম, নাইমুর রহমান নিশান প্রমুখ।

    দিনব্যাপী আয়োজনের ছিলো ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামুল্যে রক্ত ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, সুধী সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।