Tag: চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল

  • ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রদলকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে:ডা. শাহাদাত

    ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রদলকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে:ডা. শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন,চসিক নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সবার জন্য সমান হয়নি। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কমনোর পায়তারা করছে।

    ২৭ জানুয়ারী কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপি ঠেকিয়ে চসিক নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বশক্তি দিয়ে এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছাত্রদলকে আরো বেশী কৌশলী ও সক্রিয় হয়ে কাজ করার বিকল্প নেই।

    মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রদলকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে। চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তিনি ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন।

    তিনি আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারী) দুপুরে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    এর আগে তিনি মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়, ভিআইপি টাওয়ার, কাজীর দেউড়ি বাজার, নূর আহমদ সড়ক গণসংযোগ করে দলীয় কার্যালয়ের সমাবেশে যোগ দেন। পরে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের নিয়ে নগরীর ওয়াসা মোড়, জমিয়তুল ফালাহ, দামপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।

    এতে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত বলেন, সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জনগণকে উৎসাহী করে ভোটকেন্দ্রে নিরাপদে ভোট দেয়ার নিরাপত্তা দিতে হবে ছাত্রদলকে। মামলা হামলা যাই হোক জনগণকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। তিনি প্রতিটি নেতাকর্মী ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়ে ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করার আহবান জানান।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন- ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। বিগত নির্বাচনের কোনো নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় নাই। চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক নারী ভোটার রয়েছে। তারা আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে। তাই আসন্ন চসিক নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার্থে ভোট কেন্দ্রে নিতে ছাত্রদল কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন- ধানের শীষ হচ্ছে গৃহবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রতীক। আপনারা প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাবেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন। সে সাথে ধানের শীষ প্রতীক, কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইবেন। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, মোঃ আরিফুর রহমান (মাস্টার আরিফ), জহির উদ্দীন বাবর, আরিফুর রহমান মিঠু, সাব্বির আহমেদ, মাহমুদুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, মোঃ আনাছ, জাহেদ হোসেন খান জসি, নুর নবী মহররম, নুর জাফর নাঈম রাহুল, ফখরুল ইসলাম শাহীন, সদস্যবৃন্দ শাহরিয়ার আহমেদ, মাহমুদুল হাসান রাজু, মোঃ আব্বাস উদ্দিন, রকি হোসেন পিচ্চি প্রমুখ।

  • ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নগর বিএনপির সভা চলাকালে এই সাক্ষাৎ হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

    ছাত্রদলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, নগর ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম-আহবায়ক আসিফ চৌধুরি লিমন, জি এম সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, মাস্টার আরিফ, আরিফুর রহমান মিঠু, সাব্বির আহমেদ, এম এ হাসান বাপ্পা, রাজিবুল হক বাপ্পি, মোহাম্মদ আনাস, জাহিদ হোসেন খান জ্যোতি, নুরজাহান রাহুল,ফখরুল ইসলাম শাহীন। সদস্য আবু কাওসার, মাহমুদুল হাসান রাজু, এনামুল হক, আবুল হাসনাত জুয়েল প্রমুখ।

    এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম কান্ডারী। স্বৈরাচারী সরকার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলে ছাত্রদলের বিকল্প নেই। ছাত্র আন্দোলনের ফলে ৫২ ভাষা আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আগামীতেও অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্রদলকে শক্তিশালী ভুমিকা পালন করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তোমাদের উপর যে আস্থা রেখে কমিটি দিয়েছে তার প্রতিদান তোমাদেরকে দিতে হবে। তিনি নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ কে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ছাত্রদল কে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    পরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটিতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

  • চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতৃত্বে সাইফুল-তুহিন

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতৃত্বে সাইফুল-তুহিন

    চট্টগ্রাম মহানগরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার এক মাসের মধ্যে তা ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রিয় ছাত্রদল।

    শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সাইফুল আলমকে আহ্বায়ক ও শরিফুল ইসলাম তুহিনকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এই কমিটির অনুমোদন দেন। এই কমিটির মাধ্যমে নগর ছাত্রদলে পঞ্চাশোর্ধ বয়সী গাজী সিরাজ ও বেলায়েত হোসেন বুলুর নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত হল।

    ৩৫ সদস্যের এই কমিটিকে নগরীর সকল থানা, ওয়ার্ড ও কলেজ কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে জমা দেওয়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ২০১৩ সালে নগর ছাত্রদলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সাড়ে সাত বছর পর চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর ছাত্রদলের প্রায় ২০০ বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের নিয়ে ২৭২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়া সেই ২৭২ সদস্যের কমিটি পরে ৫৪৭ সদস্যতে গিয়ে ঠেকে।

    নতুন ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে ১৯ জনকে। তারা হলেন : আসিফ চৌধুরী লিমন, তারিকুল ইসলাম তানভির, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়া আমিন চৌধুরী জিসান, জিএম সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, মুহাম্মদ আরিফুর রহমান (মাস্টার আরিফ), জহির উদ্দিন বাবর, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, এম এ হাসান বাপ্পা, রাজিবুল হক বাপ্পি, মাহমুদুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ আনাস, জাহিদ হোসেন খান যশি, নূর নবী (মহররম), নুর জাফর নাঈম রাহুল এবং ফখরুল ইসলাম শাহীন।

    কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন : নজরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন শামসু, ইমরান হোসেন বাপ্পি, আবু কাউসার, শাহরিয়ার আহমেদ, আল মামুন সাদ্দাম, দেলোয়ার হোসেন শিশির, তারেক আজিজ বিপ্লব, মাহামুদুল হাসান রাজু, কামরুল হাসান আকাশ, এনামুল হক, আবুল হাসনাত জুয়েল, আব্বাস উদ্দিন, রকি উদ্দিন পিচ্চি।

  • চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন সুমনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন সুমনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা মরহুম আলা উদ্দিন সুমনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বাদ যোহর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপিও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বাদ যোহর নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    দোয়া মাহফিলে ছাত্রদল নেতা মরহুম আলা উদ্দিন সুমনের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা রাসেদুল করিম।

    দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে চৈতন্য গলি ২২ মহল্লা কবরস্থানে মরহুম আলাউদ্দিন সুমনের কবরে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, ডবলমুরিং থানা যুবদল, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।

    দোয়া ও মিলাদ মহফিলে শরিক হন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, সহ গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক (মরহুম আলউদ্দিন সুমনের বাবা) সালউদ্দিন লাতু, সদস্য আলমগীর আলী, বুলবুল আহমদ, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলি আব্বাস খান, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেন, নগর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলী মর্তুজা খান, মোঃ সেলিম, জাহাঙ্গির আলম মানিক, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মোঃ আলমগীর, আবদুল্লহ আল মামুন, মহসিন কবির আপেল, নিয়াজ মোর্শেদ খান, শফিউল আলম, রায়হান আলম, এন মোঃ রিমন, ইমতিয়াজ উদ্দিন অপু, মোঃ আনাছ, সিহাব খালেদ মুন্না, আবুল হাসনাত জুয়েল, আবু সালেহ আবিদ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মহরম আলী, সৈয়দ আহমদ, আলি আহমদ, শাহজাহান (মুক্তিযোদ্ধা), মহিউদ্দিন, সুলতান আহমদ, মুক্তার উদ্দিন, আবদুল মতিন, আবদুল আজিম, আবদুর রশিদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোঃ হাসান, বজল আহামদ, মোঃ ইদ্রিস, মোঃ সোহাগ, ওমর ফারুক, আক্তার হোসেন, মোঃ জাহেদ, সাইফুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল সোনা মনিক, আমিরুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন, ওয়াহেদ মুরাদ, মাইনুদ্দিন খান রাজিব, মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ আবদুল্লাহ প্রমূখ।

  • বাবাদের রেখেই ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি,বঞ্চিত-অবমূল্যায়িতদের বিক্ষোভ

    বাবাদের রেখেই ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি,বঞ্চিত-অবমূল্যায়িতদের বিক্ষোভ

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর আজ আরও ২৭২ জনকে সংযুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রিয় ছাত্রদল।

    বিগত বেশ কিছু দিন যাবত শোনা যাচ্ছিল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃত ছাত্র এবং ত্যাগীদের সংযুক্ত করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হবে। কমিটিতে স্থান পেতে পারে এ ধরণের কয়েকজন ছাত্রনেতার নামও পত্র পত্রিকায় এসেছিল।

    আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরপরই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির দাবিতে নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে নেতাকর্মীরা।

    নতুন ২৭২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পদ প্রাপ্তদের ছাত্রত্ব নেই। আর তারা বিবাহিতও। ফলে নিয়মিত ছাত্র ও অবিবাহিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হতাশ। তারা ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং পরে তারাই নিভিয়ে ফেলে আগুন।

    এর আগে আজ বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল।  বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় আগের আংশিক কমিটির সাথে ২৭২ জনকে সংযুক্ত করে পুর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হল।

    এ বিষয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন ২০০৫ সালের আগে যারা এসএসসি পাশ করেছে তাদের কাউকে ছাত্রদলের কমিটিতে রাখা যাবে না। দায়িত্ব পেতে হলে নিয়মিত ছাত্র ও অবিবাহিত হতে হবে। কিন্তু আজ ঘোষিত কমিটিতে আগের আংশিক কমিটি বাতিল করা হয়নি। জুনিয়র সিনিয়র সিরিয়াল মানা হয়নি এবং বিবাহিত ও অছাত্রদের কমিটিতে রাখা হয়েছে এ কারণে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে নেতাকর্মীরা। আংশিক কমিটির একজন ছাড়া বাকি নয়জন অন্য কমিটির পদ পদবী বহন করছে। আমরা নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে নতুন কমিটি দাবি করছি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, ২০১৩ সালে ঘোষিত আংশিক কমিটির সভাপতি গাজী সিরাজ এখন নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাশ করেছেন। বর্তমানে তার বয়স ৫২ বছর। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বর্তমানে নগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাশ করেন। তার বয়স ৪৬ বছর। এছাড়া চার সহসভাপতির মধ্যে মঈন উদ্দিন শহীদ নগর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, ফজলুল হক সুমন নগর যুবদলের সহসভাপতি ও জিয়াউর রহমান জিয়া নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। চার যুগ্ম সম্পাদকের মধ্যে জমির উদ্দিন নাহিদ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক, আলী মর্তুজা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও মোশাররফ হোসেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল মারা গেছেন। নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ এখন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। তাদের কিভাবে নতুন কমিটিতে বহাল রাখা হয়।

    যুগ্ম সম্পাদক শফিউল বশর সামু পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কমিটি নিয়ে অনেক ধরণের বিতর্ক হতে পারে কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর পর হলেও একটি ঢাউশ কমিটি হয়েছে কর্মীদের মূল্যায়নের দরকার ছিল এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকদলের কমিটি হলে কিছু মান অভিমান থাকে। দীর্ঘ সতেরো বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় পদবঞ্চিত একটু আধটু ক্ষোভ আমি খারাপ দৃষ্টিতে দেখছিনা। সবাইকে মূল্যায়ন করতে গেলে কমিটির আকার হাজার পেরিয়ে যেতো। তবে আমাদের এটা সাময়িক সময়ের জন্য এরপর আহ্বায়ক কমিটি এবং তারপর আবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। সে পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে পারতো। এছাড়া যাদের বয়স নেই তারা অন্য সহযোগী সংগঠনে স্থানান্তরিত হতে পারবে।

    মূলত আসন্ন স্থগিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচন পরিচালনায় কোনও প্রভাব না ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। নতুনদের নিয়ে কমিটি গঠিত হলে সিটি নির্বাচনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেই ধারণা থেকেই মূলত ৭ বছর আগের আংশিক কমিটিকে বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    নগর ছাত্রদলের নতুন কমটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হলে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটাসহ ফরম জমাদানের আবেদন করেছিল সংগঠনটি। গত ১৩ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মসূচীতে প্রায় ৩৫০টি ফরম জমা পড়ে।

    কমিটির বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ করতে চাইলো তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লকডাউনের শুরুতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করলে এখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না:ডা.শাহাদাত

    লকডাউনের শুরুতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করলে এখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না:ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন,মার্চ মাসে যদি মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হতো, করোনা পরিস্থিতি আজ এই ভয়াবহ পর্যায়ে যেত না।

    ১৮ মার্চ থেকে আমরাই প্রথম গণ সচেতনামূলক মাস্ক পরিধানের কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত বিএনপি’ই গণসচেতনামূলক মাস্ক , হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সচেতনামূলক কর্মসূচি পালন করে আসছে।

    কিন্তু সরকার ৪ মাস পরে এসে মাস্ক পরিধানের উপর বাধ্যবাধকতা ও আইন প্রয়োগ করে।সরকার যখন করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছিল যদি তখন থেকেই মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা দিত এবং না পড়লে জরিমানা আরোপ করে আইন প্রয়োগ করত তাহলে আজ “করোনা পরিস্থিতি” এই ভয়াবহতার পর্যায়ে যেত না।

    আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড ও ভুটান প্রথম থেকেই তারা করোনা টেস্ট সহ করোনা সচেতনামূলক কার্যকরী পদক্ষেপের নিয়েছিল কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান সরকার ও সরকার দলীয় লোকজন করোনা কে পুঁজি করে করোনা কালীন সময়ে জনগণের নামে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত শত শত কোটি টাকা ও ত্রাণ লুটপাট করেছে।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে ১৪ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। আর করোনা পরীক্ষা ছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে হাজার হাজার রোগী পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকার চট্টগ্রামের দশটি ওয়ার্ড কে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করলেও শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডকে “জোনিং” এর আওতায় এনেছে। অবিলম্বে অন্যান্য ওয়ার্ড গুলোকেও জোনিং এর আওতায় আনতে হবে।

    তিনি আজ ২৪ জুলাই (শুক্রবার) বাদ জুমা আমিরবাগ, বাদশা মিয়া রোড, গোল পাহাড় এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে মুসল্লী ও সাধারন জনগনের মাঝে মাস্ক বিতরণকালে এ কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর ছাত্রদল নেতা মহসিন কাবির আপেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, আবু বক্কর সিকদার, শফিকুর রহমান স্বপন, আব্দুল্লাহ আল সোনামানিক, জাফরুল হাসান রানা, শহীদুজ্জামান শহীদ, শফিউল আলম শফি, সানিয়াত আমিন জিসান, মামুন খান, আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ার, আমির হোসেন মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বীরাঙ্গনা রত্না চক্রবর্তীর পাশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল

    বীরাঙ্গনা রত্না চক্রবর্তীর পাশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল

    “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন”। এই কথাটির চরম সত্যতা উন্মোচিত হলো বীরাঙ্গনা রত্না চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হতে চললেও এই মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী এই রত্না চক্রবর্তীদের খবর রাষ্ট্র রাখেনি। ৫০ বছরেও বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পাননি রাষ্ট্রের কাছে। তাঁর ফাইল রাষ্ট্রের বিভিন্ন দফতর ঘুরেও কাজ হয়নি। কখন স্বীকৃতি পাবেন তার নুয়ে হতাশ রত্না চক্রবর্তী। জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে এই চার সন্তানের জননী বীর মহীয়সী নারী পরিছন্নকর্মীর কাজ করেন নগরীর একটি বিপনি বিতানে।

    আজ সেই রত্না চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলে আসন্ন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক পদপ্রার্থী সৌরভ প্রিয় পাল আজ রত্না চক্রবর্তীর হাতে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

    তিনি বলেন, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের পক্ষ থেকে তিনি এই সহায়তা তুলে দেন রত্না চক্রবর্তীর হাতে।

    করোনাকালীন লকডাউন থাকাকালে রত্না চক্রবর্তীর বাসায়ও ডা. শাহাদাত হোসেনের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন তিনি।

    তিনি সমাজের বিত্তবানদের, রত্না চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর