Tag: চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন

  • ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে: সিভিল সার্জন

    ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে: সিভিল সার্জন

    সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩।

    আজ ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার মিরসরাই উপজেলা সদরের মিরসরাই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জেলা পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

    মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরীন। বক্তব্য রাখেন এমটি (ইপিআই) কবির হোসাইন ও হেলথ এডুকেটর প্রবীর মিত্র। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্স, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সরকারের সকল মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ইতোমধ্যে আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি, ঠিক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

    তিনি বলেন, কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে জানান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের যে কোন ধরণের অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ টিমগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

  • সমাজের ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে অসহায় কিডনি রোগীদের জীবন বাঁচবে: সিভিল সার্জন

    সমাজের ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে অসহায় কিডনি রোগীদের জীবন বাঁচবে: সিভিল সার্জন

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বিভিন্ন কারণে সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত কিডনি রোগীরা অর্থের অভাবে চিকিৎসা-সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব রোগীদের রক্তদান, ক্যাথেটার পরবর্তী ফিস্টুলার মাধ্যমে সপ্তাহে ২ থেকে ৪ বার ডায়ালাইসিস করা ও অন্যান্য ওষুধ সামগ্রী ক্রয় অত্যন্ত ব্যয় বহুল হওয়ার কারণে অনেকে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। তারা যতদিন বাঁচবে ততদিন এভাবেই চলবে। মানব কল্যাণ হচ্ছে সর্বোচ্চ এবাদত। সমাজের ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি ও মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে অসহায় কিডনি রোগীদের জীবন বাঁচবে।

    আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে ‘কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’ আয়োজিত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে ‘কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র পক্ষে মোট ৩৬ জন কিডনি রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন সিভিল সার্জন।

    পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে মানবতার বাতিঘর, চট্টগ্রামের অহংকার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

    কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র মানবিক সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি বিভাগ ও স্যানডোরে অনেকে ডায়ালাইসিসের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেখানে শয্যা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাথে বিশেষায়িত ক্যান্সার, বার্ণ ও কিডনি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এসব হাসপাতাল বাস্তবায়ন হলে গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার অনেকাংশে কমে আসবে। তিনি অসহায় কিডনি রোগীদের কল্যাণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    সিভিল সার্জন আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় দেশে যক্ষা রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা-সেবা পাচ্ছে। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় সমাজকল্যাণ বিভাগ ও অংশীজনেরা এগিয়ে আসছে। সুবিধাবঞ্চিত কিডনি রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার আরও কিভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোকপাত করে এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অবহিত করা হবে।

    কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস.এম জাহেদুল হকের সভাপতিত্বে এবং অর্থ সম্পাদক আখতারুজ্জামান কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার চক্রবর্তী, সিইউজে’র সদস্য ও জাতীয় সংবাদ সংস্থা-এনএনবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাব্বির আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। কিডনি রোগীদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রফুল্ল কুমার নাথ, আলী আশরাফ ও শামসুন্নাহার।

    অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারী, কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে কোয়ারেন্টিনে ৯৭৩, দু-একদিনের মধ্যে আসতে পারে করোনা শনাক্তের কিট

    চট্টগ্রামে কোয়ারেন্টিনে ৯৭৩, দু-একদিনের মধ্যে আসতে পারে করোনা শনাক্তের কিট

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : বন্দর নগরী চট্টগ্রামে মোট ৯৭৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি কোয়ারেন্টিনে থাকা সকলকে কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেছে।

    এদিকে, করোনা শনাক্তের কিট আগামী দুই এক দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম আসতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।

    জানা যায়, ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস- বিআইটিআইডি এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন ডাক্তার এবং দুইজন টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    তারা প্রশিক্ষণ শেষ করে কিট নিয়ে আসবেন। এরপরই চট্টগ্রামে করোনা রোগের পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন স্থানে আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য পরিচালক।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এসপি