Tag: গণধর্ষণ

  • নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ,আটক ৫

    নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ,আটক ৫

    নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কয়েল ফ্যাক্টরির ১৬ বছর বয়সী এক নারী শ্রমিককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় বখাটেরা।

    সোমবার রাত ৮টার দিকে ফতুল্লার বটতলা এলাকায় শাহাজালাল রোলিং মিল সংলগ্ন মসজিদ গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

    ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রাতেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রাসেল, আলামীন, রবিন, সুমন ও রুবেল নামের পাঁচ যুবককে আটক করে।

    ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ওই তরুণীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল থানায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের আব্দুর কাদিরের কয়েল ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন।

    ওসি জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে কারখানায় কাজ শেষে ছুটির পর মালিকের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে তাদের পথরোধ করে এলাকার বখাটে যুবক রাসেলসহ তার আরেও ৪-৫ যুবক।

    পরে সন্ত্রাসী আলামীন কয়েল কারখানার মালিককে মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ওই নারী শ্রমিককে রবিন ও সুমনের হাতে টাকার বিনিময়ে তুলে দেয়। এরপর ৪-৫ জন মিলে ওই তরুণীকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, মারধরের শিকার কয়েল কারখানার মালিক কাদির থানায় বিষয়টি জানালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

  • ধর্ষকদের তাড়িয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা

    ধর্ষকদের তাড়িয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা

    ভোলার মনপুরার নির্জন চরপিয়ালে বোটে করে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণকারী চারজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার পর ওই গৃহবধূকে আবার ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের এক নেতা।

    শনিবার মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০) এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।

    চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচার বাবার বাড়ি থেকে স্পিডবোটে করে মনপুরায় শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে গৃহবধূ প্রথমে গণধর্ষণ ও পরে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের শিকার হন।

    এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে মনপুরা থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়।

    মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাবার বাড়ি থেকে বেতুয়া লঞ্চঘাট হয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় স্পিডবোটে ওই গৃহবধূ মনপুরায় শ্বশুর বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বোটে থাকা যাত্রী দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরন (২৬) বোটটি পার্শ্ববর্তী নির্জন চরে নিয়ে যায়। সেখানে আড়াই বছরের শিশু সন্তানের সামনেই গৃহবধূকে তারা ধর্ষণ করে।

    ওসি আরো জানান, পরে খবর পেয়ে বোটের মালিক দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থল গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। তিনি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বললে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল জানান, চরে থাকা মহিষের বাথানিয়ারা ঘটনাটি তাকে জানালে তিনি মনপুরা থানার ওসিকে বলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চর থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

    গৃহবধূ জানান, চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে মনপুরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ না পেয়ে তিনি এক স্পিডবোটে ওঠেন। বোটে আরও দু’জন যাত্রী ওঠে।

    পথিমধ্যে জনতার খালের পাড় থেকে আরও দু’জন ওঠে। একপর্যায়ে ওই যাত্রীরা স্পিডবোট চালককে চরপিয়ালে নিয়ে যেতে বাধ্য করে। সেখানে তাকে চারজন ধর্ষণ করে।

    এরপর জনতার খাল থেকে স্পিডবোট নিয়ে চালক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুলের কাছে নিয়ে যান। নজরুল তখন চারজনকে মারধর করে ৩ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

    এরপর নজরুল চরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং এক হাজার টাকা দেয়। নাম না বলতে হুমকি দেয়। নাম বললে ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয় নজরুল।

    এ ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে স্পিডবোটের চালক রিয়াজ জানান, গৃহবধূকে চরপিয়ালে নিয়ে চারজন গণধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি স্পিডবোটের মালিক নজরুলকে জানান।

    কিন্তু নজরুল স্পিডবোটে করে গৃহবধূকে আবার চরপিয়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে। চরের ভেতর ওই গৃহবধূকে নিয়ে নজরুল এক ঘণ্টা থাকে।

    মনপুরা থানার ওসি জানান, স্পিডবোটটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

    আজ রোববার দুপুরে মেডিকেল পরীক্ষা জন্য ওই নারীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • ইউপি সদস্য কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়ে বিধবার আত্মহত্যার অভিযোগ!

    ইউপি সদস্য কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়ে বিধবার আত্মহত্যার অভিযোগ!

    নীলফামারীর ডিমলায় ইউপি সদস্য ও তার সহচর কর্তৃক জাহানারা বেগম (৪২)নামের এক তিন সন্তানের জননী বিধবা ধর্ষনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালীরা চেস্টা করলেও পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল সেন্টারে মোবাইল করে অভিযোগ করলে শনিবার(১৯অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের পূর্বছাতুনামা চর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই বিধবার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

    এ ঘটনায় গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষক উক্ত ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম(৪৮)ও নিহত বিধবার ফুফাতো দেবর এবং ধর্ষক ইউপি সদস্যের সহচর মান্নান(আনুমানিক ৩৭)।

    এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উক্ত গ্রামের আব্দুল জলিল দেড় বছর আগে রোগজনিত কারনে মারা যায়। সে মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানের জননী তার বিধবা স্ত্রী জাহানারা বেগম ওই চর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।

    গত বুধবার(১৬অক্টোবর) রাতে উক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম সহ বিধবার ফুফাতো ভাই মান্নান মিলে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবার নামে ওই বিধবার বাড়িতে যায়।এ পর্যায়ে দুজনে ওই বিধবাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করতে থাকলে ওই বিধবার আত্মচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ইউপি সদস্য ও মান্নানকে হাতে নাতে আটক করেন।

    এরপর ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মান্নানের পক্ষ নিয়ে কিছু প্রভাবশালী তাদের দুজনকে নিয়ে ছটকে পড়েন।ঘটনার পর ওই বিধবা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে তাতেও বাধা দেয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।

    আবার অনেকেই বলছেন, নিহত বিধবা আত্মহত্যার দিনেও ধর্ষনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতে পারেন? পুর্বে ধর্ষিত হবার ঘটনায় নিরউপায় হয়ে আত্মহত্যা করতেও পারেন?এবং তাকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেও আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে তার লাশ হত্যাকারীরা ঝুলিয়ে রাখতেও পারেন?তাদের দাবি ঘটনা যাই হোক না কেনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঠিক ঘটনা উৎঘটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।

    ঘটনার দিন শনিবার(১৯অক্টোবর) দুপুরের দিকে প্রতিবেশি লোকজন ওই বিধবার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার ঘরে দেখতে পেলে মুহুর্তেই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

    খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির অদুরে স্বামীর বাড়িতে থাকা দুই বোন নাজমা ও নাসিমা ছুটে এসে পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল সেন্টারে মোবাইল করে বিস্তারিত জানালে ডিমলা থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

    এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার চেস্টা করেও ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখের ব্যবহৃত সরকারি(০১৭১৩৩৭৩৯১৪)নম্বরটি ঘটনারদিন রাত ৯টা ১৮মিনিট থেকে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকায় তার কোনো মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি!

    তবে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান জানান,থানার ওসি ও তিনি সহ সঙ্গীয়ফোর্স লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন।

    রোববার(২০অক্টোবর)নীলফামারীতে লাশের ময়না তদন্ত করা হবে।

    এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত (শনিবার রাত ১১টা মিনিট) কোনো মামলা না হলেও নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত একটি সুত্রে জানা গেছে।

  • ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

    ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।

    আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মোতাহের আলী এই রায় দেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি এম এ নাসের। তিনি বলেন, ধর্ষিত গৃহবধূসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডিত আসামীরা হলেন, মৃত আব্দুল শুক্কুরের ছেলে মো. সোহেল (৩২), মৃত আজিজুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (২৮) ও মৃত তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে ফয়েজ আহমদ (৩০)। তারা প্রত্যেকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ মে রাতে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে দলবেঁধে প্রবেশ করে একদল যুবক। এসময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের মুখে সন্তানদের জিম্মি করে এক গৃহবধুকে গণধর্ষণ করে যুবকরা।

    পরে এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিত গৃহবধূর স্বামী। মামলার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অবিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত সোহেল, ফয়েজ ও মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে গ্রেফতার সোহেল ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

    ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে গত বছরের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আদালত।