Tag: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩।

    আজ ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

    জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, সেবা তত্তাবধায়ক রাশনা দাশ, নার্সেস কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, ডলি বিশ্বাস, শর্মিলা মল্লিক, এমটি (ইপিআই) স্বরূপানন্দ রায়, ফয়েজ আহমদ প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এইচডিইউ বেড পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য পরিচালক

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এইচডিইউ বেড পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য পরিচালক

    চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এতদিন এ হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ, ২টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) ও ১৭৪টি আইসোলেশন বেডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হলেও গত ২৯ আগস্ট ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোগে ও বিএসআরএম’র আর্থিক সহায়তায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে আরও ৮টি এইচডিইউ বেড। এ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদির সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ফলে জেনারেল হাসপাতালে সেবার মান আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। নতুন সংযোজিত ৮টি এইচডিইউ বেড পরিদর্শনে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।

    পরিদর্শনকালে হাসপাতালটিতে এইচডিইউ ইউনিট স্থাপনে যে সকল ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

    পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আব্দুর রব, কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশ আইসিইউ ইউনিটের কনসালট্যান্ট ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, কনসালট্যান্ট ডা.মৌমিতা দাশ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজীমূল ইসলাম প্রমূখ।

    জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ দেশের বাইরে থাকেন। তাই প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে চট্টগ্রামে টিকার পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অবকাঠামোই শুধু হাসপাতাল নয়, মূল বিষয় হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সরকার হাসপাতালের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি।

  • বঙ্গবন্ধু কন্যার বদৌলতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল:নওফেল

    বঙ্গবন্ধু কন্যার বদৌলতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল:নওফেল

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নবসংযুক্ত ৮ টি আইসিইউ শয্যা উদ্বোধন করেছেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, গতবছর করোনা শুরুর আগে আমরা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল-কে একভাবে দেখেছিলাম। করোনার শুরুর আগে যেখানে এই হাসপাতালে একটি আইসিইউ ও ছিল না সেইখানে আজকে উদ্বোধন হওয়া ৮ টি সহ মোট ১৮ টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র একান্ত প্রচেষ্টায় যা সম্ভব হয়েছে। কোন কিছু না থাকা থেকে এখন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। ১ বছরের ভিতরে যুগান্তকারী পরিবর্তনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি আরো বলেন, কখনো বলে এসেছি আবার অনেক সময় না বলেও এসেছি কিন্তু যখনই জেনারেল হাসপাতালে এসেছি এইখানে স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত সকল-কে পেয়েছি। অনেক জায়গায় চিকিৎসক-নার্সের সংকট থাকলেও সবসময় এইখানে স্বাস্থ্যসেবা সাথে জড়িতদের উপস্থিতি আমি দেখেছি। তার জন্য আপনাদের বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১ বছর আগে করোনার প্রকোপ যখন শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্য সেবার যে সংকট ছিল তা অনেক টা কেটে গেছে। এখন প্রায় সকল বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। প্রথম দিকে তেমন কোন ধারণা না থাকলেও আমাদের চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকলে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়ে এখন বেশ অভিজ্ঞ। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে হলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং মাস্ক ব্যবহারে কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

    বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ আব্দুর রফ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ খান, ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডাঃ বিদুৎ বড়ুয়া, আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ রাজদীপ বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত প্রমুখ।

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসানো হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরতদের ব্যবহৃত পোশাক ও রোগীর শয্যায় ব্যবহৃত কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হবে।

    ইতোমধ্যে এটি স্থাপনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটি বসানোর চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলছে।

    বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এটি সরবরাহ করছে।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রথম থেকেই চট্টগ্রামের ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে। বর্তমানে এখানে ১৫০টি আধুনিক শয্যায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স এবং শয্যায় ব্যবহৃত বিছানার চাদর বেডশিট জীবাণুমুক্ত করার মত উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না।

    ফলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীর ব্যবহৃত পোশাক এবং শয্যায় ব্যবহৃত কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হতো। এগুলো বাইরে থেকেই ওয়াশ করে আনতে হত। পরিষ্কারের পরও জীবাণু থাকার শঙ্কা থেকে যেত। কিন্তু এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্টে এসব পোশাক ও কাপড় পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হবে।

    বর্তমানে এ হাসপাতালে ৯০ জন চিকিৎসক, ১৫০ জন নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মিলে প্রায় ৩০০ জন কর্মরত আছেন। ওয়ার্ড বয়, আয়া, ঝাড়–দার, কুক মশালচি, ইলেক্ট্রিশিয়ান ও মালী আছেন ৩৬ জন। এসব কর্মরতদের পোশাক এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্টে জীবাণুমুক্ত করা হবে।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, হাসপাতালে কর্মরত এবং রোগীর কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করাটা একটা ঝামেলার কাজ ছিল। বাইরে থেকে এ কাজ করতে হয়।

    বিশেষ করে বর্ষাকালে সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু এখন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এটি স্থাপন করে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটি স্থাপন করা হবে। ’

    জানা যায়, প্রতিদিনই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে ১ হাজার ৭৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জন। বর্তমানে মোট আক্রান্ত হয় ৩১ হাজার ৮৩৩ জন। ইতোমধ্যে মারা যান ৩৬৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ৯২০ জন।

  • জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক দুটো সি-প্যাপ মেশিন দিলেন ডা. শাহাদাত

    জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক দুটো সি-প্যাপ মেশিন দিলেন ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন
    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘবের জন্য অত্যাধুনিক দুটো সি-প্যাপ মেশিন হস্তান্তর কালে বলেছেন, করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামাদির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত বাজেটের ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ থেকে চট্টগ্রামের জন্য ৫০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিবে। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত চট্টগ্রামবাসীর জন্য কোনো বরাদ্দ দেয় নি।

    তিনি আজ রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী এর কাছে করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘবের জন্য অত্যাধুনিক দুটো সি-প্যাপ মেশিন হস্তান্তরকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    শাহাদাত বলেন, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সরকার ঠিক সেভাবে এগিয়ে আসেনি। সরকারের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি আর দুঃশাসন। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি থাকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি দুঃশাসন সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্য বিভাগ এখন “গলার কাঁটা” হিসাবে পরিণত হয়েছে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা ও সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডা. আবদুর রব করোনা আক্রান্ত নন,মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দিবেন

    ডা. আবদুর রব করোনা আক্রান্ত নন,মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দিবেন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. আব্দুর রব মাসুম করোনায় আক্রান্ত নন। দুই দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার ফলাফলে এই তথ্য জান যায়।

    সোমাবার (২৯ জুন) রাত ১২টায় বিআইটিআইডি ল্যাব থেকে পাওয়া তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

    ডা. রব বলেন, ২৬ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য চমেকে আমার নমুনা জমা দেই। ২৭ জুন দুপুরে আনঅফিসিয়ালি আমাকে জানানো হয় যে আমার নমুনা পজিটিভ এসেছে। এরপর ২৮ জুন সকালে আমাকে জানায় যে আমি নই, আমার নামের কাছাকাছি কেউ আক্রান্ত। আমার নমুনা নেগেটিভ। এটি মূলত ভুল বুঝাবুঝি ছিল।

    তিনি বলেন, নিজ থেকেই কনফিউশন দূর করতে আমি আবার নমুনা পরীক্ষা করাই। এইবার আমি বিআইটিআইডিতে নমুনা জমা দেই। একটু আগে জানলাম আমার নমুনা নেগেটিভ। আসলে প্রথম থেকেই আমার নমুনা নেগেটিভই ছিল। কাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই আবার আমি অফিসের কাজে যোগ দেবো, যোগ করেন ডা. রব।

    তাঁর করোনা আক্রান্ত স্ত্রী ডা. ফিরোজা মেহেরও এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে তিনি জানান। এরমধ্যে ১৪ দিন তিনি আইসোলেশনে থেকেছেন। আর দুই একদিন পর করে তাঁর স্ত্রীর দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষা করাবেন বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়। তখন থেকেই জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম আইসোলেশন ইউনিটের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ প্রোগ্রাম এবং টেলিমেডিসিন সেবা সহ বিভিন্নভাবে চট্টগ্রামের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ডের জিরি সুবেদারের বদান্যতায় অসংখ্য প্রাণের বিপন্নতা থেকে রক্ষা

    সীতাকুণ্ডের জিরি সুবেদারের বদান্যতায় অসংখ্য প্রাণের বিপন্নতা থেকে রক্ষা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:করোনা আক্রান্তদের জন্যে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্ট। হঠাৎ করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের খালি হয়ে যাওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করতে গিয়ে দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি৷

    ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকটে পড়তে যাচ্ছিলো হাসপাতালটি একই সাথে কয়েকশত রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকাও দেখা দেয় এসময়।

    এব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, জেনারেল হসপিটাল এর ৬৩ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি অবস্থায় রিফিল করার জন্য সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় মোস্তফা হাকিম গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্টএ নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অক্সিজেন রিফিল করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে প্রায় আড়াইশো তিনশো রোগীর জীবন প্রায় কঠিন সংকটের মুখোমুখি। অক্সিজেন রিফিল করা সম্ভব না হলে জরুরী অক্সিজেন সাপোর্ট এর অভাবে সংকটাপন্ন যে কোন রোগী ভয়ানক পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার পথে।

    এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর বিজয় বসাক সংবাদটি জানার সাথে সাথে আমাকে জানান এবং জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এবং পাঁচলাইশ মডেল থানা থেকে অফিসার ফোর্স প্রেরণ করে যেকোনো স্থান থেকে উল্লেখিত অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলি রিফিল করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি অনেকটা হতভম্ব হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করি। অবশেষে হঠাৎ মাথায় আসে চট্টগ্রামে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল দেয়ার কাজে এগিয়ে আসা কয়েকজন উদ্যমী যুবক এরমধ্যে সৈয়দ ইকরামুল হক এর কথা। আমি তাকে কল দিয়ে জরুরী অক্সিজেন রিফিল করার জন্য বলা মাত্রই তিনি রাজি হন। কিন্তু তাদের রিফিলিং সেন্টার বন্ধ হওয়ার কারণে কাল সকালে হলে তিনি দিতে পারবেন বলে জানান। আমি আবার ওনাকে যেকোনো মূল্যে অক্সিজেন রিফিল সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানাই। না হয় অনেক মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হবে বলে তাকে এ বিষয়ে যেকোনো মূল্যে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করলে

    তিনি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে অবশেষে সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত জিরি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট এর ম্যানেজার ওয়াহিদ ফেরদাউস সাহেবের সাথে টেলিফোনে কথা বললে উক্ত অক্সিজেন প্লান্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সবগুলো সিলিন্ডার রিফিল করে দেয়ার জন্য রাজি হন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট দুইজন কনসালটেন্টের সাথে কথা বলে উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর বিজয় বসাক মহোদয়ের নির্দেশে পাঁচলাইশ মডেল থানা থেকে এসআই ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম সহ জেনারেল হাসপাতাল থেকে পাঠানো গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়িসহ বার আউলিয়ার জিরি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট এ পাঠাই।

    জিরি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট কর্তৃপক্ষ সবগুলো সিলিন্ডার আন্তরিকতার সাথে রিফিল করে দেন। বর্তমান দুর্যোগকালীন সময়ে যেখানে প্রতি মুহূর্তে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে মানুষ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাচ্ছেন ঠিক সেই ধরনের একটি জরুরী মুহূর্তে উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর মহোদয়ের নেতৃত্ব ও নির্দেশে টিম পাঁচলাইশ মডেল থানার সরাসরি অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতায় মানবিক সংকট কালে চট্টগ্রামের উদীয়মান সমাজকর্মী সৈয়দ ইকরামুল হক সাহেবের সহযোগিতায় এবং জিরি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট কর্তৃপক্ষের বদান্যতায় আজ অসংখ্য প্রাণের বিপন্নতা থেকে রক্ষা করার কাজে সহায়ক হতে পেরে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    দিন দিন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নগরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসকরা। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম নগরীতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এই হাসপাতালে নতুন করে করোনা ইউনিটে আইসোলেশন সহ আরও দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন করা হয়েছে। এখন থেকে করোনা উপসর্গে নিয়ে বা এ সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা পাওয়া যাবে।

    পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, নগরীর কোন মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, এবং করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহভাজক সকলেই যেন ভাইরাস নিশ্চিত হলে জেনারেল হাসপাতালের এই ইউনিট থেকে সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মতো মৌলিক অধিকারটি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমস্যা নয়। এটি একটি সর্বজনীন সমস্যা। এখানে সকল মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। সরকার ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন দল মত নির্বিশেষে সরকারকে সহযোগিতা করা।

    মেয়র বলেন, মানুষই হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ না থাকলে সকল উপাদানই অর্থহীন। মানবসম্পদ বিহীন কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাই এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোটাই মুখ্য। আসুন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, নিজে বাঁচি, প্রতিবেশিকে বাঁচাই এবং দেশের জনমানবকে বাঁচাই।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার নাথ,বিএমএ চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র মেডিকেল কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রউফ, কনসালটেন্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ডা. আবুল হোসেন, ডা. সমীর কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর