Tag: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

  • অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    চলতি বিপিএলে টানা চার ম্যাচ হারার পর পঞ্চম ম্যাচে এসে অধিনায়ক পরিবর্তন করে অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর রের্ঞ্জার্স। পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিলো তারা।

    ১৬৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি রংপুরের। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং ক্যামেরন ডলপোর্ট ব্যর্থ হন। অধিনায়কত্ব করা টম আবেল উইকেট বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। সাদমান ইসলামও ধীরে ব্যাটিং করেন। যদিও এ দুজনও তাদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এরপর লুইস গ্রেগরিকে সঙ্গ দিতে আসেন ফজলে মাহমুদ। এ দুজনের জুটিতে ভর করে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।

    এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান ওপেনার লিন্ডলে শিমন্স। এরপর ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, চাদউইক ওয়ালটনরা একে একে ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখালেও একপাশ আগলে ঝড় তোলেন আভিশকা ফার্নান্ডো। সঞ্জিত সাহার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

    তার বিদায়ের পর শেষ দিকে রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি নুরুল হাসান, মুক্তার আলীরা। শেষ পর্যন্ত রংপুরের সামনে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা।

    এ ম্যাচে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া লুইস গ্রেগরিও তুলে নেন দুই উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৭ (২০ ওভার)
    ফার্নান্দো ৭২, সোহান ২০, ওয়ালটন ১৬, মুক্তার ১২
    মুস্তাফিজ ২৩/২, গ্রেগোরি ২৭/২

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৬৭/৪ (১৮.৪ ওভার)
    গ্রেগোরি ৭৬*, ফজলে মাহমুদ ৩৮*, অ্যাবেল ২৪
    রুবেল ৩৭/২, রানা ১৬/১

    ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

     

  • ৪৬০ রানের ম্যাচে মেহেদীর নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়

    ৪৬০ রানের ম্যাচে মেহেদীর নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়

    এবারের বিপিএলে শুরুতে দল পাননি পেসার মেহেদী হাসান রানা। পরে সুযোগ মেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। এর আগে দুই ম্যাচে মাঠে নেমে দুটোতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। আজতো রীতিমত একাই ধসিয়ে দিলেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। তাতেই ম্লান ডেভিড মালানের ৩৮ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

    চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে কুমিল্লার টপ অর্ডার। যার নেতৃত্ব দেন রানা। শুরুতে সৌম্য সরকার (১৫) ও ভানুকা রাজাপাকশার (৬) উইকেট তুলে নেওয়ার পর সাব্বির রহমানকেও (৫) আউট করেন তিনি। ফলে ৩২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। এরপর মালান আর ইয়াসির আলীর জুটিটা বেশ জমে উঠেছিল। তবে দুজনের ৫২ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন ধরান রুবেল হোসেন।

    ইয়াসির ২১ রান করে আউট হলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজের ফিফটি তুলে নেন মালান। পরে অধিনায়ক শানাকাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৬২ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে রানার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। পরে শানাকার ৩৭ রানের ইনিংসে কুমিল্লার হারের ব্যবধানটায় কমেছে শুধু। ২২২ রানে কুমিল্লার ইনিংস থামলে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো পোক্ত করলো চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে একাই ৪ উইকেটে তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি চট্টগ্রামের ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। ৭ বল থেকে ১০ রান করে মুজিব উর রহমানের শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমত তাণ্ডব বইয়ে দেন আভিস্কা ও ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৮৫ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আভিস্কাকে আউট করেন সৌম্য সরকার। এর আগে ২৭ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।

    এরপর ওয়ালটনকে নিয়ে নিজের কাজটা ভালোভাবেই করে যান ইমরুল। মাঝে তুলে নেন চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। পরে আউট হওয়ার আগে ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। শেষদিকে ওয়ালটনের ২৭ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংসের সাথে সোহানের ২৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২৩৮ রানে পাহাড়সম সংগ্রহ দাড় করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    গত ম্যাচে ২২১ রান করে বিপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েছিল চট্টগ্রাম। একদিন পর কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ছাড়িয়ে গেল সেই সংগ্রহ। আজকের (শুক্রবার) করা ২৩৮ রান বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২৩৮/৪ (২০ ওভার)
    ইমরুল ৬২, আভিস্কা ৪৮, ওয়ালটন ৭১; সৌম্য ২/৪৪, মুজিব ১/৩১ শানাকা ১/৪৭।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২২২/৭ (২০ ওভার)
    মালান ৮৪, শানাকা ৩৭, আবু হায়দার ২৮*; মেহেদী হাসান ৪/২৮, রুবেল ১/৩০।

    ফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।

  • মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে আজ বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্কোর বোর্ডে জমা করেছিলো ২২১ রান। শেষপর্যন্ত ম্যাচ হারলেও লড়াই চালিয়েছে ঢাকা। পরে সবমিলিয়ে ৪২৬ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৬ রানে জয় পায় চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রামের দেওয়া ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার এনামুল হক। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার মুমিনুল হক। যেখানে জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মুমিনুল। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লরি ইভান্স (১৭) ও আসিফ আলী (১৫)। পরে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল।

    অবশ্য ফিফটি পূরণ করার পরে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। ৫২ রান করে নাসির হোসেনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। খানিক বাদে শহিদ আফ্রিদিও ৯ রান করে একই পথের সারথি হলে জয়ের আশা একপ্রকার ফিকে হয়ে যায় ঢাকার। তবে শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে নাসিরকে টানা ৩ ছাক্কা ও ১টা চার হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলেই অবশ্য মাত্র ৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় মাশরাফিকে।

    এরপর থিসারা পেরেরার ২৭ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলো ঢাকা প্লাটুন। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের ইনিংস থামে ২০৫ রানে। ফলে ঘরের মাঠে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন লেন্ডল সিমন্স ও আভিস্কা ফানান্দো। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৫১ রান। আভিস্কা মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর ২৪ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সিমন্স। পরে ইমরুল কায়েসের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৫৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। এরপর সাগরিকায় ঝড় তোলেন মাহমুদল্লাহ, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি।

    এদিন কম যাননি ইমরুলও, ২৪ বলে ৪০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে চোটকে সঙ্গী করে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশত তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ৫টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষদিকে ওয়ালটনের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যাতে চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরকে (১৯২) টপকে যায় চট্টগ্রাম। একই সাথে এবারের বিপিএল প্রথমবারের মত দেখে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২২১/৪ (২০ ওভার)
    মাহমুদউল্লাহ ৫৯, সিমন্স ৫৭, ইমরুল ৪০; মাহমুদ ২/৫৫, সাকিল ১/২৭।

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/১০ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৫২, পেরেরা.৪৭, জাকের আলী ২৭; মুক্তার ৩/৪২, উইলিয়ামস ২/৪৮, মেহেদী হাসান ৩/২৩।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।

  • সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় খেলায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে এক প্রান্ত আগলে রাখে আশা বাঁচিয়ে রাখেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। শেষে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় ছিনিয়ে আনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন সিলেট থান্ডারের দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং আন্দ্রে ফ্লেচার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পেসার মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত বলে বোল্ড হন রনি। রুবেল হোসেনের করা পরের ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শাফাকুল্লাহ। ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুন আর আন্দ্রে ফ্লেচার গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ফ্লেচারকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মুক্তার আলি। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন ফ্লেচার।

    পরের ওভারে রানার দ্বিতীয় শিকার হন মিঠুন (১৫)। তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন তিনি। ঐ ওভারেই জনসন চার্লস কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে বল তুলে নেন চার্লস। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে সিলেট থান্ডার। মেইডেন ডাবল উইকেট নেন রানা।

    মোসাদ্দেক হোসেন আর নাঈম হাসান মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ১৬ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন নাঈম। ২২ বলে ৩০ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলে বিদায় নেন মোসাদ্দেক। শেষে দেলোয়ার হোসেন ৪ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং কৃস্মার সান্টোকি ৬ বলে ৯ রান করেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে সিলেট থান্ডার।

    লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ধাক্কা খায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। কৃস্মার সান্টোকির বলে বোল্ড হন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। মাঝে ফ্লাডলাইটের ত্রুটির কারণে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা।

    নিজের পরের ওভারে এসে ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের উইকেট তুলে নেন সান্টোকি। মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার আব্দুল মজিদ। ৭ বলে ৬ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ইবাদত। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এক প্রান্ত আগলে রাখা লেন্ডল সিমন্স আর চ্যাডউইক ওয়ালটন যোগ করেন ২২ রান। ১২ বলে ৯ রান করে দেলোয়ার হোসেনের বলে বিদায় নেন ওয়ালটন। এরপর সিমন্সকে সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। নুরুল আর সিমন্সের ব্যাট দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে। আশার প্রদীপ সিমন্স রান আউট হয়ে ফিরেন। সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দিলেও নুরুল তাতে সাড়া দেননি। এক পর্যায়ে দুজন এক প্রান্তে চলে আসলে রান আউট হন সিমন্স। ৩৭ বলে ৪৪ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলেন সিমন্স। সেই ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর তিনটি ছক্কা।

    পরের ওভারে মুক্তার আলিকে এলবডিব্লিউ করেন সান্টোকি। ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান। দেলোয়ারের এক ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। এর মধ্যে একটি ছিল ১১০ মিটার লম্বা যা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা।

    শেষ ২৪ বলে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল রিয়াদদের। ইবাদতের করা ১৭ তম ওভারেই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন সোহান। লং অনের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত শটে চতুর্থ বলে চার আর পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন সোহান। ঐ ওভারে ১৩ রান হলে সমীকরণ সহজ হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য।

    পরের ওভারে নাঈম হাসানের বলে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কেসরিক উইলিয়ামস। উইলিয়ামস ১৭ বলে ১৮ এবং সোহান ২৪ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    সিলেট থান্ডার ১২৯/৮, ২০ ওভার
    ফ্লেচার ৩৮, মোসাদ্দেক ৩০, মিঠুন ১৫
    রানা ৪/২৩, রুবেল ২/২৮, মুক্তার ১/২৬

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩০/৬, ১৮ ওভার
    সিমন্স ৪৪, সোহান ৩৭*, উইলিয়ামস ১৮*
    সান্টোকি ৩/১৩, ইবাদত ১/২৮, দেলোয়ার ১/৩১

  • জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকা (প্রথম) পর্বের খেলা আজ শেষ হচ্ছে। ২ দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু চট্টগ্রাম পর্ব। নিজেদের ঘরের মাঠে নামার আগে জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুর রেঞ্জার্সকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। যেখানে চ্যাডউইক ওয়ালটন আর ইমরুল কায়েসে ম্লান নাঈম শেখের ব্যাটিং।

    বিপিএলের সপ্তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলো চট্টগ্রাম। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে খুলনার কাছে। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে আবার জয়ের ধারায় ফিরলো দলটি।

    আজ (শনিবার) দিনের শুরুর ম্যাচে রংপুরের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বন্দরনগরীর দলটি। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটসম্যান আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ালটন।

    উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। ২৩ বলে ৩৭ রানে থাকা আভিস্কাকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন গ্রেগরি। তবে ইমরুলকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন ওয়ালট। ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে সমান ৫০ রানে নবীর শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ইমরুল। ৬ উইকেটের বিশাল জয় পায় চট্টগ্রাম। যেখানে ইমরুল নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর। তবে উদ্বোধনী জুটিতে সুবিধা করতে পারেনি তারা, ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন শেহজাদ। এরপর তিনে ব্যাট করতে আসেন টম অ্যাবল। তিনিও আউট হয়েছেন ১০ রান করে। এই দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর মাঝে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার নাইম। ৬টা চার ও ৩টা ছয়ের মারে মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকটা।

    তবে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে তাকে সাপোর্ট দিতে পারেননি রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। মাঝে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী করেন ২১ রান। শেষদিকে রুবেল হোসেনকে স্কুপ করতে যেয়ে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়েন নাইম। আউট হওয়ার আগে খেলে যান ৫৪ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

    ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে কেসরিক উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ এবং রুবেল নেন একটা করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)
    নাইম ৭৮, নবী ২১, তাসকিন ১১*; উইলিয়ামস ২/৩৫, বার্ল ২/৩০, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৮/৪ (১৮.২ ওভার) ওয়ালটন ৫০, আভিস্কা ৩৭, ইমরুল ৪৩*; গ্রেগরি ২/২৭, অ্যাবল ১/১১।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।

  • চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয়েছিলো খুলনা টাইগার্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রুশোদের ব্যাটিংয়ে বন্দরনগরীর দলটিকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দল।

    মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। আজও দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয় দলটিকে। ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার লিন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। সিমন্স ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর দলীয় ৪৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওয়ালটনও।

    এরপর নাসির হোসেনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। নিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার ৩৮ বলে ৬১ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেললেও আজ ফিরেছেন ১২ রান করে। ইমরুল রান আউটে কাটা পড়লে উইকেটে থাকা নাসিরের সাথে যোগ দেন নুরুল হাসান সোহান। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েন ৩৭ রানের জুটি।

    এরপর সোহান ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়লে, পরের ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাসিরও। ২৭ বল থেকে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে মুক্তার আলীর ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচে খুলনার হয়ে শফিউল ইসলাম, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শহিদুল ইসলাম প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট।

    পরে ১৪৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে খুলনা টাইগার্স। গুরবাজের সাথে ইনিংস শুরু কর‍তে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। নাসুমকে উইকেট দিয়ে এসেছেন ৪ রান করে। পরে রুশোকে নিয়ে চট্টগ্রামের বোলারদের উপর ধ্বংসলীলা চালান গুরবাজ। মাত্র ১৮ বলে তুলে নেন নিজের ফিফটি। ৫০ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে রুশোর সাথে গড়েন ৭০ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ৪টা চারের সাথে ৫টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন গুরবাজ।

    এরপর মুশফিককে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন রুশো। তুলে নেন নিজের অর্ধশতকটা। পরে দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ৩৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় খুলনা। মুশফিক ২৮ ও রুশো অপরাজিত থাকেন ৬৪ রান নিয়ে। যেখানে ৩৮ বলের ইনিংসটি রুশো সাজিয়েছেন ৭টা চার ও ২টা ছয়ের মারে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৪/৬ (২০ ওভার) মুক্তার ২৯*, সিমন্স ২৬, নাসির ২৪, সোহান ১৯; ফ্রাইলিঙ্ক ১/২১, বিপ্লব ১/২৫, শফিউল ১/৩০

    খুলনা টাইগার্স: ১৪৬/ ২ (১৩.৫ ওভার) , রুশো ৬৪*, গুরবাজ ৫০, মুশফিক ২৮*; নাসুম ১/১৮, মুক্তার ১/২০

    ফলাফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ইনিংসও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। জাতীয় দলের আরেক তারকা ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত অর্ধ-শতকে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুভসূচনা করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান জড়ো করে সিলেট থান্ডার। দলের পক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেন মিঠুন। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জনসন চার্লস ২৩ বলে ৩৫ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৫ বলে ২৯ রান করেন।

    চট্টগ্রামের পক্ষে রুবেল হোসেন শিকার করেন দুটি উইকেট।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা চট্টগ্রাম দলীয় ৪২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলেও সেই চাপ সামাল দেন চারে নামা ইমরুল কায়েস ও ওপেনার অভিষকা ফার্নান্দো। ফার্নান্দো ২৬ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নিলেও ইমরুল দেখেশুনে খেলে যান।

    ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে ইমরুল যখন বিদায় নিচ্ছেন দল তখন জয়ের দোরগোড়ায়। শেষদিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৩০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস দলকে ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ওয়ালটন হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    সিলেটের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু শিকার করেন দুটি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    সিলেট থান্ডার ১৬২/৪ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৮৪*, চার্লস ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯
    রুবেল ২৭/২, নাসুম ৩৪/১, এমরিট ৩৮/১

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৫ (১৯ ওভার)
    ইমরুল ৬১, ওয়ালটন ৪৯*, ফার্নান্দো ৩৩
    অপু ২৩/২, মোসাদ্দেক ৯/১, এবাদত ৩৩/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়াদ এমরিত এবং সিলেটের নেতৃত্বে রয়েছেন মোসাদ্দেক।

    চট্টগ্রামের স্কোয়াডে রয়েছেন ক্রিস গেইল, কেসরিক উইলিয়ামস, ইমাদ ওয়াসিম, লেন্ডল সিমন্সদের মতো বিদেশি তারকা। এ ছাড়া দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়ররা আছেন দলটিতে।

    তবে চট্টগ্রামের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ। ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফলে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিসিবি।

    মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি এই ম্যাচে খেলবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। থাকছেন না লেন্ডল সিমন্স ও কেসরিক উইলিয়ামস।

    সিলেট থান্ডারও যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছে। বিদেশিদের মধ্যে আছেন আন্দ্রে ফ্লেচার, মোহাম্মদ সামি, শিরফানে রাদারফোর্ড, জনসন চার্লস, জীবন মেন্ডিসরা। এ ছাড়া বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজীরা।

    নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এর আঁচ পাওয়া গেছে গেল রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে শেরেবাংলায়।

    অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এবার লিগের মূল লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় দর্শকরা।

    সিলেট থান্ডার একাদশ : জনসন চার্লস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন, জীবন মেন্ডিস, নাজমুল হোসেন, সোহাগ গাজি, নাভিন উল হক, কৃশমার সান্তোকি, এবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ : ইমরুল কায়েস, আভিশকা ফার্নান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকি, রায়ান বার্ল, চ্যাডউইক ওয়ালটন, নুরুল হাসান, নাসির হোসেইন, রিয়াদ এমরিত, নাসুম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুখতার আলি।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলার ঘন্টা : আজ রাত পেরুলেই আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট উৎসব বঙ্গবন্ধু বিপিএল। সাত দলের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে সবার আগে জার্সি উন্মোচন করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জার্সি ও ক্রিকেটারদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান করে চ্যালেঞ্জার্স। এ জার্সি পড়েই আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসরের উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে চিটাগং চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়রা।

    আখতার গ্রুপের মালিকানাধীন দলটি নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ে জার্সি জড়িয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স’র মুখোমুখি হবে। মাহমুদুল্লাহর ইনজুরিতে প্রথম দুই ম্যাচে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেবেন ইমরুল কায়েস।

    জার্সি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান সাজনিন খান, একমির পরিচালক ফাহিম সিনহা, টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসসহ দলের ক্রিকেটাররা। বিদেশি ক্রিকেটার রায়াদ এমরিদ, রায়ান বার্ল, অভিস্কা ফার্নান্দোসহ আরো অনেক ক্রিকেটার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    করাচিতে দিবা রাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ খেলবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, পাকিস্তান সিরিজই এখনও নিশ্চিত নয়।

    বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রতিপক্ষ থাকছে রংপুর রেঞ্জার্স।

  • চট্টগ্রামের পক্ষে গতির ঝড় তুলবেন মুসা খান

    চট্টগ্রামের পক্ষে গতির ঝড় তুলবেন মুসা খান

    আসন্ন বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-টোয়েন্টির জন্য আরও এক বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটসম্যানের পর বোলিং বিভাগ শক্তিশালী করতে পাকিস্তানের তরুণ পেসারকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

    বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ আরও আগেই। তবে ড্রাফটের বাইরে ক্রিকেটারদের নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর ওই নিয়ম মেনেই ব্যাটসম্যানের পর এবার ড্রাফটের বাইরে থেকে খেলোয়াড় নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বল হাতে গতি দিয়ে আলোচনায় এসেছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার মুসা খান। বল হাতে ঘণ্টায় ১৪০ এর বেশি গতির ঝড় তুলতে পারেন এ পাকিস্তানের পেসার।

    আর তাতেই তাকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। মুসাকে দলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কয়েকদিন আগেই ড্রাফটের বাইরে দলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্সকে। এর আগে প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল না পাওয়া লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

    সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছে মুসা খানের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় এ বোলারের। তবে নিজের প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট দলেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে মূল একাদশে খেলা হয়নি তার। সবমিলিয়ে মোট ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মুসা। ১০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১২টি।

    মুসা, সিমন্স ছাড়াও এ দলে রয়েছেন ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, রুবের হোসেনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি রয়েছেন নুরুল হাসান, পিনাক ঘোষদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররাও।

    একনজরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড

    দেশি: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়র, পিনাক ঘোষ, মুক্তার আলী, নাসুম আহমেদ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, জুবায়ের হোসেন লিখন।

    বিদেশি: ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কেসরিক উইলিয়ামস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে), ইমাদ ওয়াসিম (পাকিস্তান), লেন্ডল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুসা খান (পাকিস্তান)।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে ক্রিস গেইল

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে ক্রিস গেইল

    বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় প্রথমে লটারিতে ডাকের সুযোগ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই সুযোগে তারা ক্রিস গেইলকে দলে ভেড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা বিপিএলের পেছনের আসরগুলোতে সফল পারফর্মার। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান মানা হয় তাকে। রেকর্ডই তার পক্ষে সেই কথা বলছে।

    বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় রাজশাহী বেছে নেয় ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারাকে। রংপুর প্রথম সুযোগে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে দলে টানে। কুমিল্লা বেছে নেয় শ্রীলঙ্কার কুশাল জেনিত পেরেইরাকে। খুলনা তাদের পুরনো মিত্র দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশোকে দলে টানে। ঢাকা প্লাটুন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার তিশারা পেরেইরার নাম ঘোষণা করে। সিলেট বিদেশি কোটার প্রথম রাউন্ডের লটারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শারপিন রদারফোর্ড ও আফগানিস্তানের শফিকুল্লাহ সাফাতকে দলে নেয়।

    এই রাউন্ডের ফিরতি পর্বের লটারিতে ঢাকা বেছে নেয় ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সকে। খুলনা দলে ভেড়ায় গেল মৌসুমে বিপিএল কাঁপানো দক্ষিণ আফ্রিকান রবি ফ্রাইলিঙ্ককে।

    আফগানিস্তানের অফস্পিনার মুজিবুর রহমানকে দলে নেয় কুমিল্লা। রংপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা সাঁই হোপকে দলে টানে। রাজশাহী আফগানিস্তানের মারকুটো ওপেনার হযরতউল্লাহ যাযাইকে দলে নেয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের পেস বোলিং শক্তি বাড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার কেসরিক উইলিয়ামসকে দলের নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলি

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলি

    ঢাকায় এসেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইংলিশ বোলিং কোচ কবির আলি। ১৭ নভেম্বর, রোববার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিবিপিএল এর ড্রাফটে দলের ক্রিকেটার বাছাই করবেন তিনি।

    ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১ টেস্ট আর ১৪ ওয়ানডে খেলা পাকিস্তান বংশোদ্ভুত সাবেক এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার ২০১৫’তে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরই কোচিং’কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সী কবির আলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২’তে বিপিএলের দল বরিশাল বার্নার্সের হয়ে খেলেও গেছেন এই পেসার।

    ইংল্যান্ডের জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া ১৪ ওয়ানডেতে তাঁর শিকার ২০ উইকেট।

    শনিবার সকালে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলিকে অভ্যর্থনা জানান দলটির সিইও সৈয়দ ইয়াসির আলি।