Tag: গাউসিয়া কমিটি

  • করোনাকালের অভিজ্ঞতায় বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে হতাহতদের পাশে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশঃ মুহাম্মদ মহসিন

    করোনাকালের অভিজ্ঞতায় বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে হতাহতদের পাশে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশঃ মুহাম্মদ মহসিন

    ভয়াবহভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় আবারো নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে মানবিক সেবায় শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলো দেশের অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। গাউসিয়া কমিটি’র জানবাজ কর্মীরা।

    গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীস্থ বিএম কন্টেইনার ডিপোর কেমিক্যাল বিস্ফোরণে হতাহত দগ্ধ শত শত মানুষকে উদ্ধার করে ৫টি এম্বুল্যান্স’র মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    গাউসিয়া কমিটির সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও এ সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে গতকাল চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ, ডাক্তার সহ হাসপাতাল প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় করেন দেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি ও আধ্যাত্মিক সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র অংগসংঠন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন।

    চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উত্তর পার্শ্বে অস্থায়ী ভাবে স্থাপিত মানবিক সেবা কেন্দ্রে আসলে তাকে স্বাগত জানান গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র যুগ্ম-মহাসচিব ও মানবিক সেবা কর্মসূচি প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন আনজুমান ট্রাস্ট সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ হোসেন খোকন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র মানবিক সেবা কর্মসূচির সদস্য আলহাজ্ব আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, মুহাম্মদ এরশাদ খতিবী, চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মুনির উদ্দিন সোহেল, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।

    তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ, ডাক্তার সহ হাসপাতাল প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি বার্ণ ইউনিট পরিদর্শন, আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর ও অনুদান প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতার অব্যাহত রাখতে গাউসিয়া কমিটির দায়িত্বরতদের নির্দেশ দেন এবং তাদের আশু রোগ মুক্তির জন্যে দোয়া মুনাজাত করেন।

    মতবিনিময় কালে তিনি সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে সিরিকোট শরীফ দরবারে আলীয়া কাদেরিয়ার সাজ্জাদানশীন হুজুর কিবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ ও পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ মুদ্দাযিল্লুহুমাল আলীর পক্ষ থেকে সদয় দোয়া ও দেশের এ মহাদুর্যোগে করোনা মহামারীর মানবিক সেবার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হুজুর কিবলা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

    তিনি গাউসিয়া কমিটির সেবা কর্মসূচিতে যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানান।

  • গাউসিয়া কমিটি ঘোর তিমিরে আলোর মিনার

    গাউসিয়া কমিটি ঘোর তিমিরে আলোর মিনার

    এম সাইফুল ইসলাম নেজামী আলকাদেরীঃ হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ (রহ.), এই ক্রিয়াশীল মোবারকময় নামটি আত্মার প্রশান্তি। হৃদয়ের শিহরণ। প্রেমের ঝর্ণাধারা। যে প্রেমের মেলবন্ধন সুদূর বাগদাদ হয়ে ঈমানের বাড়ি মদিনা। গাউসে জামান তৈয়্যব শাহ আশেক ভক্তের শিরে তাজ। মানব দরদী, মানবতার পীর, হুজুর গাউসে জামান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মাদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র অনন্য অবদান বোদ্ধা মহলে সমাদৃত। অবশ্য এ মহান সংস্কারকের সম্মানিত পিতা শাহানশাহে সিরিকোট (রহ.)’র এহসানও অনস্বীকার্য।

    এশিয়া খ্যাত আধুনিক দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও সেবা সংস্থা আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া হুজুর কুতুবুল আউলিয়া শাহানশাহে সিরিকোটের অমর কীর্তি। যেগুলো আজ শান্তিকামী মুসলমানদের রাজমুকুট। প্রেরণার আধার, প্রত্যাশার বাতিঘর হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র এক একটি মহান সংস্কার, এক একটি নিদিষ্ট দল বা সম্প্রাদায়ের জন্য ছিল। যেমন ইলমে দ্বীনের (মাদরাসা) সংস্কার আলেম ও ছাত্রদের জন্য। জশনে জুলুছ সুন্নি জনতার জন্য প্রধান প্রাণের উৎস। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সংস্কারগুলো মুসলমানদের জন্যই। এভাবে প্রত্যেকটা অবদান।

    এ মহান মুজাদ্দিদের একটি অনন্য তাজদিদ (সংস্কার) সারা সৃষ্টি জাহানের জন্য। যা প্রমানিত হয়েছে ২০২০ সালের অন্ধকারাচ্ছন্ন করোনাকালিন। আর তা হলো মানবতার সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। প্রতিদিন সূর্যের উদয়াস্ত হয়। কিন্তু ১৯৮৬ সালে হুজুর কেবলার নির্দেশে বাংলার আকাশে যে নতুন সূর্যের উদয় হয়েছিল, ইনশাআল্লাহ তাঁর সূর্যাস্ত হবে না কেয়ামততক। সে দীপ্তিময় সূর্যের নাম হলো গাউসিয়া কমিটি। পবিত্র কুরআনের সুমহান নির্দেশ “সত্যবাদীদের সাথী হও” শ্লোগানকে সামনে রেখে এ সত্যান্বেষী জান্নাতি কাফেলার পথচলা শুরু। অবশ্য এ মাদানি কাফেলার গোড়াপত্তন আরও বহুদিন আগে। বলাচলে দূর আরবে মরুর দুলাল প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) প্রতিষ্ঠিত হিলফুল ফুজুলের ছায়াসংগঠন গাউসিয়া কমিটি। ফিলফুল ফুজুল প্রতিষ্ঠা করেন প্রিয় রাসূল (দ.) আর গাউসিয়া কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন আউলাদে রাসূল (দ.)। তাই উভয় সংগঠনের কার্যক্রমে আছে সুনিপুণ মিল। আরবের বিখ্যাত ওকাজ মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে কুরাইশ ও হাওয়াজিন গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচ বছর চলতে থাকা এই যুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটে। এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থেকে ফিরিয়ে সকলের মাঝে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিশ্চিতে সমমনা যুবকদের নিয়ে কুরাইশ কর্তৃক আল আমীন খেতাবপ্রাপ্ত হযরত মুহাম্মদ (দ.) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এ শান্তিসংঘ। যে সংগঠন অন্ধকারাচ্ছন্ন আরব সমাজে জ্যোতি ছড়িয়েছে।

    আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ওমা আরসালনাকা ইল্লা রহমাতাল্লিল আলামিন। অর্থ: আর অবশ্যই আমি আপনাকে বিশ্বমানবতার জন্য রহমত করে পাঠিয়েছি।” হুজুরের সারাজীবন ছিল এ আয়াতের পূর্ণ প্রতিফলন। সামাজিক ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ বন্ধ করে সম্প্রীতি গড়া, নিঃস্ব, বিধবা ও অভাবীদের পাশে দাঁড়ানো, বিদেশি বণিকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, সব ধরনের অন্যায় ও অবিচারের অবসান ঘটিয়ে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা এবং সর্বোপরি গোত্র, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবতার কল্যাণে কাজ করাই ছিল হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য। প্রিয় রাসূলের হিলফুল ফুজুল আর আউলাদে রাসূলের গাউসিয়া কমিটি।

    প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎ কল্যাণমূলক কাজগুলো নিয়ে গবেষণা করলে যেকোনো বিদগ্ধজনের কাছে গাউসিয়া কমিটি নিঃসন্দেহে হিলফুল ফুজুলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মনে হবেই। তরিকত জগতের আফতাব গাউসিয়া কমিটি এখন মানবতার আকাশে ধ্রুবতারা। মানবতার পরম বন্ধু হুজুর গাউসে জামান তৈয়্যব শাহ (রহ.) প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি শুরুতে মসজিদ, মাদরাসা, খানেকা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থেকে মানুষকে সিরাতুল মুস্তাকিম তথা সহজ সরল পথ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের দিকে আহবান করেছেন। কুপথে চলা পথিককে দিয়েছেন সৎপথের সন্ধান। নিশ্চিত জাহান্নামিকে দেখিয়েছেন জান্নাতের স্বপ্ন। চট্টগ্রাম থেকে প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আজ শুধু চট্টগ্রাম কিংবা বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নেই। পাকিস্তানের হরিপুর থেকে বিচ্ছুরিত নূর আজ নিখিল দুনিয়াকে মুনাওয়ার করেছে।

    চট্টগ্রামের গাউসিয়া কমিটি আজ সারা পৃথিবীতে বিস্তৃত। আধ্যাত্মিক সংগঠনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হওয়া গাউসিয়া কমিটি বর্তমানে আষ্টেপৃষ্ঠে একটি মানবতার সেবায় সেচ্ছাসেবী সংগঠনে রূপ নিয়েছে। যা পৃথিবীবাসীর জন্য সুখবর। নিজের মেয়ে বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পিতার হলেও, পিতা-মাতা কিংবা বড় ভাইয়ের অপারগতায় এ দায়িত্ব কাধে তুলে নেন মানবিক গাউসিয়া কমিটি। গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁনোর দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। কিন্তু বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্ত নিঃশ্বাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা করছেন সচেতন গাউসিয়া কমিটি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা প্রদান। মুসলিম শিশুদের জন্য খৎনা কর্মসূচি। অসহায়ের মুখে অন্নদান। সমাজের কুপ্রথা, অপসংস্কৃতি, ধর্ষণ, মাদক, জোরজুলুম, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদসহ সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান। বেকারকে কর্মসংস্থান গড়ে দেওয়া গাউসিয়া কমিটির জনকল্যাণমুখী চলমান কর্মসূচির অন্যতম। গাউসিয়া কমিটির এসব কার্যক্রম ঐতিহাসিক হিলফুল ফুজুলের কার্যক্রমের সদৃশ।

    আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অঙ্গ সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ বর্তমানে মানবতার সংগঠন হিসেবেই সমধিক সমাদৃত। মানবতা শব্দটি যখন বইয়ের মলাটে আবদ্ধ। টকশোর টেবিলে সীমাবদ্ধ। কথিত মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্যের ভাষা মাত্র। মানবতা শব্দের যত্রতত্র ব্যাপারে বেচারা মানবতা শব্দটি নিজেই যখন অমানবিকতার জাতাকলে পিষ্ট ঠিক তখনই মানবতার বাস্তব সংজ্ঞা হয়ে ভিন্নরূপে আবির্ভাব হলো মানবতার বন্ধু গাউসিয়া কমিটির। সকলের জানা পৃথিবী নামক মানবগ্রহটি আজ বড় অন্ধকার সময় পার করছে। এ অন্ধকার রাতের গহিন কালোর চেয়েও ঢের কালো। চারদিকে বাজছে এক নিরব যুদ্ধের দামামা।

    যে যুদ্ধের নাম কোভিড-১৯ বা করোনা মহামারি। সে যুদ্ধ কোন দেশের সাথে দেশের নয়; বরং অদৃশ্য মরণঘাতী ভাইরাসের সাথে মানবসভ্যতার। বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষ ও মানবতা। আজ মানুষ যেন মানুষের বড় শত্রু। প্রেমালিঙ্গণ মানা। পাশে বসা নিষেধ। একে অন্যের স্পর্শ যেন বিষের চেয়েও বিষাক্ত। একের স্পর্শে অন্যের কাছে যাওয়া করোনা ভাইরাসের ভয়ে মুহূর্তেই সন্তান ভুলে যাচ্ছে পিতা-মাতার স্বর্গীয় সম্পর্ক। অসুস্থ আপনজন সঙ্গীহারা। অথচ প্রিয় নবীর সুন্নাত হলো অসুস্থ ব্যাক্তির সেবা করা। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারীর লাশ পড়ে আছে ঘরে বা বাড়ির আঙ্গিনায়, কেউ ছুঁয়েও দেখে না। দাফন-কাফন তো দূরের কথা। অসুস্থ বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে রাস্তার ধারে। করোনা উপসর্গ আছে বলে মাকে হাসপাতালের গেইটে ফেলে সন্তানের পালায়ন। স্ত্রীকে রেখে স্বামীর দৌড়! মানবতার আর্তনাদে আকাশ বাতাস বারি হয়ে আসছে। টকশোর টেবিল গরম করে এক কথিত মানবিক উপস্থাপিকার জোর দাবি করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের পুড়িয়ে ফেলা হোক!

    এমন ঘোষণা একজন প্রকৃত মানবিক মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করলো। এক মানবপ্রেমীর চোখের ঘুম কেড়ে নিল। কী করা যায় মানবতার জন্য, কী করা যায়; ভাবতে ভাবতে চিন্তার বন্দরে নোঙর করলো এক অসাধারণ কনসেপ্ট। আর তা হলো করোনায় মৃতের দাফন-কাফন ও সৎকার কার্যক্রম। এ দুঃসাধ্য কর্মযজ্ঞের সহজ স্বপ্নদ্রষ্টা আর কেউ নন, সিরিকোট বাগানের সুবাসিত ফুল, হোসাইনী আদর্শে অনুপ্রাণিত গাউসে পাকের সৈনিক, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, বরেণ্য গবেষক এডভোকেট সৈয়দ মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। যিনি মানবতার সংগঠন গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের সম্মানিত মুখপাত্র। সেদিন এ বিদগ্ধ সংগঠকের একটি ফেইসবুক স্টাটাস (করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন-কাফন করবে গাউসিয়া কমিটি) ক্ষোভ, ভয় ও শঙ্কিত আত্মায় প্রশান্তির সূর্যোদয় ঘটায়। সবাই নিজে নিজেকে অভয় দিতে শুরু করে। যাক সর্বহারাদের জন্য অন্তত গাউসিয়া কমিটি আছে। ঘোষণা মাত্রই কাজ শুরু। প্রথমে উপজেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে কাজ শুরু হলেও পরের চিত্র ভিন্ন।

    তখনও করোনা এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। কেউ কেউ বলছিল করোনা বাংলাদেশে আসবে না। আসলেও ভয়াবহ হবে না। কিন্তু দূরদর্শী গাউসিয়া কমিটির মানবিক টিম সেইদিন থেকে প্রস্তুত ছিল। ২০২০ সালের শুরুতে করোনা সংক্রমণ কম থাকলেও করোনা এখন ভয়ংকর থেকে ভয়ংকর। আজ পর্যন্ত এ করোয়ায় বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজার তাজাপ্রাণ ঝড়ে গেছে। সংক্রামণের কোন অন্ত নেই। প্রথমে শহরে করোনার বসবাস হলেও এখন করোনা বেশি গ্রামে। সারাবিশ্বে একটিই শ্লোগান ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন। প্রায় সকলেই যখন ঘরে তখন গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবা-রাত্রি বাইরে। সব চাকরিতে ছুটি আছে। আছে বিশ্রাম। কিন্তু এ মানবিক কাজে ঈদের দিনেও ছুটি নেই। নেই রাতেও বিশ্রাম। ছুটি কেউ দিচ্ছি না তা নয়; বরং বলা চলে এ মানবিক কর্মীরা ছুটি নিচ্ছে না! রমজানে সবাই যখন বাহারি ইফতারের পশরা সাজিয়ে বসে, ঠিক তখন গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা লাশ কিংবা অক্সিজেন নিয়ে ব্যস্ত। ইফতার হিসেবে সামান্য পানিতেই স্বাদ মেটাচ্ছিল। রোজামুখে সবাই যখন বিশ্রামে গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা তখন লকডাউনে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে সাহরি ও ইফতার সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছিল। ঈদুল ফিতরে সবাই যখন নিজের শপিংয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা নিজের শপিংয়ের টাকায় অভুক্তের মুখে অন্নদান করে হাসি ফুটাচ্ছিল। ঈদুল আযহায় যখন আমরা কুরবানি পশুর গোশতের ঝোলে পিঠা ভিজিয়ে অমৃতের স্বাদ নিয়েছিলাম, ঠিক তখন গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা মুমূর্ষুর মুখে অক্সিজেন সেবা দিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।

    এ সেবা কি শুধু মুসলমানদের জন্য? নারে ভাই, না। এ সেবা সব মানুষের জন্য। হোক না সে লাওয়ারিশ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। সকলের তরে গাউসিয়া কমিটির এহসান। গাউসিয়া কমিটির মানবসেবা বিধর্মীদের কাছেও শান্তির বার্তা দেয়। দিন-রাত বিনিময়হীন কর্মে ছুটে চলা। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাদল, আগুন-পানি কোন বাধায় তাঁদের এ অদম্য ছুটে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। যে করোনা রোগী ভয়ের কারণ, সে করোনা রোগীর সেবায় ব্যস্ত গাউসিয়া কমিটি। স্বজনের ফেলে দেওয়া ভালোবাসাগুলোকে খুড়িয়ে কাধে তুলে শেষ বিদায়ে উপযুক্ত মর্যাদা দিচ্ছে গাউসিয়া কমিটি। আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই, গাউসিয়া কমিটি তরিকত জগতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। হে আল্লাহ এ মানবিক মানুষগুলোকে নিরাপদে রাখুন। উত্তম প্রতিদান প্রদান করে সম্মানিত করুন উভয় জাহানে। সব চেয়ে বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো, করোনার ভয়ে আপনজন একে অন্যকে ফেলে চলে গেলেও; করোনা রোগীর সেবা ও দাফন-কাফন টিমের একজন মানবিক কর্মীও অদ্যাবধি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ।

    এ কাজে গাউসিয়া কমিটির চারটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি রয়েছে প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক। যে ফোন করছে রোগী বহনের জন্য। এম্বুলেন্স ছুটে চলছে সেদিকে। একটু নিঃশ্বাসের জন্য চারিদিকে হাহাকার। একটু অক্সিজেন হলে বেঁচে যায় তাজাপ্রাণ। বাঁচার শেষ অবলম্বন অক্সিজেন নিয়ে হাজির গাউসিয়া কমিটি। গভীর রাতেও রোগীর স্বজনের ফোনে বিরক্ত হন না মানবিক টিমের সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা এরশাদ খতিবী ও আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান। প্রতিদিন ২০ জন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফনের কাজ করতে হয় তাঁদের। শুধু মুসলিম নয় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সৎকারেও কোন গড়িমসি নেই। হ্যাঁ, এটাই প্রিয় নবীর দেখানো উত্তম পথ। এটাই মানবতা। হাসপাতাল যখন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তখনও গাউসিয়া কমিটি কাদাজল গায়ে মেখে দিয়ে যাচ্ছে সেবা। করে যাচ্ছে দাফন কাফন। এ মানবিক সংগঠনের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার ও মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদারের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, সর্বশেষ ২৬ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২ হাজার ৯৪২ জনসহ সারাদেশে ৩ হাজার ৫৯৯ জন মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেছে গাউসিয়া কমিটি।

    এদের মধ্যে ৩৭ জন হিন্দু, ৫ জন বৌদ্ধ, ১ জন মারমা, ১ জন খ্রিস্টানসহ মোট ৪৪ জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। এছাড়া ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ জন অজ্ঞাত লাশ এবং ৪ জন কারাবন্দি কয়েদির লাশ দাফন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত সংজ্ঞা উপস্থাপন করেন মানবিক গাউসিয়া কমিটি। এ পর্যন্ত ২১ হাজার ০৩৭ জন করোনা রোগীকে জরুরি অক্সিজেন সেবা দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৬৯ জনকে। প্রায় ১২০০০ জনকে দেওয়া হয়েছে ফ্রি চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ কোভিড-১৯ টেস্ট টিমের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অন্ধের যষ্টি গাউসিয়া কমিটি এ করোনাকালে প্রায় আড়াই লাখ পরিবারকে দিয়েছেন খাদ্য ও অর্থ সহায়তা। এছাড়াও সারাবিশ্বে বিস্তৃত গাউসিয়ার গর্বিত কর্মীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অগণিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও আজ গাউসিয়া কমিটির সামনে শ্রদ্ধাবনত। মসজিদ-মাদরাসা-খানেকা আর মুসলমানদের গাউসিয়া কমিটির মানবতার আলো আজ গীর্জা, মন্দির ও প্যাগোডায়। বিনাযুদ্ধে এ বিজয় সত্য দ্বীনের। এ বিজয় শান্তির ধর্ম ইসলামের। এ বিজয় সুফিবাদী মুসলমানদের।

    বিভিন্ন মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও ইসলামী সংগঠন মুহাম্মদ (দ.)’র রাজনৈতিক জীবন নিয়ে হাঁক ডাক দেখালেও মানবসেবা ও সামাজিক কাজে তাদের অনুপস্থিতি আমাদের আশাহত করে। পাশাপাশি মহানবী (দ.)’র আশেক পরিচয় দেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশাল বিশাল আয়োজন হলেও হুজুর পাকের দেখানো মানবসেবার আদর্শিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চোখে পড়ে না। অথচ মহানবী (দ)’র আদর্শের প্রতিফলন ছাড়া শান্তির কথা কল্পনাও করা যায় না। পবিত্র কুরআনের ভাষায়, “তোমাদের জন্য রাসূল (দ.)’র জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।” আরও এসেছে, “রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা বর্জন কর। আর আল্লাহকে ভয় কর। অপরাধীদের জন্য তিনি কঠোর শাস্তিদাতা।” তাই আসুন! আমরা নবীজির সাংগঠনিক সুন্নাতকে লালন করি। প্রিয় নবীর হিলফুল ফুজুলের অনুপ্রেরণায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজের মেধা-শ্রম ব্যয় করি। শেষ বিদায়ের সাথী গাউসিয়া কমিটির এ মানবিক কর্মযজ্ঞে নিজেকে সম্পৃক্ত করে গাউসে জামান তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র বেলায়তের খাতায় নাম লেখাই। তবেই ইসলাম স্বমহিমায় বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তবেই বুক চেতিয়ে বলা যাবে আমরাই শ্রেষ্ঠ নবীর গর্বিত উম্মত।

    লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক
    এম সাইফুল ইসলাম নেজামী আলকাদেরী
    প্রতিষ্ঠাতা: আলো একাডেমি, চট্টগ্রাম।

  • সীতাকুণ্ডে গাউসিয়া কমিটিকে এমপি দিদারের অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

    সীতাকুণ্ডে গাউসিয়া কমিটিকে এমপি দিদারের অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখাকে ৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম।

    সোমবার বিকালে গাউসিয়া কমিটির পক্ষে সিলিন্ডারগুলো গ্রহন করেন সংগঠনের সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ মুজিবউদ্দীন আলকাদেরী, দাওয়াতে খায়ের সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ্, মোঃ মামুনুর রশিদ, নুর উদ্দিন ও রমজান আলী রুবেল।

    সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দাফন, আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সহযোগীতার জন্য গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখা বিশেষ অবদান রাখায় তাদেরকে অভিনন্দন জানান।

    এছাড়া ভবিৎষতে যেকোন ধরণের মানবিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • সীতাকুণ্ডে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন বিষয়ে গাউসিয়া কমিটির মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ডে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন বিষয়ে গাউসিয়া কমিটির মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন এবং করোনাকালীন রোগীর সেবা বিষয়ে কার্যক্রম নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখা উক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

    আজ শনিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় কুমিরা কনভেনশন সেন্টারে মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব আলহাজ্ব এডভোকেট মুসাহেব উদ্দীন বকতিয়ার।

    এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অথিতি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাজুল ইসলাম নিজামী, সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, মোরশেদ হাসান চৌধুরী, আলহাজ্ব নাজীম উদ্দীন, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আজিজ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান হাব্বিব চৌধুরী হাসান, চাঁদগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুহাম্মদ কামাল, মাওলানা মুজিব উদ্দিন, মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা সিরাজ উদ দৌলা, ইঞ্জিনিয়ার রফিক, মুজিব উদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন,মুহাম্মদ সাখাওয়াত, মুহাম্মদ মুসলিম, শাহ মুহাম্মদ এমরান, মামুনুর রশিদ মামুন, নুর উদ্দিন, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন সোহেল, হাজ্বী আশরাফ, কামাল উদ্দিন চৌঃ, রমজান আলী রুবেলসহ গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

     

  • গাউসিয়া কমিটিকে এ্যাম্বুলেন্স দিলেন সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ

    গাউসিয়া কমিটিকে এ্যাম্বুলেন্স দিলেন সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ

    কামরুল ইসলাম দুলু:সীতাকুণ্ডে করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণকারী লাশ পরিবহন ও সাধারণ রোগী আনা-নেওয়ার জন্য গাউসিয়া কমিটিকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন উপজেলার ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আজিজ।

    আজ সোমবার (১৫ জুন) বিকালে পরিষদ কার্যলয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করা হয়।

    এছাড়াও লাশ দাফনে যাবতীয় খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

    উক্ত এ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ, ইউপি সচিব আল আমিন, ইউপি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইউসুফ, মোস্তাকিম, খোরশিদ আলম, নাছির উদ্দিন, রৌশন আরা বেগম, রাশেদা বেগম।

    গাউসিয়া কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, মুহাম্মদ মজিব উদ্দিন আল আল কাদেরী, ইঞ্জিঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আলাউদ্দিন, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, মামুনুর রশিদ মামুন, নুরউদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, খোরশেদ, মোঃ শাহজাহান প্রমুখ।

    দেশের মহামারীর এই দুঃসময়ে এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় গাউসিয়া কমিটি চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    এব্যাপারে সালাউদ্দিন আজিজ বলেন, দেশের এই করোনা মহামারীতে সকল বিত্তবানরা এগিয়ে আসা উচিত। করোনায় মৃত্যুবরণকারী লাশ দাফনের দায়িত্ব নিয় গাউসিয়া কমিটি একটি মহৎ উদ্যেগ নিয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স প্রদান ছাড়াও এই মহামারীতে যেকোন সাহায্য সহযোগীতা প্রদান আমার পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত, বৌদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার শেষকৃত্যে গাউসিয়া কমিটি

    মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত, বৌদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার শেষকৃত্যে গাউসিয়া কমিটি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার উত্তর পোমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি সুব্রত বিকাস বডুয়া (৬৭) জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মারা গেলে তাঁর গোসল ও শেষ কৃত্য সম্পন্ন করলেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা।

    আজ রোববার সকালে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও উত্তর জেলা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আহসান হাবিব চৌধুরীর নেতৃত্বে গাউসিয়া কমিটি রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সেচ্ছাসেবী টিম একাজে অংশ নেন।

    মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে তিনি গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টায় নগরীর একটি হাসপাতালে মারা যান। একই দিন রাতে তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর গোসল ও শেষ কৃত্যের কাজ করতে গাউসিয়া কমিটির সহযোগিতা চান পরিবার। সাড়া দেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা। পরে রোববার সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

    গাউসিয়া কমিটির একাজের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও উত্তর জেলা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ আহসান হাবিব চৌধুরী বলেন মুঠোফোনে পরিবারটির সহযোগিতার আবেদনের খবর পেয়ে রোববার সকাল ১০ টায় গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা লাশ অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে গোসল দেয়া ও শেষ কৃত্যের কাজ সম্পন্ন করেন।বৌদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার শেষকৃত্যে গাউসিয়া কমিটি

    এরমধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তিনি বলেন বৌদ্ধ ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ধর্ম গুরুরা তাঁদের সহযোগীতা করেন।

    মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার ছেলে তমাল বড়ুয়া বলেন শনিবার তাঁর বাবা নগরীর একটি হাসপাতালে শ্বাস কষ্ট নিয়ে মারা যান। এরপর রোববার সকালে লাশ গোসল ও শেষকৃত্য করেন গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরা। তাঁদের ধর্মীয় গুরুদের সহযোগীতা নিয়ে গাউসিয়া কমিটি শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন বলে জানান তিনি।

    গোসল ও শেষকৃত্যে অন্যান্যদের মধ্যে অংশনেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা গাউসিয়া কমিটির সাধারণ মাষ্টার জাফর, রাউজান ফকীর হাট গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, গহিরা ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, রাউজান দক্ষিণ হিংগলা তৈয়বীয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম সুমন, সিকদার ঘাঠা ইউনিট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম জব্বার ও মুক্তি যুদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডার সদস্য সচিব অর্জুন রড়ুয়া প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম উদ্দিন রানা/আর এস পি

  • করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন বিষয়ে ভাটিয়ারীতে গাউসিয়া কমিটির প্রশিক্ষণ

    করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন বিষয়ে ভাটিয়ারীতে গাউসিয়া কমিটির প্রশিক্ষণ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন,কাফন ও জানাজার বিষয়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড শাখার উদ্যেগে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার বিকালে উপজেলার বানুরবাজারস্থ খানকা শরীফে উক্ত প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড.মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড.মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন ৯ নংভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজীম উদ্দীন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • ফটিকছড়িতে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনে এগিয়ে এলেন গাউসিয়া কমিটি

    ফটিকছড়িতে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনে এগিয়ে এলেন গাউসিয়া কমিটি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়িতে জাফতনগর এলাকার মোহাম্মদ তকিরহাট প্রকাশ মাত্তির হাট সংলগ্ন মহসিন বাড়ি নিবাসী হুজুর কেবলার মুরিদ ফজল হক দীর্ঘ ৬/৭দিন জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা চলে আসছিল।

    আজ ১০ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পরও করোনা সন্দেহে তার গোসল ও কাফন-দাফনে অংশগ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে এলাকাবাসী।

    পরে পরিবারের পক্ষ থেকে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি দক্ষিণের সভাপতি ও করোনা আক্রান্ত মৃতদের দাফন-কাফনে বৃহত্তর ফটিকছড়ির দক্ষিণের সমন্বয় মাওলানা সরওয়ার আলম আল কাদেরী ও তকিরহাট ইউনিটের মুহাম্মদ নওশাদ এর সাথে যোগাযোগ করে।

    ফোন পেয়ে এ মহৎ কাজে এগিয়ে আসে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি দক্ষিণ উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবকরা। মৃতদেহ গোসল, দাফন-কাফনে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা সরওয়ার আলম আলকাদেরী, হাফেজ মুহিউদ্দীন,মুহাম্মদ নওশাদ, কাউছার ও ইউনুস প্রমূখ।

    উল্লেখ্য এর আগেও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি দক্ষিণ উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বখতপুর শান্তিরহাট সংলগ্ন মিয়া বাড়ি নিবাসী কাতার প্রবাসী মুহাম্মদ তৌহিদুল আলমের গোসল, দাফন-কাফন সুসম্পন্ন করেছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ফটিকছড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর গাউছিয়া হক কমিটির এাণ সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন

    ফটিকছড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর গাউছিয়া হক কমিটির এাণ সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন

    দরবারে গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী (ক:) সাজ্জাদানাশীন রাহবারে আলম শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী(ক:)’র নির্দশনা মোতাবেক দক্ষিণ ধর্মপুর মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, দক্ষিণ ধর্মপুর শাখার ব্যবস্থাপনায়, মহান ২২ চৈত্র গাউসুল আজম বিল বেরাসত ইউসুফে সানী শাহসূফি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র বার্ষিক ওরশ শরীফের হাদিয়া স্থানীয় দূর্যোগ প্রশমনে এলাকার
    অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে (চাল,ডাল,ময়দা তৈল,আলু,লবন পিয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়ছে।

    শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বাদে মাগরিব মুহাম্মদ মজাহারুল ইসলাম রিয়াদের পরিচালনায় ও শাখার সভাপতি ব্যাংকার জাহেদুল আলম জাহেদের সভাপতিত্বে এান বিতরণে উপস্তিত ছিলেন শাখার প্রধান উপদেষ্টা জনাব ফজল করিম  মৌলনা কুতুব উদ্দীন রেজভী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মৌলনা শহিদ আযম, মৌলনা ইকবাল শায়ের, সৈয়দ জিয়াউদ্দীন ইব্রাহিম হোসেন ও মুহাম্মদ রিয়াজ প্রমুখ।

    মিলাদ কিয়াম ও করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও প্রবাসীদের রোগ মুক্তি কামনা করে মোনাজাত করেন দক্ষিণ ধর্মপুর শাহী জামে মসজিদে পেশ ইমাম মৌলনা আব্দুল মন্নান আনছারি।

    পরে এলাকার ২৯টি গরিব অসহায় পরিবারদের ঘরে ঘরে গিয়ে রাতে আধাঁরে এান পৌছে দেওয়া হয় ।

  • গাউসিয়া কমিটির রাউজান উত্তর’র স্বাগত র‌্যালীতে হাজারো নবী প্রেমিকের ঢল

    গাউসিয়া কমিটির রাউজান উত্তর’র স্বাগত র‌্যালীতে হাজারো নবী প্রেমিকের ঢল

    পবিত্র ঈদ-এ মীলাদুন্নবী (দ.)’র আগমন উপলক্ষে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, রাউজান উপজেলা (উত্তর) শাখার আয়োজনে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় বিশাল স্বাগত র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

    হাজার হাজার নবীপ্রেমিকের পদচারনায় র‌্যালীটি গহিরা মাদ্রাসা হতে আরম্ভ হয়ে রাউজান রাঙ্গামাটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাউজান জলিল নগরস্থ খানকায়ে কাদেরীয়া তৈয়্যবীয়া তাহেরীয়ায় এসে মিলাদ কিয়াম ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

    র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা (উত্তর) শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ জনাব ইলিয়াস নুরী, র‌্যালী বাস্তবায়ন পরিষদের সচিব মাওলানা এম.এ মতিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত রাউজান উপজেলা (উত্তর)’র সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ আবু জাফর সিদ্দিকী, গাউসিয়া কমিটি রাউজান উত্তর’র সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হোসাইন হায়দরী, গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, র‌্যালী বাস্তবায়ন পরিষদরে আহবায়ক উপজেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন জামাল, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দীকী,উত্তর জেলার সমাজ সেবা সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আমিন সওদাগর, কে.এম.ওমর ফারুক, আ.স.ম রফিকুল ইসলাম রেজভী, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ ফোরকান, মাষ্টার জানে আলম শরীফ, মুহাম্মদ আবু তাহের।

    বক্তারা বলেন প্রিয় নবী করিম (দ.) দুনিয়ায় আগমনে করে ঈমানী আহবানে যেভাবে বিশ্বের সকল জাতিকে সকল ধরনের হানাহানি থেকে মুক্ত করে শান্তির পরশ দিয়েছিলেন ঠিক ঐ শিক্ষাকে গ্রহনে করে আমাদেরকে দ্বীনি খেদমতে এগিয়ে যেতে হবে।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটি সুলতানপুর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আমিন সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ সৈয়্যদ মিয়া,আলহাজ্ব এম.এ মালেক সিদ্দিকী, গহিরা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোজাম্মেল হক, হাফেজ আবু তাহের, উপজেলা উত্তর’র প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মোরশেদ, সুলতানপুর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শওকত হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব নাহিম উদ্দিন খোকন, মুহাম্মদ মঈনু উদ্দীন, এম,এ রায়হান,গাজী মাসুদ রানা, রাউজান কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম, মোঃ মাশুকুল ইসলাম, মাকসুদুল আলম সুমন, নিয়াজুর রহমান সাবিক, মনির উদ্দিন প্রমুখ।

  • ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)কে স্বাগত জানিয়ে রাউজানে গাউসিয়া কমিটির মোটর শোভাযাত্রা

    ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)কে স্বাগত জানিয়ে রাউজানে গাউসিয়া কমিটির মোটর শোভাযাত্রা

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও মাহে রবিউল আওয়াল মাসকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জসনে জুলুছ ( মোটর শোভাযাত্রা)।

    বুধবার বিকেলে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা (দক্ষিণ) শাখা এই জসনে জুলুছের আয়োজন করে। তিন শতাধিক গাড়ী নিয়ে কালেমা খচিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জসনে জুলুছের মোটর শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাহাড়তলী ইউনিয়নের চুয়েট গেইট থেকে শুরু হয়ে উরকিরচর ইউনিয়নের মদুনাঘাট প্রদক্ষিণ করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা (দক্ষিণ) শাখার সভাপতি আলহাজ আবু বক্কর সওদাগর।

    এতে উদ্বোধক ছিলেন পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ আহসান হাবিব চৌধুরী।

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হানিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জসনে জুলুছ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক সৈয়দ জামাল উদ্দিন, সচিব মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আলহাজ হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু মোস্তাক আল কাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ শওকত হোসেন রেজবী, অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ গোফরান, মুহাম্মদ জাহেদুল হক, মুহাম্মদ আজম কোম্পানী, মাওলানা আশোকুর রহমান আল কাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ এরশাদুল হক মুন্না, মুহাম্মদ নওশাদ হোসাইন, ফিরোজুল ইসলাম চৌধুরী, মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, মুহাম্মদ আব্দুল করিম, মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম শাহ, মুহাম্মদ ইউনুছ আলম, আলহাজ ফজল আকবর, মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, হাফেজ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ আরমান, হাফেজ মুহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, মাওলানা কাজী শওকত উদ্দিন, মাওলানা বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ।