Tag: গ্রেফতার

  • আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে গত ৫ মাস আগে চুরি হওয়া এক ভিক্ষুকের সাত মাস বয়সি শিশুপুত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ এ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দুই মাস বয়স থাকতে শিশুটি চুরি করেছে চোরের দল।

    গ্রেফতার হওয়া শিশু চোর চক্রের তিন সদস্যদের মধ্যে মো. আফসার প্রকাশ জাফর সাদেক (৩৫) এ চোর চক্রের মূল হোতা। পারভীন আক্তার (৩৫) এবং নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সিগমা ল্যাবে কর্মরত রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট সুজিত কুমার নাথ (৪৫) আফসারের সহযোগী। বিভিন্ন হাসপাতালের আয়া,নার্স এবং ডায়াগনস্টিক কর্মী সেজে এরা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু পুত্র চুরি করায় এদের মূল পেশা।

    রবিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

    তিনি বলেন, ওরা সংঘবদ্ধভাবে নবজাতক শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। এই চোর চক্রের সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া, নার্স, দারোয়ান ও বিভিন্ন কর্মচারীরা সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা সাধারণত হতদরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে শিশু নবজাতক সন্তান চুরি করে। পরবর্তীতে তাদের কোন স্বজনের সন্তান দাবী করে সমাজের নিঃসন্তান পরিবারের হাতে বেশি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।

    তিনি বলেন, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভিক্ষুক শেফালীর ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এধরনের একটি চক্রের সন্ধান পায়। শনিবার রাতে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মেহেদী হাসান জানান, শেফালির শিশুপুত্রকে চুরি করে নিঃসন্তান পবন কান্তির কাছে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। পুলিশ এ ধরনের চুক্তিপত্রের কপি ও ভুয়া মৃত্যু সনদও জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ৫ মাস আগে গত ২৭ মে শেফালি বেগম নামে এক ভিক্ষুক তার শিশুপুত্র চুরির কথা উল্লেখ করে ২৮ মে কোতোয়ালি থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চোর সিন্ডিকেটটি নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় গিয়ে তার শিশুকে ভাল জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে রেয়াজউদ্দিন বাজারে তাকে ও তার শিশুকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে শিশুটি চুরি করে তারা পালিয়ে যায়। আরো খবর : নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    ওই চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শেফালি বেগমের শনাক্ত করা মার্কেটটিতে যায়। সেখানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরচক্রকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ইপিজেড থানা এলাকা থেকে শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে একজনকে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করার পর তাকে ফুটেজ দেখালে সে শেফালির বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এ সম্পর্কে সে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

    তার কাছ থেকে নবজাতক শিশু চোরের মূলহোতা আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার আফসারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কক্সবাজারের কলাতলি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত এবং নগরীর অক্সিজেন এলাকার সৈয়দপাড়ায় এক বাসা থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

    তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নগরীর দামপাড়ায় পল্টন রোডে জনৈক পবন কান্তি নাথের বাসা থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধার করা শিশুকে আদালতের মাধ্যমে মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • অনলাইন নিউজের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

    অনলাইন নিউজের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

    চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিস থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসময় চুরির সাথে সম্পৃক্ত চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

    নগরীর ষোলশহর ও বায়েজিদ এলাকায় শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জালাল উদ্দিন (২০), মো. সালাউদ্দিন (২২), সুমন খান (৩৩) ও সুজন খান (২৮)।

    পুলিশ জানায়, গত ৩১ অক্টোবর রাতে ষোলশহরের ওয়াহেদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ন্যাশনালনিউজবিডির অফিসটি চুরি হয়। ১ নভেম্বর অনলাইনটির সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির তার অফিস থেকে ল্যাপটপ ও ক্যামেরা চুরির কথা উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত সময়ের মধ্যে চোরাই মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি চুরির সাথে সম্পৃক্ত চার চোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চুরির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আন্তরিকতার সাথে চোরাই মালামাল উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। শনিবার রাতে ষোলশহর এলাকা থেকে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ থানার মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে চোরাইকৃত দুটি ভিডিও ক্যামেরা, দুটি ল্যাপটপ, একটি ডিএসএলআর এবং একটি স্ক্যানার মেশিন উদ্ধার করে এবং চোর চক্রের আরো দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহাদাত হোসেন।

  • কোতোয়ালি ও বন্দরে পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেফতার

    কোতোয়ালি ও বন্দরে পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা ও বন্দর থানা এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৭শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় দুজন ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় নগরীর কোতোয়ালি থানা আলকরন মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭শ পিস ইয়াবাসহ শ্যামল দাশ (৪০) নামে এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    নগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। গ্রেফতার শ্যামল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বাগড়া পশ্চিম মালোপাড়ার মৃত জিতেন্দ্র দাশের ছেলে।

    একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নগরীর বন্দর থানা বাকের আলী ফকিরের টেক মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। নগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অংসা থোয়াই মারমার নেতৃতে পরিচালিত এ অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    এসময় আব্দুর রহিম (৩৫) নামে অপর এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রহিম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হ্নীলা দক্ষিণ ফুলের ডেইল মীর কাশেমের ছেলে।

    নগর গোয়েন্দা পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার, নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার, নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় চুরি হওয়া এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে শিশুটি উদ্ধারের পর রবিবার ভোররাত পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে শিশু চোর চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিস্তারিত গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরবেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

  • সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে আলোচিত ডাক্তার শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর চারটায় নগরীর টাইগারপাস মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের ” গরীবের ডাক্তার ” খ্যাত শাহ আলম হত্যা মামলার আসামী সালাউদ্দিন ও টিপু নামের দুইজন রয়েছে।

    এরা ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক ডাকাতি ও ছিনিতাই করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই দলের প্রধান মো. সালাউদ্দিন আগেও জেল খেটেছেন। বের হয়ে আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে তারা ডাকাতি শুরু করে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান। আরো খবর : অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

    তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, দুটি টিপ ছুরি, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে আজ শনিবার ভোরে নগরী থেকে ১১জন ডাকাত অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা ডা.শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামী সালাউদ্দদিন ও টিপুকে শনাক্ত করে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মোহসীনকে জানায়। ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও সীতাকুণ্ড থানার ওসিও হত্যা মামলার দুই আসামির কথা স্বীকার করেন।

    উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়।

  • চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি একটি অস্ত্র ও গুলিসহ মো. মোবারক হোসেন (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গ্রেফতার মোবারক চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা ছদাকা ইউনিয়নের শিকদার পাড়ার গুরা মিয়ার বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। আজ শনিবার সকালে পতেঙ্গার টিকে গ্রুপ মোড়ের ওমেরা ট্যাংক টার্মিনাল এলাকা থেকে অস্ত্রসহ পতেঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    পতেঙ্গা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অস্ত্র বিকিকিনির উদ্দ্যেশে এক যুবক বর্ণিত স্থানে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশ দেখে মোবারক পালানোর চেষ্টা করে।

    ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার পর তার দেহ তল্লাশী করে একটি দেশীয় অস্ত্র ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার মোবারকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • বাকলিয়া থানা জামায়াত আমির আবুল মনসুর গ্রেফতার

    বাকলিয়া থানা জামায়াত আমির আবুল মনসুর গ্রেফতার

    নাশকতার মামলায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমির আবুল মনসুরকে তার চার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে বাকলিয়া থানা এলাকার আবুল মনসুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমীর আবুল মনসুরের বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫/৬টি মামলা রয়েছে।

    শনিবার ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার বাসায় বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি অভিযান চালায়। এসময় তার চার সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • চট্টগ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার সাত মামলার আসামি

    চট্টগ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার সাত মামলার আসামি

    দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও গুলিসহ সাত মামলার আসামি মনির প্রকাশ মেশিন মনির (৩২) কে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    বুধবার রাতে মনিরের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নগরীর পলোগ্রাউন্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়G গ্রেফতার মনির নগরীর কোতোয়ালি থানার পলোগ্রাউন্ড এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আসিফ মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, গ্রেফতার মনিরের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি ও খুলশী থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে অস্ত্র বিক্রির উদ্দ্যেশে মনির পলোগ্রাউন্ডে অবস্থান করছে গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

    পুুলিশের অবস্থান দেখে পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে মনির। তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় পৃথক আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আসিফ মহিউদ্দিন।

  • চট্টগ্রামে পিকআপভ্যানে লুকিয়ে ইয়াবা পাচারকালে ধরা কারবারি

    চট্টগ্রামে পিকআপভ্যানে লুকিয়ে ইয়াবা পাচারকালে ধরা কারবারি

    পরিবহনকাজে ব্যবহৃত পিকআপভ্যান এখন ব্যবহার হচ্ছে ইয়াবা পাচারে। পিকআপভ্যানে ইয়াবা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ বিশেষ চ্যানেল তৈরি করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে ইয়াবা কারবারিরা।

    চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিচক্ষনতায় বুধবার রাতে কোতোয়ালী থানা ফিরিঙ্গীবাজার এলাকায় জব্দ করা হয় এমনি এক পিকআপভ্যান। গাড়িটির বাম পাশের চাকার উপর বিশেষভাবে চেম্বারে (কুঠুরি) তৈরি করে সেখানে পাচারের উদ্দ্যেশে লুকিয়ে রাখা ছিল ১০ হাজার পিস ইয়াবা। এ কাজটি করেছে পিকআপ ভ্যানটির মালিক ও ভ্যান চালক মো. ফারুক (২৫)।

    গোপন সূত্রের খবরে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করার পাশাপাশি মো. ফারুক (২৫)কে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্যটি নিশ্চিত করে নগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস.এম. মোস্তাইন হোসেন।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে একটি পিকআপ ভ্যান চট্টগ্রামে প্রবেশ করছে এমন সংবাদ পেয়ে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। বুধবার রাত পৌনে ৮টার সময় পিকআপ ভ্যানটি চেকপোস্টের সামনে এলে গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশী করা হয়।

    প্রথমে ইয়াবা পরিবহণের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চালক ফারুক ভ্যানে ইয়াবা রাখার গোপন জায়গাটি দেখিয়ে দেন। ভ্যানের বাম পাশের চাকার উপর বিশেষভাবে তৈরি চেম্বারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার পিস ইয়াবা। এসময় ইয়াবা বহনের জন্য ভ্যান চালক মো. ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতার ফারুক কক্সবাজারের উখিয়ার খয়রাতি পাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতেয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান নগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস.এম. মোস্তাইন হোসেন।

  • মামাতো বোনকে ধর্ষণ করে গ্রেফতার হলেন ফুফাত ভাই

    মামাতো বোনকে ধর্ষণ করে গ্রেফতার হলেন ফুফাত ভাই

    চট্টগ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে ৯ বছরের মামাতো বোনকে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছে ফুফাত ভাই মো. ইসমাইল (৩২)।

    মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড সিন্দিপাড়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ফুফাত ভাই মো. ইসমাইল (৩২)কে পুলিশ আটক করে। আটক ইসমাইল ওই বাড়ির অজিউর রহমানের ছেলে। সে চট্টগ্রাম শহরে একটি পান দোকান ব্যবসায়ি বলে জানা গেছে।

    এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর রবিবার ধর্ষক ইসমাইলের মা তার ভাই বোন ও ইসমাইলসহ উপজেলার উপজেলার উত্তর জলদি মামা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। একদিন পরম মঙ্গলবার বিকালে ইসমাইলের মা তার ভাইকে নিয়ে স্থানীয় এক বৈদ্য বাড়িতে যায়।

    এসময় শিশুটির মাও বাড়িতে না থাকায় নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মামাত বোনকে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে ইসমাইল। শিশুটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এলে ইসমাইল পালিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়।

    ওইদিন রাতে শিশুটির মা ঘরে ফিরলে তার মাকে সব খুলে বলে ধর্ষিত শিশুটি। এরপর শিশুটির মা বিষয়টি পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সুলতানা রুজিকে অবহিত করলে তিনি বাঁশখালী থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।

    বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দীন জানান, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সুলতানা রুজিকে নিয়ে শিশুটির মা থানায় এসে অভিযোগ করলে ওইদিন রাতেই বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি টিম চাম্বল এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড সিন্দিপাড়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ইসমাইলকে গ্রেফতার করে আনে।

    তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আজ বুধবার চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সকালে শিশুটির মা বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় ইসমাইলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

  • চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৪

    চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৪

    চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৪ ইয়াবা কারবারি। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫শ ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা কেসিদে রোড ও ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার সময় একই থানা এলাকার টেরিবাজারে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    নগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান পৃথক ২ অভিযানে ৪ জন গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানা সিনেমা প্যালেস কেসি দে রোড এলাকায় বিক্রির উদ্দ্যেশে ইয়াবা নিয়ে কতিপয় যুবক অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় ৩ শ ১০ পিস ইয়াবাসহ মো. মোবারক হোসেন (৩৫) ও শ্রীকান্ত চন্দ্র দাশ প্রকাশ সাইফুল ইসলাম (২৪) নামে দুই ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।

    এছাড়া একই থানা এলাকার টেরিবাজার আন্দরকিল্লা এলাকায় বুধবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে অপর দুজন ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২শ ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উত্তর বরইতলী মহাজন পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জুনাইদ (২৮) ও একই এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে মো. ইসমাঈল (২৭)।

    গ্রেফতার চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • বোয়ালখালীতে গ্রেফতার ৪, মদ-ইয়াবা উদ্ধার

    বোয়ালখালীতে গ্রেফতার ৪, মদ-ইয়াবা উদ্ধার

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় ২শত ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৩ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা ও পৌর সদরে এ অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গুচ্ছগ্রাম নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (৩০) আটক করা হয়।

    তার দেহ তল্লাশী করে কোমড়ে লুঙ্গির সাথে মোড়ানো গোলাপী রঙের ২শত ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ফতেয়ারখীল এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে।

    এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান সরকার বাদী হয়ে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

    এর আগে বিকেল ৫টার দিকে জ্যৈষ্ঠপুরা ভান্ডালজুড়ি সড়কের ৩নং ব্রীজ এলাকা থেকে মোটর সাইকেলে করে চোলাই মদ পরিবহণের সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালানোর চেষ্টা চালায় ৩ আরোহী। এ সময় একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ মোটর সাইকেল আরোহী উপজেলার বিদ্রগ্রাম এলাকার বিশু মেম্বার বাড়ীর মৃত প্রিয়জিৎ মিত্রের ছেলে পাপ্পু মিত্র (২২) ও শিব মহাজনের ছেলে রনি মহাজনকে (২০) আটক করে ।

    তাদের সাথে থাকা ৫লিটার চোলাই মদ ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন থানার উপ-পরিদর্শক বাসু দেবনাথ।

    এছাড়া রাত ৯টার দিকে পৌর সদরের গোমদন্ডী ফুলতল এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ৮ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    এ সময় নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার দিনমনির হাট এলাকার আনোয়ার হোসেনর ছেলে আইয়ুব খানকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।