Tag: খোরশেদ আলম সুজন

  • বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে যে সুপারিশগুলো এসেছে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন: সুজন

    বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে যে সুপারিশগুলো এসেছে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নাগরিক দুর্ভোগমুক্ত এবং সর্বসাধারণের সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলাই আমার স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে যে আর্থিক সক্ষমতা দরকার তা নেই। আমি সীমিত সময়ের জন্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি বিশাল অংকের দেনার বোঝা নিয়ে। আমি নগরীর বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং যেগুলোর জরুরী ভিত্তিতে নিরসন প্রয়োজন সে-জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি।

    পরামর্শক কমিটির কাছে যে পরামর্শগুলো পেয়েছি সে-গুলো যৌক্তিক কিন্তু বাস্তবায়ন করা কঠিন। তবে আগামীতে চসিকের নির্বাচিত পরিষদ চট্টগ্রামকে যেন বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে পারেন সে-জন্য কী ধরণের কর্মপরিকল্পনা থাকা দরকার তার একটি ধারণা আমি রেখে যেতে চাই।

    তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরামর্শক কমিটির সাথে ভার্চুয়াল সভায় একথা গুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবা মূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের কাছে বরাদ্দ চেয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু থোক বরাদ্দ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরকারী সেবাসংস্থামূলক বিশেষ করে চট্টগ্রম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা তাদের ভারী যানবাহন ও কন্টেইনারগুলো চসিকের রাস্তাগুলো ব্যবহার করে। এই রাস্তাগুলোর উপর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েকগুণ বেশি মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলোর কারণেই এগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্দরের মোট আয় থেকে শতকরা ১ অংশ সার্ভিস চার্জ চেয়েছি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ল্যান্ডিং অবস্থান এই নগরীতে। এ কারণে তাদের কাছ থেকেও সার্ভিস চার্জ চসিক পেতে পারে। ইপিজেড হোল্ডিং ট্যাক্স না দিলেও সার্ভিস চার্জ অবশ্যই দেয়া দরকার। ভারী শিল্প, বিশেষ করে ইস্পাত কারখানাগুলোর ভারী যানবাহন এই নগরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তাই রাস্তাঘাট নষ্ট হয়। তাদের ভারী যানবাহনগুলো অবৈধভাবে সড়কের উপর পার্কিং করেন। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী বন্দরের কোন পরিবহন টার্মিনাল নগরীর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারে না। কিন্তু বন্দরের আশে-পাশে অন্তত ২০টি স্পটে তাঁদের কন্টেইনার স্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে সী-বীচের পর্যটন স্পটে যাওয়াটা ভ্রমনপিপাসুদের জন্য দুরুহ হয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, সরকারী সেবাসংস্থা ও প্রতিষ্ঠান গুলোতে নতুন ধার্যকৃত করের তালিকা দিয়েছি। আশা করি তাঁরা চসিকের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি আমলে আনবেন। আমাদেরকে শিক্ষাখাতে বড় অংকের ভুর্তুকি দিতে হয় এবং একই ভাবে স্বাস্থ্যখাতকেও দিতে হচ্ছে।

    আমি আগেও বলেছি, চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারী সেবা সংস্থার বড় বড় মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এই কাজের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে এবং নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে সমন্বয় দরকার। ওয়াসাকে বলেছি, সড়ক খোঁড়াখুড়ির আগে সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে কোথায় হচ্ছে। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ আমলে আনেন না। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

    তিনি চট্টগ্রামে খেলার মাঠের অভাবের কথা জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানরা খেলাধুলা করতে পারে এমন কয়েকটা মাঠ দরকার। বাকলিয়ায় যে স্টেডিয়াম আছে সেখানে একটি ক্রিকেট একাডেমী করে দিলে ভাল হয়। আউটার স্টেডিয়াম খেলাধুলার উপযোগী করা হয়েছে। তবে অপরিকল্পিত সুইমিং স্টেডিয়ামের কারণে এই মাঠের একটি বড় অংশ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠে একটি শিশু পার্ক করা হয়েছে। এই পার্কের অধীনে বিস্তর জায়গা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এখানে যে বিনোদন কেন্দ্রটি আছে এটি আকর্ষণীয় নয়। এটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে খেলার মাঠসহ একটি অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স চাই।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, নগরীতে কোথাও মার্কেট তৈরী করতে হলে আগে চসিকের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করে নেভী রেডিসনের সামনে সারি সারি দোকান তৈরি করে মার্কেট বানানো হয়েছে।

    ঠান্ডাছড়িতে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি রিসোর্ট পার্ক গড়ে ছিলেন। এখানে সিটি কর্পোরেশনে বিস্তর জায়গা রয়েছে। একটি শিল্পগ্রুপ এই জায়গাটাকে জিম্মি করে রেখে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কেউ কেউ মনে করে তারা রাষ্ট্রের চাইতেও বড়।

    পরামর্শক কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব, ব্র্যাকের সিনিয়র এ্যাডভাইজার মো. আবদুল করিম বলেন, সরকারের গুরুত্বপূণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উধ্বর্তন পদে বর্তমানে চট্টগ্রামের সন্তানরা দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক সাবেক কর্মকর্তাও দায়িত্বপালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বর্তমান মূখ্যসচিব চট্টগ্রামের সন্তান। সবাইকে একসাথে নিয়ে ঢাকায় একটি সভা করা দরকার। এখান থেকে চট্টগ্রামের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

    চসিক সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমন্বয়ের জন্য দরকার একজন মূখ্য কান্ডারী। এখানে নগর সরকারের কথা উঠেছে। ১৯৮২ সালে সিটি কর্পোরেশন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন না হলে নগর সরকার বাস্তবায়ন হবে না। সিটি কর্পোশেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভুর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তবে ভর্তুকি দেয়ার জন্য নগরবাসী ট্যাক্স দেয় না। এজন্য চট্টগ্রামের শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি বৈঠক করা দরকার এবং এই বৈঠক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত বের করে নিতে হবে।

    দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চসিকের কাছে আমাদের অনেক আশা। তাদের মূল সেবাগুলো নগরবাসী পাচ্ছে কিনা এবং বাড়তি কি পাওয়া উচিত তা আমাদের ভাবতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের লোকসংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এই সংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু জনবল বাড়েনি। তহবিলও বাড়েনি। তাই লোকবলের অভাব ও আর্থিক সামর্থ্যরে যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। প্রত্যেক দেশে একটি লবিং গ্রুপ থাকে। সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরও একটি লবিং গ্রুপ থাকা দরকার।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য, বিএন,এনডিসি কমডোর জোবায়ের আহমদ বলেন, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই আগে কর্ণফুলীকে বাঁচানোর জন্য নিয়মিত ও সঠিকভাবে ড্রেজিং সবচেয়ে বেশি দরকার। এতে স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর টান্সশীপমেন্ট ও একটি ট্রান্সজিট কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ সৃষ্টির ফলে চট্টগ্রামের সড়কগুলো দিয়ে ভারতের ৭ টি রাজ্য এবং নেপাল ও ভুটানে ভারী পরিবহন চলাচল করবে। তাই আমি দাবী করব ট্রান্সশীপমেন্ট ও ট্রানজিট থেকে দেশের যে আয় হবে তা থেকে একটি অংশ চসিকে দিতে হবে।

    এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ এ সালাম বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে- এটাকে জাতীয় শ্লোগানে পরিণত করতে হবে। চট্টগ্রামে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্তু সমন্বয় নেই। তাই সমস্ত সেবামূলক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে একই ছাতার নিতে আসতে হবে।

    মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আইজিপি মো. নুরুল আলম বলেন, চসিককে বাঁচাতে হলে ঢাকা থেকেই দাবী তুলতে হবে। আমরা ঢাকায় চট্টগ্রাম সমিতির মাধ্যমে চট্টগ্রামের স্বার্থে অনেক দাবী তুলেছিলাম। এখন সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এজন্য লবিং গ্রুপ তৈরির যে প্রস্তাবটি এসেছে তাকে আমি জোড়ালো ভাবে সমর্থন করি।

    শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বলেন, আমি চাইছি চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়। দেশে আর কোন সিটি কর্পোরেশনে এত ব্যাপক শিক্ষাখাত নেই। আমি আশা করব যুগের চাহিদা অনুযায়ী চসিক ভিত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান চালু হোক।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক আকরাম খান বলেন, বিশ বছর আগে ক্রিকেট সহ যেকোন জাতীয় দলে চট্টগ্রাম থেকে ৭/৮জন প্রতিনিধিত্ব করতো। বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট দলে তামিম ছাড়া আর কেউ নেই। এর কারণ চট্টগ্রামে ক্রীড়া উপযোগী মাঠগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের বাড়ির সামনে, আউটার স্টেডিয়ামে ও সার্কিট হাউসের সামনে মাঠে খেলাধুলা করে জাতীয় দলে ঠাই করে নিতে পেরেছিলাম। আরেকটি জিনিস মনে রাখতে হবে খেলাধুলার স্থান সংর্কীণ হয়ে গেলে নতুন প্রজন্ম বিপদগামী হবে, মাদকাসক্ত হবে। আমি প্রশাসক বাকলিয়া স্টেডিয়ামে ক্রিকেট একাডেমী করার যে আগ্রহের কথা বলেছেন আমি তার সাথে সহমত পোষন করছি।

    দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, চট্টগ্রামে একটি ক্রিকেট একাডেমী হওয়া দরকার। তবে তার জন্য বড় পরিসর প্রয়োজন। আমি প্রস্তাব করছি নগরীর বাইরে বড় এলাকা নিয়ে এই ক্রিকেট একাডেমী গড়ে উঠুক।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে যে সকল সংস্থা সেবা নিচ্ছেন, তারা সার্ভিস চার্জ দেবে না কেন। আমি আরো মনে করি কর্পোরেশনে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের জন্য আলাদা বাজেট থাকা দরকার। চট্টগ্রামে অনেক ঢর্ণাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তারা এগিয়ে এলে সিটি কর্পোরেশনের ফান্ডের সংকট কেটে যাবে। ঢর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা আগে অনেক স্কুল-কলেজ সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও এখন এতে ভাটা পরেছে। তাই তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ দরকার। সর্বোপরি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে সিডিএ ও ওয়াসার মত চসিকেরও একটি মাস্টার প্ল্যান থাকা প্রয়োজন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তবে সমন্বয় না থাকায় প্রকল্পের অর্থ অপচয় হচ্ছে।

    চসিকের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও অনারারি কনসাল, রাশিয়া স্থপতি আশিক ইমরান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, আইইবি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ ও প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

  • শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উপহার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

    শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উপহার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

    আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক এমপি বলেছেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের মস্তিষ্ক প্রসূত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে বেকারত্ব দূর হবে, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী হবে, একই সাথে তথ্য প্রযুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাবে। এই সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান অর্জন করে বেরিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যেনো ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে একই জায়গায় একটি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য শুরু হবে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর কালুরঘাটে বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের এক দশমিক ৭১ একর জায়গায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার এন্ড ইনকিবিউশেন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়য়ে আইওটি, রোপোটিক্স, সাইবার সিকিউবিটিসহ উচ্চতর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউরেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। একই সাথে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের উর্ধমুখী সম্প্রসারণ করে একটি সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবার পর বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম আইটি বিজনস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।

    তিনি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা সমূহ উপস্থাপন করে বলেন, তিনি মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার সংবিধানে সংরক্ষণ করে গেছেন। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিকে গুরুত্ব দিতেন। তাঁর জীবদ্দশায় ৩৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। গণস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা ছিলো। সর্বোপরি কৃষক শ্রেণিকে সমবায়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চোখে বাংলার প্রধান দুটি সম্পদ হলো সোনার মাটি ও সোনার মানুষ। এই দু’টি সম্পদ দিয়েই তিনি তাঁর আরাধ্য সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ বছর ধরে বাংলাকে দারিদ্র ও ক্ষুধা থেকে মুক্তির লড়াই করে সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিবেদিত। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশর স্বপ্নদ্রষ্টা। আজ তথ্য প্রযুক্তিই আমাদের জেগে ওঠার শক্তি।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকার এজন্যই একটি জ্ঞান ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। আমরা অনেক দৈনন্দিন কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারছি। আমাদের রপ্তানী খাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অবদান রাখতে পারে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণ-তরুনীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সযোগ সৃষ্টি হবে। আজ প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদের চাকরী খুঁজতে হবে না। এবং নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরী দিতে পারবে।

    তিনি আরো বলেন, হাজার কোটি টাকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ পাশ করে অনেক শিক্ষিত বেকার তৈরী হচ্ছে। অথচ অনেক কম টাকায় প্রতিষ্ঠিত বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হয় না। তারা কল কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ জুটিয়ে নিতে পারেন। হাতে-কলমে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকায় নিজের আত্মকর্মসংস্থানের পথ সুগম হয়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামে এতোদিন যে গতানুগতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে এসছে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরদে আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্ত তৈরী করে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন চট্টগ্রামবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। এই আটি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে আইটি/আইটিইএস খাতে চট্টগ্রামের যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থাপনের ব্যঅপক সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    চট্টগ্রাম ৮আসনের সংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে আইসিটি বিভাগ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম দেশের সেরা ডিজিটাল সিটি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

    তিনি আরো বলেন, চান্দগাঁ অবহেলিত ছিলো। এখানে বিএনপি’র একজন শীর্ষ নেতা মন্ত্রী. এমপি থাকলেও নিজে একটি মোবাইল কোম্পনী করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এটা তাঁর মনোপলি ব্যবসা। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইলকে সবার জন্য সহজ লভ্য করেছেন।

    অনুষ্ঠানে শেষে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় এবং চট্টগ্রাম সফটওয়্যার কেনোলজি পার্কে চারটি প্রতিষ্ঠানেক স্পেস বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়।

    আইসিটি বিভাগের অপর একটি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে প্রায় ২০০০ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ৫৭০জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রামে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২ জনকে ল্যাপটপ প্রদান করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।

    এসময় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী একটি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, জব পোর্টাল ও ডাটা বেইস উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলেন জানান তিনি।

    উল্লেখ্য আইটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে দেশের আইটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, নাটোর, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, বরিশাল ও মাগুরায় স্থাপন করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৫৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়।

    ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জামসেদ খন্দকার এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পাকিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্পোরেশন ও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।

    সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজট সহ কোন ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন স্কুল পরিমান ও ছাড় দিবে না। এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাগরিকা মোড় হতে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    জাইকার অর্থায়নে এই কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স এর অধীনে চলমান এই কার্পোটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

    এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের লাইফ লাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড ঢালাই কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

    তিনি বলেন, এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্চে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত এই অংশ শেষে কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।

    প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজশেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন।

    সেসময় প্রশাসক নির্মাণ কাজ চলাচলে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা অন্তর পানি ছিটাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

  • চসিক শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় : সুজন

    চসিক শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর সন্তানদের শিক্ষার সংকট দূর করে সুশিক্ষিত করার লক্ষ্যে কর্পোরেশন অন্যান্য সেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ অব্যাহত রেখেছে। কাজেই এই দুই খাতে কোন অবহেলা কাম্য নয়। সুলভে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে কর্পোরেশনে কর্মরত চিকিৎসক ও শিক্ষক সমাজকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

    তিনি আজ সকালে ৪০নং পতেঙ্গা মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কাম সাইক্লোন সেল্টারের নুতন ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদশনকালে একথা বলেন।

    এ সময় সাবেক কাউন্সিলর হাজী জয়নাল আবেদীন, শাহানুর বেগম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়–য়া, সহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    জাইকার অর্থায়নে পতেঙ্গা মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কাম সাইক্লোন সেল্টারের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের অধীনে ৬ তলা বিশিষ্ট দু’টি ভবন নির্মাণ করা হবে। দুই ভবনের প্রতি তলা হবে ২০ হাজার বর্গফুট।

    বর্তমানে প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সামনের বছরের ৩০ এপ্রিল এই কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, শিক্ষক সমাজ হলো মানুষ গড়ার কারিগর। আমার প্রত্যাশা থাকবে কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবে। কারণ এর উপর শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল অর্জন ও সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠা নির্ভর করছে।

    প্রশাসক জাইকার কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের সকল উন্নয়ন কাজের অংশীদার। পতেঙ্গা ওয়ার্ডের মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করা যায়।

  • করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতার পাশপাশি নগরীর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোন দূরপাল্লার বাস-যানবাহনকে নগরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

    ‘মরণব্যাধী করোনা করবেনা কাউকে করুণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা বিয়ে-শাদী, মেজবান বা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে অতিরিক্ত জনসমাগম করবেন না। আপনাদের সামান্যতম অবহেলা ও উদাসিনতা নাগরিক জীবন বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারে।

    তিনি আজ রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর নুতন ব্রিজ এলাকায় করোনা থেকে রক্ষায় সচেতনতায় জনসধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও পথ সভায় একথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক তখন হেঁটে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসহায় যাদের মাস্ক কেনার সামথ্য নাই এ রকম বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিজ হাতে মাস্ক বিতরণ ও পরিয়ে দেন।

    নতুন ব্রিজ এলাকার গোল চত্বর মোড় থেকে চাক্তাই ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে পরিদর্শনকালে তিনি রাস্তা দখল করে থাকা বেশ কিছু ভাসমান দোকান পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের দিয়ে সরিয়ে দেন।
    সে সময় রাস্তার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। পথে পড়ে থাকা আবর্জনাও পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। করোনা ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে বিলি করা হয় প্রচারপত্র।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, গতকাল (২১ নভেম্বর) করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ২ লাখ ও আমাদের দেশে ৪০ জন মৃত্যু বরণ করেছে। তাই নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের কোন বিকল্প নাই।

    নগরবাসীর প্রতি আমার আহবান থাকবে নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। আর আপনাদের নিজেদের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। কারণ এখন ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। করোনার সাথে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রকোপ বাড়লে জন স্বাস্থ্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই জনসাধারণের সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। তিনি ব্যবসায়ী দোকানদারদেরও মাস্ক ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করেন।

  • মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে হবে: সুজন

    মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে হবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মানুষকে কষ্ট দিয়ে লকডাউট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে গৃহবন্দী রাখতে চান না। তাঁর এই ইচ্ছে ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে চসিক প্রশাসক হিসেবে মাঠে নেমেছি। তাই মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে চাই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিজের শরীর, বাড়ি-ঘরসহ নিত্য ব্যবহার যোগ্য সকল কিছু জীবানুমুক্ত করাসহ বাইরে চলাফেরায় মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। এভাবে করোনাকে লকডাউন করে সকলের মুক্তি ও বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

    তিনি আজ নগরীর কর্নেল হাটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নাগরিক সচেতনতামূলক অভিযানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, মাস্ক নিজেকে পরতে হবে, অন্যকেউ পরাতে ভূমিকা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে ঢুকলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী তোলা যাবে না। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এই ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা দাতা ও গ্রহীতাকে অবশ্য মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না।

    তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, মানুষ যদি বেপরোয়া হয় তা নিজেরাই নিজেদের দুঃখ ডেকে আনবে। কোভিড-১৯ একটি ছোঁয়াছে রোগ, একজন থেকে অন্য জনের কাছে সংক্রমিত হয়। এই সহজ কথাটা কেউ না বুঝলে একজন অসচেতন ব্যক্তি দশ জনের মহাবিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই অসচেতন ব্যক্তিকে উচিত শিক্ষা দেয়া একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা।

    তিনি সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানকালে কর্নেল হাট এলাকায় বহু বিপনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এই সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দেন। এখান থেকে তিনি উত্তর কাট্টলী বিশ্বাস পাড়া যান, এবং রোডের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। তিন রোডের কাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান এবং কাজের গতি শ্লথতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কাজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।

    ফেরারপথে তিনি চসিক মোস্তফা হাকিম হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। এখানে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন এবং সেবাগ্রহীতাদের ভাল-মন্দের খোঁজ-খবর নেন।

    তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলার ব্যাপারে চিকিৎসা সেবা গ্রহীতাদের সচেতন থাকার আহবান জানান।

    এছাড়াও তিনি কাট্টলী ওয়ার্ডের নির্মিতব্য কয়েকটি নির্মাণাধীন কালভাটের কাজ পরিদর্শন করেন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন- উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সমাজ সেবক আলী আজগর চৌধুরী, সফিউল আলম চৌধুরী, আলাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী, মোঃ নুরুদ্দীন চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাং ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আবদুস সালাম, হারুনুর রশীদ, নুরুল কবির চৌধুরী, বিপ্লব দত্ত, আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা।

  • পোর্ট কানেক্টিং সড়ক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সড়কস্থাপনা এটি কাউকে জিম্মি করতে দেয়া হবে না:সুজন

    পোর্ট কানেক্টিং সড়ক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সড়কস্থাপনা এটি কাউকে জিম্মি করতে দেয়া হবে না:সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ বিকেলে পোর্ট কানেক্টিং রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি এই সময় ঠিকাদারদের কাজের গুণগত মান রক্ষা করে আগামী ডিসেম্বরের মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।

    তিনি বলেন, এ সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা মানুষের বড় ধরণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম যেহেতু শেষ বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। তাই কাজে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকারও কথা নয়।

    তিনি কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সার্বক্ষণিকভাবে কাজের উপর দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোড চট্টগ্রামের লাইফ লাইন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্থাপনা। এই সড়কটির উপর দেশের অর্থনৈতিক গতি ও অগ্রগতি নির্ভরশীল তাই সড়কটির নির্মাণকাজ নিয়ে টালবাহানা বা একে জিম্মি করা চলবে না। চট্টগ্রাম বন্দর মুখী এই সড়ক দিয়ে সকল আমদানী-রফতানী পণ্য পরিবহন চলাচল করে। এ ছাড়া ইপিজেড’র মালামাল পরিবহনগুলোও এ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। ফলে এর ধারণ ক্ষমতার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। অদূর ভবিষ্যতে বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হলে এ সড়কটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং সড়কটির উপর চাপও বাড়বে। আন্ত: দেশীয় রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কার্যক্রম এই রাস্তাটির উপর অনেকাংশ নির্ভরশীল।

    তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় এই চট্টগ্রাম নগরীর এটা একমাত্র সড়ক যার উপর নিভরশীল আমদানী-রফতানী খাত। তাই এর দায়-দায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয় শুধু সিটি কর্পোরেশনের একার নয়। তাই এ জন্যে বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেডগুলোর আয়ের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাপ্য।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড সহ যে সকল সরকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়কগুলোর উপর চলাচল করে সে-গুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিককে সার্ভিস চার্জ প্রদানের প্রস্তাবনা আমলে আনবেন।

    তিনি আরো বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যে ঠিকাদার যেখানে কাজ করছে সেখানে সে ঠিকাদারের সাইট অফিস রাখতে হবে।

    তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজের কর্ম পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির তথ্য সম্বলিত বোর্ড জনসম্মুখে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশনা দেন এবং ধুলোবালিতে যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেজন্য প্রতিদিন ৩ বেলা পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, লালদিঘীকে না-চিনলে, না-জানলে চট্টগ্রামকে চেনা ও জানা যাবে না। লালদিঘীকে ঘিরেই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানান বর্ণিল অধ্যায় সুচিত হয় এবং অনেক বীরত্ব গাঁথার স্মৃতির হীরকখণ্ড এখনো ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসে চোখের মণিতে জ্বলজ্বল করে। তাই লালদিঘী শুধু এক টুকরো নৈ:সর্গিক ভূমি নয়, স্মৃতি, সত্তা ও অস্তিত্বের শিকড়।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে লালদিঘীর চারপাশ ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা বাহারী ফুল ও বৃক্ষরাজির সজীব সবুজে শোভিত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

    তিনি লালদিঘী ও তৎসংলগ্ন মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপস্থাপন করে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ নেয়া তরুণ ও যুবকদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আজ থেকে শতবর্ষ আগে আবদুল জব্বার বলী খেলার সূচনা করেন। একে ঘিরেই প্রতি বাংলাবর্ষের ১২ বৈশাখ লালদিঘীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী লোকখেলা হয়ে আসছে। এই লালদিঘীর পূর্বে চট্টগ্রাম, জেল কারাগারে ব্রিটিশ রাজশক্তি অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিল। তারপরের ইতিহাস আরো গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রমনা ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হবার পর দিন লালদিঘী ময়দানে একুশের প্রথম কবিতা মাহবুবু উল আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ পাঠ করেছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই লালদিঘীর মাঠে সর্বপ্রথম জনসভায় ৬ দফা ঘোষণা করেন। একাত্তরের অসহযোগের অগ্নিক্ষরা দিলে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদের ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নাটক এই লালদিঘী মাঠে অভিনীত হয় এবং মৌলভী ছৈয়দ আহমদ ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্টিত হয়। এটাই ছিলো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া।

    স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালদিঘী মাঠে জনসভা করতে আসার পথে তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় সামরিক স্বৈরাশাসকের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে লালদিঘীর অনতিদূরে শহীদ ২৬ জন বাঙালি। এ ধরণের অনেক বীরত্বগাঁথার অনুঙ্কার আছে লালদিঘীকে ঘিরে। তাই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি-ধর্ম-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনের ক্ষেত্রে লালদিঘীর সম্পৃক্ততা চিরকালীন ও সর্বজনীন তাই চট্টগ্রামকে চেনা ও জানার নাভিমূল বই লালদিঘী।

    তিনি আরো বলেন, ১৯৩৯ সালে তৎকালীন কুলীন জমিদার নন্দনকাননের রাজ কুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জায়গায় লালদিঘীর গোড়াপত্তন করেন এবং লালদিঘীর চারপাশে বাগান করেন। পরবর্তীতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজ কুমার ঘোষের পরিবার থেকে প্রতীকী মূল্যে লালদিঘী চসিকের মালিকানাধীন করেন এবং দিঘী ও পার্কের নানন্দিক রূপ দেন। তখন এটা হয়ে ওঠে নগরবাসীর প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণের একটি অতুলনীয় উপাদান। তবে পরে এটা ধীরে ধীরে নান্দনিকতা হারিয়ে ফেলে এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এর পরিবেশ দুষিত হয়ে ওঠে। মাহিউদ্দিন চৌধুরীর ইচ্ছা ছিলো এই লালদিঘীতে সাধারণ নাগরিকদের সন্তানদের নামমাত্র মূল্যে সাঁতার শেখার জন্য একটি স্যুইমিং পোল করা। তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কাজটি শেষ করতে পারেন নি।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী পরিবারের জন্য অভিজাত ক্লাবে স্যুইমিং পোল থাকলেও সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য সাঁতার শেখার কোন সুযোগ নেই। আউটার স্টেডিয়ামের একাংশে ক্রীড়া পরিষদ একটি স্যুইমিং স্টেডিয়াম তৈরী করলেও তা অপরিকল্পিত ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত ব্যবহার অনুপযোগী। আমি সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে তাদের সন্তানরা যাতে এখানে স্বল্প মূল্যে সাঁতার শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই।

    তিনি জানান, লালদিঘী পারে সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরিটি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এখানে মূল্যবান দুর্লভ গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এই লাইব্রেরি ৮ম তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এটাকে মানব সম্পদ গঠনের উপযোগী করে তুলে ডিসেম্বররের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন করার চিন্তা রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, লালদিঘীর পারে চারপাশ দিয়ে প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণকারীদের ¯^চ্ছন্ধে হাঁটাহাটির জন্য ওয়াকওয়ে করে দেয়া হয়েছে। নানান উপাদানে পার্কটি নানন্দনিক করা হয়েছে। এখন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লালদিঘীর চারপাশে মিউজিক্যাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলো ও সুরের মুর্চ্ছনা ইভেন্ট যুক্ত করা হবে। খাবার সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যত্রতত্র ভাবেকোন বর্জ্য ফেলা যাবে না।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, লালদিঘী মানবিক নগরতৈরীর একটি আবশ্যিক উপাদান। লালদিঘী কংক্রিটের ঝঞ্জালে ¯^চ্ছ জল, বাহারী ফুল ও সুবুজের এক টুকরো ভূ-¯^র্গ ভূমি এর প্রতি সমতা ভরা সংবেদনশীলতা সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব নগরবাসীর আর চসিকের দায়িত্ব নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষনের। ঐ সময় পার্কে প্রাত: ভ্রমণে আসা লোকজনকে চসিকের চিকিৎসক ও ¯^াস্থ্যকর্মীরা ডায়বেটিক, রক্তের উচ্চচাপ পরীক্ষাসহ বিনামূল্যে ¯^াস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বিপ্লব কুমার দাশ, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরমেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবুল মনসুর, মাহবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলা প্রার্থী নোমান লিটন, পুলক খাস্তগীর, আব্দুস সালাম মাসুম, মহিউদ্দিন শাহ, রুমকি সেনগুপ্ত, কামরুল হক, জানে আলম, সোলায়মান সুমন প্রমুখ।

    এছাড়াও চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন লালদিঘী থেকে ফেরার পথে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনা দেখতে পান।

    তিনি গাড়ি থেকে নেমে এই আবর্জনাগুলো দোকান মালিকদের দিয়ে অপসারণ করেন এবং এখন থেকে দোকানের সামনে কোন আবর্জনা ফেলা হলে তাদেরকেই সেই আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে বলে সর্তক করে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা যাতে নগরীতে লক্সিখত না হয় সে-জন্য ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতে চসিক প্রস্তুত।

    তিনি আরো বলেন, জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মতন অচলায়তনে মানুষকে বন্দী করতে চান না। তবে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিক-পারিবারিক-সামাজিক নিরাপত্তা ও দায়িত্বর বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের কাঁধেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া ও শিথিলতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। ভাই প্রত্যেককে প্রথমে অনুরোধ জানালাম। তারপরও যারা ‘ডোন কেয়ার’ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    তিনি আজ সকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জুবিলী রোড, তিন পোল, রেয়াজউদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এলাকায় মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে সমš^য় করে করোনাকালে এখনও যারা বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে। একই সাথে মানবিক নগরী গড়ে তুলতে যে আবেদন-নিবেদন করা হয়, তাতে যারা এখনো কর্ণপাত করছে না তাদের খুঁটির জোর যতই গভীর হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে।

    তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারো পেটে লাথি মারতে চাইনা। হকারদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও টাইম টেবল বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। তারা ফুটপাতই শুধু দখল করে রাখেনি, সড়কের বড় অংশও দখল করে জন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে সহ্যের সীমা লক্সঘন করে চলেছে। এদেরকে যাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে চিনি। এদের মধ্যে বেড ইমেজের তথাকথিত কিছু নেতা আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সকলের সহযোগিতা চাই।

    এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা কাঁচাবাজারগুলো নিয়মিত পরিস্কার করছি। কিন্তু কিছু অবিবেচক বিক্রেতা তরিতরকারীর বর্জ্য ও পঁচা পণ্য রাস্তা ও নালা-নর্দমায় ফেলছে। মানুষ চলাচলসহ পানি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন থেকে বাজার কমিটি এবং সড়কের উপর বসা ভ্রাম্যমান তরিতরকারী বেঁচা-কেনার সাথে যারা জড়িত তারা এই বিষয়টির দেখ-ভাল করবেন। এতে ব্যত্যয় ঘটলে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।

    এ সময় মাহাবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, আলী আকবর, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজ্জাদ, আবদুর রহমান বাহার, মো. জয়নাল উদ্দিন, সিবলী সাদেক, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ নোমান, মো. আকতার, মো. এনাম উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন ও মুনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিক্রেতা-ক্রেতা বান্ধব পরিবেশ মান-মর্যাদার সাথে জড়িত: সুজন

    বিক্রেতা-ক্রেতা বান্ধব পরিবেশ মান-মর্যাদার সাথে জড়িত: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তাদের চাহিদামত মার্কেটের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, নগরীর এই অত্যাধুনিক মার্কেকটির বিক্রেতা-ক্রেতাবান্ধব পরিবেশের সাথে সকলের মান-মর্দাদা রক্ষার বিষয়টি জড়িত। তাই এই ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভুমিকা বড়।

    তিনি আরো বলেন, অথনৈতিক সক্ষমতা না থাকায় ব্যবসায়ীদের সকল চাহিদা এক সাথে পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওনা সময় মত পরিশোধ করা হলে চসিকের সেবা প্রদানে কোন ঘাটতি থাকবে না।

    তিনি এ সময় এই মার্কেটের ৫ম তলায় ফুড জোনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং এই জোনের বরাদ্দ প্রাপ্ত ৬০টি দোকানের মধ্যে ৪৩টি দোকান থেকে পাওনা বাবদ মোট ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন।

    সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মো. আলী নেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজিম উদ্দিন, সমিতির উপদেষ্টা এস এম ফরিদুল আলম ফরহাদ, এবিএম জুলফিকার আলী ভুট্রো, আলহাজ্ব এ বিএম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শফিউল আলম (জামান্স), আলহাজ্ব শওকত আলী, মো. আইয়ুব, রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সালাউদ্দিন আরিফ, মো. ইউসুফ আলী, মো. বশির, চসিকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়ব, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শুভবোধের ঈশ্বরীয় প্রতীক। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সত্যের পথে শ্রী কৃষ্ণ পঞ্চ পান্ডবদের প্রেরণা যুুগিয়ে ছিলেন। আজ আমরা যারা সত্যের পথে চলছি তাদের জন্য তিনি এখনও অনুসরণীয়। মনে রাখতে হবে সকল ধর্মেরই মূল বাণী শান্তি, সত্য ও মানবতার চর্চা। ধর্মচর্চা ও পালন মানুষের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে। আমার প্রত্যাশা ধর্ম চর্চার মাধ্যমে সমাজ থেকে হিংসা, বিদ্বেষ দূর হবে। মানুষের জীবন ফুলের মত পবিত্র হয়ে উঠবে।

    তিনি আজ বুধবার দুপুরে নন্দনকানন ইসকন রাধা মাধব মন্দিরে শ্রী শ্রী অন্নকূট মহোৎসব ও শ্রী প্রভুপাদ এর ৪৩ তম তিরোধাম দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসকন বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ সভাপতি ভক্তিপ্রিয় গদাধর গোস্বামী শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ বহ্ম্যচারী, মুকুন্দ ভক্তি দাস বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কাজীর দেউড়িতে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও আবর্জনা সংগ্রহে ব্যাগ বিতরণ করলেন চসিক প্রশাসক

    কাজীর দেউড়িতে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও আবর্জনা সংগ্রহে ব্যাগ বিতরণ করলেন চসিক প্রশাসক

    করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতায় মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। নগরবাসীকে নিজ বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশ-পাশ পরিস্কার রাখার বার্তা জানিয়ে তিনি আজ বুধবার সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজার পরিদর্শনে যান।

    পরিদর্শনকালে তিনি পুরো বাজার ঘুরে দেখে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন ও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় করোনা প্রতিরোধে বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে মাস্ক, সাবান বিতরণ ও বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে সংরক্ষনের জন্য থলে (ব্যাগ) সরবরাহ করেন সুজন।

    সে সময় প্রশাসক বাজারের ব্যবসায়ী ও আগত ক্রেতা সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রমন ও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শীতও প্রায় আসন্ন। এই সময়ে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয়। যে কারণে আমরা কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে নগরবাসীকে সর্তকতা অবলম্বন করে চলাচল ও এ থেকে রক্ষায় সচেতন করতে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি খাল-নালার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

    তিনি জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা ও নিজ বাড়ির আশ-পাশ, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানি, উঠোন আঙ্গিনায় পড়ে থাকা ডাবের খোসা, শৌচাগারের ফ্লাসে যাতে পানি জমতে না পারে সেই দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে বলেন।

    প্রশাসক বাজারের ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করা ব্যাগে ময়লা জমানোর পর তা কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সচেতন ও অনুরোধ করছি। কাজ না হলে শীঘ্রই কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক পরা নিশ্চিত ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা বন্ধ অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিবে।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বাগমনিরাম ওর্য়াড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, অতিরিক্ত প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, পরিছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, আলী আকবর, রিপনসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিছন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম