চট্টগ্রামের দামপাড়ায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগ।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তাররা তাঁদের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে বাসে আগুন দিয়েছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হৃদয় (২২), নাজির শরীফ (২১) ও রায়হান (২৪)।
উপপুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গত ৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানার ছাত্রদলের সদস্যসচিব নূর আলম সোহাগের নেতৃত্বে তাঁরাসহ আরো ১০-১২ জন খুলশী থানার দামপাড়ার সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি থেকে রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাস ভাঙচুর করে বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হৃদয় জানিয়েছেন, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তাঁর বাঁ হাত আগুনে পুড়ে যায়। তাঁর হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান রয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আগুন দিয়েছেন বলে তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, বাসচালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা।
এ ছাড়া গত ৩০ অক্টোবর গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় বাসে আগুন দেওয়া এবং গত ১ ডিসেম্বর পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা তাঁরাই সংঘটিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের জন্য তাঁদের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলমান ছিল।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে দামপাড়ায় রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে এতে বাসটির চালক ও হেলপার দগ্ধ হন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।