Tag: গোলাম আকবর খোন্দকার

  • নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মহানগরে বর্তমান সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহবায়ক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে আরও ৩৭ জনকে।

    এছাড়া উত্তর জেলায় আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারকে। ওই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ৪২ জনকে। তবে উত্তরের কমিটিতে কাউকে সদস্য সচিব করা হয়নি।

    বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনপি’র কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটির অনুমোদন দেন।

    জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ২৭৫ জন সদস্যদের নিয়ে নগর বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছরের জন্য দেওয়া এ কমিটি পার করছে চার বছরেরও বেশি সময়।

    এদিকে প্রায় ৬ বছর আগে আসলাম চৌধুরীকে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করছেন আসলাম চৌধুরী আর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মারা যান সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান।

    নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন:

    যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আযম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস এ খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান।

    এছাড়া সদস্য করা হয়েছে এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ান, কমিশনার শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মো, আলী কমিশনার মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হোক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরি সাইন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম কমিশনার, শামসুল হক, মনজুর আলম মঞ্জু (পাঁচলাইশ), আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম মঞ্জু (আকবরশাহ) ও কামরুল ইসলাম।

    উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে যারা স্থান পেয়েছেন:

    নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, শাহীদুল আলম চৌধুরী, মো সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ফকির আহমেদ, দিদারুল আলম মিয়াজী, কর্ণেল আজিম উল্লাহ বাহার, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, সারোয়ার আলমগীর, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, এড. আবু তাহের, আহসানুল কবির রিপন তালুকদার, আজমত আলী বাহাদুর, আলমগীর ঠাকুর, ইসহাক কাদের চৌধুরী, কাজী সালাউদ্দিন, ইউসুফ নিজামী, জয়নাল আবেদীন দুলাল, জহুরুল আলম জহুর, শামসুল আলম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, প্রফেসর মির্জা মোহাম্মদ শহীদ উল্লা বাবুল, ডাক্তার রফিকুল আলম চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, সোলেমান মঞ্জু, জাকির হোসেন, এম এ হালিম, জসিম উদ্দিন সিকদার, অ্যাড এনামুল হক, সেকান্দার চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাফর আহমদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আজম খান, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, অধ্যাপক মহসিন ও মাহবুব সাফা।

  • বোয়ালখালীতে উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়ছে

    বোয়ালখালীতে উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়ছে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বিগত ১১ বছরে বোয়ালখালীতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নাই। উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, বর্তমানে বোয়ালখালীর যোগাযোগ ব্যাবস্থার বেহালদশা। কালুরঘাট ভান্ডালজুড়ি সড়ক বিএনপির আমলেই তৈরী করা হয়েছিল। যোগাযোগের নতুন কোন সড়ক তৈরী করা হয়নি। সরকার সমর্থকরা নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এখন নতুন করে স্বপ্নের কথা বলে জনগণের সাথে প্রতারণার দিন শেষ।

    তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের নামে স্বপ্ন দেখিয়ে লাভ নেই। বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়কটির একপাশ দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি হলেও সরকার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেননি। এই সরকার প্রতিটি সেক্টরেই ব্যর্থ হয়েছে। তাই ১৩ জানুয়ারী আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে চট্টগ্রামের প্রতি অবহেলার জবাব দিন।

    আজ ৮ জানুয়ারী বুধবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে বোয়ালখালীর পোপাদিয়ায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    তিনি আকুবদন্ডী, কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে নুরুল হকের দোকান বাঘ্যারটেক, গোরস্থানের টেক, নোয়াহাট, ঈশ্বরভট্টের বাজার, বাদামতল, চানপারা এলাকায় গণসংযোগ করেন।

    বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি জায়গায় আমরা ধানের শীষের আবেদন নিয়ে আমরা যাচ্ছি। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে এবার আরো বেশী সাড়া পাচ্ছি। কারণ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতীর প্রহসনের নির্বাচনে ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি।

    তিনি বলেন, জনগণ এবারও ভোট দিতে পারবে কিনা, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা মানুষকে তাদের শংকা দূর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বোয়ালখালীতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। তারা ধানের শীষের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে।

    বোয়ালখালীতে ত্রাসের রাজত্ব কাযেম করে আতংকজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ভোটারদেকে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেয়ার সুযোগ দিন। জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। বিএনপির আস্তা আছে জনগণের রায়ে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ইভিএম একটি প্রযুক্তি। এই ইভিএম দিয়ে বহুমুখী কারচুপি করার সুযোগ আছে। ইভিএম মেশিন নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু যারা এ মেশিন পরিচালনা করবে তাদের যদি ভোট চুরির মানসিকতা থাকে তাহলে চুরি করার অনেক সুযোগ আছে।

    তাই আমাদের বক্তব্য হচ্ছে ইভিএম মেশিনের আগে থেকে যে ভোট দেয়া থাকবে না, ধানের শীষে ভোট দিলে এই ভোট যে অন্য প্রতীকে যাবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। নির্বাচনের আগেই ইভিএম মেশিনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য মফজল আহমদ চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দিন আশফাক, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সভাপতি সৈয়দ মো. সাইফুদ্দিন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সুজন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মহসিন খোকন, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মুন্সি, দিদারুল আলম লিটন, ইকবাল হোসেন, আছহাব উদ্দিন দুলাল, মো. বখতেয়ার মেম্বার, তছলিম উদ্দিন, আবদুস সালাম, আবদুর মান্নান, জয়নাল আবেদীন আরজু, মোহাম্মদ আলী, সরওয়ার আলম, সাইদুল হাসান হিমু, ইসকান্দর মির্জা, আবু নাসের মন্নান, মো. সেলিম, মো. আজিম, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতিউর রহমান রাসেল, এনামুর হক সজীব, সাইদুল হক, মো. লোকমান, শওকত হোসেন জাহেদ, মো. ইসকান্দর, মনিরুল ইসলাম ডালিম, সরওয়ার আলম টুটুল, মো. ফোরকান, মো. জুনাইদ, মো. ওসমান গণি, মো. আলমগীর, আশরাফ মামুন, সিদ্দিক আজাদ রিহাদ, মো. এরফান, জয় দে, মো. জিসান, মো. রাসেল, শিহাব উদ্দিস, মো. সায়েম, মো. এমরান প্রমূখ।

  • ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বোয়ালখালীতে ধানের শীষের পক্ষে যারা পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদেরকে টার্গেট করছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রথমে হুমকি দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। না পারলে হামলা করছে, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কারণে নির্বাচনী এলাকায় এখন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এভাবে কি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? এলাকার ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে যে, আদৌ তারা ভোট দিতে যেতে পারবেন কি না।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে বোয়ালখালীর শাকপুরা হাজী নুরুল হক ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে শাকপুরা চৌমুহনী বাজার, গোলক মুন্সির হাট, তাজেদিয়া মাদ্রাসা, আনজীর মার টেক, মনার বাপের টেক, চর খিজির পুর হয়ে টেক্সঘর এলাকায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারীরা বোয়ালখালী-চান্দগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসীরা এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমাদের অনেক নেতাকর্মী ঘরছাড়া, এমনকি এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। আমাদের পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, ব্যানার খুলে ফেলছে। গণসংযোগ করতে গেলে হামলা করছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি ভোটের দিন সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে শক্ত অবস্থান নিয়ে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহবান জানান।

    বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই প্রশাসনের কাছ থেকে আমি সমান আচরণ পাচ্ছি না। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং আমার ওপর হামলার অভিযোগ করেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। বিএনপির দুজন ত্যাগী নেতা মোস্তাক আহমেদ খান ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার এলাকার নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এভাবে অনেকটা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাদের নির্বাচন করতে হচ্ছে।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বোয়ালখালী পৌর মেয়রের নির্বাচনী প্রচারণা করে আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন বলে যে অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধিতে আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। পৌর মেয়রের প্রচরণা চলাতে কোনো বাধা নেই। তিনি মনে হয় আচরণ বিধিমালা না পরেই এই অভিযোগ করেছেন।

    তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জনগণ আর কোনো কারচুপির নির্বাচন চায় না। দিনের ভোট আগের রাতে করে ফেলার নির্বাচন জনগণ চায় না। আমরা যারা নির্বাচন করছি, যারা নির্বাচন কমিশনে আছেন, যারা প্রশাসনে আছেন, সবাই এদেশের সন্তান। দেশের প্রতি যদি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হত্যায় সামিল না হওয়ার জন্য আমি তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বলব, জনগণের অধিকার কেড়ে নেবেন না। জনণকে বঞ্চিত করবেন না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মীর মোহম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেনে গেছেন, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা ১১ বছরে একটি সেতু করতে পারে না, তাদের জনগণ চায় না। যারা এত সুন্দর বোয়ালখালীকে ধ্বংস করেছে, সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছে, তাদের জনগণ চায় না। চান্দগাঁও এলাকায় থেকেও যারা শহরের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা বলছেন, তারা আর ভাঙ্গা নৌকায় উঠবেন না।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, বোয়লখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, উত্তর জেলা বিএনপির আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিাস আলী, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মাহফুজুল হক সাজু, মহিবুল ইসলাম রাসেল, আজম খান, আইয়ুব মেম্বার, শওকত আলী চেয়ারম্যান, সরওয়ার আলম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, উত্তর জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শফিকুল ইসলাম শাহীন, গোলাম হোসেন নান্নু, মহসিন খোকন, রবিউল হাসান ইকবাল, মেহেদী হাসান সুজন, মোঃ কফিল উদ্দিন, হারুনুর রশীদ, সায়েম উদ্দিন টিটু, মতিউর রহমান রাসেল প্রমূখ।

  • আবু সুফিয়ানের গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হচ্ছে:আকবর

    আবু সুফিয়ানের গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হচ্ছে:আকবর

    বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, আবু সুফিয়ানের সমর্থনে পাঁচলাইশের গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। এই শান্তিপূর্ণ স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ভোটের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। ভোট গণনা পর্যন্ত সবাইকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ধানের শীষের বিজয় হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিজয়। বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে আনার বিজয়। মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিজয়।

    তিনি আজ ৬ জানুয়ারী (সোমবার) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মাওলানা আতিক উল্লাহ খান’র মাজার জেয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করে ওয়াজেদিয়া, হরিপুর, মিয়া নগর, নয়াহাট, ফকিরাবাদ, কয়লার ঘর, নেজাম হামছা, বোর্ড অফিস হয়ে চালিতাতলী এলাকায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা সমান সুযোগ পাবো এটা আশাকরি না। সমান সুযোগ পাবো না জেনেই আমরা নির্বাচনে এসেছি। আমাদের আস্থা হচ্ছে জনগণ ও ভোটারের উপর। আমরা সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে আছি গণতন্ত্রের স্বার্থে। জনগণ সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

    বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষের পক্ষের রায় হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির রায়। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার রায়। আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণের এ জোয়ার কেউ রুখতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। জনগণের দিন এসে গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে জনগণের সরকার গঠিত হবে। ভয় পাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ জুলুম নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য শত চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি। বরং বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। ফ্যাসিবাদের মসনদ দুর্বল হয়েছে। বিএনপির মনোবল বেড়েছে। নির্বাচন ও আন্দোলন সংগ্রামে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকবো। আমাদের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্ধ নেই। আমরা এক মায়ের সন্তান হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ১৩ তারিখ হয়তো নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলমান থাকবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাহলে কি পুলিশ এতদিন আওয়ামীবান্ধব ছিল? যার কারণে বিগত নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখের রাতে হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ধানের শীষের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখা আমাদের সকলের ঈমানী দায়িত্ব। তিনি ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করতে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সাধারণ জনগণ চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে আমাদের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শংকা আছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অতীত কর্মকান্ড সুখকর নয়। তারপরও ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে তা কোন অপশক্তি ঠেকাতে পারবে না। জনগণের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ বলেন, ১৩ জানুয়ারী হচ্ছে ভোট যুদ্ধের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে। আওয়ামীলীগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। তাই আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া এই চট্টগ্রাম-৮ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মীর মোহম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের মেয়র এবং একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এটা স্পষ্টত নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। যারা আইন বানাচ্ছেন, তারাই আইন ভঙ্গ করছেন। সরকারি দলের নেতাদের আইন অমান্যের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় তৈরি হয়েছে।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম আবু ফয়েজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সামশুল হক, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, উত্তর জেলা বিএনপির নুরুল আমীন, নুর মোহাম্মদ, সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, জি. এম আইয়ুব খান, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফ্ফর মো. আনাছ, ন্যাপ নগর সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, লেবার পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন, এনপিপি সভাপতি আনোয়ার সাদেক সাদি, নগর বিএনপির সহসম্পাদক মো. ইদ্রিাস আলী, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আরিফ মেহেদী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর সদস্য জসিম উদ্দিন, শাহেদা বেগম, আফরোজা বেগম জলি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ সাব্বির, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম, বিএনপি নেতা সামশুল আলম মেম্বার, মাহবুবুল আলম, আনিসুর রহমান বাবুল, হাজী আবুল কালাম আবু, ইসমাইল হোসেন বালি, মো. ইউসুফ, আবদুল কাদের, আবুল বাশর, হাজী মো. বকতেয়ার, মোঃ ইসমাইল, জাহাঙ্গির আলম, বাদশা মিয়া, নুরু সওদাগর, আবদুল হালিম কালু, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এম এ রাজ্জাক, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, মহিউদ্দিন জুয়েল, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, নাজিম উদ্দিন হিরো, মোঃ হাসান, আব্দুল হালিম, রাশেদ খান টিপু, আবুল হাসান বাপ্পা, ফিরোজ মাহমুদ, কাজী মহিউদ্দিন প্রমূখ।

    এদিকে আজ বিকালে বোয়ালাখালী পৌরসভার ২, ৩, ৪, ৫ নং ওয়ার্ড়ে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন। তিনি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, বোয়ালখালীর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আবু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: ইসাহাক চৌধুরী প্রমুখ।