Tag: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

  • ডিবির গাড়িতে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গয়েশ্বরকে

    ডিবির গাড়িতে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গয়েশ্বরকে

    বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

    শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ডিবি গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয় থেকে ডিবির গাড়িতে করে তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

    এর আগে দুপুরে ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

    পরে তিনি অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশলাইনস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়।

    সেখানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় ২ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবি কার্যালয় থেকে ডিবির গাড়িতে করে গয়েশ্বরকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

    ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।

    পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াবাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল বিএনপিসহ দলটির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের। তবে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিএনপি ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয়।

  • রাজধানীর তিন প্রবেশমুখে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আমান-গয়েশ্বর আটক

    রাজধানীর তিন প্রবেশমুখে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আমান-গয়েশ্বর আটক

    সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর ধোলাইখাল, গাবতলী ও উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার ১১টা থেকে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

    রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তাদের সরাতে যায় পুলিশ। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বেলা ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হয়েছেন। তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ সাত আটজনকে আটক করা হয়েছে।

    এদিকে গাবতলী খালেক সিএনজি পাম্পে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মাইক ও চেয়ার নিয়ে যায়। এসময় বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানকে আটক করা হয়েছে। এখানে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।

    পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

    এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতাকর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানান। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চারপাশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলেন। তখনই দুই দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়।

    এরই একপর্যায়ে আমান উল্লাহ আমান অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। প্রায় দু-তিন মিনিট তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।

    অন্যদিকে আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা জসিম উদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। বিএনপিকে সড়ক অবরোধ ঠেকাতে পুলিশের পাশপাশি আছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখানেও পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।

    এর আগে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রিজন ভ্যান, এপিসি, জলকামানসহ নানা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা।

  • গয়েশ্বরের বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

    গয়েশ্বরের বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

    সোমবার রায়েরবাজারের শেরেবাংলা সড়কে গয়েশ্বরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পৌনে দুই লাখ টাকার বকেয়া বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় সাতটি ডবল বার্নারের জন্য বকেয়া বিল ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৮ টাকা। তিনি সর্বশেষ বিল জমা দিয়েছেন ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ মাস কোনো বিল পরিশোধ না করলেও নিয়মিত চুলাগুলো ব্যবহার করছিলেন।

    জরিমানাসহ বকেয়া পরিশোধ করলে আবার সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

  • বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    হত্যার হুমকির দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির তিন নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

    জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

    এর আগে সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করেন।

    বাদীপক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন।

    গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। এরপর বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

    মামলায় এই তিনজন ছাড়াও আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে বলা হয় ‘বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছেন বাদী।’

    চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কাজেই এ বি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।’

    আরজিতে আরও বলা হয়, ‘এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এ বি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এইবার বাদী বাঁচতে পারবেন না বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।’

    মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘এ ধরনের চিঠি পেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। তারপরও হুমকি পেয়ে তিনি মামলা করলেন। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।’