Tag: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

  • জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেও করোনায় আক্রান্ত

    জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেও করোনায় আক্রান্ত

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

    বর্তমানে কাশি ও কিছুটা শ্বাসকষ্ট নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার স্ত্রী। গত ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    রোববার (৩১ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সংগ্রাম করছি। জ্বর নেই, কাশি আছে, কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে।

    জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হোক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শিরীন হকের জ্বর রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছেলে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    ৭৯ বছর বয়স্ক জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনেকদিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিএসএমএমইউ’র পরীক্ষায়ও ডা. জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ

    বিএসএমএমইউ’র পরীক্ষায়ও ডা. জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পিসিআর ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।

    গতকাল বুধবার (২৭ মে) তার করোনাভাইরাস পজিটিভের প্রতিবেদন দেয় বিএসএমএমইউ।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।

    ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। স্যারের সাথে আমার দেখা হয়েছে। স্যার ভালোই আছেন। স্যার বললেন, তোমরা চিন্তা করো না। আমি ভালোই থাকবো। তোমরা তোমাদের মতো কাজ কর। অনেক সময় মনের জোরটা নির্ভর করে। উনার তো অসম্ভব মনের জোর আছে। আত্মবিশ্বাস আছে। উনি কোনো কিছুতে আতঙ্কিত হন না। আমাদের দেশে যারা বয়োবৃদ্ধ, তাদের অনেকে ভয় পান। অনেকের অনেক আন্ডারলাইন ডিজিজ থাকে। উনারও আছে। তার প্রতি সপ্তাহে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। সর্বোপরি তার মনের জোর আছে। উনি ভয় পান না করোনাকে। তিনি বলেন, করোনাকে আমি জয় করব।’

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী হালকা জ্বর অনুভব করলে গত ২৪ মে তার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। সেই পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। তবে ওই কিট সরকারের কাছ থেকে এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি বিএসএমএমইউয়ের পিসিআর ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষা করালেন। এখানেও তার করোনা পজিটিভ এসেছে।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তা করেছিলেন ড. বিজন কুমার নিজে। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন, না হয় তার আগের দিন স্যার আমাকে ফোন করে বললেন, আমার তো জ্বর আসছে বিজন। কী করা যায়? তখন আমি বললাম, দ্রুত আপনার স্যাম্পল পাঠিয়ে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তা আসল। ১৫ মিনিটের মধ্যে টেস্ট করে দেখলাম উনি পজিটিভ। তারপর আমি জানিয়ে দিয়েছি, আপনি পজিটিভ।’

    নিজেদের কিটে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাসায় আছেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই সঙ্গে তার ডায়ালাইসিস চলছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায়ও তার ডায়ালাইসিস হওয়ার কথা রয়েছে।

    গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করে ফেলে।

    উদ্ভাবিত এ কিটের সক্ষমতা যাচাই চলছে বিএসএমএমইউতে। এ পরীক্ষায় সফলতা পেলে তাদের চূড়ান্ত র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তারপরই গণস্বাস্থ্য তাদের উদ্ভাবিত কিটে সবার করোনা পরীক্ষা করতে পারে।

    এ কিট উদ্ভাবন প্রক্রিয়া মিডিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের সমন্বয় করে আসছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সুস্থ আছি, হোম আইসোলেশনে আছি,সাতদিন পর আমরাই শুরু করবো-ডা. জাফরুল্লাহ

    সুস্থ আছি, হোম আইসোলেশনে আছি,সাতদিন পর আমরাই শুরু করবো-ডা. জাফরুল্লাহ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে নমুনা পরীক্ষা করে ডা. জাফরুল্লাহ র করোনা পজিটিভ আসে।

    বুধবার রাতে তার শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বর্তমানে তিনি সূস্থ আছেন জানিয়ে বলেন,সবচেয়ে ভালো হচ্ছে যতক্ষণ না হাসপাতালে না গিয়ে পারা যায়, ততক্ষণ বাসায় থাকা। হোম আইসোলেশনের থাকা। আমিও হোম আইসোলেশনে আছি।

    এদিকে উদ্ভাবিত কিটের কার্যাকারিতা যাচাইয়ে আজ বুধবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৭শ কিট দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আগামী সাত দিনে যদি সেখান থেকে কোনো ফল না পাওয়া যায়, তাহলে তারা নিজেরাই গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ট্রায়াল শুরু করে দেবে।

    বুধবার রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ট্রায়াল শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার অনুরোধ করেছে আরও ২/৩ দিন অপেক্ষা করতে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৭০০ কিট দেয়া হয়েছে। তারা আরও সাত দিন কাটাক, তারপর আমরা শুরু করে দেব।

    প্রসঙ্গত : গত রবিবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ডা. জাফরুল্লাহর।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • গণস্বাস্থ্যের কিটের ট্রায়াল স্থগিত

    গণস্বাস্থ্যের কিটের ট্রায়াল স্থগিত

    ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুরোধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ টেস্ট কিটের ট্রায়াল স্থগিত করা হয়েছে।

    সোমবার (২৫ মে) রাতে জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকারের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ট্রায়াল স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেভাবে প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু আজ ওষুধ প্রশাসনের অনুরোধে আমরা ট্রায়াল বাতিল করেছি। তারা আমাদের আজকে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, অনুগ্রহ করে এ পরীক্ষা বন্ধ করতে, আমরা তাদের অনুরোধ রেখেছি।’

    এসময় ওষুধ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বলতে চাই, গত বছর ডেঙ্গু আক্রমণ হয়, তখনও গণস্বাস্থ্যের ডেঙ্গু কিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই। এ বছরও কোনও পরীক্ষা ছাড়াই সাতদিনে রেমডিসিভিরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের অনুরোধ থাকবে, আমরা কার্যক্রম স্থগিত করেছি। এরইমধ্যে বিএসএএমইউ তিনশ’ কিট পরীক্ষা করেছে। আমরা বিভিন্নসূত্রে জেনেছি, এই ট্রায়ালে কিটের কার্যকারিতা পেয়েছে। ফলে, প্রয়োজনে সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে আমাদের অনুমোদন দিতে পারেন। সাময়িকভাবেও হলেও তো দিতে পারেন। আমি জানি না, কেন তারা করছেন না।’

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ‘ওষুধ অধিদফতরের চিঠির জবাব সোমবার রাতেই দিয়েছি। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আমাদের কিটে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়ে দিন। অন্ততপক্ষে সাময়িক অনুমোদন দেন আমাদের। আমরা এটাও বলেছি চিঠিতে, অন্যদেরকে পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদন দিয়েছেন, আর আমরা কার্যকারিতা প্রমাণ করলেও দিচ্ছেন না।’

    এদিকে রাতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক মঙ্গলবার (২৬ মে) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ টেস্ট কিটের ট্রায়ালের জন্য ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহের জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুরোধে তা স্থগিত করা হলো। সরকারের অনুমোদন পেলেই পুনরায় পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

    এর আগে দুপুরের দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার (২৬ মে) থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে প্রতিদিন ৫০ জন ব্যক্তির ওপর এই ট্রায়াল চালানো হবে।

    জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের জি আর কোভিড ১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষা শুরু করবে বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি।’

    তিনি বলেন, ‘বিএমআরসি অনুমোদিত নিয়মে, আগে আসলে আগে নেওয়া হবে। এই ভিত্তিতে লালা এবং রক্ত উভয় বা যেকোনো একটি নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এই নমুনা সংগ্রহ গবেষণার অংশ, কোনো সেবা বা রোগ নির্ণয় নয়।’

    প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।

    ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়।

    বেশ কিছু দিন কিট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের থেকে বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআর,বিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মঙ্গলবার থেকে গণস্বাস্থ্য করোনা পরীক্ষা করবে, সবার জন্য উন্মুক্ত

    মঙ্গলবার থেকে গণস্বাস্থ্য করোনা পরীক্ষা করবে, সবার জন্য উন্মুক্ত

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আগামী মঙ্গলবার থেকে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। ওইদিন রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল এবং সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনার পরীক্ষা শুরু হবে। সবাই সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারবেন।

    শনিবার (২৩ মে) দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

    ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনুমোদন তো আমাদের আছেই। তারা তো আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের হাসপাতালকেও অনুমোদন দিয়েছে। সেটার বলেই আমরা করছি। ’

    ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিএসএমএমইউতে আমাদের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের যে পরীক্ষা চলছে, আমার মনে হয় না তারা ঈদের আগে সেটার ফলাফল দিতে পারবে। সেজন্য ঈদের পরে শুরু করছি আমাদেরটা। আমরা আর অপেক্ষা করব না। মঙ্গলবার (২৬ মে) থেকে আমরা শুরু করছি।

    ওই দিন থেকে ঢাকা ও সাভার দুই জায়গায়ই শুরু করব। দুটো টেস্টই হবে এন্টিজেন্ট ও এন্টিবডি। লালা ও রক্ত দুটোই লাগবে পরীক্ষার জন্য। যেকোনো ব্যক্তি এসে পরীক্ষা করে নিতে পারবে। ’
    তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের প্যাথলজির পরীক্ষা কী সরকার বাধা দিতে পারবে? অনুমোদন হয়নি, সেটা তারা কোর্টে গিয়ে করবে। আমাদের হাসপাতাল তো ড্রাগের (ওধুষ প্রশাসন অধিদফতরের) অধীনে না। তারা নথি দিলে সরকারকে উত্তর দেব। বিএসএমএমইউর অনুমোদন তো আমাদের আছেই। ’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পরীক্ষার খরচসহ কিট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য

    পরীক্ষার খরচসহ কিট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:নানা নাটকীয়তা এবং জটিলতার পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) খরচসহ নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    প্রথম দফায় পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট দেওয়া হয়েছে। পরে আরও ২০০ কিট দেওয়া হবে।

    বুধবার (১৩ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সমন্বয়ক ড. মহিবুল্লাহ খন্দকার বিএসএমএমইউতে গিয়ে কিট জমা দেন।

    এখন চাইলে যেকোনো সময় এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে পারবে বিএসএমএমইউ।

    কিট হস্তান্তর প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গতকাল আমাদের চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সেই চিঠি আসায় আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে কিট দিতে পারিনি। তবে আজ বুধবার সকাল নয়টা থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। সকাল ১১টার দিকে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়াসহ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কিট পৌঁছে দিয়েছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন পর তারা (বিএসএমএমইউ) কিট নিয়েছে, আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এখন তারা পরীক্ষার কাজটি শুরু করলেই হয়।’

    তিনি বলেন,‘আসলে করোনা তো আমার একার সমস্যা না। এটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি বুঝতে হবে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই করোনা জয় সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিট দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে। এটুকুই বলতে পারি’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার অনুরোধ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

    এরপর ২ মে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল। ওই বৈঠকে কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

    পরে বিএসএমএমইউ’র বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষ।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়নি

    ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়নি

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ‘জি র‍্যাপিড ডট ব্লট’ কিট পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমতি দিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।

    তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলছে, তারা সেটি পরীক্ষার জন্য কোনো অনুমতি দেয়।

    বরং ওই কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য দুটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

    এ বিষয়ে ভ্রান্তি নিরসনে সরকারি সংস্থাটির পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

    ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ মর্মে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে যে, মেসার্স গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত GR Covid-19 Rapid Dot Blot Immunoassay কিটের পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। যা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা (Performance Trial) করার জন্য সকল নিয়ম মেনে ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত CR0-3: ICDDRB এবং CR0-10: BSMMU কর্তৃক সম্পন্ন করার জন্য গণস্থাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব পারফরম্যান্স ট্রায়াল শেষে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

    এর আগে আজ বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অথবা আইসিডিডিআর,বি’র যেকোনো একটিতে পরীক্ষা করার কথা বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।’

    এরই মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিএসএমএমইউর উপাচার্যকে এ বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বলেও জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট

    পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কোভিট-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়ক (জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট) কিটের সক্ষমতা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন থেকে গণস্বাস্থ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

    এই কিটের নমুনা পরীক্ষা করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

    বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন আমাদের চাহিদা মোতাবেক, অনুরোধ পত্র মোতাবেক এটা ট্রায়েলের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সেই মোতাবেক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) চিঠি দিয়েছে। আমার এতে একটা ধাপ এগিয়ে গেলাম।’

    ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘হয়তো শনি-রোববার বসে উনাদের (বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ) চাহিদা মোতাবেক এটা করা হবে। এটা এখন নির্ভর করবে বিএসএমএমইউ’র উপর। এই ট্রায়ালের সময় আমরা থাকব না। তারা ইনডিপেনডেন্টলি করবে।’

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • গণস্বাস্থ্যকে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরীর অনুমতি

    গণস্বাস্থ্যকে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরীর অনুমতি

    করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কিট উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আজ দুপুরে আমরা সরকারের অনুমোদন পেয়েছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল দেশে পৌঁছাবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা কিট উৎপাদনে যাব।
    তিনি আরও বলেন, কিট উৎপাদনের কাঁচামাল চীনের কাছেও আছে। তবে চীন বাণিজ্যিকভাবে কিট উৎপাদনের জন্যে কাঁচামাল বিক্রি করবে বলে না জানিয়েছে।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলে দেশে কিট নিয়ে কোনো সঙ্কট থাকবে না বলেও দাবি করেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

  • করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র,খরচ হবে ২০০ টাকা

    করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র,খরচ হবে ২০০ টাকা

    বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বুধবার (১৮ মার্চ) একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সত্যি ঘটনা। এটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো, র‌্যাপিড ডট ব্লট।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের দাবি ২০০ টাকায় এই ভাইরাস শনাক্তকরণ সম্ভব।

    ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। “র‌্যাপিড ডট ব্লট” পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে।’

    ‘তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। আমাদের এখানে যখন যোগ দিলেন তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন’, যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন তিনি আমাদের বললেন, “এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।” উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘উনি আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। উনি সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসে থাকেন। উনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।’

    ‘এটা করতে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য না। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা ও ব্রিটেনে’, যোগ করেন তিনি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এখন এটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাই মার্কেটিং করতে যাচ্ছি। আমরা এর অনুমোদনের জন্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। তারা এর গুরুত্বটাই বুঝতে পারছে না। সাতদিন আগেই আমাদের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আজকে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। তাদের সঙ্গে মিটিং করছে। আজকে যদি আমরা অনুমোদন পেয়ে যাই তাহলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্যে আগামী সপ্তাহে ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দিবো।’

    তিনি বলেন, ‘প্রচলিত কিট যেটা ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এর জন্যে একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনটা আছে। সারা দেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে। এ কারণে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা করা উচিত ছিল হাজার-হাজার।’

    ‘ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে শনাক্ত করা যাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপরে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নিবে। আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এই মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব।’

    ‘আরও একটি খুশির সংবাদ হলো: আমেরিকার একটি সংস্থা আমাদের জানিয়েছে তারাও আমাদের উদ্ভাবিত এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদন করবে। এ কথা তারা ড. বিজনকে তারা জানিয়েছে,’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

    গবেষণা দলের সদস্য ড. নিহাদ আদনান বলেন, ‘অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ড. বিজন কুমার শীল ও ড. মহিবুল্লাহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গিয়েছিলেন। অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। সাধারণত এ ধরনের অনুমোদন একটু সময় সাপেক্ষ। তবে জাতীয় স্বার্থের গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাব।’