Tag: গুরুত্বপূর্ণ

  • চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ নিমতলা থেকে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ আকষ্মিক পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    পরিদর্শনকালে মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়েই বন্দর থেকে প্রতিদিন পণ্য বা কন্টেইনারবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ এবং হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ছয় লেন বিশিষ্ট পোর্ট কানেকটিং রোড উন্নয়ন কাজ এখন প্রায় শেষ প্রান্তে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

    এসময় তিনি সড়ক সংলগ্ন এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে সাময়িক দুর্ভোগ, হয়রানি হচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রসব বেদনা। এ বেদনা সইতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকা হবে নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় গড়ে উঠবে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল। এই সড়কে দুই দফায় ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং থেকে বড়পুল, বড়পুল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে বড়পুল নয়াবাজার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুইপাশে আর সিসি ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মিডিয়ান নির্মাণ, এলইডি আলোকায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ছয় লেনের সড়কটি দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২০ ফুট। অপরদিকে একই প্রকল্পে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।

    মেয়র সকল ধরণের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে যাতায়তের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি সরকারের সেবামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং কাজের মানও রক্ষা হচ্ছে না। এ ধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কার্যকলাপেলিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে অসৎ প্রকৃতির স্বার্থপর গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেট লুন্ঠন প্রবৃত্তিতেলিপ্ত। এরা সরকার ও জনগণের শত্রু। করোনা অদৃশ্য শত্রু। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা দৃশ্যমান শত্রু তাদেরকে ঘায়েল করার ক্ষমতা সরকার ও জনগণের আছে। তাই এই শত্রুকে নির্মূল করতে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।

    এসময় মেয়র আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই সড়কের সকল উন্নয়ন কাজ শেষ করে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাক্ষাত : আজ সকালে টাইগারপাসস্থ মেয়র দপ্তরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    সাক্ষাতকালে এই দুর্যোগকালিন সময়ে মেয়র নগরীর সামাজিক সংগঠন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান, অর্গানিয়ার কো-অডিনেশন এস এম সাজ্জাদ হোসেন, অর্গানিয়ার কাজী আবু জব্বার, কোয়ান্টাম লাশ দাফন টীমের প্রধান সেবক মো. এহসানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ঘরে দুর্বৃত্তের আগুন : পুড়ে ছাই মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি

    রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ঘরে দুর্বৃত্তের আগুন : পুড়ে ছাই মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরীর ঘরে আগুণ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার রাউজান ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

    রাউজান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আমাকে স্ব-পরিবারে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে ভোর পৌণে চারটার দিকে আমার বসতঘরে আগুণ দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে আমিসহ পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করায় আমরা বেঁচে গেছি।রাউজানে আগুন

    তিনি আরো বলেন, আগুণে আমার বসতঘরের চারটি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুণে ঘরের আলমিরায় রক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি ও কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    তিনি আরো বলেন, ভোরে আমার ঘরে আগুণ দেখে ঘর থেকে আমার ভাতিজা বের হয়ে যায়। এ সময় আমার প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনলেও চারটি কক্ষ পুড়ে যায়।

    রাউজান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ভোর রাতে মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ঘরে আগুণ লাগার সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

    খবর পেয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল অফিসের সহকারি পুলিশ সুপার মো: আবুল কালাম চৌধুরী, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ ও রাউজান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    এ বিষয়ে রাউজান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে টিনসেডের ঘরের কয়েকটি কক্ষে আগুনে বিভিন্ন জিনিষপত্র পুড়া অবস্থায় দেখি।

    এ রিপোর্ট লেখার সময় (রাত সাড়ে সাতটা) এই বিষয়ে থানায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।