Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে পতেঙ্গা সৈকতে হাজির, ছুটি নাই প্রশাসক সুজনের!

    মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে পতেঙ্গা সৈকতে হাজির, ছুটি নাই প্রশাসক সুজনের!

    শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। পুরো একসপ্তাহ কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে নানা শ্রেণি পেশার কর্মজীবী মানুষজন ছুটির দিনে একটু অবকাশ যাপন ও বিনোদনের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়,পর্বত ও সবুজেঘেরা প্রকৃতির কাছে ছুটে। কিন্তু সবার ছুটি মিললেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের প্রাত্যহিক জীবনধারায় যেন ছুটি নাই ! ভোর থেকে রাত অবধি ছুটছেন নগরবাসীর সুখ-দুঃখের খোঁজ নিতে। ব্যবস্থা নিচ্ছেন দ্রুত।

    ব্যতিক্রম ছিলোনা আজ শুক্রবারও। ভোরের শীতের কনকনে ঠান্ডা, ঘণকুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল ৮ টায় তিনি ছুটেন মহেষখালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। এই কর্মসূচি শেষে জুমার নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর দু’ঘন্টার বিশ্রাম নিয়ে দুপুর ২টায় আবার তিনি ছুটে গেলেন নগরীর ফয়’স লেকের কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। উদ্দ্যেশ্য ছুুটির দিনে এই বিনোদন স্পটগুলোতে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসু নাগরিক ও দর্শনার্থীরা করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসুরক্ষায় মাস্ক পরিধান করেছে কিনা তা তদারকি করা। আর এই কাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসককে সহযোগীতা করছে রেডক্রিসেন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিনসিসি)’র সদস্যরা।

    ফয়’স লেকর কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক ফয়’স লেক পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন মানুষের মাস্ক পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    তিনি এই দুই স্পটে বেড়াতে যাওয়া ভ্রমণ পিাপাসু দর্শনার্থীদের সচেতন হয়ে মাস্ক পরিধান করায় ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে মানুষের জীবনকে লকডাউন না করে, করোনাকে লকডাউন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারিভাবে করোনা মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ। আমরাও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেনতন করতে নগরীর পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছি। চেকপোস্ট গুলোতে পরিদর্শনকালে দেখা যায় মানুষজন শতভাগ মাস্ক পরিধান করে বাইরে বের হয়েছেন। মানুষের এই সচেতনতা ও মানসিকতার পরির্বতন আশাব্যঞ্জক। আমাদের এই মাস্কপরিধান নিশ্চেতের সচেতনতা কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সফল করতে সহায়তা করেছেন বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা । তাদের ধৈর্য্য, ত্যাগ ও শ্রমের কারণে করোনা সচেতনতায় মাস্ক পরিধান সুনিশ্চিতের এই কার্যক্রম মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যসুরক্ষার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। আশাকরি এই সচেতনতা রক্ষা করার মাধ্যমে মহান বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের মত আমরা করোনাকেও জয় করবো।

  • পানি চলাচলের পথ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা দন্ডনীয় অপরাধ : সুজন

    পানি চলাচলের পথ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা দন্ডনীয় অপরাধ : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যারা খাল-নালা-নদর্মাকে ডাষ্টবিন বানিয়ে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করছে তাদেরকেই নিজ দায়িত্বে এগুলো পরিস্কার করতে হবে। আবর্জনা ফেলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করা দন্ডনীয় অপরাধ। তাই অভিযুক্তকে জেল জরিমানার দন্ড ভোগ করতে হবে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেষখাল পরিস্কার অভিযান পরিচালনাকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, মহেষখাল দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পানি চলাচল করে। এই খালটি বার বার পরিস্কার করার পরও এলাকাবাসীর হুশ হয়না। তারা প্রকাশ্যে খালে আবর্জনা ফেলে। তাই এই জায়গা গুলো মশার প্রজনন কেন্দ্র ও রোগ-বালাইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    এলাকাবাসীকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নিজেদের বাসা-বাড়ী-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা ও নালা-নদর্মা নিজেরাই পরিস্কার রাখবেন। এটা সামাজিক কর্তব্য। কেউ কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যথেষ্ট খরচা-পাতি করেন। তাদের উচিত সমাজের ভালোর জন্য কাজ করা, জনকল্যাণমমুখী সেবা প্রদান করা।

    তিনি আরো বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা-নালা-নদর্মা করছে। অথচ এগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সমাজের প্রতি উদাসীনতা একটি আত্মঘাতী মানসিকতা। মনে রাখতে হবে স্বার্থপরতা মানবিকতার পরিপন্থী। এই মানসিকতা পরিহার করে সর্বজনীন ও মানবিক হতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান এবং শুদ্ধাচারী জীবনযাপন করুন। আমি এবার নালা পরিস্কার করে গেলাম। যদি এখানে আবর্জনা কেউ ফেলে তা নিজেকেই পরিস্কার করতে হবে।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ প্রণব শর্মা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি খোন্দকার আব্দুল হক বাবুল, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওয়াহিদুল আমিন, আরিফুল আমিন ও ডা. অর্জুন কুমার দাশ।

  • নাগরিকসেবা প্রাপ্তির স্বার্থে পৌরকর পরিশোধ করুন: চসিক প্রশাসক

    নাগরিকসেবা প্রাপ্তির স্বার্থে পৌরকর পরিশোধ করুন: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নাগরিকসেবা সুনিশ্চিত করার স্বার্থে নগরবাসীকে হালনাগাদ পৌরকর পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, আলোকায়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও মেরামতের মত নাগরিক পরিসেবা প্রদানের মাধ্যমে নগরীকে সচল রাখতে পৌরকর প্রদান করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানসহ আনুসাঙ্গিক অন্যান্য খাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রতিমাসে খরচ হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এখন যদি নগরবাসী তাদের পৌরকর প্রদান না করেন তাহলে কর্পোরেশন কি করে চলবে?

    আধুনিক বিশ্বে সুসভ্য নাগরিক মাত্রই কর প্রদান করেন। আমার প্রিয় চট্টগ্রাম নগরীর নাগরিকগণও তাদের পৌরকর হালনাগাদ পরিশোধ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। কর প্রদানে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারচার্জ মওকুফের সুবিধা দেয়া আছে। আশাকরি নগরবাসী এ সুযোগ গ্রহন করবেন।

    তিনি আজ নগরীর দুই নাম্বার গেইটস্থ চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেন রাজস্ব সার্কেল-১ এর অধীনে স্পট হোল্ডিং টেক্স সংগ্রহ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী (সিনিয়র সহকারী সচিব)’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রশাসকের একান্ত সচিব মো.আবুল হাশেম (সিনিয়র সহকারী সচিব) কর কর্মকর্তা (হোল্ডিং) মহিউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জসীম উদ্দীন (লাইসেন্স) উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, পৌর করের পাশাপাশি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু নেয়া একজন ব্যবসায়ীর দায়িত্ব। ব্যবসার প্রথম স্বীকৃতি হলো ট্রেড লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স না থাকা মানে ব্যবসার কোন স্বীকৃতি নাই। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা মানে অনেকটা ফুটপাথে অবৈধভাবে হকারি করার মত। কাজেই ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সারচার্জ মওকুফের সুযোগ নিয়ে আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করে ফেলুন।

    তিনি পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোন গ্রাহককে ভোগান্তি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে না হয় সে বিষয়ে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করতে বলেন।

    প্রশাসক বলেন, যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহক সন্তুষ্ঠি অনুযায়ী ভালোভাবে কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। আর যারা অন্যায়-জুলম করে গ্রাহকদের হয়রানি করছেন,এরকম অভিযোগের প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা। কাজেই সৎভাবে কাজ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সুনাম ও ভাবমুর্তি উজ্জল করবেন অপনাদের কাছে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি চট্টগ্রাম শহরের সুবিধাভোগী চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, কাস্টমসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের বড় শিল্প গ্রুপ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানাকে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে ও উন্নত সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতে ১ শাংশ করে সার্ভিস চার্জ প্রদান করা উচিত বলে মত দেন।

    সুজন এসময় নিয়মিত আয়কর প্রদানের পরও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সরকারের রাজস্ব বিভাগের নিয়ম ও আইনের কারণে যে অতিরিক্ত আয়কর ৩ হাজার টাকা প্রদান করা লাগে,তা মওকুফে সরকারি রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপ আনুষ্ঠানিক পত্র প্রেরণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন এই ৩ হাজার টাকার আয়কর কর্পোরেশন পায় না। কিন্তু এ নিয়ে ব্যবসায়িরা কর্পোেরশনকে ভুল বুঝেন।

    পরে পৌর কর প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাজী টেক্সাটাইলের পক্ষে মো. জয়নাল আবেদীন ৩লাখ ১৪ হাজার ৫’শ ১৯ টাকা, শেভরণ ক্লিনিক ২লাখ ১২ হাজার ৫’শ, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম রব্বানি পৌরকর প্রদান ও এক্সপোার্ট ইমপোর্ট ব্যাংকের পক্ষে মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি.ও রবি আজিয়াটা স্পট ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করায় তাদের প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    এসময় চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসয়িক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রশাসককে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

  • আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জনসাধারণকে সচেতন করতে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে নগরীর পাঁচ পয়েন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মী, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্ট’র সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছেন।

    আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মোড়ে এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির একটি যৌথ টীম মাঠে নেমেছে। অপর একটি টীম কাজ করছে নগরীর শপিংমল, কাঁচা বাজারগুলোতে।

    মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশনের নেয়া কার্যক্রমের তদারক করতে আজ বুধবার সকাল ৮টায় প্রথমে নগরীর সিটি গেইট, অক্সিজেন মোড় ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শনকালে তিনি সিটি গেইটে আন্তঃজেলা, অক্সিজেন মোড়ে চট্টগ্রাম উত্তর ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় দক্ষিণ জেলা থেকে শহরে ঢুকা বেশকিছু দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, লরি থামিয়ে চালক-হেলপার ও যাত্রীগণ মাস্ক পরিধান করছেন কিনা তা তল্লাশি চালান।

    এসময় তিনি যারা মাস্ক পরিধান করেনি তাদের শহরে ঢুকতে না দিয়ে বুঝিয়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত পাঠান । সে সময় রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির কর্মীগণ জনসাধারণকে মাস্ক পরিধান করতে মাইকিং এর পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, প্রচারপত্র বিলি করে।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। একমাত্র সচেতনতায় পারে এই সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোভিড-১৯’র দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চট্টগ্রাম শহরেও সংক্রমণ মারত্মকভাবে বেড়েছে। নগরীর স্বনামধণ্য অনেক ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছে। পত্রিকা-গণমাধ্যম মারফত আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেখছি তা দিয়ে সঠিকতা নির্ণয় করলে হবে না। অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও সামাজিকভাবে তা চেপে রাখেন। কারণ এতে মৃত্যুবরণ করলে আত্মীয়-পরিজন সমাজের লোকেরা জানাযা ও দাফন কাফনে অংশ নিতে চান না। এটা আরেক সামাজিক বিড়ম্বনা। অথচ চিকিৎসকদের মতে মৃত্যুর পরে কোন লাশে করোনার কোন জীবানু থাকেন। কাজেই এর মাধ্যমে করনোয় সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ তেমন নাই বললেই চলে। বরং জানাযা বা জমায়েতে উপসর্গ আছে এরকম যেকোন উপস্থিত ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভ্যাকসিন বা টীকা না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই । জনসাধারণকে মনে রাখতে হবে এখন পর্যন্ত মাস্কই টীকা। কোনভাবেই মাস্ক পকেটে, থুতনিতে রাখা যাবে না। যথা নিয়েমে নাক মুখ ঢেকে তা পরিধান করতে হবে।

    প্রশাসক বলেন, আমি চাই আমার প্রিয় প্রাণের চট্টগ্রাম নগরীর ৬০লাখ অধিবাসী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকুক। আমার এই কঠোরতা নগরবাসীর ভুল বুঝার কোন অবকাশ নাই। দেশের স্বার্থে নগরবাসী আমাকে ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনকে সহযোগীতা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন মাস্ক পরা মানে ৮০ ভাগ নিরাপদ। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমন যেভাবে বাড়ছে, তাতে লকডাউন দেয়ার পরিস্থতি বিরাজ করছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে এটা সম্ভব না। তাই সচেতন হয়ে আমাদের এই দুর্যোগ কাটাতে হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, সার্জেন্ট বশীর হেলাল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্টের সব্যসাচী দেবনাথ, রাহাত ইসলাম, তমা দেব নাথ প্রমুখ।

  • মশা নিধনে মাদারবাড়িতে সুজনের হানা

    মশা নিধনে মাদারবাড়িতে সুজনের হানা

    মশার উপদ্রব বাড়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নালা খাল পরিস্কারের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধনে ওষুধ ছিটাচ্ছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলে ছুটে যান ওই এলাকার সমস্যা সমাধানে।

    তিনি মঙ্গলবার বিকেলে সদরঘাট ইসলামিয়া কলেজ মোড় থেকে পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের পুরো এলাকা হেঁটে নালা অলিগলিতে মশা নিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটান।

    এসময় এলাকাবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন শীতকাল হচ্ছে শুষ্ক মৌষুম। এসময়ে ধুলাবালি ও মোশার উপদ্রব বাড়ে। এতে করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ এলার্জি জনিত বিভিন্ন রোগবলাই দেখা দেয়। অপরদিকে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সংক্রামন বেড়েছে। শীতজনিত রোগবালাই ও করোনা দুইয়ে মিলে জনস্বাস্থ্য যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সে লক্ষ্যে কর্পোরেশন নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে। নগরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনাদের চারপাশ পরিষ্কার থাকে। তাহলেই মশার উপদ্রব ও করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    এ সময় পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরী, কর্পোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ প্রনব সাহা, স্থানীয় রাজনৈতিক মো. সানাউল্লাহ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজী, মাহবুবুল আলম জনি, আবু তারেক রনি, ফয়সাল সাব্বির, রাকিবুল আলম, ইবনে বিন জামান ডায়মন্ড, আনিসুর রহমান তারেক, সৈকত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীকে মশার বংশবিস্তার রোধে নিজ নিজ বাড়ি বাসস্থানের আঙ্গিণা, আশ-পাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে মশার উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় আশ-পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজেরা পরিষ্কার থাকুন, আপনাদের আশ-পাশ পরিষ্কার রাখুন। আর যারা ছাদ বাগান করেছেন তাদেরকে ডেঙ্গমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে নিয়মিত ছাদ বাগান পরিস্কার রাখার আহবান জানান।

    তিনি বলেন এ নগরী আপনার আমার সকলের। এ নগরী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য আপনাদের পাশে থাকবে।

    প্রশাসক আজ রোববার বিকেলে নগরীর ৩৪নং পাথরঘাটা, ৩৩নং ফিরিঙ্গিবাজার এবং ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডে মশক নিধনে মশার ওষুধ ছিটানোকালে এসব কথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসক পাথরঘাটা গীর্জার মোড় থেকে হেঁটে নালার পানি চলাচল, নালার নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের পর ফিরিঙ্গী বাজার বংশাল রোড হয়ে আলকরন পর্যন্ত বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ স্প্রে ও লার্ভা ধ্বংসে ঘরের আঙিনায় এবং নালায় এডালটিসাইট স্প্রে করেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রায় ৫০ জন সেবক ও কর্মী এ সময় ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

    সে সময় পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ফরহান আহমেদ, আলকরন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রাার্থী আব্দুস সালাম মাসুম, মাইনুল হক লিমন, মো. নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মো. সাইফুল, জানে আলম, সোলেমান সুমন, নুর আহম্মদ, ফরমান উল্লাহ, মহিউদ্দিন রনি, নিয়াজ উদ্দিন, ফরহাদ আনোয়ার তপু, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার এবং আলকরন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে প্রতিদিন অকালে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন। তিনি সে সময় যাত্রাপথে নগরবাসীর মাঝে করোনা সচেতনায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন।

    প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে সুরক্ষা নিয়ে মাস্ক পরিধান করে চলাচলের আহ্বান জানান। তিনি ফিরিঙ্গী বাজারের বংশাল রোডের নালার বিদ্যমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় এলাকাবাসী নালার উপর স্থাপিত ওয়াসার পাইপের কারনে পানি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বলে প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি ওয়াসার সাথে আলাপ করে পাইপ সরিয়ে পানির গতি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • অনিন্দসুন্দর ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে পর্যটনে আগ্রহীরা বিনিয়োগ করুন : সুজন

    অনিন্দসুন্দর ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে পর্যটনে আগ্রহীরা বিনিয়োগ করুন : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের মালিকানাধীন নগরীর ফতেয়াবাদের ঠান্ডাছড়ি রিসোটে পর্যটনশিল্প ও ইকো ট্যুরিজমে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, নাগরিক জীবনের কোলাহলমুক্ত ছায়া সুনিবিড় পাহাড়ের খাঝে খাঝে লেকের স্বচ্ছ পানি, অসংখ্য বনজ,ফলজ ঔষধী গাছের সমাহার কর্পোরেশনের এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে। ৪০ একর জায়গা এই অনিন্দসুন্দর রিসোর্টকে গড়ে তোলাসম্ভব পাখির অভয়ারাণ্য। শীতে যেমন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখির কলকাকলিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নান্দনিক সৌন্দর্য্যে মুখরিত হয়, তেমনি এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টকেও নগরীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ, পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন। এই রিসোর্টে বিনিয়োগে বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহী হলে এখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, পানি ওয়াইফাই জোনসহ আনুসাঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের সহযোগীতা করবে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর ১নং ফতেয়াবাদ ওয়ার্ডস্থ ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনে যান।

    রিসোর্টে আমন্ত্রণ জানানো হয় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রধানদের। প্রতিদিনের অফিসের দাপ্তরিক কাজ ও দায়িত্বের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একটু অবকাশ যাপনে প্রশাসকের এই আয়োজনে উপস্থিত কর্পোরেশনসহ সরকারি সকল সেবাসংস্থার প্রধানগণ বেশ আনন্দিত ও মুগ্ধ হন।

    শীতের আগমনীর শুরুতে সুন্দর এই অনুষ্ঠানে ছিলো চিতই, পাঠি সাপটা,ভাপা পিঠা,পপ কর্ন ও গরম কফির পানের আয়োজন। ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল হরেক রকম মুখরোচক খাবারের সমন্বয়ে দুপুরের ভোজের আয়োজন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম,স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হক, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাতুম, ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরী, সমাজসেবক ও রাজনীতিক জাফর আলম, শফিউল আলম ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীরসহ চসিকের উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, কর্পোরেশনের এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে হলো শহরের যান্ত্রিক জীবমুক্ত একখণ্ড প্রাণের ছোঁয়া। আমার ইচ্ছা ছিল চসিকের ও সকল সেবাসংস্থার প্রধানদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের। কিন্তু সময় স্বল্পতা দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠলোনা। তাই তড়িৎ সিদ্ধান্তে এই আয়োজন।

    আয়োজনে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে প্রশাসক আরো বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাস একদিকে যেমন আনন্দের, অন্যদিকে রয়েছে স্বজন ও প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। এই বিজয়ের মাসে বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের সুন্দর স্বনির্ভর আধুনিক ও ক্ষুধামুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।

  • খাল-নালা-নর্দমা ডাস্টবিন নয়: চসিক প্রশাসক

    খাল-নালা-নর্দমা ডাস্টবিন নয়: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চারদিন আগে পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরশেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় যাওয়ার পথে ওই এলাকার বির্জাখালে আবর্জনার স্তুপ ও কচুরিপানা দেখতে পেয়ে তা পরিস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

    আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই এলাকায় গিয়ে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের নিয়ে খালের ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিস্কার নেমে পড়েন তিনি।

    এসময় স্থনীয় অধিবাসীদের মধ্যে মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার, চেিসকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক বাকের আলী বলির বাড়ির সম্মুখ থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরস্কিার কার্যক্রম শুরু করেন।

    খালের আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, নগরবাসীদের একটি অংশ অসেচতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালী বর্জ্য, পঁচা পেয়াজ, ছেড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এই খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনায় ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিনত হয়েছ। একদিকে করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। অপরদিকে যদি মশার উৎপাত ও কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির অঙ্গিনা, পুকুর জলাশয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালী বর্জ্যসহ কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

    তিনি আরো বলেন, এখন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কাজেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন। কারণ কোভিড-১৯ ছোঁয়াছে। নিজে সুরক্ষা নিয়ে চলাচল না করলে এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। প্রশাসক বলেন আমরা ইতোপূর্বে ইছহাকের পোলের পাশে খাল পরিস্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিস্কার শুরু করলাম।এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোন ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে।

    আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মুনাজাতও করেন।

    রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন: এদিকে পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলামান নগরীর বাকলিয়ায় রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন।

    সিটি কর্পোরেশনরে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায় এই ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

  • হাট-বাজার ইজারার বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করুণ: চসিক প্রশাসক

    হাট-বাজার ইজারার বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করুণ: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হাট-বাজার ইজারাদারদের ইজারার বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    কর্পোরেশনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও সড়ক আলোকায়নের মত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। নগরীতে জনসংখ্যার চাপ ও নাগরিক সেবার পরিধি বাড়লেও কর্পোরেশনের অর্থসংস্থান বাড়েনি। কর্পোরেশনের আয়ের মূল উৎস হলো পৌরকর। পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের যে টাকা পাওয়া যায়, তা অপ্রতুল বলা যায়। তাই নগরীকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে (৩ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কনফারেন্স হলে হাট-বাজার ইজারাদারদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

    মতবিনিময়কালে হাট-বাজার ইজারাদাররা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা নগরীর ১২ নম্বর ও অভয়মিত্র ঘাট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিচ্ছে বলে প্রশাসককে অভিযোগ জানালে, তিনি তা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রকৃত অবসন্থা জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পুরো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খারপ হয়ে পড়ে। কর্পোরেশনেও এ কারণে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে।

    তিনি হাট-বাজার ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ী হিসেবে সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু কর্পোরেশন তেমন কোন সুবিধা না পেলেও কোন নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ করেনি। ফলে আর্থিক ব্যয় তো থেমে নেই। প্রধান নির্বাহী বলেন, হাট-বাজার ইজারা ও পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। অতীতে যেমন ১৪২৬ বঙ্গাব্দের হাট-বাজার ইজারার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। এই আর্থিক বছরের হাট-বাজারের ইজারার এখনো টাকা অনেক বকেয়া। আবার অনেক ইজারাদার ইজারার টাকা দিচ্ছেন কিস্তিতে, তাও বকেয়া আছে।

    এ সময় ইজারাদারদের অনেকে তাদের ইজারা নেয়া ঘাট হাট-বাজার সংস্কারের জন্য প্রশাসককে অনুরোধ করলে, এর জবাবে প্রশাসক বলেন, আপনারা আপনাদের কাছে কর্পোরেশনের যে পাওনা আছে তা পরিশোধ করুন। আমারও ইজারাকৃত হাট-বাজার আপনাদের টাকায় সংস্কার করে দেব।

    প্রশাসক ইজারারদের ইজারার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করা হবে বলে আশ্বস্থ করে বলেন, এতে আপনাদের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। এ ব্যাপারে সব সময় আমি আপনাদের পাশে থাকবো।

  • ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজে যেন প্রতিবন্ধক না হয় : সুজন

    ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজে যেন প্রতিবন্ধক না হয় : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজ যেন প্রতিবন্ধক না হয়, সে ব্যাপারে ঠিকাদারদে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান।

    তিনি আজ বুধবার সকালে কর্পোরেশনের পুরনো নগরভবনের প্রশাসকের অস্থায়ী দপ্তরে নগরবাসীর সাথে গণস্বাক্ষাতকার প্রদানকালে একথা উল্লেখ করেন।

    নগরীর মোট ৩০ জন অধীবাসী আজ (২ ডিসেম্বর) প্রশাসকের সাথে স্বাক্ষাত করেন। স্বাক্ষাতপ্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, গৃহিনী, চসিকের অবসরে যাওয়া শিক্ষকের সন্তানরাও স্বাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন।

    এদের মধ্যে এক মুক্তিযোদ্ধা পৌরকর প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য প্রশাসকের নিকট আবেদন করলে, তিনি নিজ বাসগৃহ ভাড়া দেয়া না হলে সেক্ষেত্রে ন্যূনতম সার্ভিস চার্জ দেয়া লাগবে বলে তাদের জানান। ২৪নং ওয়ার্ডের পদ্মা আবাসিক এলাকার রাস্তা উঁচুকরণে এলাকার দুই অধিবাসী স্বাক্ষাত করে আবেদন দিলে তিনি তাৎক্ষণিক তা ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে লিখে দেন। এছাড়াও ঢাকা ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখার কর্মকর্তাগণ প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন।

    এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

  • চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার বাইরে ফি নিলে ব্যবস্থা : সুজন

    চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার বাইরে ফি নিলে ব্যবস্থা : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত টিউশন ফি ও প্রতি মাসের নির্ধারিত বেতনের চেয়ে অতিরিক্ত কোন ফি আদায় করা যাবে না। যদি চসিকের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনার বাইরে জোরপূর্বক কোন ফি আদায় করছে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় কোন অভিভাবকের যদি সন্তানের বেতন দিতে সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে তা কিস্তিতে পরিশোধ এবং মওকুফের বিশেষ ব্যবস্থা নিবে কর্পোরেশেন। নগরবাসীকে এ নিয়ে কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসক।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রথম গভর্নিং বডির সভায় একথা বলেন।

    করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর ‘ক্যারাভান’ কর্মসূচি স্থগিত করে নগরীর প্রতি ওয়ার্ডে জনসমাবেশ এড়িয়ে সুরক্ষা নিয়ে জনসাধারনের সাথে মতবিনিময়ে যাচ্ছেন।
    স্কুল গভর্নিং কমিটি ও ওয়ার্ডের মতবিনিময় সভায় কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজনীতিক আহমদ ইলিয়াছ, পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, স্থানীয় সমাজ সেবক মো.এরশাদ, নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক পূর্ব বাকলিয়া এলাকার আবদুল লতিফ হাট খোলা ব্রিজের পাশের সড়কের আশ-পাশ হেঁটে পরিদর্শনকালে জনসাধারণের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন।

    এসময় আবদুল লতিফ হাট খোলা ব্রিজের পাশে খালের কচুরিপানা দেখে তা, আগামী শুক্রবার থেকে দ্রুততার সাথে কর্পোরশেনের পরিচ্ছনন্ন কর্মীদের পরিস্কারের নির্দেশ দিয়ে, তিনি ওই দিন এ্ই কার্যক্রম পরিদর্শনে আসবেন বলে জানান।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীরা সামাজিক অনুষ্ঠানাদির নামে বিয়ে-শাদী, মেজবান, আঁকিকা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জনসমাগম ঘটিয়ে নিজেরা স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি অর্থের অপচয় করেন। আর সন্তানের পড়াশোনার প্রশ্নে স্কুল-কলেজের বেতনের বেলায় ওনাদের অভাব অনটন শুরু হয়ে যায়। একজন সচেতন অভিভাবক হলে, এই মানসিকতা কাম্য হতে পারে না।

    তিনি বলেন, কর্পোরেশনের ১৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল এখনো বকেয়া। ঠিকাদাদের পাওনা আছে ৮’শ ৫০ কোটি টাকা। আর এই পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসে খরচ হয় ২ লাখ ৯’শ ৭৪টাকা। এভাবে কর্পোরেশনের শিক্ষাখাতে বছরে ভর্তুকি দেয়া লাগে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারির বেতন খাতে ব্যয় হয় ১৮ কোটি টাকা। কর্পোরেশনের মাসে আয় হলো ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসে কিভাবে! অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এখনো ৩১৪ জনের তালিকা আমার হাতে আছে। যার মধ্যে কিছু কিছু টাকা পরিশোধ করেছি। এর মধ্যে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা প্রাপ্য টাকা হাতে পাননি।

    সামগ্রিক এই পরিস্থিতির মধ্যে কর্পোরেশনকে তাঁর সার্বিক সেবাকার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। কর্পোরেশন একটি সেবামূলক ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। দায়িত্বের বাইরে গিয়ে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদকালের পরে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কর্পোরেশন আত্মীকরণ করেছে তা এখন,গলার কাঁটা। কারণ কর্পোরেশনের বেশিরভাগ শিক্ষক-কর্মচারি এমপিওভুক্ত নন। তাদের পেছনে চসিকের বেতন ভাত ও আনুসাঙ্গিক যে খরচ তা ব্যয় বহুল। এখন যদি সরকারি নির্ধারিত টিউশন ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও মাসের ৩৫০ টাকা বেতন দিতে অভিভাবকরা অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে কেমনে? এই পরিস্থতিতে চসিক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে পৌরকার বৃদ্ধি করলে তা নগরবাসীর জন্য বোঝা হয়ে যাবে। তাই অভিভাবকরা সন্তানদের সুন্দর-সুনিশ্চিত ভবিষৎ নির্মাণের স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে শিক্ষার পিছনে প্রয়োজনীয় ব্যয় অব্যাহত রাখবেন এটা আমার প্রত্যাশা।

    এ ক্ষেত্রে আপনাদের যে কোন প্রয়োজন ও সহায়তায় প্রশাসক হিসেবে আমি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আপনাদের সাথে থাকবে। প্রশাসক বেতন প্রদানের বিষয়ে নিয়ে কোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সরাসরি তার সাথে ফোনে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান। এ নিয়ে অহেতুক রাস্তা-ঘাটে গোলযোগ বা গসিপের প্রয়োজন নাই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসক হিসেবে আমি সবসময় নগরবাসীর সুখ দুঃখে পাশে থাকবো।

  • প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সততার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ চসিক প্রশাসকের

    প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সততার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ চসিক প্রশাসকের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সজুন প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের সততার সাথে পেশাগত কর্তব্য পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    আজ টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রশাসকের দপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

    তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সময়ে কাজের স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।

    তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্লথগতি ও ঢিলেমী পরিলক্ষিত হচ্ছে। কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ঠুনকো অজুহাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে টালবাহানা তৈরী করছে। এর ফলে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ধরণের মনোবৃত্তি নেতিবাচক এবং তা কিছুতেই সহ্য করা হবে না।

    তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোবৃত্তির ঠিকাদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বুঝে নেয়ার জন্য প্রকৌশলীদের তাগিদ দেন এবং চুক্তির শর্তভঙ্গকারী ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো মাঝির ঘাট- স্ট্র্যান্ড রোডের সংস্কার কাজের গতিবৃদ্ধি এবং কাপ্তাই সড়ক থেকে বৌদ্ধ শ্মশান পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দেন। প্রশাসক জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সৌন্দর্যবন্ধন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের ম্যূরাল স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। এই ভেন্যুতে যাওয়া- আসার জন্য দেশ-বিদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা এই সড়কটি ব্যবহার করেন। তাই এই সড়কের সাথে চট্টগ্রামের ভাবমূর্তির সম্পর্ক রয়েছে।

    তিনি নগরীর স্টেশন রোডের সকল সাইনবোর্ড একই রঙে করার জন্যও নির্দেশ দেন।
    চট্টগ্রামের সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে ওয়াসার যত্রতত্র কাঁটাকাটিকে নাগরিক দুর্ভোগের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে বলেন, নগরীর রাস্তাঘাট কাঁটাকাটি করতে হলে ওয়াসাকে চসিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলা হলেও তা তাঁরা মানছে না। তাই প্রশাসক আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নগরীতে রাস্তাঘাট না কাঁটার জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেন।

    চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ পিএসসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, বিপ্লব কুমার দাশ, জয়সেন বড়ুয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, অসীম বড়ুয়া, শাহিনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা, আবু সিদ্দীক, জসিম উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, রিফাতুল করিম, মিজবাহ উল আলম, রেজাউল বারী চৌধুরী।