Tag: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি

  • মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান একসূত্রে গাঁথা: শামীম

    মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান একসূত্রে গাঁথা: শামীম

    বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণ পাবে তখন, যখন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের অবদানকে স্বীকার করা হবে। এই চট্টগ্রামের মাটি থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সে ঘোষণায় সাড়া দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সশস্ত্রবাহিনীসহ সকলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেননি, তিনি রণাঙ্গনে শত্রুর মোকাবেলা করে জীবনবাজি রেখে আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জিয়াউর রহমান একইসূত্রে গাঁথা। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা মানে মুক্তিয্দ্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করা।

    আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান কোনো খেতাবের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে শোষিত নিপীড়িত নির্যাতিত দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য য্দ্ধু করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে দেশের গণতন্ত্রকে বার বার হত্যা করেছে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা বলতে দেশে কিছু নেই। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মাফিয়া রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করেছে। এ্ই ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে ধংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি এখনো মুক্ত নন, তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় দিয়ে সাঁজা দিয়ে আসছে। শেখ হাসিনার সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। হাজারো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বিএনপি এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাড়িয়েছে। এ সরকারের অনিয়ম, দূর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পিছনে তাঁকানোর আর কোনো সুযোগ নেই, এবার সামনে যাওয়ার পালা। মানুষের ভোটাধিকার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির নায়ক। স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতার মহান ঘোষক। জিয়াউর রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান আছেন। খেতাব কেড়ে নিতে পারবে ফ্যাসিবাদ এ সরকার, কিন্তু জনগণের ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানি আর্মিতে থাকা অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। আমরা বলে দিতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিকরা বেঁচে থাকতে শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তাঁর দাতভাঙা জবাব দিতে হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, জামাল হোসেন, আবু মো. নিপার, মোজাম্মেল হক ভিপি, হুমায়ন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দিন, এহসানে মওলা, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লোকমান, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল্লাহ, সদস্য সচিব ইউসুফ চৌধুরী, আলহাজ্ব হাসান চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আবু, সরোয়ার হোসেন, এডভোকেট শওকত ওসমান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল আলম শহীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির ফজলু, ওলামা দলের আহবায়ক মৌওলানা ফোরকান, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাফেজ মৌওলানা আবদুল করিম, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান আনিস প্রমুখ।

  • ৭ নভেম্বর জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: জাফরুল ইসলাম

    ৭ নভেম্বর জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: জাফরুল ইসলাম

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাজনীতি একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় রূপ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদে প্ররোচিত হয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। তিনি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যান্টমেন্টে বন্দি ছিলেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনে। তাই ৭ নভেম্বর জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বল্প সময়ে দেশের মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন। দেশপ্রেম, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সার্ক প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়মূখী কর্মকান্ডের কারণে তিনি একজন জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। একটি মহল জিয়াউর রহমানের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এখনও জিয়া পরিবার ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর ২ গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গণতন্ত্র বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। গণতন্ত্র কি জনগণ তা ভুলে গেছে। দেশে চলছে একনায়তন্ত্রের আধিপত্যবাদ। তাই ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে নতুন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর মুখে। ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। বাকশালের প্রেতাত্মার ঘৃণ্য থাবায় গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, এড, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, এড, এস এম ফোরকান, মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, হুমায়ূন কবির আনসার, ভি পি মোজাম্মেল হক, জিয়াউদ্দিন চৌধুরী আশফাক, হাজী মোঃ রফিক, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, জামাল হোসেন, লায়ন হেলাল উদ্দীন, জাহেদ হোসেন চৌধুরী, নুরুল কবির, এড, আবু তাহের, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, মোঃ সালাউদ্দিন, আফিল উদ্দিন আহমদ, ইউনুস চেয়ারম্যান, আবু তাহের এমএসসি, এড, আরশাদুর রহমান লিটু, শাহনাজ বেগম, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মন্জুর আলম তালুকদার, সিঃ সহ সভাপতি শ ই রাহি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল আলম শহীদ, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, যুগ্ম সম্পাদক কে এম আব্বাস, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক হাফেজ মোঃ ফোরকান, সদস‍্য সচিব মাহফুজুর রহমান আনিস প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • দেশের নব্বই ভাগ ভোটার বিএনপির সাথে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

    দেশের নব্বই ভাগ ভোটার বিএনপির সাথে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

    কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন,আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনে ভোটার আসার বিষয়ে বিএনপির একটা ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বাংলাদেশের তৃণমূলের সর্বস্তরের জনগন বিএনপির সাথে আছে। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। দেশের নব্বই ভাগ ভোটার বিএনপির সাথে আছে।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই নব্বই ভাগ মানুষ ভোট দিতে যায় না। বাকী দশ ভাগ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের ব্যাপক তা-ব, ভোট-সন্ত্রাস ও নানা অপকর্মের ভোট। ফলে এটি আরেকবার সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আওয়ামীলীগ জনগনের ভোটের তোয়াক্কা করে না। দেশের জনগণ আওয়ামীলীগের সাথে নেই। এটা দশ ভাগ ভোটারের নির্লজ্জ সরকার। বর্তমানে সংখ্যাগুরুর নয় সংখ্যালগুর সরকার ক্ষমতায় আছে। এখন জনগণকে বেচে নিতে হবে দশ ভাগ ভোটারের দল ক্ষমতায় থাকবে না-কি নব্বই ভাগ ভোটারের দল ক্ষমতায় থাকবে?

    তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপির সমর্থক ও ভোটারদের ওপর হামলা এবং ব্যাপক ভোট জালিয়াতির আশ্রয় নিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার অনুগত প্রশাসন সেসব দেখেও না দেখার ভান করে। এসব অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি ও পেশী শক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সব কিছু চলছে সরকারের ইশারায়, দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসন আজ ভুলণ্ঠিত। এর থেকে আমাদের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে হবে দেশের নব্বই ভাগ জনগণকে সাথে নিয়ে। তাহলেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

    তিনি শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাবেক ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ছাত্রদলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে আয়োজিত স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি প্রয়াত ছাত্রদল নেতাদের শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

    দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। বরাবরের মতোই উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন গুলোতেও সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নির্লজ্জ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও নিজেদের স্বাধীন সত্তা বিকিয়ে দিয়ে সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদল নেতারা গুরুতপূর্ন ভুমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান অবৈধ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের জবাব দিতে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রদলই পারবে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে। তাই সারাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান ছাত্রদল নেতাদের সমন্বয়ে আন্দোলন শুরু করার আহবান জানান।

    স্বরণ সভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ওয়াহাব কাসেমী, শাখাওয়াত জামাল দুলাল, এস এম সাইফুল আলম, এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরণ সভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কামরুল ইসলাম হোসাইনী। বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হক, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, নুরুন্নবী চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সালাউদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউদ্দীন চৌধুরী আশফাক, ভিপি মোজাম্মেল হক, হুমায়ুন কবির আনসার, মহসিন চৌধুরী রানা, জসিম উদ্দীন, ইউনুছ মিয়া, নুরুল কবির বাদশা, মাহমুদুর রহমান মান্না, আকতার নবী প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হামলা করে বিএনপি নেতা কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না:শামীম

    হামলা করে বিএনপি নেতা কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না:শামীম

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, হামলা মামলা করে বিএনপি নেতা কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার মাধ্যমে এক দলীয় শাসন কায়েমের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। যতবার হামলা করেছে বিএনপি ততই শক্তিশালী হয়েছে। আগামীতে সকল বাধা পেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইনশাআল্লাহ।

    তিনি বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকালে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তৌহিদুল আলমসহ নেতাদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আহত নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করে প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নেন এবং তাদের সুস্থতা কামনা করেন।

    এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য এনামুল হক এনাম, লায়ন হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন চৌধুরী রানা, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, যুবদল নেতা হামিদুর রহমান পেয়ারু প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আওয়ামীলীগ ভোটের ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে: জাফরুল ইসলাম

    আওয়ামীলীগ ভোটের ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে: জাফরুল ইসলাম

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি পাবনা, ঢাকা ও নওগাঁর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতই কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সীল মেরে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করেছে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। রিটার্নিং অফিসার ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। সেখানে উপ-নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ভোটের ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি উপ-নির্বাচনের ফলাফল অবিলম্বে বাতিল করে পূনরায় নির্বাচনের দাবী জানান।

    তিনি সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে নগরীর দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন।

    ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের চরম ব্যর্থতায় আইন সংশোধন করে মৃত্যুদন্ডের বিধান সংযোজন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয় দাবি করে জাফরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষকরা সরকারি দলের সদস্য বলে তাদের অপরাধের কোনো বিচার হয় না। শনিবার ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে আন্দোলনকারীদের ওপর ফেনীতে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা প্রমাণ করেছে যে, পুলিশের সারাদেশে ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ শুধুমাত্র লোক দেখানো ছিল।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলেছে, ব্যালট ইউনিট গোপন কক্ষে থাকবে, সেখানে ভোটার ছাড়া কারোর যাওয়ার সুযোগ নেই এটা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা তথ্য। এখন অধিকাংশ ভোট কক্ষের নিয়ন্ত্রণ থাকে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হাতে। প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের সবাই সরকারি কর্মকতা। সরকারের হুকুমেই তাদের কাজ করতে হয়। তাদের সাথে যুক্ত থাকে সরকারি দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট নামের ক্যাডার বাহিনী।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাসের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দীন, এনামুল হক এনাম, এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, এড. এস এম ফোরকান, নাজমুল মোস্তফা আমিন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম সওদাগর, লায়ন হেলাল উদ্দীন, জামাল হোসেন, খোরশেদ আলম, নবাব মিয়া, হুমায়ুন কবির আনসার, ভিপি মোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম, নুরুল কবির, এহসান মওলা, মফজল আহমদ চৌধুরী, ইসহাক চৌধুরী, জসিম উদ্দীন, বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আবু, এড আবু তাহের, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন চৌধুরী রানা, নুরুন্নবী চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, সরওয়ার হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, মোজাম্মেল হক, আফরোজা বেগম জলি, শাহনাজ বেগম, সালাহ উদ্দীন চৌধুরী, আতিকুর রহমান, মো. বেলাল প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল করতে হবে : শামীম

    ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল করতে হবে : শামীম

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিচার বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় মানুষকে হত্যা ও গুম করা আজ সরকারের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে দলীয় ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে বিনষ্ট করে দিয়ে তারা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

    ক্ষমতাসীনরা এখন ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং জিয়া পরিবারকে খাটো করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া তাদের একমাত্র প্রতিধন্ধী। জিয়াউর রহমান ৪০ বছর আগে শাহাদাত বরণ করার পরও তাঁর অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয়তাকে ক্ষমতাসীনদের এতই ভয় যে আজও তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার সাহস রাখে না। তারা শত শত নেতাকর্মীকে গুম করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে।

    দেশে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিতে হবে।

    তিনি সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মানুষকে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষায় বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন জাগিয়ে তোলাই ছিল জিয়াউর রহমানের মূলমন্ত্র। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে ইসলামী মূল্যবোধের মিশ্রণ বিএনপিকে জনপ্রিয় করে তোলে।

    শহীদ জিয়া ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচি দল ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এক রাজনৈতিক দর্শন হিসেবেই অখ্যায়িত করা হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। চারদশক আগে চারদিকে হতাশা, ক্ষোভ, এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ জনগণের মাঝে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করে পথচলা শুরু হয় বিএনপির। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় সীমাহীন প্রতিকূল পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হয়েছে। জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি মুক্তির সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও শত জুলুম নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এক-এগারোর সরকারের সময়ে বিএনপির ওপর যে মামলা, হামলা, জেল, জুলুম শুরু হয়েছিল তার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। হাজার হাজার।নেতাকর্মী হত্যা, গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জরিত। মেজর সিনহাকে পুলিশের গুলিতে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির এত দিনের করা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা মেজর সিনহা হত্যার বিচার চাই, সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন এ দেশের মাটিতে হবে সে আস্থা এবং বিশ্বাস রাখি। এখন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস’র পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ শহীদুল আলম শহীদ, জেলা তাতী দলের আহবায়ক নুরুল আবছার, জেলা শ্রমিক দলের সি: যুগ্ম সম্পাদক হাসান জাকারিয়া, জেলা যুবদলের সি: যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজুল কবীর ফজলু।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এড: এস এম ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এম মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মুজিবুর রহমান, বোয়ালখালীর পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম, এড: ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, জামাল হোসেন, হুমায়ুন কবীর আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দিন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী রফিক, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক এহসানুল মওলা, চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, এড. কাসেম চৌধুরী, এস এম সলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম তালুকদার, সি: সহসভাপতি শ.ই রাহি, জেলা ছাত্রদলের সি: যুগ্ম সম্পাদক কে এম আব্বাছ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বোয়ালখালীর পৌর মেয়রকে সরকারী ত্রান বরাদ্দ না দেয়ায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিবাদ

    বোয়ালখালীর পৌর মেয়রকে সরকারী ত্রান বরাদ্দ না দেয়ায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিবাদ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সংগঠন সংবাদ : করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে আসা ত্রাণের বরাদ্দ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আবুকে না দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি।

    আজ মঙ্গলবার (১২ মে) দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সি. যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক যুক্তবিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, করোনার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে বোয়ালখালীতে এ পর্যন্ত ৮ দফায় ত্রাণ এসেছে। প্রতিবারই ব্যবস্থাপনার স্তর লঙ্ঘন করে ত্রাণ বরাদ্দে মেয়রকে বাদ দিয়ে পৌর এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।

    বোয়ালখালী পৌর মেয়র বিএনপি দলীয় হওয়ায় এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য পৌর মেয়রকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়নি। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

    সরকারের ত্রাণ পৌর মেয়রের নামে বরাদ্দ না দিয়ে কাউন্সিলরের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের কোথাও এই ধরনের নজির নেই।

    নেতৃবৃন্দরা বলেন, বোয়ালখালীর পার্শ্ববর্তী পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালীসহ জেলার সব পৌরসভা এলাকায় মেয়রের নামে পৌর এলাকার ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু বোয়ালখালী পৌরসভার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটি জনগণের ভোটের রায়ের প্রতি অবিচার ও ক্ষমতার অপব্যবহার।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, বোয়ালখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকারি নিয়মনীতির তোয়ক্কা না করে পৌর এলাকার সরকারি ত্রাণ পৌর মেয়রকে বরাদ্দ না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মাফিক বিলি বন্টন করেন।

    তিনি নিয়ম লঙ্গন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ এবং বিতরণ করছেন।
    ফলে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

    ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে বোয়ালখালীর ইউএনও’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পৌর মেয়র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু জেলা প্রসাশন এই অভিযোগের ব্যাপারে এখনো কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে চাল ও খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মসাৎ করছেন।

    প্রতিদিন সারাদেশে ত্রাণের চাল, ডাল ও তেল ধরা পড়ছে। আওয়ামী দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বাররা গরীবের ত্রাণের চাল চুরির উৎসবে মেতে উঠেছে।

    দেশের সকল সংকটকালীন মুহুর্তে আওয়ামীলীগ জনগণের কথা না ভেবে লুটপাতে ব্যস্ত হয়ে যায়। আওয়ামীলীগের এমপিরা জনগণের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রাণ থেকে ভাগ বসাচ্ছে। আবার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারী ত্রাণের বরাদ্দ থেকেও বাদ দিচ্ছে।

    নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, সারাদেশে অসহায় মানুষের জন্য সরকার যে ত্রাণ বরাদ্দ দিচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়, তার উপরে এসব ত্রাণ থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তা আত্মসাত করছে। তাদের যে চোরের মনমানসিকতা তারা সে দৃষ্টিভঙ্গির সংকির্ণতা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি।

    অপরদিকে বিএনপি দীর্ঘ এক যুগ ক্ষমতার বাহিরে থাকার পরও সারাদেশে বিএনপি, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজস্ব অর্থায়নে কর্মহীন মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে।

    জনগণের দল হিসাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাড়িয়েছে। করোনা শুরু থেকে চট্টগ্রামে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

    নেতৃবৃন্দরা বলেন, বর্তমানে দেশের এই দূর্যোগকালীন সময়ে কে কোন কোন দল করে তা বিবেচনা করার সময় নয়। মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাড়ানো সবার কর্তব্য। নেতৃবৃন্দ বোয়ালখালীর নির্বাচিত র্পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুকে ত্রাণের বরাদ্দ থেকে বাদ চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে দলমত নির্বিশেষে জনগনের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • বানোয়াট নির্বাচনের ফলাফল কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়:শামীম

    বানোয়াট নির্বাচনের ফলাফল কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়:শামীম

    বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ইভিএম দিয়ে নতুন কৌশল উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনে তাদের ইচ্ছা মত ফলাফল প্রকাশ করেছে। ইভিএমের উপর জনগণের কখনো আস্থা ছিল না, কারণ ইভিএম হল ভোট ডাকাতির কৌশল। ক্রুটিপূর্ণ ইভিএম মেশিনের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। ফলাফল ঘোষণা সন্ধ্যার সময় একদম বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের মত হিসাব মিলিয়ে মিডিয়া কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাই এ বানোয়াট নির্বাচনের ফলাফল কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এ অপরাধে কমিশনকে জনগণের আদালতে দাড়াতে হবে।

    তিনি আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর দোস্তবিল্ডিংস্থ দলীয় কার্য্যলয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি এখন গণতন্ত্র সচেতন। তারা গণতন্ত্রের জন্য অতীতে লড়াই করে রক্ত দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধংস করে দিয়েছে। যার কারণে মানুষ এখন নির্বাচন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিই সেটা প্রমাণ করেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামীলীগ একটি অবৈধ দখলদার সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শনিবার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির আরেকটা মহড়া দিল। এতে প্রমাণ হয় এ সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর মধ্যে আর কোন পার্থক্য নেই। এটা পুরোপুরি একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার তাদের ক্যাডার বাহিনী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র দখল করেছিল। একইভাবে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি, ভোটারদের ভয়ভীতি ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলার আওতাধীন বোয়ালখালীর সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের কারণে তিন মাসের ভিতর কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার কাজ সেভাবে করা যায়নি। আজকের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী কিছু দিনের মধ্যেই জেলার আওতাধীন থানা, উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি গঠন করা হবে। সকলকে ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দীন, এনামুল হক এনাম, ইদ্রিস মিয়া, এডভোকেট ইফতেখার হোসেন মহসীন, মোশাররফ হোসেন, নুরুল আনোয়ার, এডভোকেট এস এম ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এহসান এ খান, এম মনজুর উদ্দীন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, হাজী আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট ফৌজুল আমীন, খোরশেদ আলম, জামাল হোসেন, মফজল আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম সওদাগর, মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজ্বী মো: রফিক, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, নবাব মিয়া, এহসান মওলা, মোকতার আহমদ, নুরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দীন চৌধুরী আশফাক, মোস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট কাশেম চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, জসিম উদ্দীন, এস এম সলিম উদ্দীন চৌধুরী খোকন, চন্দ্র গুপ্ত বড়ুয়া, নিলুফার ইয়াসমীন প্রমুখ।

     

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ

    মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান এর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।

    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস মোড়ে নেতাকর্মীরা জমায়েত হন।

    এ সময় আবু সুফিয়ান বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে এসেও আমাদেরকে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিাক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। বীর উত্তম শহীদ জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি গণতন্ত্র ও বেগম বেগম খালেদা জিয়ার খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস,সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, এড.এস,এম ফোরকান, সিরাজুল ইসলাম, আবু নিপার, মোঃ জসিম উদ্দিন,এড.আবু তাহের, সৈয়দ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, এ্যাড. আরশাদুর রহমান রিটু, সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, মন্জুর উদ্দিন তালুকদার,শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, নাজিম উদ্দিন , ইউনুস বাবুল, এমদাদ আনসারী, মোজাম্মেল হক, ফজলুল কবিরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।