Tag: গণতন্ত্র

  • আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে : ফখরুল

    আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে : ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কী দুর্ভাগ্যের কথা, আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফখরুল।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি চাই।

    বাক-স্বাধীনতা চাই, কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
    তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব ইনশাল্লাহ, এ শপথ এখানে নিচ্ছি। এ দিনে আমরা শপথ করব, সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

    এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নুর মোহাম্মদ রানা : সুশাসন, গণতন্ত্র ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ নামে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

    ঘোষিত ইশতেহারকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জাতীয় সনদ আখ্যায়িত করে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের, সংসদ সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিতের, ফোরজি চালু, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা-দক্ষতা বাড়িয়ে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গঠনের এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে সংহত করার।

    সে সঙ্গে রয়েছে আগের বারের ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদে’র অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি। সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে উচ্চতর এক সোপানে পৌঁছে দেবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে দারিদ্র বিমোচনই আমাদের সব কর্মকা-ের মূল লক্ষ্য। কেননা দারিদ্র, অসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন, মাতৃমৃত্যু, আয়ু, শিক্ষা প্রভৃতি সামাজিক সূচকে দেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

    তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার জিরো টলারেন্স নীতিকে আরও জোরদার করেছেন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের পাশাপাশি সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি এবং সঠিক উন্নয়নের অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে এক অনন্য উন্নয়নের মডেল করে তুলেছে।

    ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন শুরু করে এবং তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ফলস্বরূপ, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনার সরকার এখন “ভিশন ২০২১” অর্জনের কাছাকাছি।

    তাঁর সরকার ভিশন ২০২১ অর্জনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে, বাংলাদেশে এখন একটি বিশাল আর্থ-সামাজিক রূপান্তর শুরু হয়েছে। ভিশন-২১’র পর এবার উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে তৈরি হচ্ছে ‘রূপকল্প-২০৪১’।

    এজন্য নতুন অর্থনৈতিক রূপরেখা তৈরি করছে সরকার। আগামী ২০৪১ সাল সামনে রেখেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি কমানো এবং সর্বক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা।

    মূলত এগুলোকে ঘিরে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করবে সরকার। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে দিকনির্দেশনা ও এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

    বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে যে তারুণ্যের তীর, সেই নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে সম্মেলনে বসেছেন টানা প্রায় ১১ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন সংসদে আর সংসদের বাইরে আওয়ামী লীগের সামনে বড় রকমের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই; যখন দলকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও দুর্নীতিবাজমুক্ত করার কথা বলে আসছেন দলটির শীর্ষ নেতারা; যখন শুদ্ধি অভিযানের ঝড়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক পুরনো নেতাকে ঝরে যেতে দেখা গেছে।

    এবারের সম্মেলনে তাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জও পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে তিন যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোনা ‘বিকল্প নেই’। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে এবার নতুন নেতৃত্বে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আর সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল গত নির্বাচনে আমাদের নেত্রী দেশ ও জাতির কাছে যে এজেন্ডা দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনে, আমাদের নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নের উপযোগী শক্তি হিসেবে আমরা আওয়ামী লীগের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তি মিলিয়ে, একটা ফাইন ব্যালেন্স করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” নির্বাচনী ইশতিহারের প্রতিশ্রুতিগুলো আওয়ামী লীগ পূরণ করবে। কিন্তু সেজন্য শুধু সরকার শক্তিশালী হলে হবে না। দলকেও শক্তিশালী থাকতে হবে। “দলকে শক্তিশালী করা, সুসংগঠিত করা আধুনিক একটা মডার্ন, স্মার্ট একটা পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণের সামনে উপহার দেয়া।”

    জানা গেছে, রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনে জোর দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক এ মূল্যায়ন সরকারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

    আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। গত ২০১২ সালে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে দেশের অতি দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে আসছে।

    জানা গেছে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুত চাহিদা ২০ হাজার মেগাওয়াট ধরে উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বছরের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, ২০২১ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, বেকারত্বের হার বর্তমান ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে কৃষি খাতে শ্রমশক্তি ৪৮ থেকে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসা, দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাঁর এই স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই সংবিধান এবং অসংখ্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আইনী রূপ দিয়েছিলেন এবং দেশকে একটি শক্তিশালী আইনি ভিত্তির উপর স্থাপন করেছেন।

    তিনি দেশে নতুন আইন তৈরি করে একটি নব্য-রাজনৈতিক এবং নব্য-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর-দর্শিতায় ও বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। উন্নয়নের রোড মডেলে পরিণত হয়েছে দেশ যা অবাক হয়ে তাকাচ্ছে বিশ্ববাসী। আর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নেতৃত্বের ভার দেওয়ার হয়েছে যোগ্য লোকের হাতেই।

    কেননা আগামী ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন শেষে ভিশন ২০৪১ এর যেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়িত হবে এই নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে। আমাদের প্রত্যাশা নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গগণ তৃণমূল থেকে দলকে গুছিয়ে নতুন মুখ সৃষ্টি করে এবং সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিবে।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিষ্ট ও সাংবাদিক।

  • গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে:খসরু

    গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে:খসরু

    দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে আওয়ামী লীগ জাতীয় কাউন্সিল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘আজকে তারা (আ.লীগ) সম্মেলন করছে। তাদের কাউন্সিল করছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলের কাউন্সিল করবে, আমরা তাদেরকে দল হিসেবে স্বাগত জানাই। কিন্তু কিসের জন্য কাউন্সিল? কার কাউন্সিল? যেখানে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে জনগণকে বাহিরে রেখে অব্যাহতভাবে দেশবিরোধী গণবিরোধী সব কাজ করে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা লুটপাট করে দিনের পর দিন ক্ষমতায় বসে আছে, সেখানে একটি দল কাউন্সিল করছে তাদের।’

    তিনি বলেন, ‘কাউন্সিল মানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দলের মধ্যে থাকতে হবে, দেশের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দলের কাউন্সিল করা হচ্ছে, সমস্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে দলের কাউন্সিল করা হচ্ছে। আমি আশা করি তারা আজকের কাউন্সিল এ দেশের গণতন্ত্র কিভাবে ফিরে আসবে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কিভাবে ফিরে আসবে তারা এই কাউন্সিলে ঘোষণা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

    শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আজ অনুপস্থিত মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকারসহ আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার সবকিছু অনুপস্থিত। আজকে মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ভোটাধিকারসহ সবকিছু যেহেতু কেড়ে নেয়া হয়েছে তাহলে বাংলাদেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ যে কারণে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তার সবকিছু যেহেতু কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাহলে অবশ্যই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, আমার আপনার বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে।’

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলটিকে নির্বাচিত করেন তারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। পাকিস্তান আমলে যেটা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানিরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। তারা নির্বাচনের যে বাহক তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল। সেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার। কিন্তু বাংলাদেশে আজ এসব অনুপস্থিত। তাই আমাদের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে একটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি জেলে বসে আছেন জেলে বসেও তাদের (সরকারের) ভয় শেষ হচ্ছে না।’

    খসরু বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য প্রতিটা মানুষ যারা জীবন দিয়েছেন আমরা প্রতিটি মানুষের নাম জানতে চাই। এই সম্পূর্ণ তালিকা দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ জানতে চায়। বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিএনপি যেদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন যারা এদেশের জন্য জীবনের মূল্য ত্যাগ করে প্রাণ দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের তালিকা বিএনপি প্রণয়ন করবে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিটি এলাকায় স্তম্ভের মধ্যে তাদের নাম লেখা হবে। কিন্তু সরকার এই কাজটি করতে কেন এত দ্বিধাগ্রস্ত তা আমরা জানি না।’

    তিনি বলেন, ‘যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন যারা দেশের জন্য জীবন রেখেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে বলার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এজন্য আমরা তালিকা প্রকাশ করব। সরকার যদি না করে বিএনপি সেটা করবে। তারা এই তালিকা প্রকাশ না করার পেছনে কারণটা কি সেটাও কিন্তু স্পষ্টভাবে বলছে না। আমরা জানতে চাই, তারা যদি এটা করতে না চায় তাহলে দেশবাসীকে বলুক যে ‘আমরা এটা করব না’ এবং কি কি কারণে প্রকাশ করবে না সেটাও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার করা হোক। কিন্তু বিএনপি অবশ্যই দেশের জনগণের কাছে এই তালিকা প্রকাশ করবে।’

  • দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে : নুর

    দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে : নুর

    দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরু।

    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, দেশের এই গণতন্ত্রহীনতার জন্য রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের ব্যর্থতা রয়েছে।

    নুরু বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশের গণতন্ত্রের ওপর বার বার হামলা হয়েছে। গণতন্ত্রের নাম দিয়ে স্বৈরাচারী সরকার কায়েম হয়েছে। ফলে তরুণ প্রজন্মকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে শ্রমিকদেরকে অনশন করে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। দেশে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। ফলে তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব নতুন করে গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এ সময় তিনি শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান।

    নুরুল হক নুরু বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করা যায়নি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করা হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচার করায় তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বিজয়ের মাসে যুদ্ধাপরাধীকে শহীদ লেখার দৃষ্টতার তীব্র নিন্দা জানাই এবং যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার শেষ করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানাই।