Tag: গাঁজা

  • গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

    গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

    অবশেষে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজা উপত্যকায়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এসব তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদের একসঙ্গে রাখা হবে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চার দিনের মধ্যে ৫০ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

    কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যেভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত মিশর ও দোহায় উপস্থিত পক্ষগুলোর সঙ্গে সেভাবেই সমন্বয় করা হয়েছে। সভাগুলো খুব ভালো ও ইতিবাচক পরিবেশে হয়েছিল।

    তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ফলটি ছিল চুক্তি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অংশ। আমরা সবসময় বলেছি— এমন কিছু হওয়া দরকার, যা কংক্রিট এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে প্রস্তুত।

    মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। বিকাল ৪টায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে প্রথমে ১৩ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

    গাজা থেকে বন্দিদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাজেদের কাছে। কিন্তু ‘নিরাপত্তার কারণে’ তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন কক্ষের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব।

    যারা ইসরাইলি নন, সেসব বন্দিকে মুক্তির বিষয়ে এক উত্তরে তিনি বলেন, জিম্মিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মানদণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে মানবিক। আমাদের ফোকাস ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারী ও শিশুদের ক্ষতির পথ থেকে সরিয়ে আনা। আশা ছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা সবাইকে সময়মতো বের করে আনতে পারব। এবং মানবিক বিরতির মাধ্যমে গাজার মানুষের কষ্ট নিরসন হবে।

    আলজাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যে মানবিক সহায়তা এই চুক্তির ‘একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’। আমরা রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্য পাঠানোর আশা করছি। এটি গাজার প্রয়োজনের একটি ভগ্নাংশ মাত্র, তবে সেখানে প্রচুর সহায়তা দরকার।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই চুক্তিটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ করা।

    শুক্রবার কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে পারি যে চুক্তিটি পারস্পরিক। আমরা ইসরাইলি পক্ষ থেকেও মুক্তির আশা করছি। যখনই দুই পক্ষের তালিকা নিশ্চিত করা হবে, আমরা জিম্মিদের বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি। আমাদের দলগুলো দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

    যুদ্ধবিরতি ভাঙলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আল-আনসারী বলেন, চুক্তিটি চারদিনের মধ্যে শত্রুতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার বিষয়ে। সুতরাং স্পষ্টতই যে কোনো ধরনের শত্রুতা পুনরায় শুরু করার অর্থ চুক্তি লঙ্ঘন করা।

    গত বুধবার হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। চার দিনের এ বিরতিতে গাজায় অত্যাবশ্যকীয় মানবিক সাহায্য মোতায়েনও অন্তর্ভুক্ত। তবে চুক্তি হলেও ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।

  • গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ ও দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ ও দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতি ও অঞ্চলটিতে অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতির জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ভয়াবহ এই যুদ্ধ, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান।

    সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৬ নভেম্বর) জেদ্দার একটি হোটেলে ‘ইসলামে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান। ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি এবং সৌদি আরব সরকার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে আমার ভূমিকা অব্যাহত রাখব।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার নিন্দা করছি। গাজার এ নৃশংসতা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অমানবিক নির্যাতনের শিকার দুই লাখ নারীর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এ নৃশংস ঘটনাগুলো আমাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মা এবং নারী ও শিশুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘এটি মিয়ানমারের হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর নির্যাতনের দৃশ্যকেই ফুটিয়ে তোলে- যারা নৃশংসতার শিকার হলে ২০১৭ সালের আগস্টে আমাদের সীমান্তে আশ্রয় চেয়েছিল।’

    প্রধানমন্ত্রী মুসলিম নারীদের জন্য এক গুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শগুলো হলো-

    প্রথমত- ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সংঘাতের অবসান এবং সেখানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের-বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর অপরাধের বিচার।

    দ্বিতীয়ত- সব অপরাধ, সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়াকে ‘না’ বলুন।

    তৃতীয়ত- এসডিজি-৫ পূরণের লক্ষ্যে লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিন।

    চতুর্থত- মুসলিম নারীরা যেন ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে জনসমক্ষে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন-তা নিশ্চিত করুন।

    পঞ্চম- নারী ক্ষমতায়ন ও মূল স্রোতে নারীদের ভূমিকার উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ, বন্ধুপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রস্তুত।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওআইসি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এই বহুল প্রতীক্ষিত ইস্যুগুলোতে সংলাপ প্রত্যাশিত।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে এর সম্ভাবনা উপলব্ধি করে খুব তাড়াতাড়ি ওআইসি’র নারী উন্নয়ন সংস্থায় (ডব্লিউডিও) যোগ দেয়। ডব্লিউডিও এর যাত্রা শুরু করেছে এবং আমি আশা করি, ইসলামকে আরও ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আজকের চাহিদাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এ ম্যান্ডেটকে প্রসারিত করা যেতে পারে। আর তবেই আমরা একটি বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বপ্ন দেখতে পারি। আমি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাফল্য কামনা করছি।’

    শেখ হাসিনা এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসলামে নারীর মর্যাদা তুলে ধরার জন্য সৌদি আরব ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নারীমুক্তির জন্য সৌদি আরবের যুগান্তকারী উদ্যোগগুলোকে আগ্রহের সঙ্গেই লক্ষ্য করি। আমি মহামান্য বাদশাহ ও হিজ রয়েল হাইনেস যুবরাজের এই রূপান্তরমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করি।’

    ইসলামকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লামের আহ্বানে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ছিলেন একজন নারী-বিবি খাদিজা।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীর অধিকার ও লিঙ্গ সমতা রক্ষায় তাদের গর্বিত ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলাদেশের রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মতো পথপ্রদর্শক আছেন, যিনি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত তার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইতে নারী নেতৃত্বাধীন বিশ্বের কল্পনা করেছিলেন। ইংরেজিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর, অর্ধেক তা করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমমর্যাদা নিশ্চিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি সংরক্ষিত আসনের বিধান করেছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মেয়ে হিসেবে তিনি নারী ক্ষমতায়নের এ কাজটি অব্যাহত রেখেছেন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০টিতে উন্নীত করেছেন। আমাদের জাতীয় সংসদে এখন ৭৩ নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘যতবার আমি দায়িত্বে এসেছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের উন্নীত করার জন্য সব বাধা দূর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য সংস্থায় আমাদের নারীদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হতে দেখে আমি গর্বিত বোধ করি।’

  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৮ হাজার, অর্ধেকই শিশু

    গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৮ হাজার, অর্ধেকই শিশু

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির অর্ধেকই শিশু। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি।

    টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অবিরাম এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। রোববার (২৯ অক্টোবর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে বলে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বোমা হামলার ফলে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার অর্ধেকই শিশু।’

    অন্যদিকে গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে আল হাদাথ টিভি চ্যানেল বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে প্রায় সর্বশেষ আপডেটে ৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল।

    এছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ভূখণ্ডটিতে আহত মানুষের সংখ্যা ১৯ হাজার ছুঁয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

    হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া আরও ২২৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

    হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেও গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

    এই ঘটনার জের ধরে গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

    একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।

  • গাজায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, যুদ্ধবিরতি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

    গাজায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, যুদ্ধবিরতি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনীত প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে বাস্তবায়িত করার জন্য সংলাপ ও আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    জাতিসংঘের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ দিবসের প্রাক্কালে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যসহ এর বেশিরভাগ স্বাক্ষরকারীর দ্বারা প্রতিষ্ঠার নথি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনে অস্তিত্ব লাভ করে।

    শেখ হাসিনা বলেন, মানবাধিকারের সমস্ত মৌলিক নীতিমালা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং যুদ্ধের সাধারণ নিয়ম লঙ্ঘন করে গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের চলমান হামলা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ এবং এর বিশেষায়িত সংস্থাগুলো বহু ফ্রন্টে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, যেমন উপনিবেশ রহিতকরণ, শান্তিরক্ষা, মানবিক কার্যক্রম, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, এমডিজি এবং চলমান এসডিজি অর্জন, মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী প্রভাব মোকাবেলা।

    শেখ হাসিনা বলেন, তবে, বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে যেমন বিশ্বের অনেক জায়গায় আমরা সশস্ত্র সংঘাত প্রত্যক্ষ করছি এবং সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছি, তেমনিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসানেও বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি বলেন, জাতিসংঘের ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে, আমি জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পারিক আস্থা ও বৈশ্বিক সংহতি গড়ে তোলা এবং শান্তি, নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির লক্ষ্যে বহুপাক্ষিকতাকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।

    ‘শান্তির সংস্কৃতি’র প্রবক্তা হিসেবে, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং অপর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ বজায় রাখি।

    একইভাবে শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখার স্বার্থে মিয়ানমারের নৃশংসতা থেকে পালিয়ে আসা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের দশ লাখেরও বেশি নাগরিককে বাংলাদেশ অস্থায়িভাবে আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপর থেকে রোহিঙ্গা সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে আমরা দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতি অব্যাহত রেখেছি।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তিমুখী পররাষ্ট্রনীতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতিসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, উন্নয়ন ও সহযোগিতার সাথে আমাদের সম্পৃক্ততাকে মূল নীতি হিসেবে অনুসরণ করে যাচ্ছি।

    সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সকল অংশীজনের সাথে অংশীদারিত্বে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি-প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অত্যন্ত মূল্যবান কাজের অগ্রভাগে রয়েছি এবং থাকব।

    বহুপাক্ষিকতার দঢ় সমর্থক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘের সাথে থাকবো। বৈশ্বিক সুশাসনের প্রতীকের আসনে বসিয়ে আমরা জাতিসংঘকে দেখতে চাই, যা আমাদেরকে সামনে থেকে প্রেরণা দিবে বস্তুনিষ্ঠ ও নিমোহভাবে গোঠা বিশ্বেও প্রত্যাশা পূরণে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ গড়তে এই উপলক্ষ্যকে ব্যবহার করি।

  • গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

    এ হাসপাতালটিতে হাজার হাজার লোক চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারী বোমা হামলা থেকে বাঁচতে।

    প্রাথমিকভাবে যেটা জানা যাচ্ছে তা হচ্ছে গাজা ভূখন্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ব্যাপটিস্ট হসপিটালে এই ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের তাজা রক্ত পড়ে আছে।

    গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

    বিবিসির সংবাদদাতা টম বেটম্যান আল আহলি আরব হাসপাতালে পৌঁছিয়েছেন। তিনি জানান, চার দিকে রক্তাক্ত, নিস্তব্ধ মানুষগুলো পড়ে আছেন। বিদ্যুৎ নেই, তাই অন্ধকারের মধ্যেই তাদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    হাসপাতালের বাইরে লাশ পড়ে আছে, বিধ্বস্ত গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন বিবিসি সংবাদদাতা।

    কিছু ভিডিও বিবিসির কাছে এসেছে, যেগুলো যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটা বিরাট বিস্ফোরণ হচ্ছে।

    স্থানীয়রা বলেছেন, হাসপাতালের একটা বড় হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক শ’ মানুষ।

    অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক শ’ মানুষ ধ্বংস্তূপে আটকিয়ে পড়েছেন।

    এ ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ-এর (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

    ইরান, তুরস্ক, কাতার, মিশর এবং জর্ডান আল-আহলি আল-আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা করেছে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার নৃশংস কাজ বলে নিন্দা করেছেন।

    এর আগে জানা যায় যে গাজার একটি বিদ্যালয়ের ওপরেও ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়। জাতিসংঘ বলেছে, ওই হামলায় অন্তত ছয়জন মারা গেছেন যারা ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বিমান হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।

    এ বিষয়ে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’ থেকে তামারা আল-রিফাই বলেছেন, ওই এলাকায় সরাসরি বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। অথচ এটা ছিল একটি শরণার্থী কেন্দ্র। এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অত্যন্ত দুঃখজনক লঙ্ঘন।’

    অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলে ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।

    এদিকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা বলেছে, গাজায় মৃতদেহ রাখার জন্য পর্যাপ্ত বডি-ব্যাগ নেই।

    এর আগে সোমবার ইসরায়েলি ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল যে সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি হবে। সেই সময় গাজা থেকে বিদেশিরা মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বের হতে পারবেন এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছতে পারবে। তবে খবর প্রকাশের পর এমন তথ্য অস্বীকার করে ইসরায়েল।

    চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।

    ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের কারণে হাসপাতালগুলোতে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি মজুত আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্ব সংস্থাটির মানবিক দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘জেনারটরের ব্যাপকআপ না থাকায় হাজার হাজার রোগীর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।’

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় সুপেয় পানি ও ত্রাণ সরবরাহ পাঠানোর সুযোগ করে দিতে এর আগে অনুরোধ জানিয়েছিল একাধিক ত্রাণ সংস্থা।

  • গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    ইসরায়েল গাজা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে উপত্যকার একটি অংশ বড় আবারও দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

    তবে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ইসরায়েল যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলবে।

    এসময় গাজায় খাদ্য-পানিসহ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং বিপদগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

    সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, হামাস ‘সব ফিলিস্তিনি জনগণের’ প্রতিনিধিত্ব করে এবং তিনি এই গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল দেখতে চান।

    গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। আহত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

    আর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭০ জনে। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

    গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

  • গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল

    গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল

    ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের ছত্রছায়ায় স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের ‘নির্মূল’ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।

    শুক্রবার ইসরাইলের সেনাদের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাংক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। একে প্রতিশোধ অভিযানের শুরু বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। খবর রয়টার্সের।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারি বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।

    গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাংশের ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরে যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইসরাইল। সেসঙ্গে সীমান্তে ট্যাংকের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ করা হচ্ছিল।

    ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।

    ইসরাইলের এ ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথাও তারা বলে। মসজিদের মাইক থেকেও স্থানীয়দের যার যার বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়।

    এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরাইলের ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। না হলে ভয়ঙ্কর মানবিক সঙ্কট তৈরি হবে বলেও সতর্ক করা হয়।

    কিন্তু ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি পরে বলেন, তাদের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের সহায়তা নিয়ে গাজার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি রকেট হামলাকারীদের ‘নির্মূল’ করার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে তারা।

  • ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল

    ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল

    ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের ওয়াদি গাজার উত্তরে বসবাসরত ১১ লাখ মানুষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তর করতে বলেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।

    জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েল যতসংখ্যক মানুষকে সরানোর কথা বলেছে, সে সংখ্যাটি গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

    বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় গাজার বাসিন্দাদের সরানোর এ বার্তা দেয় ইসরায়েল।

    এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ছাড়া এ ধরনের স্থানান্তর অসম্ভব বলে মনে করে জাতিসংঘ।’

    গাজা থেকে ইসরায়েলে ঢুকে ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটি গাজা সীমান্তের কাছে বিপুলসংখ্যক সেনা, ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও কামান মোতায়েন করেছে।

  • চট্টগ্রামে গাঁজাসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

    চট্টগ্রামে গাঁজাসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এক ভারতীয় নাগরিকসহ সাতজনকে আটক করেছে র‍্যাব। সোমবার ২২ মে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন- রাকেশ শীল ওরফে মোহাম্মদ হোছাইন (৩৫), আলী হোসেন ওরফে খোরশেদ (২৭), আমান উল্লাহ (২৬), মো. ইদ্রিস (৩৮), আব্দুর জব্বার (৩৮), নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) ও মনির উদ্দিন (৩৫)।

    মঙ্গলবার (২৩ মে) র‍্যাব জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রাকেশ ভারতীয় নাগরিক। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে আসেন। এখানে এসে প্রথমে তিনি নোয়াখালী ও পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় সেলুনে কাজ করতেন। পরে বন্দরটিলা এলাকায় গাড়ির হেলপারের কাজ নেন তিনি এবং লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের এক নারীকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজ তৈরি করে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন।

    গত ১০ বছর ধরে রাকেশ পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল সলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকায় বসবাস করে আসছেন। রাকেশ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মূলত হোছাইন নামে পরিচিত। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার সঙ্গে ভারতীয় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে নগরের চাঁন্দগাও থানার মোহরা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজে জনবল নিয়োগ দিয়ে মাদক ব্যবসা চালু করেন।

    চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, রাকেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদক মামলা পাওয়া গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটক সাতজনকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

     

  • গাঁজা দিয়ে চকলেট-কেক-মিল্কশেক তৈরি, গুলশানে তরুণীসহ আটক ৩

    গাঁজা দিয়ে চকলেট-কেক-মিল্কশেক তৈরি, গুলশানে তরুণীসহ আটক ৩

    গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি হতো কেক, চকলেট, মিল্কশেক ও বিভিন্ন খাবার তৈরির উপকরণ। পরে সেগুলো বিক্রি করা হলো অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে। পৌঁছে দেওয়াও হতো ক্রেতার ঠিকানায়। রাজধানীতে এমনই চক্রের এক তরুণীসহ তিনজনকে বিশেষ অভিযানে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ। আটকদের মধ্যে দুই যুবক রয়েছেন।

    রোববার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে প্রথমে গুলশানের ৬ নম্বর রোড থেকে মোটরসাইকেলযোগে ডেলিভারিম্যান এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা থেকে চক্রের অন্য এক তরুণী ও এক যুবককে আটক করা হয়। আটককালে গাঁজার তৈরি বিভিন্ন খাবারসহ নানা উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

    আটকরা হলেন- রাজধানীর দক্ষিণখান মিয়া পাড়ার জুবায়ের হোসেন (২৪), উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের অনুভব খান রিবু (২৩) ও উত্তরার সি ব্লকের দুই নম্বরে রোডের বাসিন্দা নাফিজা নাজা (২২)।

    তাদের কাছ থেকে ৯০০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি ছয় কেজি ১০০ গ্রাম বিভিন্ন খাবার (চকলেট, কেক, মিল্কশেক), খাবার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ, একটি প্রো ম্যাক্স-১১ আইফোনসহ দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

    সোমবার (৩০ মে) দুপুরে গুলশান থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো.আসাদুজ্জামান।

    তিনি বলেন, গোপন খবরে গুলশান থানা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক দল ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা যুবককে (জুবায়ের) আটক করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানান, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মাদক দিয়ে তৈরি এসব খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল।

    পরে তার দেওয়া তথ্যে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের আট নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ গাঁজার নির্যাস দিয়ে বানানো বিভিন্ন খাবার উপকরণ জব্দ এবং চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।

    আটকরা জানিয়েছেন, তারা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কানাডিয়ান ও আফ্রিকান মাদক কারবারিদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট ও মিল্কশেক তৈরি করে আসছিল। এক কেজি গাঁজার চকলেট তৈরিতে পাঁচ কেজি গাঁজার নির্যাস প্রয়োজন হয় বলেও জানান তারা।

    আটকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মামলার পর তাদের আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান।

  • সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে র‌্যাবের আভিযানে ৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে র‌্যাবের আভিযানে ৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে ৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

    উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।আটককৃত আসামীরা উভয়ই কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন উত্তর সুনাইচা এলাকার মোঃ আবুল কালামের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২) এবং নজির আহাম্মদের ছেলে মোঃ রাজু মিয়া (২২)।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাশকুর রহমান জানান, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন উত্তর ছলিমপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামগামী ‘‘তিশা এক্সক্লুসিভ” এর একটি বাস তল্লাশি চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে নিজ দখলে থাকা দুইটি ব্যাগের ভিতর সু-কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

    আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে আসছে। আটককৃতদের সীতাকুন্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ ৩ জন আটক,কার জব্দ

    সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ ৩ জন আটক,কার জব্দ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:::সীতাকুণ্ডের মাদামবিবিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩২৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে চট্টগ্রাম র‍্যাব-৭।

    এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।

    সোমবার (৩ মে) রাত পৌনে ১০ টার সময় উপজেলার মাদামবিবির হাট নামক স্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব
    পার্শ্বে মেসার্স মিতালী আয়রণ মার্ট নামক একটি দোকানের সামনের থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

    র‍্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে জানানো হয়, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম হতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৯-১৮৬৬) যোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। এমন গোপন সংবাদের মাধ্যমে ভিত্তিতে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশী করলে এ সময় র‍্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‍্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি চেকপোস্টের নিকটবর্তী এসে থেমে যায় এবং উক্ত প্রাইভেটকার হতে ড্রাইভারসহ ৩ জন ব্যক্তি বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করে।

    আটককৃতরা হচ্ছে কুমিল্লার  মোঃ আবুল কালাম (২৫), মাটিরাঙ্গার মোঃ ইদ্রিছ মিয়া (৩৫) এবং কুমিল্লার সুজন (২০)।

    আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে প্রাইভেটকারটি তল্লাসী করে পিছনের বনেট এর ভিতর সুকৌশলে রক্ষিত অবস্থায় ৩২৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে আসছে।

    উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত প্রাইভেটকারের
    আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ
    ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু