Tag: গোলাপী বল

  • গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের কাছে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারল বাংলাদেশ।

    ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হ্যামস্ট্রিং চোটে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধান হার। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ইনিংস হার এড়াতে একাই লড়ে গিয়েছেন মুশফিক। তবে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিককে। ২২ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিয়েছিলেন মিরাজ। এবং দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে উমেশের বাউন্স ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।

    টেস্টের তৃতীয়দিন ব্যাটিং করতে নামলে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেন মুশফিক। রীতিমত ভারতীয় বোলারদের উপর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মুশফিক। ইনিংস হার এড়ানোর শেষ আশা ছিল মুশফিক কিন্তু উমেশের স্লোয়ারে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ৭৪ করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে তখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি। আল-আমিন একটু ব্যাটিং ঝলক দেখালেও বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৫ রানে।

    ভারতীয় বোলারদের হয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব এবং চার উইকেট তুলে নেন পেসার ইশান্ত শর্মা।

    এর আগে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তবে আগের তিন ইনিংসের মতো এবারও একই দৃশ্য দেখা যায় টপ অর্ডারদের। শুন্য করেই সাজঘরে ফিরতে হয় সাদমানকে। আগের তিন ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও রান করতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ ইমরুল। পাঁচ রান করে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ‘শুন্য’ রানে আউট হন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাত্র পাঁচ করেই উমেশের বাউন্স পুল করতে গিয়ে আউট হন মিঠুন।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। বিরাট কোহলির ১৩৬ রানের কল্যাণে তিনশ পেরোয় ভারত। কোহলির সঙ্গে ফিফটি হাঁকিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২)

    ভারত ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পুজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৯৫ ( মুশফিক ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৯: উমেশ ৫-৫৩)

  • ৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের

    ৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের

    গোলাপী বলে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। তার লড়াকু ৫৯ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের। ৩৯ রান মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও ৮৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

    ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। কোহলির ১৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ইশান্তের বলে এল্বিডলিউর শিকার হয়ে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

    সাদমান-মুমিনুলের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মোহাম্মদ মিঠুন। উমেশ যাদবের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে শামির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন (৬)। টপ অর্ডারে বাকি ব্যাটসম্যানদের মতো ব্যর্থ ওপেনার ইমরুল কায়েস। মাত্র পাঁচ রান করে স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।

    দুই ব্যাটসম্যানই বেশ দেখেশুনে খেলেন শামি, ইশান্ত, উমেশকে। অহেতুক শট খেলা থেকে বিরত থাকেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। ভারতের পেসারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ব্যাটসম্যান যখন দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন তখন আরেক বিপর্যয় নেমে আসে বাংলাদেশ দলের উপর। উমেশের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পান মাহমুদউল্লাহ। ৩৯ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।

    রিয়াদ মাঠ ছাড়লে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। পুরো সিরিজে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ফিফটি হাঁকান মুশফিক। দলীয় ১৩৩ রানে ইশান্তের আউটসাইড অফস্ট্যাম্পের বল ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। তবুও তাইজুলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে শেষদিকে আফসোস হয়ে থাকে তাইজুলের উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে ইশান্তের বাউন্স মোকাবেলা করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।

    শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন শেষে ৭০ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে বল হাতে চার উইকেট লাভ করেন ইশান্ত শর্মা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২

    ভারত (১ম ইনিংস) ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৫২-৬ (মুশফিক ৫৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৯*: ইশান্ত ৪-৩৯

  • গোলাপি টেস্টে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

    গোলাপি টেস্টে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

    ইডেনের গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন আপাতত বাংলাদেশের জন্য নীল। বেদনার রং। কষ্টের কষাঘাত! ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলের কাছে গোলাপি নিয়ে বাকবাকুম করার উপায় কি আছে? আর তাই উৎসবের মেজাজ নিয়ে শুরু হওয়া ইডেনের পিঙ্ক টেস্টের আমেজ এখন বাংলাদেশ দলের কাছে শিরিষ কাগজে ঘষা খাওয়া চেহারা!

    ইডেনের উইকেট এবং গোলাপি বলে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের শত ছিদ্র বেরিয়ে গেল; সেই একই উইকেটে ভারত দিন শেষ করল ৩ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে।

    প্রথম দিনেই ভারত এগিয়ে আছে ৬৮ রানে। বড় কোনো বিস্ময়কর ঘটনা না ঘটলে নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় দিন ভারত যেখানে পৌঁছাবে সেখান থেকে সামনে তখন একটাই দৃশ্য-ভারতের জয়, সম্ভাব্য বড় জয়!

    এই টেস্টের শুরুটা বাংলাদেশের এতই বিশ্রী হয়েছে যে প্রথম দিন শেষেই হিসেব মেলানো শুরু হয়ে গেছে ভারত কতো বড় ব্যবধানে জিতছে! অনেক আশা নিয়ে যারা পিঙ্ক টেস্টের চতুর্থ দিনের টিকেট কেটে রেখেছেন; তারা এখন সেদিনের জন্য নতুন পরিকল্পনা করতেই পারেন।

    প্রথম দফায় ব্যাটিংয়ে চুরমার বাংলাদেশ ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে অনেক বড় কিছু করে ফেলবে-এমন আশার বেলুনে ফুঁ দেওয়ার লোক কম। পিঙ্ক টেস্ট দেখতে গেছেন যারা, খুব সম্ভবত ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ভারতের ব্যাটিং দেখার চেয়ে নিউ মার্কেটে শপিংয়ে কাটানোর মধ্যেই বেশি সুখ খুঁজে পাবেন তারা! এমন একতরফা ক্রিকেটে আনন্দ কোথায় ভাই?

    টসে জিতে মুমিনুল হক ইন্দোরের মতো ইডেনেও ব্যাটিংয়ের সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তার পুরো দল যে ব্যাটিং করল সেখানে সাহস, সামর্থ্য বা স্কিলের ছিঁটেফোঁটাও যে মিলল না!

    ৩৮ রানে শুরুর ৫ উইকেট হারানোর পরই এই ম্যাচের চিত্র পরিষ্কার। লাঞ্চে গেল বাংলাদেশ ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে। হেলমেটে চোট নিয়ে লিটন দাসের পিঙ্ক টেস্ট শেষ প্রথম সেশনেই। শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে পাঁচজনের সঞ্চয় ১০ রান। তিনে মুমিনুল, চারে মোহাম্মদ মিঠুন এবং পাঁচে মুশফিকুর রহিম-মিডলঅর্ডারের এই তিন ‘ম’ শূন্য রানে আউট!

    ইমরুল কায়েস সিরিজের টানা তৃতীয় ইনিংসে ব্যর্থ। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ৫২ বল খেলেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২৯ রানে। লোয়ার অর্ডারে যে দুজন ব্যাটসম্যান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন সেই দুজনেই আর এই ম্যাচের অংশ নন। লিটন দাস ২৯ বলে ২৪ এবং নাঈম হাসান ২৮ বলে ১৯ রান করে বাউন্সারের চোট নিয়ে ফিরেন। সেই চোটেই তাদের পিঙ্ক টেস্টের রোমাঞ্চ শেষ।

    গুরুতর আঘাত পাওয়া কোনো ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে নতুন খেলোয়াড় নামানোর যে নতুন নিয়ম আছে তার জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ রেফারি সেই আবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাটসম্যান লিটন দাসের জায়গায় মেহেদি মিরাজ এবং বোলার সাঈফ হাসানের বদলি হিসেবে তাইজুলকে খেলার অনুমতি দেন। তবে লিটন যেহেতু ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন তাই তার বদলি মিরাজও এই ম্যাচে শুধু ব্যাটিং করতে পারবেন। বোলিং নয়। অবশ্য তাইজুল বোলিং ও ব্যাটিং দুটোই করতে পারবেন। বদলি খেলোয়াড়ের এই নিয়মে কোনো দল যাতে বাড়তি সুবিধা না পায় সেজন্যই ম্যাচ রেফারি এমনসব কিছু নিয়ম-কানুন জারি করেন। ম্যাচ রেফারিকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে আইসিসি।

    আর ইডেনে রান ক্ষমতা ভালো দেখাচ্ছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইন্দোরে শূন্য রানে আউট হওয়া কোহলি ইডেনে দলের হয়ে প্রথমদিন শেষে সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রথম দিন হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ব্যাট তুললেন। দ্বিতীয় দিন অপেক্ষায় থাকছেন নিজের ২৭ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য। প্রথম দিন শেষে ভারতের ৩ উইকেটে ১৭৪ রানের মধ্যে চেতেশ্বর পূজারার হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে।

    হ্যাঁ, টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের ঘটনা থাকবে না-তা কি করে হয়! ১২ রানে রোহিত শর্মার সহজ ক্যাচ হাতে নিয়েও ফেলে দেন আল-আমিন। বেচারা বোলার ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। তবে ভাগ্য ভালো রোহিত সেই সুযোগ বেশি কাজে লাগাতে পারেননি। এবাদত হোসেন তার প্রথম ওভারেই রোহিতকে ফেরান ২১ রানে।

    ব্যাটিং দুঃস্বপ্নে কাটা বাংলাদেশের প্রথম দিনের বোলিংয়ে যা একটু সুখ পেলেন ঐ এবাদতই।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)

    বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০৬/১০ (৩০.৩ ওভারে, সাদমান ২৯, ইমরুল ৪, মুমিনুল ০, মিঠুন ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৬, লিটন দাস ২৪ রিটায়ার্ড হার্ট, নাঈম হাসান ১৯, এবাদত ১, মেহেদি ৮, আল আমিন ১, আবু জায়েদ ০, অতিরিক্ত ১৪; ইশান্ত ৫/২২, উমেশ ৩/২৯ ও শামি ২/৫)।

    ভারত প্রথম ইনিংস: ১৭৪/৩ (৪৬ ওভারে, আগারওয়াল ১৪, রোহিত ২১, চেতেশ্বর ৫৫, কোহলি ৫৯*, রাহানে ২৩*, এবাদত ২/৬১ ও আল আমিন ১/৪৯)।

  • গোলাপী বলে চরম ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা

    গোলাপী বলে চরম ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা

    ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা প্রথম ইনিংসেই পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে।

    প্রথম সেশনের ২১.৪ ওভারে ৭৩ রান জড়ো করতেই মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দল হারিয়েছে ৬ উইকেট।

    ভারতের অভিজ্ঞ পেসাররা নতুন গোলাপি বলের গতি ও সুইংকে কাজে লাগিয়ে নাজেহাল করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।

    ইমরুল কায়েসকে নিয়ে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ইমরুল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সাজঘরে। ১৫ বলে ৪ রান করা ইমরুল ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন। একটি রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় রক্ষা পাননি।

    সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুলও। তার মত মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ভারতের পেস আক্রমণের সামনে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যানরা মোকাবেলা করেছেন যথাক্রমে ৭, ২ ও ৪ বল!

    পেসাররা কতটা দাপট দেখাচ্ছেন, তা এ থেকে সহজেই অনুমান করে নেওয়া যেতে পারে। সেই দাপটকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছিলেন সাদমান। তবে দুঃসাহসের বলী হয়ে তাকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে করেছেন ২৯, চারই হাঁকিয়েছেন পাঁচটি।

    ৩৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও হারায় দল। ২১ বলে ৬ রান করা রিয়াদ ফিরলে লিটন দাস দেখেশুনে খেলে যান। তবে মোহাম্মদ শামির বল হেলমেটে আঘাত করায় অস্বস্তি বোধ করছিলেন। লাঞ্চের আগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৪ রান করে, মোকাবেলা করেছেন ২৭ বল। নাইম হাসান শূন্য রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।

    ভারতের পক্ষে উমেশ যাদবই বেশি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। তিনি একাই শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া ইশান্ত শর্মা দুটি ও মোহাম্মদ শামি একটি উইকেট শিকার করেছেন।

    নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টকে সামনে রেখে ইডেনে দুই দলের সমর্থকদের ভিড়। তবে প্রথম সেশনে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য হতাশ করেছে গোটা বাংলাদেশকে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে)

    টস: বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস- ৭৩/৬ (২১.৪ ওভার)
    সাদমান ২৯, লিটন ২৪ (রিটায়ার্ড হার্ট), রিয়াদ ৬, ইমরুল ৪
    উমেশ ২৯/৩, ইশান্ত ১১/২, শামি ১৮/১

  • গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ এবং ভারতের অভিষেক ঘটছে গোলাপি বলের ক্রিকেটে। অর্থাৎ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের মধ্য দিয়েই দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দু’দলেরই। ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।

    বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ভারত। এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক ঘটেছে। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দুই দেশেরই।

    বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন, আল-আমিন এবং নাইম হাসান।

    ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামী, ইশান্ত শর্মা।

  • ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর ঘণ্টা বাজালেন হাসিনা-মমতা

    ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর ঘণ্টা বাজালেন হাসিনা-মমতা

    খেলা শুরুর সময় ভারতীয় সময় দুপুর ১টায়। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সের সামনে ভিড় শুরু সেই সকাল থেকেই। পিঙ্ক টেস্ট বলে কথা! এই উপমহাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে গোলাপি বলে এটাই প্রথম কোনো ম্যাচ। সেই অভিষেকের সাক্ষী হতে এতো ভিড়।

    কলকাতায় এই ম্যাচ দেখতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জাতীয় সঙ্গীতের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুজনে মিলে একসঙ্গে ইডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলা শুরুর ঘোষণা দেন।

    বহুল আলোচিত ইডেনের এই পিঙ্ক টেস্টে টসে জিতেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে। ইডেনের তাজা উইকেটে গোলাপি বলে আগে ব্যাটিং করাটা সত্যিকার অর্থেই সাহসী সিদ্ধান্ত। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল জানাচ্ছিলেন-‘উইকেট দেখে আমার মনে হচ্ছে এটা শুকনো এবং বেশ শক্ত। তাই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। এই টেস্টে দলে দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় পেসার হিসেবে আল আমিন খেলতে নামছেন তাইজুলের জায়গায়। আর স্পিনার নাঈম হাসান খেলছেন মেহেদি হাসান মিরাজের স্থলে।

    যথারীতি এই টেস্টেও একাদশে জায়গা হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানের। ভারত তাদের একাদশে কোনো বদল আনেনি। ইন্দোরের জয়ী দল নিয়েই খেলছে তারা।

    আগের দিন ইডেনের উইকেট যেরকম সবুজ দেখাচ্ছিল ম্যাচ ডে’তে সেই চেহারায় কিছুটা বদল মিলল। সবুজ আছে তবে অতোটা না। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও জানান-‘এই উইকেটে টসে জিতলে তিনিও আগে ব্যাটিংই বেছে নিতেন। উইকেটে কিছুটা ঘাস আছে। তবে ব্যাট করার জন্য উইকেট বেশ শক্ত। শুরুতে এই উইকেট ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেখা যাক এখানে আগে বোলিং করতে হচ্ছে আমাদের। পিঙ্ক বলে শুরুর ১৫ ওভারে বোলারদের জন্য অনেক কিছুই করার থাকে। দেখি সেই সুযোগটা এখন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। দক্ষতা দেখাতে হবে। এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও থাকছে। পিঙ্ক বলের গতি খুব বেশি। দ্রুত ছুটে। ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শনের একটা ব্যাপার আছে। আমরা প্রথমবারের মতো এই বলে খেলতে নেমেছি। একটা ভালো উদাহরণ তৈরি করতে চাই প্রথম ম্যাচেই।’

    দুই ম্যাচের সিরিজে ভারত ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতে এগিয়ে আছে।

    বাংলাদেশ দল:

    ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাঈম হাসান, আল আমিন, এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহী

    ভারত দল:

    রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা।