Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • জাতিসত্ত্বার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন : সুজন

    জাতিসত্ত্বার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা জে.এম সেন এর বাড়ি দখলের চেষ্টা প্রতিহত করতে আজ বুধবার দুপুরে কর্পোরেশনের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষাত করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

    বিশেষ শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন যাত্রা মোহন সেন (জেএমসেন) ভবন ভাঙ্গা চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে তাঁর স্থানে ২০১৮ সালের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রামের বিপ্লবী তথা ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষার্থে যাদুঘর প্রতিষ্ঠায় আশু পদক্ষেপ গ্রহনে স্মারকলিপি প্রদানকালে চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও কবি ও সাংবাদিক আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মানিক চৌধুরীর ছেলে কল্পতরু চৌধুরী কাজল চট্টগ্রাম ইতিহাস চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সংগঠক অলিউর রহমান তাদের সাথে ছিলেন।

    স্মারকলিপি গ্রহণকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের দেড়‘শ বছরের পুরনো বাড়িটি শুধু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্থান না। এটি বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের সাহসী তরুণের সাহসী ঠিকানা। তাই এই স্মৃতি জাতীয় স্বার্থে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভাগ্যক্রমে এই বাড়িটি অপাতত রক্ষা পেল, কারণ এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তের বাড়ি এর পাশে ছিল।

    তিনি বলেন, এরকম আরো বহু ঐতিহাসিক স্মৃতিধন্য স্থান দখল হয়ে গেছে দখলবাজ দুর্বৃত্তদের হাতে। এসবও আমাদের রক্ষা করতে হবে।

    তিনি আগামীকাল (৭ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার এর মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য এই বাড়ি রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র লিখবেন বলে জানান।

    প্রশাসক বলেন, পাকিস্তান আমলে যুদ্ধকালীন সময়ে যেসব বাড়ি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের আমলে তা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এভাবে দিনদুপুরে কোন বাড়ি দখল করে নেয়া মানে দেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। তিনি এই বাড়ি রক্ষার্থে এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন এবং এই আন্দোলনের সাথে তাঁর একাত্মতা ঘোষণা করেন। প্রশাসক এই আন্দোলন সহ যে কোন ভালো কাজের পক্ষে তাঁর দৃড় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

  • পিসি রোডের উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, অন্য প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি চান প্রশাসক

    পিসি রোডের উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, অন্য প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি চান প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের চলমান প্রকল্পের কাজগুলোর চলতি মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চেয়েছেন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার বিকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে এক বৈঠকে একথা বলেন।

    নগরীতে বর্তমানে জাইকা, এডিবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রশাসক তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ের মধ্যে এসব কাজের অগ্রগতিতে বিভিন্ন সময়ে কাজ পাওয়া ঠিকাদারদের তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি চসিকের প্রকৌশলীদের নিয়ে প্রকল্প এলকা পরিদর্শন করেছেন। তবে তাঁর মেয়াদকালে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে নগরীর লাইফলাইন খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডের। দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ এই সড়কের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে ওই এলাকার বাসীন্দা ও ব্যবসায়ীরা নিদারুন কষ্ট ও দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে সময় পার করেছেন। প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ৬ মাসের অন্তরবর্তীকালীন দায়িত্ব পাওয়ার পর সড়কটির কাজ শেষ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে নগরবাসী আশাবাদি হয়ে উঠে। তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে বেশিরভাগ সময়ে তিনি পিসি রোডের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে সর্বাধিক ওই রোড পরিদর্শনে যান। ফলে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদাররাও নড়ে চড়ে বসেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ পিসি রোডের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখন বলা যায় এই রোডের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। প্রশাসক চলতি মাসের মধ্যে তাঁর সময়ে সম্পন্ন হওয়া উন্নয়ন কাজের বিল ঠিকাদারদের জমা দিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

    বৈঠকে কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাহাদাত মো. তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, শহীদুল ইসলাম, ফরহাদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সুস্থ মা পারে সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে: চসিক প্রশাসক

    সুস্থ মা পারে সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, একজন সুস্থ মা পারে আগামী দিনের সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের অনগ্রসর নারী সমাজের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করা।

    সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঝাউতলা ওয়ারলেস স্কুলে এলআইইউপিসি-ইউএনডিপি আয়োজিত গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ফুড বাস্কেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকে-এইড এর সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কর্পোরেশনের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এর আলোকে ১৩নং ওয়ার্ডে দরিদ্র গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের পুষ্টি খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলো। প্রকল্পের নিবন্ধিত মোট ২ হাজার ৩’শ ৭৪ জন গর্ভবতী দুগ্ধদানকারী মাকে প্রতিমাসে ১ হাজার দিনের জন্য বিশেষ পুষ্টি খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিমাসে ১ লিটার ভোজ্য তেল ৩০টি ডিম ও ১ কেজি করে ডাল বিতরণ করা হবে।

    প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপকারভোগী মা দের খোঁজ খবর নেন।

    অনুষ্ঠানে প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো.সরোয়ার হোসেন খান,আর্থ-সামাজিক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ হানিফ, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কোহিনুর আকতার, মহানগর যুবলীগ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, এয়াকুব আলী মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

  • যথসময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: প্রকৌশলীদের সুজন

    যথসময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: প্রকৌশলীদের সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীতে কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য চসিকের প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের তাগিদ ও তদারকি করতে বলেছেন।

    তিনি আজ বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের সাপ্তাহিক সভায় একথা বলেন।

    এতে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহাম্মেদ,কর্পারেশনের বিভাগীয় প্রধান,পদস্থ কর্মকর্তাসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর পিসি রোডসহ যেসকল স্থানে কর্পোরেশনের উন্নয়নকাজ চলমান আছে, তা যথাসময়ে সম্পন্ন না করলে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে তা জনস্মুখে প্রকাশ করুন। যাতে এসব অসাধু অপেশাদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোন সরকারি ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়বার আর কোন কাজ করতে না পারে।

    তিনি বলেন দেশ কারো কাছে জিম্মি হতে পারে না। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নগরীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর এ কাজ গুলোকে যারা সময়মত শেষ করছে না তারা সরকারের ভাবমুর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। এদের গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

    প্রশাসক সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের স্থানে বিস্তারিত ও কাজ শেষ করার সময়সূচি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি পরিবার। কর্পোরেশনের সকল প্রকৌশলী ও কর্মচারীগণ মিলেমিশে কাজ করলে উন্নয়নসহ যেকোন কাজ দ্রুত তরান্বিত হবে। সহকর্মীরা সমন্বয়হীনভাবে কাজ করে একে অপরের দোষ খুঁজলে তা হবে কাঁচের ঘরে বসে ঢিল মারারমত অবস্থা।

  • বন্দর-সিইপিজেড’র কাছে ফের সার্ভিস চার্জ চাইলেন সুজন

    বন্দর-সিইপিজেড’র কাছে ফের সার্ভিস চার্জ চাইলেন সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আবারো চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (সিইপিজেড) থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করেছেন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আব্দুল মাবুদ সড়কে চসিকের সড়ক নির্মাণ ও নালার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন।

    পরিদর্শনকালে স্থানীয় সমাজ সেবক হারুনুর রশীদ, আবু তাহের, সুলতান নাছির, আকবর হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মাসহ সেলিম আফজাল, নুরুল বশর, মোহাম্মদ লোকমান, জাবের হোসেন, মোহাম্মদ জাবের নাছির উদ্দিন, মো.সুলতান উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় আব্দুল মাবুদ সওদাগর রোডের পুরো এলাকার অলিগলি হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন। এসময় পুরো এলাকার নালা নর্দমায় মশানিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটানো হয়। পাশাপাশি করোনা সচেতনতায় দুঃস্থ গরীব সাধারণ মানুষের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদ সড়কটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় সিইপিজেডে অবস্থিত পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা বসবাস করেন। এলাকার ভিতর দিয়ে ৫ নম্বর খালটি প্রবাহিত হয়েছে। সল্টগোলা ক্রসিং মোড় থেকে শুরু হওয়া খালটি বন্দর ও সিইপিজেড’র বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনার কারণে অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। যা কর্পোরেশন ধারাবহিকভাবে পরিস্কার করছে। অথচ সিইপিজেড’র শ্রমিকরা কর্মস্থলের যাতায়াতের দূরত্ব কম হওয়ায় আব্দুল মাবুদ সড়ক এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এতে একদিকে শ্রমিকদের কর্মঘন্টার যেমন সাশ্রয় হয়, অপরদিকে শ্রমিকদের সময়ানুযায়ী উপস্থিতির কারণে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা সিইপিজেড’র কারখানাগুলোও ঠিক সময়ে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডসহ পুরো নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু পৌরকর ও সরকারি থোক বরাদ্দ ছাড়া কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কোন আয়ের খাত নেই। অথচ নগরবাসী ছাড়াও বড় মিল কারখানা, বন্দর, কাস্টমস্, রেলওয়ে নগরীর বড় উপকারভোগী।
    স্টেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের বড় ট্যাংক-লরি, কাভার্ডভ্যান ও ভারি যানবাহনগুলো নগরীর সড়কগুলো ব্যবহার করছে। যে কারণে নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নতুনভাবে নির্মাণের পরও ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই ওজনস্কেল বসানোসহ টেকসই সড়ক নির্মাণে তাদের কাছে কর্পোরেশনের সার্ভিস চার্জ চাওয়া কোনভাবেই অযৌক্তিক নয়।

    এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্পোরেশন থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের সেবা দিচ্ছে। আশাকরি সব দিক বিবেচনা করে সরকার ন্যায্য সার্ভিসচার্জ পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করবে।

  • নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ : সুজন

    নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর ভালোবাসা আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছে। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর নগরবাসী আমাকে যে মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তা কখনো শোধ করতে পারবো না। দায়িত্বের কারণে কর্পোরেশন ও জনস্বার্থে আমাকে অনেক সময় কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসী আশাকরি আমাকে ভুল বুঝবেন না। কারণ আমার শৈশব-কৈশোর, যৌবন কেটেছে এই শহরে। কাজেই আমার কাজের মূল্যায়নের ভার নগরবাসীর হাতে।

    তিনি শহরের উন্নয়নের স্বার্থে নগরীর অধিবাসীদের পৌরকর পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। কাজেই সেবা পেতে পৌরকর দিন ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ফেলুন।

    প্রশাসক আজ সোমবার দুপুরে বেপারী পাড়াস্থ আগ্রাবাদ সিটি কর্পোরেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) জসীম উদ্দীন চৌধুরী ।

    অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন, জাফরুল হায়দার সবুজ, উপ-কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, শহরের মালিক নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসী। নাগরিকদের অধিকার রয়েছে চসিকের সেবা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করেছি নগরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশ বন্ধব রাখতে। তিনি বলেন,বাজার খরচ,বিদ্যুত-পানি পেতে বিল দিতে হয়। তাহলে পৌরকর ছাড়া কিভাবে নাগরিকসেবা দেয়া সম্ভব? কর্পোরেশন কোন ধরনের কর বাড়ায়নি। পূর্বের রেটে পৌর কর নিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া যাবে। আশাকরি নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহন করবেন।

    প্রশাসক নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর,কাস্টমস্, রেলওয়েসহ অন্যান্য বড় শিল্প কারখানার কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করে বলেন, কাস্টমস চট্টগ্রাম শহর থেকে বছরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার আয় করে। বন্দরেও হাজার হাজার কোটি টাকা আয়। অপরদিকে নগরের বেশির ভাগ জায়গা রেলের দখলে। অধিগ্রহন ও লিজের নামে এসব জায়গা বছরের পর বছর দখলে রেখে কোন উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে না। আর তাদের এসব জায়গা জমির অনেকগুলোই এখন গুন্ডা মাস্তানের দখলে। কর্পোরেশন রেলের একটি জায়গা নিতে দুটো ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ ও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। যে কারণে এখানে ট্যানেল,উড়াল সেতু,শিল্প জোনসহ বিবিধ উন্নয়ন হচ্ছে। এরপরও নগরীর উন্নয়নে যারা বাধা হয়ে দাড়াবে তাদের আমরা প্রতিহত করবো।

    তিনি নগরের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোন সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।

    উল্লেখ্য আজ সোমবার প্রথম দিনে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদে ২৫ লাখ ২১ হাজার ৫’শ ৩৬ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদে ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪’শ ৫০ টাকা আদায় হয়েছে।

  • শেষ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আস্থার মর্যাদা রক্ষা করবো : সুজন

    শেষ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আস্থার মর্যাদা রক্ষা করবো : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন দায়িত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমি তার মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা অনুসারে চলবে এটাই প্রত্যাশা।

    কর্পোরেশনকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে প্রকৃত সম্পদ চিহ্নিত করে এর মূল্যায়ন করতে হবে। পৌরকর ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া যেসব খাতের আয়ের টাকা বিভিন্ন কারণে পাওয়া যাচ্ছে না তা দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি আজ রোববার বিকেল নগরীর টাইগারপাশস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসের তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় একথা বলেন।

    সভায় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, আমার নামে অহেতুক প্রশংসাসূচক কোন ফলক, ব্যানার লাগানোর প্রয়োজন নাই। আমি কাজ করতে চাই। এজন্য প্রশংসার পরিবর্তে কেউ সমালোচনা করলেও আমি থামবো না। তবে নগরবাসীর স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। আমি প্রশাসক হওয়ার পর আমার পরিবারের সদস্যদেরও বলে দিয়েছি কোন ধরনের অন্যায় আবদার তদবির নিয়ে যাতে আমার কাছে না আসে। আমার এই কঠোরতার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিকতার চর্চা গড়ে তোলা। যাতে মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে পেয়ে শ্রদ্ধাশীল হয়। সভায় পরিচ্ছন্ন,শিক্ষা, প্রকৌশল বিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।

  • গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

    গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকলে নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সকল অননুমোদিত স্থাপনা, কাঠের স্ল্যাব, লোহার স্ক্র্যাপসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল নিজ উদ্যোগে সোমবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

    অন্যথায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে মালামাল জব্দ জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

    তিনি বলেন, বড় বড় নালাগুলোর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় পরিণতি হলো ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়।

    তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোন স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব থাকবে না। এক জনের বে-আইনী সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এই নগরীতে এ ধরণের অনৈতিক ও জনস্বার্থ বিরোধী কোন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটি কয়েক লোভী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে জিম্মি করতে চায়। এরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তারা সমাজের বিষফোঁরা। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহে ব্যাধি আক্রান্ত হবে।

    তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে উন্নীত করতে যে বাঁধা, ক্ষত ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দিচ্ছি, যাতে আগামীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা চট্টগ্রামের কাংখিত উন্নয়ণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে পারেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য এমন কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যেগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর আশে-পাশে কয়েকটি উপশহর ও শিল্পজোন গড়ে উঠবে। তাই যে ভাবেই হোক চট্টগ্রামের সড়ক অবকাঠামোসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। প্রশাসক করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারনকে মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার আহবান জানান।

    তিনি যাত্রাপথে উপস্থিত নগরবাসীর মাঝে মাস্ক এবং সাবানও বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আলী বক্স, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এষ্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মো. মনির উদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, আলী আকবর প্রমুখ।

    আজ উচ্ছেদ অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত ৮টি মামলা রুজু করেন এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

  • বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নেমেছি: চসিক প্রশাসক

    বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নেমেছি: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীর পানি চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পানি প্রবাহ পথ খালগুলো ভরাট করে স্থাপনা ও বাসা-বাড়ি নির্মানকারী অবৈধ দখলদারদের পাপিষ্ট দুর্বৃত্ত ও কুখ্যাত গণশত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন,এরা চট্টগ্রামকে একটি মানবিক নগর রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণের প্রধান প্রতিবন্ধক। এদের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ ও আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

    তিনি আজ সকালে নিমতলা ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডস্থ মহেশখালের শাখা সংযোগ দিয়ার পাড়া এলাকায় খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে এর দৃশ্যমান বিলুপ্ত প্রায় চিত্র দেখে এই ক্ষুদ্ধ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, মহেশখালের এই শাখা খালটি একটি সময় বেশ বড় আকারের ছিল। এই খালের বুকে নৌযান চলাচল হতো, পণ্য ও যাত্রী পরিবহন হতো এবং খাল দিয়ে কর্ণফুলীতে পানি চলাচল করতো। নগরীতে এ ধরনের দু‘ডজনেরও বেশি প্রশস্থ ও গভীর শাখা খাল ছিলো। এখন সবগুলোই বিলুপ্ত ও বেদখল হয়ে গেছে। একারণেই জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিলুপ্তপ্রায় খাল পুনরুদ্ধার ও অবৈধ দখলদার মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ঠ নির্দেশনা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মাঠে নেমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের ৪০ শতাংশ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে খালসহ পানি চলাচলের পথগুলো পরিষ্কার ও বাধামুক্ত করার অংশ হিসেবে দিয়ার পাড়া এলাকায় আজকের এই অভিযান। আমি এই খালটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। এই খালটিকে যারা ডাস্টবিনে পরিণত করেছে, খালের দু‘পাড় দখল করে যারা এটাকে নালায় পরিণত করেছে তাদেরকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়া হলো-এর মধ্যে আবর্জনা পরিস্কার ও খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে পরদিন থেকে সরাসরি এ্যাকশন শুরু হবে। এই সময় খাল পরিষ্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যে খরচ হবে তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায়, জরিমানা, মালামাল জব্দ সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন ধরনের আবর্জনা ও বর্জ্য খালে ফেলা যাবে না। এখন থেকে যে বা যারা খালে আবর্জনা ফেললে তা তাদের নিয়েই পরিষ্কার করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ, দেখ-ভাল ও নজরদারী করার জন্য এলাকায় মুরুব্বী, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ মোরশেদ আলী, ইমরান আহাম্মেদ ইমু,হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাসান মোহাম্মদ মুরাদ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা,আলী আকবর।

  • পুকুর-দীঘি-জলাশয়ের এক ইঞ্চিও দখল করা যাবে না: সুজন

    পুকুর-দীঘি-জলাশয়ের এক ইঞ্চিও দখল করা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এত কিছুরপও মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলে এবং পানি চলাচলের পথ বন্ধ করায় শীত মৌসুমে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। এই উদাসীনতা ও খেয়ালীপনা অপরিনাম দর্শী এবং মোটেই জনহিতকর নয়, বরং আত্মঘাতী। যারা এই পথে হাঁটছেন তারা যদি ঠিক না হন তাদের উচিত শিক্ষা দিতে বাধ্য হবো।

    তিনি আজ বিকেলে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম মাতৃসদন হাসপাতাল মিলনায়তনে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।

    তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, যারা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার ভাগাড় বানাচ্ছেন এগুলো তাদের দিয়েই সরানো হবে। তিনি সভাস্থলে আসার সময় নগরীর দ্বিশতবর্ষী বলুয়ার দীঘি পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, খাতুনগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জের মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে দীঘিটির চারপাশের দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনার কেউ কেউ আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছে। আমি স্বচক্ষে এই দীঘির করুণ অবস্থা দেখে এসেছি। এর পানি দুষিত হয়ে গেছে। এই দীঘির বিশাল অংশ ইতোমেধ্যেই ভরাট করে বেদখল করা হয়েছে। এই দীঘির পাশ থেকে খানকায়ে আলমগীর থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুছের বিশাল মিছিল বের হয়। এছাড়াও এখানে রয়েছে নগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাশ্মশান। আরো আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাসা-বাড়ি। তাই প্রতিদিন এই দীঘির চারপাশ দিয়ে অসংখ্য মানুষ চলাচল করে এবং স্থানীয়রা এই দীঘির পানি নিত্য কাজে ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন এই পানি ব্যবহার অযোগ্য।

    তিনি আরো বলেন, যারা এই দীগিতে ময়লা ফেলেছেন এবং নানা ভাবে কুমতলবে দীঘি ভরাট করছেন তা স্বউদ্যোগে অপসারণ করার জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে যদি তা অপসারণ করা না হয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এগুলো অপসারণ করবে। এ জন্য যা খরচ হবে তার পুরোটাই সনাক্তকৃত ভরাটকারীদের বহন করতে হবে।

    প্রশাসক আরো ঘোষণা করেন, এই নগরীর যে সকল পুকুর, জলাশয় দীঘি ভারট করা হয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে এবং কাউকে পুকুর জলাশয়ের এক ইঞ্চি অংশ দখল করতে দেয়া হবে না। তিনি বলুয়ার দীঘি থেকে মিয়াখান নগর ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে ব্রীজের পাশে ময়লার বিশাল স্তূপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কিছু দিন আগে এখানে পরিষ্কার করা হয়েছিলো। স্থানীয়রাই এখানে আবার ময়লার ভাগাড় তৈরী করেছে। এটা দায়িত্ব জ্ঞান হীনতার কদর্য চিত্র। আগামীকালই এগুলো পরিচ্ছন্ন বিভাগ পরিষ্কার করে দেবে। এরপর যদি আবার ময়লার স্তূপ দেখি তা স্থানীয়দের দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।

    তিনি এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে চাক্তাই স্কুলের মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ওয়াসার পানি সরবরাহের মূল লাইন থেকে বাকলিয়ার যে অংশ সংযোগ লাইন চাইছে তাদেরকে সংযোগ দেয়ার অনুমতি দিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী সংযোগ লাইনের কাঁটা অংশ ঠিক করে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে সাড়া দেয়ার জন্য ওয়াসা কর্র্তপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

    সে সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়া, শাহিন আক্তার রোজি, ডাক্তার অঞ্জন কুমার দাশ, শফিউল আজম বাহার, মো. জানে আলম, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

  • প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি : সুজন

    প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, কর প্রদানকারী নগরবাসী আমার কাছে নমস্য। তাদেরকে আমি সম্মান করি। চট্টগ্রাম নগরী বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি। মাস্টার দা সূর্যসেন, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রিয় এই শহর। আমাদের এই প্রিয় নগরকে হকার নেতার নামে গুটিকয়েক চাঁদাবাজের কাছে জিম্মি হতে দিবো না।

    আমি খোদার কসম করে বলতে পারি আমার দল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন হকারদের কাছ থেকে কোন চাঁদা নেন না। যেসব হকার নেতার নামে চাঁদা নেয়া হয়, তা দেয়া বন্ধ করে দিন। দেখি ওরা কারা! যদি কেউ হকার নেতা সেজে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন নগরীতে কোন দুর্ভোগ হতে দিবনা। প্রাণপন দিয়ে হকার নেতারূপী চাঁদাবাজদের প্রতিহত করবো। প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি।

    তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর স্টেশন রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ আয়োজিত স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপ-কর কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) মো.সারেক উল্লাহ, কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) মো.নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মো.রমিজুল হক চৌধুরী, রতন ভট্টাচার্য্য, ক্রোকী কর্মকর্তা বাবু বিনয় ভুষন আচার্য্য।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, হকাররা নগরীতে প্রতিদিন বেলা ৩ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অস্থায়ী চৌকি বসিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এই সময়সীমার আগে কোনভাবেই সড়ক-ফুটপাত দখল করে নগরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যবসা করা যাবে না। যেসব হকার আমার এই প্রস্তাব মানবে তাদের আমি নির্বিগ্নে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র দিব। তবে প্রত্যেকের পরিচয়পত্র স্ব-স্ব হকারের হাতে দেয়া হবে। তবে নেতারূপী কোন চাঁদাবাজের হাতে তা দেয়া হবেনা। এসব হকাররা যদি কোন হয়রানির শিকার হন প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবো।

    তিনি বলেন, আমাদের দল এখন ক্ষমতায় আছে বলে যে কেউ মুজিবকোর্ট পরে নেতা সেজে চাঁদাবাজি করবে তা হতে দিবো না।

    প্রশাসক বলেন, আগে নগরবাসী অভিযোগ করতেন কর আদায়কারীরা পৌর কর নিতে বাসায় যান না। তাই ভোগান্তি কমাতে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর ব্যবস্থা করা হলো। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া কর ও ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে। জানুয়ারি থেকে বকেয়া আদায়ে জরিমানাসহ আইনি সব ব্যবস্থা নিব। প্রয়োজনে যেসব নগরবাসী কর দিবেন না তাদের নাগরিকসেবাও বন্ধ করে দেয়া হবে।

    তিনি যেসব ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নাই তাদের দ্রুত তা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যবসার প্রথম স্বীকৃতি হলো ট্রেড লাইসেন্স। কজেই তা নিয়ে নিন।

    পরে কর প্রদানকারী ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া কয়েকজন গ্রাহককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রশাসক।

    আজ কর-প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রাহক হলো মোটেল সৈকত, আম্বিয়া গ্রুপ, রোকসানা বেগম, মুস্তাফিজুর রহমান,শামসুল ইসলাম। তবে প্রথম দিনে আদায় করা হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।

  • শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে সরকার-সুজন

    শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে সরকার-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী জনগোষ্টীর পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বিধান সহ দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। মলিক-কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীদেরও যথাযথ দায়িত্ব নিয়ে শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে-বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

    খোরশেদ আলম সুজন এদেশের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকার কথা স্মরণ করে তরুণ প্রজন্মকে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ডে এগিয়ে আনতে প্রবীনদের আহবান জানান।

    তিনি আজ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স আয়োজিত ২-দিনব্যাপী ”পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মেলা/উপকরণ প্রর্দশনী-২০২০”-এর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

    অনলাইনে মেলাটির উদ্ভোধন করেন বিলস-এর মহাসচিব শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিল্স-সহযোগি ডিজিবি-বিডব্লিউ-র এশিয়া কনসালটেন্ট ড. ইন্দিরা গার্টেনবার্গ।

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স-এলআরএসসি-র চেয়ারম্যান এ এম নাজিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী সভায় ও বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিল্স এলআরএসসি-র পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জেলা টিইউসি সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্ত, জাতীয় শ্রমিক লীগের শফি বাঙালী, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের মো. নুরুল আবছার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শেখ নুরুল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও শ্রম-উস্যুতে গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, বিল্স-এর সিনিয়র কর্মকর্তা পাহাড়ী ভট্টাচার্য, রিজওয়ানুর রহমান খান, এ্যসিসটেন্ট প্রোগ্রাম অফিসার ফজলুল করিম মিন্টু, মহিলা শ্রমিক দল সভানেত্রী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী, শ্রমিকনেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস, আব্দুর রহিম, তামান্না বিনতে আজাদ, এ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, জুবিদুন্নাহার জুলি প্রমুখ।

    মেলায় ২দিন ২টি বিষয়ভিত্তিক ধারণাপত্র উপস্থাাপিত হয় এবং ট্রেড ইউনিযন নেতৃবৃন্দ তার ওপর আলোচনায় অংশ নেন। মেলায় ১৮টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন স্ব স্ব স্টলে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর নানা উপকরণ এবং প্রকাশনা তুলে ধরে।