Tag: গণধর্ষণ

  • স্বামী-স্ত্রী হত্যার দায়ে ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

    স্বামী-স্ত্রী হত্যার দায়ে ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

    নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (০৬ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।

    আদালতের পাবলিক প্রসিকউিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামির মধ্যে তিনজন উপস্থিত ছিলেন।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন, লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফ ও মো. জামাল। তাদের মধ্যে সুমন, লোকমান ও শফিক পলাতক রয়েছেন। তবে উপস্থিত তিন আসামি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছনি। আদালত যুক্তিতর্ক শেষে তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।

    নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রাতে রাস্তা থেকে স্বামীসহ স্ত্রীকে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে তার সামনেই স্ত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। এরপর তাদের দুইজনকে হত্যা করে পাশের একটি ডোবাতে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। ঘটনার পর ১৬ আগস্ট ডোবা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৃবধূর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

  • বোয়ালখালীতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

    বোয়ালখালীতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৯ম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

    শনিবার (৪ জুন) সকালে নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর মা এ ঘটনায় ৪জনের নামে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    নির্যাতিত শিক্ষার্থী জানান, মায়ের সাথে অভিমান করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় যায়। সেখানে আলমগীর নামের পরিচিত এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় মেয়েটির। ফুলতলে আরো কিছু যুবক তাদের এতো রাতে অবস্থানের কারণ জানতে চেয়ে অবরুদ্ধ করে। এরপর তাদের সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনের একটি কাঁচা সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর আলমগীরের গলায় ধারালো ব্লেড ধরে জিম্মি করে রাখে। রাত ২টার দিকে যুবকরা মাদকদ্রব্য সেবন করে এবং অটোরিকশায় থাকা স্কুল শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোর সাড়ে তিনটারদিকে স্কুল শিক্ষার্থীকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে যায় যুবকরা। জানা গেছে ওই শিক্ষার্থীর পিতা প্রবাসে থাকেন। তারা দুই বোন।

    সকালে এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোয়ালখালী পৌরসদরের পূর্ব গোমদণ্ডী ৪নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দীন হাজি বাড়ীর মো, বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সাগর (১৯), ৬নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানিউল্লাহ আলী রিমন (২০) ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চান মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. কামাল উদ্দিনকে (২৬) গ্রেফতার করে। তবে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩নং আসামী কধুরখীল নাপিতের ঘাটা এলাকার সায়মন (২৪) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম।

    ওসি বলেন, এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

  • নলডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ৫

    নলডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ৫

    নাটোরের নলডাঙ্গায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৭) দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ছাতনী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক ৫ জন হলো- সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার গ্রামের এরশাদের ছেলে মোহা. শরিফুল ইসলাম (২২), মো. আবির মন্ডলে ছেলে মো. লিটন (২৩), মিনু শেখের ছেলে নয়ন শেখ (২৫), দিলদারের ছেলে রাজু (২৫) ও মকছেদের ছেলে কাজল (২৫)।

    সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মায়ের ওপর অভিমান করে নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর এলাকা থেকে খালার বাড়ি সদর উপজেলার ছাতনী এলাকা যাচ্ছিলেন ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী। সন্ধ্যায় ছাতনী দিয়ার এলাকায় পৌঁছালে শহিদুল ইসলাম (২২) নামে এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে ওই তরুণ তাকে খালার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভাটপাড়া শ্মশানঘাট এলাকার একটি লেবু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৮ বখাটে তরুণ তাকে ধর্ষণ করে।

    ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ বখাটেকে আটক করে। অপর তিনজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পলাতক তিনজনকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডে এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১

    সীতাকুণ্ডে এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে এক নারী শ্রমিক(২৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা সময় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় পুলিশ জাহিদ হোসেন নামে এক ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা নারী স্থানীয় একটি সুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। রাতে কাজ শেষে কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বোয়ালিয়াকুল এলাকায় বসুন্ধরা প্রকল্পের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে তিন যুবক তাকে জোর করে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    বিষয়টি টের পেয়ে প্রকল্পের নিরাপত্তা প্রহরী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এসময় ধর্ষকদের আটক করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলে নিরাপত্তা প্রহরী জাহেদ নামের একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারীবাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • লোহাগাড়ায় গীতার আসর থেকে ফেরার পথে বাক প্রতিবন্ধী যুবতীকে গণধর্ষণ : দুই যুবক গ্রেফতার

    লোহাগাড়ায় গীতার আসর থেকে ফেরার পথে বাক প্রতিবন্ধী যুবতীকে গণধর্ষণ : দুই যুবক গ্রেফতার

    এ. কে. আজাদ, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক বাক প্রতিবন্ধী (৩০) যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের রাবার ড্যাম হিন্দু পাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

    এ ঘটনায় আটককৃতরা হল-ওই এলাকার মৃত বিমল দাশের পুত্র বিপ্লব দাশ টিশু ও স্বপন দাশের পুত্র বিশ্বজিৎ দাশ বিসু৷

    লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো : রাশেদুল ইসলাম বলেন, ২৪ মে সোমবার রাত ১০টার দিকে কলাউজান ইউনিয়নের উত্তর কলাউজান রাবার ড্যাম হিন্দু পাড়ায় পাশের বাড়ি থেকে গীতার আসরে যায় ওই প্রতিবন্ধী যুবতী ৷ গীতার আসর শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বিসু ও টিশু তারা দু’জন মিলে ওই যুবতীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্জন খড়ের গাদায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই প্রতিবন্ধী যুবতীকে।

    তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায ধর্ষণের শিকার যুবতীর বাবা লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা অভিযান চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে টিসু ও বিসুকে আটক করি।

    লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের দুই ঘন্টা পর অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে আটক করেছি। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী যুবতীর বাবা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় আটকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ।

    ২৪ ঘণ্টা/এ. কে. আজাদ

  • এমসি কলেজে গণধর্ষণ, ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

    এমসি কলেজে গণধর্ষণ, ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

    সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক শুনানির পর চার্জশিট গ্রহণ করেন।

    সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে তা আমলে নিয়েছেন। তবে এ মামলার চার্জগঠনের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। চার্জশিটে কোনো ধরনের আপত্তি জানাননি বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।

    এদিকে আজ নির্ধারিত তারিখে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ।

    এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আলোড়ন তোলা এ মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

    পরে রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। এদিন বাদীপক্ষে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি থাকলে তা জানাতে এক সপ্তাহের সময় প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মোহিতুল হক।

    আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

    পরে রোববার সকালে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মো. মোহিতুল হকের আদালতে বাদীপক্ষ ফের দুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন করলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার চার্জগঠনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

    অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী (২৫)।

    ফেরার সময় তারা গাড়ি থামিয়েছিলেন নগরের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে স্বামী পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিলেন। ওই সময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন তরুণ।
    প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতর সংঘবদ্ধভাবে তরুণীকে ধর্ষণ করে ছয় তরুণ। পরে তাদের মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। আটকে রাখে তাদের গাড়িও।

    ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

    ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেফতার করে র্যা ব ও পুলিশ।

    সন্দেহভাজন গ্রেফতার দুজন হলেন- আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সবাই দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

  • ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; ৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

    ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; ৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

    সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দুই মাস ৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে ওই ঘটনায় গ্রেফতার আট ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বহুল আলোচিত এই গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরের শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

    চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), মিসবাহ উর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন।

    এর মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, চার্জশিট দাখিলের প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে দুপুর ১২টায় নগরের শাহজালাল উপশহরের এসএমপির উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।

  • সীতাকুণ্ডে যুবতীকে গণধর্ষণ, শিশুকে ধর্ষন চেষ্টা-আটক ৬

    সীতাকুণ্ডে যুবতীকে গণধর্ষণ, শিশুকে ধর্ষন চেষ্টা-আটক ৬

    ২৪ ঘণ্টা সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। এসব অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। উক্ত ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    জানা যায়, উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শাকিব নামের (১৬) এক কিশোর কে আটক করা হয়েছে।

    অপরদিকে উপজেলার পৌরসভা জলসা হোটেল থেকে এক যুবতীকে গণধর্ষণের দায়ে হোটেলের ম্যানেজারসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, পৌরসদরের জলসা হোটেল এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে ভাটিয়ারী তুলাতলী গ্রামের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শাকিব নামে এক কিশোর।

    শিশুটির মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাকিবকে দুপুরে আটক করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল/রাজীব

  • রাজধানী‌তে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, আটক ৪

    রাজধানী‌তে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, আটক ৪

    রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বেড়াতে এসে ১৫ বছর বয়সী এক তরুণী রাতভর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ৪ কে আটক করেছে।

    রোববার রাতে ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

    পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    ওসি বলেন, ওই তরুণী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছে। এরপরই আমরা তাৎক্ষনিক সেখানে অভিযান চা‌লি‌য়ে চারজনকে আটক করেছি। ওই তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

    জানা গেছে, ওই তরুণী শনিবার (১০ অক্টোবর) নোয়াখালী থেকে পল্লবী এলাকায় তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পারিবারিক কারণে বাবা-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এক সময় ওই তরুণী বাসা থেকে রাগ করে বের হয়ে যায়। পরে তার স্বজনেরা সম্ভাব্য অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাচ্ছিল না। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ধর্ষকরা তাকে ধরে নিয়ে যায় কালশীর একটি নির্জন মেসে।

    সেখানে ৬ থেকে ৭ জন তাকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে ভুক্তভোগী তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • এমসি কলেজে ধর্ষণ: তারেক-মাসুমেরও স্বীকারোক্তি

    এমসি কলেজে ধর্ষণ: তারেক-মাসুমেরও স্বীকারোক্তি

    সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সকল আসামি নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

    রোববার (৪ অক্টোবর) সর্বশেষ দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২ নম্বর আসামি তারেক ও ৬ নম্বর আসামি মাসুম আদালতে ঘটনার দিনে নিজেদের ভূমিকার বর্ণনা দেন। তরুণীকে ধর্ষণ করার আগে তারেক গাড়ি চালিয়ে এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রাবাস পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। যে চারজন তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল, তাদের মধ্যে তারেকও রয়েছে। সেই সময় মাসুমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।

    রোববার জবানবন্দি রেকর্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই আসামি তারেক ও মাসুমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

    মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, এই মামলায় সকল আসামি নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার তদন্তে যা ইতিবাচক দিক। এখন আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি মামলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টসহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ব্যাপার আছে। এসব পাওয়ার পর চূড়ান্ত পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

    রোববার দুপুর ২টার দিকে তারেক ও মাসুমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তারা স্বীকারোক্তি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে পৃথক আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।

    তিনি জানান, অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে আসামি তারেক ও মহানগর হাকিম (২য়) সাইফুর রহমানের আদালতে আসামি মাসুমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মহানগর আদালত পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী তাকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেন স্বামী। এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানের সময় আসামিরা তাদের জোর করে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব-৯, সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এদের প্রত্যেককে আদালতের নির্দেশে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রমাণের জন্য তাদের প্রত্যেকের ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।

    গত শুক্রবার সর্বপ্রথম নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম। এরপর শনিবার আইনুদ্দিন, রাজন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান রনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এদের মধ্যে মাহবুবুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল। আসামিরা জোর করে তরুণীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা একটি বাসায় অবস্থান করছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়েছে। এছাড়া তরুণীর স্বামী বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বীকার করেন, ‘বন্ধু’ আইনুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

    এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামিদের জবানবন্দি প্রদানসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

    এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

    সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং রবিউল ইসলাম।

    পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।

    সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালতে প্রথমে অর্জুন লস্করের এবং পরে সাইফুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক জিয়াউর রহমান। সিলেট সহকারী মহানগর হাকিম আদালতে রবিউল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক সাইফুর রহমান।

    জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।

    গত রোববার গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সহকারী মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা নাগাদ কলেজের ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিন জনকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আমরিন

  • ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : চুল-দাড়ি কেটেও রক্ষা পেলেন না তারেক

    ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : চুল-দাড়ি কেটেও রক্ষা পেলেন না তারেক

    সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার ২ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী তারেকুল ইসলাম তারেককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯।

    মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে ঘটনার চারদিনের মধ্যে গ্রেফতার করল র‍্যাব ও সিলেট রেঞ্জ পুলিশ। চুল-দাড়ি কেটেও রক্ষা পেলেন না তিনি।

    সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় র‍্যাব-৯ এর কর্মকর্তা এএসপি কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। আসামিকে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছে।

    গ্রেফতার তারেক সুনামগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর নিসর্গ ৫৭ নম্বর বাসার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনউদ্দিন ও রাজন নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সোমবার রাত ১২টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশ।

    এর আগে রোববার সকালে ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও মাধবপুর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। রোববার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রবিউল হাসানকেও গ্রেফতার করা হয়।

    একই রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এজাহারে নাম না থাকলেও এ ঘটনার পর থেকে আইনউদ্দিন ও রাজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনউদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

    ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

    এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী।

    এ ঘটনায় গত রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম (তৃতীয়) শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।

    চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার আটজনের মধ্যে ছয়জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা