Tag: চট্টগ্রাম বন্দর

  • চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা জাহাজে বার্জের ধাক্কা

    চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা জাহাজে বার্জের ধাক্কা

    চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-৩ নম্বর বার্থে নোঙর করা কন্টেইনার জাহাজ এমভি এক্সপ্রেস কোহিমাকে ধাক্কা দিয়েছে ‘মদিনা-৭’ নামের একটি বার্জ।

    এতে জাহাজটির ‘বে ২২’ (হাল ফ্রেম) এরিয়ায় এক বর্গফুটের বেশি ফুটো হয়েছে। এ সময় জাহাজটিতে ৯২ টিইইউস রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার ছিল।

    মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে এমভি এক্সপ্রেস কোহিমাকে টিএসপি জেটিতে নেওয়া হয়েছে মেরামত করার জন্য।

    সূত্র জানায়, সোমবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বার্জটি আঘাত হানে কন্টেইনার জাহাজটিতে। এ সময় জাহাজটিতে ৯২ টিইইউস রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার লোড করা হয়েছিল। আঘাতের পর কন্টেইনার লোড-আনলোড অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যালেন্সের জন্য জাহাজে আগে থেকে থাকা ১৩৭ টিইইউস কন্টেইনার আনলোড করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ বার্জটি আটকের পর জরিমানা আদায় করে।

    এমভি এক্সপ্রেস কোহিমার স্থানীয় এজেন্ট সীকমের কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের জাহাজটি মেরামতের জন্য টিএসপি জেটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সার্ভে করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। বার্জের আঘাত পানির লেবেল থেকে উপরে হওয়ায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা হয়েছে।

  • চট্টগ্রাম বন্দরে এলো নতুন হাইস্পিড পেট্রল বোট

    চট্টগ্রাম বন্দরে এলো নতুন হাইস্পিড পেট্রল বোট

    ইতালির এফবি ডিজাইনের ইয়ার্ডে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নির্মিত হাইস্পিড পেট্রল বোট দেশে এসেছে। ইতালির রেভেনা বন্দর থেকে কনটেইনার জাহাজ সোঙ্গা চিতায় তুলে ২২ দিনের যাত্রা শেষে রোববার (১৫ মে) সকালে স্পিড বোটটি চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি জেটিতে আনা হয়।

    বহির্নোঙর থেকে জাহাজটি জেটিতে আনার সময় বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী ১০ ও ১২ সহায়তা করে। এ সময় বন্দরের নিজস্ব পাইলট আবুল খায়ের সোঙ্গা চিতার দায়িত্বে ছিলেন।

    বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ১৬ দশমিক ৫ মিটার লম্বা ও ১ দশমিক ২ মিটার ড্রাফটের পেট্রল বোটটি প্রায় ২২ কোটি টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগরে চলাচলের উপযোগী।

    এটি ঘূর্ণিঝড়ে উল্টে গেলেও আবার আগের অবস্থান নিয়ে নেবে। আধুনিক নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইট রাডার, স্যাটেলাইট কম্পাস, ২টি ইঞ্জিন, ৩টি জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এ বোটে ১৬ জন বসতে পারবে।

    পেট্রল বোটটি সোঙ্গা চিতা থেকে নামানোর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে ট্রায়াল দেবে বন্দরের নৌবিভাগ। এরপর এটি বন্দরের ১ নম্বর বার্থের সার্ভিস জেটিতে থাকবে।

    বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, অত্যাধুনিক পেট্রল বোটটি খালাসের আগে সোঙ্গা চিতার ৩০০ খালি কনটেইনার নামাতে হবে। এ বোটটি পতেংগা থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দ্রুততম সময়ে পাড়ি দিয়ে পাইলটদের আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া বহির্নোঙরে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে বন্দরের নৌ বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বোটটি পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

    নতুন হাইস্পিড পেট্রল বোটটির কারণে বন্দরের জাহাজের বহরে সক্ষমতা যেমন বাড়লো তেমনি মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

  • চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান

    চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান

    রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। মোংলা বন্দরে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের উপ-মহাপরিচালক ছিলেন। তারও আগে, তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার) ছিলেন।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদায়ী চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

    বুধবার সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ অধিশাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান (এনবিপি, এনডিসি, পিএসসি) ১৯৮৪ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৪ জুলাই কমিশন প্রাপ্ত হন। চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে নৌবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

    নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান (এনবিপি, এনডিসি, পিএসসি) ১৯৮৪ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৪ জুলাই কমিশনপ্রাপ্ত হন। মিরপুরে জাতীয় ডিফেন্স কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ১৯৮৭ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্টাডিজ ডিফেন্সে স্নাতকোত্তর এবং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

    এম শাহজাহান ‘পোর্ট অফ শিপিং এবং শিপিংয়ের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশ’ বিষয়ক থিসিস নিয়ে গবেষণা করেন। তার কর্মজীবনে দেশে এবং বিদেশে বেশ কয়েকটি পেশাদার কোর্স করেন ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজের কমান্ড দিয়েছিলেন।

    তিনি নৌ সদর দফতরে ডিরেক্টর ব্লু ইকোনমি, ডেপুটি ড্রাফটিং কমান্ডার, স্টাফ অফিসার (নৌ নিয়োগ) -১ এবং নৌ সদর দফতরে বিভিন্ন অধিদফতরে কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ডেপুটেশন ছাড়াও তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে ব্লু ইকোনমি সেলের সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোস্টগার্ড সদর দফতরে বঙ্গদেশ কোস্ট গার্ডের উপ-মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    জাতিসংঘ মিশনের অধীনে সামরিক পর্যবেক্ষক দলের টিম লিডার এবং হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনে ব্যানসন -২ এ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন।

  • দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিজের টাকায় সরকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশের যেকোনো মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তে অবস্থান করুক না কেন গর্ব করে বলে, আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। আমরাও গর্ব অনুভব করি। আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাবো।

    রবিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৪ তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করছে। পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। আগে দেশে মহাসড়ক ছিল না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল কত কিছু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে।

    নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে। করোনায়ও বন্দর সার্বক্ষণিক সচল ছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

    উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার সংকটকালে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রেখেছেন। এটা চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আপনারা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। আপনারা বন্দর সচল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে এনবিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আমাদের দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভা।

    বিরাট সম্ভাবনার বাংলাদেশ নেতিবাচক সংবাদ চায় না মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে, দেশের সুনাম মর্যাদা রক্ষার জন্য অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের লিখনী, সংবাদ পরিবেশন আমাদের প্রেরণা, সাহস জুগিয়েছে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে একটা সময় ছিল নেতিবাচক সংবাদই বড় সংবাদ। বাংলাদেশ এখন সে জায়গায় নেই। এদেশের মানুষ, পাঠক নেতিবাচক সংবাদে বেশি দৃষ্টি দেয় না।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।

    উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

    জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর মো. হাতেম, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ।

  • চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্র্যাপের বদলে আসলো ১১৫ টন পাথর টুকরো, ২০ কন্টেইনার জব্দ

    চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্র্যাপের বদলে আসলো ১১৫ টন পাথর টুকরো, ২০ কন্টেইনার জব্দ

    চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে মূল্যহীন ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক (পাথরের টুকরো)। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃক পণ্য ও কনক্রিটভর্তি ২০টি কন্টেইনার জব্দ করেছে। এতে করে অন্তত ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

    কাস্টমস সুত্রে জানাগেছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান-সাকুরা স্টীল লি: (ঠিকানা-সিন্দুরিয়া পাড়া, ময়নামতি বাজার, বুড়িচং, কুমিল্লা) সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রুপালী ব্যাংক লি: এর দিলকুশা শাখায় একটি ঋণপত্র খোলেন। ঋণপত্রে পণ্যের মূল্য ধরা হয় ১,৭১,৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। উক্ত ঋণপত্রের আওতায় গত ২১/০৪/২০১৯ খ্রি: তারিখে দুবাই এর জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজ যোগে আয়রণ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০ টি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় তড়িৎ খালাসের লক্ষ্যে কন্টেইনারগুলো সিসিটিসিএল ডিপোতে (বেসরকারি অফডক) প্রেরণ করা হয়।

    পণ্য আমদানীতে বড় ধরণের এই জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক দীর্ঘদিন কোন ধরণের উদ্যোগ না নেয়ায় এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট কোন ডকুমেন্ট দাখিল না করায় আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।

    পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ টিম (এআইআর) কন্টেইনারগুলো পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় এবং কন্টেইনার খুলে দেখা যায় ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যহীন কিংবা স্বল্প মূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়।

    এক্ষেত্রে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা পাচারের প্রচেষ্টা ছিল কিনা অথবা রপ্তানিকারক এ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণা করেছেন কিনা তা অনুসন্ধান শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।

     

  • চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর জায়গা উদ্ধার

    চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর জায়গা উদ্ধার

    চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা এক একর ভূমি উদ্ধার করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় উক্ত জায়গা হতে অবৈধভাবে নির্মিত ও বসবাসকারী ১৫০টি স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে বন্দরের অথরাইজড অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত।

    সোমবার (২ নভেবম্বর) সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।

    উচ্ছেদ অভিযান বন্দরের নিউমুরিংয়ের তক্তারপুল এলাকার এম পি বি গেইট থেকে শুরু হয়ে নেভি গেইট পর্যন্ত চলে।

    চট্টগ্রাম বন্দরের এসিস্ট্যান্ট এস্টেট ম্যানেজার মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের পরিত্যাক্ত বিশাল জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তুলে ভোগদখল করে রেখেছিল বিভিন্ন মানুষ। আজ অভিযান চালিয়ে তা দখলমুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ ২০ জন শ্রমিক ও ১১ জন আনসার অংশ নিয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • দখল দূষণে বিবর্ণ কর্ণফুলী বন্দরের অব্যবস্থাপনার ফসল: সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তাদের অভিমত

    দখল দূষণে বিবর্ণ কর্ণফুলী বন্দরের অব্যবস্থাপনার ফসল: সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তাদের অভিমত

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত ষোল কিলোমিটার কর্ণফুলী রক্ষার দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরের। বন্দর কতৃপক্ষ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নদীর তীর ও নদী লিজ দিয়েছে। তবে কর্ণফুলী ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করেনি।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা এভাবেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

    কর্ণফুলী ও দেশের নদনদী দখল দূষণমুক্ত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন নদী ও নৌকাকে ভাল বেসেছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীর এই শোভাযাত্রায় একটাই দাবী আর তা হলো দখল দূষণমুক্ত হোক কর্ণফুলিসহ দেশের সকল নদ-নদী।

    আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় নগরীর অভয়মিত্রঘাট থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

    তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সব সময় নিজেকে মাঝি কূলি মজুরের সহযোদ্ধা ভাবতেন। এই মহানের জন্মশতবার্ষিকীতে সাম্পান মাঝিদের দাবী তাদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেই সাথে চট্টগ্রাম বন্দরকে অবশ্যই কর্ণফুলী রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।

    অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, নদী খেকোদের দখল, কলকারখানার শিল্প বর্জ্যের দূষণের কবলে পড়ে কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের অসংখ্য নদীর বিপন্ন অবস্থা।

    সাম্পান শোভাযাত্রা

    অস্তিত্ব হারাতে বসেছে কর্ণফুলিসহ দেশের অসংখ্য নদ-নদী। এমন অবস্থায় সাম্পান শোভাযাত্রার মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকেই নদী বাঁচানোর ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

    আ জ ম নাছির বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলীতে। দখল দূষণে কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্দর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি সঞ্চালনের মতো দেশে অন্য বিকল্প বন্দর নাই। তাই কর্ণফুলী রক্ষার সকল আয়োজন চট্টগ্রাম বন্দরকেই করতে হবে।

    তিনি বলেন, জনসাধারণের অসচেতন ও বেপরোয়া ব্যবহারে দিন দিন নদীগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দখল ও ভরাটের করাল গ্রাসে অনেক নদী মরে গেছে। নদী বাঁচলে জীবন বাঁচবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই নদীকে বাঁচাতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী।

    মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: আবু তাহের, সদস্য সাইফুদ্দিন বেলাল, হাজী মোহাম্মদ বেলাল, সাবেক কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্নদ লোকমান দয়াল, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, আবুল হোসেন আবু ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রমুখ।

    জানা যায়, কর্ণফুলীসহ সকল নদনদীর দখল,দূষণ প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির প্রথম পর্ব অভয়মিত্র ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সাম্পান শোভাযাত্রা আজ শুক্রবার ১৬ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে সাম্পান শোভাযাত্রা কর্ণফুলী ব্রিজ হয়ে পুনরায় অভয়মিত্র ঘাটে সমাপ্ত হয়। শোভাযাত্রায় দুই শতাধিক সাম্পান অংশগ্রহন করে। এই শোভাযাত্রায় নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ

  • চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে ভয়াবহ আগুন

    চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে ভয়াবহ আগুন

    চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর বার্থের ৩ নম্বর শেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২টি গাড়ি।

    আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

    কেমিক্যালের শেডে আগুন লাগায় তা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুন আয়ত্ত্বে আনার জন্য দমকল বাহিনী নানাভাবে চেষ্টা করেও সফল হচ্ছে না। তবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখা ও প্রচণ্ড কালো ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

    চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বন্দরের তিন নম্বর শেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

    তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বন্দরের ফায়ার সার্ভিস, নিমতলা ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম বন্দরকে দক্ষতায় ৩০তম অবস্থানে দেখতে চাই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

    চট্টগ্রাম বন্দরকে দক্ষতায় ৩০তম অবস্থানে দেখতে চাই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে আছে। এই দক্ষতা অব্যাহত রেখে আমরা চাই ৩০-৫০ তম অবস্থানের মধ্যে চলে আসতে।’

    চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে সমুদ্রবন্দরের কর্মীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী এই আশাবাদের কথা ব্যক্ত করেন।

    আজ বুধবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের লাইফ-লাইন বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।

    তিনি বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এ সময় বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ নিমতলা থেকে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ আকষ্মিক পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    পরিদর্শনকালে মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়েই বন্দর থেকে প্রতিদিন পণ্য বা কন্টেইনারবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ এবং হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ছয় লেন বিশিষ্ট পোর্ট কানেকটিং রোড উন্নয়ন কাজ এখন প্রায় শেষ প্রান্তে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

    এসময় তিনি সড়ক সংলগ্ন এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে সাময়িক দুর্ভোগ, হয়রানি হচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রসব বেদনা। এ বেদনা সইতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকা হবে নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় গড়ে উঠবে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল। এই সড়কে দুই দফায় ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং থেকে বড়পুল, বড়পুল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে বড়পুল নয়াবাজার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুইপাশে আর সিসি ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মিডিয়ান নির্মাণ, এলইডি আলোকায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ছয় লেনের সড়কটি দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২০ ফুট। অপরদিকে একই প্রকল্পে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।

    মেয়র সকল ধরণের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে যাতায়তের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি সরকারের সেবামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং কাজের মানও রক্ষা হচ্ছে না। এ ধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কার্যকলাপেলিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে অসৎ প্রকৃতির স্বার্থপর গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেট লুন্ঠন প্রবৃত্তিতেলিপ্ত। এরা সরকার ও জনগণের শত্রু। করোনা অদৃশ্য শত্রু। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা দৃশ্যমান শত্রু তাদেরকে ঘায়েল করার ক্ষমতা সরকার ও জনগণের আছে। তাই এই শত্রুকে নির্মূল করতে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।

    এসময় মেয়র আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই সড়কের সকল উন্নয়ন কাজ শেষ করে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাক্ষাত : আজ সকালে টাইগারপাসস্থ মেয়র দপ্তরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    সাক্ষাতকালে এই দুর্যোগকালিন সময়ে মেয়র নগরীর সামাজিক সংগঠন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান, অর্গানিয়ার কো-অডিনেশন এস এম সাজ্জাদ হোসেন, অর্গানিয়ার কাজী আবু জব্বার, কোয়ান্টাম লাশ দাফন টীমের প্রধান সেবক মো. এহসানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আমাদানীকৃত পণ্য জব্দ

    ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আমাদানীকৃত পণ্য জব্দ

    ঘোষণা বহির্ভূত ও অতিরিক্ত পণ্য আমদানী করে সরকারের ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে আটক করা হয়েছে একটি চালান। চট্টগ্রাম কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ সোমবার কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটি জব্দ করার ঘোষণা দেয়।

    শুল্ক গোয়েন্দার অভিযোগ, আমদানি নথিতে সস, মটরশুঁটি ও চকলেট ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে ঘোষিত পরিমানের অতিরিক্ত এবং পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চশুল্কের খাদ্যদ্রব্য। চালানটি আটক করেছে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

    কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের, জেবুন্নেসা রোডের ৬০৪/৬০৯ কর্ণফুলী টাওয়ার ঠিকানার জিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের নামে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে শেখ মুজিব সড়কের ৯৩৬ আহমেদ ম্যানশনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইস্টার্ন এন্টারপ্রাইজ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাস্টম হাউসে চালানটি খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-৩২১৮০৩) দাখিল করেন।

    আমদানি নথিতে ৪ হাজার ৯৫৬ কেজি সস ঘোষণা দেয়া থাকলেও এর বিপরীতে চালানটিতে মিলেছে ৫ হাজার ৭৯ কেজি সস । ১৩ হাজার ৭৯০ কেজি মটরশুঁটি ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া ২৪০ কেজি এবং ১ হাজার ২৯৬ কেজি, চকোলেট ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া ৮ হাজার ৬০৪ কেজি চকোলেট । এছাড়া আমদানির ঘোষণা না দিলেও আনা হয়েছে অর্গানিক মিক্সড নাটস ১ হাজার ৮৬০ কেজি, চুইংগাম ১৬ হাজার ২৫২ কেজি, নুডুলস ৩৯২ কেজি এবং উচ্চশুল্কের এনার্জি ড্রিংকস ১০ হাজার ৬৪৮ লিটার।

    কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার নূর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া বলেন, চালানটির বিষয়ে অনিয়মের গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেসটিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখা কর্তৃক প্রথমে লক করা হয় । আজ সোমবার এআইআর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে জালিয়াতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। হিসাব করে প্রাথমিকভাবে আমদানিকারকের ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা নির্ণয় হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ত্রাণ ভিক্ষা নয়, চিকিৎসা সহায়তা চাই;চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট সুজনের করুণ আকুতি

    ত্রাণ ভিক্ষা নয়, চিকিৎসা সহায়তা চাই;চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট সুজনের করুণ আকুতি

    করোনা দুর্যোগের সময় বাংলাদেশ অর্থনীতির হৃৎপিন্ড খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দরের অমানবিক নিস্পৃহতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ সোমবার (১ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রামের ভৌগলিক সুবিধার উপর গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দরের হাত ধরে বাংলাদেশ সম্পদের সমৃদ্ধির উচ্চশিখরে আরোহণ করেছে। বন্দরের আয় দিয়েই অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। কিন্তু বাপ-দাদার ভিটেমাটির বিনিময়ে যেই বন্দর তৈরি, চট্টগ্রামবাসীর কোনো বিপদ আসলে সেই বন্দরের দরজা সাধারণত বন্ধই থাকে।

    তিনি বলেন, অনেক চট্টগ্রামবাসীই বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তবু তাদের মনে সান্তনা, তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমৃদ্ধির উচ্চসোপানে আরোহন করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাকালে এখন পৃথিবীর বাকি দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও বিপর্যস্ত।

    সুজন বলেন, আমাদেরই চট্টগ্রাম নগরী এখন করোনা হটস্পটে পরিণত হয়েছে। শত শত চট্টগ্রামবাসী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রত্যহ, প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। চট্টগ্রাম বন্দরেরই পাঁচজন কর্মচারী ও বন্দর সংশ্লিষ্ট মানুষ এই পর্যন্ত মারা গিয়েছে করোনাক্রান্ত হয়ে। ঘরে ঘরে যখন দূর্যোগরূপী করোনা মৃত্যুর কড়া নাড়ছে, তখন চট্টগ্রামবাসীর আত্মত্যাগে প্রতিষ্ঠিত বন্দর যাদের হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে, তারা এই দুর্যোগে সামান্য মানবিক সহযোগিতা দেখায়নি কাউকে। যেটি খুবই দুঃখ, ক্ষোভ ও লজ্জার বিষয়। চট্টগ্রাম বন্দরের এই নীরব অবহেলা জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

    তিনি বলেন চট্টগ্রামের মানুষ বন্দরের কাছে ত্রাণ ভিক্ষা চায় না। এই চরম দুর্যোগের সময় মানুষ আশা করে যে মানুষের জীবন বাঁচাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের হাজার কোটি টাকার সম্পদ হতে কিছু অর্থ চিকিৎসা সহযোগিতায় ব্যয় করবে। বন্দরের অলস পড়ে থাকা হাসপাতালের দরজা চাইলেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষেই সম্ভব।

    এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হাসপাতালে বন্দরের কর্মচারীদের জন্য কিছু সংখ্যক সিট সংরক্ষিত রেখে বাকি সিটগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত মা ও শিশু হাসপাতালের বিশাল ভবন ৫০০ রোগী ধারনের ক্ষমতা রাখে, কিন্তু উপযুক্ত সহযোগিতার অভাবে খালি পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে করোনা সংকটকালীন যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ে বন্দরের তহবিল হতে ব্যয়ভারও গ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া বন্দর সংশ্লিষ্ট ও বন্দরে চাকুরিরত প্রত্যেক শ্রমিকের পৃথক নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান জনাব সুজন। এই করোনা মহামারির সময় যেসব বন্দর কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি।

    চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় সমৃদ্ধির মূলকেন্দ্র। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জনগনের আকাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা রয়েছে, প্রত্যাশা পূরণে বন্দরের মানবিক সাড়াও প্রত্যাশা করেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর