Tag: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • চবিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের গ্রুপের মারামারি

    চবিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের গ্রুপের মারামারি

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকে ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে।

    রোববার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান রাফি, মিলন,পাভেল ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেদওয়ান।

    সভাপতি রুবেলের গ্রুপ-সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক টিপুর গ্রুপ-সিক্সটি নাইন সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

    প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোনো মতবিরোধ নিয়ে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। তারা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। একপর্যায়ে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার গ্রুপের নেতাকর্মীরা (সিএফসি) কলা ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এর জেরে সমাজবিজ্ঞান ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সিএফসির কর্মীদের পাল্টা মারধর করে।

    এই ঘটনা দু’গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলে ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নেয়। সেখানে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় গ্রুপের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রও দেখা গেছে।

    চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের বিষয় নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। আমরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।’

    সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন বলেন, ‘বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘দুই গ্রুপের নেতাদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

  • চবিতে ভারতের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

    চবিতে ভারতের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সমর্থকদের সাম্প্রতিক হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

    রোববার (১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে বিভিন্ন অনুষদ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

    বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতুর পরিচালনায় একটি প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন চবি সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবীর এইচ. তিতাস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যয় নাফাক।

    বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর বলেন, বর্তমান সরকার আসন্ন মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রধান অতিথি করতে চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দেশের প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সাথে নিয়ে এই বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে রুখে দেবে।

  • চবির সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

    চবির সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির উদ্যোগে সীতাকুণ্ড থেকে ভর্তি হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে। এতে অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ৪৫ জন নবীণ শিক্ষার্থীকে বরণ করা হয়।

    শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় পর্যায়ক্রমে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

    সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির সভাপতি ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন রাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সিরাজী।

    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা শোয়াইব মাহমুদ, আশেক ইলাহী, বখতিয়ার উদ্দিন, আবেদীন আল মামুন, আজম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, দীপক ভৌমিক, আইনুল কামাল, ইকবাল বাহার, ফারুক আহমেদ ও নয়ন দেব নাথ প্রমুখ।

    সবুজ-নান্দনিক ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হল জ্ঞান আহরণের অফুরন্ত ভান্ডার, এখান থেকে যে যত বেশী জ্ঞান আহরণ করতে পারবে ভবিষ্যৎ জীবনের বৃহত্তর পরিসরে সে তত বেশি উচ্চ আসনে আসীন থেকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

    এসময় বক্তরা নবীন শিক্ষার্থীদের ছাত্র সমিতির পাশে থেকে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা বিস্তারে কাজ করার আহ্বান জানান।

    আলোচনা সভা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংগঠনটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাচ, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ও র‍্যাম্প শো পরিবেশিত হয়।

  • চবির সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির সভাপতি ফয়সাল, সম্পাদক সাজ্জাদ

    চবির সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির সভাপতি ফয়সাল, সম্পাদক সাজ্জাদ

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত সীতাকুণ্ড উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের অরাজনৈতিক সংগঠন সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির নবগঠিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাজ্জাদ।

    শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমিতির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সিদ্ধান্ত ক্রমে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক নতুন এ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    নবগ‌ঠিত ক‌মি‌টির দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ইরফান, সহ-সভাপতি সাহেদুল ইসলাম, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ পায়েল চৌধুরী, আরেফিন ইসলাম আরিফ, ফখরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, কাজি তানভির জামান, খাদিজা আক্তার, কামরুন নাহার, আমজাদ হোসেন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রানা বড়ুয়া, জয়নাল আবেদীন, সালমা সুলতানা রিপা, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, এমরান হোসেন মাসুদ, ইফতেখার যিয়াদ, নাসরিন ইভা, শাহীনুর আক্তার, নাতাশা ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিরুল ইসলাম জনি, আকাশ দাশ, শাহরিয়ার ইসলাম ইমন, এইচ এম শাহরিয়া, উম্মে হানি তায়্যিবা, সালমা আক্তার, প্রচার সম্পাদক সাফায়াত বিন আলম সায়েম, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান, অর্থ সম্পাদক মোঃ সৈকত মনোনীত হয়েছেন।

    মোঃ ফয়সাল বলনে, ‘সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ একটি সেবামূলক অরাজনৈতিক সংগঠন। ভর্তি পরীক্ষার সময় থেকে শুরু করে সীতাকুণ্ড থেকে আগত সকল শিক্ষার্থীর সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে এই সংগঠন। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সদা পাশে থাকবে এ সংগঠনের সদস্যরা। আমরা এখানে সবাই একটি পরিবার। পরিবারের সদস্য হিসেবে আগামী দিনগুলোতে আন্ত:রিকতার সাথে কাজ করতে চাই। এজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।

    এর আগে শনিবার বিকাল ৪টায় সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির উদ্যোগে সীতাকুণ্ড থেকে ভর্তি হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়। এতে অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ৪৫ জন নবীণ শিক্ষার্থীকে বরণ করে সংগঠনটি। এসময় পর্যায়ক্রমে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

    সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির সভাপতি ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন রাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সিরাজী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা শোয়াইব মাহমুদ, আশেক ইলাহী, বখতিয়ার উদ্দিন, আবেদীন আল মামুন, আজম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, দীপক ভৌমিক, আইনুল কামাল, ইকবাল বাহার, ফারুক আহমেদ ও নয়ন দেব নাথ প্রমুখ।

    সবুজ-নান্দনিক ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হল জ্ঞান আহরণের অফুরন্ত ভান্ডার; এখান থেকে যে যত বেশী জ্ঞান আহরণ করতে পারবে ভবিষ্যৎ জীবনের বৃহত্তর পরিসরে সে তত বেশি উচ্চ আসনে আসীন থেকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এসময় বক্তরা নবীন শিক্ষার্থীদের ছাত্র সমিতির পাশে থেকে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা বিস্তারে কাজ করার আহ্বান জানান।

    আলোচনা সভা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংগঠনটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাচ, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ও র‍্যাম্প শো পরিবেশিত হয়।

  • চবিতে অনুমতি ছাড়া ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ

    চবিতে অনুমতি ছাড়া ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চবিতে বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর জায়গায় অনুমিত ছাড়া ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রক্টর অফিস থেকে প্রেরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিততে বলা হয়, কিছুদিন যাবৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিস্তৃত এলাকা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের চালন্দা গিরিপথ, ঝর্ণার পাড়, টেলিটক পাহাড়, শহীদ আব্দুর রব হলের পেছনের পাহাড়, বিজ্ঞান অনুষদ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের পাহাড়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ/ভ্রমণ না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

    বিনা অনুমতিতে কেউ অন্য জায়গায় প্রবেশ করে হয়রানি বা ক্ষতির শিকার হলে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবে না।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা অনুমতি ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় যেতে নিষেধ করেছি। আশা করি এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি, ছিনতাই অনেকটা কমে যাবে।’

  • চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে আওয়ামী পন্থী হলুদ দল

    চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে আওয়ামী পন্থী হলুদ দল

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক সমিতির আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামীপন্থী হলুদ দল।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়ন নেয়া এবং জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি।

    ফলে অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অষ্টমবারের মতো নিশ্চিত বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছে হলুদ দল। আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের নির্বাচিত ঘোষনা করা হতে পারে।

    বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের নির্বাচন বর্জনের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ও বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনিস্টিটিউটের প্রফেসর ড. আমিন বলেন, এ যাবৎ আমরা সব সময় নির্বাচন করে আসছি। এবার আমরা প্রতীকি প্রতিবাদ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। সারা দেশে ভোটাধিকারের অবস্থা আপনারা জানেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মনে হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে দলীয় বিবেচনায় ভোটার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

    শিক্ষকরা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীদের ভোট দিতে বিব্রতবোধ করছে। এরকম ভাবে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এটারই একটা প্রতিবাদ, আগামীতে যেন মেধা ও মননের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

    সাদা দলের আহ্বায়ক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর এম আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সব সময় নির্বাচন করে আসছি এবং বিভিন্ন পরিষদে জয় লাভও করেছি। বর্তমান ভিসি ম্যামের আগে দ্বায়িত্ব পালন করা দু’জন ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মকাণ্ড, সভা, সমাবর্তন, অনুষ্ঠান নিয়ে গঠিত কমিটি, হল প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষক নিয়োগে সাদা দলের সাথে বৈষম্য করেছেন।

    তিনি আরও বলেন, অতীতে এসব কমিটি একতরফা দলীয় বিবেচনায় করা হয়নি। এতে সাদা দলের শিক্ষকরাও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সব পরিষদে সবার সমান অধিকার। এসব কারনে শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে। যার কারনে এবার আমরা নির্বাচনে অংশ নিইনি।

    তবে ভরাডুবির আশংকায় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা আসছেন না বলে জানিয়েছেন হলুদ দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।

    হলুদ দলের প্রার্থী যারা : হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর মো. তৌহিদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ পদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ নেওয়াজ মাহমুদ, সদস্য পদে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর খালেদ মিসবাহুজ্জামান, বাংলা বিভাগের শফিউল আযম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আদনান মান্নান, আইন বিভাগের মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন, ইনিস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ ও ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রিনক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী তানভীর আহাম্মদ।

    উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। শুধু ২০১৪ সালের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বয়কট করে অংশ নেয়নি সাদা দল। এছাড়া গত ৩৩ বছরে সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছিল দলটি।

  • চবিতে সাংবাদিক হেনস্তাকারী সেই ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

    চবিতে সাংবাদিক হেনস্তাকারী সেই ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক সাংবাদিককে হেনস্তা করার দায়ে জুনায়েদ হোসেন জয় নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারাদেশ বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান থাকবে। অভিযুক্ত জয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

    বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে বোর্ড অব হেলথ অ্যান্ড রেসিডেন্সের সভার রিপোর্ট অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

    তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সহনশীল হওয়া উচিত। একে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। এর আগে একই অপরাধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে শাখা ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

    উল্লেখ্য যে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া ১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ঝুঁপড়িতে বন্ধুবান্ধবসহ দুপুরের খাবার খেতে আসলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরীকে হেনস্তা করে জয়।

  • শ্রদ্ধাভরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো চবি

    শ্রদ্ধাভরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো চবি

    মেহেদী হাসান, চবি প্রতিনিধি : মহান ২১ ফেব্রুয়ারি (শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) উপলক্ষে চবিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে ও শ্রদ্ধাভরে শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।

    সকাল সোয়া ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্মরণ’ চত্বর থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এর সাথে শুরু হয় প্রভাত ফেরি। সকাল ৮.৩০ টায় চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অতঃপর উপাচার্য সকলকে সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এরপর সকাল ৯.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। পরে মাননীয় উপাচার্য চবি জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশে দেশে বর্ণমালা ও একুশের সংকলন’ শীর্ষক ৭ দিন ব্যাপি (২১-২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

    আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, ভাষা আন্দোলন হচ্ছে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা পাঠ। ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার ভাষা-সংস্কৃতি আর পরিচয়ের উপলব্ধিতে যে নবজাগরণের সূচনা করেছিল এরই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

    তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালে বীর বাঙালিরা প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে শুধু মাতৃভাষা বাংলাকেই প্রতিষ্ঠা করেছিল তাই নয়; বিশ্ব জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষাকে অধিষ্ঠিত করেছে মর্যাদার আসনে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। তাই এই দিনটি বাঙালিদের জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর।

    আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্যা ভূইয়া, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোঃ জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, সিনেট সদস্য প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. মহীবুল আজিজ, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, সংগীত বিভাগের সভাপতি প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য, অফিসার সমিতির সভাপতি জনাব রশীদুল হায়দার জাবেদ, চবি ক্লাব এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ চবির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো. আনোয়ার হোসেন ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মো. আবদুল হাই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব দিবাকর বড়ুয়া। আলোচনা সভার শুরুতে চ.বি. সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচিত হয়। অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    এছাড়া সকালে চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর, চবি অফিসার সমিতি, চবি ক্লাব (ক্যাম্পাস ও শহর), চবি মহিলা সংসদ, সমন্বয় কর্মকর্তা বিএনসিসি, চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, চবি কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন জেলার ছাত্রকল্যাণ সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

    এ ছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। চ.বি. প্রশাসনিক ভবন ও হলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

  • চবিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্বলিত ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন

    চবিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্বলিত ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন

    মেহেদী হাসান,চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) উদ্বোধন করা হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্বলিত ভেন্ডিং মেশিন। যেখানে পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা ফেললেই বেরিয়ে আসবে প্যাড। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অনুষদ ও শেখ হাসিনা হলে এ সেবা দেওয়া হবে।

    মঙ্গলবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালযের ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদ অডিটরিয়ামে এর উদ্বোধন করেন অনুষদটির নব-নির্বাচিত ডিন প্রফেসর এস. এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এটা অসাধারণ একটা উদ্যোগ। এর মধ্য দি‌য়ে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ব‌বিদ্যালয়ে এক বিরাট অগ্রগ‌তি সাধিত হ‌বে। অনেক দে‌শের মত আমা‌দের দে‌শে নারী স্বাস্থ্যের বিষয়‌টি বি‌শেষ ক‌রে নারীর বি‌শেষ প্র‌য়োজনকে মাথায় রে‌খে কখ‌নো কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় না।‌ সেখান থে‌কে এরকম এ‌কটি উ‌দ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের নারীদের ১২-৪০ বছর সময়টায় শারীরিক প্রয়োজনে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাবহার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে তারা দোকান থেকে এটি কিনতে ইতস্তত বোধ করে।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেন্ডিং মেশিন চালুর মাধ্যমে মেয়েরা সেই অসুবিধা থেকে বাঁচবে এবং তাদের স্বাস্থ্যও নিরাপদ থাকবে।

    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুর রহমান, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, মার্কেটিং বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, এলজি কোম্পানির বাংলাদেশ এ্যাম্বাসেডর ডি. কে. সন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ. এম. কামরুল হাসান, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিনের যাত্রা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তৌসিফ আহমেদ রাব্বির মাধ্যমে। তিনি বলেন, ফেসবুকের কল্যাণে বিভিন্ন দেশের স্কুলগুলোতে ভেন্ডিং মেশিন আছে এমন সংবাদ দেখতে পাই। তখন থেকেই এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ। যেহেতু আমাদের দেশের মধ্যে ভেন্ডিং মেশিন এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা ছিলো না। ২০১৯ সালে এলজি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে এই প্রজেক্ট নিয়ে অংশগ্রহণ করি, পরবর্তীতে তারা আমার প্রজেক্ট কে সিলেক্ট করে এবং এটি বাস্তবায়নে আর্থিক অনুদান দেয়। পুরস্কার স্বরূপ এলজি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনে সাড়ে চার লাখ টাকা অনুদান পাই। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু করি মেশিন ইম্পোর্টের কাজ। এক সপ্তাহ হলো যা হাতে এসে পৌঁছায়।

    ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবহারঃ প্রতিটি ভেন্ডিং মেশিনে ১০০টি প্যাড রাখা থাকবে। ভেন্ডিং মেশিনগুলো কয়েন অপারেটেড। প্রতিটি মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে ৫ টাকার কয়েন (ধাতব মুদ্রা) ফেললেই বেরিয়ে আসবে একটি প্যাড। সহজেই ছাত্রীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ছাত্রীদের মধ্যে এটি ব্যবহারের প্রবণতা বাড়াতে উদ্বোধনের প্রথম দুই সপ্তাহ বিনামূল্যে ভেন্ডিং মেশিন থেকে প্যাড সংগ্রহ করা যাবে। এরপর থেকে নির্দিষ্ট মূল্যেই প্যাড সংগ্রহ করতে হবে। আর ভেন্ডিং মেশিনে সরবরাহকৃত প্যাডগুলো অত্যন্ত উন্নতমানের। যা সেনোরা ব্র্যন্ডের আল্ট্রা থিন প্যাড। তবে ছাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্য প্যাডও রাখা হতে পারে।

  • চবির আবাসিক হলে নিম্নমানের খাবার খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

    চবির আবাসিক হলে নিম্নমানের খাবার খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

    মেহেদী হাসান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে নিম্নমানের খাবার খাচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীসহ হলে খেতে আসা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ধরেই খাবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই খাবারের গুণগত মান ও পরিমাণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

    সাধারণত হলগুলোতে ভাত, ডাল, মাংস, মাছ, ডিম এবং বিভিন্ন ধরণের সবজি রান্না করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মোটা চালের ভাত রান্না করা হয় সবসময় আর যে চাল দিয়ে ভাত রান্না করা হয় তা গুণগত মানসম্পন্ন না হওয়ায় খাবারে কোন স্বাদ পাওয়া যায় না। অনেক সময় ভাত দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় আবার কখনো দাঁতের মাঝে চলে আসে ঝিল-পাথর। শাক-সবজি, মাছ, মাংস খাওয়ার সময়ও খাবারের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। স্বাদহীন খাবার ছাড়া অন্য একটি সমস্যা হলো ভাত আর ডাল ছাড়া আর সবকিছুই পরিমাণে অনেক কম।

    পরিমাণে কম ও স্বাদহীন খাবারের সাথে আরও একটি অভিযোগ হচ্ছে পঁচা খাবার। অনেক শিক্ষার্থীই অভিযোগ করেন হলের ডাইনিং এ অনেক সময় বাশি পচা খাবার দেওয়া হয়। আগের দিনের রাতের খাবার অনেক সময় পরের দিন দুপুরে দেওয়া হয়। যেটা একদমই খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না।

    এমনসব খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের পেট তো ভরেই না বরং তার সাথে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ফলস্বরূপ, অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলের ডাইনিং এ খাবার না খেয়ে বাইরের হোটেলে খাবার খেয়ে থাকেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়।

    সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান রুপম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখানকার হলগুলোতে খুবই নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি খাবার স্বাদহীনভাবে রান্না করা হয়। একারণে আমি বাইরে থেকে খাবার খায়। যার জন্য আমাকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়।

    আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, আমি একজন ক্রীড়াবিদ। খেলাধুলা ও পড়াশোনা করতে হলে অবশ্যই আমাকে স্বাস্থ্যবান হতে হবে। কিন্তু এখানে যে খাবার দেওয়া হয় তা আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত নয়।

    শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাকন দে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। বাইরের হোটেল থেকে খাবার খাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব না। আমাদের একমাত্র ভরসা হলের ডাইনিং। কিন্তু সেখানে মানসম্মত খাবার পাই না।

    শিক্ষার্থীদের দাবি অতি শীঘ্রই যেন খাবারের মান ভালো করা হয়। যেন তারা সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করে সুস্থ থেকে এখানে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে।

    আলাওল হলের ডাইনিং ম্যানেজার ইকবাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা ভাল মানের খাবার পরিবেশন করি। আমরা পচা খাবার কখনোই পরিবেশন করি না। এখানে খাবারের খরচ মাত্র ২০-২৫ টাকা। এত কম টাকায় ভালো মানের খাবার সরবরাহ করা খুব কঠিন। টোকেনের দাম বাড়ালে আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করতে সক্ষম হবো।

    আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল হক এ বিষয়ে বলেন, বাজেট কম হওয়াতে আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতে পারি না। আমিও খাবারের মান বাড়াতে চাই। আমি ডাইনিং ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের পচা খাবার পরিবেশন না করার কথা বলেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে তাদের সাথে আবার কথা বলব। আমি আশা করি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে।

  • চবিতে ৩ মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা শুরু

    চবিতে ৩ মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা শুরু

    মেহেদী হাসান, চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় আবৃত্তি সংগঠন ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ’র প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির তিন মাসব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে। এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শাশ্বত সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা’।

    রবিবার (১৬ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু সেমিনার কক্ষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী ক্লাস। পরে মঞ্চের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেওয়া নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

    উদ্বোধনী ক্লাসে ‘জড়তামোচন’ বিষয়ের উপর ক্লাস নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদ।

    কর্মশালায় উচ্চারণ, একক ও দ্বৈত আবৃত্তি নির্মাণ, বৃন্দ আবৃত্তি নির্মাণ, বেতার ও টিভি উপস্থাপনা, মঞ্চ উপস্থাপনা ও মাইক্রোফোনের ব্যবহার, গণবক্তৃতা ও কথাশৈলী, ব্যায়াম, স্বরসাধন ও স্বরপ্রক্ষেপন, সংবাদ পাঠ ও গণমাধ্যম পরিচিতি এবং ছন্দজ্ঞানসহ আবৃত্তির অন্যান্য বিষয়ে দেশের বিভিন্ন আবৃত্তি শিল্পী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নেবেন।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ ২০০০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির উপর কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি। এবারের ত্রয়োবিংশ আবর্তনে ২০০ নিবন্ধিত প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিচ্ছেন।

  • চবিতে ডিন নির্বাচন কাল

    চবিতে ডিন নির্বাচন কাল

    মেহেদী হাসান, চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৭ অনুষদের ডিন নির্বাচন আগামীকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল ৯ টা থেকে ডিন নির্বাচন শুরু হবে। এর আগে ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট দিয়েছেন অনেকেই।

    এবারের ডিন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মোট তিনটি দলের ২১ জন প্রার্থী। চূড়ান্ত তালিকানুযায়ী, আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দলের ছয়জন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের তিনজন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পাঁচজন এবং হলুদ দলের সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে হলুদ দলের ইতিহাসে এবারই প্রথম এতো বিদ্রোহী প্রার্থী।

    উল্লেখ্য যে, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হলুদ দলের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন। একারণে আট অনুষদের একটিতে ভোটের আগেই নির্বাচিত হওয়ার ফলে সাত অনুষদে চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা মোট ২১ জন।