Tag: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • চবি থেকে ছাত্রলীগ-ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

    চবি থেকে ছাত্রলীগ-ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

    সাংবাদিক হেনস্তা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি এবং হল ভাঙচুরের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মীকে।

    সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির অনলাইন সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে প্রকাশ করা হয় বহিষ্কার আদেশ।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষ ও মারধরের প্রতিটি ঘটনা যাচাই করে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জড়িত অনেকে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপে জড়াবেন না মর্মে কথা দিয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে সতর্ক করে ক্ষমা করা হয়েছে।

    যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে

    চবি ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তাসফিয়া জাসারাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত বছরের ১১ আগস্ট খালেদা জিয়া হলে ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং মারধরের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

    গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিককে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয় ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব মোহাম্মদ আতিককে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

    গত বছরের ৮ অক্টোবর আলাওল হলের প্রভোস্ট কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন হাসান মাহমুদ। তিনি সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। একই ঘটনায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

    এছাড়া গত বছরের ২ ডিসেম্বর এ এফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েক দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, রুম ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

    তারা হলেন সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন ও একই সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নাহিদুল ইসলাম।

    অন্যদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরও ছয়জনকে এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    তারা হলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমিরুল হক চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ ফাহিম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. ইকরামূল হক, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নয়ন দেবনাথ।

    উল্লেখিত শিক্ষার্থীরা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী।

    অন্যদিকে শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের দায়ে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী।

  • সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া চবি’র ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে শোকজ

    সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া চবি’র ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে শোকজ

    চবি প্রতিনিধিঃ সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে শোকজ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।

    তারা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের (নিলয়), অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের রানা আহমেদ ও ওয়ায়দুল হক লিমন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ২০১৬-১৭ সেশনের আশিষ দাস, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সাজ্জাদুর রহমান, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তুষার তালুকদার বাপ্পা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের আহম্মদ উল্লাহ রাব্বি ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের জাহিদুল ইসলাম এবং সংস্কৃত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রুদ্র তালুকদার।

    মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

    ‘এই হল আমাদের।

    হল লিজ নিছি আমরা। যখন ইচ্ছা তোদেরকে হল থেকে বের করে দেবো৷ এই রুম যদি তোদের হয়, পুরা হল আমাদের।

    কি করবি তোরা? নিউজ করবি? কর। আমরা সাংবাদিক-প্রক্টর খাই না৷’

    এভাবেই গত ১৬ জুন গভীর রাতে সাংবাদিকদের রুমে এসে হেনস্তা ও হুমকি দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলে থাকা ৯ জন ছাত্রলীগ কর্মী।

    জানা গেছে হুমকি দেওয়া সবাই শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয়ের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের অনুসারী।

    এ ঘটনায় গত ১৯ জুন চবি প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

    চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, গত ১৬ জুন রাতে সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় ১৯ জুন চবি সাংবাদিক সমিতি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আজ ৯ জনকে শোকজ করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ ঘটনার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাদের।

  • চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে বিক্ষোভ

    চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে বিক্ষোভ

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে কাফনের কাপড় পড়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের রেললাইন অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

    এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সাড়ে ১০টার শাটল ট্রেন আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়।

    অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইয়াসিন আব্দুল্লাহ বলেন, কয়েক মাস ধরে আমরা আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি সবখানেই আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অবহিত করেছি। তারাও আমাদের বিষয়ে একমত। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে বার বার কথা দিয়ে কথা ভঙ্গ করছেন। বাধ্য হয়ে আজ আমরা কাফনের কাপড় পড়ে আন্দোলনে নেমেছি। কারণ এ সুযোগ না পেলে আমাদের জীবনের কোনো মূল্যায়ন নেই।

    মো. সংগ্রাম খান নামে আরেকজন বলেন, আমরা ২০২০ সালে এইচএসসি ও ২০১৮ এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। একবার না তিনবার ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। করোনা মহামারির মধ্যে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অটোপাস দেওয়ার কথা সেটিও দেয়নি। আমরা বিপাকে ছিলাম। এখন দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ না দিলে আমাদের জীবনের কোনো দাম নেই।

    চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবি জানাচ্ছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।

  • চবিতে ছাত্রলীগের অবরোধ, শাটল ট্রেন-শিক্ষক বাস বন্ধ

    চবিতে ছাত্রলীগের অবরোধ, শাটল ট্রেন-শিক্ষক বাস বন্ধ

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছে নেতাকর্মীরা। এতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন এবং শিক্ষকদের বাস ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি।

    বুধবার (০১ জুন) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং দুই নম্বর গেটের ফটকেও তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ ১ নং গেট থেকে মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাসে আসেন। পথে মাজার গেট এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী কয়েকজন কর্মী দেশী অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় তাদের মোটরসাইকেলও। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা জিরো পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করেন।

    অবরোধকারী ভিএক্স গ্রুপের কর্মী এইচ কে রনি বলেন, আমাদের সিনিয়র দুই নেতাকে মারধর করেছে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গাঁয়ে হাত তোলার সাহস কোথায় পায় তারা? দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছি।

    ষোলশহর স্টেশনের সহকারী মাস্টার তন্ময় মজুমদার বলেন, ক্যাম্পাসে ঝামেলার কারণে ট্রেন বন্ধ রয়েছে। আজ কোনো ট্রেন ক্যাম্পাসে যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া ট্রেন ছাড়তে পারছি না।

    প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, এখনো সমাধান হয়নি। আজ ক্লাস হওয়ার বিষয়েও কিছু বলতে পারছি না।

  • চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে সেলিনা-সজীব

    চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে সেলিনা-সজীব

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী ও বামপন্থী সমর্থিত হলুদ দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।

    সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৪ টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদে চলে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে মোট ৮৬২ জন ভোটারের মধ্যে ৭১১ জন ভোট প্রদান করে। এর মধ্যে ১১টি ভোট বাতিল হয়। পরে সন্ধ্যা ৬ টায় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

    এতে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার পেয়েছেন ৩৯১ ভোট। অপরদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী পেয়েছেন ২৯৬ ভোট।

    নির্বাচনে জয়ী অন্যান্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে হলুদ দলের প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ দলের প্রার্থী চারুকলা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এ এম জিয়াউল ইসলাম।

    এছাড়া সদস্য পদে জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণীভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    এর আগে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন নেয়া এবং জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১টি পদের পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন জমা পড়ে।

    উল্লেখ্য যে, এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা কোনো প্যানেল দেয়নি কিন্তু তারা ভোট প্রদান করেছেন।

  • দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

    দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

    দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

    আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি।

    পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌসকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।

    উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ায় চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি, সি ইউনিটে) মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এ ছাড়া ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।

    ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চবি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

    এ ছাড়া ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়।

    পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার ভার্চুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, তারা কোথাও ভর্তি হননি। চবিও তাদের ভর্তি করেনি। তাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।

    এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন।

    আজ শুনানিতে বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছেন। এখন বাকি আছেন ৫৭ জন।

    এন-কে

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. মুনতাসীর মামুন

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. মুনতাসীর মামুন

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। সোমবার (১৫ মার্চ)তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    দায়িত্ব গ্রহণের পর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুনতাসীর মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হলো গবেষণা। দেশে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আশানুরূপ গবেষণা হচ্ছে না। সবচেয়ে কম গবেষণা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে প্রায় ১ হাজার বই বেরিয়েছে। সবগুলো প্রায় একই। আমি সকলের সাথে বসে তাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবো।

    তিনি আরও বলেন, আমি চাইবো সকলের আশার প্রতিদান দিতে। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। আর বঙ্গবন্ধুর কথা যখন আসে তখন বাংলাদেশের কথা আর আলাদাভাবে বলতে হয় না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।

    সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা গত একবছর ধরে যোগ্য একজন গবেষক খুঁজছিলাম। যা অনেকেই জানতেন না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পেরেছি।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিনেট সদস্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. গাজী সালাউদ্দীন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট মাইনুল হাসান, হাটহাজারী উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিদ হাসান নোমানী।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদি

  • ২২ জুন থেকে শুরু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

    ২২ জুন থেকে শুরু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

    চবি প্রতিনিধিঃ ২২ জুন থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

    সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চবির প্রথম বর্ষে ভর্তি নিয়ে ডিন’স কমিটির চতুর্থ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপে আগামী ২২ থেকে ২৪ জুন ভর্তি পরীক্ষা চলবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা চলবে ২৮ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপে ৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে ভর্তি পরীক্ষা। কোন তারিখে কোন ইউনিটের পরীক্ষা হবে তা কিছুদিন পর জানিয়ে দেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য যে, চবিতে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। গত বছর ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ-ইউনিটে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। আসন প্রতি আবেদন করেছিলেন ৫২ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই নেয়া হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • চবি আইইআরঃঅনার্সের ফলাফলের আগেই মাস্টার্সের রুটিন

    চবি আইইআরঃঅনার্সের ফলাফলের আগেই মাস্টার্সের রুটিন

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনার্সের ‘বিশেষ পরীক্ষা’ শেষ হয়নি তিন বছরেও। অনার্সের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই মাস্টার্সের রুটিন প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

    আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এ পরীক্ষা। তবে ফলাফল আটকে থাকায় এতে অংশ নিতে পারছেন না ইনস্টিটিউটের ৩৬ শিক্ষার্থী।

    জানা যায়, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইনস্টিটিউটের ওই বর্ষের পরীক্ষায় একাধিক কোর্সে অকৃতকার্য হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। পরের বছরে ওই একই কোর্সের পরীক্ষায় আবারও অকৃতকার্য হন তারা।

    পরে অকৃতকার্য এবং মানোন্নয়নে থাকা মোট ৩৬ শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই কোর্সগুলোর ‘বিশেষ পরীক্ষা’ নিতে সম্মত হয়ে পরীক্ষার রুটিন দেয় ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

    তবে তিনটি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ইনস্টিটিউটের বেশ কিছু শিক্ষককে তাদের আগের কর্মস্থল (চবি ল্যাবরেটরি কলেজে) যোগ দিতে বলায় অসম্পূর্ণ থেকে যায় ওই পরীক্ষা।

    এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, এ সমস্যা সমাধানে বার বার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা দিতে বললে তারা রাজিও হন। তবে এর কোনো সমাধান না করেই মাস্টার্সের রুটিন দিয়েছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

    জানতে চাইলে চবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ বলেন, অনার্স শেষ হওয়ার পরেই মাস্টার্সের পরীক্ষা। তারা এখনও অনার্স পাস করেনি। আমরা তাদের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত দিবেন, তা হবে।

  • বিজয় দিবসের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি

    বিজয় দিবসের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি

    চবি প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের ব্যানারে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনারের ছবি। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে বিজয় দিবসের সূচনালগ্নে বিউগল বাজিয়ে দিনটিকে স্বাগত জানানো হয়।

    পরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘স্মরণ’ সংলগ্ন চত্বরের ‘স্মরণ চত্বর’ নামকরণ ও নামফলক উন্মোচন এবং চবি আলাওল হল চত্বরে অবস্থিত প্রথম শহীদ মিনারের সংস্কারপূর্বক উদ্বোধন করেন।

    এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই আলোচনা সভার ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনার বাংলাদেশের চেতনার অংশ হলেও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তার ছবি বেমানান। কেননা সেটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যদিও অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের কথা স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ব্যানারটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, এর আগেও কিছু প্রোগ্রামে শহীদ মিনারের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের ধারাবাহিকতায় এই ব্যানারটি তৈরি করেছি। বিশেষ করে দেশের অনেক জায়গাতেই স্মৃতিসৌধ না থাকায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় শহীদ মিনারেই। তবে আমরা এটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, আগামীতে আর এমনটা হবে না আশা করি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান বলেন, ব্যানার তৈরির সময় আমাদেরকে দেখানো হয়নি, ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুলটা হয়ে গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • পরীক্ষা না নিলে আমরণ অনশন

    পরীক্ষা না নিলে আমরণ অনশন

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের ‘স্থগিত’ পরীক্ষা না নেওয়া হলে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর সব বিভাগের চলমান সকল পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাগুলো নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে মানববন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয় ফটক অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকবার মৌখিক আশ্বাস দিলেও গত ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিভিন্ন বিভাগের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সমূহ এবং এরপর পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পক্ষ থেকে ৪৩ তম বিসিএস (সাধারণ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। যেখানে আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
    ফলে এর মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শেষ না হলে আমরা আবেদনের যোগ্যতা হারাবো। যা গত ৪১তম বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী চাকরিতে আমরা হারিয়েছি।

    এ অবস্থায় আমরা ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি’ সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসে, তাহলে ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • অসমাপ্ত পরীক্ষা নিতে চবি প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম

    অসমাপ্ত পরীক্ষা নিতে চবি প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চতুর্থ বর্ষের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নিতে প্রসাশনকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পৃথক চারটি স্মারকলিপি প্রদান করে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

    স্মারকলিপিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার কারণে কয়েকটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মাঝপথেই থেমে যায়। আবার কিছু বিভাগে শুধুমাত্র দুই-একটি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া বাকি রয়েছে।

    গত ১৫ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, প্রতিটি বিভাগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের অফিসিয়াল নোটিশ পাঠানো হয়নি। প্রশাসনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে নোটিশ পৌঁছানোর পরেই বিভাগগুলো স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেবে বলে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করেছে।

    ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। গত সোমবারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিতে ৪৩ তম সাধারণ বিসিএস এর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। সামনের সপ্তাহে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষা সংক্রান্ত পিএসসির একটি সভা হবারও কথা রয়েছে।

    এই আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোর কারণে আমরা এসব চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আর এর ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা আমাদের বেশীরভাগ শিক্ষার্থীকেই চরম হতাশা ও মানসিক অশান্তির মধ্য দিয়ে প্রতিটি দিন পার করতে হচ্ছে।

    আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশা করছি, আপনার মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোতে স্থগিত পরীক্ষাগুলো সরাসরি বা অনলাইনে বা অন্য যে কোনো উপায়ে নেয়ার ব্যাপারে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নোটিশ পাঠানো হবে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই নোটিশ পাঠানো না হলে আমরা সামনের দিনগুলোতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

    এ বিষয়ে আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফোরকানুল আলম বলেন, অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নিতে আমরা প্রশাসনের নিকট দ্বিতীয় দফা স্মারকলিপি দিয়েছি। স্মারকলিপিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বলে শুনেছি। ওই সময় আমি অফিসে ছিলাম না।