Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • প.বাকলিয়ায় ঝটিকা পরিদর্শনে চসিক প্রশাসক; মশক নিধনে অভিযান,অলি-গলিতে ওষুধ স্প্রে

    প.বাকলিয়ায় ঝটিকা পরিদর্শনে চসিক প্রশাসক; মশক নিধনে অভিযান,অলি-গলিতে ওষুধ স্প্রে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ রোববার বিকেলে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড ঝটিকা পরিদর্শনে যান।

    তিনি নগরীর দেওয়ান বাজার দিদার মার্কেট এলাকা দিয়ে হেঁটে মৌসুমী আবাসিক হয়ে ডিসি রোড মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকা হয়ে চকবাজার ধুনির পোল পর্যন্ত ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাট-নালা নর্দমার বিদ্যমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।

    প্রশাসক দেওয়ান বাজার সিএন্ডবি কলোনী ব্রিজের পাশে চাক্তাই খালে ময়লা আবর্জনা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি এলাকার মানুষজনের মাঝে করোনা সচেতনতায় সাবান-মাস্ক বিতরণ ও পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোডের অলি-গলি, নালা, খাল এবং বাসা-বাড়িতে এডাল্টিসাইট (মশার লার্ভা ধ্বংশে) কালো তেলসহ ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ ছিটান।

    মশার ওষুধ ছিটানোকালে প্রশাসক বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের তাদের নিজ এলাকা ও বাসস্থানের আশপাশ পরিস্কার রাখতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে শুধুমাত্র কর্পোরেশনের ওপর নির্ভর করলে হবে না। নগরবাসীরও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে।

    তিনি এলাকার বাসিন্দাদের ময়লা-আবর্জনা কর্পোরেশনের সরবরাহ করা বিনে সংরক্ষণের পর তা চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবকদের দিতে বা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে বলেন।

    প্রশাসক করনো মহামারি ও মশার প্রজনন ধ্বংসে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, অপনারা নিজেরা পরিস্কার থাকুন, আপনাদের আশপাশ পরিস্কার রাখুন। এতে নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে। তিনি নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    এসময় ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল আলম, কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সাবেক সংসদ সদস্য ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এম কফিল উদ্দীনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ার বাপের মসজিদস্থ মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবর জিয়ারত করেন।

    পোর্ট কানেক্টিং-ডিটি রোড অবৈধ পার্কিং মুক্ত করলো চসিক

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন পোর্ট কানেক্টিং ও ডবলমুরিং থানাধীন ডিটি রোডসহ ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে আজ রোববার সকালে এক অভিযানে এই দুটি রোড ও ফুটপাতে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করার দায়ে ১৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।

  • নেপালী রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্য-পর্যটন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেন চসিক প্রশাসক

    নেপালী রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্য-পর্যটন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেন চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা বোর্ড ক্লাবে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা.বংশীধর মিশ্র।

    স্বাক্ষাতকালে প্রশাসক রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও চট্টগ্রাম সফরে আসায় অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও নেপাল প্রকৃতিগতভাবে পাহাড়ি এলাকা। এই মিল ছাড়াও এই দুই অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনধারায় অনেক মিল রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরী পাহাড়,নদী,সমুদ্রের মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে। প্রশাসক নেপালের সাথে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ-নেপালের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও অগ্রগতির স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি নগরীর সৌন্দর্যকে আরো নান্দনিক ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলতে পর্যটনখাতে নেপালী বিনিয়োগের অমন্ত্রণ জানান ডা.বংশীধরকে। এসময় তিনি বিশ্বব্যাপী নেপালের চা শিল্পের যে সুনাম আছে তাঁর প্রশংসাও করেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও নেপালী রাষ্ট্রদূতের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই-দেশ ও চট্টগ্রাম নগরে ব্যবসা বাণিজ্যের কথা উঠে এলে রাষ্ট্রদূত ডা.বংশীধর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ,নেপাল,ভূটানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি হওয়া উচিত বলে মত দেন।

    তাঁর এই মতামতে প্রশাসক সুজন সম্মতি প্রকাশ করে বলেন, সার্কভুক্ত রাষ্ট্রের এই দিন দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। এই সর্ম্পকের সূত্র ধরে আগামী দিনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম নগরে নেপালসহ সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলো এখানে পর্যটন, কৃষিসহ হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। আর এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের পক্ষ থেকে থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

    প্রশাসক চট্টগ্রাম নগরীর ব্যবসা বাণিজ্যের উজ্জ¦ল সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে বলেন, এখানে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল ও ট্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বা রিজিউনাল কানেক্টিভিটির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে। এই রিজিউনাল কানেক্টিভিটির ফলে আগামীতে ঘুনধুম হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত রেললইন সম্প্রসারিত হলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও বিশ্বব্যাপী একটি মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে শিক্ষাবান্ধব উল্লেখ করে এখানে অধ্যয়রত নেপালী শিক্ষার্থীরা সাশ্রয়ী খরচে তাদের পড়াশোনার মাধ্যমে তােদর শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। আগামীতেও নেপালী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য চট্টগ্রামে আসবেন এটা প্রত্যাশ করেন প্রশাসক।

    এসময় নেপালী কৃষি সামগ্রী কোম্পানীর নেত্রা বাহাাদুর বুলন্দর,কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাঞ্চন রাজ পান্ডে ও বিশোন প্রাসাদ, বাংলাদেশস্থ নেপালী রাষ্ট্রদূতের সচিব রিয়া সেটরী, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনস্যুল মো.সোলায়মান আলাম শেঠ, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও প্রফেসর আবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

  • নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

    নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম নগরীর পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে নগরীর পরিবেশ সংরক্ষণে জোরদার কার্যক্রম চালাতে পত্র প্রেরণ করেছেন।

    পত্রে প্রশাসক নগরীতে ক্রমাগত পুকুর জলাশয় ভারট হওয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচল ও এর কালো ধোঁয়া নির্গতের মাধ্যমে বায়ু দূষণ আবাসিক এলাকায় ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প-কারখানা ও কন্টেইনার ইয়ার্ড গড়ে উঠা শিল্প কারখানাগুলোর ইটিপি না থাকা, থাকলেও তা ব্যবহার বন্ধ রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    তিনি বলেন, ৬০ লাখ অধিবাসীর অধ্যুষিত চট্টগ্রাম নগরী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ শহর। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে এই নগরীর পরিবেশ এখন বিপর্যয়ের মুখে। নগরীতে এখন কেউ কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। ইচ্ছামত পুকুর জলাশয় ভরাটের পাশাপাশি, ফিটনেস বিহীন গাড়ীর কালো ধোঁয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি জনবীজন আজ হুমকির মুখে। অপরদিকে শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যরে কারণে নদী-খাল এখন দূষণের কবলে। ফলে জীব বৈচিত্র ধ্বংস ও ক্রমাগত মাছের উৎপাদন কমছে। এতে পাহাড়-নদী-সমুদ্রে ঘেরা এই চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্ততে পরিণত হচ্ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন মানবিক শহরে পরিণত করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরী ভিত্তিতে জোর দার কার্যক্রম চালানো উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

    প্রশাসক এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে কর্পোরেশন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।

    জলবায়ু পরিবর্তনজনীত ঝুঁকি মোকাবেলায়
    যথাযথ গবেষণা চাই: সুজন
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চট্টগ্রম নগরীর উপকুলীয় এলাকার বসবাসকারীদের জীবনযাত্রায় ঝুঁকি বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন নগরীর নিম্নাঞ্চল জোয়ারের সময় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি খালগুলোতে লবণাক্ত পানি ঢুকে যাচ্ছে। ফলে কৃষিখাতও হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই ঝুঁকি মোকাবেলায় যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এর একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে এলে একথা বলেন।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সেভ দ্যা চিলড্রেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী দলনেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়াজ আহাম্মেদ খান, ড. এমদাদুল ইসলাম, ড. আমীর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও ড. খারেজ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় শহর অঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর উপর পরিচালিত ঈঙজঠও একটি গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পটি জাপানি প্রতিষ্ঠান ওসান পলিসি রিচার্চ ইন্সটিটিউট ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার চট্টগ্রাম একটি গুরুপূর্ণ এলাকা। এ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। তিনি প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনর পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে জানিয়ে বলেন, উপকূলীয় শহরের জন্য জলবায়ু এবং সমুদ্রের ঝুঁকি একিভূত মূল্যায়ন প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, আর্থিক এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি পরিমাপ করতে অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জরিপের তথ্যকে একত্রিত করতে হবে। তবেই নীতিনির্ধারকরা তাদের শহরের জন্য টেকসই নগর পরিকল্পনা বিকাশে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে পারবে।

  • ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন পুরন হবে: চসিক প্রশাসক

    ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন পুরন হবে: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরব ও অহংকারের দিন। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাঙ্গালী জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।

    মহান বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

    সকাল আটটায় বাটালী হিলস্থ, টাইগারপাস চসিক সম্মেলন কক্ষে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।

    প্রসাশক আরো বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষনে আজ আমরা এই বিজয় দিবস উদযাপন করছি। এ বছর আমরা আমাদের মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ-বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। কয়েকদিন পর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পন করবো। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করে সমগ্র-বিশ্বের বুকে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী-২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পুরন হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক দেশ থেকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা এবং স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মানকারীদের রুখে দেয়া।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর সাড়ে ছয়টায় বাটালিহিলস্থ, টাইগারপস অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    শ্রদ্ধা নিবেদনকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বিজয়ের অনুভূতি সবসময় আনন্দের। তবে একই সাথে দিনটি বেদনারও। বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে। উনপঞ্চাশ বছরের এ পথপরিক্রমায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবুও আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার স্বপ্ন পুরণ করেছি।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব সমস্যা মোকাবেলায় সচেষ্ট হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে।

    কেন্দ্রিয় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী আফিয়া আখতার, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, আতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী , সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারণ সম্পদাক মুজিবুর রহমানসহ চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে কোন ময়লা-আবর্জনা দেখতে চাইনা: চসিক প্রশাসক

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে কোন ময়লা-আবর্জনা দেখতে চাইনা: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আগামী (১৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর কোথাও কোন ময়লা পড়ে থাকতে দেখা গেলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে নগরীর সকল রাস্তা-ঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত দেখতে চাই। যারা আমার এই নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করবেন তাদের পুরস্কৃত ও যারা করবেন না তাদের জন্য তিরস্কারের পাশাপাশি থাকবে শাস্তির ব্যবস্থা। এছাড়াও ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে টিজির দখলকৃত জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-সুপারভাইজারদের একসভায় একথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারদের অফিস থেকে নির্দিষ্ট যে পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে, তা পরিধান করে কর্মস্থলে কাজ করবেন। যাতে নগরবাসী আাপনাদের চিনতে পারেন।

    তিনি বলেন, আমার দায়িত্বের ৫ মাস অতিবাহিত হতে চললো এখনো নগরীর কিছু এলাকা থেকে নিয়মিত ময়ল-আবর্জনা পরিস্কার ও রাস্তা ঝাড়ু দেয়া হয়না বলে অভিযোগ পাই আমি। এটা কাম্য না। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা সুপারভাইজারগণ যদি মনে করেন আমি কিছু জানিনা, বুঝিনা, দেখিনা তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন! আমার কাছে আপনাদের সব অনিয়ম অভিযোগের খবর আছে। এরপরও আমি চাই আপনারা সংশোধন হয়ে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

    এসময় প্রশাসক দুঃখ করে বলেন আমার মনে “ডোর টু ডোর” এ নিয়োগকৃত পরিচ্ছন্ন শ্রমিকদের নিয়ে একটা খটকা থেকেই গেলো। তিনি তাঁর দায়িত্বকাালে একদিনও নগরীতে ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র দেখতে চাননা বলে জানিয়ে বলেন, আপনার ঠিকঠাকভাবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন, যাতে আমাকে আপনাদেরকে বকা ঝকা করতে না হয়। আমি নিজেও কারো কাজে খবরদারি করা পছন্দ করিনা। আপনারা দায়িত্ববোধ নিয়ে নিজ কাজ সম্পন্ন করবেন এটাই প্রত্যাশা।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার-কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রশাসকের দায়িত্বকালে নগরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের যে ভাবমূর্তি অর্জিত হয়েছে তা রক্ষা করতে হবে। কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী সুপারভাইজারের দায়িত্বে অবহেলা মেনে নেয়া হবে না। আর মনে রাখবেন আপনাদের কাজ ছোট নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের সম্মানের চোখে দেখা হয়। কাজেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এটাই কাম্য।

  • মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রামসহ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের অলোচিত ও পরিচিত মুখ গণমানুষের নেতা আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ‘চট্টলবীর’ খ্যাতি পাওয়া প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ভোরে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রশাসক কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এর আগে কোরান খতমের অয়োজন করা হয়।

    শ্রদ্ধানিবেদনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোন-৬ এর আফিয়া আখতার, স্পেশাল ম্যজিস্ট্র্যাট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেক রসূল চৌধুরী টিপু,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, আবু তৈয়ব, শাহিনুল ইসলাম ও ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

  • অদম্য-অজেয় বাংলাদেশের জয়যাত্রা থামানো যাবেনা: সুজন

    অদম্য-অজেয় বাংলাদেশের জয়যাত্রা থামানো যাবেনা: সুজন

    বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ৭১ এর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর বধ্যভূমির স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক দিয়ে আজ সোমবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    পুস্পস্তবক অর্পণের পর তিনি স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে জাতির এই সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রশাসক উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বাঙালি জাতির জীবনের ইতিহাস,ঐতিহ্য,শৌর্যবীর্য লড়াই-সংগ্রামের সাথে ওতো প্রতোভাবে জড়িয়ে আছে ৫২-৭১। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীকারের স্বপ্নের যে বীজ মনে রোপন করেছিল তা পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপ নেয়। এই স্বাধীনতা ও শোষনমুক্ত স্বাধীন দেশ প্রাপ্তিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি হারাতে হয়েছে জাতির মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পশ্চিমা পকিস্তানী জান্তারা চেয়েছিলো বাঙালি জাতিকে মেধাশুন্য ও সাংস্কৃতিকভাবে পঙ্গু করে দিতে। কিন্তু তারা পারেনি।

    তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় স্বদেশ ও এর জনগোষ্ঠী অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনাকে লালন ও ধারন করে। এখানে কখনো সাম্প্রদায়িকতার উগ্র আস্ফালন মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আগামী দিনের স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ তাঁর অর্থনৈতিক স্বানির্ভরতার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। অদম্য-অজেয় এই প্রিয় বাংলাদেশের জয়যাত্রা কেউ থামিয়ে রাখতে পারবেনা।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,প্রশাসকের একান্ত সচিব মো.আবুল হাশেম,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবাধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন বড়ুয়া প্রমুখ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

  • সুখে দুঃখে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই : সুজন

    সুখে দুঃখে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন আমি আমার দায়িত্বকালীন মেয়াদের মধ্যে নগরবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। সকাল বিকাল দুপুর রাত সবসময় আমার ঘরের দরজা নগরবাসীর জন্য খোলা। আমি বিশ্বাস করি আমার প্রিয় এই চট্টগ্রাম নগরীর মানুষের জন্য যদি ভালো কোন কাজ করি, তাহলে তারা আমাকে মনে রাখবেন। আমার পরিচিত জনদের মধ্যে অনেক নগরবাসী আমাকে প্রশ্ন করেছেন আমি ঘুমায় কখন? ঘুমিয়ে আরাম আয়েশে জীবন অতিবাহিত করলে মানুষের জন্য কিছু করা যাবে না। আমি সুখে দুঃখে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই।

    তিনি আজ নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে রাজস্ব সার্কেল-৫ এর স্পট হোল্ডিং ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদ ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউসুফ (লাইসেন্স)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-কর কর্মকর্তা দিদারুল আলম ও সেলিম সিকদার।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন বিনা তেলে যেমন মাছ ভাজা যায় না, তেমনি পৌরকর ছাড়া নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করা যাবে না। কাজীর দেউড়ি অভিজাত এলাকা। এখানকার নাগরিকদের কর প্রদানের হারও আশাব্যঞ্জক। কর না পেলে নগরীর আলোকায়ন,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক মেরামতের কাজ করা যাবে না। তাই নগরীর উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যরে স্বার্থে নগরবাসী পৌরকর প্রদানে এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। ডিসেম্বর মাস জুড়ে পৌর কর ও ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সারচার্জ মওকুফ করা হয়েছে। কর প্রদানকারীরা চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে যোগাযোগ করে আপনাদের প্রয়োজনীয় পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হলে প্রশাসক তার সাথে সরাসরি বা ফোনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

    পরে স্পটে কর প্রদানকারী ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া কয়জন গ্রাহককে ফুল দিয়ে অভিন্দন জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। স্পট কর প্রদানকারীদের মধ্যে ছিলেন বাবুল চন্দ্র সেন ৮৪ হাজার ৯৯০টাকা, লালখান বাজারের সামিহা ছলিম ১ লক্ষ২০ হাজার ২৪০ টাকা পৌরকর ও ইকরামুল হক চেমন গ্রোসারী ইউনিটি প্রিন্ট্রার্স স্পট ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করিয়ে নেন।

  • এবার রানীর দীঘি ভরাট ঠেকালো সুজন

    এবার রানীর দীঘি ভরাট ঠেকালো সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রানীর দীঘি’র ভরাটে ফেলা মাটি উঠিয়ে নিতে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    গতকাল পাঠানটুলীর নজির ভাণ্ডার (র.) লেনে পুকুর ভরাট ঠেকানোর পর আজ রোববার বিকেলে খবর পেয়ে রানীর দীঘি পরিদর্শনে যান।

    পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেন দীঘির দুই পাড় ভবনের নির্মাণ কাজের মাটি-বালি, সুড়কি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। অন্যান্য পাড়ের বেশকিছু অংশও দখলে চলে গেছে। পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব দেখে প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অতীতেও কিছু অসাধু মানুষ বাণিজ্যিক লাভের আশায় ঐতিহ্যবাহী এই রানীর দীঘি ভরাট করতে চাইছিলো। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কারণে তা পারেনি। শহরে ক্রমে পুকুর, জলাশয়, জলাধার কমছে। অথচ অগ্নিকাণ্ড থেকে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষায় পুকুর জলাশয় প্রয়োজন। পুকুর, দীঘি থাকলে এলাকার রান্না-বান্না ও ব্যবহারের পানির সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার আশংকা কম থাকে। কারণ বৃষ্টির পানি পুকুর,দীঘি ধারণ করে। নগরীর ঐতিহ্যবাহী রানীর দীঘির সৌন্দর্য্য চোখে পড়ার মতো। মাছ চাষ ও বিক্রির অর্থ দিয়ে এই দীঘি রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। তাছাড়া এর দুইপাশে আলোকায়ন করলে রাতে দীঘির নান্দনিক সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে।

    এসময় নগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলল প্রার্থী নিলু নাগ এস কে আকরাম, আজাদ উল্লাহ ,মো.ইদ্রিস, সুদীপ ঘোষ, রিপন ঘোষ, অঞ্চল চত্রুবর্তী, মো. হাসান, প্রদীপ বিকাশ দে, রাজ গোপাল রাজু, কাউসার উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মাসুদ ভাই, আক্কাস ভাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • চসিকের কার্যক্রমে গতির সঞ্চারে সন্তুষ্ট মন্ত্রণালয়: সচিব হেলালুদ্দীন

    চসিকের কার্যক্রমে গতির সঞ্চারে সন্তুষ্ট মন্ত্রণালয়: সচিব হেলালুদ্দীন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক পদে আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও নাগরিকসেবা কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

    তিনি আজ রোববার সকালে কর্পোরেশনের টাইগার অফিসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রশাসক ও কর্মকর্তাদের সাথে চসিকে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহামদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী ও চসিক আঞ্চলিক অফিস-৬ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু সালেহ,মনিরুল হুদা,কামরুল ইসলাম,সুদীপ বসাক,ঝুলন কুমার দাশ,অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদ আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় কর্পোরেশনের প্রকৌশলীগণ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার সচিবকে অবহিত করেন।

    চসিকের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, চসিকের বর্তমান প্রশাসকের দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর সেবা কার্যক্রম বিশেষ করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, রাস্তা-ঘাটের মেরামত ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহলেও কর্পোরেশনকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিতে মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দিয়ে রাখা আছে।

    তিনি বলেন, এখনকার চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত মনে হয়। স্থানীয় সরকার সচিব চট্টগ্রাম নগরীর লাইফলাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের নির্মাণকাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে ধন্যবা ও অভিন্দন জানান।

    তিনি বলেন, প্রশাসক দায়িত্ব নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম ও তোড়জোড় করে যেভাবে পিসি রোডের নির্মাণ কাজে গতি ফিরিয়ে এনেছেন তা প্রশংসনীয়। এই সড়কটির কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ওই অঞ্চল ও চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ট্যাংক-লরি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম দুরপাল্লার বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে জনসাথারণের।

    স্থানীয় সরকার সচিব বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার কোটি টাকার যে মেগা প্রকল্প চলছে, তা শেষ হলে নগরীর জলাবন্ধতা আর থাকবেনা বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, এই কাজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে হলে ভালো হতো। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা ও জনবলের সক্ষমতা আছে একমাত্র কর্পোরেশনের। কর্পোরেশনে অনেক প্রবীণ ও দক্ষ প্রকৌশলী আছেন যাদের নখদর্পনে পুরো চট্টগ্রাম নগরীর মানচিত্র। তারা জানেন নগরীর খালগুলো কি অবস্থায় কোথাই কয়টা আছে।

    তিনি বলেন,কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, বহিনোঙ্গরে জাহাজ জট কমার পাশাপাশি সহজে অবতরণ করতে পারবে আশাকরি।

    সচিব চট্টগ্রাম উন্নয়নের স্বার্থে জলাবদ্ধতাসহ অন্য সকল উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম চসিককে চউক,ওয়াসা ও অন্য মেগাসংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করার আহ্বান জানান।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বকেয়া পাওনাদি দ্রুত পাওয়ার পাশাপাশি নগরীর অবকাঠামো ব্যবহারকারী সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রাপ্তি নিশ্চিত ও কর্পোরেশনের ১২’শ কোটি টাকা দেনা পরিশোধে স্থানীয় সরকার সচিবের সহযোগিতা কামনা করলে, সচিব মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে আলাপ করে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতা করবেন জানান।

    এসময় চসিকের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী লীগ(সিবিএ) এর নেতৃবৃন্দ চসিকে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ীকরনে স্থানীয় সরকার সচিবকে অবহিত করে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করলে, তিনি এ বিষয়ে আলাপ করবেন বলে জানান, সে সময় সিবিএ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফরিদ আহমদ,মুজিবুর রহমান,জাহিদুল আলম চৌধুরী, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, রতন দত্ত,আব্দুল মওদুদ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়িত ফরেইন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এফসিডিও ও ইউএনডিপি সহায়তায় দেয়া পয়ঃনিস্কাশণ এবং স্যানিটেশনের উন্নয়নে ভ্যাকুয়াম ট্যাগ এর ৪ টি ট্রাক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করেন।

  • আবর্জনা ফেলে পুকুর ভরাটের চেষ্টা,খবর পেয়ে ব্যবস্থা নিলেন সুজন

    আবর্জনা ফেলে পুকুর ভরাটের চেষ্টা,খবর পেয়ে ব্যবস্থা নিলেন সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ পেলেন নগরীর ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নজীর ভান্ডার (র.) মাজার লেইন এলাকায় একটি বড় পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। প্রশাসক অভিযোগরে সত্যতা যাঁচাইয়ের জন্য আজ শনিবার বেলা ১২ টায় ছুটে যান এই এলাকায়।

    সরেজমিন পুরো এলাকা হেঁটে পরিদর্শন শেষে পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলার অভিযোগের সত্যতা দেখতে পান।

    প্রশাসক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পাঠানটুলী ওয়ার্ডের পুকুরে ময়লা ফেলে ভরাটের যে চিত্র প্রত্যক্ষ করলাম তা রীতিমত বেআইনি কর্মকান্ড। পুকুর-জলাশয় রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) এর আইন রয়েছে। কেউ ইচ্ছে করলেই পুকুর ভরাট করা পারে না। পাঠানটুলী ওয়ার্ড এমনিতে গিঞ্জি এলাকা অগ্নিকান্ড ও বৃষ্টির দিনে পানি ধরে রাখতে পুকুর জলাশয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এলকায় অগ্নিকান্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটলে অগ্নিনির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঢুকতে সমস্যা হবে। তাই আগুন থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও অতিবৃষ্টিতে জলাবন্ধতা থেকে রক্ষা ও পানি ধারণ ক্ষমতার উৎস হলো পুকুর জলাশয়। আশ্চর্যজনক হলো নগরীর কিছু মানুষের চিন্তা শক্তি লোপ পেয়েছে। তারা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে।

    প্রশাসক বলেন, নগরে বসবাসকারীদের নাগরিক হয়ে উঠতে হয়, না হলে দূর্ভোগের শেষ হবে না। তিনি পুকুরে ফেলা সকল আবর্জনা দ্রুত পরিস্কারে কর্পোরেশনের অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এসময় তিনি ওই এলাকার রাস্তায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মিত ঝাড়ু দেয়না বলে প্রশাসককে অভিযোগ দিলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারকে ভৎসনা করে, তাঁকে তৎক্ষনিক ওই এলাকা থেকে শাস্তি স্বরূপ বদলী করতে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে নির্দেশ দেন।

    পরে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার যোগাযোগ করে ‘বড় পুকুরটি’ রক্ষায় আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরিদর্শনকালে এলাকার রাস্তার উপর বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা দেখে তা অবিলম্বে সরিয়ে নিতে বলেন, না হয় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হবে বলে ভাসমান হকার-ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।

    প্রশাসক বলেন, নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সব শ্রেণি পেশার নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। কর্পোরেশনের কর্মীরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজে গাফেলতি করলে ব্যবস্থা নিব। কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলাতো দন্ডনীয় অপরাধ। গৃহস্থালী ময়লা আবর্জনা সংরক্ষণে ঘরে ঘরে কর্পোরেশনের বীন দেয়া আছে। বীন ময়লা-আবর্জনা সংরক্ষণের পর কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবকদের দিলে তারা তা নিয়ে যান। অথবা নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে আবর্জনা ফেললে হয়। কিন্তু সরাসরি পুকুরে ফেলে তা ভরাট করে ফেলা এটাতো দন্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশের জন্যও ক্ষতি। এই পুকুরের পানি পানের ফলে যেকোন সময় পেটের পীড়া ডায়রিয়া-টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। কাজেই সমাজের মঙ্গলের স্বার্থে নিজের আশ-পাশ রাস্তা ঘাট পরিস্কার রাখবেন এটাই প্রত্যাশা।

    খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, নগরীর পাঠানটুলী, কদমতলী, বাইতুশ শরফ মাদ্রাসা ও দেওয়ানহাট এলাকায় ব্যবসাীয়গণ দোকানের সামনে ফুটপাতের উপর তাদের মালামাল টায়ার, টিউব, গাড়িার যন্ত্রাংশ রেখে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছেন। এতে জনসাধারণ ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে না পেরে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন।

    প্রশাসক ব্যবসায়ীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুটপাত হতে তাদের মালামাল অপসারণ করে জনসাধারণের চলাচলের পথ সুগম করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জেল জরিমান করা হবে।

  • জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চাই: চসিক প্রশাসক

    জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চাই: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সংবিধান স্বীকৃত মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিশ্চিত করা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য ও দায়বদ্ধতার পরিচায়ক চেতনা হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সীমিত আর্থিক সক্ষমতা ও দেনার বোঝা নিয়েও সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে।

    তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর বন্দরটিলা সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    এই কর্মসূচী আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং কর্মসূচী চলাকালে নগরীর ৯মাস থেকে ১০ বছর বয়সী ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করা হবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির মধ্যেই সারাদেশে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই করোনাকালে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি বেদনাজনক। অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসুচী পালন করা দোষের নয়। সবাইকে মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের বিষয়েটিও ভাবতে হবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু তাদের কর্মবিরতির কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় ক্যাম্পেইন কর্মসূচী চলমান থাকবে। কেননা শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য রক্ষায় এই টিকা খুবই জরুরী।

    তিনি টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

    তিনি বলেন, সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবাকে প্রসারিত করে প্রশংসনীয় মানদন্ডে উন্নীত করেছিলেন। তিনি অনেক কষ্ট করে ২০০০ সালে বন্দরটিলায় এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এর মান আগের মত নেই। পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। চেষ্টা করবো এই সমস্যা সমাধানে।

    প্রশাসক আরো বলেন, বন্দরটিলা ও ইপিজেড এলাকায় ৫ লাখ কর্মজীবী মহিলা আছেন। কিন্তু তাদের জন্য অত্যাধুনিক কোন ভালো মানের হাসপাতাল নেই। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যপক জনগোষ্ঠির জন্য একটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়।

    তিনি বন্দরটিলা ও ইপিজেড এলাকায় পরিচ্ছন্নতাসহ যে সকল সেবাধর্মী কাজ সিটি কর্পোরেশন করে যাচ্ছে তার জন্য একটি সার্ভিস চার্জ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখানকার কলকারখানা থেকে গৃহকর আদায় হয় না। তাই সার্ভিস চার্জ ছাড়া সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ক ইমং সু চৌধুরী, ডা. সরওয়ার আলম, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, সমাজসেবক মোহাম্মদ আবু তাহের, সুলতান নাসির কন্ট্রক্টর, আকবর হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ ইউসুফ মেম্বার, মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন, সেলিম রেজা, শারমিন সুলতানা, মো. ফারুক ও মো. লোকমান হাকিম।