Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • আমার রেখে যাওয়া কাজ শেষ  করবেন নতুন নির্বাচিত পর্ষদ: সুজন

    আমার রেখে যাওয়া কাজ শেষ করবেন নতুন নির্বাচিত পর্ষদ: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের নতুন নির্বাচিত পর্ষদ নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে তিনি যেসব কাজ শেষ করে যেতে পারেননি তা তাঁরা সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

    তিনি আজ রোববার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এই আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। এসভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন কবির চৌধুরী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর দায়িত্বকালে সহযোগিতা করায় চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন,আমি আমার দায়িত্বকালে নগরীর প্রধানতম সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ১৭ টি খাল পরিস্কার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি মশার প্রজনন ধ্বংসে ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। ৬ মাসের দায়িত্বকালে আমার নাগরিকসেবার কার্যক্রমে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগীতা করেছেন। তাদের সহযোগীতায় আমি নগরবাসীর আকাঙ্খা অনুযায়ী সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি সবার আন্তরিক প্রয়াস ও আমার ঐকান্তিক চেষ্টায় নগরবাসী জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপারে আশাবাদি হবেন।

    সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার করোনা মহামারির টীকা চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে বলে প্রশাসককে অবহিত করেন। যা এখন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের কেন্দ্রীয় স্টোরে সংরক্ষিত আছে। আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) চসিকের ৩১ জন স্থাস্থ্যকর্মী ও ইপিআই কর্মী কোভিডের টীকা প্রদানে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। প্রশিক্ষন শেষে তারা টীকা প্রদান কার্যক্রমে অংশ নিবে।
    উল্লেখ্য সরকারি পর্যায়ে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার টীকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হবে।

    মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর পতেঙ্গা কাঠগড় জেলেপাড়া এলাকার ৪০ নং ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবক ও শ্রমিকরা আজ রোববার সকালে এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালান।

    গতকাল শনিবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে খালে ময়লা আবর্জনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাৎক্ষণিক চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশ দেন খালটি পরিস্কারের। পরিচ্ছন্নতা কাজে ড্রাম ট্রাক, এসকেভেটর, ও শতাধিক শ্রমিক ও পরিচ্ছন্ন সেবক নিয়োজিত ছিল।

    চসিকের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী জানান প্রশাসক মহোদয় এ পর্যন্ত ১৭ টি খাল আমাদের বিভাগের শ্রমিক সেবকদের দিয়ে পরিস্কার করিয়েছেন। আশাকরি নগরবাসী পরিস্কার করা খালগুলো পরিস্কার রাখতে সহযোগীতা করবেন। কারণ অপরিস্কার থাকলেন,গৃহস্থালী বর্জ্য ফেললে খালে মশার বংশ বিস্তারের পাশাপাশি পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

  • চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি টাকা মওকুফ চান প্রশাসক সুজন

    চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি টাকা মওকুফ চান প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি ১৪ লাখ ৪৩ হাজার মওকুফকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এম.পি, অর্থমন্ত্রী আ.ফ.ম মোস্তফা কামাল এম.পি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এম.পি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বরাবরে পৃথক পৃথক চাহিদা পত্র (ডি.ও লেটার) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একান্ত ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক সুবিবেচনা প্রত্যাশা করেছেন।

    তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নাগরিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। একজন নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল ধরণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সিটি কর্পোরেশনের মূল দায়িত্ব। দুষণ মুক্ত, যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন একটি আধুনিক উন্নত নগর গঠন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ সকল প্রতিজ্ঞা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক অসক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিজস্ব রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। মহাসড়ক, সড়ক, নর্দমা, রাস্তা, মেরামত/সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা, মশক নিধন এবং সর্বত্র আলোকায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল কর্মযজ্ঞ। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য প্রাপ্ত অর্থ খুবই অপ্রতুল। আর্থিক দৈন্যতার কারণে নাগরিক সেবার মান নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। অত্র কর্পোরেশনের নিজস্ব রাজস্ব আয়ের স্বল্পতার কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে ২০-৩০% ম্যাচিং ফান্ড নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। এছাড়াও এক সময় অকট্রয় অথবা নগর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত আয় ছিল অন্যতম প্রধান রাজস্ব। কিন্তু আশির দশকে সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমদানী-রপ্তানী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকেল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া ৬৩২.১৪৪৩ কোটি টাকাসহ নিজস্ব তহবিলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বকেয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা’র বিশাল অর্থ ঘাটতির বোঝা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া ৬৩২.১৪৪৩ কোটি টাকা মওকুফের ব্যবস্থা করা হলে নগরবাসীকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা এবং সরকারের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।

  • ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণে চসিক প্রশাসক সুজনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণে চসিক প্রশাসক সুজনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির নৃশংসতম গণহত্যার শহীদদের স্মরণে আজ রোববার সকালে নগরীর পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে চসিক প্রশাসক বলেন, লোমহর্ষক ঘটনা সম্বলিত ২৪ জানুয়ারি আসলেই জাতির বিবেকবান হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেদিনের ভয়াবহতা ও মানুষের আহাজারী কখনো স্মৃতি থেকে মোছার নয়। যারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল তাদের ঋন কখনো শোধ হবেনা। ৩৩ বছর পর এই মামলার বিচারে ৫ অভিযুক্তের মৃত্যু দন্ডের সাজা হয়েছে। আদালেতে রায়ে এটাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদনকালে চসিক প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে চসিক প্রশাসক : সেবার মাধ্যমে নগরবাসীর আস্থা অর্জন করুন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আজ রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।

    প্রশাসক বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্পোরেশনের প্রধানতম নাগরিকসেবা কার্যক্রম আলোকায়ন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট সমূহ পেচওয়াকের মাধ্যমে মেরামত করে জন ও যান চলাচলের উপযোগী রাখার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, এসব নাগরিক সেবার কার্যক্রম গতিশীল থাকলে নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপর আস্থাশীল হবে। কর্পোরেশন যেহেতু পৌর করের উপর তাঁর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাই নগরবাসীর কাছে জবাবদিহিতা রয়েছে। কারণ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। কাজেই কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহম্মেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জোন-৬ এর আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

  • মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেন। আজ শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে বর্জ্য ও গৃহস্থালী আবর্জনায় ভরা খালটি পরিস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।

    দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মী ও সেবকরা প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখার সহযোগিতায় এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

    প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর খোরশেদ আলম সুজন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন খাল পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর মেয়াদ কালের সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার খাল পরিস্কারের এই কাজ চলে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে নগরীর ১৫ টি খাল পরিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক।

    শুক্রবার ১০টি ড্রাম ট্রাক, স্কেভেটর, পঞ্চাশ জন পরিচ্ছন্ন সেবক ও কর্মী পশ্চিম মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কারের কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের এই কাজ তদারক করেন কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন প্রশাসকের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী স্বরূপ কুমার দত্ত রাজু।

    কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কৃষ্ণ খাল পরিস্কারকালে মোহরার অধিবাসীদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের বার্তা পৌঁছে দিয়ে বলেন, আপনাদের প্রতি প্রশাসক মহোদয় অনুরোধ জানিয়েছেন খাল নালায় গৃহস্থালী আবর্জনা ও ময়লা না ফেলতে। আবর্জনা ফেললে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মশার বংশ বিস্তার হয়। তাই খাল পরিস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা হলো। আশাকরি নগরবাসী নিজেরা সচেতন হয়ে খাল নালা পরিস্কার রেখে কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করবেন।

  • চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে : সুজন

    চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরবাসীর মহা উৎসবের দিন। এই দিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে নৌকার প্রতীক দিয়েছেন চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে অবশ্যই জয়যুক্ত করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে। এতে তাঁরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারবে। তবে বিএনপি’র সচেতন অংশ ও চট্টল দরদীরা চট্টগ্রামের স্বার্থেই তাঁরা শেখ হাসিনার প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কেননা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছেন।

    তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস.রহমান হলে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেন।

    খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি স্বস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলাম। সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় বৃহস্পতিবার নেগেটিভ রির্পোট পেয়ে করোনা মুক্ত হয়েছি। যাঁরা আমাকে দোয়া করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সুস্থ হয়ে সাংবাদিকদের কাছে ছুটে এসেছি বিবেকের তাড়নায়, কিছু না বলা কথা আকাংখা সাংবাদিকদের কাছে খুলে বলার তাগিদ থেকে।

    তিনি উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে ৩১ মার্চ চসিক নির্বাচন করোনা প্রার্দুভাবে স্থগিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আমাকে প্রশাসক পদে নিযুক্তি দিয়ে ধন্য করেছেন। আমি আমার যোগ্যতা, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে নগরবাসীর ভালবাসা ও আস্থায় নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা করেছি। আমার মেয়াদকালীন সময় ৬ মাসের মধ্যে দেড় মাস সাপ্তাহিক ও সরকারি সাধারণ ছুটি থাকলেও আমি প্রায় প্রতিদিন মানুষের কাছে গেছি, সমস্যার কথা শুনেছি এবং সমাধানের চেষ্টা করেছি।

    তিনি আরো বলেন, প্রশাসক পদে থাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধির বাধ্যবাধকতার কারণে চসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি প্রচরনায় অংশ নিতে পারছিনা। তবে অন্তর থেকে উপলব্দি করি মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী বিজয়ী হলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং নতুন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রয়াত জননেতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হবার সময় চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও স্বপ্ন পূরণে ২৮ দফা অঙ্গীকার ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো একে একে পূরণ করে চলেছেন। এগুলোর মধ্যে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল নির্মাণ, ফেনী থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বাইপাস নির্মাণ, মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মান, চট্টগ্রাম-ঢাকা ডবল রেল লাইন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এসব বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব হিমালয়সম উচ্চতায় সমুন্নত হবে। চট্টগ্রাম অবশ্যই বাণিজ্য ও পর্যটন বান্ধব নগরীতে পরিণত হবে। আমারা এখন সেই সুদিনের অপেক্ষায় আছি।

    আমি আজ বিবেকের তাড়ণায় সেই কাংখিত শুভ দিনের বার্তা দিয়ে গেলাম।

    তিনি ঘোষণা করেন, এম.এ. আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের জন্য যে স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তব হবার পথে, এবার যিনি মেয়র হবেন তিনি দলের প্রার্থী হলেও নগর পিতা হিসেবে সকলের। সবার সম্মিলিত সহযোগে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন তাঁকে মনে রাখতে হবে পাবলিক মানি ও পাবলিক প্রপার্টি কখনো যেন নিজের না হয়। তা হলেই জনমঙ্গল নিশ্চিত হবে। চট্টগ্রামের প্রতি ইঞ্চি মাটি খুবই দামী। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন, সংঘাত ও সংঘর্ষ চাই না। শক্তি দিয়ে নয়, ভালবাসা দিয়ে মানুষের অন্তর জয় করা যায়।

    তিনি আরো বলেন, আমার মেয়াদকাল ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শেষ দিনটি পর্যন্ত আমি অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।

    তিনি জানান, আগামী পূর্নিমা রাতে লালদিঘী মাঠে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে গান, কবিতাসহ নানান আয়োজনে আনন্দ-উৎসবের উপাদান যুক্ত হবে।

  • সস্ত্রীক করোনামুক্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনামুক্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনামুক্ত হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    এর আগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর থেকে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রীরও করোনা পজেটিভ ছিল।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুজন বলেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনই করোনামুক্ত হয়েছি। আজ রিপোর্ট পেয়েছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

    উল্লেখ্য, চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট শেষ হওয়ায় ৬ আগস্ট প্রশাসকের দায়িত্ব নেন সুজন। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল-নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোন অবস্থায় খাল-নালা ভরাট হবে না এবং পানি চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা না থাকলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

    আজ সকালে চসিক প্রশাসকের নির্দেশনায় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন আগ্রাবাদ ২৪নং ওয়ার্ডস্থ নাছির খান খাল থেকে বিপুল পরিমান ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকার ফলে এলাকাটি সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় পতিত হয়। তাছাড়া ময়লা আবর্জনার ফলে মশার প্রজনন কেন্দ্র সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরীর খাল ও নালাগুলোকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করাই হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের বর্তমান কর্মপ্রয়াস।

    সকালে পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড তদারকি করতে গিয়ে হোয়াটসআপে ভিডিওকলে প্রশাসক আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নগরীর খাল ও বড় আকারের ড্রেইনগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু পরিস্কার করার পরও দেখা যাচ্ছে যে কোন কোন এলাকায় জেনে বুঝে আবারো ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

    আমরা নগরবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আপনার নিজ ঘরের, বাসা, বাড়ীর কিংবা ফ্ল্যাটের আবর্জনা আপনার আঙ্গিনায় রাখুন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসে আপনার আঙ্গিনা থেকেই ময়লা আবর্জনাগুলো অপসারণ করে নিয়ে যাবে। যদি কোন এলাকার কোন বাসা, বাড়ী কিংবা ফ্ল্যাট থেকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা আবর্জনা নিয়ে না যায় সেক্ষেত্রে আমাকে অথবা সিটি কর্পোরেশনে অবহিত করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তাই জনসাধারনকে আমরা অনুরোধ করবো খালে নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা মোটেও উচিত নয়। যারা এই ধরনের গর্হিত কাজ করে ভবিষ্যতে তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনা হবে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে এ ধরনের কর্মকান্ড রোধে সচেষ্ট হতে হবে তাতেই পুরো নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

  • নগরীর খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনা ও বর্জ্যমুক্ত করণে চসিকের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রশাসকের নির্দেশনা

    নগরীর খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনা ও বর্জ্যমুক্ত করণে চসিকের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রশাসকের নির্দেশনা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেসনে ঘরে থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে অবহিত হয়ে তা সমাধানকল্পে সাথে সাথে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিস্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

    প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেও নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সবসময় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকি। কোথাও কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত সমাধানের জন্য আমার প্রাণ ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সামাজিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে জানতে পেরে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াটসআপে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম আমি নিজেই তদারকি করছি। আমার এই প্রয়াস দায়িত্ব পালনের শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।

    প্রশাসক আরো বলেন, বাদশা মিয়া রোডের ওয়্যার সিমেট্রি একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এরই সংলগ্ন খালটি বহুদিন যাবৎ ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে। এই খাল দিয়ে পানি চলাচলের পথ বাঁধামুক্ত করতে এবং জমে থাকা আবর্জনা অপসারন করতে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের নিয়োজিত প্রায় শতাধিক জনবল দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওয়্যার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি সমাধিস্থল এবং এর আশেপাশে অভিজাত শ্রেণির লোকজন বসবাস করেন। যেহেতু তারা সচেতন নাগরিক তাই তাদেরও কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমি বারবার উল্লেখ করে যাচ্ছি যে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোনভাবেই খাল নালাগুলো ভরাট হবে না, এতে করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহও চলমান থাকবে এবং নগরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আমি আশা করছি, অভিজাত শ্রেণির পাশাপশি নগরীর সব শ্রেণীর নাগরিকগণও এবিষয়ে সচেতন হবেন।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন দীর্ঘ বছরের পর বছর আবর্জনার ভাগাড় হয়ে পড়ে থাকা ২নং গেইটস্থ চশমা হিল সংলগ্ন খালের আবর্জনা ও মাটি অপসারনও গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা এবং যান্ত্রিক বিভাগ। উক্ত খাল থেকে উভয় বিভাগের সমন্বয় এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের শতাধিক সেবকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাঁচশত টন মাটি ও আবর্জনা অপসারন করে আজ বিকেলে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হয়।

  • খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে: চসিক প্রশাসক

    খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে চলমান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর অন্যতম পানি চলাচল পথ চশমা হিলস্থ খালটিকে আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানের কাজ আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়।

    পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ২টি স্কেভেটর, ১০টি ডাম্পিং ট্রাক যুক্ত হয় এবং বর্জ্য অপসারণে চসিকের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০০ এর অধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

    এসময় ওয়াটসআপে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন জানান, রুবি গেইট থেকে ষোলশহর ২নং গেইট পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বছরের পর বছর ধরে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য গৃহস্থালী বর্জ্য ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট হয়ে গেছে এবং খালের মাঝখানে বড় বড় গাছ-গাছালী বেড়ে ওঠায় পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। একারণে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। তিনি আরো বলেন, এই খালটির আশে-পাশের স্থানীয় অধিবাসীরা অজ্ঞানে-স্বজ্ঞানে দীর্ঘ দিন থেকে এটাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলে চরম অসচেতনার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাদের এই গর্হিত মনোভাব ও গাফেলতি আত্মঘাতী এবং অপরিনামদর্শী। খালটির পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্জ্য ও আবর্জনা মুক্ত করার পর আবারও এটা যদি পূর্র্বের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে তার দায় স্থানীয়দের উপর বর্তাবে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দন্ডিত করা হবে এবং তাদেরকে দিয়েই খালটি পরিস্কার করা হবে বলে প্রশাসক হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

    সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলমান এই আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীতে প্রায় ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। খালটির বর্জ্য পরিপূর্ণ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানান চসিক প্রশাসক।

    চশমাহিল সংলগ্ন খাল পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের, প্রশাসকের একান্ত সহকারি সচিব স্বরূপ দত্ত রাজু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা প্রমুখ।

  • ভরাট খালে সবজি চাষ হয় এটা আমাদের লজ্জা : চসিক প্রশাসক

    ভরাট খালে সবজি চাষ হয় এটা আমাদের লজ্জা : চসিক প্রশাসক

    ভরাট হয়ে যাওয়া আযব বাহার খালে চলছে শাক-সবজি চাষ এই সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে যান।

    পরিদর্শনকালে তিনি পরিচ্ছন্ন বিভাগ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আজ শনিবার সকালে আযব বাহার খালের স্তুপিকৃত ময়লা আবর্জনা অবমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিচলনা করেন। এই কার্যক্রম প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হোয়াটসআপে ভিডিও কলের মাধ্যমে তদারকি করেন। ভিডিও কলে তদারক কালে তিনি বলেন, এলাকার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পানি চলাচলের পথ গুলোকে বাধামুক্ত করতে পারলেই আমাদের কোন সংক্রামন রোগ ব্যধি স্পর্শ করতে পারবে না। নিজেদের উদ্যোগেই নিজের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নালা-নর্দমাকে আবর্জনা ও বর্জ্য মুক্ত রাখতে হবে। বার বার এই নির্দেশনা দেয়ার পরও যারা তা আমলে আনছেন না, তাদের আবারও সর্তক করা হচ্ছে খাল-নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না ফেরার জন্য, অন্যথায় সিটি কর্পোরেশন আইনগত ব্যবস্থ্য গ্রহন করবে।

    প্রশাসক আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। একে প্রতিহত করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নেই। আমি আশা করি এই নিবেদন আমার ব্যক্তিক নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষার মানবিক আবেদন। এই আবেদনে সবাই সাড়া দেবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আদেশের প্রেক্ষিতে আযব বাহার খাল হতে প্রায় শতটন ময়লা আবর্জনা অপসরান করা হয়। এতে খালের পানি চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে এবং মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস হওয়াসহ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

    এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার সিদ্দিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রশাসক সুজনের নির্দেশে বর্জ্য পরিস্কারের অভিযান চসিকের

    প্রশাসক সুজনের নির্দেশে বর্জ্য পরিস্কারের অভিযান চসিকের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবগত হয়ে আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সাপ্তাহিক চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাক্তাই খালের বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন এলাকা ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। অভিযানে কর্পোরেশনের শতাধিক পরিচ্ছন্ন সেবক-কর্মীর অংশগ্রহণে প্রায় ১’শ ট্রাকের মতো বর্জ্য পরিস্কার করা হয়।

    পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকলে দেখা যায় বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে চট্টগ্রামের দুঃখ খ্যাত চাক্তাই খালে বর্জ্য, গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলার কারণে খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালের কোন কোন অংশে বড় বড় কচুরিপানা গজিয়ে উঠেছে, আবার কোথাও বর্জ্য ফেলার কারণে খালটি দেখতে অনেকটা ডাস্টবিন মনে হচ্ছিল। এই ময়লা আবর্জনা খালে ফেলার কারণে পানি চলাচলের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর পানি চলাচলের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ থাকায় খালটি মশার উর্বর প্রজনন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।

    আজ (শুক্রবার) শতাধিক সেবক, স্কেভেটর ও পে-লোডার দিয়ে আবর্জনা-বর্জ্য পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হলে খালের পানি চলাচলের প্রবাহে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। অনেক স্থানে খাল সংযুক্ত নালার আটকে থাকা পানির প্রবাহও ছুটে যায়। ফলতঃ মশার দীর্ঘদিনের আবাসস্থলও ধ্বংস হয়ে যায়।

    প্রতি শুক্রবার সকালে খাল নালা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করা প্রশাসকের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হলেও সস্ত্রীক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় খাল পরিস্কারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ফোনে এবং ওয়াটসআপে ভিডিও কলে তদারকি করেন।

    তিনি কর্পোরশেনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খালের দুইপাশের এলাকার অধিবাসীদের খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ শহর আমার আপনার সবার। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এই নগরকে একটি স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন, নান্দনিক ও মানবিক শহররূপে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

    এসময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সিদ্দিকুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ জাসেদ, আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী কামাল পাশা, প্রফেসর জসীম উদ্দীন, প্রকৌশলী রিয়াজুল হক, আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. আলমগীর, খোরশেদ আলম ও মাহী বি তাজওয়ার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

  • সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    স্ত্রীসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বর্তমানে তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।

    জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর নৌবাহিনীতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক অংশ নিয়েছিলেন সুজন। সেদিন শরীরে একটু ঠাণ্ডা লাগে। এরপর মৃদু জ্বর দেখা দেয় দুজনেরই। শুভার্থীদের পরামর্শে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পাঠান তারা। বুধবার সন্ধ্যায় সুজন ও তার স্ত্রী ডা. ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক তাহমিনা আকতারের করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ আসে।

    তবে তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় দুজনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী রাজু।

    তিনি জানান, প্রশাসক মহোদয় ও তার স্ত্রী সুস্থ আছেন। আজ বিকেলে তাদের সিটিস্ক্যান করা হবে। এরপরই তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। করোনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর চসিকের আগের নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে গত বছরের ৫ আগস্ট চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান সুজন।