চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকে ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
রোববার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান রাফি, মিলন,পাভেল ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেদওয়ান।
সভাপতি রুবেলের গ্রুপ-সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক টিপুর গ্রুপ-সিক্সটি নাইন সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোনো মতবিরোধ নিয়ে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। তারা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। একপর্যায়ে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার গ্রুপের নেতাকর্মীরা (সিএফসি) কলা ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এর জেরে সমাজবিজ্ঞান ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সিএফসির কর্মীদের পাল্টা মারধর করে।
এই ঘটনা দু’গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলে ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নেয়। সেখানে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় গ্রুপের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রও দেখা গেছে।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের বিষয় নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। আমরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন বলেন, ‘বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘দুই গ্রুপের নেতাদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’