Tag: গভীর শোক প্রকাশ

  • চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলসাদ’র মায়ের মৃত্যু, বিভিন্ন মহলের শোক

    চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলসাদ’র মায়ের মৃত্যু, বিভিন্ন মহলের শোক

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ ম ম দিলসাদ এর মা ও মরহুম ডা. আবদুল্লাহিল কাফী’র স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নেছা ওয়ারেচী (৮৩) মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল পৌনে ৮টার সময় নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।

    মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও তিন কন্যাসহ বহু গুণাগ্রাহী রেখে যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

    মরহুমা বেগম লুৎফুন্নেছা ওয়ারেচী তৎকালীন কক্সবাজার মহুকুমার প্রখ্যাত জমিদার মরহুম সৈয়দুর রহমান ওয়ারেচীর দ্বিতীয় কন্যা ও সীতাকুণ্ডের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আবদুল্লাহিল মামুন সাহেবের মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী।

    এদিকে জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলসাদ এর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    বাদ আসর মরহুমার সোনাইছড়ী ইউনিয়নস্থ দ.ঘোড়ামরা গ্রামের মুন্সী সাদেক আলী চৌধুরী বাড়ীতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

  • সাংবাদিক রানা’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

    সাংবাদিক রানা’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

    দৈনিক সময়ের কাগজ, ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজের রাউজান প্রতিনিধি ও রাউজান প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নেজাম উদ্দিন রানার পিতা মো: ফজলুল হক বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তিনি মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাউজানের উত্তর গুজরা মগদাইয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান।

    রাত এগারোটার সময় জানাজা শেষে মরহুমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    সাংবাদিক রানার পিতার মৃত্যুতে দৈনিক সময়ের কাগজের সম্পাদক, প্রকাশক এবং আঞ্চলিক সম্পাদক সহ ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ।

  • সাংবাদিক রাজিব সেন প্রিন্সের পিতার মৃত্যুতে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের শোক

    সাংবাদিক রাজিব সেন প্রিন্সের পিতার মৃত্যুতে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের শোক

    সাংবাদিক রাজিব সেন প্রিন্সের বাবা সত্যব্রত সেন (যদু) পরলোকগমন করেছেন।‌ এতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ।‌

    সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ডা.একিউএম সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য, সত্যব্রত সেন (যদু) চট্টগ্রাম জজ কোর্ট আইনজীবি সহকারী (অ্যাডভোকেট ক্লার্ক) ছিলেন।‌

    শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।‌ তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও পুত্র বধু, এক কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন রেখে যান। নিজ বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার পশ্চিম মুজাফরাবাদ সেন বাড়ির শ্বশানে তাঁকে দাহ করা হয়।

  • এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে ক্যাব চট্টগ্রামের শোক

    এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে ক্যাব চট্টগ্রামের শোক

    প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

    বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত শোক বার্তায় ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

    শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাঙ্গালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধে মরহুম এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্ব¡পূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন পরীক্ষিত সরকারী কর্মকর্তা ও একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতাকে হারালো।

    অপর এক বার্তায় ক্যাব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তা ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ-এর মৃত্যুতে দেশ জাতির বিবেককে হারালো। যার শুণ্যতা পুরণ হবার নয়।

    এছাড়াও ক্যাব নেতৃবৃন্দ খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক এবং ক্যাবের জ্বালানী বিষয়ক অনিয়ম অনুসন্ধান কমিটির আহবায়ক সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন প্রয়াত সৈয়দ আবুল মকসুদ আজীবন অহিংঞ্চু আন্দোলনের অবদান রাখার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায়ও অবদান রেখেছেন।

  • এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে চসিক মেয়রের গভীর শোক প্রকাশ

    এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে চসিক মেয়রের গভীর শোক প্রকাশ

    প্রধানমন্ত্রী’র রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    চসিক মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • চট্টগ্রাম নগর আ’লীগ নেতা তারেক সোলায়মানের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    চট্টগ্রাম নগর আ’লীগ নেতা তারেক সোলায়মানের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক সোলায়মান সেলিমের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান’র মৃত্যুতে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী’র শোক প্রকাশ

    সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান’র মৃত্যুতে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী’র শোক প্রকাশ

    সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য, ৪ বারের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    শোক বার্তায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, তারেক সোলেমান সেলিম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত জোট বিরোধী আন্দোলন সহ দুঃসময়ে আওয়ামী পরিবারের একজন সাহসী সৈনিক ছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর অগ্রণী ভুমিকা চট্টগ্রামের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • সাংবাদিক শোয়েবের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব ও সিআরএফের শোক

    সাংবাদিক শোয়েবের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব ও সিআরএফের শোক

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক, অনুবাদক শোয়েব খান এর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরাম ও চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বাদ যোহর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মরহুমের জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেখানেই জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান।

    প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জানাযার পূর্বে সাংবাদিক শোয়েব খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন স্মরণ করে সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম ।

    জানাযায় বিজিএমইএ প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    তথ্যমন্ত্রীর শোক : সাংবাদিক শোয়েব খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এক বিবৃতিতে তিনি প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দৈনিক পূর্বকোণসহ বেতার ও টেলিভিশনে তার কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করেন।

    বিএফইউজে’র শোক : বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এস এম শোয়েব খান মৃত্যুতে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মহাসচিব ও দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে নবনিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য রুবেল খান ও আজহার মাহমুদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘ সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান সৎ অমায়িক নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক ছিলেন । তাঁর মৃত্যুতে সংবাদ মাধ্যমের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সাংবাদিক সমাজে তাঁর অবদান স্মরণীয় থাকবে।

    তাছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক সোয়েব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কাজী আবুল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা ও সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।

    মরহুমের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    প্রায় ৩০ বছর তিনি দৈনিক পূর্বকোণের সহ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বেতার ও টেলিভিশনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলেন এসএম শোয়েব খান। সাংবাদিকতায় যুক্ত হন ১৯৯০ সাল থেকে।

    রাজীব/২৪ ঘণ্টা

  • হাজী আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    হাজী আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হারিয়েছে নিবেদিত প্রাণের এক নেতাকে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    তিনি চট্টগ্রামের অত্র জনপদে রাজনীতির মাধ্যমে মাটি ও মানুষের কল্যাণে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দলীয় রাজনীতিকে অত্র এলাকায় সুসংগঠিত করার কাজে তিনি আজীবন নিজের মেধা ও শ্রম ব্যয় করেছেন। প্রবীন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাজী আব্দুর রহমানের এই মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরনীয় এক ক্ষতি।

    আমি মরহুম হাজী আব্দুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, চান্দগাঁও থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হারিয়েছে নিবেদিত প্রাণের এক নেতাকে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের অত্র জনপদে রাজনীতির মাধ্যমে মাটি ও মানুষের কল্যাণে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। জনপ্রতিনিধি থাকা অবস্থায় চান্দগাঁও ওয়ার্ডে তার হাত ধরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দলীয় রাজনীতিকে অত্র এলাকায় সুসংগঠিত করার কাজে তিনি আজীবন নিজের মেধা ও শ্রম ব্যয় করেছেন। প্রবীন রাজনীতিবিদ হিসাবে সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুল ইসলামের এই মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরনীয় এক ক্ষতি।

    আমি মরহুম হাজী নুরুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পীর আল্লামা সৈয়দ আবু আশরাফ মুহাম্মাদ গাজিউল হক চাঁদপুরী শাহ মৃত্যুতে আস্তানায়ে জহির ভান্ডারের শোক প্রকাশ

    পীর আল্লামা সৈয়দ আবু আশরাফ মুহাম্মাদ গাজিউল হক চাঁদপুরী শাহ মৃত্যুতে আস্তানায়ে জহির ভান্ডারের শোক প্রকাশ

    খলিফায়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী আওলাদ পাক কুমিল্লার লাকসাম ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুরী শাহ দরবার শরীফের পীর আল্লামা সৈয়দ আবু আশরাফ মুহাম্মাদ গাজিউল হক চাঁদপুরী শাহ’র মৃতুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরস্থ আস্তানায়ে জহির ভান্ডারের সাজ্জাদানশীন ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নিবাহী সদস্য পীরজাদা মুহাম্মদ মহরম হোসাইন মাইজভান্ডারি।

    সোমবার (২২ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় পীরজাদা মুহাম্মদ মহরম হোসাইন মাইজভান্ডারি পবিত্র ধর্ম ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    সেইসাথে মরহুম পীর আল্লামা সৈয়দ আবু আশরাফ মুহাম্মাদ গাজিউল হক চাঁদপুরী শাহ আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • কামাল লোহানী আন্দোলন সংগ্রামেই কাটিয়েছেন ৬৮ বছর;মৃত্যুতে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের শোক

    কামাল লোহানী আন্দোলন সংগ্রামেই কাটিয়েছেন ৬৮ বছর;মৃত্যুতে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের শোক

    দেশের প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী শনিবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    সংগ্রামী সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম।

    শোক বার্তায় সংগঠনের সভাপতি কাজী আবুল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০১৯ দীর্ঘ ৬৮ বছর দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রনায়ক কামাল লোহানী। যেখানেই অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। যে কারনে সারাজীবন কর্মস্থল পরিবর্তন করেছেন তিনি।

    ফোরামের সকল নেতৃবৃন্দ উনার আত্মার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের শান্তি কামনা করেন।

    কামাল লোহানীর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে তার ছেলে সাগর লোহানী বলেন, বাবার ফুসফুস ও কিডনিতে সমস্যা অনেক দিন ধরে। গত ১৮ জুন তার করোনা পজেটিভ আসে।

    এর আগে গত ১৮ জুন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে গত ১৭ মে সকালে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

    সাগর লোহানী জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও ফুসফুস-কিডনির জটিলতার সঙ্গে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন কামাল লোহানী।

    কামাল লোহানীর সংগ্রামী জীবন: কামাল লোহানী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার পুরো নাম কিন্তু আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার খান সনতলা গ্রামে তার জন্ম। বাবা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মুসা খান লোহানী। মা রোকেয়া খান লোহানী।

    মাকে হারান মাত্র সাত বছর বয়সে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকার মধ্যে কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে চলে আসেন পাবনায়। পাবনা জিলা স্কুল থেকে ভাষা আন্দোলনের বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। এ সময় তিনি যুক্ত হন রাজনীতিতে। যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে। পাবনায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন যোগ দেন। এরই মধ্যে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি টানেন তিনি। যুক্ত হন রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতিচর্চায়।

    ১৯৫৩ সালে পাবনার তৎকালীন জিন্নাহ্ পার্কে (বর্তমান স্টেডিয়াম) মুসলিম লীগ কাউন্সিলে নুরুল আমিনের আগমনের প্রতিবাদ করায় প্রথম গ্রেপ্তার হন তিনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে কাজ করায় আবারও গ্রেফতার হন তিনি।

    ১৯৫৫ সালের জুলাই মাসে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে পারিবারিক মতবিরোধ হওয়ায় ঢাকা চলে আসেন কামাল লোহানী। চাচাতো ভাই ফজলে লোহানীর সহযোগিতায় ওই বছরই দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তার। একই বছর তিনি ন্যাপে যোগ দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

    ঢাকার আসার পরেই নাচের প্রতি আগ্রহ জন্মে কামাল লোহানীর। বুলবুল ললিতকলা একাডেমির হয়ে কামাল লোহানী তার নৃত্যগুরু জি এ মান্নানের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ প্রযোজনায় অংশ নেন তিনি। পাকিস্তান সাংস্কৃতিক দলের হয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে তিনি যান। এরই ফাঁকে তিনি চাকরি করেন দৈনিক ‘আজাদ’, দৈনিক ‘সংবাদ’, ‘পূর্বদেশে’।

    ১৯৬০ সালে চাচাতো বোন সৈয়দা দীপ্তি রানীকে বিয়ে করেন কামাল লোহানী৷ ২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বরে তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অনুপ্রেরণাদাত্রী স্ত্রী দীপ্তি লোহানীর প্রয়াণে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন কামাল লোহানী। এ দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে সাগর লোহানী, বন্যা লোহানী ও ঊর্মি লোহানী।

    ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তার ছিল দৃঢ় ভূমিকা। শতবর্ষ পালনের আয়োজনে ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে তিনি বজ্রসেনের ভূমিকায় অংশ নিয়ে প্রশংসিত হন৷ ১৯৬২ সালে স্বল্পকাল কারাবাসের পর কামাল লোহানী ‘ছায়ানট’র সাধারণ সম্পাদক হন৷ সাড়ে চার বছর এই দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন ‘ক্রান্তি’ নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন।

    মুক্তিযুদ্ধের সময় কামাল লোহানী স্বাধীন বাংলা বেতারের সংবাদ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি দায়িত্ব নেন ঢাকা বেতারের৷ দায়িত্ব নেয়ার পর বিধ্বস্ত বেতারকে পুনর্গঠনে মনযোগী হন৷

    ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন কামাল লোহানী। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর কলকাতা সফর উপলক্ষে দমদম বিমানবন্দরেও ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন তিনি।

    দেশ স্বাধীন হলেও প্রশাসনে পরিবর্তন আসেনি বলে বেতারের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ১৯৭৩ সালে সাংবাদিকতায় ফিরে এসে যোগ দেন ‘দৈনিক জনপদ’-এ৷ ১৯৭৪ সালে ‘বঙ্গবার্তা’, এরপর ‘দৈনিক বাংলার বাণী’ পত্রিকায় কাজ করেন।

    সরকার ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন সংবাদপত্র এ্যানালমেন্ট অধ্যাদেশ জারি করে মাত্র চারটি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। নির্মল সেন ও কামাল লোহানী বাকশালে যোগদানে অস্বীকৃতি জানান।

    ফলে চাকরিহীন অবস্থায় ১৯৭৭ সালে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক বার্তা’র নির্বাহী সম্পাদক হন। ১৯৭৮ সালে তাকে সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ হলে ‘দৈনিক বার্তা’ ছেড়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) যোগ দেন। প্রকাশনা পরিচালক ও ‘ডেপথনিউজ বাংলাদেশ’ এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার কয়েক মাস পরেই তিনি সেখানকার সহযোগী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন।

    ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৬ মাসের মাথায় বিএনপি সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় তিনি পিআইবিতে ফিরে আসেন।

    ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য আবার শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন৷ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন চার বছর৷ তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন৷ এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সদস্য৷

    কামাল লোহানীর লেখা বইগুলো মধ্যে রয়েছে- ‘আমরা হারবো না’, ‘সত্যি কথা বলতে কী’, ‘যেন ভুলে না যাই’,, ‘মুক্তিসংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’, ‘এ দেশ আমার গর্ব’, ‘আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম’, ‘লড়াইয়ের গান’, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নৃত্যশিল্পের বিস্তার’, ‘দ্রোহে প্রেমে কবিতার মত’ এবং কবিতার বই ‘শব্দের বিদ্রোহ’৷

    কামাল লোহানী ২০১৫ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন৷ এছাড়াও তিনি কলকাতা পুরসভার দ্বিশতবর্ষ সম্মাননা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সম্মাননা, রাজশাহী লেখক সংঘ সম্মাননা, ক্রান্তি স্মারক, ঋষিজ সম্মাননা ও স্মারক, জাহানারা ইমাম পদকসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন৷

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর