Tag: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

  • ঢাকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচাল চট্টগ্রাম

    ঢাকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচাল চট্টগ্রাম

    টানা হারের ক্ষত নিয়ে বিপিএল পার করছে দুর্দান্ত ঢাকা। টানা দশ হারে বিপিএলের ইতিহাসে টানা হারের নতুন রেকর্ড করেছে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাদের বিপরীতে অবস্থা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। বিপিএলের চতুর্থ পর্বের স্বাগতিকরা টিকে আছেন বিপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে। সেরা চারের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তুষার ইমরান শিষ্যদের।

    কিন্তু এমন এক ম্যাচেই কিনা নিজেদের সবচেয়ে বাজে ফিল্ডিং উপহার দিল চট্টগ্রাম। তিন ক্যাচ মিস ছাড়াও নিজেদের ভুলে ঢাকাকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিল বন্দরনগরীর দলটি। তবে শেষ দুই ওভারে বিলাল খান এবং শহিদুল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যের কাছেই থেমে যায় ঢাকা। ১৬০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ঢাকা থেমেছে ১৪৯ রানে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয় ১০ রানে।

    এই হারের পর টানা ১১ ম্যাচ হারের লজ্জায় ডুবল দুর্দান্ত ঢাকা। আর ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল চট্টগ্রাম। পরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারাতে পারলেই বন্দরনগরীর দলটি চলে যাবে প্লে-অফে।

    চট্টগ্রামের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি ঢাকার। শুভাগত হোমের দুই বলে ফিরে যান অ্যাডাম রসিংটন এবং সাব্বির হোসেন। দুজনেই ফিরেছেন ক্যাচ আউটের ফাঁদে। ঢাকাকে আরও চেপে ধরতে পারত চট্টগ্রাম। তবে শুভাগতের বলেই অ্যালেক্স রসের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তানজিদ তামিম। খানিক পরেই নাইম শেখের ক্যাচ ছাড়া হয় বাউন্ডারি লাইনে।

    এরপরে দুজনের জুটি ভুগিয়েছে চট্টগ্রামকে। ৫১ রানের এই জুটি থামিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তার খাটো লেন্থের বল খেলতে গিয়ে জশ ব্রাউনের ক্যাচে পরিণত হন নাইম। ৮৯ রানে শন উইলিয়ামসের উইকেট ঢাকাকে নিয়ে যায় খাদের কিনারায়। তবে অ্যালেক্স রসের কল্যাণে ঠিকই লক্ষ্যে এগুতে থাকা তারা।

    ফিফটির পরপরেই অবশ্য রস নিজেও ফিরে যান সাজঘরে। দারুণ বোলিং করা সালাউদ্দিনের বলে শুভাগতকে ক্যাচ দেন রস। এরপরেও ঢাকার সম্ভাবনা ছিল। তবে বিলাল খানের ১৯তম ওভার আর শহিদুলের দারুণ বোলিং ঢাকাকে থামিয়েছে ১৪৯ রানেই।

  • সিলেটকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম

    সিলেটকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের নবম আসরের রানার্স-আপ দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসরে তারা একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে। ঘরের মাঠে গিয়েও বদলাচ্ছে না তাদের ভাগ্য। এবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে তারা।

    ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে নেমে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোত্র্তজা। ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে জমা করে কেবল ১৩৭ রান। হ্যারি টেক্টরের ৪৫ রানের ইনিংসের পর সিলেটকে টেনে নিয়ে গেছেন রায়ান বার্ল ও আরিফুল হক।

    সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম ৩ ওভারে আভিষ্কা ফার্নান্দো ও তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটির রান যখন ২৩, তখন বল হাতে নিয়ে আসা হয় তানজিম সাকিবকে। ঘরের ছেলের হাত ধরেই সিলেট স্ট্রাইকার্স পায় প্রথম ব্রেকথ্রু। শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ আউট হন ১৭ রানে থাকা আভিষ্কা। এরপর টম ব্রুসকে নিয়ে দাপট দেখিয়ে দলকে জয়ের পথ সহজ করে দিয়ে যান তামিম।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করে দিয়ে যান ৮৯ রান, তাও আবার ৬৫ বলে। ৩৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তানজিদ হাসান তামিম উইকেট হারান পরের বলেই।

    এবারই প্রথম বিপিএল খেলতে আসা কিউই ব্যাটার টম ব্রুস ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৪১ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করা ব্রুস ১৪ বল আগেই দলকে জিতিয়েছেন ৮ উইকেটে।

  • তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

    তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

    নাজিবুল্লাহ জাদরান শরিফুল ইসলামের পায়ের ওপরের বল লেগ সাইডে ফ্লিক করে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেন। সঙ্গী শুভাগত হোমও দিলেন সাড়া। বল ফেরত আসার আগে দুজন ঠিকঠাক প্রান্তও বদল করে নিলেন।

    ওই ২ রানে দুর্দান্ত ঢাকার দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৬ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ পর বিজয়ের হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম। তবে ম্যাচটা কোনোভাবে না জিতলে কনকাসনসাব নিয়ে বিতর্ক উসকে দিত বলেই খবর।

    মিরপুর শের-ই-বাংলায় চট্টগ্রামের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা শুরুতেই ধাক্কা খায়। পেসার আল-আমিনের শর্ট বল দানুশকা গুনাথিকালার মাথায় আঘাত করে। পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয় ঢাকা। কিন্তু তার পরিবর্তে ঢাকা মাঠে নামায় লাসিথ ক্রুসপুল্লেকে।

    ঢাকার দেওয়া ১৫ জনের স্কোয়াডে ছিল না তার নাম। অথচ কনকাসন সাব হয়ে মাঠে নামেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান। যিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ৩১ বলে। তার ৩ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে দুর্দান্ত ঢাকা মামুলি সংগ্রহ পায়। কিন্তু কনকাসন সাব নিয়ে ম্যাচে ছড়ায় বিতর্ক।

    ১৫ জনের স্কোয়াডের বাইরের খেলোয়াড়কে মাঠে নামানোর সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি, ম্যাচের পর কথা বলার কথা জানান। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

    ঢাকার ইনিংস মূলত একাই টানেন ক্রুসপুল্লে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে কেবল তাসকিন আহমেদ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। বাকিরা থেমে যান সিঙ্গেল ডিজিটে।

    বল হাতে পেসার আল-আমিন হোসেন ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন বিলাল খানও।

    লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসানের ৪৯ রানে ভালোভাবেই জবাব দেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংসটি খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে শেষ দিকে ঝড় তুলে জয় নিশ্চিত করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করেন তিনি।

    শরিফুল বল হাতে ২ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪০টি। তাসকিন ও উসমান কাদির নেন ১টি করে উইকেট।

    মিরপুরে দিনের ম্যাচে লাগাতার লো স্কোরি হচ্ছে। এর আগে প্রথম দুই দিনে রান হয়নি। প্রথম দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স করেছিল ১৪৩ রান। দ্বিতীয় দিন রংপুরের রান ছিল ১৩৪। আজ হলো ১৩৬।

  • সিলেটকে উড়িয়ে চট্টগ্রামের শুভসূচনা

    সিলেটকে উড়িয়ে চট্টগ্রামের শুভসূচনা

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হারের স্বাদ দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। রোমাঞ্চকর ম্যাচে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। সিলেটের হয়ে ইনিংস সূচনা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। শান্তকে রানের জন্য লড়াই করতে হলেও তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন মিঠুন।

    ৩০ বলে ৭টি চারে ৩৬ রান করে শান্ত বিদায় নিলে দলীয় ৬৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৯৫ রানে বিদায় নেন মিঠুনও। তার আগে ২৮ বলের মোকাবেলায় ৪০ রান করার পথে হাঁকান ৪টি চার ও ২টি ছক্কা, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪২.৮৫।

    তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন জাকির হাসান ও হ্যারি টেক্টর। জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিলেট পায় বড় সংগ্রহের ভিত।

    টি-২০ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেওয়ার দিনে জাকির ছিলেন বেশ সাবলীল।

    ইনিংসের শেষ অবধি ৪২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির। একটি ছক্কার সাথে চারের বৃষ্টি সাজানো জাকিরের উইলো চার হাঁকিয়েছে মোট ৭টি। এছাড়া ২০ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন হ্যারি টেক্টর। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেটের পুঁজি ১৭৭ রান।

    জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। অভিষকা ফার্নান্দো দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও ২৩ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেন তিনিও।

    মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৫০ দিন পর বল হাতে নিয়েই শিকার করেন ইমরানউজ্জামানকে।

    ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো চট্টগ্রাম অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চতুর্থ উইকেটে। শাহাদাত হোসেন দিপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের পার্টনারশিপে ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় চট্টগ্রাম। দিপু ৩৯ বলে ৫৭ ও জাদরান ৩০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

  • চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    বিপিএলের চলতি আসরে এলিমিনিটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বর দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অলিখিত সেমিফাইনালের (কোয়ালিফায়ার) টিকিট পেল দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে শাবাদ খানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ক্রিস গেইলের সাথে ইনিংস শুরু করত আসেন জিয়াউর রহমান। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জিয়া। মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

    এরপর গেইল ধীরগতির ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। ৩টি ছয়ের সাথে ১টি চারের মারে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান তিনি। শাদাব খানের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান করেন ইমরুল। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে চট্টগ্রামের।

    তবে এই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হতেই পারলেন না গেইল। বাঁহাতে ১৪ সেলাই নিয়ে গালিতে দাঁড়িয়ে গেইলকে একহাতে তালুবন্দী করে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।

    শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ এবং চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে অলিখিত সেমিফাইনালে টিকিট পেল বন্দরনগরীর দলটি। একই সাথে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হয়ে গেল তারকায় ঠাঁসা দল ঢাকা প্লাটুনের।

    এর আগে মুমিনুল হককে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    খানিক বাদে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও ০ রান করে জাকের আলীও আউট হলে ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট যায় ঢাকা প্লাটুনের। তবে সতীর্থ্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে সমান ৩১ রান করে যান তিনি।

    এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন শাদাব খান। দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর ১৩ বলে ২৫ করে আউট হন পেরেরা। শেষদিকে মাত্র ৩৬ বলের নিজের ফিফটির তুলে নেন শাদাব। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
    শাদাব ৬৪*, মুমিনুল হক ৩১, পেরেরা ২৫; এমরিট ৩/২৩, নাসুম ২/১১, রুবেল ২/৩৩।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
    গেইল ৩৯, কায়েস ৩২, জিয়াউর ২৫; শাদাব ২/৩২, মেহেদী ১/২০।

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম দেখায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টে আজ দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী।

    এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে চট্টগ্রাম। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন ও আফিফ হোসেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে চট্টগ্রামের বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন। এরই এক ফাকে মাত্র ২৯ বলে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন।

    ইনিংসের ১১তম ওভারে ৩২ রানে থাকা আফিফকে ফিরিয়ে রাজশাহী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন চট্টগ্রামের স্পিনার নাসুম আহমেদ। তবে নিজেদের জয় তুলে নিতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। পরে লিটনের সাথে ধ্বংসযজ্ঞে দেন শোয়েব মালিক। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৫০ রানের পার্টনারশিপে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    জিয়াউরের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি লিটন সাজিয়েছন ১১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে। মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ১৪ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের ফলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী। এই সাথে নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ার পর্বের খেলা।

    এর আগে টস হেরে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস শুরু করতে আসেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তবে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তোপে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তারা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় ২৩ বলে সমান ২৩ রানে থাকা জুনায়েদকে আউট করেন শোয়েব মালিক। এরপর গেইল ২১ বলে ২৩ ও ইমরুল কায়েস আউট হন ১৮ বলে ১৯ রান করে।

    ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চ্যাডউইক ওয়ালটনও ৪ রান করে ফিরে গেলে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে চট্টগ্রামের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। শেষদিকে সোহানের ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসের সাথে রিয়াদের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে ১৫৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৫/৫ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৪৮*, সোহান ৩০, গেইল ২৩, জুনায়েদ ২৩; মালিক ১/১১, রাহি ১/১২, আফিফ ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৫৬/২ (১৭.৪ ওভার)
    লিটন ৭৫, মালিক ৪৩*, আফিফ ৩২; জিয়া ১/১৫, নাসুম ১/৩৩।

    ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    ইমরুল কায়েস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্সের ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের ৩৬তম ও দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। ওপেনার লিটন দাস ৫৬ ও ফরহাদ রেজা ৮ বলে ২১ রান করেন। জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৬৭ ও সিমন্সের ৫১ রানের সুবাদে ৯ বল বাকী রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।

    এই জয়ে ১১ খেলায় ৮জয় ও ৩হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেলো রাজশাহী।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে গেল পাঁচ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।

    রাজশাহীকে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে দেননি পেসার রুবেল হোসেন। ইনফর্ম আফিফ হোসেনকে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় দেন রুবেল। বোল্ড হবার আগে ৯ রান করেন তিনি।

    এরপর ইরফান শুক্কুরের সাথে ৩৭ ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সাথে ৪১ রানের দু’টি জুটি গড়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।এবারের আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন লিটন। ৪৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করে রাজশাহীর জিয়াউর রহমানের বলে আউট হন লিটন।

    লিটনের পর ছোট-ছোট ইনিংস খেলেন মালিক ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। মালিক ২৪ বলে ২৮ ও রাসেল ১০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রান করেন। কিন্তু ইনিংসের ১০ বল বাকী থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মালিক-রাসেল-কাপালি ও বোপারা। তখন দলের স্কোর ১৪৪ রান।
    এ অবস্থায় শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ফরহাদ। মাত্র ৮ বলে ২১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ফরহাদ। তার ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। ফলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁিজ পায় রাজশাহী। চট্টগ্রামের রুবেল-জিয়াউর ৩টি করে উইকেট নেন।

    জয়ের জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১২ রান পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেলের ঐ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন ওপেনার লেন্ডন সিমন্স। তৃতীয় ওভারে রাজশাহীর স্পিনার আফিফের উপর চড়াও হন গেইল। প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে চারও মারেন গেইল। ফলে ঐ ওভার থেকে ২২ রান নেন গেইল। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন গেইল।

    রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির ডেলিভারিটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গেইল। ফলে এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমে ১০ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৩৫ রানে ‘ইউনিভার্স বস’ ফিরে যাবার পর চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেন সিমন্স ও ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। ৪৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চলমান আসরে তৃতীয়বারের মত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫১ রানে রান আউট হন সিমন্স। জয়ের জন্য এ সময় ৪৬ বলে ৫৬ রান দরকার ছিলো চট্টগ্রামের।

    এরপর ক্রিজে গিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন মাহমুদুল্লাহ। পরের ওভারে আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। তবে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। ৬ বলে ১০ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে অধিনায়ক বিদায় নিলেও জয় পেতে কোন সমস্যা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৪ ওভার শেষে ম্যাচ হাতে মুঠোয় চলে আসে তাদের। কারন শেষ ৩৬ বলে ৩৭ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। দলের বাকী প্রয়োজনটুকু মিটিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

    ৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন ইমরুল। চলমান আসরে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিতে তার রান এখন ৩৮৬। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন ইমরুল। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    রাজশাহী রয়্যালস : ১৬৬/৮, ২০ ওভার (লিটন ৫৬, মালিক ২৮, জিয়াউর ৩/১৮)।
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৭০/৩, ১৮.৩ ওভার (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, ফরহাদ ১/১৭)।

    ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : ইমরুল কায়েস(চট্টগ্রাম)।

  • চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে ঢাকায় গেইল

    চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে ঢাকায় গেইল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলতে ঢাকায় পা রেখেছেন ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।

    আজই (৬ জানুয়ারি) দলের সঙ্গে যোগ দেবেন গেইল। দুপুরে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আগামী ম্যাচে মাঠে নামবেন তিনি।

    গেইলের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে এই বিধ্বংসী ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে দলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু ড্রাফটের পর এক সাক্ষাৎকারে বিপিএলে দল পাওয়ার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন খোদ গেইল।

    গেইলের দাবি ছিল এমন- বিপিএলের ড্রাফটে আছেন বা দল পেয়েছেন এটা তিনি জানতেনই না। আবার বিপিএল কর্তৃপক্ষ বা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দাবি ছিল- সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে।

    পারস্পরিক সমঝোতায় সেই ঝামেলা চুকে গেছে। গেইলও জানান- বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আসছেন। অবশেষে বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন ইউনিভার্স বস।

    সিলেট পর্বের খেলা শেষ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ফিরেছে ঢাকায়। ৭ জানুয়ারি ফের শুরু হবে ঢাকা পর্বের খেলা। এদিন রাতের খেলায় চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ রাজশাহী রয়্যালস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ম্যাচেই গেইল মাঠে নামবেন।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শেষ চারের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। ১০ ম্যাচে ৭ জয় পাওয়া দলটি রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

  • সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল জিতেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২১ রান জড়ো করে খুলনা। মেহেদী হাসান রানা ও রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। রুবেল ও রানা দুজনই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

    খুলনার পক্ষে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রুশো, যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৪ বলে ২০ ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২৩ বলে ১৭ রান করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬৯ রান। সিমন্স ২৮ বলে ৩৬ ও জুনায়েদ ৩৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে আসেনা গুনারত্নেও কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি ৭ রান করে আউট হওয়া চ্যাডউইক ওয়ালটনও।

    তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    খুলনার পক্ষে ২টি উইকেট শিকার করেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। এছাড়া আল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    খুলনা টাইগার্স ১২১ (২০ ওভার)
    রুশো ৪৮, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭
    রুবেল ১৭/৩, রানা ২৯/৩, উইলিয়ামস ২১/২

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১২৪/৪ (১৮.১ ওভার)
    জুনায়েদ ৩৮, সিমন্স ৩৬, ইমরুল ৩০*
    ফ্রাইলিঙ্ক ২০/২, মিরাজ ১০/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

  • শেষ বলে কুমিল্লার রোমাঞ্চকর জয়

    শেষ বলে কুমিল্লার রোমাঞ্চকর জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে ২ জয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। তবে পরের ৪ ম্যাচে হারতে হয় চারটিতেই। আজ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি। ডেভিড মালানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ বলে এসে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে কুমিল্লা।

    এদিন আগে ব্যাট করে কুমিল্লার সামনে ১৬০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে চট্টগ্রাম। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে ঝড়ো শুরুর ইঙ্গিত দেন কুমিল্লা ওপেনার স্ট্যিয়ান ভ্যান জিল। তবে সেই ঝড় খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২২ রান করে আউট হন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    এরপর আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি করেন ১৭ রান। আগের ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, জিয়ার বলে আউট হয়েছেন ৬ রান করে। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে তিন নম্বরে নেমে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করে যান মালান।

    সৌম্যর আউটের পরে সাব্বিরর রহমান তার সাথে যোগ দিলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মালান। জিয়ার করা ইনিংসের ১৪তম ওভার থেকে তুলে নেন ২০ রান। এরই ফাঁকে ৩৯ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। পরে সাব্বির ১৮ ও ডেভিড উইজ ১ রান করে আউট হলে শেষ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬ রান। যেখানে আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১২ রানের সাথে মালানের ৫১ বলে ৭৪ রানের সুবাদে ৩ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    এর আগে টসে হেরে চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন জড়ো করেন ১০৩ রান। যেখানে মাত্র ২৮ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে ৩৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন সিমন্স। খানিক পরে মাত্র ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় জুনায়েদকে। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন তিনি।

    এরপর বার্ল ২ এবং ওয়ালটন ৯ রান করে আউট হলে ১৫ ওভার শেষে ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। শেষদিকে ২১ বলে জিয়ার অপরাজিত ৩৪ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার হয়ে ২০ রান খরচে ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৯/৬ (২০ ওভার)
    সিমন্স ৫৪, জুনায়েদ ৪৫, জিয়া ৩৪*; সৌম্য ২/২০, উইজ ১/২৬, সানজামুল ১/৩৩।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬১/৭ (২০ ওভার)
    মালান ৭৪ ভ্যান জিল ২২, সাব্বির ১৮; রুবেল ২/১৬, বার্ল ১/৯।

    ফল: কুমিল্লা ৩ উইকেটে জয়ী।

  • জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার। এরপর টানা তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে আবার টানা দুই হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছিল চ্যালেঞ্জাররা। ঢাকা পর্বে ফিরে আজ (শুক্রবার) আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। লো স্কোরিং ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শক্ত করলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।

    আজকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামের সামনে ১২৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ওপেন করতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে সাথে নিয়ে দলকে উড়ন্ত সূচনার আভাস দেন লিন্ডল সিমন্স। তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি, মাশরাফির বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৫ রান। পরে জুনায়েদ ৮ রান করে ফিরলে মিরপুরে ঝড় তোলেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ৩টা ছক্কা ও ১টা চারের সাহায্যে ১৬ বলে ২৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    ওয়ালটনের বিদায়ের পর রায়ান বার্লকে নিয়ে দেখে খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে বার্লের অবদান ১৩ রান। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সাথে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমরুল। ৬ উইকেটের জয়ে নিজে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান নিয়ে। ৫৩ বলের ইনিংসটি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছেন ৫টা চার ও ২টা ছয়ের মারে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজন। ৩৪ বলে ৩২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় ১৪ রানে থাকা বিজয় রান আউটে কাটা পড়লে ধ্বসের শুরু হয় ঢাকা শিবিরে। আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো মেহেদী হাসান আজ ফিরেছেন শূন্য হাতে। এরপর ২৭ বলে ২১ রানে থাকা তামিমকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন নাসুম আহমেদ।

    খানিক বাদে জাকের আলী (৩), শহীদ আফ্রিদি (০), সাদাব খান (০) ও থিসারা পেরেরা (৬) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৬৮ রানে তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল হক। এরপর শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ১৭ ও ওয়াহাব রিয়াজের ২৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২৪ রানে থামে ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১২৪/৯ (২০ ওভার) মুমিনুল ৩২, ওয়াহাব রিয়াজ ২৩, তামিম ২১; বার্ল ২/১, মুক্তার ২/১৮, নাসুম ১/২১।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১২৫/৪ (১৮.৪ ওভার) কায়েস ৫৪*, ওয়ালটন ২৫, সিমন্স ১৫; ওয়াহাব রিয়াজ ২/১৮, মাশরাফি ১/১৪, মেহেদী ১/২৩।

    ফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।