Tag: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

  • কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার কারণে যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারাই শুদ্ধাচারী:ডিসি

    কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার কারণে যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারাই শুদ্ধাচারী:ডিসি

    কর্মক্ষেত্রে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, সততা, শৃংখলাবোধ, কর্তব্যনিষ্ঠা, ভালো আচরণ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, উদ্ভাবন চর্চা, সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে তিনজনকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বেলা ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারী জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেছেন।

    এরা হচ্ছেন- হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. মাসুদ রানা ও জেলা নাজির মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (উপ-সচিব)।

    জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত অনুষ্টানে পুরস্কার প্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু হাসান সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ.জেড.এম শরীফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. বদিউল আলম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ও কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘জনসেবায় জনপ্রশাসন’ এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সরকারী সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় অতি সহজে পৌছে দিচ্ছেন বলেই সরকারের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা করোনাকালীন সময়েও জাতির কল্যাণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ফলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার কারণে যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারা অবশ্যই শুদ্ধাচারী। এ স্বীকৃতি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। যারা শুদ্ধাচার পুরস্কার পায়নি, কিন্তু প্রতিযোগিতায় ছিল তারাও অনেক ভালো করেছে। আগামীতে তাদের মধ্যে থেকে শুদ্ধাচারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বেরিয়ে আসবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খামারে অভিযান, নিষিদ্ধ ১ টন আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ

    খামারে অভিযান, নিষিদ্ধ ১ টন আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ

    চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় একটি মাছের খামারে অভিযান চালিয়ে এক টন নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. আলমগীরে হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    ম্যাজিট্রেট আলমগীর হোসেন জানান, মাছের খামারটিতে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের চাষাবাদ করে আসছিলেন এক খামারী। খামারটি জমির মালিকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি এই মাছ চাষ করেন।

    খুব নোংরা পরিবেশে এবং আশেপাশের বাসার ময়লা আবর্জনা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে এই মাছ চাষ করা হচ্ছিল বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলমগীর।

    অভিযান পরিচালনা কালে জমির মালিক খামারের মালিককে উপস্থিত করতে না পারায় খামারের যাবতীয় মাছ জব্দ করার পাশাপাশি জমির মালিককে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডিত করা হয়।

    উদ্ধারকৃত এক টন মাছ নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়ার জন্য জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনায় সাথে ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসের একটি টিম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিষাক্ত ক্যামিকেলে করোনার সুরক্ষা পণ্য,কারখানা সিলগালা

    বিষাক্ত ক্যামিকেলে করোনার সুরক্ষা পণ্য,কারখানা সিলগালা

    করোনা ভাইরাসের চরম সংকটের মধ্যে চট্টগ্রামে মহানগরীর দেওয়ান হাট এলাকার মধ্যম সুপারিপাড়ার এ আর চট্টলা কেমিক্যাল নামের একটি কারখানায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে তারা এসব বাজারে সরবরাহ করছে।

    হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল, স্যাভলন, হারপিকসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে তারা বোলতজাত করে বিভিন্ন মাধ্যমে নগরী ও জেলার বাজারগুলোতে সরবরাহ করছে।

    সোমবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেওয়ানহাট সুপারিপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে চালানো অভিযানে এ.আর চট্টলা কারখানা থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিকর নকল ও ভেজাল দ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই কারখানার মালিক মো. রাশেদকে ৬ মাসের কারাদ- দেওয়াসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করতে ক্ষতিকারক রং ও কেমিক্যাল মিশ্রণে প্রায় শ’খানেক ড্রামে রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে। ওইসব ড্রাম থেকে কারখানার মালিক মো. রাশেদ নিজের হাতে কেমিস্ট ও ল্যাব ছাড়া এই মিশ্রণগুলো বোতলে মোড়কজাত করে বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

    ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, নকল পণ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মসলার দাম স্বাভাবিক রাখতে খাতুনগঞ্জে প্রশাসনের অভিযান

    মসলার দাম স্বাভাবিক রাখতে খাতুনগঞ্জে প্রশাসনের অভিযান

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের সক্রিয় কার্যক্রমের পাশাপাশি এবার আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্য মসলার দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ রবিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে বেশি দামে মসলা বিক্রি, মুল্য তালিকায় গরমিল ও ঘষামাজা করার অভিযোগে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

    দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- মেসার্স নারায়ণ ভান্ডার কে ২০০০০(বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স কে ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০০০০( দশ হাজার) টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোর কে ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

    এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে আজকের অভিযানে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা বিক্রয় মুল্য তালিকা ও ডকুমেন্ট হিসেবে রাখা তাদের ক্রয় মুল্যে অনেক পার্থক্য। যেমন ২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার উপরে বিক্রয়ের প্রমান পাওয়া যায়।

    তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালীন অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাটানো মূল্য তালিকায় রাখা মুল্য কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখে যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে। দেখা যায় ২৪১০ টাকার এলাচী বিক্রয় মুল্য তালিকায় লেখা ছিলো ৩৬০০ টাকা পর্যন্ত। ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০- ৪০০ টাকা পর্যন্ত, গোল মরিচ ৪২০ টাক থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা পর্যন্ত ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করতে দেখা যায়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসায় তারা দাম অনেক কমিয়ে লিখে রাখে যে বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। তাই বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে যাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম অস্থিতিশীল না করতে পারে সেজন্যে এধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আড়তের মাল্টা কোল্ড স্টোরেজ মজুদ, ভূয়া আমদানি রশিদে বিক্রি

    আড়তের মাল্টা কোল্ড স্টোরেজ মজুদ, ভূয়া আমদানি রশিদে বিক্রি

    মাল্টা আমদানিকারকরা আমদানি মূল্য সংক্রান্ত এবং আড়তদারকে সরবরাহ মূল্য সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মাল্টা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে পাঠাচ্ছে ফলমন্ডিতে।

    কমিশন এজেন্ট, আড়তদার, পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতারা যোগসাজশে বাড়তি দামে মাল্টা বিক্রি করা হচ্ছে।

    আজ মঙ্গলবার (৫ মে) অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোডের ফলমন্ডিতে সেনাবাহিনী এবং সিএমপি সদস্যদের সহযোগে আরেক দফা অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তৌহিদুল ইসলাম এবং গালিব চৌধুরী। সেনাবাহিনীর টহল টিমের লিডার ছিলেন ক্যাপ্টেন রাকিব।

    ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বলেন, নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে ব্যবসায়ীদেরকে মাল্টার খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত মূল্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট স্বীকারোক্তি দেন যে, ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের অব্যাহত অভিযানের কারণে মাল্টা এখন আমদানিকারক এবং কমিশন এজেন্টদের সাথে যোগসাজশ করে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করছেন। এরপর ভোরবেলা সেসকল কোল্ড স্টোরেজ থেকে মাল্টা এনে আজকে (মঙ্গলবার) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি করছে। তবে রশিদ দিচ্ছে ১৫শত টাকার।

    আবার অনেক আড়তদার রশিদ ছাড়া বাকীতে খুচরা বিক্রেতাদের হাতে মাল্টা দিয়ে দিচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে পরে যাতে তাদেরকে মূল্য পরিশোধ করে।

    এখানে উল্লেখ্য যে, মাল্টার গড় আমদানি খরচ ৬৫-৭০ টাকা (সকল খরচ সহ)। সে হিসেবে পাইকারিতে দাম হওয়ার কথা কেজিপ্রতি ৮০-৮৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯০-৯৫ টাকা।

    ফলমন্ডিতে অভিযানে গেলে দেখা যায়, অধিকাংশ মাল্টা ব্যবসায়ীরা দোকান কৌশলে মাল্টা বিহীন করে অন্যান্য ফল বিক্রি করছেন। রেয়াজুদ্দিন বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা খোকন মিয়ার সূত্র ধরে ফলমুন্ডির আল-আমিন ট্রেডার্স এ অভিযান করা হলে ঐ আড়তের ম্যানেজার সুমন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট স্বীকারোক্তি দেন যে মূলতঃ তারা কোল্ড স্টোরেজে মাল্টা সরিয়ে রেখেছেন। কৌশলে তারা চট্টগ্রাম ও ঢাকাভিত্তিক মাল্টা আমদানিকারক চক্রের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে কমিশন এজেন্ট, ব্রোকার, অসাধু কোল্ড স্টোরেজ, আড়তদার, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে মাল্টার দাম বেশি রাখছেন।

    এসময় আল-আমিন ট্রেডার্স এর মালিক মো.আলী হোসেন মার্কেট থেকে পালিয়ে যান। পরে আড়তের ম্যানেজারকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের অব্যাহত অভিযানের পরও ফলমন্ডিতে বাজার ফল ব্যবসায়ী সমিতি কার্যকর পরে পদক্ষেপ না নেয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের সমিতির ব্যর্থতার বিষয়ে মুচলেকা আদায় করেন। চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সভাপতি আবদুল মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর যৌথভাবে ফল ব্যবসায়ীদের নতুন অপকৌশলের বিষয়ে সাক্ষ্যমূলক মুচলেকা দেন।

    যে সকল ফল ব্যবসায়ী এ অভিনব কারসাজিতে যুক্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ফলমণ্ডি বাজার এলাকার মাল্টা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ফল বাণিজ্য (প্রাঃ) লিঃ, জি.এস ট্রেডিং, মেসার্স নুবাইদ, ইব্রাহিম এন্টারপ্রাইজের লোকজন অফিস ফেলে পালিয়ে যান।

    এ সময় মাল্টা আমদানিকারক মেসার্স এন.এস ফ্রুটস ইন্টারন্যাশনাল এর অফিস খোলা পাওয়া গেলেও তাতে অফিস কাম বাসার আদলে থাকা-খাওয়ার আয়োজন করা রয়েছে ও আরেকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রশাসনকে ফাঁকি দেয়ার জন্য সম্প্রতি দোকানের স্যাটারের সামনে যে স্থানে প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা থাকে সেটি কৌশলে কেটে ফেলেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর