Tag: গরু

  • সীতাকুণ্ডের সবচেয়ে বড় গরু “কালা বাবু” বিক্রি হয়নি, দাম উঠেছে সাড়ে ৭ লাখ

    সীতাকুণ্ডের সবচেয়ে বড় গরু “কালা বাবু” বিক্রি হয়নি, দাম উঠেছে সাড়ে ৭ লাখ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধ: এবারেরর পবিত্র ঈদুল আজহা’র পশু বাজারে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সবচেয়ে বড় গরু “কালা বাবু” বিক্রি হয়নি। কালা বাবুর ওজন প্রায় ২৫ মন। দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ। গরুটির দাম উঠেছে সাগে ৭লাখ টাকা। জানালেন গরুর মালিক রাশেদুল করিম। তিন বছর ধরে লালনপালন করে গরুটি এবার সীতাকুণ্ডের মধ্যে সবচে বড় গরু বলে দাবি করেন রাশেদ।

    তিনি বলেন, গরুটি বাঁশবাড়িয়া বাজার ও বাড়বকুণ্ড বাজারে নেওয়া হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা গরুটির দরদাম করেছিলেন। একজন মাত্র সাড়ে সাত লাখ টাকা বলেছিলেন। ৯ থেকে ১০ লাখের মধ্যে হলে বিবেচনা করতেন তিনি। এদিকে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে এটি নিয়ে পত্র-পত্রিকা, টিভি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রচার পায়। অনেকে গরুটি দেখতে রাশেদের বাড়িতে ভিড় করেন।

    রাশেদুল করিম বলেন, তিনি পেশাদার গরু ব্যবসায়ী নন। সাড়ে তিন বছর আগে শখের বশে ছয় দিনের বাচ্চাসহ একটি গাভি কিনেছিলেন তিনি। তাকেই লালন-পালন করে আজকের এই কালাবাবু। প্রচুর শ্রম দিয়েছেন তিনি। এ গরুটি বড় করতে গিয়ে ছোটখাটো একটি খামারও করেছেন। এবার গরুটি বিক্রি করতে পারলে ভালো লাগতো। এত বড় গরু কোরবানী ছাড়া তেমন কেউ কিনতে চায়না। তবে এবার বিক্রি না হলে আগামীবার বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

  • কোরবানির গরু-মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে রিট

    কোরবানির গরু-মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে রিট

    কোরবানির গরু ও মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে জীবন্ত গরু ও মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রিটটি করেছেন।

    রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও টিসিবির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

    রিটকারী আইনজীবী বলেন, গরুর মাংস বাংলাদেশর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস এরই মধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

    রিটে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানিযোগ্য পণ্য। অপরদিকে ‘দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২ এর ধারা ১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য।

    ‘কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে জীবন্ত গরু এবং গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।’

  • বোয়ালখালীতে ফের গরু চুরি

    বোয়ালখালীতে ফের গরু চুরি

    বোয়ালখালী প্রতিনিধি : বোয়ালখালীতে ফের ২টি গরু নিয়ে গেছে চোরের দল। ৭ ডিসেম্বর, বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের পৃথকস্থান থেকে ২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জুনু মহাজন বাড়ির সুমন চক্রবর্তী ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী বাপের বাড়ির শিবু দে।

    তাঁরা জানান, রাতে গোয়ালঘর থেকে তাঁদের পালিত গরু নিয়ে গেছে চোর। সকালে গোয়ালঘর গরু দেখতে না পেয়ে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন।

    এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

    গত তিন মাস ধরে বোয়ালখালীতে একের এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা।

  • অবশেষে গরু পেলেন ৭০ বছর বয়সেও ঘানি টানা ডিমলার সেই বৃদ্ধ সইমুদ্দিন

    অবশেষে গরু পেলেন ৭০ বছর বয়সেও ঘানি টানা ডিমলার সেই বৃদ্ধ সইমুদ্দিন

    নীলফামারী প্রতিনিধি : অবশেষ গরু পেয়েছেন বৃদ্ধ বয়সে ঘানি টানা সেই দরিদ্র বৃদ্ধ। সংসারের ঘানি তো আছেই আবার গরুর বদলে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিজেই তেল মারাইয়ের ঘানি(জোয়াল) টানছেন ৭০বছরের বৃদ্ধ সইমুদ্দিন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে থাকেন তার স্ত্রী নূরুন্নাহার বেগম। দীর্ঘদিনেও বিষয়টি নজরে আসেনি কারোরই।

    ঘটনাটি ডিমলা উপজলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া সরকারপাড়ার। মোহাম্মাদ মিশুক আহম্মেদ বর্ষ নামে একটি ফেসবুকের পোস্টের মাধ্যমে অনেকের নজরে আসে তা।এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে “সেভ দ্যা হিউম্যান” নামে একটি সামাজিক সংগঠনের কর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি।

    অবশেষে “অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল” নামে আরেকটি সামাজিক সংগঠনের আর্থিক সহযাগিতায় ওই বৃদ্ধকে একটি গরু উপহার দেয়া হয়। বুধবার (১৪ অক্টোবর) সেভ দ্যা হিউম্যানের কর্মিরা ওই বৃদ্ধর হাতে তুলে দেয় গরুটি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন,ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, উক্ত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, গণমাধ্যমকর্মীরাসহ এলাকা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    গরুটি পেয়ে আনন্দে বৃদ্ধ সইমুদ্দিন জানান, আমি ৩৫ বছর যাবত তেলের ব্যবসা করে আসছি।প্রায় ১৫ বছর আগে গরুটি মারা গেলে আর গরু কেনার পয়সা না জোটায় ২০ বছর থেকে নিজেই ঘানি টেনে তেল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি।৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে কলেজ পড়ুয়া অবিবাহিত এক মেয়ে রয়েছে বর্তমান তার তার সংসারে। অন্যান্য পাঁচ সন্তানের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা নিজ নিজ পরিবার নিয়েই ব্যস্ত।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/সুজন

  • আল্লাহর দান নামের ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা মিলছেনা,চিন্তিত খামারী(ডিভিসহ)

    আল্লাহর দান নামের ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা মিলছেনা,চিন্তিত খামারী(ডিভিসহ)

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় দীর্ঘ ৪ বছর নিজ সন্তানের মত লালন পালন করে শরিয়ত মোতাবেক কুরবানির উপযুক্ত হিসেবে প্রস্তুত করা প্রায় ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা না পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন সুলতান নামে এক ক্ষুদ্র খামারী।

    সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুঠিরডাঙ্গা এলাকার আব্দুল রউফের পুত্র ক্ষুদ্র খামারী শাহাসুলতান ও তার স্ত্রী কুরবানী দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রি করার উদ্যেশ্যে অনেক আশা নিয়ে ফিজিয়ান জাতের এক ষাড় গরুকে দীর্ঘ ৪ বছর লালন-পালন করে বড় করেছেন। অনেক আদর করে তারা গরুটির নাম রেখেছেন আল্লাহর দান।৫ ফিট উচ্চতা ও ৯ ফিট দৈর্ঘ্যতার সাদা-কালো রঙ্গের ২ শিং এবং ৬ দাতের গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২০ মণ। যার বাজার মুল্য দাবি করেছেন খামারী ৬ লাখ টাকা।

    গরুটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়তই খামারীর বাড়িতে ভিড় করে থাকেন। তবে আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি তিনি বিক্রি করতে চাইলেও বর্তমান দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রেতা সঙ্ককের কারনে গরুর মালিক সুলতান পড়েছেন ভিষন দুঃচিন্তায়।

    গরুর মালিক শাহাসুলতান বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর যাবত গরুটিকে অনেক আশা নিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছি। গরুটি আমি কুরবানি দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রির করব বলে অনেক অর্থনৈতিক সমস্যাতেও তা অন্যকারো নিকট বিক্রি করিনি। গরুটি ৪ বছর লালন-পালন করতে গিয়ে আমি অনেক ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।গরুটির মুল্য আমি ৬ লাখ টাকা আশা করলেও যে কোনো ব্যক্তি আলোচনা সাপেক্ষে ক্রয় করতে পারবেন।

    তিনি আরও বলেন, আমার মত ক্ষুদ্র খামারীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিল তিল করে সন্তানের মতই লালন-পালন করে গরু বড় করে থাকেন সমাজের বিত্তবানরা ন্যায্য মুল্য দিয়ে তা কুরবানির উদ্যেশ্যে ক্রয় করবেন বলেই। দেশের যে কোনো প্রান্তের ও প্রবাসী ব্যক্তিরা আমার রোগ-বালাই মুক্ত গরুটি ক্রয় করতে চাইলে সরাসরি আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে(০১৭৪৫০৮১৫১২)যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি আমি। এছাড়াও প্রয়োজনে গরুটি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেও যে কেউ দর করে তা ক্রয় করতে পারবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন