Tag: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চসিকের

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চসিকের

    বিশ্বময় মহামারি করোনার মধ্যেই বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার রাতেই। এর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বেড়েছে তাপপ্রবাহ, জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য রয়েছে ৬ নম্বর সর্তক সংকেত। পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুপার ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে চট্টগ্রাম ও বরিশালে মাঝামাঝি উপকূলে।

    গতকাল সোমবার থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ ম নাছির উদ্দীন এর নির্দেশে চসিক এর পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দামপাড়াস্থ কন্ট্রোলরুম হতে সার্বক্ষণিক যোগাযো রক্ষা করা হচ্ছে নগরীর ঝূকিপূর্ণ ওয়ার্ড ৫, ৭, ৯, ১০, ১১, ২৬, ৩৪, ৩৫, ৩৭, ৩৮,৩৯, ৪০ ও ৪১ এর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের সাথে। এই সমস্ত এলাকার বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে চসিকের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে করা হচ্ছে মাইকিং।

    এছাড়া দূর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালিন ও দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে তৎসংশ্লিষ্ট সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জীবনুনাশক স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষিত ভোলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরী চিকিৎসাসেবায় চসিকের মেডিকেল টীম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    আজ সকালে দামপাড়স্থ চসিক কন্ট্রোলরুমে ঘূর্ণিঝড় আস্ফান বিষয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে চসিকের পক্ষ থেকে এইসব তথ্য জানানো হয়।

    বৈঠকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌলশী সুদীপ বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ঘূর্ণিঝড়ের আম্ফান-এ ভীত না হয়ে মনোবল নিয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগ নতুন নয়। এর পূর্বেও আমরা বহু প্রাকৃতিক দূর্যোগের মোকাবেলা করেছি। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই আমাদের প্রস্তুতির আয়োজনও ভিন্ন। নগরবসীর জান-মাল সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। আমাদের নির্দেশনা মেনে সমন্বিতভাবে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করলে আমরা এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। তবে যেহেতু এখন করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে তাই অবশ্যই তাড়াহুড়ো না করে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে ও সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্য সম্পাদন করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কীত যে কোন প্রয়োজনে আমাদের কন্ট্রোল রুম ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯-তে যোগাযোগ করলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    সিটি মেয়রের ত্রাণ বিতরণ: আজ দুপুরে আন্দরকিল্লা ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের ২ শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

    এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান, জাবেদুল আলম সুমন, সোয়েবুল হক, ওয়াহেদ রাসেল, আবু হেলাল শাকিল, মামুনুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রদত্ত অভুক্ত কুকুরদের খাবার খাওয়ান।

    এসময় এলাকা ভিত্তিক পশুপ্রেমী সংগঠন সেইড এ্যানিমেল ফাউন্ডেশন ও সোস্যাল এন্ড এ্যানিমেল এক্টিভিটি চট্টগ্রাম এর সদস্যদের হাতে কুকুরের জন্য রান্না করা খাবার তুলে দেন। তারা এলাকায় এলাকায় গিয়ে অভুক্ত কুকুরদের এই খাবার পরিবেশন করবেন।

    এসময় এসব সংগঠনের মোহাম্মদ ফারুক, আমির ইসাবা ফারুক, সুরাইয়া আকতার, সনেট বাপ্পা, রবিন বণিক, তানভির, সাইমুল উপস্থিত ছিলেন।

    বিলবোর্ড অপসারণ করলো
    চসিকের মোবাইল কোর্ট

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার এবং স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    অভিযানকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকার দালানের দেয়ালের সাথে স্থাপিত চারটি অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়। এসময় অবৈধভাবে দালানের সাথে বিলবোর্ড স্থাপনের দায়ে জাকির হোসেন রোডের খুলশী ১নং রোডের মাথাস্থ ভবন মালিক জনৈক আবুল হোসেন কে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ শেষরাতে আঘাত হানবে আম্ফান,৫-১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা

    আজ শেষরাতে আঘাত হানবে আম্ফান,৫-১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা

    খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাতে আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্ফান।

    তারপর থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। এ সময় ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

    মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

    তাতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    বর্তমানে সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

    এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৯টায় (১৯ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    সুপার সাইক্লোন আম্ফান গত রাতের ১২ ঘণ্টায় বাংলাদেশের দিকে এগিয়েছে ১৬৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ গড়ে ১৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোনটি।

    বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সোমবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দূরে এবং আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) ভোর ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল আম্ফান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে আম্ফান, বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

    ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে আম্ফান, বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

    ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়েছে উঠছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এটি উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই এটি সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানের’ মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    আজ রবিবার (১৮ মে) বিকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসে এমনটাই জানানো হয়েছে।

    আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহটি, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহেও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    এর আগে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ অতি প্রবল রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

    এদিকে সোমবার বিকালে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভালো, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসজ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় সংকেত ব্যবস্থায় ৫ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত একই মাত্রার ঝুঁকি বোঝায়। বন্দরের ডান দিক দিয়ে ঝড় গেলে ৬ এবং বন্দরের ওপর বা আশপাশ দিয়ে গেলে ৭ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়। দুই ক্ষেত্রেই নিশানে দুটি লাল রঙের সংকেত পতাকা দেখানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব শুরু

    আজ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব শুরু

    শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে বঙ্গোপসাগরে তার তাণ্ডব শুরু করতে যাচ্ছে।

    বৈশ্বিক আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা আকু এক প্রতিবেদনে এ আভাস দিয়েছে।

    আকু জানিয়েছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব থাকবে ৩০ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে। এজন্য আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে তার তাণ্ডব শুরু হবে। আর ২ মের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    তবে এই ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী হবে এবং ঠিক কোন এলাকায় আঘাত হানবে তা সঠিক করে এখনো বলা সম্ভব হয়নি। তবে ৩ মের মধ্যে মিয়ানমারে আঘান হানতে পারে। এরপরে বাংলাদেশ ও ভারতের দিকে ধাবিত হতে পারে।

    বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, ‘আম্ফান’ বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান তালিকার এটিই শেষ নাম। ৬৫তম ঘূর্ণিঝড়ের নামের জন্য ডব্লিউএমও আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থা আরএসএমসির কাছে নামের তালিকা চেয়েছে। এই অঞ্চলে আরএসএমসির সদস্য বাংলাদেশসহ ১৩ দেশ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর