Tag: ঘূর্ণিঝড়

  • উপকূলের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ : সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সংকেত

    উপকূলের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ : সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সংকেত

    উপকূলের আরও কাছাকাছি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৯.৪০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

    মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিমি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিবড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৯ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • ৯ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা

    ৯ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা

    দেশের ৯ জেলার উপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

    সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    আবহাওয়া সংক্রান্ত আরেকটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

    এ ছাড়া মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

    আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

  • সন্ধ্যার মধ্যেই আঘাত হানবে ‘গুলাব’, সতর্কতা জারি

    সন্ধ্যার মধ্যেই আঘাত হানবে ‘গুলাব’, সতর্কতা জারি

    দ্রুতই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যেই ভারতের ওড়িশা প্রদেশের গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়ার কথা ঝড়টির।

    এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি না পড়লেও দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই মিলছে না পশ্চিমবঙ্গের। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলোতে। সেইসঙ্গে কলকাতাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আগেই। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলা দলও। একই চিত্র রাজ্যের উপকূলীয় এলাকাতেও। মাইকে প্রচার করে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন।

    এরই মধ্যে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কথা। সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সেটি বাংলার উপকূল এলাকায় পৌঁছবে।

    আর তারই প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার ভারতের কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে উপকূলের জেলাগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।

    এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর রোববার সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব আরও অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    এন-কে

  • আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল, উপকূলবাসী ৩০ বছর পরও ভুলতে পারেনি সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি

    আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল, উপকূলবাসী ৩০ বছর পরও ভুলতে পারেনি সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি

    কামরুল ইসলাম দুলু : আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহত হয় দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, সর্বস্ব হারিয়েছেন এক কোটি মানুষ। চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়।

    এতে নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী ও হাতিয়া অঞ্চলের। এছাড়া আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, চকরিয়া ও পেকুয়ার অনেক লোকজন নিহত হন। সীতাকুণ্ডে মারা যায় তিন হাজারের বেশি মানুষ। প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও কয়েক লাখ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়।

    ‘ম্যারি এন’ নামে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আর এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পূরো উপকূল। স্মরণকালের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরো বেশি। মারা যায় ২০ লাখ গবাদিপশু। গৃহহারা হয় হাজার হাজার পরিবার। ক্ষতি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ। উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি। শতাব্দীর প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চল মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। প্রলয়ঙ্করি এই ধ্বংসযজ্ঞের ৩০ বছর পার হতে চলেছে। এখনো স্বজন হারাদের আর্তনাদ থামেনি। ঘরবাড়ি হারা অনেকে মানুষ এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে পারেনি।ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ৩০ বছর অতিবাহিত হলেও উপকূলীয় মানুষের সুরক্ষায় নেয়া হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। সাগরে কোনো লঘুচাপ, নিম্নচাপ কিংবা মেঘ দেখলেই আতঙ্কে চমকে ওঠেন উপকূলবাসী।

    সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন মোঃ গিয়াস উদ্দিন সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন,১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের ধ্বংসযজ্ঞ। ঘূর্ণিঝড়ের পরদিন লাশের স্তূপ জমে গিয়েছিল। শুধু মানুষ নয়, গরু-ছাগল-মহিষ আর মানুষের মৃতদেহে একাকার হয়ে গিয়েছিল সেদিন। চারিদিকে লাশ আর লাশ। কোনও রকম ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মানুষ ও পশু মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল সেদিন। ৩০ বছর পরও সেইদিনের স্নৃতি চোখে জ্বল জ্বল করছে। এদিকে প্রতিবছরের মতো বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি স্মরণ এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় নানা কর্মসূচি পালন করছে।

  • আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’

    আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’

    ২৪ ঘণ্টা জাতীয় নিউজ ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসে এমনিতেই দিশেহারা বিশ্ব। তার উপর টানা ১২ ঘণ্টার মতো তাণ্ডব চালিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে উপকূল লণ্ডভণ্ড করেছে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।

    সুপার সােইক্লোন আম্ফানে ভারতে ৮৪ এবং দেশে ১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত। ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে বহু এলাকা। আম্ফান ছিল বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড়। এরপর যে মহাপ্রলয় আসছে তার নাম হবে ‘নিসর্গ’।

    ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে ২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে।

    নিসর্গ নামটি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ফণী ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটিও প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশে উপকূলে। আম্ফান নামটি দিয়েছিল থাইল্যান্ড। যার অর্থ আকাশ। কিন্তু সুন্দর এই নামটি এখন মানুষের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    সেক্ষেত্রে আম্ফানের পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপের প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম), ইয়াস (ওমানের প্রস্তাবিত)।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ভারতে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবা

    ভারতে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবা

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা। লণ্ডভণ্ড পুরো কলকাতা। তাণ্ডবে কলকাতা শহর ও বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে।

    বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়েছে রাস্তার উপর। এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটি। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতেও আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। কলকাতা বেহালার বীরেন রায় রোডে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান থাবা বসিয়েছে।

    আম্পানের তাণ্ডবে সৌরভের বাড়িতে বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একটি আমগাছ। ২১ মে, বৃহস্পতিবার সেই গাছটিকে আগের অবস্থানে ফেরাতে অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে। গাছের ডালে দড়ি বেঁধে আমগাছটিকে আবার পুরনো জায়গায় স্থাপন করে দেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ।

    ওই ছবি টুইটারে পোস্ট করে সৌরভ লিখেছেন, ‘এই বয়সে লড়াই করে ঘাম বেরিয়ে গেলো’ আম্পানের আঘাতে হেলে পড়া আমগাছকে রক্ষার ওই ছবি এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।আম্পানের আঘাত হেনেছে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে

    প্রসঙ্গত : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। বৃহস্পতিবার নবান্নে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    রাজ্যের বিপর্যয় আইনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছেন। ৭ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ২৪ ঘণ্টা সারাদেশ ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার সন্ধ্যার দিকে প্রথম সুন্দরবনে আঘাত হানে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। প্রবল বেগের এই ঝড় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দেয়।

    রাত দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং নৌকাডুবিসহ দেশের বিভিন্ন উপকুলীয় অঞ্চলে নানা দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

    বুধবার বিকেল থেকে আম্পান উঠে আসতে শুরু করে স্থলভাগের দিকে। ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগের এই ঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে উপকূলের ১৯ জেলায় অন্তত ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে।

    আবহাওয়া অফিস সূত্রে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১৩৫ কিলোমিটার বেগে যশোর অতিক্রম করছিল। রাত পৌনে ৩টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঝিনাইদহে অবস্থান করছে। তবে এটি ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।

    জানা যায়, আম্পানের মূল কেন্দ্র দিঘা, উড়িশার পর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অতিক্রম করতে শুরু করে। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পশ্চিম উপকূলে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে জোয়ার শুরু হলে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়। এতে প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা।

    প্রবল ঝড়ে গাছচাপায় সাতক্ষীরা শহরে গৃহবধূ, যশোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-মেয়ে, পটুয়াখালীতে শিশুসহ দু’জন, কলাপাড়ায় নৌকাডুবিতে একজন, পিরোজপুরে দেয়ালচাপায় একজন, ভোলার চরফ্যাসনে গাছচাপায় একজন, বরগুনায় একজন এবং লক্ষ্মীপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    এবারও সুন্দরবন ঢাল হয়ে দাঁড়ানোয় উপকূলীয় জনপদে জীবন ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে, বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অনেক বাঁধ। গাছপালা উপড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার ৫১ লাখের মতো গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর আগেও সিডর-বুলবুলের আঘাত আসে সুন্দরবনে। এই সুন্দরবনই বাঁচিয়ে দেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    এদিকে, আম্পানের সার্বিক পরিস্থিতি গণভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। গতকাল দুপুরের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয় বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত/ সমুদ্র উত্তাল,উপকূলে দমকা হাওয়া-বৃষ্টি

    মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত/ সমুদ্র উত্তাল,উপকূলে দমকা হাওয়া-বৃষ্টি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্পান এখন চলে এসেছে উপকূলের খুব কাছাকাছি। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

    তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতই দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

    আজ সন্ধ্যার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দমকা হাওয়াসহ গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

    রাজধানী ঢাকায়ও গত রাত গুড়ি বৃষ্টি চলছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর এটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ০৬ টায় (২০ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

    উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    উপকূল ও চরের নিম্নাঞ্চলে ১০-১৫ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে সাইক্লোন শেল্টার নেয়া হয়েছে বহু মানুষকে। উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রস্তুতি আছে সেনা, নৌবাহিনী, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ উত্তাল সাগর, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সমুদ্রবন্দরে

    ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ উত্তাল সাগর, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সমুদ্রবন্দরে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    ঝড়টি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় সাতক্ষীরা অথবা সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূল হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

    আকুওয়েদার’ এবং ‘সাইক্লোকেইন’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে ‘আম্পান’র সম্ভাব্য গতিপথ হিসেব এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে। ‘আকুওয়েদার’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে দেওয়া ‘আম্পান’র সম্ভাব্য গতিপথে দেখা যায়, এটি ভারত সীমান্ত ঘেঁষে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

    এটি রোববার (১৭ মে) সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। যা আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

    এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ (দুই) নম্বর হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল:দুঃসহ সেই রাতের স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি উপকূলবাসীসহ বিশ্ববাসী

    আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল:দুঃসহ সেই রাতের স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি উপকূলবাসীসহ বিশ্ববাসী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক::: ২৯ এপ্রিল।এদিন ‘ম্যারি এন’ নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় লণ্ডভণ্ড করে দেয় দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পূরো উপকূল। লাশের পরে লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিকে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল।

    দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে সেদিন প্রত্যক্ষ করেছিল প্রকৃতির করুণ এই আঘাত।প্রাকৃতিক দূর্যোগের এতবড় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এদেশের মানুষ এর আগে আর কখনো হয়নি।

    পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল সেই ধ্বংসলীলা দেখে। কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব বিবেক।

    বাংলাদেশে আঘাত হানা ১৯৯১
    সালের ঘূর্ণিঝড় নিহতের সংখ্যা বিচারে পৃথিবীর ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

    ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল রাতে বাংলাদেশে-র দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানা এ ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ২৫০ কিমি (১৫৫ মাইল/ঘন্টা)।

    ঘূর্ণিঝড় এবং তার প্রভাবে সৃষ্ট ৬ মিটার (২০ ফুট) উঁচু জলোচ্ছ্বাসে আনুমানিক ১৩৮,০০০ জন মানুষ নিহত এবং প্রায় এক কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়।

    ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণিঝড় বা ঘুর্নিবাত্যা হল ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া (low pressure system) যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে।

    সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা অনেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে দায়ী করেছেন।

    ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রের তাপমাত্রা ১৯৭০ সালের পর প্রায় এক ডিগ্রী ফারেনহাইট বৃদ্ধি পেয়েছে।

    বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই এক ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং বেশী সংখ্যায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে।

    এই ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে
    ঘুর্নিঝড়।

    ঘুর্নিঝড়ের ঘুর্নন উত্তর গোলার্ধে
    ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে।

    ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানলে যদিও দুর্যোগের সৃষ্টি হয়, কিন্তু এটি আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীতে তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। গড়ে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৮০ টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।

    এর অধিকাংশই সমুদ্রে মিলিয়ে যায়, কিন্তু যে অল্প সংখ্যক ঘূর্ণিঝর উপকূলে আঘাত হানে
    ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করে তার একটি ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় ম্যারি এন ।

    বাংলাদেশ তথা উত্তর ভারত মহাসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় না। তার পরিবর্তে, আরব সাগর এলাকায় উৎপন্ন ঝড়গুলোকে A এবং বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঝড়গুলোকে B অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

    ১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল যে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল তার পরিচয় TC-02B হিসেবে, তার মানে এটি ছিল ১৯৯১ সালে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

    ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল ভয়ংকর এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার লোক নিহত হয়েছিল এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

    ‘ম্যারি এন’ নামে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের
    দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আর এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পূরো উপকূল।

    স্মরণকালের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরো বেশি। মারা যায় ২০ লাখ গবাদিপশু। গৃহহারা হয় হাজার হাজার পরিবার। ক্ষতি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ।

    উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি।

    ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের পর নিহত মানুষের লাশ পড়েছিল উপকূলজুড়ে।

    শতাব্দীর প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় ও
    জলোচ্ছ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চল মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়।

    ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

    প্রলয়ঙ্করি এই ধ্বংসযজ্ঞের
    ২৯ বছর পার হতে চলেছে।

    এখনো স্বজন হারাদের আর্তনাদ থামেনি। ঘরবাড়ি হারা অনেকে মানুষ এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে পারেনি। এই ঘুর্ণিঝড়ে বাঁশখালীতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ। এখনো বাঁশখালীর ১৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই। তাই আতঙ্কে আছেন লক্ষাধিক মানুষ।

    এ উপজেলার বড়ঘোনা, সরল,
    ছনুয়া, বাহারছড়া,খানখানাবাদ, গন্ডামারা, ইলশা, প্রেমাশিয়া এলাকার মানুষ এখনো প্রতি বর্ষায় নির্ঘুম রাত কাটান।

    এই ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রাণহানি হয়েছিলো প্রায় ৮ হাজার লোকের। স্বজন হারানোর বেদনায় এখনো
    কাঁদে হাতিয়ার বাসিন্দারা।

    ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ২৯ বছর অতিবাহিত হলেও উপকূলীয় মানুষের সুরক্ষায় নেয়া হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। দ্বীপের চারপাশে নির্মাণ করা হয়নি মজবুত কোনো বেড়িবাঁধ। তাই প্রতি বছর জোয়ার ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় দ্বীপের শতশত একর জমির ফসল।

    সাগরে কোনো লঘুচাপ, নিম্নচাপ কিংবা মেঘ দেখলেই আতঙ্কে চমকে ওঠেন উপকূলবাসী।

    ৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর ২৫বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয়
    এলাকায় বাঁধসমূহ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

    এমনকি চট্টগ্রাম শহর রক্ষাবাঁধের বিরাট অংশ এখন বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের পরে নেয়া পরিকল্পনার মধ্যে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার কিছু বাস্তবায়ন হলেও মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী
    পরিকল্পনাসমূহের বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি।

    উপকূলীয় এলাকা ও দ্বীপাঞ্চলে যে পরিমাণ সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার
    নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তাও করা হয়নি। তার ওপর বিদ্যমান সাইক্লোন শেল্টারগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী।
    কোথাও কোথাও সাইক্লোন শেল্টার সাগর ও নদী ভাঙনের কারণে অস্তিত্ব হারিয়েছে।
    যার কারণে ২৯ বছর পরেও উপকূল আজও নিরাপদ নয়।

    ভয়াল সেই দুঃসহ স্মৃতির ২৯বছর পেরিয়েও এসব ভাগ্যহত মানুষ কান্নায় বুক ভারী করেন আর একটি স্থায়ী বসতভিটার আশায় দিন গোনেন। ভয়াল সেই ঘূর্ণিঝড়ের স্বজন হারা মানুষদের জন্য আমাদের গভীর সমবেদনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন

    ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন

    ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ো বাসাতসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকতে মহানবী (স.) আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা। আল্লাহ ছাড়া মানুষকে বেশি নিরাপত্তা কেউ দিতে পারে না।

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে, তার নির্দেশে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৪)

    তবে মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। ( সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।

    তাই বিভিন্ন হাদিসে রাসূল (সা.) প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। রাসূল (সা.) নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন।

    এই উম্মতকে যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে একসঙ্গে ধ্বংস করা না হয় এ জন্য রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে রাসূল (সা.) বিচলিত হয়ে পড়তেন। আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করতেন এবং সাহাবাদের তা করার নির্দেশ দিতেন। ঝড়-তুফান শুরু হলে রাসূল (সা.) মসজিদে চলে যেতেন। নফল নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

    এ জন্য ঘূর্ণিঝড় ফনির আগমনে আমাদেরও এ আমলগুলোর প্রতি যত্মবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গুনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসূল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।

    জোরে বাতাশ প্রবাহিত হলে যে দোয়া পড়তে হবে

    ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَﻫَﺎ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻫَﺎ

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা

    অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনাকরি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।

    আবূ দাউদ ৪/৩২৬, নং ৫০৯৯; ইবন মাজাহ্ ২/১২২৮, নং ৩৭২৭।

    মেঘের গর্জন হলে যে দোয়া পড়তে হবে-

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং পবিত্র কোরআনের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-

    سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ، والـمَلائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ

    উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি

    অর্থ: পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা।

    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে এই দোয়া করতেন-

    اللَّهُمَّ لا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ ، وَلا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা- তাক্বতুলনা- বিগযাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা- বিআ’জা-বিকা, ওয়া আ’-ফিনা- ক্বাব্লা যা-লিকা।

    অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে তোমার ক্রোধের কারণে মেরে ফেলো না আর তোমার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নাও। (তিরমিজি)

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এই দোয়া করবে-

    اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

    প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, যেন তার উম্মতকে দুর্যোগ ও বিপর্যয় দিয়ে এক সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া না হয়।

    এসব বিপদকালীন সময়ে বিশ্বনবী বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করতেন এবং অন্যদেরকেও তা পড়তে নির্দেশ দিতেন। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঝড়ো বাতাস ও বিপদ-আপদে উল্লেখিত দোয়া পড়া এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে ঘূর্ণিঝড় ফনিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ রাখুন। আমিন।

  • ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সিএমপি’তে জরুরী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

    ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সিএমপি’তে জরুরী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়াস্হ সিএমপির সদর দপ্তরে জরুরী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানের নির্দেশে এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়।

    সিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, নগর বাসীকে জরুরী প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিম্নোক্ত টেলিফোন ও মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন সিএমপি কমিশনার।

    যোগাযোগ :
    ০১৬ ৭৬ ১২ ৩৪ ৫৬ , ০১৬ ৭৯ ১২ ৩৪ ৫৬, ০৩১ ৬৩ ৯০ ২২, ০৩১ ৬৩ ০৩ ৫২