Tag: গণভবন

  • জোর করে আবু সাঈদের পরিবারকে গণভবনে নেওয়া হয়

    জোর করে আবু সাঈদের পরিবারকে গণভবনে নেওয়া হয়

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে জোরজবরদস্তি করে গণভবনে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই রমজান আলী। শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

    ড. ইউনূসের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে রমজান আলী বলেন, তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আমাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। শেখ হাসিনা জোরজবরদস্তি করে আমাদের গণভবনে নিয়ে যান, আর ইনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাসায় আসছেন। এটা তো আমাদের সৌভাগ্য।

    আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ছেলের নামে সরকারি হাসপাতাল চেয়েছি। যাতে মানুষ বিনামূল্যে ওষুধ পায়। একটা মসজিদের দাবি জানাইছি। রাস্তা-কলেজের নামকরণ করতে বলছি। তার নামে যেন মাদরাসা হয়। আর ছেলে হত্যার বিচার চাইছি। উনি সব করবেন বলে কথা দিছেন। শুধু আজ নয়, সব সময় পাশে থাকবেন। উনি অনেক ভালো মানুষ।

    আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর হৃদয়বিদারক কান্না আর আহাজারি করেন তার বোন সুমি আক্তার। বিশ্ব দরবারে তার আহাজারিতে লাখো মানুষের চোখ ভিজেছে। সেই সুমি আক্তার বলেন, স্যারের কাছে আমার ভাইকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাইছি। এর পেছনে যারা আছে, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের ফাঁসি চাইছি। আমার ভাইয়ের মতো যারা আন্দোলনে মারা গেছে, তারা যেন ন্যায্যবিচার পায়। আবু সাঈদের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস, মসজিদ-মাদরাসা, রাস্তা, কালভার্ট যেন তৈরি করা হয়। আমার ভাইকে যেন শহীদ মর্যাদা দেওয়া হয়। আমরা এই দাবিগুলো উপস্থাপন করছি। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবগুলো বাস্তবায়ন করবেন।

    আবু সাঈদের আরেক ভাই হোসেন আলী বলেন, এতদিন ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনি। তারপরও আমাদের বিষয়টা অনেকে জানে। আমরা তো গণভবনে যেতাম না, যদি প্রশাসন থেকে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া না হতো। আজকে নতুন বাংলাদেশের নতুন সরকার আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিয়েছে। এটাই তো বড় পাওয়া। আমরা চাই সাঈদের আত্মত্যাগের যেন মূল্যায়ন হয়। তার খুনিদের যেন বিচার হয়।

    প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পরদিন ১৭ জুলাই তাকে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

    বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে আন্দোলন নতুন মাত্রা খুঁজে পায়। সাহসের সঞ্চারে ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ক্ষমতার মসনদ ছেড়ে গণভবন থেকে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশত্যাগের সময় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন, যা সেনাপ্রধান ওইদিন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে দেশবাসীকে অবগত করেন।

  • গণভবনে জরুরি বৈঠক: আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

    গণভবনে জরুরি বৈঠক: আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

    চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এজন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ছাড়াও এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

    বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একইভাবে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।

    বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর সঠিক বিচারও হবে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাদের কথা শুনবেন। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও জোটনেত্রীকে রিপোর্ট করবেন।

    নেতারা বলেছেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বা আমাদের আপত্তি নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পড়ামহল্লায় সতর্ক থাকার জন্যও বলে দিয়েছেন।

    গণভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই বৈঠকের বাইরেও গত রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সূত্রের ধারণা, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অবগত করা ও নির্দেশনা নেওয়ার জন্যই তিনি গণভবনে যান।

    এদিকে সারাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকালও গণমিছিল করেছে। গতকালের গণমিছিলে কবি-সাহিত্যিক, শিক্ষক চিকিৎসক, শিল্পী-কলাকুশলিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছে। ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গণমিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর, নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানের গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। গণমিছিলে হামলার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

    প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের আলোচনার এ সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন আন্দোলনকারীরা, তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বসবেন কি না, সে বিষয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

  • স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    তিনি জানান, আগামী ২৮ জানুয়ারি (রোববার) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সকল সতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন সতন্ত্রদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

    প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

    এদিকে, বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে নতুন মন্ত্রিসভায়। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকেই। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শপথ নিচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ইতোমধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

  • শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে গণভবনে প্রবেশ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

    শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে গণভবনে প্রবেশ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে গণভবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মোট ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে আজ গণভবনে ডাকা হয়েছে। রোববার সকালে গণভবনের প্রবেশ পথে তাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।

    সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করবেন।

    গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণভবনে ডাকা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

    আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ) যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। এই চার দিনে ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন।

  • গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী

    গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ শনিবার (এপ্রিল ২২) সকালে গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সরকার প্রধান। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

    পরে প্রধানমন্ত্রী বিচারক এবং কুটনীতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

  • বিশ্বকাপ জয়ী যুবাদের ৮ মার্চ গণভবনে সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বকাপ জয়ী যুবাদের ৮ মার্চ গণভবনে সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করে আসা আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল প্রশংসা আর সংবর্ধনায় ভাসছে বেশ ভালোভাবে। দেশে ফিরে বিসিবির উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়ার পর যুবদলের অংশ হওয়া ৯ ক্রিকেটার আলাদা করে সংবর্ধিত হলেন বিকেএসপিতে। বিকেএসপির ৯ ছাত্রকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই এলো আরও বড় খবর। আগামী ৮ মার্চ গণভবনে সংবর্ধিত হবে বিশ্বজয়ী যুবারা।

    বিশ্বকাপ জয়ের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে ঘোষণা ছিল বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে যুবদলকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। তবে সময় ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে কবে নাগাদ হতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না।

    সাভারের বিকেএসপিতে আকবর, শামীম, মুরাদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারিখ নিশ্চিত করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, ‘তোমরা বড় হও। তোমাদেরকে এই দেশ এবং জাতি সম্মানিত করবে। যেখানেই যাচ্ছো তোমরা কিন্তু সম্মানিত হচ্ছো। তোমাদেরকে আরেকটি ভালো সংবাদ জানিয়ে রাখছি। আগামী ৮ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আমাদের সেই আকবরবাহিনীকে সংবর্ধনা দেবেন নিজে উপস্থিত থেকে।’

    যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলী ছাড়াও বিকেএসপিতে সংবর্ধিত হয়েছেন ৮ জন ক্রিকেটার। তারা হলেন হাসান মুরাদ, শামীম হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, মাহমুদুল হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ শাহিন আলম এবং আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (স্ট্যান্ড বাই)।

    অনুষ্ঠানে আকবরদের প্রত্যেকের হাতে বিকেএসপির পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও বিশেষ ব্লেজার তুলে দেওয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

  • আ’লীগের পথপরিক্রমা : রোজ গার্ডেন থেকে গণভবন

    আ’লীগের পথপরিক্রমা : রোজ গার্ডেন থেকে গণভবন

    বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন এবং বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এ রাজনৈতিক দলটি এদেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।

    প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। রোজগার্ডেনে জন্মগ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়।

    আওয়ামী লীগের ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ দেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে একটি রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধীদল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

    মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীরা সংগঠন থেকে বেড়িয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক।

    ১৯৬৬ সালের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একচ্ছত্র নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক।

    ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এই আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ।

    এর পর দলের মধ্যে ভাঙনও দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। তিন দশক ধরে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে দলটি।

    আবার ৬৭ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ বছরই আওয়ামী লীগকে থাকতে হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছর এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ বছর, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে।
    ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা সুসংহত হতে সক্ষম হয়ে জোটসরকার বিরোধী আন্দোলনে সফলতার পরিচয়ও দিয়েছিল দলটি।

    কিন্তু এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আবারো নতুন সংকটের মুখে পড়ে যায় দলটি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতারা গ্রেফতার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সংকটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম।

    তবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

    পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের শত প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে নির্বাচনের বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হন।

    নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী, সমৃদ্ধ ‘ডিজটাল বাংলাদেশ’ গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে দলটি।

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।

    তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই এই দলের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ প্রথম শুরু করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন।

  • মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

    মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু, তারা অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। গণভবন থেকে সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে ঢুকতে চায়, সেভাবেই যেন ঢুকতে দেয়া হয়।’

    রোববার বিকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে তিনি এ সব কথা বলেন।

    বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে ২০০১ সালে সে ঘটনা আবারও হয়েছিল। দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে। দীর্ঘ সময় দেশের সেবা করতে পেরেছি বলে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকেও খালেদা জিয়া প্রমোশন দিয়েছেন।

    এ সময় তিনি ৬৩ জেলায় বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, সারা বাংলাদেশে বোমাহামলা হলেও একটি মাত্র জেলা মুন্সীগঞ্জে বোমা হামলা হয়নি। এমনকিগোপালগঞ্জেও বোমাহামলা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধ এখনও বহাল, তারা এখনও উঠায়নি। হরতাল দিয়েছে, অগ্নি সংযোগ করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে, লঞ্চে আগুনদিয়েছে। এসব হামলায় অনেক মানুষ মারা গিয়েছে।

    খালেদা জিয়াকে দেখে অনেকের মায়াকান্না। আমরা যারা ‘৭৫ সাল থেকে স্বজন হারা বেদনা নিয়ে আছি আমাদের জন্য কি মায়া লাগে না।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। জাতির পিতা এবং চার জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশহিসেবে রোববার সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করে জাতির জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।

  • যুবলীগের ৩২ নেতা গণভবনে যাচ্ছেন

    যুবলীগের ৩২ নেতা গণভবনে যাচ্ছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে গণভবনে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, যাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ আছে তারা থাকবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও যুবলীগ একটি তালিকা জমা দিয়েছে। সেই তালিকায় বহু বিতর্কিতরাও ছিল। এটা নিয়ে বহু সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তালিকা জমা দিয়েছে যুবলীগ।

    রোববার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে সংগঠনের চলমান ‘সংকট’ উত্তরণে দিকনির্দেশনা চাইবেন যুবলীগ নেতারা। একইসঙ্গে ৭ম জাতীয় কংগ্রেসসহ ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়েও তার পরামর্শ চাওয়া হবে।

    গণভবনে যাচ্ছেন আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ। তার সঙ্গে থাকছেন: প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন,আবদুস সাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান, এডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, এডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু।

    এছাড়াও যুগ্ম-সম্পাদক: মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহীন, নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী উপস্থিত থাকবেন।

    আর সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, মুহাঃ বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, আসাদুল হক, এমরান হোসেন খান, আজহার উদ্দিন, ফারুক হাসান তুহিন গণভবনের বৈঠকে যোগ দেবেন।