Tag: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

  • চাক্তাইয়ে ৯’শ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ: ১ লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড

    চাক্তাইয়ে ৯’শ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ: ১ লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড

    চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকার মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে একটি মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসময় কারাখানার মূল মালিক বাচ্চু মিয়া সহ চার শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রঙ, কয়লা, কাঠের গুড়া এবং অত্যন্ত নিম্নমানের ভুষি মিশ্রিত ৯’শ কেজি মসলা জব্দ করা হয়।

    আজ ১৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূলত এগুলো ব্যবহার করে ঐ কারখানায় হলুদের গুড়া এবং মরিচ গুড়া তৈরি করা হচ্ছিল। পরে মূল অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয় এবং জব্দকৃত মালামাল জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়েদুল হক অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে এরূপ ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

  • চালের দামে উর্ধ্বগতি ঠেকাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা : জরিমানা

    চালের দামে উর্ধ্বগতি ঠেকাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা : জরিমানা

    পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ থাকার পরেও চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতিমণে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

    আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার (১৫ জেলা দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নগরীর পাহাড়তলী বাজারে চালের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করেন।

    এসময় ১টি আড়তের মালিককে লাইসেন্স প্রদর্শন করতে না পারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি একাধিক আড়তদারকে মজুদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়।

    চালের বাজার অস্থির করার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিক (মিলার) ও আড়তদারদের দিকে। মিলার ও আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে আমরা আজকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স বা লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের ধান-চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মিলার ও আড়তদাররা যাতে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সারাদেশে চালের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় সমন্বয় সাধন চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিন।

    শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল। এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণী ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তানীদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগীতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা তৈরী করে। তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫’শ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। সেদিন বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে।

    সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং মেধাশূন্য একটি দেশ যেখানে বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভঙ্গুর প্রায় অর্থনীতি হওয়া সত্তে¡ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি বিষ্ময়ের নাম। এখন পাকিস্তানীরা তাদের সরকারের কাছে দাবি করে পাকিস্তানকে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতির মতন শক্তিশালী করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতার ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশ বিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান বক্তারা।

  • ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জরুরি প্রস্তুতি সভা

    ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জরুরি প্রস্তুতি সভা

    বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপজনিত আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভা আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সভায় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

    জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও যেমন কারিতাস, ব্র্যাক, ব্যুরো বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানান। উক্ত সভায় জেলা প্রশাসক জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি কর্পোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সকল দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ,বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সাথে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

    সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক জানা, বিদ্যমান ৬০৯ টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩ টি) আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সভাপতির নির্দেশক্রমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি সভায় উপস্থাপন করেন।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের নিকট ত্রাণ কার্য (নগদ) ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ত্রাণ কার্য (চাল) ২৪৪ মেঃ টন, গো-খাদ্য ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য-৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১০০০ পিস এবং ওরস্যালাইন ৪৭ হাজার প্যাকেট মজুদ আছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার (২৩ জুলাই) সকালে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সবার আগে সুশাসন, জনসেবায় উদ্ভাবন’।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবদুল মালেক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দিন মোঃ আবু আহসান ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালামসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্ত্বরে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এর পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

    আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সেবা জবাবদিহিমূলক হতে হবে। জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নসহ আগামী ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে আন্তরিকভাবে সেবআ দিতে হবে।

    এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ও স্ব স্ব দপ্তরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, সেবার ধরণ সংবলিত পোস্টার বা ফেস্টুন-অনুষ্ঠান স্থলসহ স্ব স্ব দপ্তরে বা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের হল রুমে দপ্তরভিত্তিক আলাদাভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ভাবনী প্রয়াসের মাধ্যমে সরকারি সেবা কিভাবে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে তার বিভিন্ন ডকুমেন্টরি প্রজেক্টরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জিমনেসিয়াম মাঠে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জিমনেসিয়াম মাঠে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ-জামাত কমিটির উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত আজ ২৯ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নগরীর বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।

    পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোঃ বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মাসুদ কামাল, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম, সিজেকেএস’র অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাবুদ্দিন শামীম, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের মুসলিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং সর্বস্তরের কর্মচারীসহ সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ। নামাজ শেষে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।

    এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নগরীর ডিসি হিলস্থ সরকারী বাংলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক। এসময় ঈদের আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠে ডিসি’র বাংলো।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জিমনেসিয়াম মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জিমনেসিয়াম মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ-জামাত কমিটির উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত আজ ২২ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে ইমামতি করেন নগরীর বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।

    পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবদুল মালেক, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের মুসলিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং সর্বস্তরের কর্মচারীসহ সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ।

    নামাজ শেষে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।

    এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর ডিসি হিলস্থ সরকারী বাংলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্র্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক। এসময় ঈদের আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠে ডিসি’র বাংলো।

  • চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে খাতুনগঞ্জে জেলা প্রশাসনের অভিযান

    চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে খাতুনগঞ্জে জেলা প্রশাসনের অভিযান

    রমজান সামনে রেখে চিনির বাজারে অস্থিরতাসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধে দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এবং সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    এ সময় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে চড়া দামে চিনি বিক্রি, মূল্যতালিকা না থাকা এবং অনিয়মের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চার প্রতিষ্ঠানকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করা হলেও চিনি উৎপাদনকারী মিলের বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিনি নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের ব্যত্যয় করে চিনি বিক্রয় করলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • উত্তম বিশ্বাসের পরিবারের পাশে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

    উত্তম বিশ্বাসের পরিবারের পাশে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

    এরশাদ সরকারের শাসনামলে ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটার বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বোমা হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৭ম শ্রেণির ছাত্র উত্তম বিশ্বাস। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারাদেশে ১২ জানুয়ারি পূর্ণদিবস ও ১৩ জানুয়ারি অর্ধদিবস হরতাল পালন করে।

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৯ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাথরঘাটায় উত্তম বিশ্বাসের বাসায় এসে তার বাবা-মা, ভাই-বোনকে সান্ত্বনা দেন এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

    প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(এল এ) বদিউল আলমের নেতৃত্বে স্টাফ অফিসার টু ডিসি মোঃ উমর ফারুক, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মাসুদ রানাসহ একটি টিম সরেজমিনে প্রয়াত উত্তম বিশ্বাসের বাড়ী পরিদর্শনে যায় এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার স্বরুপ নগদ বিশ হাজার টাকা, পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্র সামগ্রী (শার্ট, লুঙ্গি, শাড়ী, থ্রি পিস, কম্বল) এবং ৩ জন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ তার পরিবারের কাছে প্রদান করা হয়।

    উত্তম বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপচারিতায় প্রতিনিধি দল জানতে পারেন, উত্তম বিশ্বাসের পিতা অমল কান্তি বিশ্বাস পুত্রশোকে ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন ও মাতা- লক্ষী বিশ্বাস ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত উত্তম বিশ্বাসের চার ভাই বোন। বড় বোন অলকা বিশ্বাস (৪৫), স্বামী-অনুপ কুমার মজুমদার যিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের ইপিআই কর্মী(অস্থায়ী) হিসেবে ২৪ বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। তার একমাত্র ছেলে অমৃত দ্যোতি মজুমদার ১০ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত। ২য় বোন সুলেখা বিশ্বাস (৩৬), স্বামী পরিত্যক্তা ও বেকার যার দু’টি সন্তান রয়েছে। তার দু’টি সন্তান। সন্তানদ্বয় ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। উত্তম বিশ্বাসের দু’ভাইয়ের মধ্যে গৌতম বিশ্বাস (৩৪) পেশায় প্লাম্বার (স্যানিটারি মিস্ত্রি) তিনি পরিবার নিয়ে শশুর বাড়ীতে থাকেন। অপর ভাই মনোজ বিশ্বাস (২৮) উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করেও পূর্বে চাকরি করলেও একটি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে বেকার অবস্থায় আছেন।

    উত্তম বিশ্বাসের বাড়ীটি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি নয়। এটি একটি অর্পিত সম্পত্তি। বাড়িটিতে পূর্ব পুরুষ হতে প্রায় ৭০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। দূর্বল কাঠামোগত ভবনটি অত্যন্ত পুরাতন ও জরাজীর্ণ যার পাচটি কক্ষ বিদ্যামান। ভবনটি পুরাতন হওয়ায় ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি চৌদ্দ শতক জায়গার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সাত শতক জায়গা একসনা বন্দোবস্তো নিয়ে বসবাস করেন। অপর সাত শতক জায়গায় অপর পক্ষের মামলা চলমান।

    প্রতিনিধি দল রিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের পাশে আছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স বিবেচনা করে সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া তাদের জন্য একটি উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করা হয়।

  • চট্টগ্রামে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩০ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রামে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩০ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩৩টি মামলায় ৩০ জনকে ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর ডিসি হিল, নিউ মার্কেট, ফিরিঙ্গি বাজার ও পাহাড়তলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    নগরীর ডিসি হিল এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতন বাড়াতে এবং করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। এসময় ৮টি মামলায় ৯ জনকে ২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গরীব ও অসচ্ছল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    এদিকে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন। এসময় ৬টি ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জনসাধারণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    অন্যদিকে ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে ৮টি মামলায় ৭৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

    এছাড়া নগরীর পাহাড়তলী কলেজ রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিবি করিমুন্নেছা। মাস্ক ব্যবহার না করার দায়ে ১১টি মামলায় ১৩ জনকে ১ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করাসহ ৫০টি মাস্ক বিতরণ করেন।

  • চট্টগ্রামে ৩টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ, সরকারি ১৫০ একর জমি উদ্ধার

    চট্টগ্রামে ৩টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ, সরকারি ১৫০ একর জমি উদ্ধার

    চট্টগ্রাম মহানগরীর কাট্টলীস্থ বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকা এবং সিডিএ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল করে গড়ে তোলা তিনটি ইট ভাটা উচ্ছেদ করে প্রায় ১৫০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন ও চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘উত্তর কাট্টলীর বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশের প্রায় শতাধিক একর সরকারি খাস জমি দখল করে দুটি এবং বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল করে একটি মোট তিনটি ইটভাটা গড়ে তোলা হয়।

    আজ অভিযান চালিয়ে তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদ করে প্রায় ১৫০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গা দখলমুক্ত রাখতে সীমানা চিহ্ন এবং খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে।’

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উত্তর কাট্টলী বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের নিকটবর্তী প্রায় শতাধিক একর সরকারি খাস জায়গা ঘিরে গড়ে ওঠে দুটি ইটভাটা। ২০১৩ সালে এগুলো উচ্ছেদে কার্যক্রম শুরু হয়। পরে অবৈধ দখলদাররা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ফলে সরকারি খাস জায়গা উদ্ধার এবং ইটভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থবির ছিল।

    সম্প্রতি সরকার পক্ষে সরকারি খাস জায়গায় অননুমোদিতভাবে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা পরিবেশ বিনষ্টকারী ইট ভাটাগুলোর বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত জমির মালিকানা না থাকা, সরকারি খাস জায়গায় ইটভাটা স্থাপনের যৌক্তিকতা না থাকা ও পরিবেশ আইন বিরোধী হওয়ায় ইটভাটাগুলো নিয়ে দায়েরকৃত রিট খারিজ হয়।

    এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে এবং পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।

  • চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৫৮ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৫৮ জনকে জরিমানা

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জনসাধারণের মাস্ক থাকলেও কেউ কেউ তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করছেন না। কারও মাস্ক হাতে কিংবা পকেটে। আবার কারও মুখের নিচে। মাস্ক ব্যবহারে এমন উদাসীনতা ও না পরার কারণে নগরীতে ৫১ মামলায় ৫৮ জনকে মোট ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    এরমধ্যে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।

    তিনি বলেন, ‘করোনার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও ওই এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতা অনেকেই মাস্ক পরছেন না। আবার মাস্ক মুখের নিচে থাকলেও মুখ খোলা বা বের করা অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই।’

    এসময় ৮ মামলায় ৮ জনকে ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাস্কহীন ১০০ জনের মাঝে ১০০টি মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    এদিকে নগরীর গোল পাহাড় মোড়, জিইসি এবং কাজির দেউড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। এসময় ৩০ মামলায় ৩৭ জনকে ১১ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড ও পাশাপাশি ২০০ জনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    অন্যদিকে দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী মোড় ও নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন। এসময় মাস্ক না পরায় ১৩ মামলায় ১৩ জনকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।