Tag: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

  • আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ফ্রি শাক-সবজি বিতরণ করল স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন

    আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ফ্রি শাক-সবজি বিতরণ করল স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন

    আনোয়ার(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলা ৩ নং রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বার আউলিয়া গ্রামে পানি ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ফ্রি শাক-সবজি বিতরণ করে স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন।

    শুক্রবার ( ২৯ মে ) প্রান্তিক চাষীদের হাতে উৎপাদনের মূল লভ্যাংশ পৌঁছানোর লক্ষ্যে আনোয়ারার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সরাসরি প্রান্তিক সবজি চাষীদের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে বসানো হয় এই অস্থায়ী বিনামূল্যে সবজির বাজার৷

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ফ্রি শাক-সবজি বিতরণের সময় স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন সভাপতি আলীনুর জেমস বলেন, করোনা মহামারি মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আনোয়ারা ৩ নং রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বার আউলিয়া গ্রামের পানি ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্হ্যবিধি মেনে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে অস্থানীয় শাক-সবজি বাজার বসিয়ে ফ্রি শাক-সাবজি বিতরণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রমণে শুরু থেকে আনোয়ারা উপজেলায় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা আসতেছে। স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন৷ ভবিষ্যৎ তে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    ফ্রি শাক-সাবজি বিতরণের সময় স্বপ্নের আনোয়ারা ফাউন্ডেশন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সবুজ, শাহেদ মাহমুদ, মহিউদ্দিন, দিদার, আলমগীর, বাশার, বক্কর, হুমায়ুন, মফিজ, মহিউদ্দিন মন্টু, শহীদ, সাদ্দাম প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জাবেদুল

  • মমতাকে ফোন করে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মমতাকে ফোন করে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বয়ে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে। আম্ফানের কারণে বাংলাদেশের উপকূলের মতো পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি শহর তছনছ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজখবর এবং সহমর্মিতা জানাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে টেলিফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করেন। এ সময় তিনি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজখবর নেন এবং সহমর্মিতা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ১০ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে টেলিফোন করেন এবং পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তার কাছে জানতে চান।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আম্ফানে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি সমবেদনা জানান এবং অচিরেই রাজ্য সরকার এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সমর্থ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

    প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আরও বলেন, সমবেদনা জ্ঞাপন করায় মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

    উল্লেখ্য, বুধবার (২০ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে, হাওড়া, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক এলাকায়। হাজার হাজার কাঁচা বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে গেছে আম্ফানের ভয়াল থাবায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন কলকাতায়।

    একই দিন বিকালে তীব্র ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি ঝরিয়ে সাগর থেকে উপকূলে উঠে আসে আম্ফান। তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অংশের ওপর আঘাতের পর আম্ফানের বাংলাদেশ অংশটি উঠে আসে স্থলভাগে।

    আম্ফানের কারণে বৃহস্পতিবার (২১ মে) পর্যন্ত সারাদেশে শিশুসহ ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে যশোরে ১২, সাতক্ষীরায় দুই, ভোলায় দুই, পিরোজপুরে দুই, পটুয়াখালীতে তিন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুরে একজন করে রয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই মারা গেছেন গাছচাপা পড়ে।

    কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে দেশে মোট এক লাখ ৭৬ হাজার সাত হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এসব জমিতে থাকা বিভিন্ন ফসলের ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে।’

    এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে দেশের এক হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ, রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্টসহ অবকাঠামোর পাশাপাশি ঘরবাড়ি, কৃষি ও চিংড়ি ঘেরসহ মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাতক্ষীরার চার উপজেলার কমপক্ষে ২৬টিরও বেশি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বিধ্বস্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ঘরবাড়ি। আম্ফানের প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একাংশ নিয়ে গঠিত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ২১ জেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে : সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে : সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এখন গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছে।

    আবহাওয়াবিদ মো, আবদুর রহমান খান আজ সকালে জানান, ঝিনাইদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে আজ সকাল ৯টায় রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল।

    এটি আরও উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।

    সকাল সাড়ে ৯টায় পাঠানো আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকবে।

    মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য এবং অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাচল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

    সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আম্ফানে বিদ্যুৎহীন ৩৩ লাখ মানুষ

    আম্ফানে বিদ্যুৎহীন ৩৩ লাখ মানুষ

    বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) কর্মকর্তারা।

    বিআরইবি-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মইনউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার (২০মে) সন্ধ্যা থেকে অধিকাংশ উপকূলীয় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। লোডশেডিং এর অন্ধকারে নিমজ্জিত এই জেলাগুলো হলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর।

    বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা থাকলেও, সাতক্ষীরা ও খুলনায় প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

    এ ছাড়া, বরিশাল শহরসহ বিভাগের প্রায় তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম জোন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য কুমার।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান:পটুয়াখালীতে নৌকাডুবে উদ্ধারকর্মী ও গাছচাপায় শিশুর মৃত্যু

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান:পটুয়াখালীতে নৌকাডুবে উদ্ধারকর্মী ও গাছচাপায় শিশুর মৃত্যু

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানতে শুরু করেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে। প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিপিপির টিম লিডার এবং গাছচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাইক্লোন শেল্টারে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে বুধবার সকালে নৌকা ডুবে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপির টিম লিডার মো. শাহ আলমের মৃত্যু হয়।

    এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মো রাশেদ (৫) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে নিহত হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড বেগে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি বইছে। সন্ধ্যার পর থেকে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আচরে পড়ছে। ঝড়ে গলাচিপার পানপট্টি বাজারের ১০-১২টি দোকান উল্টে পড়েছে।

    পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কলাপাড়ার ও রাঙ্গাবালীর উপজেলার ১৭টি চরের ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

    এ পর্যন্ত জেলায় ৭৫৩টি সাইক্লোন শেল্টারে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ এবং ৮০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল থেকে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষদের ট্রলারযোগে মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নেয় প্রশাসন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আম্ফান নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন প্রস্তুতি ও সচেতনতা:চসিক মেয়র

    আম্ফান নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন প্রস্তুতি ও সচেতনতা:চসিক মেয়র

    আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর আজ সকাল থেকে নগরীর উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আম্ফান সুপারসাইক্লোন মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম কার্যক্রম পরিদর্শন শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন।

    এসময় পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকত, পতেঙ্গার আশপাশ এলাকা, হালিশহর, ৪১ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্র সমূহও পরিদর্শন করেন তিনি।এসময় মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্কতামূলক মাইকিং কার্যক্রম, সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রমও তদারকি করেন।

    তিনি স্বেচ্ছাসেবককদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা সংক্রমেনর বিস্তার বৃদ্ধির মধ্যেই আম্ফান সুপার সাইক্লোন মরার উপর খাড়ার ঘা। তারপরেও প্রাকৃতিক এই দূর্বিপাক ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহস না হারিয়ে প্রত্যেকেরই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সার্বক্ষণিকভাবে নগরবাসীর পাশে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনে নিবেদিত।

    পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রোলরুম সার্বক্ষণিকভাবে সক্রিয় রযেছে। যে কোন সহযোগিতার জন্য ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯-তে যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীকে সিটি মেয়র অনুরোধ জানিয়েছেন।

    এসময় মেয়র আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রীতদের মাঝে শুকনো খাবার ও বোতলজাত সুপেয় পানি,মোবাতি,দিয়াশলাই ও প্রয়োজনীয় জরুরী ওষুধপত্র প্রদান করেন।

    তিনি আরো বলেন, আম্ফান সাইক্লোন পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দূর্গতের দ্রুত পুণর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হবে। এ নিয়ে নগরবাসীকে উদগ্রীব না হয়ে সুশৃঙ্খলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে নিয়ম চলার আহবান জানান মেয়র।

    করোনা সংক্রমণ এবং আম্ফান সাইক্লোন মোকাবেলায় মানসিক প্রস্তুতি ও আত্ম মনোবলে উদ্বুর্দ্ধ হওয়ার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, বাস্তবতা আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অফুরন্ত শক্তি যোগাতে পারে। সবচেয়ে বড় ভরসা ও আস্থা মহান আল্লাহর প্রতি। তিনি অবশ্যই আমাাদের রক্ষা করবেন।

    তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রীতদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে সামাজিক বা শারিরিক দূরত্ব সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • আম্পানের প্রভাব: লক্ষ্মীপুরে উপকূলজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক!

    আম্পানের প্রভাব: লক্ষ্মীপুরে উপকূলজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক!

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। ঝুঁকিতে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের উপকূলের বাসিন্দারা। প্রতিমুহুর্তে মুহুর্তে আসে দমকা হাওয়া। সাথে আছে পসলা বৃষ্টি। একদিকে যেমন পাকা ধান, সয়াবিন,ডাল তোলার এখনো বাকি তেমনি আম,জাম, কাঁঠাল, জামরুলসহ বিভিন্ন ফলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

    বুধবার (২০ মে) সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে তীব্র স্রোত ও প্রবল ঢেউ উঠছে। বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে রয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।

    সূত্র জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে লক্ষ্মীপুরকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    আম্পানের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। গত দুই-তিন দিনের চেয়ে বুধবার নদীতে পানির উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট বেড়েছে। উপকূলে প্রবল বাতাস বইছে। একইসঙ্গে মেঘনা উত্তাল হয়ে পড়ায় উপকূলে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষগুলো আবার বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।

    মেঘনা উপকূলীয় এলাকা কমলনগরের মতিরহাট, বাত্তিরখাল ও রামগতি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার মেঘনার পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ফুট বেড়েছিল। এছাড়া রাতভর বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

    বুধবার সকালে মেঘনা আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। পানির উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ৩ ফুট। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলজুড়ে।

    দুপুর ১২টার দিকে প্রবল বাতাস ও নদীর পানির ঢেউয়ের আঘাতে রামগতিঘাটে একটি মাছ ধরার নৌকা ভেঙে গেছে।

    অন্যদিকে সারা বছরই কমলনগর উপজেলায় মেঘনার তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত থাকে। এই উপজেলার লুধুয়া, ফলকন, চরকালকিনিসহ মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর, সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা। প্রতিদিনই ভাঙন আতঙ্কে দিনকাটে এই উপকূলের বাসিন্দাদের।

    আম্পানের প্রভাবে মেঘনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এতে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলজুড়ে। এ কারণে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে রাজি হচ্ছেন না উপকূলের বাসিন্দারা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪০ বছরেও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলে ভাঙন আতঙ্ক কাটেনি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নদী শাসনের কাজ করবেন বলে বরাবর ভোটারদের আশ্বাস দিয়ে আসছেন। কিন্তু ভোট শেষ হয়ে গেলে তারা ভুলে যান নদী শাসনের কথা। উপকূলের অসহায় মানুষগুলোর পাশেও দাঁড়ান না প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনপ্রতিনিধিরা।

    কমলনগর উপজেলার লুধুয়া এলাকার বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, মেঘনায় প্রবল স্রোত বইছে। এতে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যেতে পারে। বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে প্রবল বেগে বাতাস বইছে। কিছুক্ষণ সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে, আবার কিছুক্ষণ পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে উপকূলের মানুষের মাঝে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সীতাকুণ্ডে ব্যাপক প্রস্তুুতি

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সীতাকুণ্ডে ব্যাপক প্রস্তুুতি

    কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্নিঝড় আম্ফান এর মোকাবেলা প্রস্তুুতি দেখতে সীতাকুণ্ডের কুমিরা-সন্দ্বীপ ঘাট এলাকায় পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) এ জেড এম শরীফ হোসেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর ঝুঁকি এড়াতে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুুতি নেওয়া হয়েছে।

    পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে।

    এছাড়া দূর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালিন ও দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

    এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে জীবনুনাশক স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে।

    সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষিত ভোলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    জরুরী চিকিৎসা সেবায় একটি এ্যাম্বুলেন্স, ১৫ টি মেডিকেল টীম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    এছাড়াও ২২ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, ২০ হাজার মেট্টোনিজল ট্যাবলেট এবং পযাপ্ত শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি মজুদ রাখা হয়েছে।

    এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সেচ্চসেবক টিমকে প্রস্তিত রাখা হয়েছে বলে জানান সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • আম্ফানের ক্ষতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    আম্ফানের ক্ষতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    আম্পানের ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বাংলাদেশে ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলার সার্বিক তদারকির অংশ হিসেবে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের বৈঠকে একথা বলেন তিনি।

    গণভবনে বুধবার (২০ মে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই উচ্চপর্যায়ের সভা।

    এতে অংশ নেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সদস্যরা। সভায় প্রলয়ঙ্করী এই ঝড় থেকে জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

    এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়-আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতি সামাল দিতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা জারি রেখেছেন শেখ হাসিনা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অধিবাসীদের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

    চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

    সুপার সাইক্লোন আম্ফান উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজারকে মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলের জন্য দেওয়া হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

    বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    এর আগে সকাল ছয়টার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে বিপদ সংকেত বাড়িয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়। আর ১০টার একটু আগে আবহাওয়ার ৩২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

    এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • উপকূলের আরো কাছে আম্ফান, ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

    উপকূলের আরো কাছে আম্ফান, ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

    দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো কাছে এসেছে। উপকূল ৩৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।

    খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

    বুধবার (২০ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    এতে আরো বলা হয়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    এ অবস্থায় মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : রাউজানে ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : রাউজানে ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে রাউজান উপজেলা প্রশাসন। রাউজানে ২টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি অস্থায়ী ভাবে আরো ১০৮টি সহ ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষকে সতর্ক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এবং রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শক্রমে উপজেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়। রাউজানে ১৪টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভা করে স্ব স্ব ইউনিয়নে দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

    রাউজানে দুর্যোগ মোকাবেলায় রাউজান থানা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আনসার প্রস্তুত আছে। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    এছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটসসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছে।

    উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একাধিক টিম কাজ করবে। রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়নে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে করো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সার্বিক সহায়তা পায়।

    তাছাড়া ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও প্রয়োজনে মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য রাউজানের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানসমূহের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টানসমূহে দপ্তরি, নৈশ প্রহরী দের চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে যাতে করে মানুষ দুর্যোগময় মুহুর্তে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো জানান, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে এলাকায় মানুষ যাতে নিরাপদ থাকে সেজন্য রাউজানের সাংসদ সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

    সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শে উপজেলায় দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় রাউজান উপজেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর