Tag: গোল্ডেন মনির

  • ‘গোল্ডেন মনির’ ১৮ দিনের রিমান্ডে

    ‘গোল্ডেন মনির’ ১৮ দিনের রিমান্ডে

    মাদক, অস্ত্র ও কোটি টাকাসহ গ্রেফতার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরকে’ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ।

    তবে পৃথক তিন মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মাসুদ উর রহমান।

    আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    এর আগে রোববার সকালে মনিরকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়।

    সকালে বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানিয়েছিলেন, মনিরকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে। মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে। মনিরকে আদালতে তুলে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

    র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে মনির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন।

    অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী।

    মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার ওপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

    ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার দায়ে দায়ের করা একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটাও চলমান রয়েছে।

    একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসায় শুক্রবার রাতে অভিযানে যায় র‌্যাব। ছয়তলা বাড়িতে শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চলে।

    অভিযানে মনিরের বাড়ি থেকে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৪ লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র ও মদের পাশাপাশি ৯ লাখ টাকা মূল্যের ১০ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করেছে র‌্যাব।

  • মাদক-অস্ত্র-বিপুল টাকাসহ গ্রেপ্তার দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক ‘গোল্ডেন মনির’

    মাদক-অস্ত্র-বিপুল টাকাসহ গ্রেপ্তার দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক ‘গোল্ডেন মনির’

    রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গাড়ি ও স্বর্ণের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরের’ বাসা থেকে এক কোটি ৯ লাখ টাকা ও ৬০০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। একইসঙ্গে র‌্যাব বলছে, গোল্ডেন মনির দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক।

    বাড্ডায় রাতভর অভিযান শেষে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে সেখানে থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা, অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে। তিনি ২০০টি প্লটের মালিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৩০টি প্লটের কথা স্বীকার করেছেন। তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। দুটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটির মূল‌্য ৩ কোটি টাকা। আরো তিনটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।’

    সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী থেকে ভূমিদস্যু ও স্বর্ণ চোরাচালানকারী হয়ে ওঠে গোল্ডেন মনির। তিনি রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে ভুয়া কাগজপত্র করে জমির মালিক হন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন‌্য র‌্যাব থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হবে।’

    এর আগে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ‌্যের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। একইসঙ্গে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি জায়গাতেও হানা দেয় র‌্যাব সদস্যরা।

    রাতভর অভিযান চালানোর পর অবৈধ অস্ত্র, মাদক, স্বর্ণ ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ ‘গোল্ডেন মনিরকে’ গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে মনিরের বেশ কয়েকটি বিলাস বহুল গাড়িও জব্দ করেছে র‌্যাব।

    র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র‍্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    জানা গেছে, গোল্ডেন মনির ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ও ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল কাইয়ুমের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।