Tag: গাইবান্ধা

  • গাইবান্ধায় পিকআপের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৪

    গাইবান্ধায় পিকআপের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৪

    গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের মাটেরহাট সাকোয়া এলাকায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাট দুর্গাপুর গ্রামের ছালাম মিয়ার ছেলে শামীম (৩০), জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি এলাকার কালাম সরকারের মেয়ে শিমু সরকার (২৪), শাকিল মিয়া (৩৫) ও অটোরিকশাচালক।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানিয়েছেন, নিহত তিনজন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। মরদেহ এখন থানায় আছে। তাদের স্বজনরা এখনো থানায় আসেনি।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি গাইবান্ধা থেকে পলাশবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথে ডাকঘর-মাঝিপাড়া সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় এলে গাইবান্ধাগামী শানেখোদা পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন অটোরিকশা যাত্রী নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চালকের মৃত্যু হয়।

    ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসি দিবাকর অধিকারী। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহত শাকিলের ঠিকানা ও অটোরিকশা চালকের নাম জানা যায়নি।

     

  • গাইবান্ধায় ট্রাক উল্টে নিহত ১৩

    গাইবান্ধায় ট্রাক উল্টে নিহত ১৩

    গাইবান্ধার পালাশবাড়ীতে রডবোঝাই ট্রাক উল্টে ১৩জন নিহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুর সকালের দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের উপজেলার জুনদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    পালাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    জানা যায়, রডবোঝাই একটি ট্রাকে করে ১৩ যাত্রী ঢাকা থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলো। পথে জুনদহ এলাকায় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় রডের নিচে চাপা পড়ে ১৩ যাত্রী নিহত হন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাদুল্লাপুর লকডাউন হয়নি: গাইবান্ধার ডিসি

    সাদুল্লাপুর লকডাউন হয়নি: গাইবান্ধার ডিসি

    গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ‘লকডাউন’ করা হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।

    রোববার বিকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাদুল্লাপুর লকডাউন করা হয়নি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

    এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাকে ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের ওই সিদ্ধান্তের পর জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।

    উপজেলা প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন হয়েছে। উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাপুর গ্রামের জনৈক শচিন্দ্র নাথ মণ্ডলের ছেলে কাজল মণ্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দুইজন আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ লোক উপস্থিত ছিলেন।

    এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ২১ মার্চ গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া লোকজন ভোট প্রদান করেছেন মর্মে জানা যায়। এ অবস্থায় ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রামণ ঘটতে পারে মর্মে আশু সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অত্র উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে সাদুল্লাপুর উপজেলাকে ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন

    সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন

    গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর এ লকডাউনের ঘোষণা দিল সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসন।

    রোববার (২২ মাূচ) বিকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

    সাদুল্যাপুর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৯নং বনগ্রাম ইউনিয়নের হাবিবুল্লাপুর গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন করোনায় আক্রান্ত দুই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। রোববার তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু বিয়ে অনুষ্ঠানে সাদুল্লাপুর উপজেলার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পুরো উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হল। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না।

    রোববার বিকালে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বাংলাদেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন তিনজন আক্রান্তের মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার দুজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপরই বিকেল থেকে সাদুল্যাপুর উপজেলা লকডাউন করা হয়।

    এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লকডাউন করা হয়। উপজেলার ওষুধ, কাঁচামাল, মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।

    এদিকে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে বিশেষ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হবে, সেসব এলাকায় লকডাউন করা হবে।

  • এমপি লিটন হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি

    এমপি লিটন হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি

    গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানসহ ৭ আসামির প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এ রায় দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এমপি লিটন হত্যায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে ছিলেন। অপর আসামি চন্দন কুমার রায় ভারতে পলাতক।

    এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ৮ জনকে। এদের মধ্যে সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তাই মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

    এর আগে ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন।

    এই মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানকে একই ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলার রায়ে গত ১১ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এই বিচারক। এছাড়া অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

    আলোচিত এ মামলার ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চলতি বছরের ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালতের বিচারক।

    ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

    এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।

    তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

    ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

  • গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

    গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

    মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার রঞ্জু মিয়াসহ ৫ রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) পলাতক রয়েছেন। এ চারজনকে গ্রেফতারের পর তাদের সাজা কার্যকর হবে। অপর আসামি মো. আজগর হোসেন খান (৬৬) মারা গেছেন।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় রাজাকার মো. রঞ্জু মিয়া ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

    গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৪ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল রায়ের আজকের দিন ধার্য করেন।

    ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।

    আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।